(০৫)
সহকর্মীকে সাথে নিয়ে অফিসের কাজে ফিল্ডে যাচ্ছি। ভরসা একমাত্র সচল মাধ্যম জন্মগত উত্তরাধিকার পা দুটো। সকালের মিষ্টি আলোয় দুজন হাঁটছি। প্রকৃতির কী বিচিত্র সৌন্দর্য ! এমন অকৃপণ আশির্বাদ আর কোন দেশে আছে কি ? প্রকৃতির স্নেহ-আঁচলের তলায় না এলে তা কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না। মাটির পায়ে-চলা পথ, একটা থেকে আরেকটা সৃষ্টি হয়ে অন্যদিকে চলে গেছে, কোথাও আবার আরেকটার সাথে মিশে নতুন নিশানা তৈরি করে বেঁকে গেছে আরেক দিকে। ঘন বিস্তৃত বাঁশঝাড়ের তলা দিয়ে এঁকেবেঁকে এগিয়ে বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে ঢুকে গেছে নাম না জানা কতো গাছগাছালির সবুজের ভেতর। প্রকৃতির অকৃত্রিম সন্তান হরেক প্রজাতির পাখ-পাখালের কিচিরমিচির কলকাকলি মেখে মেখে খালের পাড়ে পাড়ে হাঁটছি। কিছুদূর গিয়ে বড় তালগাছের গুঁড়ি খালের এপাড় ওপাড় যুক্ত করে রেখেছে। ওপাশে বিস্তৃত ফসলি জমি। ধান পাট শাক সব্জি কত কী ! জমির আলে আলে হাঁটাপথ। ঝিরঝিরে বাতাস শুধু কি শরীর বুলিয়ে যাচ্ছে ? মনটাকেও শীতল ছোঁয়ায় ভরিয়ে দিচ্ছে। কোথাও পথ নেমে গেছে। আলুথালু ভাঙা। আবার বাড়িঘরের পাশ দিয়ে লাউয়ের মাচা , পুঁইএর মাচা, মরিচ খেতে ছিটিয়ে থাকা লাল লাল আগুনের ফুলকি পেরিয়ে সারি সারি তাল নারিকেলের গাছ ফেলে এগুতে থাকি। এতো ভালো লাগায় আচ্ছন্ন যে, মরে যেতে ইচ্ছে করে ! কাছে দূরে কোথাও থেকে কুলকুল জলপতনের শব্দটা ধীরে ধীরে বাড়ছে। সহকর্মী বুঝালো, জোয়ার শুরু হয়েছে তাই পানি বাড়ছে। শুকনো খাল নালাগুলোতে এরই শব্দ। পূর্ণ জোয়ারের আগেই ফিরতে হবে। নইলে সমস্যা। প্রশস্ত বিশখালী নদীটির দিকে তাকিয়ে আনমনা হয়ে গেলাম। চারদিকের এতো ঘন সবুজের বুক কেটে কেটে এতো চওড়া তীব্রস্রোতা নদী দেশের পূর্বাঞ্চল বা উত্তরাঞ্চলে কি আছে কোথাও ! নদীটির দিকে চেয়ে থাকতেই ইচ্ছে করে। বুকের ভেতরে কোথায় যেন আরেকটা উন্মনা নদীর কুলকুল আওয়াজ পাচ্ছি। ওটাতেও কি পাড় ভাঙে ? প্রিয়তম মুখটা কি ওই পাড়ে বসে আছে ? এই জীবন না কি কোনো মানুষীর জন্য বুকটা হু হু করতে লাগলো !
মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রাণীর বুক কি এমন হু হু করে ? হয়তো করে, হয়তো করে না। প্রকৃতির বিচিত্র অভিঘাতে উঠে আসা চাপা কষ্টটা বুকে নিয়ে পথ হাঁটছি। ধানী জমির পাশে একটা লম্বা দণ্ডের মাথায় আধহাতের চেয়ে বড় ব্যাসের রিং-এ নেটের ঝোলা আটকানো বিশেষ ধরনের সরল একটা যন্ত্র। দেখতে বড়সড় হাতার মতো। এটি হাতে নিয়ে বিপর্যস্ত দৃষ্টিতে বসে থাকা লোকটিকে দেখে মায়া হলো। ওগুলো কী ! ধান গাছগুলো পুষ্ট হয়ে উঠেছে সবে। তখনো থোড় আসে নি। কিন্তু গাঢ় সবুজ পাতাগুলোর মাঝে মাঝে অনেকগুলো কালো কালো স্পট ও ক্ষতচিহ্ণ দেখা যাচ্ছে। অনভ্যস্ত চোখে অন্তত এটুকু বুঝতে পারছি যে কোথাও একটা সমস্যা। আমার সহকর্মী বললো, পোকা, পামরি পোকা। দাঁড়িয়ে গেলাম।
শহুরে জীব হিসেবে বড় হতে হতে পিতৃসূত্রে কোথায় কতটুকু সামান্য জমিজমা রয়েছে তাও জানি না। জীবনে কখনো নিজেদের জমির আলেও হাঁটি নি। তাই পোকার উপদ্রব শুনে থাকলেও ভালো করে দেখার সুযোগ হয় নি কখনো। সহকর্মীটি বলে যাচ্ছে, এখানকার মাটিতে একে তো লবণাক্ততা, তার উপরে এক ফসলি জমিগুলোতে আমন ফসল উঠে যাবার পর জমি ফেলে না রেখে খামার করে দু’বছর যাবৎ ইরি চাষের প্রক্রিয়া চলছে। দেখা গেছে, পোকার আক্রমণ অন্য যে কোনো অঞ্চলের চেয়ে এখানে অনেক বেশি। ফলে কীটনাশকের অতিব্যবহারের কারণে ন্যাচারাল ইকো সিস্টেমে ইতোমধ্যে যে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সে আলোকে এবার কীটনাশক ব্যবহার নগন্য পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু পরিবেশের ক্ষতিকারক নয় এমন পদ্ধতি আইপিএম বা সমন্বিত বালাই দমন কর্মসূচি এই তীব্রতায় আদৌ কি তা রুখতে পারবে ?
তার কথায় আমি যে কী ভাবলাম, আর আমার ভাবনাকে আমার সহকর্মীটিই বা কী বুঝলো সেই জানে। হঠাৎ করে পা থেকে স্যাণ্ডেল খুলে প্যাণ্ট ভাঁজ করে গুটিয়ে হাঁটুতক উঠিয়ে সোজা ওই জমির কাদায় নেমে গেলো। আকস্মিক এ ঘটনায় আমি বিব্রত ! এক জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে সে তার ছাতাটাকে মেলে চিৎ করে ধরলো। নাগালের মধ্যে ধানগাছের যে ক’টা গোছা পড়লো ওগুলোর গায়ে খোলা ছাতার কিনার দিয়ে বাড়ি মেরে ঘষটে ঘষটে কী যেন করলো। এবং কয়েক মুহূর্ত পরেই উঠে এলো। যে মুহূর্তে আমি তার মাথার সুস্থতা নিয়ে অতিশয় চিন্তিত হয়ে উঠছি, ঠিক তখনই সে কড়াইয়ের মতো চিৎ করা ছাতার ভেতরের দিকে ইঙ্গিতে কিছু দেখাতে চাইলো। মটরদানার সাইজের কালো রঙের শত শত অজস্র পোকা কিলবিল করছে। এগুলোই পামরি পোকা ? ধানের ভয়ঙ্কর বালাই ! মাত্র কয়েকটা গোছা থেকে এতগুলো পোকার দঙ্গল একসাথে স্তুপিকৃত অবস্থায় দেখে আমি হতবাক।
(০৬)
মূলত পরিবহন সুবিধাকে কেন্দ্র করেই স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রিত হয় বলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাজার হাট জমে ওঠার তরিকাও ভিন্ন ভিন্ন। কোথাও দিনব্যাপি, কোথাও খুব ভোরে হাট বসে রোদ তেতে ওঠার আগেই হাট ভেঙে যায়। কোথাও বা বিকেলে বসে সন্ধ্যায় শেষ। কোথাও আবার সন্ধ্যার পর হাট শুরু হয়ে তা গভীর রাত অব্দি সরগরম থাকে। আর এখানকার বাজার হাটগুলো জোয়ারের সময় জমে ওঠে এবং ভাটার টানে ভেঙে যায়। নদীর দ্বিমুখী স্রোতের কারিশমায় জোয়ারের ভরা স্রোতে যে সব বোঝাই নৌকা হাটে এসে মালামাল উগরে দিয়ে বসে থাকে, বেচাবিক্রির পর ওগুলোই আবার অবশিষ্ট মালামাল নিয়ে ভাটার নেমে যাওয়া ওল্টোস্রোতে ফিরে যায়। এই জোয়ারভাটা নিয়ন্ত্রিত জীবন ও জীবীকা স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য অত্যন্ত স্বাভাবিক হলেও বহিরাগত আমার অনভ্যস্ততার জন্যই তা বিব্রতকর বৈ কি।
কাজ সেরে ফেরার পথে মনে হলো পথটা কি বদলে গেছে ? পথ বদলায়নি, তবে রাস্তা বদল করা হয়েছে। যে কোণাকোণি পথ ধরে এসেছিলাম, জোয়ারের কারণে সে পথে ফিরে যাওয়ার উপায় নেই আর। আমার চে’ও সহকর্মীর তাড়া বেশি দেখছি। দুকদম গিয়েই একটা করে সাঁকো। কখনো বাঁশের, কখনো সুপারির, কখনো খেজুরের, কখনো তালের গুঁড়ি। কোনটাতে পথিকের সুবিধার্থে রেলিংয়ের মতো করে ধরার ব্যবস্থা, কোথাও নিরম্বু, দুলতে দুলতে টলতে টলতে কোনোভাবে পেরুনো গেলো এরকম। এবং যে শুকনো কটকটে রাস্তার ভাঙাটা হেঁটেই পার হয়েছি আগে, ওখানে এখন পানির গভীর স্রোত। প্যাণ্ট ভাঁজ করে উঠাতে উঠাতে শেষ পর্যন্ত কোমড়জলে সয়লাব। আশেপাশে শুকনো ময়ানগুলো জলে টইটম্বুর। মাছ ধরার কতো রকমের সরঞ্জাম হাতে নিয়ে লোকগুলো মাছ শিকার করছে। এগুলো কাটিয়ে কোথাও পা ভিজিয়ে কোথাও গা ভিজিয়ে অফিসে এসে পৌঁছলাম যখন, দড়দড় করে ঘামছি।
কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিয়ে ভাঁজ করা ভেজা প্যাণ্টের দিকে চোখ পড়তেই দেখি রক্ত ! পায়ের কয়েক জায়গা থেকে আলতো রক্তের ধারা। ব্যাপার কী ! দেখি রক্ত খেয়ে ঢোল হয়ে ওঠা জোঁকটা বহির্মুখী গজেন্দ্র চালে শরীরটাকে সোজা-বটা করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে।
[চলবে...]
মন্তব্য
বর্ণনার চমৎকারীত্বে আমি মুগ্ধ!
