[চলমান সতর্কবাণী ঃ এই সিরিজের পর্বে পর্বে বর্ণিত চরিত্রে কিংবা ঘটনা প্রবাহে কেউ কোনরূপ সাদৃশ্য বা মিল খুঁজিয়া পাইলে তাহা ব্যক্তির স্বেচ্ছাকল্পিত অতি সৃজনশীলতা বলিয়া গণ্য হইবে]
বেশ দীর্ঘ লাইন দিয়েই মেলায় ঢুকলাম সেদিন। ভীড়ও প্রচুর। অন্যদিনের চেয়ে বেশিই হবে। তবে নানান রঙ ও বয়েসী তরুণ-তরুণীদের সরব আধিক্য চোখে পড়ার মতো। জাতির গর্বিত নাগরিক হিসেবে খুবই আশাবাদী হয়ে ওঠলাম, বাহ্ , বইয়ের প্রতি এই তরুণরা কেবল নিজেরাই আকৃষ্ট হচ্ছে তা নয়, সঙ্গিনীকেও টেনে আনছে জ্ঞানের জগতে। আবার অন্যদিকে তুমুল তরুণীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
ভাবতেই ভালো লাগছে যে আগামীতে আমাদের টুটুল ভাইদেরকে মুখ গোমড়া করে আর হায় হায় পোস্ট দিতে হবে না ! ভাবতে ভাবতে সব বাদাইম্যা সচলদের আড্ডাখানা শুদ্ধস্বরের দিকে ছুটলাম। কিন্তু এ কী ! সবগুলো স্টলই তো দেখি ফাঁকা ! বইগুলো সব তেমনি আছে কেনার মানুষ নাই !
এতক্ষণ কী ভাবলাম আর দেখছি কী ! বিষয়টা খুবই রহস্যময় মনে হচ্ছে ! আর হবে না কেন, রহস্য তো বটেই ! একটু এগোতেই চোখে পড়লো দূরে ওই কোণায়, নজু ভাই। কিন্তু সাথে এই রূপসী ললনাটা কে ? নুপুর ভাবী তো নয়ই, কিন্তু এই রূপসীকে কোথাও কি দেখেছি ? সুন্দরী বউকে ফাঁকি দিয়ে কিসের এতো ফুসুর-ফাসুর ! অজান্তেই পকেট থেকে মোবাইল ক্যামটা হাতে উঠে এলো। এটা লক্ষ্য করেই কিনা রূপসীনীকে এড়িয়ে নজু ভাই’র সে কী চোখ টাটানো ! আহা, বেচারা হাঁ-ও করতে পারছে না, না-ও করতে পারছে না ! এমন একটা ভাব দেখাতে থাকলো যেন কস্মিনকালেও আমাকে চিনবে তো দূরের কথা, দেখেই নি কখনো !
নুপুর ভাবী এদিকেই আসছিলেন হয়তো। টের পেয়েই নজু ভাই’র আরেক রূপ, ভাজা মাছটিও উল্টে খেতে জানে না ! সুড়সুড় করে ঢুকে গেলো আরিফ জেবতিকের আড্ডায়। কিন্তু আরিফ ভাই যে কী সেয়ানা মাল সেটা আমাদের দেলগীর সাহেব আগে কতোটা জানতেন কে জানে, তবে এবার ঠিকই বুঝে ফেললেন যখন সরাসরি চার্জ করে বসলো। জেবতিকও যে এই চামে চামে ছিলো সেটাই বা কে জানতো ! চাঞ্চ না দেয়ায় সৈয়দ দেলগীর ওরফে নজু ভাই’র উপর সে কী খাপ্পা ! এই খাপ্পা থামতে থামতেই জেবতিকের কপালে ফের ছাই ! হায়, সেই রূপসী তখন আরেকজনের সাথে চুটিয়ে আড্ডায় !
কিন্তু এদিকে আবার এসব কী দেখছি ! আমাদের ছোট্ট ছেলে পান্থ কখন যে দিব্যি বড় হয়ে গেছে ! অবিশ্বাস্য কারবার ! সে এখন হাটের মধ্যেই বালিকাদের চোখে চোখ রেখে অনন্তকাল দাঁড়িয়ে থাকে ! চারদিকে যা দেখতে শুরু করেছি, আমার মাথা ভনভন করে ঘুরতে শুরু করেছে তখন ! বই ভেবে কই এলাম রে !
হুমড়ি খেয়ে পড়ার দশা আমার, যখন দেখি লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে এক বাড়ির বুইড়া আরেক বাড়ির বুড়িটার চোখে চোখ রেখে ডুবে গেছে অচিন সাগরে ! এই সমাজ, সংসার, আড্ডা, মেলা, বই, এ সবই বুঝি তুচ্ছ ওই সাগরাক্ষির কূলে। কিন্তু এই ডুবন্ত অভাগাটা মহামতি লীলেন ছিলো কিনা শ্মশ্রু বিষয়ক নমূনাহীনতার কারণে তা নিশ্চিৎ করা যায় নি।
কিসের মেলা, কিসের বই, কিসের কী ! এদিক ওদিক যেদিকেই মাথা ঘুরাই, দেখি এ ওর চোখে, ও তার চোখে, সে এর চোখে, অমুক তমুকের চোখে, তমুক আবার সমুকের চোখে, এক আউলাখিচুরি লারেলাপ্পার মেলা ! এখন আমার কী হবে ! আর আমাদের বাদাইম্যা সচলদের এই অবস্থাই বা করলোটা কে ? কারা এমন ষড়যন্ত্র করে এদের সহজ সরল মাথাগুলারে এরকম আউলাইয়া দিলো ! আর ভাবতে পারলাম না। তার আগেই চিন্তা আচ্ছন্ন হয়ে এলো...
নিরঙ্কুশ আচ্ছন্নতা কেটে যেতেই ভড়কে গেলাম, আমার পাশে এরা আবার কারা ! বুঝতে পারছিলাম না, কে বা কারা আমাকে কখন কোথায় এভাবে নিয়ে এলো ! এবং কিছুতেই মনে করতে পারছিলাম না তখনো, দিনটা কি চৌদ্দ ফেব্রুয়ারি ?
মন্তব্য
হাহাহাহা, এভাবে চল্লে ডিজিএফআই-এ আপনার প্রেষণে পদায়ন সুনিশ্চিত।
তলে তলে তো বহুত কাহিনি বানাইয়া ফেলছেন দেখি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
কাহানী না। এইগুলা হইলো নিবিড় পর্যবেক্ষণ....!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ওস্তাদের মাইর শেষ রাতে?
জ্বী ওস্তাদ, সেইটার অপেক্ষায় আছি ! তাড়াতাড়ি ছাড়েন...!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আগের পর্বে লিখেছিলেন- "রমণীমোহন আনিস ভাই", এই পর্বে এসে কথাটা (যদিও কথাটার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি না) কী নিজের দিকেই ঘুরে গেল না?
আরে বিডিআর কয় কী ! আমি কি জানি নাকি কেমনে এইখানে আইছি ! এইখানে তো আমার শুশ্রূষা চলতেছে !
নাহ্, প্রহরীটা দিনকে দিন নিন্দুক হয়ে যাচ্ছে ! নষ্ট হয়ে যাচ্ছে....
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদা আমার মনে বিডিআর ভাই কে রমণীমোহন না বলায় ওনার এই আপত্তি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
এ তো দেখি অ্যান্টি-মহাভারত!
- আরেক্টু প্রিসাইজলী, এন্টি ওয়্যার অফ কুরুক্ষেত্র
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গাড়ী মেলায় দেখতাম গাড়ীর পাশে শাড়ি পরিহিত কিছু নারী থাকে...। বইমেলায় এদের দেখা কম পাওয়া গেলে ও এই পোষ্টে দেখি তাদের ব্যাপক আনাগোণা...!!!
(শব্দশিল্পী)
দিন্কালখুপ্খারাপ ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এতো দেখি হুসেইন মোহাম্মদ রণদীপম!!!
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
শেষ ছবিটা তো রণ'দা, মাশাল্লাহ, মুম্বাইয়া হিরুর লাহান...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ইশ্, আস্তে কন আস্তে কন, শরম পাইতেছি !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
'আজিজ মোহম্মদ রণদীপম বসু ভাই'
শেষ ছবিটার ক্যাপশান এরকম- আজিজ মোহম্মদ ভাই দু'হাত নেড়ে বলছেন-
'সবাই আমাকে চায়, আমি কী করতে পারি!'
আমি বড় হইয়া রণদীপম বসু হইতাম চাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শেষের ছবিটা দেইখ্যা
শেষ ছবিটা তো ফাটায়া দিছে সব!
ইশশিরে রণদা', এত এত অন্য পুরুষদের নামে ওইসব স্ক্যান্ডাল শুনে টুনে নিচে এসে কি না আপনারই এই অধঃপতনটা দেখতে হৈলো?! দাউ টু?!
হায় রে কলিকাল!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
শেষ ভালো যার সব ভালো তার- এই পোস্ট থেকে এই কথাটা আবার প্রমাণিত হলো।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
নতুন মন্তব্য করুন