[ চলমান সতর্কবাণী ঃ এই সিরিজের পর্বে পর্বে বর্ণিত চরিত্রে কিংবা ঘটনা প্রবাহে কেউ কোনরূপ সাদৃশ্য বা মিল খুঁজিয়া পাইলে তাহা ব্যক্তির স্বেচ্ছাকল্পিত অতি সৃজনশীলতা বলিয়া গণ্য হইবে ]
মেলা ততদিনে জমে উঠেছে। ভীড় বাড়ছে তো বাড়ছেই। আর বাড়বে না-ই-বা কেন ? নতুন বইয়ের উন্মোচনের ঠেলায় নজরুল মঞ্চ ভেঙে পড়ার অবস্থা ! আর সে জন্যে সন্ধ্যা ছুঁতে না ছুঁতে মঞ্চ দখলের সে কী পায়তাড়া সবার ! কার আগে কে দখল করবে, সেই মহড়া ! কিন্তু তাতেও কি নিশ্চিন্ত হওয়া চলে ! প্রকাশকের চাইতে লেখকদের দুঃশ্চিন্তা আরো বেশি।
তাই দেখা গেলো প্রকাশক টুটুল ভাই যখন নো চিন্তা ডু ফূর্তির মেজাজে আরেক কবি পলাশ দত্তের সঙ্গে মুখ ভেঙচানোর মশকারি করছেন, অন্যদিকে বই রেরোবে এই উচ্ছল আশায় রীতিমতো নতুন জামাই সেজে শেখ জলিল ভাই আগেভাগেই এসে পড়েছেন ঠিকই। কিন্তু প্রকাশকের ভাবগতিক সুবিধাজনক ঠেকেনি হয়তো। মুখ গোমড়া করে বসে আছেন একা। এটা দেখেই কিনা কে জানে, পলাশ দত্ত ছুটে গেলেন সান্ত্বনা জানাতে- এবার হয় নি তো কী হয়েছে ! আল্লায় বাঁচালে আগামীবার ঠিকই হবে !
এই সান্ত্বনা বাক্যে জলিল ভাই কতোটা সান্ত্বনা পেলেন তিনিই জানেন। তবে আরেকদিকে দেখা গেলো শিশু সাহিত্যিক আবু রেজা চামে চামে ছিলেন। সামরান হুদা ওরফে শ্যাজা আপুকে চেখে ধরেছেন সিঙ্গেল একটা ছবির জন্য। ক্যামেরা তাক করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু মনিটরে চোখ রেখেই ফাপড়ে পড়ে গেলেন ! ওমা, পর্দায় যে দুজনকে দেখা যাচ্ছে ! হা হা হা ! মুজিব মেহদী ভাই কি আর এমনি এমনি পাট করা কালো পাঞ্জাবিটা ইস্ত্রির ভাজ খুলে পরে এসেছেন ! আবু রেজা সিদ্ধান্তই নিতে পারছেন না সাটার টিপবেন কি টিপবেন না !
এদিকে আরেক কাণ্ড। আদম ভুনা করে অভ্যস্ত ছড়াকার মৃদুল আহমেদকে দেখা গেলো সন্দেহজনকভাবে ফ্রেমের আড়ালে কার দিকে যেন বিশাল ক্যামেরা তাক করে ধরেছে। আমাদের সবজান্তা সব কিছু বুঝলেও মৃদুল ভাই’র কাছে ঠিকই ধরা খেয়ে গেলো। বুঝতেই পারলো না যে ক্যামেরা তাঁর দিকে নয়। ইশ্, সবজান্তার বিশেষ পোজটা এক্কেবারে মাঠে মারা গেলো।
একটু পরেই শুরু হলো আরেক কাহিনী। হঠাৎ করে দেখা গেলো আচমকা সবাই লেখক বনে গেছে। কী ব্যাপার ! বাদাইম্যা বাহিনীর উৎপাত দেখেই হয়তো মেলায় আগত বালিকারা এদিকটাকে এড়িয়ে যেতো। এ নিয়ে শুদ্ধস্বরের স্বত্বাধিকারী টুটুল ভাইয়ের সে কী মারফায়ার অবস্থা ! কিন্তু কে শোনে কার কথা ! শেষমেশ বেচারা অভিমান করে সেই যে পেছনমুখো হয়ে বসেছেন, আর তো ফিরেনই না !
ভুল করেই হয়তো কয়েকজন বালিকা এদিকে চলে এসেছিল। মুহূর্তেই সবার লেখক বনে যাওয়ার এমন ভাব দেখে একেবারে লা-জওয়াব অবস্থা ! আদমভুনাকার মৃদুল আহমেদ তো আরো এক কাঠি বাড়া। ছো মেরে কোন এক বালিকার হাত থেকে বইটা নিয়েই ভয়ঙ্করগোছের লেখক মুড ধরে সেই যে অটোগ্রাফ লেখা শুরু করলো তো করলোই, আর শেষ হয় না ! বালিকা যতই বলে না না, মৃদুল ভাই ততই হাসি বিগলিত করেন- আরে বই তো বই-ই ! আহা, কার বইয়ে কে দেয় অটোগ্রাফ ! একবার উল্টেও দেখলো না !
হঠাৎ করে বড় হয়ে যাওয়া আমাদের পান্থ’র নাকি ইদানিং বালিকা দেখলে মাথাটা কেমন এলোমেলো হয়ে যায়। বালিকাদের আনাগোনা দেখেই কিনা, শুদ্ধস্বর ভেবে পাশের স্টল থেকেই ছোঁ মেরে বই একটা তুলে ধরে যতই বুঝানোর চেষ্টা করলো- আমিও একজন ইয়ং লেখক, অবুঝ বালিকারা সেদিকে ভ্রুক্ষেপও করলো না ! ভ্রুক্ষেপ করবে আর কী ! যে ভয়াবহ লেখকের পাল্লায় পড়েছে ! তাছাড়া আমরা ভাবলে কী হবে, বালিকারা কি বুঝতে পেরেছে যে পান্থ সত্যি বড় হয়ে গেছে !
আর ওই কোণায় ? ছড়াজনীতিক আকতার আহমেদ। কেউ অটোগ্রাফ চাইলো না তো কচু হয়েছে ! সদ্য কেনা বইগুলোতে নিজেই নিজেকে অটোগ্রাফ দেয়ায় ব্যস্ত রেখে দুঃখ ভুলে থাকার দুঃসহ চেষ্টায় রত থাকলো। আহা বেচারা ! একই গোত্রের হয়েও ছায়ার মতো সারাক্ষণের সঙ্গি মৃদুল আহমেদ তাঁকে এমন দাগাটা দিতে পারলো !
এসব দেখেশোনে আমাদের কারুবাসনা অর্থাৎ সুমেরু দাদা শেষ পর্যন্ত আসল রহস্যটা বুঝে গেলেন কিনা- হায়, এই জগৎ শুধুই মায়া ! কেবল টানেই জীবন ! বাকি সব ধোঁয়া ! সব ধোঁয়া...!!
মন্তব্য
মেলায় সবার গোপন জারিজুড়ি ফাঁস করে দেবার জন্য রণদা কে ধন্যবাদ
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
পোজ দেয়ইন্না কিন্তু আরো আছে ! কেউ কেউ আবার হঠাৎ কইরা চেহারা পাল্টাইয়া ঢুইক্যা গেছে ! এইরকম সন্দেহজনক অনুপ্রবেশকারীদের পরিচয় নিন...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদা, আপনিতো হাটে আর কোন হাঁড়ি আস্ত রাখবেন না মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে বই রেরোবে এই উচ্ছল আশায়
বেরোবে হবে ?
--
কিছুমিছু
হাঁড়িরা মুখ তো খুলে না ! হাঁড়ি না ভাঙলে হাঁড়ির ভিতর কী আছে জানবেন কেমনে..?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি নাই ক্যান? মাইনাচ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনে নাই কে কইছে ! চিপায় চাপায় রমণীদের সঙ্গে তো আপনেরে ঠিকই দেখতেছি...!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
- ফাটাইন্যা হইতেছে সিরিজটা বস!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কেডায় কেডায় হুমকী দিতেছে হেইডা লিস্টি করতেছেন তো...?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
জমজমাট সিরিজ বসু সাহেব
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আসলে মেলায় ঘটনাগুলাই জমজমাট ছিলো...!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এ মায়াজালে বন্দি হয়ে আর কতকাল রহিব?
নম্বর আমি দিয়ে গেলাম।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
----------------------
বিড়ালে ইঁদুরে হলে মিল, মুদির কিন্তু মুশকিল ।
সব ধোঁয়া দাদা...!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কখন করলেন এসব?
...........................
Every Picture Tells a Story
সুস্থতায় ব্যস্ততা বাড়িয়ে তুলবেন না, কোন ডাক্তারে উচ্চারণ নয় উচ্চারণ এক অকাল পাঠকের।
রণদা যে কখন কি করে......রাতে ঘুমায় না, চোখ মেলে বসে থাকে সচলের পাতায় আর দিনে কর্মের ফাঁকে ফাঁকে 'স' 'ঞ' এ 'চ' 'য়' করে আমাদের জন্য। প্রায়ই জীবনকে দেখায় বাস্তবতার চেহারায়; কিছু দিন আগে কি ধিক্কার নিয়ে নিজে মুখ ভোতা করে দিয়েছিল সমাজের চোখে এখন সচেহারায় বর্তমান। তাঁর ও আপনার লেখা ভাসুক এই পাতায় বার বার।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
এ মুহূর্তে আপনাকে পেয়ে ভালো লাগছে মুস্তাফিজ ভাই ! আপনার আরোগ্যের সর্বশেষ অবস্থা কী ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সবজান্তার পোজটা সেইরকম হইছে
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আহ্, সবজান্তার আসল পোজটা যদি দেখতেন..!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সবজান্তার পোজ আর আকতার ভাইয়ের অটোগ্রাফ দেওয়ার ছবিটা চরম
প্রহরী, আপনাদের কামানগুলারে কামে লাগান নাই দেইখ্যাই তো আমারে ভাঙা বাঁশ লইয়া মাঠে নামতে হইলো..!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
তীব্র দিক্কার, নিন্দা, মাইনাচ জানায়া গেলাম।
রণদার আইপি সহ ব্যান চাই।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
দিক্কার মিচিলে আমিও আপনের সাতে আচি, এগাইয়া যান..!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আকতার একজন খাঁটি ইমানদার অটোগ্রাফার এতে কোনো সন্দেহ নেই
একটা অটোগ্রাফ দেবার জন্য দশটা বেনসনের বিনিময়ে সে আমার কাছ থেকে কলম ভাড়া নিয়ে অটোগ্রাফ দিয়েছে
সুতরাং নিবেদিতপ্রাণ অটোগ্রাফার আকতার আহমেদের ছবিটার জন্য রণদাকে মাপ করে দেয়া যায়
ক্ষমাই মহত্বের লক্ষণ ! হের লাইগাই যান, আপনার হাঁড়িতে যে আরো ভয়ানক খবরগুলান আছে সেগুলান আর কাউরে জানামু না। ভাইজানেরা, কেউ কিছু জানতে চাইয়েন না কিন্তু ! কেউ কিছু চাইলে আমি আবার না করতে পারি না !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হাঁড়ি তো অনেক সমৃদ্ধ দেখি। ম্যালা খবর বাইরাইতাছে...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হাঁড়ি তো জবর শক্ত ! ম্যালা বাইড়াইয়া হাঁড়ি ভাঙতে হইতেছে...!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
লেখার কারিশমায় মুঠোফোন ক্যামেরার ছবিও যে এতো জীবন্ত হতে পারে জানা ছিলো না!
ধন্যবাদ প্রিয় রণদীপম বসু।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
তাই কি জলিল ভাই ? না কি ছবির ঘটনার কারিশমায় লেখা বাইরাতাছে ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি একজন ইয়াং লেখুক!
সিরিজ
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নতুন মন্তব্য করুন