পা বাড়ালেই অথৈ পানি...(০৪)

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: সোম, ০৬/১০/২০০৮ - ১১:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[পর্ব-০১][পর্ব-০২][পর্ব-০৩] এর পর...

(০৭)
পাড় থেকে নদীর ঢাল ধরে প্রায় পঁচিশ ত্রিশ হাত নেমেই তবে ফেরি নৌকাটা। গোদারা নৌকাও বলে। সদ্য পড়া পলির থকথকে কাদা মাড়িয়ে অবশ্য যেতে হয় না। পাড় থেকে কিছুটা নেমে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে নৌকায় গিয়ে উঠতে হয়। সমস্যা হয় পানি আরেকটু নেমে গেলে। তখন ঠিকই কাদা মাড়াও। দুহাত ফেরিনৌকার পুরু ধারটাতে স্থাপন করে শরীরের গোটা ওজনটাকে ফেরিতে সঁপে দিয়ে সার্কাসের ক্লাউনের মতো পা দুটোকে নদীর পানিতে নেড়েচেড়ে কাদামুক্ত করে অতঃপর একে একে নৌকায় উঠা। দুঘণ্টা আগেও অঢেল পানি এরই মধ্যে এতোটা নীচে নেমে গেছে ! হয়তো আরো দু’তিন ঘণ্টা পর ফের উল্টো দৃশ্য দেখা যাবে। ফেরিঘাট থেকে কিছুটা দূরে বসে আমরা আরো অনেককিছুর মতো এসবও দেখছি। আর অপেক্ষা করছি ওপারের পণ্টুনে দিনের শেষ লঞ্চটা কখন এসে ভিড়বে। ওটাতে করে গুটিকয় যে দৈনিক পত্রিকাগুলো এসে পৌঁছবে, আমাদের জন্য সদ্য কড়কড়ে হলেও আদতে তা গতদিনের। কোন আপদবিপদ না ঘটলে দিনের পত্রিকা আমরা পরদিন সন্ধ্যের মধ্যেই হাতে পেয়ে যাই। ততক্ষণে পৃথিবী আরো দেড়দিন এগিয়ে গেলেও আমাদের এখানকার পৃথিবীটা খুবই ছোট এবং বড় বেশি নিস্তরঙ্গ।

অফিস শেষে আমাদের একমাত্র গন্তব্য এবং বিনোদন বলতেও দু’মিনিটের হাঁটার দূরত্বে এই নদীর পাড়টাই। কতো বিচিত্র মানুষের আসা-যাওয়া দেখা, সদ্য ধরে আনা বরফহীন রূপালি ইলিশের চকচকে ঔজ্জ্বল্যও একঘেয়ে চোখে ম্লান হতে শুরু করেছে। আমার অবস্থান দু’সপ্তাহও পূর্ণ হয় নি, এরই মধ্যে হাফিয়ে ওঠছি। পানির দরে বিক্রিত দুধের পাত্রে দুধে পানি মেশানো হয়েছে, না কি পানিতে দুধ মেশানো হয়েছে তা জানার কৌতূহল বা বিশ টাকায় বিরাট একটা কলার ছড়ি কেনার আগ্রহেও রীতিমতো ভাটা পড়েছে। চাকুরিতে ঢোকার বয়সসীমা তখনকার নিয়মে সাতাশ পেরিয়ে গেছে। আরো কিছুদিন পর বিসিএস প্রিলিমিনারী টেস্টের ইণ্টার্ভ্যু কার্ডটা বাড়ির ঠিকানা ছুঁয়ে রিডাইরেক্ট হয়ে আমার হাতে পৌঁছবে যখন, ততদিনে পরীক্ষা গত। আমার অবস্থা তখন দিবানিশি কান্দিরে নদীর কূলে বইয়া।

