• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

এবং নিয়ে কথকথা...

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: সোম, ১১/০৮/২০০৮ - ১১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

..এবং নষ্ট হয়ে গেছি আমি
তোমাদের ভালোবাসার গণ্ডি ছেড়ে কোন এক
অস্থির সীমানায়...
প্রতিজ্ঞা করিনি কোন দিন,
আজো করবো না তাই
তবুও বলছি আমি সত্যিই নষ্ট হয়ে গেছি।

চৈতের কাঠফাটা দুপুরে কোন মায়ের ভেজা গণ্ডে
যে হাতের পরশ জাগিয়ে তুলতো
শরতের নির্মেঘ আকাশ
চোখে শুভ্র কপোত
সে-হাতের স্পর্শে এখন নীরবে ঝরে যায়
যে কোন সুহাসিকা ফুল।
এই সে ক্লান্ত দৃষ্টি জানি না কেমন আমার
অথচ অনায়াসে থেমে যায়
আনমনা যে কোন পাখির গান
শিশুর হাসি... হয়তো কান্নাও;
তবুও হেঁটে যাই দিব্যি আমি
সবার চোখের ওপর দিয়ে
এক কালে যেখানে বেড়াতাম এমনি।

যখন কোন নারী
আমার দিকে চোখ ফিরিয়ে নেয়
অবাক হই না মোটেও
শুধু বুকের ভেতর জমে ওঠে একটা অচিন বালুরচর-
অসংখ্য তৃষ্ণার্ত পাখিরা খুঁড়ে খুঁড়ে
চুষে নেয়
আশার উন্মাদ স্রোত
এবং কেউ আমার দিকে তাকালে-
অবাক হয়ে তাকালে
নিঃশ্বাসে নিমেষে জন্ম নেয় প্রচণ্ড কালবৈশাখ;
ইচ্ছে হয় চিৎকার করে বলি- দু’হাতে বুক চিরে বলি
এই দেখো এই দেখো নষ্ট আমি
কেমোন নষ্ট হয়ে গেছি!
অথচ নিশ্চল সমাধিস্থ সাধকের মতো
হয়তো তখন নিরেট স্বগতোক্তিই বেরিয়ে আসে-
আমি নষ্ট হয়ে গেছি
শুধু তোমরা ভালো থাকবে বলেই... #

(নষ্ট কাব্য/ অদৃশ্য বাতিঘর/ রণদীপম বসু )

আমার এখনকার বিষয় কিন্তু কবিতা নয়। কবিতাটা অনুষঙ্গ। বিষয় এবং। এই এবং শব্দটি নিয়ে আজ যে বিতর্কটি আকস্মিকভাবেই জেগে ওঠলো তার প্রেক্ষিতেই এই কথকথা।

বাক্যের শুরুতে এবং বসানো কতোটা যুক্তিযুক্ত ? আমার শ্রদ্ধেয় বস হঠাৎ করেই আমাকে ধরে বসলেন। যদিও আজকের সংঘটিত ঘটনায় উদ্দিষ্ট পাত্র আমি নই, আমার এক সিনিয়র কলিগ, তবু আমাকেই ধরে বসার প্রধান কারণ একটাই। মাঝে মাঝে আমি যে রাইট-আপগুলো তৈরি করি, তাতে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে একটা বাক্য শেষ করে পূর্ণযতি দাড়ি ব্যবহারের পর ফের আরেকটা বাক্য কখনো কখনো এবং দিয়ে শুরু করি। এবং তিনি আবার ওই দাড়িগুলো কেটে বাক্যের ব্যাকরণগত শুদ্ধতা পুনরুদ্ধার করে করে যখন আমার হাতে তা ফিরিয়ে দেন, আমার আর না মেনে উপায় থাকে না। কেননা ওগুলোর স্বাক্ষরকারী তো মূলত তিনিই হবেন। তাছাড়া বাংলার ছাত্র হিসেবে তিনি ভাষার উপর এরকম ধারাবাহিক অত্যাচার সহ্য করবেনই বা কী করে !

