আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশরের (আই এস এস) একমাত্র টয়লেটটি ভেঙে যাওয়ায় মহাকাশচারী বেচারারা রীতিমতো মহাসংকটে পড়ে গেছেন বলে ০৪ জুন ২০০৮ বুধবার দৈনিক সমকালে একটি রিপোর্ট বেরিয়েছে। এই সংকট নিরসনে ইতোমধ্যে নাকি গত ৩১ মে মহাকাশযান 'ডিসকোভারি'র মাধ্যমে টয়লেট মেরামতের সরঞ্জামসহ সাহায্যও পাঠানো হয়েছে। তবে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে পাঠানো অভয়বাণীতে তাদেরকে একটু ধৈর্য্য ধরতে বলা হয়েছে।
হা হা হা ! হাগায় ধরলে যে বাঘার ভয়ও তুচ্ছ হয়ে যায়, এটার মাজেজা যারা বুঝেন তারা নিশ্চয়ই বেচারা মহাকাশচারী তিনজনের ভয়াবহ ধৈর্য পরীক্ষায় উৎড়ানোর জন্য আন্তরিক সহানুভূতি জানাবেন। কিন্তু এই অবাধ্য নিম্নচাপের বেগ সামলাতে সহানুভূতি কতোটা কার্যকরি হবে তা হয়তো পরে জানা যাবে। তবে সংকটকালে জীবন বাঁচানোর জন্য স্যয়ুজ নামের যে ক্যাপসুলটি আই এস এস স্টেশনের গায়ের সঙ্গে বাঁধা আছে, সেখানেও ছোট্ট আকারের একটি টয়লেট আছে সাময়িকভাবে কাজ চালানোর জন্যে। আকারে এই টয়লেটটি এত ছোট যে, নভোচারীদের একটু হিসাবি হতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে পৃথিবী থেকে !
আবারো হা হা হা ! কারণ হিসাবের এই পদ্ধতিটা গণিতের কোন্ নিয়মে সম্পন্ন হবে মর্ত্যবাসী আমাদের জন্য বুঝে ওঠা জটিলই বটে ! আমরা আশা করছি যথাসময়ে এই সাহায্য যথাস্থানে পৌঁছে যাবে।
রিপোর্ট থেকে আরো জানা যাচ্ছে যে, রাশিয়ান মডেলের এই ভেঙে যাওয়া টয়লেটটি মেরামতের পাশাপাশি একে আধুনিকায়নের জন্যে তৈরি করা হবে একটি প্রস্রাবখানা, যেখানে নভোচারীদের প্রস্রাবকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পান করা উপযোগী পানিতে রূপান্তর করা হবে এবং এভাবে পুনর্ব্যবহারের প্রক্রিয়াজাতকরনের মাধ্যমে মহাশূন্যে পানির সংকট কমানো যাবে বলে নাসা সূত্রে জানানো হয়েছে।
আহা ! আমাদের ঢাকার পানিহীন কারবালায় ওই জিনিসটার তো কোন ঘাটতি নেই ! চাইলেই টনে টনে আমরা দিয়ে দিতে পারি। আগামীর বসবাসের অযোগ্য এই নগরীটার সমূহ এই সংকট মোকাবেলায় এমন অভূতপূর্ব প্রযুক্তি কি আমাদেরকে কোন আশা দেখাতে পারে না ? আমরা দিতে প্রস্তুত, সচল পাঠকরাও মনে হয় হতাশ করবেন না, ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কি কিছুই বলার নেই ?
মন্তব্য
আহারে ! এতো বড়ো একটা সংকটে কেউ একটু সহানুভূতিও জানালো না !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আহারে! তবে মার্কিন সেনাবাহিনী নাকি এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেটা প্রস্রাবকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পানিতে রূপান্তরিত করে। ইরাক আক্রমণে যাওয়া সেনারা নাকি এই যন্ত্র ব্যবহার করেছে প্রচুর।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ...ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন