কম্পিউটর মনিটরে চৌকস সচলদের কেরামতিগুলো উপভোগ করছিলাম। হঠাৎ মোবাইলটা বেজে ওঠলো। সৌদি আরব থেকে কল। মোবাইলের মনিটরে ভেসে ওঠা নম্বরের শুরুতে প্লাস নয় ছয় ছয় দেখে তাই ধারণা করলাম।
স্লামালিকুম ? প্রশ্নবোধক সম্ভাষণ জানালাম।
রাকিব নি রে ? ওপাশ থেকে সরাসরি প্রশ্ল।
জ্বী না, আপনি নাম্বার ভুল করেছেন।
আমি সৌদি আরব থাইকা বলতেছি। আপনি কে ? ধমকের সুরে তার পাল্টা প্রশ্ন। যেন কোন্ ভয়াবহ অপরাধ করে ফেলেছি আমি ! সবিনয়ে বললাম, দেখুন আমি কে সেটা জরুরি নয়। আপনি কাকে খুঁজছেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
এইটা কোন্ জায়গা ? আবার প্রশ্ন তার।
কিঞ্চিৎ বিরক্তই হলাম এবার। বললাম, দেখুন, ব্যক্তিগত মোবাইলের আবার কোন্ জায়গা কী ? এটা বাংলাদেশের যে কোন জায়গাই হতে পারে। আপনি যাকে চাচ্ছেন তাকে খুঁজুন।
এ মুহূর্তে হয়তো লাইনটা কেটে দেয়া উচিৎ। আমি তা করলাম না। কেননা কলটা আমি করি নি। অসৌজন্যতা দেখাই কী করে।
ওপাশ থেকে এবার নির্দেশের স্বর, আমি জানতে চাইছি এইটা কোন্ জায়গা ?
গুঁজো হয়ে বসে কম্পিউটারে ঘুরাঘুরির ঢিলেঢালা ভাবটা কেটে গেলো। টানটান হয়ে ওঠলাম। আপনি সম্ভবত ব্যক্তিসীমা লঙ্ঘন করছেন, শীতল কণ্ঠে জবাব দিলাম।
ওই মিয়া, আমি কি ডাকাইত, না ছিনতাইকারী ? এইটা কোন্ জায়গা কইলে কি আপনের মুখ খইস্যা পড়বো ? এক অর্থহীন তীব্র কটাক্ষ ঝরে পড়লো !
আমিও ততোধিক বিস্মিত ! একটা অদেখা অচেনা লোকের সাথে কীভাবে কথা বলতে হয়, মিনিমাম ভদ্রতাও খুইয়ে বসে আছে ! আমারও রাগ চাপা থাকলো না।
আপনি তারচে’ও গুরুতর অপরাধ করে ফেলেছেন। কারো ব্যক্তিগত অধিকারবোধকে তোয়াক্কা না করাটা ডাকাতির চে’ও বড় ডাকাতি।
ওই মিয়া, আমারে জ্ঞান দিতে আইছো ? কী করো তুমি ?
আরে বলে কী ! এ রকম পাল্টা উত্তরে একেবারে হতবাক হয়ে গেলাম ! অপমানবোধ এতোটাই তীব্র হয়ে ওঠলো যে, এখন তো আর মোবাইল বন্ধ করে দেয়া যায় না, হেস্তনেস্ত একটা করতেই হবে ! কণ্ঠে যতোটা সম্ভব দৃঢ়তা এনে কঠিন মেজাজে উত্তর করলাম, আমি কোন মূর্খ লোককে জ্ঞান দিতে যাই না কখনো।
কী কইলা ?
আমার তখন রোখ চেপে গেছে। ওপাশের বক্তব্যে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করেই বলে চললাম, মূর্খদের সমস্যা হচ্ছে এরা জানেই না যে এরা মূর্খ। খুব জ্ঞানীর ভাব নিয়া যেসব নির্লজ্জ মূর্খামী দেখায়, যারা তা দেখে, তারাও লজ্জায় মরে যায়। অথচ এই মূর্খরা বুঝতেই পারে না যে তার কাছা খুলে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
অই শালার পুত থামবি ? না পাছায় লাত্থি দিমু ?
ঠাশ করে কে যেনো চড় মারলো গালে আমার ! বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে গেলাম। এমন তীব্রস্পর্শী গালির ল্ক্ষ্য ইতিপূর্বে আর কখনো হয়েছি কিনা মনে করতে পারছি না। লজ্জায় অপমানে কান দুটো ঝা ঝা করতে লাগলো। এরকম হতবুদ্ধিকর তিক্ত অভিজ্ঞতায় এক্কেবারে বাকরহিত হয়ে গেলাম। ফেলফেল করে চেয়ে রইলাম মোবাইলটার মনিটরের দিকে।
হঠাৎ বিদ্যুচ্চমক খেয়ে গেলো। আরে, তা কী করে সম্ভব ! ওটা তো আমারই নম্বর !
মন্তব্য
কিন্তু নয় ছয় ছয়ের কী হবে?
হাঁটুপানির জলদস্যু
হেহেহে... এক্কেরে! হিমু ভাইয়ের ছবির লগে এই প্রশ্নটা মিলসে ভাল!
তবে, গালগল্পের ব্যাপারটাও খেয়াল কইরা...
শেষটা বুঝলাম না, আপনারি নামবার মানে? আপনি আপনার মোবাইলে থাকলে আপনার কোন নামবার? বাসার?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
পোস্টের সর্বশেষ বাক্য 'ওটা তো আমারই নম্বর' এর বদলে পড়তে হবে-
'ওটা কি আমারই নম্বর !'
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কাহানি মে টুইষ্ট !!!
LHC থাইকা কয়েকটা বেয়াড়া প্রোটন কণা আইন্যা কাহানিতে ছাইড়া দেওয়া হইছে।
তারপর, দেখি চোরায় কী করে ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মোবাইল টোবাইল ইউজ করা ভালো না
খালি কাহিনী তৈরি করে...
রোজা রাইখা মাথা ঝিম ধইরা গেল কিনা বুঝলামনা, আইজকাতো কোন লেখা পইড়াই কিছু বুঝতে পারতেছিনা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হুমম
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
মজাই লাগতেছিল। কিন্তু শেষে এসে মাথা চুলকানো ছাড়া কিছু করার ছিল না।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
পড়তে পড়তে ভাবতেছিলাম একটা মজার অভিজ্ঞতা লেখবো। কিন্তু শেষকালে ঠেকে গেলাম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- আমিও এরম ঘটনার শিকারে পড়ছি কয়েকবার। মন মেজাজ ভালো থাকলে কইয়া দেই এইটা রমনা থানা, আরো কিছু জানা বাকী আছে? তবে আপনের শেষের লাইন পইড়া টাশকি খায়া গেলাম। আপনে সৌদি আরব থাইকা নিজেরে দেশের মোবাইলে নিজে ক্যামনে ফুনান, এইটাই মাথায় খেলতাছে না অহনতরী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঠিক বুঝলাম না!
এরকম কল অবশ্য আমারও মাঝে মাঝেই আসে। রং নাম্বার বলে কেটে দেই। ঝামেলা শেষ। কথা বাড়ালেই তো এত ঝামেলা, তাই না বাড়ালেই হয়!
______________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
নতুন মন্তব্য করুন