ড. আতিউর রহমান : এক অসহায় রাখাল থেকে বরেণ্য অর্থনীতিবিদ কাম গভর্ণর

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩০/০৪/২০০৯ - ১:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ আমার চমৎকার বন্ধুটির নামও আতাউর রহমান। একটা বেসরকারি ফার্মের পদস্থ কর্মকর্তা। অফিস শেষে বেরিয়েই তাঁর সাথে দেখা। ব্যাগ থেকে দু’পাতার একটা প্রিন্টেড লেখা বের করে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, ‘দাদা, আমার এক বন্ধু কোন্ পত্রিকায় যেন এই আর্টিক্যালটা পড়ে একেবারে অভিভূত হয়ে ই-মেইল করলো আমাকে। চাইলে আপনাকে এটা ফরোয়ার্ড করে দেবো কাল।’ রাজিব আহমেদ-এর ‘আতিউর রহমান : রাখাল থেকে অর্থনীতিবিদ’ শিরোনামের লেখাটা মূলতঃ আমাদের বরেণ্য অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমানের নিজ বয়ানে উদ্ধৃত এক অবিশ্বাস্য জীবন-সংগ্রামের ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ ! অনেকেই হয়তো তা অবগত। কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই, তাঁর এই মন কেমন করা ব্যক্তিজীবন আমার কাছে সম্পূর্ণ অজানাই ছিলো ! লেখাটি রুদ্ধশ্বাসে পড়তে পড়তে বুকের ভেতরে কোথায় যেন কোন্ পাড় ভাঙার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম ! সত্যি অবিশ্বাস্য ! এবং শেষ লাইনটা অতিক্রম করেই টের পেলাম, চোখের কোণের আর্দ্রতা কখন যে গড়াতে শুরু করেছে ! ইচ্ছে হলো, ইশ্ , তাঁর পা ছুঁয়ে যদি একটিবার সালাম করতে পারতাম ! মনটা ঠিকই চলে গেলো সেই অভীষ্ঠের দিকে।
আমার এ অনুভূতি হয়তো একান্তই আমার। তবু সবার সাথে এই অনুভব শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না। হুবহু এই আর্টিক্যালটাই কম্পোজ করে তুলে দিলাম নিচে।
]

দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরবর্তী গভর্ণর ড. আতিউর রহমানের ছেলেবেলা কেটেছে গরু-ছাগল চরিয়ে ! সেখান থেকে আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে তাঁকে অনেক ত্যাগ স্বীকার ও সংগ্রাম করতে হয়েছে। সেই কাহিনী শুনুন তাঁর মুখেই।

আমার জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে। ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে হতো পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে। পুরো গ্রামের মধ্যে একমাত্র মেট্রিক পাস ছিলেন আমার চাচা মফিজউদ্দিন। আমার বাবা একজন অতি দরিদ্র ভূমিহীন কৃষক। আমরা পাঁচ ভাই, তিন বোন। কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো আমাদের।

আমার দাদার আর্থিক অবস্থা ছিলো মোটামুটি। কিন্তু তিনি আমার বাবাকে তাঁর বাড়িতে ঠাঁই দেননি। দাদার বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে একটা ছনের ঘরে আমরা এতগুলো ভাই-বোন আর বাবা-মা থাকতাম। মা তাঁর বাবার বাড়ি থেকে নানার সম্পত্তির সামান্য অংশ পেয়েছিলেন। তাতে তিন বিঘা জমি কেনা হয়। চাষাবাদের জন্য অনুপযুক্ত ওই জমিতে বহু কষ্টে বাবা যা ফলাতেন, তাতে বছরে ৫/৬ মাসের খাবার জুটতো। দারিদ্র্য কী জিনিস, তা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি- খাবার নেই, পরনের কাপড় নেই; কী এক অবস্থা !

আমার মা সামান্য লেখাপড়া জানতেন। তাঁর কাছেই আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি। তারপর বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। কিন্তু আমার পরিবারে এতটাই অভাব যে, আমি যখন তৃতীয় শ্রেণীতে উঠলাম, তখন আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলো না। বড় ভাই আরো আগে স্কুল ছেড়ে কাজে ঢুকেছেন। আমাকেও লেখাপড়া ছেড়ে রোজগারের পথে নামতে হলো।

আমাদের একটা গাভী আর কয়েকটা খাসি ছিল। আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওগুলো মাঠে চরাতাম। বিকেল বেলা গাভীর দুধ নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম। এভাবে দুই ভাই মিলে যা আয় করতাম, তাতে কোনরকমে দিন কাটছিল। কিছুদিন চলার পর দুধ বিক্রির আয় থেকে সঞ্চিত আট টাকা দিয়ে আমি পান-বিড়ির দোকান দেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে বসতাম। পড়াশোনা তো বন্ধই, আদৌ করবো- সেই স্বপ্নও ছিল না !

এক বিকেলে বড় ভাই বললেন, আজ স্কুল মাঠে নাটক হবে। স্পষ্ট মনে আছে, তখন আমার গায়ে দেওয়ার মতো কোন জামা নেই। খালি গা আর লুঙ্গি পরে আমি ভাইয়ের সঙ্গে নাটক দেখতে চলেছি। স্কুলে পৌঁছে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক ! চারদিকে এত আনন্দময় চমৎকার পরিবেশ ! আমার মনে হলো, আমিও তো আর সবার মতোই হতে পারতাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে আবার স্কুলে ফিরে আসতে হবে।

নাটক দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড় ভাইকে বললাম, আমি কি আবার স্কুলে ফিরে আসতে পারি না ? আমার বলার ভঙ্গি বা করুণ চাহনি দেখেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক কথাটা ভাইয়ের মনে ধরলো। তিনি বললেন, ঠিক আছে কাল হেডস্যারের সঙ্গে আলাপ করবো।

পরদিন দুই ভাই আবার স্কুলে গেলাম। বড় ভাই আমাকে হেডস্যারের রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেলেন। আমি বাইরে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট শুনছি, ভাই বলছেন আমাকে যেন বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগটুকু দেওয়া হয়। কিন্তু হেডস্যার অবজ্ঞার ভঙ্গিতে বললেন, সবাইকে দিয়ে কি লেখাপড়া হয় !

স্যারের কথা শুনে আমার মাথা নিচু হয়ে গেল। যতখানি আশা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম, স্যারের এক কথাতেই সব ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল। তবু বড় ভাই অনেক পীড়াপীড়ি করে আমার পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি যোগাড় করলেন। পরীক্ষার তখন আর মাত্র তিন মাস বাকি। বাড়ি ফিরে মাকে বললাম, আমাকে তিন মাসের ছুটি দিতে হবে। আমি আর এখানে থাকবো না। কারণ ঘরে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই- আমার কোন বইও নেই, কিন্তু আমাকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে।

মা বললেন, কোথায় যাবি ? বললাম, আমার এককালের সহপাঠী এবং এখন ক্লাসের ফার্স্টবয় মোজাম্মেলের বাড়িতে যাবো। ওর মায়ের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। যে ক’দিন কথা বলেছি, তাতে করে খুব ভালো মানুষ বলে মনে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাকে উনি ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।

দুরু দুরু মনে মোজাম্মেলের বাড়ি গেলাম। সবকিছু খুলে বলতেই খালাম্মা সানন্দে রাজি হলেন। আমার খাবার আর আশ্রয় জুটলো; শুরু হলো নতুন জীবন। নতুন করে পড়াশোনা শুরু করলাম। প্রতিক্ষণেই হেডস্যারের সেই অবজ্ঞাসূচক কথা মনে পড়ে যায়, জেদ কাজ করে মনে; আরো ভালো করে পড়াশোনা করি।

যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হলো। আমি এক-একটি পরীক্ষা শেষ করছি আর ক্রমেই যেন উজ্জীবিত হচ্ছি। আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাচ্ছে। ফল প্রকাশের দিন আমি স্কুলে গিয়ে প্রথম সারিতে বসলাম। হেডস্যার ফলাফল নিয়ে এলেন। আমি লক্ষ্য করলাম, পড়তে গিয়ে তিনি কেমন যেন দ্বিধান্বিত। আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন। তারপর ফল ঘোষণা করলেন। আমি প্রথম হয়েছি ! খবর শুনে বড় ভাই আনন্দে কেঁদে ফেললেন। শুধু আমি নির্বিকার- যেন এটাই হওয়ার কথা ছিল।

বাড়ি ফেরার পথে সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। আমি আর আমার ভাই গর্বিত ভঙ্গিতে হেঁটে আসছি। আর পিছনে এক দল ছেলেমেয়ে আমাকে নিয়ে হৈ চৈ করছে, স্লোগান দিচ্ছে। সারা গাঁয়ে সাড়া পড়ে গেল ! আমার নিরক্ষর বাবা, যাঁর কাছে ফার্স্ট আর লাস্ট একই কথা- তিনিও আনন্দে আত্মহারা; শুধু এইটুকু বুঝলেন যে, ছেলে বিশেষ কিছু একটা করেছে। যখন শুনলেন আমি ওপরের কাসে উঠেছি, নতুন বই লাগবে, পরদিনই ঘরের খাসিটা হাটে নিয়ে গিয়ে ১২ টাকায় বিক্রি করে দিলেন। তারপর আমাকে সঙ্গে নিয়ে জামালপুর গেলেন। সেখানকার নবনূর লাইব্রেরি থেকে নতুন বই কিনলাম।

আমার জীবনযাত্রা এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আমি রোজ স্কুলে যাই। অবসরে সংসারের কাজ করি। ইতোমধ্যে স্যারদের সুনজরে পড়ে গেছি। ফয়েজ মৌলভী স্যার আমাকে তাঁর সন্তানের মতো দেখাশুনা করতে লাগলেন। সবার আদর, যত্ন, স্নেহে আমি ফার্স্ট হয়েই পঞ্চম শ্রেণীতে উঠলাম। এতদিনে গ্রামের একমাত্র মেট্রিক পাস মফিজউদ্দিন চাচা আমার খোঁজ নিলেন। তাঁর বাড়িতে আমার আশ্রয় জুটলো।

প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে আমি দিঘপাইত জুনিয়র হাইস্কুলে ভর্তি হই। চাচা ওই স্কুলের শিক্ষক। অন্য শিক্ষকরাও আমার সংগ্রামের কথা জানতেন। তাই সবার বাড়তি আদর-ভালোবাসা পেতাম।

আমি যখন সপ্তম শ্রেণী পেরিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে উঠবো, তখন চাচা একদিন কোত্থেকে যেন একটা বিজ্ঞাপন কেটে নিয়ে এসে আমাকে দেখালেন। ওইটা ছিল ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বিজ্ঞাপন। যথাসময়ে ফরম পুরণ করে পাঠালাম। এখানে বলা দরকার, আমার নাম ছিল আতাউর রহমান। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ভর্তি ফরমে স্কুলের হেডস্যার আমার নাম আতিউর রহমান লিখে চাচাকে বলেছিলেন, এই ছেলে একদিন অনেক বড় কিছু হবে। দেশে অনেক আতাউর আছে। ওর নামটা একটু আলাদা হওয়া দরকার; তাই আতিউর করে দিলাম।

আমি রাত জেগে পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিলাম। নির্ধারিত দিনে চাচার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে রওনা হলাম। ওই আমার জীবনে প্রথম ময়মনসিংহ যাওয়া। গিয়ে সবকিছু দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ ! এত এত ছেলের মধ্যে আমিই কেবল পায়জামা আর স্পঞ্জ পরে এসেছি ! আমার মনে হলো, না আসাটাই ভালো ছিল। অহেতুক কষ্ট করলাম। যাই হোক পরীক্ষা দিলাম; ভাবলাম হবে না। কিন্তু দুই মাস পর চিঠি পেলাম, আমি নির্বাচিত হয়েছি। এখন চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যেতে হবে।

সবাই খুব খুশি; কেবল আমিই হতাশ। আমার একটা প্যান্ট নেই, যেটা পরে যাবো। শেষে স্কুলের কেরানি কানাই লাল বিশ্বাসের ফুলপ্যান্টটা ধার করলাম। আর একটা শার্ট যোগাড় হলো। আমি আর চাচা অচেনা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। চাচা শিখিয়ে দিলেন, মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমি যেন দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলি: ম্যা আই কাম ইন স্যার ? ঠিকমতোই বললাম। তবে এত উচ্চস্বরে বললাম যে, উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।

পরীক্ষকদের একজন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ এম. ডাব্লিউ. পিট আমাকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে সবকিছু আঁচ করে ফেললেন। পরম স্নেহে তিনি আমাকে বসালেন। মুহূর্তের মধ্যে তিনি আমার খুব আপন হয়ে গেলেন। আমার মনে হলো, তিনি থাকলে আমার কোন ভয় নেই। পিট স্যার আমার লিখিত পরীক্ষার খাতায় চোখ বুলিয়ে নিলেন। তারপর অন্য পরীক্ষকদের সঙ্গে ইংরেজিতে কী-সব আলাপ করলেন। আমি সবটা না বুঝলেও আঁচ করতে পারলাম যে, আমাকে তাঁদের পছন্দ হয়েছে। তবে তাঁরা কিছুই বললেন না। পরদিন ঢাকা শহর ঘুরে দেখে বাড়ি ফিরে এলাম। যথারীতি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করলাম। কারণ আমি ধরেই নিয়েছি, আমার চান্স হবে না।

হঠাৎ তিন মাস পর চিঠি এলো। আমি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। মাসে ১৫০ টাকা বেতন লাগবে। এর মধ্যে ১০০ টাকা বৃত্তি দেওয়া হবে, বাকি ৫০ টাকা আমার পরিবারকে যোগান দিতে হবে। চিঠি পড়ে মন ভেঙে গেল। যেখানে আমার পরিবারের তিনবেলা খাওয়ার নিশ্চয়তা নেই, আমি চাচার বাড়িতে মানুষ হচ্ছি, সেখানে প্রতিমাসে ৫০ টাকা বেতন যোগানোর কথা চিন্তাও করা যায় না !

এই যখন অবস্থা, তখন প্রথমবারের মতো আমার দাদা সরব হলেন। এত বছর পর নাতির (আমার) খোঁজ নিলেন। আমাকে অন্য চাচাদের কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, তোমরা থাকতে নাতি আমার এত ভালো সুযোগ পেয়েও পড়তে পারবে না ? কিন্তু তাঁদের অবস্থাও খুব বেশি ভালো ছিল না। তাঁরা বললেন, একবার না হয় ৫০ টাকা যোগাড় করে দেবো, কিন্তু প্রতি মাসে তো সম্ভব নয়। দাদাও বিষয়টা বুঝলেন।

আমি আর কোন আশার আলো দেখতে না পেয়ে সেই ফয়েজ মৌলভী স্যারের কাছে গেলাম। তিনি বললেন, আমি থাকতে কোন চিন্তা করবে না। পরদিন আরো দুইজন সহকর্মী আর আমাকে নিয়ে তিনি হাটে গেলেন। সেখানে গামছা পেতে দোকানে দোকানে ঘুরলেন। সবাইকে বিস্তারিত বলে সাহায্য চাইলেন। সবাই সাধ্য মতো আট আনা, চার আনা, এক টাকা, দুই টাকা দিলেন। সব মিলিয়ে ১৫০ টাকা হলো। আর চাচারা দিলেন ৫০ টাকা। এই সামান্য টাকা সম্বল করে আমি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলাম। যাতায়াত খরচ বাদ দিয়ে আমি ১৫০ টাকায় তিন মাসের বেতন পরিশোধ করলাম। শুরু হলো অন্য এক জীবন।

প্রথম দিনেই এম. ডাব্লিউ. পিট স্যার আমাকে দেখতে এলেন। আমি সবকিছু খুলে বললাম। আরো জানালাম যে, যেহেতু আমার আর বেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই তিন মাস পর ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে চলে যেতে হবে। সব শুনে স্যার আমার বিষয়টা বোর্ড মিটিঙে তুললেন এবং পুরো ১৫০ টাকাই বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিলেন। সেই থেকে আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এস.এস.সি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম স্থান অধিকার করলাম এবং আরো অনেক সাফল্যের মুকুট যোগ হলো।

আমার জীবনটা সাধারণ মানুষের অনুদানে ভরপুর। পরবর্তীকালে আমি আমার এলাকায় স্কুল করেছি, কলেজ করেছি। যখন যাকে যতটা পারি, সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতাও করি। কিন্তু সেই যে হাট থেকে তোলা ১৫০ টাকা; সেই ঋণ আজও শোধ হয়নি। আমার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করলেও সেই ঋণ শোধ হবে না !


মন্তব্য

নিবিড় এর ছবি

এরকম মানুষদের জীবন কাহিনি সত্যি খুব অনুপ্রাণিত করে। গতকাল সিসিবিতে পড়েছিলাম আজ এখানে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ রণদা।


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ নিবিড়। আমার অনুভবটা আসলে এতো গভীর হয়ে ওঠলো যে, সবার সাথে শেয়ার করাটাকেই জরুরি মনে করেছি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তারিক টুকু [অতিথি] এর ছবি

রানাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটা শেয়ার করার জন্য।

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকেও।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

লোমহর্ষক জীবনকাহিনী...

রণদীপম বসু এর ছবি

আসলেই তাই ! অবিশ্বাস্য...!!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হিমু এর ছবি

বাংলাদেশের অর্থনীতিও যেন শিশু আতাউর, মাথানিচু করে বসে আছে অন্যের দুয়ারে, কবে কেউ একজন নাম কেটে আতিউর করবে তার, বলবে, এমন তো দুনিয়াতে আরো অনেক আছে, এর নাম অন্য কিছু হোক।

এক আতিউর রহমানকে দিয়ে তো কিছু হবে না, কিন্তু তিনি যেন এই অর্থনীতিকে রাহুর গ্রাস থেকে মুক্ত করতে ভূমিকা রাখেন, সেই কামনা করি।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রণদীপম বসু এর ছবি

চলুক

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ধন্যবাদ রণদীপম, সবার সঙ্গে এটা শেয়ার করার জন্যে।

আতিউর রহমানের মতো একজন আপাদমস্তক সৎ মানুষের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। এই মানুষটি যদি কিছু করতে না পারেন তবে আর কে পারবেন?

ব্যক্তিগতভাবে আমি লেখক আতিউর ভাইয়ের একজন মহাঅনুরাগী। এবার বইমেলাতেও বাংলা একাডেমীর মাঠে দাঁড়িয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছি। যেমন মেধাবী, তেমনই বিনয়ী অসাধারণ এই মানুষটি।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ রিটন ভাই।
ড. আতিউর রহমানকে আমি দূর থেকে বরাবরই শ্রদ্ধার আসনে রেখেছি। কিন্তু তাঁর প্রথম জীবনের এই ইতিহাসটুকু জানার পর কেন যেন তাঁকে আমাদের খুব আপন মানুষ বলেই মনে হচ্ছে। আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগছে যে, তাঁর কাছ থেকে আমরা অবশ্যই ভালো কিছুই পাবো।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রায়হান আবীর এর ছবি

গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠার মতো তার জীবন কাহিনী ...

রায়হান আবীর এর ছবি

আগ্রহীদের জন্য মুহাম্মদের একটা লেখার লিংক দিয়ে যাই।

আতিউর রহমান: যিনি প্রান্তজনের কথা বলেন

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ আবীর।
সিসিবি লিঙ্কটা পড়ে আসলাম। ভালো লেগেছে লেখাটা।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মূলত পাঠক এর ছবি

লেখাটা পড়ার আগে মুখবন্ধ পড়ে ভাবছিলাম আপনি নিশ্চয়ই খুব আবেগপ্রবণ লোক তাই চোখে জলটল আসার কথা লিখেছেন। পড়ার পর বুঝলাম আমি কতোটা ভুল ভেবেছিলাম। এ কাহিনী সবাইকে স্পর্শ করে, অথচ আশ্চর্য এই যে এ আদৌ কোনো গল্পকথা নয়।

রণদীপম বসু এর ছবি

অথচ আমি কিনা নিজকে খুব একটা আবেগপ্রবণ মনে করতাম না ! বুঝুন ঠেলা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

বড়ো মর্মস্পর্শী কাহিনী।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ সন্ন্যাসীজী। আসলেই মর্মস্পর্শী !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এই জীবন আশাবাদী হতে সাহস যোগায় ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রণদীপম বসু এর ছবি

অবশ্যই !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মুস্তাফিজ এর ছবি

সম্ভবত প্রথম আলো তে গতকাল এটা দেখেছিলাম। আতিউর রহমান সাহেব কে কোথাও খাতির করে নিয়ে গেলে উনি এই গল্প করেন।

...........................
Every Picture Tells a Story

রণদীপম বসু এর ছবি

এটাকে আমি ইতিবাচক অর্থেই দেখি। কেননা আমি বিশ্বাস করি-
যে মানুষ তাঁর পূর্ব ইতিহাস ভুলে যায়, সে মানুষ থাকে না। যে জাতি তাঁর পেছনের ইতিহাস ভুলে যায়, সে জাতি আর সভ্য থাকে না।
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

জিজ্ঞাসু এর ছবি

আমাদের সবারই বিশ্বমায়ের কাছে, বিশ্বের মানুষের কাছে যে ঋণ তা শোধ হবার নয়।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

রণদীপম বসু এর ছবি

সহমত।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

গল্পটা শুনে তো তার কাছে প্রত্যাশার ব্যারোমিটারটা একটু বেড়ে গেল।

রণদীপম বসু এর ছবি

আমরা তাঁর মতো ব্যক্তির কাছে প্রত্যাশা না করলে কার কাছে করবো !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আকতার আহমেদ এর ছবি

ভয়াবহ জীবন কাহিনী!
সংগ্রামী এই মানুষটার জন্য শ্রদ্ধা ও শুভ কামনা!

রণদীপম বসু এর ছবি

চলুক

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অনামিকা [অতিথি] এর ছবি

এরকম আটকে পড়া মেধাবী ছেলেদের জন্য আমরা কি কিছু করতে পারি না? বিশেষত আমরা যারা প্রবাসে থাকি এবং ডেশের জন্য কিছু করার জন্য ছটফট করি, তারা?

ভাল হয় আমরা যদি প্রত্যেকে এক বা একাধিক জনের পূর্ণ দ্বায়িত্ব গ্রহণ করতে পারি যাদের আমরা চিনব এবং পত্রমারফত যোগাযোগ রাখবো (এবং যাদের আমরা "শেষ পর্যন্ত" দেখবো --যদি মাঝখানে কোন কারণে অপারগ হই তাহলে অন্য কারও কাছে ডেলেগেট করা যেতে পারে , সেটা পরের ব্যাপার)।

আতিউর সাহেব আপনার বন্ধু বলে, রণদীপমদা আপনার প্রতি অনুরোধ উনার সাথেও আলাপ করবেন।

আইডিয়াটা মনে ধরলে, অনুরোধ, ধারণা ছুড়ুন !

রণদীপম বসু এর ছবি

অনামিকা, আপনার চমৎকার প্রস্তাবটাকে সাধুবাদ জানাই। সামর্থবান ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে এলে কিছু না কিছু তো হবেই।
তবে একটা বিষয় হয়তো আমি সঠিকভাবে বুঝাতে পারি নি, অথবা আপনি খেয়াল করেন নি যে, ড. আতিউর আমার বন্ধু এটা বলি নি আমি। বলেছিলাম, যে বন্ধুটি আমাকে এই আর্টিক্যালটা দিয়েছেন তাঁর নামও আতাউর রহমান।
ধন্যবাদ আপনাকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শামীম এর ছবি

এই কাহিনী আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।

মেইলে পড়ে চোখে পানি চলে এসেছিল। এখানে পড়েও আবার ... .... .....
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রণদীপম বসু এর ছবি

আমাদের ভেতর থেকে সেই বাঙালি আবেগটা এখনো শুকিয়ে যায় নি বলেই হযতো....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কিছু জীবন আবার আশাবাদী করে তোলে হতাশার দিনে

রণদীপম বসু এর ছবি

আমরা আশাবাদী হতে চাই.....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আনিস মাহমুদ এর ছবি

অসাধারণ!

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

রণদীপম বসু এর ছবি

সত্যিই তাই আনিস ভাই।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মামুন হক এর ছবি

চোখে পানি আসার মতই আবার সাহস যোগানোর মত ও।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

একদম একমত। বাজারের ঐ ১৫০টা টাকা যে জীবন দিয়েও শোধ করা যাবে না, ঐ টাকার আসল দরটা বুঝতে পেরেছেন বলেই তো তিনি এত নামি অর্থনীতিবিদ!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

রণদীপম বসু এর ছবি

অথচ আমরা অধিকাংশেই সেটা ভুলে যাই !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নীড় সন্ধানী এর ছবি

শেষ লাইনে এসে সত্যি চোখটা আদ্র হয়ে উঠেছে।

মানুষের জীবনটা কী অদ্ভুত। এক সেকেন্ডের একটা সিদ্ধান্ত একটা মানুষের গোটা জীবনকে বদলে দিতে পারে। ডঃ আতিউরের বই লেখা এত পড়েছি, কিন্তু তাঁর জীবনের এই কাহিনী প্রথম পড়লাম। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ রনদা।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

রণদীপম বসু এর ছবি

এক সেকেন্ডের একটা সিদ্ধান্ত একটা মানুষের গোটা জীবনকে বদলে দিতে পারে।

ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আমি এর ছবি

ডঃ আতিউর রহমান আমার খুবই প্রিয় একজন মানুষ। কলেজ জীবন থেকেই অর্থনীতি বিষয়ক ব্যাপারে উনার লেখা এবং বক্তব্য শুনেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর হিসাবে যোগদান করায় উনাকে শুভেচ্ছা জানাই।

উনার জীবন কাহিনী শুনে অনেকেই খুব অভিভুত হচ্ছেন। যদিও উনার এ জীবন সম্পর্কে আমি জানতাম না, তবে, ব্যাপারটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে (বৈশ্বিক প্রেক্ষিতেও) কী একেবারেই বিরল? অবশ্যই না। উনার মতো কষ্টে পিষ্ঠে বড় হওয়া মানুষ সবসময় ছিলেন, আশা করি থাকবেন। উনারাই সমাজের ব্যথা ভাল বোঝেন এবং সমাজের মঙ্গলের জন্য কাজ করেন।আজকের বিশ্বের যা কিছু মহত সৃষ্টি, তার সবকিছুর পেছনেই এরকম কিছু মানুষের অবদান পাওয়া যাবে, যারা তাদের প্রথম জীবনে ভয়াবহ কষ্ট করেছেন। আজকে যারা কষ্টে আছেন, তারা উনাকে দেখে অনুপ্রাণিত হতে পারেন।

ডঃ আতিউর এর একটা বিষয় খুব ভালো লাগে। উনি আপাদমস্তক দেশী এবং প্রচন্ড আশাবাদী একজন মানুষ। বাংলাদেশকে ঘিরেই উনার পেশা, শিক্ষা, কাজ, গবেষণা, আর ভবিষ্যত ভাবনা। উনি একটা সাক্ষাতকারে বলছিলেন, ব্যাংককে উনি একটা মানবিক চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কী সুন্দর ভাবনা?

গভর্নর হিসাবে উনার যাত্রা শুভ হউক, এই কামনাই করি।

রণদীপম বসু এর ছবি

চমৎকার বলেছেন আপনি ! ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ছাপার অক্ষরে যা লেখা থাকে, তা সবসময় সত্য নয়। অনেক সময় চাইলেও সত্যটাকে লেখা সম্ভবও না। মানুষ নিজের সম্পর্কে বলতে গেলে তাতে বক্তব্যের বস্তুনিষ্ঠতা রক্ষা করা অনেক কঠিন; কারণ, মানুষ নিজেকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে এবং বক্তব্যে তাই নিজের প্রতি মায়া জন্মানো বাক্য বা ঘটনার আধিক্য দেখা যায়।

জনাব আতিউর রহমানের কাহিনী অনেককে আত্মবিশ্বাস যোগাবে সন্দেহ নেই। তবে এমন ফাইটিং লাইফের কাহিনীকেও আমার কাছে বাড়তি তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তার সময়ে গ্রাম থেকে পড়াশুনা করা অধিকাংশ মানুষকেই এই সংগ্রামটা করতে হয়েছে, হয়তো অল্প বা বেশি মাত্রায় এখনো করতে হয়। তিনি বরং বলা যায় অনেক লাকি, ক্লাস সেভেন থেকে ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় পরবর্তী ধাপগুলো অনেক সহজ হয়ে গেছে। গ্রামের ওই স্কুলে থেকে মেট্রিক, তারপর কোনো কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট করে ভর্তিযুদ্ধে সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হওয়াটা আরো অনেক বন্ধুর পথ হতো নিঃসন্দেহে।

তিনি নিঃসন্দেহে মেধাবী। তবে জিপিএর আগের যুগে প্রত্যেক বছরেই প্রত্যেক শিক্ষাবোর্ডেই এমন কিছু মেধাবী ছেলে থাকতো, যারা ক্যাডেট কলেজে না গিয়েও বোর্ডে প্লেস করতো। কলেজে গিয়ে এদের কেউ কেউ 'নষ্ট' হয়ে গেলেও অধিকাংশেরই খোঁজ নিলে দেখা যাবে, তারা সফল। সুতরাং আতিউর রহমানের ঘটনাকে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

মূল বিচার হলো তিনি দেশের জন্য কি করতে পারবেন। দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে দেশকে কতোটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। আমরা ঘরপোঁড়া গরু, সিঁদুরে মেঘ দেখলে একটু ডরাই। এরকম আবেগ ঢালা বক্তব্যের পত্রিকা, ব্লগ ইমেইল গ্রুপে বহুল প্রচারটা কোনো স্ট্যান্টবাজি না হলেই ভালো। সৎ লোকের ইমেজ দাঁড় করানো গেলে তখন অনেক আকাম করাই সহজ হয়। আশাকরি, তার ক্ষেত্রে এমনটা হবে না। নিজের যোগ্যতাকে তিনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শামীম এর ছবি

মন্তব্যে উত্তম জাঝা!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

মাহফুজ [অতিথি] এর ছবি

আমার কাছে যিনি ফরোয়ার্ড করেছেন ঐ ই-মেল, তিনি মনেপ্রাণে অন্য ঘরানার। অধ্যাপক আতিউরের তুমুল জনপ্রিয়তা আর গ্রহণযোগ্যতার কারণেই হয়ত মিডিয়ায় এ কাহিনী দ্রুত ছড়িয়েছে। জনপ্রিয়তা নিশ্চয় এত সহজে আসেনি। অনেকেই হয়ত সফল কিন্তু আতিউর ক'জন? যারা জীবনে অনেক তেতো সংগ্রাম করেন তাদের প্রায় শতভাগই অতীতকে চাপা দেন, এবং হাবভাবটা এমন দাঁড়ায় যেন তারা বংশানুক্রমে বনেদী।

আতিউর অকপটে বলেছেন মূলত তাঁর বহুমাত্রিক ঋণের কথা। যারা সফল হয়েছেন তাঁদের যে অনেক ঋণ আছে কিছুটা শোধ করার মত, তা-ই তিনি কাহিনী বলে বোঝাতে চেয়েছেন। যারা বোঝার তারা নিশ্চয় বুঝেছেন। আর যারা এখনো বোঝেননি তারা হয়ত পরে বুঝবেন।

রণদীপম বসু এর ছবি

চলুক

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মাহফুজ ভাই,

ঘরানার ব্যাপারটা বুঝি নাই, তবে কাহিনী ছড়িয়ে পড়ার পিছনের কারণ তার তুমুল জনপ্রিয়তা বা গ্রহণযোগ্যতার চাইতে তেল চুপচুপে লেখাটাকেই বেশি যুক্তিসঙ্গত মনে হয়। অতীত জীবনের তেতো সংগ্রামকে ওই লেখায় তেতোভাবে উপস্থাপন করা হয় নি; বরং মাখন মাখিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। অতীত জীবনের তেতো দিকগুলো এমনকি তলস্তয়ও সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেন নাই। হাসি

যাহোক, লেখাটার বিষয়ে আরো কিছু মিসিং পয়েন্ট আছে, আমি আলাদা একটা পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করবো। তখন আপনার ইনপুট কাজে লাগবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আনিস মাহমুদ এর ছবি

@অছ্যুৎ বলাই
লক্ষ করেছি, সবসময়ই খুব নির্মোহ ভঙ্গিতে আপনি মন্তব্য করেন। এবারেও তাই। সহমত।

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আনিস ভাই, উৎসাহের জন্য অনেক ধন্যবাদ। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

Jyoti এর ছবি

Very interesting. Anyone can get motivated from this story.

রণদীপম বসু এর ছবি

সহমত জানাই।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমার মনটাই বুঝি কূটিল। ভাল-র মধ্যে আমি কু খুঁজি।
আতিউর রহমানের প্রতি আমার আকর্ষণ বাড়ে তাঁর বনেদি ফরসা আভিজাত্যময় চেহারা ও চলনের জন্য নয়, তাঁর রবীন্দ্রনাথের কোটেশন ব্যবহারের আতিশয্যের জন্যও নয়, তাঁর উন্নয়ন সমুন্বয় নামক এনজিও চালানোর জন্য তো নয়ই, এমনকি চর নিয়ে ১০৬ কোটি টাকার প্রজেক্ট চালানোর জন্যও নয়, কিংবা বড় অর্থনীতিবিদ হয়েও কদাচ দেশের অর্থনীতির বিপর্যয় কিংবা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক-আইএমএফ নিয়ে কোনো কথা না বলা, দেশের খনিজ খাতে মর্মান্তিক লুটপাট চলার বিরুদ্ধে একটা কলাম না লেখার সংযমের জন্যও নয়, কৃষি প্রশ্ন প্রসঙ্গে একটি প্রথম শ্রেণীর গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশই তাঁর প্রতি আমার বিনয় ও শ্রদ্ধার যৎসামান্য কারণ। ওটি ছিল তাঁর পিএইচডি থিসিস। এবং তিনি খুবই স্বীকার করতেন যে, থিসিসটি প্রণয়নে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের কাঁছে তিনি বিপুলভাবে কৃতজ্ঞ।

ওই বই পড়ে আমি ভুলে যাই, একবার আজকের কাগজ অফিস থেকে দুজন এক লিফটে নেমে দারিদ্র্য নিয়ে ওনার কিচু মোলায়েম কাতরতার পর বাচ্চাকে স্কুলে আনতে দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে সে আমলের (৬/৭ বছর আগে) ২০-৩০ লাখ টাকার পাজেরো না কি ছাই অতিকায় গাড়িতে করে চলে গেলেন। ওনার বাচ্চা তখন ঢাকার অভিজাততম বিদ্যালয়ে পড়ে। সে কি আর বাপের কষ্টে মানুষ হওয়ার মহত্ব বুঝবে? বুঝবো আমরা যারা, তাঁর কাছাকাছি মতো করেই বড় হয়েছি। সেদিন তিনি চলে গেলেন ভুস করে বাহারি গাড়িতে। আমি দেখলাম, বাংলাদেশের কৃষকের বন্ধু, গরিবের অর্থনীতিবিদ (ড. ইউনূসকেও মনে পড়ছে, আহা আমাদের সোনার ছেলে গরিবের ব্যাংকার!!!) কেমন গরিবের প্রতি মমতা নিয়ে রাজপথ দিয়ে রাজার মতো চলে যাচ্ছেন।

পরে জেনেছি, ওই গাড়ি এসেছে চরাঞ্চলের দারিদ্র্য নিয়ে ওনার ১০৬ কোটি টাকার প্রকল্পের ফজিলত হিসেবে। তারপরও কয়েকবার তাঁর সাক্ষাত লাভ করেছি তাঁর অফিসে। সাক্ষাতকার নিয়েছি। জেনেছি এই সাবেক বামপন্থি কত কত দেশে গিয়েছেন। দেখেছি, কীভাবে সাক্ষাতকার দিতে দিতে নানান টেন্ডার (প্রকল্প পাবার) ড্রাফট এর খসড়া দেখে দিচ্ছেন। আরো কত কী? তবে আমার যে দুটি বন্ধু ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, তাঁরা মরিয়া হয়ে চাকরি খুঁজতেন, কারণ গরিবের বন্ধু তাদের অতি সামান্য বেতন দিয়ে বাকি অর্থ গরিবের সেবায় দিতেন।

সেই তিনি আইএমএফ চালিত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হয়েছেন। আশা করি, যে তিনি আইএমএফ-এর অর্থনৈতিক নীতির সমালোচক ছিলেন তারুণ্যে এই পরিণত বয়সে বাংলাদেশে ব্যাংক চত্বর দিয়ে সেখানে একটি বড় অফিস নিয়ে তদারকি করা আইএমএফকে তিনি কীভাবে মোকাবেলা করেন।

আমি অন্তর থেকে আনন্দিত। গরীবদের কিছু না হোক গরিবের সন্তানই তো রাজা হলো? তাঁকে অভিনন্দন। আওয়ামী লীগকেও অভিনন্দন, তাঁরা কোনো তৃতীয় শ্রেণীর আমলাকে না দিয়ে একজন নমনীয় চক্ষুলজ্জাসম্পন্ন ঠিকাদারি গবেষককে পদটি দিয়েছে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

মাহফুজ [অতিথি] এর ছবি

প্রচুর ভুল আছে। যেমন:

১. উন্নয়ন সমুন্বয়
২. চর নিয়ে ১০৬ কোটি টাকার প্রজেক্ট
৩. সে আমলের (৬/৭ বছর আগে) ২০-৩০ লাখ টাকার পাজেরো
৪. ওই গাড়ি এসেছে চরাঞ্চলের দারিদ্র্য নিয়ে ওনার ১০৬ কোটি টাকার প্রকল্পের ফজিলত হিসেবে

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

ভুল যে, তা প্রমাণ দিতে হবে না?

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

সত্য, কিন্তু সেই হিসাবে অভিযোগগুলোরও তো প্রমাণ দরকার?
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

মাহফুজ [অতিথি] এর ছবি

অবশ্যই ভুল।

প্রথমত, "উন্নয়ন সমুন্বয়" নামে কোন সংগঠন নেই। আছে "সমুন্নয়", যার মানে অগ্র পদক্ষেপ। আর "উন্নয়ন সমন্বয়"। বিস্তারিত ব্যাখ্যায় না গেলাম। ভুলটা ছোট, কিন্তু খুনীরা প্রথমে কচু কাটে, এরপর কাটে মানুষের গলা।

কৈফিয়ত ১. চর নিয়ে ১০৬ কোটি টাকার প্রজেক্ট

প্রকল্পটি'র মোট অর্থ সেরকম হলেও এখানে "এক সের চালের ক্ষীর আর আশি হাজার পীর"। উন্নয়ন সমন্বয়ের কপালে তাই পড়েছে সামান্য, যদিও প্রকল্পের এডভোকেসি পার্টনার হিসেবে তার কাজ সনাতন হিন্দু পরিবারের বিধবা পিসির মতই ভোর থেকে গভীর রাত অবধি।

কৈফিয়ত ২. সে আমলের (৬/৭ বছর আগে) ২০-৩০ লাখ টাকার পাজেরো না কি ছাই অতিকায় গাড়িতে ... ওই গাড়ি এসেছে চরাঞ্চলের দারিদ্র্য নিয়ে ওনার ১০৬ কোটি টাকার প্রকল্পের ফজিলত হিসেবে

গাড়িটি একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, ওপরে চকচক করলেও ভেতরে যায় যায় দিন। ২০০৫ সালে সিরাজগঞ্জ থেকে অফিসের লোকজন ফেরার পথে গাড়িটি মারাত্মক দুর্ঘটনায় পড়ে, যাত্রীরা প্রাণে বেঁচে যান। এর পরের বছরের শেষ দিকে চর প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। মানে পরিষ্কার: গাড়িটা ঐ প্রকল্পের ফজিলত নয়। অনেক আগে তার প্রতিষ্ঠান সরকার-ইউএনডিপি'র একটি যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়ে। ফলে দুর্গম এলাকার বাহন হিসেবে ঐ গাড়ি, কাজের সুবিধের জন্য একটি উন্নত ফটোকপিয়ার আর তিনটি ভাল কম্পিউটার পায়। গাড়িটি অফিসের, পিয়ন থেকে শুরু করে সকলে প্রয়োজনমত ব্যবহার করতে পারেন।

কৈফিয়ত ৩. ওনার বাচ্চা তখন ঢাকার অভিজাততম বিদ্যালয়ে পড়ে

হ্যাঁ, তিনি নিজে যদি সেই আমলে অভিজাত মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজে পড়ে থাকেন তাহলে তার মেয়ের ভিকারুন্নেসা প্রভৃতি বিদ্যালয়ে পড়লে অসুবিধে কোথায়? হ্যাঁ, তিনি ভুস করে চলে গেলেন কারণ সারা দিনরাতের মধ্যে তার ছোট মেয়েটিকে শুধু স্কুলে রাখা আর নিয়ে আসার সময়টুকুই দিতে পারেন। আর কি তার ফুরসত্ আছে?

কৈফিয়ত ৪. জেনেছি এই সাবেক বামপন্থি কত কত দেশে গিয়েছেন

গেছেন বটে, তবে সেমিনার-কনফারেন্সে প্রবন্ধ পাঠ করতে, নয়ত ভিজিটিং প্রফেসর/স্কলার হিসেবে। গায়ে হাওয়া লাগাতে নয়।

কৈফিয়ত ৫. দেখেছি, কীভাবে সাক্ষাতকার দিতে দিতে নানান টেন্ডার (প্রকল্প পাবার) ড্রাফট এর খসড়া দেখে দিচ্ছেন

তিনি কি গোপন করেছেন কিছু? ওসব করে কত মানুষের ভাতের ব্যবস্থা করেছেন তার খবর রেখেছে কেউ? আর বিনিময়ে তাদের বেশিরভাগের নিম্নমানের কাজ স্পন্সরদের কাছে জমা দিয়ে কত গঞ্জনা-অপবাদ মাথা পেতে নিতে হয়েছে, কতরাত তার মুখে ভাত ওঠেনি, তিনি ঘুমাতে পারেননি তা কেউ জানেন না।

কৈফিয়ত ৬. আমি দেখলাম, বাংলাদেশের কৃষকের বন্ধু, গরিবের অর্থনীতিবিদ (ড. ইউনূসকেও মনে পড়ছে, আহা আমাদের সোনার ছেলে গরিবের ব্যাংকার!!!) কেমন গরিবের প্রতি মমতা নিয়ে রাজপথ দিয়ে রাজার মতো চলে যাচ্ছেন

কেউ কি দেখল, গাড়ির পেছনে তিন সিট। তবু তিনি পিয়নকে পাশে বসিয়ে, নিজে বাঁকা-কুঁজো হয়ে চারজন চলে গেলেন গন্তব্যে। তাঁর পিঠে-কোমড়ে জটিল সমস্যা, অপারেশন হয়েছে, ডাক্তারের নিষেধ আছে, তবু।

কৈফিয়ত ৭. তবে আমার যে দুটি বন্ধু ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, তাঁরা মরিয়া হয়ে চাকরি খুঁজতেন, কারণ গরিবের বন্ধু তাদের অতি সামান্য বেতন দিয়ে ...

আমি নিশ্চিত বলতে পারি, ওই দুই বন্ধু গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজের অনুপযুক্ত। তাঁর প্রতিষ্ঠানে উপযুক্তরা সবসময়ই যোগ্যতার চাইতে বেশি পয়সা পেয়ে থাকেন।

কৈফিয়ত ৮. কৃষি প্রশ্ন প্রসঙ্গে একটি প্রথম শ্রেণীর গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশই তাঁর প্রতি আমার বিনয় ও শ্রদ্ধার যত্ সামান্য কারণ।

তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে আসে যখন দেখি এতগুলো পরিবারের চাল-ডাল জুটিয়ে দেবার ঠিকাদারি কাজের পাশাপাশি রাত জেগে বিল ডাকাতিয়ার উন্নয়ন বিপর্যয় নিয়ে ইংরেজিতে প্রথম শ্রেণীর বই লেখেন। হাতে কলমে দেখিয়ে দেন যে, গ্রামীণ, ব্র্যাক, আশা
এরা চরম দরিদ্রদের কাছে পৌঁছে না। নামমাত্র পয়সায় গবেষণা সীমান্ত স্মাগলিং-এর অবিশ্বাস্য করুণ কাহিনী তুলে আনেন।

মাথা নুয়ে আসে আরো অনেক কিছুতে। তবে তা দূরে থেকে। হয়ত লজ্জায়। আমিই একমাত্র তাঁর মুখের ওপর সমালোচনা করেছি। সমালোচকই তো প্রকৃত বন্ধু।

ঠোঁটকাটা এর ছবি

ওই দুই বন্ধু গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজের অনুপযুক্ত। তাঁর প্রতিষ্ঠানে উপযুক্তরা সবসময়ই যোগ্যতার চাইতে বেশি পয়সা পেয়ে থাকেন।

আহ্লাদের টানে একটু বেশিই বলে ফেলছেন বোধহয়। প্রথমত যোগ্যতার চেয়ে বেশি বেতন দিলেই এরকম মন্তব্যের মাধ্যমে যে তার প্রতিদান দিতে হবে এমনটা যদি রীতি হয় তবে প্রশ্ন থাকে বৈকি। দুষ্টুলোকে ভেবে বসতে পারে এই বেশি বেতনটা এই রকম প্রতিদানের জন্য নয়ত?

শুনেছি চাঁদে কলঙ্ক থাকে। ব্যপারটা সেরকমই থাকুক। আতিউর রহমানকে এই ভাবে ছোট করাটা ঠিক কৃতজ্ঞতার কাতারে পড়ছে না। মানবকে অতিমানব করার চেষ্টায় অযথা তাঁকে ছোট করবেন না। পৃথিবীটা খুব বড় নয়। অন্তর্জালের কল্যাবে আপনার এমন মন্তব্য পৃথিবীর দূরপ্রান্ত থেকেও লোকে পড়ছে সেটা ভুলে যাবেন না।

তাঁর প্রতিষ্ঠানে অল্পসময়ের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কিছু লোক মাথাটাকে বেশি নোয়াতে গিয়ে 'সমুন্নয়ের' বারটা বাজিয়েছে। এদের জন্যই প্রতিষ্ঠানটি তার সম্ভাবনার সিকিভাগও বাস্তবে কাজে লাগাতে পারেনি। আশা করি আপনি সেই মাথা ঝোঁকানদের দলের নন। আতিউর রহমানের জন্য শুভকামনা থাকল। তাঁর মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে এটা আমি বিশ্বাস করি এবং দেখতে চাই আমার মত এমন হাজারো মানুষের বিশ্বাসের মর্যাদা তিনি রাখুন।

মাহফুজ [অতিথি] এর ছবি

১. আহ্লাদের টানে একটু বেশিই বলে ফেলছেন বোধহয়।

একটুও বেশি বলা হয়নি বরং অনেক কম বলা হয়েছে।

২. যোগ্যতার চেয়ে বেশি বেতন দিলেই এরকম মন্তব্যের মাধ্যমে যে তার প্রতিদান দিতে হবে এমনটা যদি রীতি হয় তবে প্রশ্ন থাকে বৈকি

কে কতটুকু পেয়েছেন এবং কেন পেয়েছেন তা নিজের কাছে প্রশ্ন করলেই পরিষ্কার হবে। আত্মবিশ্লেষণ/আত্মসমালোচনার চাইতে বিকল্প ভালো পদ্ধতি কি আর আছে?

৩. দুষ্টুলোকে ভেবে বসতে পারে এই বেশি বেতনটা এই রকম প্রতিদানের জন্য নয়ত?

দুষ্টুলোকে আরো অনেক কিছুই ভাবতে পারেন, ভাবনাটা ব্যক্তিগত মৌলিক অধিকারের পর্যায়ে পড়ে। আমার অধিকার এবং তা প্রকাশের অধিকারে নাক গলানোটাও নিশ্চয় দুষ্টলোকের অধিকারের পর্যায়ে পড়ে না।

৪. শুনেছি চাঁদে কলঙ্ক থাকে...

আমি দেখেছিও বটে এবং হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি কলঙ্ক কাকে বলে। কলঙ্ক সাফ করারও দায়িত্ব থাকে, এবং তাতে অংশ নিলে কিছু বলা ও পরামর্শ দেবার অধিকার থাকে।

৫. আতিউর রহমানকে এই ভাবে ছোট করাটা ঠিক কৃতজ্ঞতার কাতারে পড়ছে না। মানবকে অতিমানব করার চেষ্টায় অযথা তাঁকে ছোট করবেন না ...

আপনি আমার কোন বাক্য বা শব্দে কৃতজ্ঞতার গন্ধ পেলেন দয়া করে নির্দিষ্ট করে বলবেন? আমি দেখেছি অতি সামান্য, এবং সেখান থেকে খুব অল্প বলেছি। তিনি তো মানুষই, তাঁকে কোথাও অতিমানব ও পরম পূজনীয় বলিনি। বলিও নি যে তাঁকে
অনুসরণ করতে হবে, তাঁর সংগ্রামের কাহিনী পড়ে উজ্জীবিত হতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সঙ্গে আমার দ্বিমতই বেশি তা তিনি নিজেও অনেকদিন ধরে জানেন, তাই বলে তাঁর ভালো কিছু বলতে পারব না এটা কোন যুক্তি?

৬. তাঁর প্রতিষ্ঠানে অল্পসময়ের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ...

অল্পসময়ের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে অর্থপূর্ণ কিছুই বলা যায় না।

৭. কিছু লোক মাথাটাকে বেশি নোয়াতে গিয়ে 'সমুন্নয়ের' বারটা বাজিয়েছে ... ইত্যাদি ইত্যাদি

ওইসব "হানি-সিকার" আগে ছিল, এখনো আছে। তবে "সমুন্নয়ে" তাদের প্রভাব শতকরা পাঁচ ভাগেরও কম। আর যে তিনটি কাজের উল্লেখ করে মাথা নোয়ানোর কথা বলেছি সেগুলো সত্যি অত্যন্ত উঁচুমানের, যেগুলো অধ্যাপক আতিউর বিআইডিএস-এ বসে করেছিলেন।

তবে সমুন্নয়ে গত কয়েক বছরে বেশকিছু ভাল গবেষণা হয়েছে যা দেশের অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দামের সাম্প্রতিক নিম্নগতি সমুন্নয়ের একটি গবেষণার ফসল, সরকার কাজে লাগিয়েছে। বেশ কিছু মাথা না নোয়ানো তরুণ মেধাবী গবেষক এ কাজে করেছেন, যার সুফল পাচ্ছেন দেশের সবাই। খোঁজ নিয়ে দেখে কথা বলুন।

ঠোঁটকাটা এর ছবি

একটুও বেশি বলা হয়নি বরং অনেক কম বলা হয়েছে

চমৎকার! চালিয়ে যান।

দামের সাম্প্রতিক নিম্নগতি সমুন্নয়ের একটি গবেষণার ফসল, সরকার কাজে লাগিয়েছে।

বেশ ধাঁধায় পড়ে গেলাম এই কথা শুনে। একটু কি ব্যাখ্যা করতে পারেন এই আলাদিনের চেরাগ কিভাবে কাজ করল? আমি অর্থনীতির কিছু অতি সাধারন ছাত্রকে চিনি যারা অর্থনীতির কিছু সহজ মৌলনীতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিল রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর দ্রব্যমূল্য নিম্নগামী হবে। বিশেষ করে বাজার ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রনের মাত্রা কমে গিয়ে এমনটা হবে এটাই তাদের বক্তব্য ছিল। পরে যখন ব্যপারটা ঘটল ভাবলাম বাহ! ছোকড়াদের অর্থনীতির জ্ঞানতো বেশ পোক্ত। তাদের মতে মূলধারার [(neo)classical/keynesian] অর্থনীতির যেকোন বইয়ের প্রথমদিকের কিছু অধ্যায়ের ওপর চোখ বোলালেই নাকি এর সমর্থন পাওয়া যায়।

সম্প্রতি পর পর দুই সেমিস্টার আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ক্লাসে Micro-economics পড়াতে হয়েছিল। তখন এইসব বিষয় আবার একটু ঝালিয়ে নেবার সুযোগ পাই। সেখানেও দেখি বইগুলোতে একই রকমের কথা লেখা।

গতবছর প্রথম আলোতে আসজাদুল কিবরিয়া ভাইয়ের একটি লেখা পড়লাম। সেখানেও ফখরুদ্দিনের সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রনের ভুলগুলোকে নিয়ে লেখা পড়ার সময়ে মনে হচ্ছিল, স্বভাবতই রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা আসলে পরিস্থিতির প্রভুত উন্নুতি হবে। সেসময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনের চেষ্টায় বাজার নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে বরং তার ফল হিসাবে মূল্য বেড়েই যাচ্ছিল।

যাই হোক সমুন্নয়ের সাম্প্রতিক গবেষনার বিষয়টি জানা ছিলনা। একটু যদি মূল পয়েন্টটা ধরিয়ে দিতেন খুব কৃতজ্ঞ হতাম। আশাকরি এথেকে কিছু নতুন কিছু শিখতে পারব।

অল্পসময়ের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে অর্থপূর্ণ কিছুই বলা যায় না

আগের দিনে বয়স্করা বলতেন "আমি বয়সে বড়, ফলে তোমার চেয়ে বেশি জানি কাজেই তর্ক কোরো না"। এখন এধরনের কথা বলার হার সম্প্রতি কমে গেছে; উত্তরাধুনিকতার বাতাস; কি আর করা বলুন! তবে আপনার এই মন্তব্য শুনে কেন যেন কথাটা আবার মনে পড়ল।

মাহফুজ [অতিথি] এর ছবি

১. চমৎকার! চালিয়ে যান

আপনিও চালিয়ে যান। নিজের সম্ভাবনার পঁচাত্তর ভাগের বেশি ব্যবহার করে সমুন্নয়ের দিকে তাঁকান, দেখুন কি করে কি হয়।

২. আমি অর্থনীতির কিছু অতি সাধারন ছাত্রকে চিনি যারা অর্থনীতির কিছু সহজ মৌলনীতির দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিল রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর দ্রব্যমূল্য নিম্নগামী হবে ...

রাজনৈতিক সরকার তো আগেও ছিল, তাহলে ২০০২ সাল থেকে কনস্যুমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই) বাড়তে শুরু করল কিভাবে? ১/১১-এর মাসতিনেক পর সমুন্নয় নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে মূল্যষ্ফীতির কারণ অনুসন্ধানে নেমেছিল। খাতুনগঞ্জ থেকে শুরু করে কোথায় যায়নি সমুন্নয়? দেখেছে, মার্কেটিং চ্যানেলের পদে পদে কত ভয়ঙ্কর রকমের সিন্ডিকেশন, অদক্ষতা আর অসংগতি, যেগুলো আগের রাজনৈতিক সরকার নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধের জন্য করে রেখে গেছে। বর্তমান সরকারের কৃষি, খাদ্য আর বাণিজ্যমন্ত্রী সমুন্নয়ের ঐ গবেষণার ফলাফলগুলো পাঠ করেছেন, নিজেরা সেমিনারে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা-ও করেছেন। ফলে তাঁদের পক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দাম নামিয়ে আনা কঠিন হয়নি। মার্চে সিপিআই ৫.৪-এ নেমে আসে। তাই রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর-এর অর্থনৈতিক নিয়মে দাম নেমে আসেনি।

আমি অর্থনীতির সাধারণের চেয়েও নিচুমানের ছাত্র। তবে এটুকু বুঝি, ঢালাওভাবে নর্থামেরিকার আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ক্লাসের জ্ঞান দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ব্যাখ্যা করা যায় না। কোর্সওয়ার্ক ছেড়ে দিয়ে সরাসরি থিসিসের ময়দানে নামা চাই।

৩. অল্পসময়ের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে অর্থপূর্ণ কিছুই বলা যায় না

আরেকবার জোর দিয়েই বলছি। বুঝে নেবেন, বোঝার জন্য ইশারা-ই যথেষ্ট নয় কি? না হলে এমআইটি-র অধ্যাপক উলরিজের "ইকনমেট্রিক অন্যালিসিস অব ক্রস সেকশন এন্ড প্যানেল ডেটা" পড়ুন। বইটি যথেষ্ট নয় তবে কোনকিছু ভালভাবে বোঝা আর মন্তব্য করার জন্য লম্বা সময় কেন জরুরি তা বলা আছে। কোথাও আটকে গেলে জায়গায় বসে আওয়াজ দিতে ভুলবেন না। পিটার এগারের একটি আর্টিকেলও পাঠিয়ে দেব।

ঠোঁটকাটা এর ছবি

মার্চে সিপিআই ৫.৪-এ নেমে আসে

আপনি বোধহয় সিপিআই গ্রোথএর কথা বলতে চেয়েছেন। অর্থনীতিবিদেরা যদি এইসব টার্ম আরো যত্নের সাথে ব্যবহার করেন আমাদের মত সাধারন লোকেদের বুঝতে সুবিধা হয়। সিপিআই ৫.৪-এ নেমে আসাটা সুস্থতা/স্বাভাবিকতার লক্ষন হত না।

তাই রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় আসার পর-এর অর্থনৈতিক নিয়মে দাম নেমে আসেনি।

Wooldridge সাহেবের Econometrics পড়ার পরতো এত সহজে এই কথা বলতে পারার কথা নয়। বিশেষ করে করে আমি দাম কমার পেছনে যেই ব্যখ্যাটি উল্লেখ করলাম তার ভিত্তিতে যদি একটি Fixed effect model দাড় করান তাহলে যে তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল পাওয়া যাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। মনে হচ্ছে panel data আপনার প্রিয় data structure. তাই যদি হয় তাহলে আপনার স্পেসিফিকেশনে শুধু বাংলাদেশ নয় আরো কিছু দেশকে এই মডেলে আপনি যোগ করতে পারবেন। Fixed effect ইম্পলিমেন্ট করার জন্য একটা time dummy ব্যবহার করুন। আমার কাছে data নেই; থাকলে আপনাকে রেসাল্ট জানাতে পারতাম। আশাকরি statistics এর নিয়মগুলো বাংলাদেশেও একই রকম।

মার্কেটিং চ্যানেলের পদে পদে কত ভয়ঙ্কর রকমের সিন্ডিকেশন, অদক্ষতা আর অসংগতি, যেগুলো আগের রাজনৈতিক সরকার নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধের জন্য করে রেখে গেছে।

তার মানে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা সমাধান হয়ে গেছে! যদি তা হয়ে থাকে এই খবর দেশের সবার জানা উচিত। কারন এত অল্প সময়ে সরকার যদি কোন ঊচ্চবাচ্চ না করেই এত বড় ব্যপরটি করে থাকতে পারেন সেই ঐতিহাসিক ব্যপারটি সবার জানা উচিৎ। আর এটা কিভাবে করা গেল (এত অল্পসময়ে) সেটা যদি সমুন্নয়ের গবেষনা রিপোর্টে থেকে থাকে তাহলে বলি তার একটি সারমর্মও যদি পাওয়া যেত তো বেশ উপকৃত হতাম।

সিন্ডিকেশন নিয়ে ফখরুদ্দিন সাহেবের সময়েও অনেক কথা হয়েছে এবং এটা নিয়ে অনেক কাজও তারা করেছেন যা কোন কাজে আসেনি - অর্থনিতির নিয়ম মেনেই। আমার আগের মন্তব্যে এর উল্লেখ দেখতে পাবেন। কিবরিয়া ভাইয়ের আর্টিকেলও তাই বলে। সত্যি বলতে গেলে এই সিন্ডিকেট ব্যপারটি নতুন কোন প্রপ্তি নয়। সেই ক্ষেত্রে সমুন্নয়ের গবেষনায় নতুন কি পাওয়া গেল তা জানাবেন দয়া করে। আপনার বক্তব্যে নতুন কিছু পাব আশা করেছিলাম।

ঢালাওভাবে নর্থামেরিকার আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ক্লাসের জ্ঞান দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ব্যাখ্যা করা যায় না

সহমত। তবে ঘাটতিটা আপনি কিভাবে পুরন করছেন সেটা কিন্ত এখনও দেখতে পাইনি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়েও কিন্তু অর্থনীতিতে পশ্চিমা টেক্সটই বেশি পড়ান হয়। আর দেখুন ইশারা দেবার নাম করে আপনিও সেই পশ্চিমা টেক্সটের রেফারেন্সই দিলেন। কপাল!

কোর্সওয়ার্ক ছেড়ে দিয়ে সরাসরি থিসিসের ময়দানে নামা চাই

চেষ্টা করছি দোয়া রাখবেন।

wooldridge সাহেবের বইটির টাইটেল যদি লক্ষ্য করেন এতে সরাসরি দুই ধরনের data structure এর কথা উল্লেখ করা আছে। cross section er ক্ষেত্রে time series data ছাড়াও তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া যায়। অবশ্য যদি আপনি বলেন যে আগের চেয়ে সমুন্নয়ের কাজের মান এখন অনেক ভাল তবে বলব এই বিষয়ে আমার কাছে যথেষ্ট তথ্য নেই। আমি কয়েক বছর আগের কথা বলছি। আর আমার cross section dimension এ data point কম ছিল না। কাজেই সেই ক্ষেত্রে Econometrics এর দিক থেকে কোন সমস্যা নেই। যদি Time dimension আপনার কাছে বেশি পছন্দের হয় তবে Hamilton সাহেবের বইটি নিশ্চই আপনার পছন্দের। সমুন্নয়ের লাইব্রেরিতে না থাকলে জোগার করে রাখতে পারেন (যদি এর মধ্যেই না থেকে থাকে)। আশা করি time series and panel data স্ট্রাকচারের সীমাবদ্ধতাও মনে রেখেই wooldridge সাহেবের বইটি পড়ছেন। wooldridge এর পাশাপাশি greene এর বইটিও মাঝে মাঝে দেখবেন। Econometrician দের বেশিরভাগই এই বইটিকে বেশি কদর করেন। wooldridge সাহেবের বইটিও অবশ্য খারাপ নয়। cross section data -এর জন্য ভাল।

বোঝার জন্য ইশারা-ই যথেষ্ট নয় কি?

অবশ্যই! যদি ইশারা সেই রকমের হয়।
অথবা যাকে বলছেন তারোত সমঝদার হওয়া চাই।

কোথাও আটকে গেলে জায়গায় বসে আওয়াজ দিতে ভুলবেন না

সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এত ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে সাহায্য করতে চান। জবাব নেই। তবে অর্থনীতির টার্ম এবং ধারনাগুলো প্রয়োগে যদি আরেকটু যত্নবান হতেন আস্থার বেরোমিটারটা আরেকটু ওপরে থাকত। আপাতত মূল্য ব্যবস্থাপনায় কি কৌশল নিলেন সেটা একটু পরিষ্কার করবেন। আপনার মত উচ্চমান গবেষকের কাছ থেকে নতুন কিছু জানতে চাই।

মাহফুজ [অতিথি] এর ছবি

আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ওটা আরো কম, ৫.০৪। টাইপো ক্ষমার্হ।

... তার ভিত্তিতে যদি একটি Fixed effect model দাড় করান তাহলে যে তাৎপর্যপূর্ণ ফলাফল ... ইত্যাদি

সাবাশ! তবে চট করে ফিক্সড ইফেক্টে ঢুকে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আগে টি<এন কিনা তা দেখতে হয়, তারপর হাউসম্যান, হোন্ডা, ব্যালট্যাগি আর বেরা টেস্টগুলো করলেই তো বলা যায় ফিক্সড ইফেক্টে কনসিস্টেন্ট প্যারামিটার এস্টিমেটস আসে, নাকি রেন্ডম ইফেক্টে। আর কান্ট্রি-স্পেসিফিক আনঅবসার্ভড ইফেক্ট যদি এক্স ভ্যারিয়েবলের সাথে কোরিলেটেড হয় তাহলে সেরেছে। রেন্ডম ইফেক্ট কনসিস্টেন্ট হলেও নো লঙার ভ্যালিড, য়্যু হ্যভ টু গোয় ফর অ্যামেমিয়া-ম্যাকার্ডি।

সত্যি বলতে গেলে এই সিন্ডিকেট ব্যপারটি নতুন কোন প্রপ্তি নয়

সিন্ডিকেশন আবিষ্কার নয়, বরং এর ন্যাচার এবং এক্সটেন্ট বের করা সমুন্নয়ে মূল কাজ ছিল। যেমন ধরুন, দিনাজপুরে মাঠপর্যায়ে কৃষক থেকে ঢাকার পাইকারি বাবুবাজার পর্যন্ত চাল আসার পথে দাম বৃদ্ধিতে কার কতটুকু ভূমিকা আছে তা দেখা। এডিবল অয়েল জাহাজ থেকে আনলোড করার পর আমদানি খরচ কত পড়ে, আর তা ঢাকা আসতে২ কত দাম হয় তা দেখা। এই ট্র্যাকিঙ-এর ফলাফল সাংবাদিক কিবরিয়া পাঠ করেছেন। ফ্যাক্স আকারে সমুন্নয়ের সুপারিশগুলো অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও কে শোনে কার কথা? মির্জা আজিজ তখন সিপিডি'র রিপোর্ট নিয়ে ব্যস্ত কারণ সরকার সিপিডি'তে অনেক পয়সা ঢেলেছে মূল্যষ্ফীতির কারণ বের করার।

আমি কয়েক বছর আগের কথা বলছি

কয়েক বছরে পৃথিবী নিজে অনেকবার ঘূর্ণনের মধ্যে ছিল। এই ফাঁকে সমুন্নয় নিজেকে অনেকটা ঋদ্ধ করেছে। বাংলাদেশ ইকনমিক আউটলুক এখন বেরুচ্ছে তিনমাস পরপর সমুন্নয় থেকে। আশাকরি সমুন্নয়ে আপনার সামান্য সময়ের সংশ্লিষ্টতার থ্রেড ধরে পাবলিকেশনটিকে নিজের মনে করে ডাউনলোড করবেন।

wooldridge এর পাশাপাশি greene এর বইটিও মাঝে মাঝে দেখবেন। Econometrician দের বেশিরভাগই এই বইটিকে বেশি কদর করেন

খাসা বলেছেন। তবে গৃন পড়ানো হয় গ্রাজুয়েট ইকনমেট্রিক্স-এর ফার্স্ট সেমিস্টারে, আর উলরিজ সেকেন্ড সেমিস্টারে। আপনার হাবভাব দেখে অ্যাডভান্সড রেফারেন্সই দিয়েছি। ভুল হলে নিজগুণে ক্ষমা করবেন।

আপনার মত উচ্চমান গবেষকের কাছ থেকে

আমি উচ্চমান সহকারী, সাধারণের চেয়ে নিচুমানের ছাত্র। গবেষক তো আপনারা!

ঢালাওভাবে নর্থামেরিকার আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ক্লাসের জ্ঞান দিয়ে ...

ওই গবেষণার একপর্যায়ে আকবর আলি খানের সাথে সমুন্নয়ের ঘরোয়া আলাপ হচ্ছিল। তিনি আপনার মত তাঁর আন্ডারগ্র্যাডের কথা তুললেন। সমুন্নয় বলল প্রাইস কমিশনের কথা। তিনি কড়াকড়িভাবে বাজারের শক্তির পক্ষপাতি।

ভাল কথা। সরকার সম্ভবত শিগগির প্রাইস কমিশন করছে।

তার মানে এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা সমাধান হয়ে গেছে! যদি তা হয়ে থাকে এই খবর দেশের সবার জানা উচিত।

আপনি যদি নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঘটনাগুলো খেয়াল করেন তাহলে সহজেই বুঝবেন কি করে কি হল।

ঘটা করে প্রচারে কৃতিত্ব নেই। কৃতিত্ব মুখ বুজে কাজ করে যাওয়ায়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আগ্রহ নিয়ে অনুসরণ করছি এই বচসা। হাসি

শিখছি মাঝে মাঝে, হারিয়ে যাচ্ছি কোথাও কোথাও, কোথাও আবার ভয় পেয়ে যাচ্ছি "এই লেগে গেল রে!" ভেবে। খাইছে

দু'জনের কাছেই একটা আর্জি আছে। অর্থনীতির অনেক টুকিটাকি উঠে আসছে আপনাদের মন্তব্যে। বিভিন্ন রকম প্রচলিত মডেলের তুলনামূলক চিত্রও আসছে। আপনাদের মতামত ও বিশ্লেষণ নিয়ে একটি করে বিস্তারিত লেখা দিতে পারেন? আমার মত পাঠকের উপকার হত খুব।

মাহফুজ [অতিথি] এর ছবি

বসচা কোথায়? তিনি অ্যাটাকিং আর আমি ডিফেন্সিভ। নিধিরাম সর্দারের বাঁচতে হবে তো!

শিখছি মাঝে মাঝে, হারিয়ে যাচ্ছি কোথাও কোথাও, কোথাও আবার ভয় পেয়ে যাচ্ছি

আমার বিদ্যাটা অল্প বলে এর চেহারা এত ভয়ঙ্কর ...

আমার মত পাঠকের উপকার হত খুব

ইঞ্জিনিয়ার সাহেব বাজারের ভেতর ঢুকলে মার্কেট ইঞ্জিনিয়ারিং শুরু হতে পারে, আর ক্রেতা-বিক্রেতারাও শক খেতে পারেন...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

উহু, এসবে ভুলছি না। ঠিকঠাক পোস্ট চাই। সেখানেই ঝনঝনানি হবে। চোখ টিপি

এই ইঞ্জিনিয়ার দুর্মূল্যের বাজারে এতটাই হতশ্রী যে তার কাছ থেকে ভয়ের কোনই কারণ নেই। নখ-দাঁত-ঢাল-তলোয়ার সব গত, শুধু কনভিনিয়েন্ট স্টোরের ডিসকাউন্ট কার্ডটুকু সম্বল। মন খারাপ

মাহফুজ [অতিথি] এর ছবি

ডিসেম্বর অবধি বেশ যন্ত্রণা আছে ভ্রাত। আশাকরি জানুয়ারি থেকে জানান দিতে পারব। সে পর্যন্ত ধৈয্য ধরতে আজ্ঞা হয়।

ঠোঁটকাটা এর ছবি

@ভাই ইশতিঃ দেখছেন না আমি বারবার আন্ডারগ্রাডের বিদ্যা ছাড়ছি। ওইটুকু পর্যন্ত আমার দৌড়। আমার একটি বদভ্যাস হল, রথি মহারথিদের ঘাম ঝড়ান। তার অনেক সময়ে বিনয়ের বশে আমার কথাকে বেশ গুরুত্ব দেন; মাঝে মাঝে বেশ সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেন। এতে তাদের চেয়ে আমার উপকারটাই বেশি হয়। তাই এই বচসায় অংশ নেয়া। তবে যা বুঝি তা নিয়ে কিছু একটা লেখা কোন সময় দেবার চেষ্টা করব। জানানোর দুঃসাহসে নয় বরং জানার সুযোগ কাজে লাগাতে। সচলে তো যাচ্ছেতাই লেখা যায় না, তাই বেশ সমীহ করে চলি; লেখার আগে একটু বুঝে নেবার চেষ্টা করি।

@মাহফুজ ভাইঃ

উদ্ধৃতি "ওটা আরো কম, ৫.০৪"

উপাত্ত আমার জানা নেই, (দাম কমার খবর পত্রিকা মারফত জেনেছি) তবে আবরো বলছি এটা "সিপিআই" হতে পারে না, "সিপিআই গ্রোথ" হলে বরং সংখ্যাটা বিশ্বাসযোগ্য হয়। ডাটার উৎসটি আবার একটু দেখে বলবেন কি আসলে ব্যপারটা কি হচ্ছে? এটা যদি এগ্রিগেটেট/গড় সিপিআই হয় তবে রূপকথাতেও এই রেঞ্জের মান পাওয়া সম্ভব নয়। আমি বোধহয় আগের মন্তব্যে ব্যপারটি পরিষ্কার করতে পারিনি। সেরকম হয়ে থাকলে দুঃখিত। আর দেখবেন এখানে বেস পিরিয়ড কি ধরা হয়েছে। আপনার কথা অনুযায়ি ৫.০৪ যদি সিপিআই এর মান হয়ে থাকে তার অর্থ দাঁড়াবে এই যে, যে জিনিসের দাম আগের মাসে বা বছরে ১০০ টাকা ছিল (সে মাস/বছরকে বেস ধরে) সেই জিনিসের দাম মার্চে ৫ টাকা ৪ পয়সা যেটা বিশ্বাস করার কোন কারন দেখছিনা। দয়া করে বলবেন কি আমার বোঝার ভুলটা ঠিক কোথায় হচ্ছে?

আর মডেল স্পেসিফিকেশনে যতগুলো টেস্টের কথা বললেন সব দরকার নাও হতে পারে। ফিক্সড এফেক্ট আমার দৃঢ় অনুমান, অবশ্যই প্রয়োজনিয় টেস্টগুলো করে নেবেন যদি এই বিষয়ে আপনার আগ্রহ থেকে থাকে।

প্রাইস কমিশন কিভাবে কাজ করবে তার উপর নির্ভর করবে এটা কতটা কাযে আসবে। যদি কেউ ভাবতে থাকেন যে সাম্প্রতিক মুল্যহ্রাসের ব্যপারটি কোন গবেষনার ফল তবে তা গবেষকদের আত্মপ্রবঞ্চনার দিকেই ঠেলে নিয়ে যাবে। আর সরকার যদি এটাকে সাফল্য ভেবে অতি উৎসাহের বশে প্রাইস কমিশনের নামে বাজার নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা চালায় তাহলে হিতে বিপরিত হবে। অমর্ত্য সেন উন্নয়ন আর স্বাধিনতাকে সমার্থক মনে করেন (See Development as Freedom), অবশ্যই ভিন্ন মত রয়েছে। প্রাইস কমিশন যদি বলে দেয় কোন জিনিসের দাম কত হওয়া দরকার তবে ক্রেতা-বিক্রেতা-উৎপাদক কারোর স্বাধিনতাই যে থাকে না। এটা প্রকৃতির বিরুদ্ধাচরন করার নামান্তর হয়ে দাঁড়াবে। কোন ভরসায় উৎপাদন করবে কৃষক (উপরওলা কমিশন কি দাম ঘোষনা করে কে জানে)? মার্কেটিং চ্যানেলগুলোত দুর্বল হয়ে পড়বে (অনিশ্চয়তা!)। এসব না করে যদি প্রতিযোগীতার সুস্থ পরিবেশের দিকে সরকারের মনযোগ থাকত (যেমন চাদাবাজি টেন্ডারবাজি বন্ধ করা) তা আমাদের অর্থনীতির জন্য বেশ কাজের হত। তাই ভয় প্রাইস কমিশন পন্ডশ্রম না হয়ে দাঁড়ায়। আবশ্য আমার আশংকা ভুলও হতে পারে, তবে সেটা নির্ভর করবে ঠিক কি ভেবে সরকার প্রাইস কমিশনের পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে তার ওপর। তারপরও আশা করছি যা হবে ভালই হবে।

বলা বহুল্য সিন্ডিকেটের নেচার আর এক্সটেন্ট নিয়ে গবেষনাও নতুন নয়। তবে এসব বিষয় আসলে নজরদারির মধ্যে থাকা উচিৎ। সেক্ষেত্রে এই ধরনের গবেষনা ক্রমগত হওয়া দরকার। এই উদ্দেশ্য নিয়ে যদি প্রাইস কমিশন গঠিত হয় সেটা অর্থপূর্ন হতেও পারে। এক্ষেত্রে বাজার খাত-ওয়ারি বাজার কাঠামো (market structure) নিয়ে গবেষনা বেশ কাজে আসতে পারে।

ধন্যবাদ আপনাদের সময়ের জন্য। কিছুটা ব্যস্ত আজকাল; পেটের দায়; তারপরও এই পাতায় কি হচ্ছে লক্ষ্য রাখার চেষ্টা করব। ভাল থাকুন।

মাহফুজ [অতিথি] এর ছবি

গ্রোথ বলতে যা বোঝানো হয়, মানে ক্যালকুলেশনের ক্ষেত্রে (সিম্পল বা কম্পাউন্ড), তার কোনটাই এই হিসাবে নেই। এটা বেস ইয়ারের ভিত্তিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ডিফারেন্সের হিসেব দেয়। লেখার সুবিধার্থে শুধু সিপিআই বলা হয়েছে।

প্রাইস কমিশনের ব্যাপারে আপনার আগাম বিশ্লেষণ আর অ্যাপ্রিহেনশন (যদি এটা করে তো ওটা হবে ইত্যাদি) অমূলক। সরকার প্রাথমিক পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে। এর মূল কাজ হবে নজরদারি।

যদি কেউ ভাবতে থাকেন যে ...

নীতিগবেষকদের কাজ গবেষণা করে নীতিনির্ধারকদের কাছে তুলে ধরা। সমুন্নয় যতটা সম্ভব তা করার চেষ্টা করছে। কোনো সরকার কম শোনে, কোনো সরকার বেশি। এক্ষেত্রে কখনোই সমুন্নয় আত্মতুষ্টিতে ভোগে না।

ছাত্রাবস্থায় "ডেভেলপমেন্ট এ্যাজ ফৃডম" পাঠ করতে গিয়ে আকৃষ্ট হইনি, কনসাল্ট্যান্সি রিপোর্ট মনে হয়েছে। আরেকটা কারণ হতে পারে, তাঁর মূল কন্ট্রিবিউশন "সোশ্যাল চয়েস থিওরি"তে, যেটা কিনা স্টিল অ্যাট এ ফর্মেটিভ স্টেজ। আর আমাদের দেশের নীতি প্রণয়নে সবসময় অমর্ত্য সেনের মর্ত্যোন্নয়নের নীতিকথা শুনতে হবে এমন কথা নেই। সরাসরি উত্ পাদক, ভোক্তা আর ব্যবসায়ীদের কথা শুনে আপেক্ষিক গুরুত্ব ঠিক করে নীতি গ্রহণ করলে ফল যদি ভাল হয় তাহলে দুদিন পর অমর্ত্যরা তার ওপর মডেল বানিয়ে বাজারে ছাড়বেন। সেজন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ওয়ার্ক হিসেবে নিরন্তর মাটিঘেঁষা গবেষণার বিকল্প নেই এবং সমুন্নয় তা করে যাচ্ছে।

বলা বহুল্য সিন্ডিকেটের নেচার আর এক্সটেন্ট নিয়ে গবেষনাও নতুন নয়

বাংলাদেশে সিন্ডিকেশনের ন্যাচার আর এক্সটেন্ট নিয়ে আগের গবেষণাগুলোর রেফারেন্স দিলে সমুন্নয় খুব উপকৃত হয়।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

একটা অংশের প্রমাণ আমি যেটা তাঁকে মোলাকাত করা নিয়ে বললাম। আর প্রকল্প বা ইত্যাদি দিবালোকের মতো সত্য দেশের ভেতরে।

১. তাঁর গাড়ির ছবি দিতে পারবো না এখন বা আগের। ওটা মাঝে মাঝেই টিভি দেখলেই চোখে পড়বে।

২. উন্নয়ন সমুন্বয়ের সভাপতি তিনি। এটা তাদের ওয়েবসাইট বা খোঁজাখুঁজি করলেই মিলবে। তাঁর নেতৃত্বের প্রকল্পগুলো কিছু পাবেন এখানে: http://www.bids-bd.org/activities/human.htm

আরো চাইলে সংগ্রহ করে দেওয়া যাবে, তবে কাদা ঘাটতে হবে। দরকার হলে ঘাটবো। আমি তার পদায়নে খুশি। ব্যক্তি হিসেবে তিনি অনেকের থেকে ভাল।

তবে দারিদ্র্য থেকে উঠে এসেছেন এটা তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য। এ বিষয়ে আমি অচ্ছুৎ বলাইয়ের সঙ্গে একমত। সেকারণেই বোধহয় তিনিও দারিদ্র্য ব্যবসায় সামিল হয়েছেন।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

রণদীপম বসু এর ছবি

আবেগের নিঝুম ঘরে কে তুমি দিলে গো হানা...! হা হা হা ! বড় জটিল ঠিকুজি ফারুক ওয়াসিফ ভাই !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সিরাত এর ছবি

কি অসাধারন লেখা! এসব লেখার জন্যই তো সচলে আসা। রনদীপমদা অজস্র ধন্যবাদ!!!!

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অর্জৃন মান্না এর ছবি

বলাই-এর মন্তব্য আর ফারুক ওয়াসিফ-এর মন্তব্যের অনেকখানির সঙ্গে সহমত। তবে আগামীর দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর বোধহয় কিছু করার নেই এই মুহুর্তে। তার কর্মকান্ডই প্রমাণ করবে তিনি শিকড়ের নাকি আইএমএফের। আপাতত শুভকামনা।

রণদীপম বসু এর ছবি

এই পোড়া দেশে আমাদের আশা করার মতো মুখগুলো খুঁজতে যখন মাইক্রোস্কোপ খুঁজে খুঁজে হয়রান হতে হয়, সে পর্যায়ে ড. আতিউরের মতো ব্যক্তিদের কাছে আমাদের চাওয়া সর্বগ্রাসী হয়ে ওঠাটাই হয়তো স্বাভাবিক।
আমরা স্বপ্ন দেখা ভুলে যাচ্ছি যে...!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

এক বন্ধুর কাছে থেকে ফরোয়ার্ড মেইলে লেখাটা পড়ছিলাম গতকাল রাত্রে। আবারো পড়লাম। এমন মানুষকে দেখলে সত্যি অনুপ্রেরণা জাগে মনে। আমার আব্বা নিজেও একজন অর্থনীতিবিদ। তাই এনাদের সাফল্যের কথা শুনলে শ্রদ্ধায় এমনিতেই মাথাটা নুয়ে আসে।
---------------------------------------

--------------------------------------------------------

রণদীপম বসু এর ছবি

এই শ্রদ্ধাবোধ ক্ষুণ্ন হয়ে যাবার দুর্ভাগ্যে যেন আমাদেরকে পড়তে না হয়, এই শুভকামনা।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

তবে তাঁর ওই বইটা কৃষি প্রশ্ন প্রসঙ্গে এবং অক্সফোর্ড থেকে বের হওয়া তাঁর পিজান্টস এন্ড ক্লাসেস বইটা আসলেই অসাধারণ।
তিনি নিঃসন্দেহে গুণী লোক। কিন্তু আশাহত হতে হতে এখন আবেগের সুড়ঙ্গ অন্য দিকে চলে গেছে। মাফ করবেন, রণদীপম দা।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কিন্তু আশাহত হতে হতে এখন আবেগের সুড়ঙ্গ অন্য দিকে চলে গেছে।

সেটাই। আকাশসম আশা - সব কিছু কাগুজে বাঘ মনে হয় এক সময়...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

জীবনী নিয়ে কিছু বলবার নেই, এটা সিনেমার পর্যায়ের ...।
তবে ফারুক ওয়াসিফ মনে প্রশ্নের উদয় ঘটিয়ে গেলেন...

---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

রণদীপম বসু এর ছবি

পৃথিবীতে কিছুই প্রশ্নহীন থাকা ঠিক নয়। তাহলে দায়বদ্ধতা মরে যায়।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আমি এর ছবি

বেশীর ভাগ মানুষের কাছেই আমাদের চাওয়ার কিছু নেই। হয়ত দেওয়ার মতো সক্ষমতা সবার থাকে না। আবার যাদের সক্ষমতা আছে, তাদের কাছে খুব বেশী করেই চাই। কোথায় যেন শুনেছিলাম, "একটা কাজ ভালোভাবে শেষ করার পুরষ্কার হলো আরেকটি কাজ"। হয়ত এটাই নিয়ম। যে করে তাকে সবই করতে হয়, আর যে করে না তাকে কিছুই করতে হয় না।

রণদীপম বসু এর ছবি

আমাদের অনুসন্ধিৎসা তো সেই করণেওয়ালা মানুষটার দিকেই। আর তাই তো এতো আবেগ, এতো আশা, এতো স্বপ্ন এবং এতো হতাশার কষ্টও !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রিয়াজ এর ছবি

@ফারুক ভাই> আপনার লেখা আর মন্তব্যে বরাবরের মতই সন্দেহের ছাপ রয়েছে। সত্যি বলতে গেলে এইভাবে লেখার সাহস হয়ত সবার হত না। বিশেষ করে এই পোস্টের তলাতে এমন শক্ত মন্তব্য আপনি বলেই দিতে পেরেছেন। আপনার এই ঠোটকাটা মন্তব্যের জন্য সাধুবাদ জানাই।

তার এনজিও টির নাম আসলে দু'টি - ১) সমুন্বয় ২) উন্নয়ন সমন্বয়। আপনি একটু মিলিয়ে ফেলেছেন। মাহফুজ সাহেব সম্ভবত এই বিষয়ের কথা বলেছেন ভুল ধরার নাম করে।

বলে রাখা ভাল স্যারের প্রতিষ্ঠানে কিছুদিন কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। তাই খুব জোর গলায় আপনার মন্তব্যের প্রতিবাদ করছিনা। আবার বেশিরভাগ মন্তব্যকারির মত আবেগাপ্লুত হতেও পারছিনা। মোদ্দাকথা এই যে এই লেখাটি কিন্তু তাকে কিছুতেই তাঁকে তার দায় থেকে মুক্ত করছে না। বরং আমি মনে করি তিনি যে দায়বদ্ধতার কথা বলছেন তা প্রমান সাপেক্ষ। সময়ের পরীক্ষাতো পাশ করতে হবে।

বলতে চাই যিনি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হবার সংগ্রামে সফল হয়েছেন তিনি চেষ্টা করলে সময়ের পরিক্ষায় নিশ্চয়ই পাশ করবেন। এই আশাবাদ রাখছি।

পলাশ দত্ত এর ছবি

তিনি কি গোপন করেছেন কিছু? ওসব করে কত মানুষের ভাতের ব্যবস্থা করেছেন তার খবর রেখেছে কেউ?

হুম। উন্নয়ন সমুন্নয়ের মতো অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানই বহু মানুষের ভাতের ব্যবস্থা করে থাকে। তবে ভাত খাওয়ার জন্য তাদের যে-পরিমাণ টাকা দিচ্ছে বলে কাগজে স্বাক্ষর নেয় (যাকে ভাতের টাকা দেয়া হচ্ছে তার স্বাক্ষর) তার চেয়ে কম টাকাই ভাত কেনার জন্য দেয়।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

তানবীরা এর ছবি

লেখাটা খুব ভালো লাগলো রনদা। আমার বাবাও এক জন সেলফ মেইড ম্যান। সাফল্যের গল্প পড়তে ভালো লাগে, গর্ব লাগে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রণদীপম বসু এর ছবি

১৮০ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলের প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে যাঁরা সাফল্যকে করায়ত্ত করেন, আমার বাঙালি আবেগ দিয়েই আমি তাঁদের জন্য গর্ববোধ করি। এর পরেরটা পরের বিষয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টানোতে দীর্ঘ বিরতি নিচ্ছেন মনে হচ্ছে !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শাহিদ [অতিথি] এর ছবি

রনদা দুইবার পড়লাম। ভালো লেগেছে।

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

Konthi Korinika [অতিথি] এর ছবি

I have read this article many times now. And now I want to say something. I hope I will not offend anyone. But this is one topic that always makes me want to retort, tell the authors what I really think of this article. So far I have not succeeded. So, I will write it here.
Atiur Rahman is after all a normal human being. No matter how accomplished he is, no matter how poor a background he comes from, he still deserves his own privacy.
He gave this speech about his childhood 12 years ago, at a cadet college function where he was supposed to say something to inspire the pupils. At that time, he hadn't even known that it had been recorded, and released 12 years later. Now I know many people are giving him phone calls, publishing this story in newspapers and, most dangerous of all: the web.
Many important people of bd have had a simple childhood. That doesn't mean that their biographies have to be known to every person who uses the internet.
I am afraid I am being rather harsh. But I do feel very strongly about this subject. If people are inquisitive about how I know so much about the governor, I say wholeheartedly that I am an acquaintance of his. I have seen how he does his work, how he interacts with different people. To the commenters, I have to say this- Atiur Rahman is one of the most honest, hardworking and pure people you can come across. He really does care for the poor. Those who insist on writing nonsense about his car etc, to them I will truthfully say that his car was not even shiny on the surface. It was a rusty old Jeep which belonged to his office and wheezed its last wheeze months ago. His personal car is a regular white Toyota. If you are talking about his latest Pajero, I will tell you that it is not his at all, just a courtesy of Bd bank. If you think he is not really dedicated to the poor, I must tell you that on the fifth day of his governorship, coincidentally the hottest day in 50 years, he visited the shoemakers in their tiny workshops, those who were not privileged at all. He was devastated by their state. He took their interviews and plans to help them however he can. If people don't have any proof they shouldn't talk about things beyond them.

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা আগেও কোনও একটা পত্রিকায় পড়েছিলাম। খুবই ভালো লাগলো আবারও পড়তে। আমি তার সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানতাম না গভর্ণর হওয়ার আগ পর্যন্ত। তবে তিনি গভর্ণর হওয়ার পর আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো তার দু'টো ক্লাসে হাজির থাকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অথিথি হিসেবে পড়াতে এসেছিলেন আর আর আমি সেখানে একটা কোর্স করছিলাম। তার দুটো ক্লাসের একটার বিষয় ছিলো জাতীয় বাজেট আর অন্যটার অধিকারভিত্তিক এ্যাপ্রোচ (রাইটস বেইসড এ্যাপ্রোচ)। অনেক কথাই দুই দিনে হলো তার সাথে। তার চিন্তা অত্যন্ত পরিষ্কার। সবার কথাই শোনেন এবং সবাইকেই উত্তর দেন। তিনি খোলাখুলি বলেছিলেন দেশ নিয়ে তার চিন্তাভাবনার সব কখাই।

রাতঃস্মরণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি

Steve Jobs এর Stanford University Commencement speech এর কথাগুলো আর আমাদের একজন Economist এর সিড়ি এর মাঝে খুব একটা ফারাক নেই

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা পড়ার পরে নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছি, আর আতিউর স্যার এর উপর হিংসা হচ্ছে।

লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ, জীবনে অনুপ্রেরনা পেলাম

ননিয়  এর ছবি

লেখাটা পড়ে কান্না আটকাইতে পারলামনা, প্রায় কিছুক্ষণ কেঁদে ফেললাম, ঊনি এত কষ্ট করে এত ঊপরে এসেছেন আর আমরা এত সুযোগ সুবিধা পেয়েও কিচ্ছু করতে পারছিনা, নিজের জন্য খুব দুঃখ হচ্ছে, আর ওনার ব্যাপারে জানতে পেরে খুব ভাল লাগছে

পুলক এর ছবি

অসাধারন আত্মকাহিনী । সবার জন্য অনুপ্রেরনাদায়ক ।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

তার পাঠদান কৌশল অসাধারণ। ঢাকা ইউনিভারসিটিতে একটা কোর্স করতে গিয়ে তার দুটো ক্লাস পেয়েছিলাম। একটা ছিলো ন্যাশনাল বাজেটের উপর আর অন্যটা রাইটস বেজড এ্যাপ্রোচের উপর।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

mitu এর ছবি

valo laglo

মোঃ আকিদুল ইসলাম এর ছবি

দেশ পরিচালনায়ে এমন সৎ মানুষ আমরা পাইনা কান?

অতিথি লেখক এর ছবি

এ উত্থান কাহিনীটা প্রথম শ্রেণির একটা পত্রিকায় গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হলে মানুষ অনেক উপকৃত হত। বিশেষকরে বর্তমান সময়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামার খবরের মধ্যে এটি পড়তে পারলে অনেক পজেটিব ধারণা পাবে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ।

সাকিব  এর ছবি

অসাধারণ লেখা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।