কিন্তু আজকে যখন আমার এক সিনিয়র কলিগও এবং ব্যবহারে একই কাজ করলেন, সম্ভবত রোগ সংক্রমণের সচলতা টের পেয়ে অফিসের শেষ মুহূর্তে একেবারে বেরিয়ে যাবার প্রাক্কালে বস সোজা চলে এলেন আমার ডেস্কের সামনে। সাথে ওই কলিগও আছেন। আমি চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। রসপ্রিয় রসিক বসের সরাসরি প্রশ্ন, আপনি কি তাকেও শিষ্য বানিয়েছেন নাকি ?
কিছু বুঝে ওঠতে না পেরে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম তাঁর দিকে। পেছনে কলিগটি মুচকি মুচকি হাসছে। বুঝলাম বিষয়টা সিরিয়াস হলেও নেতিবাচক কিছু নয়, ইতিবাচকই হবে। ভেতরে ভেতরে আশ্বস্তও হলাম।
এই অফিসে একমাত্র আপনিই বাক্যের শুরুতে এবং ব্যবহার করেন। কেন করেন ?
ইতোমধ্যেই আমি ভেতরে ভেতরে সাহস সঞ্চয় করে নিয়েছি। বললাম, স্যার, বাক্যে ব্যঞ্জনা সৃষ্টির জন্যে।
এবং কখন ব্যবহার করতে হয় জানেন ?
জী জানি। বাংলা ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী দুটো শব্দ বা বাক্যকে সংযুক্ত করতে অন্যতম অব্যয় হিসেবে এবং ব্যবহার করা হয়।
তাহলে যতি চিহ্ণের পরে এবং ব্যবহার কি শুদ্ধ ? বসের পাল্টা প্রশ্ন।
আমি সবিনয়ে বললাম, স্যার, যতিচিহ্ণের পরে নতুন বাক্যের শুরুতে এবংটাকে তো অব্যয় হিসেবে ব্যবহার করছি না। ওটা তখন অন্যরকম একটা শব্দ। প্রতীকী অর্থ ধারণ করে।
যেমন ?
হতে পারে শেষপর্যন্ত, বস্তুত,তবু এরকম !
পাশ থেকে আরেকজন কলিগ ফোঁড়ন কাটলেন, বাক্যের প্রথমে এবং কবিতায় ব্যবহার হতে পারে, গদ্যে নয়।
বসও সম্মতিসূচক মাথা নাড়লেন, হা কবিতায়।
আমার তখন আত্মপক্ষ সমর্থনে শেষ চেষ্টা। স্যার, শব্দ ব্যবহারে এতোটা রক্ষণশীল না হয়ে ভিন্নমাত্রিক ব্যবহারে যদি বৈচিত্র্য ও ব্যঞ্জনা এনে ভাষাকে আরো অর্থপূর্ণ ও শ্রুতিমধুর করে তোলা যায়, তাহলে শুধু কবিতায় কেন, গদ্যেও এই ব্যবহার করা যায়। ইদানিং এরকম ব্যবহার তো পত্র পত্রিকায় সাহিত্যে হরদম চলছে !
তিনি সকৌতুকে না কি প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে আছেন বুঝতে পারছি না। হয়তো কোন নমূনা উদাহরণ শুনতে চাচ্ছেন ভেবে আমি উপরোক্ত কবিতাটির প্রথম কয়েক চরণ আবৃত্তি করে শুনিয়ে দিলাম। তাঁর মুখে হাসি সম্প্রসারিত হচ্ছে। কিন্তু গদ্যসাহিত্যের তেমন কোন উদাহরণ সে মুহূর্তে মাথায় এলো না।

তার আর প্রয়োজনও হলো না। এর আগেই শ্রদ্ধেয় বস হা হা করে হেসে ওঠলেন। সেই কলিগকে ইশারায় দেখিয়ে বললেন, এই জন্যেই তো এবার অনুমোদন দিয়ে দিলাম। হা হা হা !
এবং গট গট করে বেরিয়ে গেলেন তিনি।

চুপি চুপি বলে রাখি, আমার এই বস কিন্তু আমাকে সত্যিই খুব ভালোবাসেন !

(১১/০৮/২০০৮)


মন্তব্য

অবাঞ্ছিত এর ছবি

... আপনারা আছেন বলেই তো ভাষা গতিশীল থাকে। অভিবাদন।

I think , therefore i am - Descartes

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

রণদীপম বসু এর ছবি

যেই দিন যমুনাতে ঝাঁপ দিবো, তখন কী হইবে ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মাহবুব লীলেন এর ছবি

একটু মাপ করা যায় না ভাইজান?
চিটাগাংয়ের এক অধ্যাপক ৮০ পৃষ্ঠার গবেষণা করেছিলেন জীবনানন্দের কবিতায় যেন মতো' শব্দেরর ব্যবহার আর আরেক অধ্যাপকের সত্তুর পৃষ্ঠা জুড়ে গবেষণার বিষয় ছিল মোহতিলাল মজুমদারের কবিতায় বিস্ময় চিহ্নের ব্যবহার এখন আপনি শুরু করলেন দরখাস্তে এবং শব্দের ব্যবহার ও প্রয়োগ...