এই নদীর পাড়ে বসেই জোয়ার ভাটায় উথলে উঠা যৌবনের আসা আর যাওয়া ছাড়াও এ নদীর আরো কতো যে রূপ দেখা হয় ! হাটবারে সে আরেক দৃশ্য। দূর থেকে আমুয়ার দিকে ছুটে আসা লঞ্চগুলোকে তখন গতি কমিয়ে সাইরেণ বাজাতে বাজাতে সাবধানে ঢুকতে হয় ভেতরে। নদীর মোড়, যেখানে প্রায় আধা কিলো প্রশস্ত হয়ে নদীটা ঘুরে গেছে, নৌকা আর নৌকা। বিশেষ করে ধান উঠার মৌসুমে বাজারের যে দিকটাতে ধান বেচা-কেনার হাট জমে উঠে, পুরোটাই নদীর উপরে। সকালে টুথব্রাশ মুখে নিয়ে স্নান করতে নদীর চঞ্চল পাড়টাতে এলেই দেখা যায় দূরে গোটা নদীটাই ব্লক হয়ে আছে নৌকা আর নৌকায়। জোয়ার বা ভাটার জোরালো স্রোতের মধ্যেও শত শত নৌকা স্থির, দণ্ডায়মান। সবগুলোকে পাড় ছুঁয়ে দাঁড়ানোর মতো জায়গা দিতে নদীর সুদীর্ঘ চলমান পাড়ের ঘাটতি বা কার্পণ্য থাকার কথা নয়। কিন্তু বাজারের পরিসরের সীমাবদ্ধতা শেষ পর্যন্ত নদীকেই বইতে হয়। একটার পেছনে আরেকটা, তার পেছনে আরেকটা, তার পেছনে আরো, এভাবে ডানে বামে সামনে পেছনে একের পর এক হরেক পদের নৌকার সাথে নৌকার যে পারস্পরিক গুচ্ছ বন্ধনের বিশাল আয়োজন গড়ে উঠে, নদীর উপর তৈরি হয়ে যাওয়া এই বিস্তৃত ভাসমান ধানবোঝাই স্বয়ংক্রিয় পাটাতনে ঘুরে ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের এক তুমুল শোরগোল অনেক দূর থেকেও কানে আসে। দক্ষিণাঞ্চল ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোন অঞ্চলে এমন দৃশ্য কি কল্পনা করা চলে ?

এর মাঝেও খুব সাধারণ কিছু ঘটনাই কেন জানি অসাধারণ হয়ে দেখা দিতে থাকে আমার কাছে। অনিবার্যভাবেই বসে আছি নদীর পাড়ে। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনের শেষ লঞ্চটা এসে ভিড়েছে পণ্টুনে। এখান থেকে উৎসুক দৃষ্টিতে দেখছি, ধরাধরি করে একটা রিক্সা নামানো হলো ঘাটে। তোলা হলো নৌকায়। এবং ভিড়লো এসে এপাড়ে আমাদের কাছাকাছি জায়গা দিয়ে। এমন অদ্ভুত চাকাঅলা যান দেখতে অনেক ছেলে বুড়োই ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। এবং কী আশ্চর্য, উপরে উঠানোর পর সে এক তুলকালাম ব্যাপার ! ছেলে বুড়ো সিকি আধলি যে যেমন পারছে উঠে বসছে রিক্সাটাতে। কেউ সীটে, কেউ পাটাতনে, কেউ পাদানিতে, কেউ মাটঘাটে, কেউ স্টিয়ারিয়ে, কেউ পেছনে ঝুলে, কেউ চালকের আসনে, কেউ চাকায়, কম করে হলেও গোটা কুড়ি তো হবেই। আহা, বুকের ভেতরটায় কেমন করে ওঠলো আমার ! এদের পৃথিবীটা কতো সীমিত হয়ে আছে। এই ছোট্ট সীমানা ছেড়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলোর কথা বাদই দিলাম, অনেক বয়ষ্কাদেরও সৌভাগ্য হয় নি শহর নামক কোন লোকালয়ের চেহারাও একপাক দেখে আসার। তাদের কাছে এখানে ব্যবহার অনুপযোগী এই অদ্ভুত চাকাঅলা যানটাও বিস্ময়ের বস্তু বৈ কি। অথচ এই যানটা যে তাদের মতো সম্বলহীন অবস্থার মানুষদেরই জীবীকানির্ভর মহার্ঘ নাগরিক সম্পদ, এটাও কি এরা জানে ? রাষ্ট্রের ভৌত অবকাঠামো তথা সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার দুঃখজনক ঘাটতি একটা জনগোষ্ঠীকে কতোটা বঞ্চিত রেখে দেয় তা ভাবতে ভাবতে মনটা সত্যি বিষণ্ন হয়ে ওঠে।

আমাদেরই এক সহকর্মী কী মনে করে পাশের শাখা থেকে তার ফনিক্স সাইকেলটা নিয়ে আসছেন। হয়তো লঞ্চে বাড়ি পাঠাবেন। আসার পথে তিনি কি সাইকেলে চড়েছেন না কি সাইকেল তাকে চড়েছে এটা গুরুতর গবেষণার বিষয় হলেও এ অঞ্চলের হালচাষের অনিবার্য প্রাণীমাধ্যম মহিষগুলো যে নাগরিক প্রাণীদের মতো এতোটা শিক্ষিত হয়ে ওঠতে পারে নি, তা সম্ভবত ওই সহকর্মী ভুলেও ভাবেন নি। অথবা এটাও যে ভাবার মতো একটা বিষয় হতে পারে তাও তার মাথায় আসেনি। কারো মাথায়ই হয়তো আসার কথা না। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। কাদায় জলে সাইকেলে মানুষে একাকার হয়ে এক অদ্ভুত মূর্তিমান রূপ ধরে তিনি অফিসে এসে পা দিতেই তাকে দেখে আমরা হাসবো না কাঁদবো তাই ভুলে গেলাম। কী ব্যাপার ! রাস্তায় চড়ে বেড়ানো মূর্খ মহিষগুলো তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার বাইরে এমন আচানক চলমান বস্তুকে তাদের দিকে ধেয়ে আসতে দেখে নিজেদের চিন্তাজগতে কী আলোড়ন তুললো কে জানে। আত্মরক্ষার তাগিদে না কি আক্রমণের বেয়ারা স্বভাবে এরা এমন পাগলা হয়ে ওঠলো যে, আমাদের সহকর্মী কি চতুর্মুখী তাড়া খেয়ে না কি আচমকা বোধশূন্য হয়ে নিজেই খালের দিকে তেড়ে গেলেন তা বোঝানোর মতো অবস্থা তখন তার নেই। নিষ্পাপ প্রাণী মহিষকে আর দোষ দিয়ে কী লাভ। মানুষই তো কতো জায়গায় কতো ভাবে কতো অভূতপূর্ব ঘটনার অঘটনঘটনপটিয়সী হয়ে ওঠে !

[চলবে...]


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম.........শুধু ডিজুস ভাষায় বলি জটিল বর্ণনা । আমার বাড়িও দক্ষিনে হওয়ায় দৃশ্য গুলো যেন আরো জীবন্ত হয়ে চোখের সামনে ফুটে উঠছিল । নতুন পর্বের আশায় রইলাম ।
নিবিড়

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ নিবিড়। আপনার বাড়ি দক্ষিণে হওয়ায় আপনিই হয়তো ভালো বুঝবেন যে একজন আউটসাইডার হিসেবে ওখানকার জীবনধারাটাকে ঠিক ঠিক তুলে ধরতে পারছি কিনা। হয়তো এখানে আমার দৃষ্টিভঙ্গিটাই প্রতিফলিত হবে। কিন্তু দেখাটা আঁকতে পারছি কিনা, তা নির্দ্বিধায় জানাবেন। এতে আমার উপকার হবে। বিষয়ের সততা নিশ্চিৎ করতে পারবো।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পুতুল এর ছবি

লেখা চমৎকার হইছে। আগের আর পরের পর্ব গুলোও পড়তে হবে।

১ম পর্ব পড়ে ২য় পর্বে এসে জোকের বর্ণনায় লোম খাড়া হয়ে গেছে। বাপরে বাপ কী জীবন্ত!
চলুক।

কাজা আদায় হলো, সব গুলো পর্ব পড়লাম। খুব খুব ভাল হচ্ছে।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ পুতুল। এগুলো শুধু জীবন্তই নয়, ঘটে যাওয়া বাস্তবতা। স্মৃতি সংরক্ষণ করছি অনলাইন মেমোরিতে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

উদার প্রশংসা করলাম না, যদি আবার জন্মসূত্রে পাওয়া আকৃতিটা পাল্টে যায় (আপনি যেমন বলেছেন)... সাইকেলের ঘটনায় মজা পেয়েছি।

আচ্ছা, এই কাহিনী কি আপনি এখন নতুন করে লিখছেন, নাকি আগেই রাফ করা ছিলো?

