এইতো কিছুদিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বশেষ ছাত্রী নিপীড়ন ইস্যুতে মিডিয়ার মাধ্যমে যে তোলপাড়ের খবর আমরা পেয়েছি, সেই উপস্থাপিত খবরগুলোর বস্তুনিষ্ঠতা নিয়েই এবার প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। এক্ষেত্রে ক্যাম্পাসে আন্দোলনের সময়ে যা ঘটেছে অনেক পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঘটনার বিপরীত চিত্রটি সচেতনভাবে আড়াল করে একটি খণ্ডিত অংশ দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করেছে বলে সরাসরি অভিযুক্ত করে মিডিয়াকে অনেকটা চ্যালেঞ্জই করা হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর ২০০৮ দৈনিক জনকণ্ঠের উপসম্পাদকীয়তে ‘জাবিতে নিপীড়ন ইস্যু- মিডিয়া কি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে ?’ শিরোনামে সুস্পষ্টভাবে মিডিয়ার দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকাকে অভিযুক্ত করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন- ‘তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থেকে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলব, তথ্যনির্ভর বক্তব্য প্রকাশ না করে মিডিয়া স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করেছে। ক্যাম্পাস সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছে। নেতিবাচক রিপোর্ট তৈরি করাই কি এখন মিডিয়ার আদর্শ ?’
অথচ মিডিয়ার ভূমিকা কী হওয়া উচিৎ ছিলো ? মিডিয়ার কর্মপ্রক্রিয়ায় যে একজন ইতিহাসবিদের কর্মপ্রক্রিয়ার মতোই দার্শনিক মিল থাকা উচিৎ, উভয়েই তথ্য ও সত্য অনুসন্ধানী, তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি প্রশ্ন রাখেন- ‘মিডিয়া কি যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে পারছে ? রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে নিরপেক্ষভাবে তথ্য প্রকাশ করতে পারছে ? ভাবাবেগে আশ্রিত হয়ে বা প্রভাবিত হয়ে সত্যকে পাশ কাটিয়ে, কারও পক্ষে গিয়ে অথবা কারো বিপক্ষে থেকে কি রিপোর্ট প্রকাশ করছে না ? সত্যানুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশের দৃঢ়তা দেখাতে পারছে ক’টি তথ্য মাধ্যম ? মিডিয়ার দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ কি বিবেচনা করেন তাঁদের পরিবেশিত খবর সত্যাশ্রয়ী না হলে বিভ্রান্ত হবে লাখ লাখ মানুষ ? প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক অসন্তোষ দানা বাঁধতে পারে ভয়ঙ্করভাবে ?’
ছাত্রী নিপীড়ন ইস্যুতে সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত একটি তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে এসব ঘটনার ভেতর বাহির সম্পর্কে অনেক কিছুরই ইঙ্গিত করেছেন তিনি, যার পেছনে অনেক অজানা রহস্য লুকিয়ে আছে। মিডিয়ার অনুসন্ধানী টীম এসবের কোন খোঁজ না করে তদন্ত চলাকালেই কোন কোন মিডিয়া হেডিং, বিশ্লেষণ, শব্দ প্রয়োগে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ফেলা বা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একই সুরে রিপোর্ট প্রকাশ করায় সত্যানুসন্ধানী সাংবাদিকতার নীতিমালার সঙ্গে ঠিক মেলে না বলে অভিযোগ উত্থাপন করে তিনি বলেন-
‘একটু খোঁজ নিলেই মিডিয়া জানতে পারতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের অভিযোগের প্রতি সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীলতার পরিচয় দিয়েছে তদন্ত প্রক্রিয়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের অভিযোগ আমলে আনলে সিন্ডিকেট সত্যাসত্য নিরূপণ কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে সত্যতার আভাস পেলে বিষয়টি পরবর্তী প্রক্রিয়ায় যায়। নয়তো পুরো বিষয়টি খারিজ হয়ে যায় সেখানেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বজনশ্রদ্ধেয় অধ্যাপকের নেতৃত্বে এবং শিক্ষক রাজনীতিবিযুক্ত দু’জন অধ্যাপিকার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দীর্ঘ কর্মঘণ্টা তদন্ত করে অভিযোগকারী, অভিযুক্ত ও অন্য অনেকের সাক্ষাতকার অডিও ক্যাসেটে রেকর্ড করে প্রায় নব্বই পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তৈরি করে। অভিযোগের সত্যতা খুঁজে না পাওয়ায় সেখানেই সব খারিজ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ‘কিছু না ঘটলে কেন ছাত্রীরা অভিযোগ করবে’- এই মানবিক বিষয়টি মাথায় রেখে কমিটি অনুরোধ রাখে আরও একটি সত্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে যাতে আরেকবার যাচাই করা হয়। এই সূত্রেই প্রথাবিরুদ্ধ হলেও অধিকতর সত্যাসত্য নিরূপণ কমিটি বলে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সদস্য ছিলাম আমি। আমরা পূর্বের কমিটির প্রতিবেদন খুঁটিয়ে দেখে, অডিও ক্যাসেট পরীক্ষা করে কর্মপদ্ধতি তৈরি করি। দীর্ঘ যাচাই বাছাই করে অভিযোগকারী, অভিযুক্ত ও আরো অনেকের সাক্ষাতকার অডিও ক্যাসেটে রেকর্ড করে আনুপূর্বিক বিশ্লেষণ করেও অভিযোগকে প্রতিষ্ঠিত করার কোন সূত্র পেলাম না। আমাদের প্রায় ছাব্বিশ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে সেসব উল্লেখ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এখানেই অভিযোগ খারিজ হয়ে যেতে পারত। তবুও আমরা চেয়েছি আমাদের চোখ ও বিচার এড়িয়ে যদি অভিযোগের পক্ষে কোন সত্য দৃষ্টিগোচর হয়, তাই সিন্ডিকেটের বিধিবদ্ধ কমিটি যাতে আরেকটিবার তদন্ত করে। এমনি হতে হলে আমাদের কমিটির সুপারিশ লাগবে। তাই প্রতিবেদনের বক্তব্যের সঙ্গে মিল না থাকলেও অনেকটা জোর করেই সুপারিশে আমরা এমন একটি লাইন ঢুকিয়ে দিলাম যে, ‘ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তি থাকতে পারে।’ (আমাদের আরোপিত এই মন্তব্যে অভিযুক্ত যদি বলেন, অভিযোগকারী ছাত্রীদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেছি আমাদের তবে তা মাথা পেতে নিতে হবে)। এরপরই তৃতীয় তদন্ত কমিটি তদন্ত করে এবং একইভাবে সত্যতা না পাওয়ায় অভিযোগ থেকে রেহাই পান অভিযুক্ত শিক্ষক।
কিন্তু এত প্রক্রিয়া আর কর্মকান্ডের কিছুই মিডিয়া প্রকাশ করলো না। শুধু আমাদের বিশেষ উদ্দেশ্যে লেখা লাইনটিকে হাইলাইট করে বলা হলো, ‘তদন্ত কমিটি সত্যতা খুঁজে পাওয়ার পরও অভিযুক্তকে রেহাই দেয়া হলো।’ দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে যাঁরা বলছেন, মেয়েরা এমন ধারা অভিযোগ করলে তা গ্রহণ করে অভিযুক্তকে শাস্তি দিতে হবে, তাহলে আর তদন্ত কেন ? সিদ্ধান্ত নিলেই হয় যে, কোন মেয়ে অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি আরোপিত হয়ে যাবে। সত্যাসত্য নিরূপণের কোন প্রয়োজন নেই।
ব্যক্তিগতভাবে আমি এখনও মনে করি যদি বিচারে কোন ফাঁক থাকে তবে তা উন্মোচিত হোক। তার জন্য প্রথম উপায় সংক্ষুব্ধ পক্ষ উচ্চ আদালত বা মাননীয় চ্যান্সেলর মহোদয়ের কাছে বিচার প্রার্থনা করতে পারে। তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণ মতে অভিযোগের যদি কোন সত্যতা না থাকে তবে আমরা স্বাভাবিকভাবে ধারণা করব কোন এক বিশেষ উদ্দেশ্যে এমন একটি নাটক মঞ্চায়ন করা হয়েছে। তাহলে তো বিষয়টি মারাত্মক। গত ২২ অক্টোবর সামপ্রতিককালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির সাধারণসভায় এদিকে দৃষ্টি রেখে গোটা নাট্যতত্ত্ব বিভাগের কর্মকাণ্ডের ওপর তদন্ত করা এবং অন্তরালের কুশীলবদের উন্মোচিত করার দাবি জানানো হয়েছে। আমি মনে করি এ দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গ্রহণ করা উচিত। যেহেতু তদন্ত কমিটি সমূহের দলিল দস্তাবেজ সবই সংরক্ষিত আছে, পত্রিকা বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জায়গা করে নিতে পারেনি অভিযোগের অন্ধকার উৎস হিসেবে এমন সব ভয়ঙ্কর এপিসোডের কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাতাসে কান পাতলেই শোনা যায়। তদন্ত কমিটিসমূহের প্রতিবেদনে এর অনেক আভাসও আছে। তথ্য মাধ্যমেরই উচিত তা উন্মোচন করা। হয়তো কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে যে সাপ বেরুতে পারে তার কথা প্রায় অজানা রয়ে গেছে অনেকের কাছে। মিডিয়া কি তথ্যনিষ্ঠ না হয়ে নিজ কল্পিত ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করতে রিপোর্ট, প্রতিবেদন, সম্পাদকীয় লিখবে আর টকশো প্রচার করবে; না প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর সত্য উন্মোচন করে বর্তমান আর ভবিষ্যতকে কলুষমুক্ত করতে ভূমিকা রাখবে ?’
ইতিপূর্বের মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের পর জনাব শাহনাওয়াজের উত্থাপিত এ বিষয়গুলো পড়ে বা জেনে পাঠক হিসেবে আমরা কি আসলেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি না ! কোনটা সঠিক ? পরস্পর বিরোধী দু’টো বিষয় একই সাথে নিশ্চয়ই সত্য হতে পারে না। কিন্তু এর জবাবে প্রকৃত ঘটনা কী, আমরা জানবো কীভাবে ? জনাব শাহনাওয়াজ যখন উল্লেখ করেন- ‘এর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দু’জন শিক্ষক অভিযুক্ত হয়েছিলেন এবং তখন বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো মিছিলে মিছিলে সয়লাব হয়ে গিয়েছিল ক্যাম্পাস। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষক দু’জন চাকরি হারিয়ে বিদায় নিয়েছিলেন ক্যাম্পাস থেকে। কিন্তু এবার শিক্ষার্থীদের তেমন স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল না। একমাত্র নাট্যতত্ত্ব বিভাগ ছাড়া অন্যত্র ক্লাস-পরীক্ষার ব্যাঘাত হয়নি কোন দিন। আন্দোলনের মধ্য পর্যায়ে আন্দোলন পুনরায় গতিশীল করার জন্য আন্দোলনকারীরা একদিনের ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। সাধারণত এই ক্যাম্পাসে এর চেয়েও দুর্বল ইস্যুতে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিলে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। ক্লাস হবে না জেনেই ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কমে যায় ক্যাম্পাসে। (কিন্তু এবার) ধর্মঘটের কোন লক্ষণ নেই। প্রতিদিনের মতো জীবন্ত ক্যাম্পাস (ছিল)। যথারীতি ক্লাস চলেছে। ...সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি আন্দোলনকারীরা। ...তাদের কোন আহ্বানই কার্যকর হয় নি।
ধারণা ছিল, এই বাস্তবতাগুলো মিডিয়া কর্মীদের ভাবাবে এবং তাঁর মধ্য থেকে সত্য অনুসন্ধানে ব্রতী হবে।..’
নিজেকে সার্বভৌম ঘোষণার আগ পর্যন্ত সংবাদমাধ্যম হিসেবে মিডিয়ার দায়বদ্ধতা কেমন এটা হয়তো অন্য বিতর্ক। তবে দায়বদ্ধতা রয়েছে এটা স্বীকার করে নিলে উত্থাপিত এই সংবেদনশীল অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মিডিয়াগুলোর বক্তব্য ও পরবর্তী ভূমিকা কী তা জানাটা জরুরি নয় কি ? কেননা এর সাথে মিডিয়ানির্ভর আমাদের আস্থাবোধের বিষয়টাও জড়িত। কিন্তু আমরা কীভাবে জানবো এর প্রকৃত সত্যটা কী ?
(১০/১১/২০০৮)
মন্তব্য
জনকণ্ঠের ০৯/১১/২০০৮ তারিখের সংখ্যার লিংকটা কিছুতেই দিতে পারলাম না পেজ এরর দেখানোর কারণে। কেউ যদি লিংকটা সংগ্রহ করে দিতে পারেন তাহলে মূল পোস্টে তা সংযুক্ত করে দেবার চেষ্টা করবো।
ওখানে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রয়েছে, যা সবার পড়ে দেখার প্রয়োজন মনে করছি। তবে সারকথাটা আমি পোস্টে আনার চেষ্টা করেছি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি অভিজ্ঞতা থেকে যা জানি সেটা উল্টা পীঠের না সোজা পীঠের কথাই।
অভিযুক্ত শিক্ষকের রাজনৈতিক পরিচয়, সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলসমূহের গুন্ডাবাহিনির আশ্রয়লাভের চেষ্টা....অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আমার ডিডাকশান এদিকেই যাবে। এই বারে যদি কোন ত্রুটি কোথাও কেউ দেখে থাকে তবে সেটা পুরোপুরিভাবে বর্তাবে আন্দোলন পরিকল্পনা এবং পরিচালনাকরীদের উপরে।
পৃথিবীর সব সভ্যদেশে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা আছে। কিছুদিন আগে এই কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়েই এক জাঁদরেল প্রফেসরের চাকরি যেতে বসেছিল শুধুমাত্র একটা অভিযোগের ভিত্তিতে। সেই অভিযোগ সানীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তুলনায় কিছুই না।
বাংলাদেশে যৌন নীপিড়নবিরোধী নীতিমালা থাকতে অসুবিধা কোথায়?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
মিডিয়াকেই দায়িত্ব নিতে হবে সত্য উদঘাটনের। কারণ একটা দেশের মিডিয়ার দায়িত্ব অনেক, বিশেষ করে, আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে আরও বেশি।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
এধরনের মেল কেউ কাউকে ফরোয়ার্ড করলে কোম্পানীতে চাকরী চলে যায়। আর বাকি জিনিসতো বহু দূর।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপা, আপনার মন্তব্যের মর্মার্থটা ঠিক বুঝিনি, হয়তো আমার সীমাবদ্ধতা। আপনি ঠিক কী বুঝাতে চেয়েছেন ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমার মতে এই একটি বিষয়কে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করে বিচার করতে হবে। পুরো বিষয়টা যেহেতু কাছ থেকে জানি না, তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।
কিন্তু আমার মনে হয় সেরকম কিছু না ঘটলে ছাত্রীরা কখনোই অভিযোগ জানাতো না, আরেকটা ব্যাপার আমার মাথায় ঢুকে না শুধু জাবি'তেই কেন এধরনের অভিযোগ নিয়মিত উঠে।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
নতুন মন্তব্য করুন