ধারণা করা হয ভৃঙ্গু কোবরেজের নামটা তাঁর পিতৃ-প্রদত্ত নাম নয়। তবুও এই নামটাই তাঁর আদিনাম ছাপিয়ে কী করে যে দশ গ্রাম পেরিয়ে বহু দূর দেশেও খ্যাতি পেয়ে গেলো, এর কোষ্ঠি বিচার করার বয়েসী কেউ আর জীবিত নেই এখন। কিংবা আদৌ তাঁর কোন আদিনাম ছিলো কিনা সেটাও কোবরেজের নির্বিকার ঘোলা চোখ পাঠ করে কোন সুরাহা মেলে না। তাই সবক্ষেত্রে যা হয়, ক্লু হারিয়ে নাম নিয়ে আগ্রহ বা কৌতুহলগুলো তাঁর বয়সটার মতোই বহুকাল আগেই থমকে গেছে।
আর বয়সের কথা বললে, সেই যেবার তাঁর সদ্য বিয়ে করা বড় ছেলেটা অজানা মাড়িতে ভুগে ঘরের খুঁটির সাথে বাঁধা থাকা অবস্থায় মরে গেলো, সেবার মালোপাড়ার দক্ষিণ চাতালে মেয়ে বিয়োতে গিয়ে মরে যাওয়া আবিয়ত্তা মেয়েটার পিতৃপরিচয়হীন সদ্যজাত যে অভাগা মেয়েটাকে ভৃঙ্গু কোবরেজই কোলে করে নিয়ে এসে নিজেই লালন পালন করতে থাকে, কী আশ্চর্য, সেই মেয়েটাই লকলকিয়ে বেড়ে ওঠে কবে থেকে যে বছর বছর মরা বাচ্চা প্রসব করে যাচ্ছে, অথচ কোবরেজের কাচাপাকা চুলগুলো ঠিক সেরকমই রয়ে গেছে আজো ! কেউ বলে কোবরেজের অপ্রকৃতিস্থ ছোট ছেলেটা, যে নাকি মাঝে মাঝেই কোথায় যেন হাওয়া হয়ে গিয়ে আবার ফিরেও আসে, তার সাথেই মেয়েটার বিয়ে হয়েছিলো, কেউ বলে হয় নি। তবে এ নিয়ে গ্রামের কাউকেই খুব একটা মাথা ঘামাতে দেখা যায় না।
গ্রামের একপাশে নির্বিবাদে পড়ে থাকা কোবরেজের আদিবাস নিয়েও কেমন একটা ঘোরপ্যাঁচ রহস্য রয়ে গেছে। কবে কোন্কালে কিভাবে কোবরেজি চিকিৎসায় দত্তবাড়ির কাকে সারিয়ে তোলার সৌজন্যে দানস্বত্বে পাওয়া একটুকরো জংলা জমিতে ছোট্ট একটা ঘর তুলে বসবাসের পত্তন করে পসার জমিয়ে তুলেছিলো, সেকালের সাক্ষী কেউ বেঁচে থাকলে হয়তো তা জানা যেতো। সাথে এটাও জানা যেতো, যে বউটি যুবতীকালে দুটো বাচ্চা বিইয়ে রেখে একদিন কোথায় হারিয়ে গেলো, তাকে কি কোবরেজ সত্যি সত্যি বিয়ে করে এনেছিলো, না কি ভাগিয়ে এনেছিলো ?
পরতে পরতে এমন রহস্য জমে থাকাটা চিকিৎসা পসারের ক্ষেত্রে অনুকূল হবে নিশ্চয়ই। নইলে কালেভদ্রে দুয়েকটা অসমর্থিত খবরের বাইরে কোথাও কোনো আরোগ্য সংবাদ পাওয়া না গেলেও ধন্বন্তরি তাবিজের খোঁজে এই অজপাড়াগাঁয়ে দূরাগত রোগীদের পুরনো কাৎড়ানো শুনা যাবে কেন ! বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, মরে যাবার আগেও মৃত্যুপথযাত্রী এই সব রোগীরা তাবিজের অলৌকিক গুণে এতটুকু অবিশ্বাস বা অশ্রদ্ধা তো দেখায়ই না, বরং কুদরতি তাবিজের শর্ত না মানার দোষে নিজেকে দোষী সাব্যস্ত করতে করতেই এরা পরপারের মিছিলে দিব্যি সামিল হয়ে যায় ! এইসব গরম খবর কিছুদিন পরই ঠাণ্ডা হয়ে চাপাও পড়ে যায় দ্রুত।
কেউ কেউ বলেন, ভৃঙ্গু কোবরেজের মতো তাঁর তেলেসমাতি তাবিজের কার্যপ্রণালী বুঝি আরো বেশি রহস্যাবৃত। তা জানতে হলে প্রকৃতই জটিল কোন রোগী হয়ে তাঁর কাছে হন্যি দেয়া ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা আছে কিনা জানা নেই। কেননা কাক-পক্ষিরও অগোচরে রাখা তাবিজের অবশ্য পালনীয় গুপ্ত শর্তটি শেষপর্যন্ত রোগীর সাথেই স্বর্গ কিংবা জান্নাতবাসী হয়ে গেলে ইহলোক থেকে সংযোগরক্ষার প্রচেষ্টায় কাউকে আর আগ্রহী হতে দেখা যায় না। আর নিতান্তই আরোগ্যবাসী কোন রোগী আরোগ্যকালের দীর্ঘস্থায়ীত্বের জন্য মরে গেলেও গুপ্তকথা ফাঁস না করার শর্ত ভেঙে ঝুঁকি নেবার নজির স্থাপন করেছে এমনটাও এযাবৎ দেখা যায় নি।