রণদীপম বসু এর ছবি

একেবারেই নতুন করে লিখা, ভাই। কোন রাফ টাফ কোনকালেই রাখি না আমি। কবিতায় হয়তো তা থেকে যায় কখনো কখনো। কিন্তু গদ্য আমার তাৎক্ষণিক ভূমিষ্ঠ কথা। তবে স্মৃতির উপর এতোটা নির্ভর হওয়া ঠিক নয়। আরো বহু স্মৃতি হয়তো বাদ পড়ে গেছে, সঠিক আকৃতি তুলে আনতে পারছি না বলে। অথবা বেশি গুরুত্ব দেয়া হয় নি বলে।
শুধু যতটুকুর ক্ষেত্রে সততা লঙ্ঘিত হচ্ছে না বলে মনে হচ্ছে, ততটুকুই উপস্থাপন করছি। স্মৃতিচারণ তো আর ফিকশন হতে পারে না।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রণদীপম বসু এর ছবি

হাঁ নজরুল ভাই, স্মৃতিরা যতটুকু পারমিট করবে ততটুকুই চলবে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এই পর্বে দুরভিসন্দিমূলকভাবে জোঁককে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার তীব্র পেরতিবাদ...

০২

স্যার এই লেখার নামটা আইনের বইয়ের মতো ধারা উপধারা এবং ব্রাকেটে বিভক্ত দেখতে ভালো লাগছে না

০৩

আমার অনেকগুলো অপকর্মের মধ্যে একটা হলো মনে মনে অন্যদের লেখার সম্ভাব্য নাম খোঁজা

আপনার লেখার নাম খুঁজলাম প্রচুর
একটাও ভালো লাগে না

০৪

এই লেখাটা একটা নাম দাবি করে সেই রকম

রণদীপম বসু এর ছবি

৩ নং মন্তব্যের শেষ বুড়ো আঙুল দেখানো অংশটুকু ছাড়া বাকী সবগুলো মন্তব্য লীলেনীয় অনুপ্রেরণামূলক। দয়া করে বুড়ো আঙুল দেখান, তবে আঙুলটা উপরে তুলে। আর তাতে যেন একটা জুতসই নাম ঝুলানো থাকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তীরন্দাজ এর ছবি

বাপস্! কী জ্যান্ত আপনার বর্ণনাভঙ্গী। সুন্দর!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

রণদীপম বসু এর ছবি

জাহাজী ভাই, এইডা কী বলছেন ! আপনি ভাবছেন বুঝি আমার লজ্জা-শরম নাই !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রণদীপম বসু এর ছবি

মাহবুব লীলেনের যৌক্তিক মন্তব্যটাতে অনুপ্রাণিত হয়ে আপাতত শিরোনামের অযথা বাহুল্যটুকু ঝেঁড়ে ফেললাম।
তবে লীলেন ভাইর কাছে জুতসই নামকরণের আর্জিটা ঝুলিয়ে রাখলাম। কেননা এই লোককে এতো সহজে ছেড়ে দিলে জগতে কলঙ্ক রয়ে যাবে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তানবীরা এর ছবি

আবারো আর একটা দীর্ঘশ্বাস।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রণদীপম বসু এর ছবি

দীর্ঘনিঃশ্বাস না কি দীর্ঘপ্রশ্বাস সেইটা তো বললেন না আপা ? ছাড়লেন, না নিলেন ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

সচলায়তনে বেশ কয়েকজনের লেখা পড়ে ভাবি, আহা আমার কলমে যদি এরকম শক্তি থাকতো,
আপনি যে তাদেরই একজন।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

রণদীপম বসু এর ছবি

দাদাবাবু, মন্তব্য করে বাকরুদ্ধ করে দেয়াটা কি ঠিক ? কলমে শক্তি থাকলে কি আর আপনার মন্তব্যে বাকরুদ্ধ হয়ে যাই আমি ?

আপনার প্রতিবেশী সিরিজটা কিন্তু আমার মনেও দাগ কেটে আছে। শেষ পর্বে যদিও কিছুটা ফাঁকিবাজী করে আমাদেরকে ঠকিয়েছেন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।