যে আমি দু’কদম হাঁটলেই ভীষণ ক্লান্ত হয়ে যেতাম,
অথচ প্রভাতফেরির উন্মুখ সচল ভীড়ে হাঁটতে হাঁটতে...
এক বিস্ময়কর উত্তেজনায়
একটুও কষ্ট হতো না আমার।
দু’পাশ আগলে রেখে বাবা আর মা,
মনে হতো
মাঠ-ঘাট-নদী-বন বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত পেরিয়ে
অনায়াসে যেতে পারি হেঁটে- কুয়াশা-সুদূর ওই-
আকাশের নেমে আসা প্রান্ত-সীমায়।
দু’হাতে মুঠোয় ধরা স্মিত-রঙ ফুলের স্তবক-
গুটি-গুটি-পায়ে হেঁটে যাই ছোট্ট আমি,
পাশে বাবা আর মা ;
একরাশ ইচ্ছের মতো পীচ-কালো পথটাও
মিশে গেছে-
শহীদ- মিনারের বিশাল বিস্তৃত আঙিনায়।
আমার প্রভাতী চোখে- রাজ্যের কৌতূহল ;
সম্মিলিত কোলাহল ছাপিয়ে
সবুজ দৃষ্টির পাতা
ফিরে আসে বারে বারে-
মিনারের নোয়ানো চূড়ায় ছুঁয়ে
পুনরায় মায়ের উজ্জ্বল মুখে।
এক অদ্ভুত অচেনা মায়ায় তাঁর দীঘল আনত মুখ
আমাকে বুলিয়ে যেতো বারবার।
মিনারের চূড়া, ফের মায়ের মুখের আকাশ-
দেখতে দেখতে
কখন যে এক মুঠো স্নিগ্ধ ভেজা ঘাস হয়ে যেতাম!
এখন সে মা আমার স্মৃতির উঠোন।
দু’কদম হাঁটলেই আজো ক্লান্ত হই আমি।
এখনো শহীদ মিনারে এলে কখন-অজান্তে যেন
চোখ দুটো ঘুরে-ফিরে ছুটে যায় মিনারের
সেই সে নোয়ানো চূঁড়ায়;
যেখানে মায়ের গভীর মুখ-
আনত উঠোন হয়ে আমাকেই ডাকে,
ডেকে যায়...।
মন্তব্য
অনুভব করলাম, মন্তব্যে আর কিছু লিখতে পারলাম না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
চমৎকার লাগলো।
খুব ছুঁয়ে গেলো
থাকি ভারতে। বহুদিন ধরে একটি স্বপ্ন আমার চোখের পাতায় , একবার নিশ্চই যাব ঐ শহীদ মিনারে, যেখানে আমার সমস্ত সত্তার সাথে জড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষা আমায় ডাকে ,ডাকতেই থাকে।
হয়ে ওঠেনি, আজও হয়ে ওঠেনি তা। কোনোদিন হবে কিনা জানিনা। তাই প্রতি একুশের ভোরে আমার হৃদয়ের সমস্ত শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করি এখান থেকেই ।
আরো একবার ধন্যবাদ এই লেখাটার জন্য। ভেজা চোখে আর গর্বিত বুক নিয়ে আজ সারাদিনই গাইতে থাকবো, " আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো"।
ভাল হৈছে ।
......................................................
পতিত হাওয়া
খুবই ভাল লাগল। ছুঁয়ে যাওয়ার মতো লেখা
সুন্দর কবিতা
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নতুন মন্তব্য করুন