তবে বলে রাখি, আগের দুটো এখনও পড়িনাই।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
দ্বিতীয়টাতে আপনার জিহ্বার জন্য তৃপ্তিদায়ক অনুষঙ্গ দেয়া ছিলো। সময় হলে ওটা পড়ে নিতে পারেন। আর প্রথমটাতে কী ছিলো তা তো আমারই মনে নেই !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হুম ........................ বর্ণনা পড়ে মনে হল ঠিক যেন আমার গ্রামের বাড়ির কথা বলছেন । আমাদের বাড়িতে যেতে হলেও জোয়ার ভাটার হিসেব করতে হয়, বাইরে থেকে আসলে আসলেই সমস্যার ব্যাপার মনে হয় ।
নিবিড়
আসলে জোয়ার ভাটায় দোলানো সবগুলো অঞ্চলই মনে হয় এমন ব্যতিক্রমী প্রাকৃতিক প্রাচুর্যে ভরপুর। দেখলে সত্যিই প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
শ্যামল প্রকৃতি যাকে যেভাবে গড়ে তুলে সে সেভাবেই অভ্যস্ত হয়ে উঠে বলেই তার কাছে এই প্রকৃতির ভিন্নতাটাই ব্যতিক্রমী মনে হয়। গভীর তৃপ্তির সাথে সাথে অনভ্যস্ততার বিড়ম্বনাও বরণ করতে হয বৈ কি। আর এ ভিন্নতার জন্যই হয়তো পৃথিবীটা এমন সুন্দর এবং আমাদের দুখিনী দেশটা মুগ্ধকর !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনার লেখার বর্ননা পড়ে আমি মুগ্ধ; আগেরগুলোও পড়ে নিয়েছি - সাদামাটা ভাষায় বললে বলা যায় "চুম্বকীয়"! এ পর্বের শুরুতে প্রকৃতির যে বর্ণনা দিয়েছেন, সেটা এ অধম যেন মানসচক্ষে দর্শন করেছে! এ আপনার কৃতিত্ব। ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
ভাঙ্গা ভাই, প্রশংসায় পাথরও নাকি গলে যায়। আর আমি তো সম্ভাব্য রক্ত-মাংসে গড়া তুলতুলে অধম এক মনুষ্যবাচক জীব। উদার প্রশংসায় এতোটা নির্দয় হলে আমার জন্মসূত্রে পাওয়া আকৃতিটাই পাল্টে যাবে যে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এই অনাহারের দেশে জোঁককে খাদ্যতালিকায় ঢোকানো আপনার পক্ষেই সম্ভব
নিশ্চয়তা দিচ্ছি পরেরবারেরর বিশ্ব খাদ্য পুরস্কারটা আপনারই
আপনারা সঙ্গে থাকলে সামান্য খাদ্যের জন্য অন্যের মুখাপেক্ষী হতে যাবো কেন আমরা !
বরং রপ্তানী করবো !
কদিন পর এই ভাতের দেশে ভাতটাই অপরিচিত হয়ে যাবে হয়তো। খাদ্যতালিকা না বাড়িয়ে উপায় কী ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অজান্তে খাদ্য তালিকায় আরো কতো কিছু যে ঢুকে গেছে, তা কি আর নিজে জানি !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হা হা হা।
ঠিক ।
আপনার লেখা পড়লে প্রকৃতি দেখা হয়ে যায়। কথায় বলে যে দেখে সে লেখে। আর আপনার লেখা যে পড়ে সে দেখে। আপনি ছাড়া আমাদের বেশির ভাগ মানুষের জন্য যে কথাগুলো প্রযোজ্য তা হলো--
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপর
একটি শিশির বিন্দু।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
ভাইজান, এইভাবে লজ্জা দিতেছেন কেন্ ?
ভাঙা মানুষের মন্তব্যে যা বলেছিলাম, তাই রিপ্লে করছি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রনদা, আপনার বর্ননা পড়ে আপনাকে হিংসে হলো, লেখার জন্য না। এই সব সুযোগ আমাদের দেশে শুধু ছেলে হয়ে জন্মালেই পাওয়া যায় সে জন্য। বনমালী আমি পরজনমে যেনো ছেলে হয়ে জন্মাই
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপা, আপনার ইভস টার্ণ-এর কী হবে তখন ? আপেল নাশপাতির শ্রাদ্ধ কি বন্ধ হয়ে যাবে তাহলে ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আলপথে পথে আমিও ছিলাম :
কোথাও পথ নেমে গেছে। আলুথালু ভাঙা। আবার বাড়িঘরের পাশ দিয়ে লাউয়ের মাচা, পুঁইএর মাচা, মরিচ খেতে ছিটিয়ে থাকা লাল লাল আগুনের ফুলকি পেরিয়ে সারি সারি তাল নারিকেলের গাছ ফেলে এগুতে থাকি।
*******************************
'ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত'
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়
*******************************
'ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত'
-সুভাষ মুখোপাধ্যায়
আপনার নিক নেম আর নিক ইমেজ ঠিকই বলে দিচ্ছে আপনিও ছিলেন অবশ্যই !
সঙ্গ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নতুন মন্তব্য করুন