০২
বাংলা ভাষা যদি ব্যাকরণ মনে রেখে ব্যবহার করতে হয় তাহলে বাঙালি হয়েছি কী করতে?

যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই যে ভাষা ব্যবহার করা যায় সেটাই মাতৃভাষা আর ব্যাকরণ মনে করে করে যে ভাষা ব্যবহার করা হয় সেগুলো বিদেশি ভাষা...

০৩

আপনি আসোলেই নষ্ট হয়ে গেছেন

রণদীপম বসু এর ছবি

০১

চিটাগাংয়ের এক অধ্যাপক ৮০ পৃষ্ঠার গবেষণা করেছিলেন জীবনানন্দের কবিতায় যেন ও মতো' শব্দেরর ব্যবহার আর আরেক অধ্যাপকের সত্তুর পৃষ্ঠা জুড়ে গবেষণার বিষয় ছিল মোহতিলাল মজুমদারের কবিতায় বিস্ময় চিহ্নের ব্যবহার

নিঃসন্দেহে এই তথ্য আমাকে পুনরায অনুপ্রাণিত করিবে।

০২

বাংলা ভাষা যদি ব্যাকরণ মনে রেখে ব্যবহার করতে হয় তাহলে বাঙালি হয়েছি কী করতে?

যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই যে ভাষা ব্যবহার করা যায় সেটাই মাতৃভাষা আর ব্যাকরণ মনে করে করে যে ভাষা ব্যবহার করা হয় সেগুলো বিদেশি ভাষা...

আহারে লীলেন ভাই, আমার কথাও তো এটাই !

০৩

আপনি আসোলেই নষ্ট হয়ে গেছেন

ওই কবিতাটা গুনে গুনে বাইশ বছর আগের। অর্থাৎ আমি কমপক্ষে বাইশ বছর আগেই নষ্ট। এখন পচে গলে আর কিছু বাকী আছে কি না কে জানে। গন্ধ না ছড়ালেই হলো।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রাফি এর ছবি

চিটাগাংয়ের এক অধ্যাপক ৮০ পৃষ্ঠার গবেষণা করেছিলেন জীবনানন্দের কবিতায় যেন ও মতো' শব্দের ব্যবহার

আমি জীবনানন্দ সম্বন্ধে যত বই পাচ্ছি, সংগ্রহে রাখছি। লীলেন ভাই দয়া করে ঐ অধ্যাপকের নামটি বলবেন? বইটি কি আজিজে পাওয়া যাবে?

@রুণদীপম বসু,
আমি বাক্যের প্রথমে এবং ব্যবহারের পক্ষপাতী।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অম্লান অভি এর ছবি

সুকান্ত কোন এক তানিয়া'কে উদ্দেশ্য করে কবিতা লিখেছিলেন-
'আঠার বছর বসয় কি দুঃসহ স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুকি'

দাদা রণদীপ কত বছর বয়সে ঝুকি নিয়েছিলেন নষ্ট হবার
জানতে ইচ্ছে হল।

গুনে গুনে বাইশ বছর আগের নষ্ট কবিতা ভালো লাগল
......এবং আমি প্রীত।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

রণদীপম বসু এর ছবি

দাদা রণদীপ কত বছর বয়সে ঝুকি নিয়েছিলেন নষ্ট হবার
জানতে ইচ্ছে হল।

বিয়োগের হিসাবে ওটা ১৯৮৬ সাল। তৎকালীন সেশান জটের দুটো বছর সাথে যোগ করে নিলে চালু হওয়া কোর্চ সিস্টেমের দ্বিতীয় ব্যাচ হিসেবে আমরা তখন অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছি । কেমিস্ট্রিতে চিটাগং য়্যুনিভার্সিটির মাস্টার্স পঁচাশির ব্যাচ আমরা। যদিও বেরোতে বেরোতে সাতাশি।

নিশ্চয়ই নষ্ট হবার তুমুল বয়স চলছে তখন !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমারো ভালো লাগলো।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

..এবং নষ্ট হয়ে গেছি আমি...
ভালো লাগলো আমারো।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রণদীপম বসু এর ছবি

শুধু আমি তো নই !
নষ্ট হতে তো দেখি সবাই ভালোবাসে ! হা হা হা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এবং আমিও নষ্ট হইতে চাই।

রণদীপম বসু এর ছবি

আরে কয় কী !
বালক বালিকা সবাই তো নষ্ট হইয়া যাইতেছে ! শেষপর্যন্ত......???

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।