তবু কিছু কিছু কাহিনী যেভাবে নিজস্ব শক্তিমত্তা বা কৌতুকের উৎস হয়ে আকাশে বাতাসে কিছুকাল ছড়িয়ে থাকে, তা কি কারো কৌতুহলসৃষ্ট গুজব, না কি লিক হয়ে বেরিয়ে আসা কোন গুপ্তকথা, এর সত্যাসত্য নির্ণয় করার উপায় কারোরই থাকে না। কেননা পড়শিগঞ্জের বিদেহী রোগীটি সব কূল সেরে শেষচেষ্টা হিসেবে প্রথম যেদিন ভৃঙ্গু কোবরেজের ডেরায় এসে হামলে পড়েছিলো, কোবরেজ তাকে সত্যি সত্যি সর্বোচ্চ হাদিয়ার বিনিময়ে এক হপ্তায় সম্পূর্ণ আরোগ্য হবার একশতভাগ গ্যারান্টিসহ সর্বরোগহরা তেলেসমাতি তাবিজটি হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলো দ্রুত। শর্ত অনুযায়ী অক্ষরে অক্ষরে প্রতি প্রত্যুষ আর প্রদোষের ব্রাহ্মমুহূর্তে কাঁসার গেলাসে তাবিজের তিনচুবা পানি একনিঃশ্বাসে পান করে গেছে ঠিকই। কিন্তু তাগুদে পানি পান করার সময় কিছুতেই কোন ইতর বানরের কথা মনে না আনার পুনঃপুন সতর্কবাণী নিজের দোষেই চাপা পড়ে গেলো গেলাস হাতে নিয়েই। চোখের সামনে শুধু বানর আর বানরের ছবিই ভাসতে থাকলো। কিছুক্ষণ চুল ছিঁড়ে, কিছুক্ষণ নিজের বাপান্ত শাপান্ত করতে করতে রোগী বাবাজী দ্বিতীয়বার কোবরেজ পর্যন্ত আর পৌঁছতে পারলো না। পথেই মরে রইলো। এ খবর আস্তানায় এসে পৌঁছালে তাবিজের এমন জীবন্ত ক্ষমতার প্রমাণ হাতেনাতে পেয়ে তাবিজের প্রতি অপেক্ষমান রোগীদের আস্থা আরো বহুগুণ বেড়ে গেলো।
এসব তো বহু আগেকার কথা ! তাবিজের জীবন্ত তেজ তো চোখের সামনেই অনেকে দেখেছে ! এক্কেবারে নিজের ঘরে হলে কী হবে, তাবিজ অমান্য করায় কোবরেজের বড় ছেলেটি রাতের খাবারটাও শেষ করতে পারলো না, মাথা ঘুরে পড়ে আবোল-তাবোল বকতে লাগলো। এক্কেবারে উন্মাদ দশায় খুঁটির সাথে বেঁধে রেখেও শেষপর্যন্ত সারানো গেলো না। ভাগ্যিস কোবরেজ তাঁর গুণীন মন্ত্র দিয়ে ঠিকই ধরে ফেলেছিলো, বৌ’টি যে ভয়ঙ্কর একটা উপরি আছর নিয়ে কোবরেজ বাড়িতে ঢুকেছিলো। যে কিনা দেশগ্রামে অন্যের আলগা-আছড় আর কু-প্রভাব সারিয়ে বেড়ায়, তার ঘরেই হানা ! সাংঘাতিক ব্যাপার ! এটা যে গোটা গ্রামের জন্যই ঘোর অমঙ্গল !
অতঃপর রাত-বিরেতে বৌটির আর্ত চিৎকারে আশেপাশের সবাই আশ্বস্ত হতে শুরু করলো যে, কোবরেজের গুণীন শক্তির কাছে অপশক্তিটি ধীরে ধীরে নিরস্ত হচ্ছে। দিনের পর দিন এই অতিলৌকিক শক্তি-লড়াই শেষে কু-আছরটিকে গ্রামছাড়া করা হলো ঠিকই, তবে যাবার আগে সে কোবরেজের বড় ক্ষতিটি করে গেলো। ভোর রাতে দেখা গেলো বৌটি পেছনের গাব গাছে ঝুলে আছে অনেকটা উদোম হয়ে। গাঁয়ের লোক ভেঙে পড়লো কোবরেজ বাড়িতে। অবাক বিস্ময়ে সবাই দেখলো, অপশক্তির আছর কিভাবে একটি তন্বী নারীর নরম শরীর নির্বিচার ফালাফালা করে দিয়ে যায় ! মেয়ের মতো লক্ষ্মী বৌটির এহেন দুর্দশায় বিমর্ষ কোবরেজের মুখে বহুদিন স্থিরতা দেখেনি কেউ। পালিত কন্যাটি সেবা শুশ্রূষা করার মতো ডাঙর হয়ে ওঠলে বহুদিন পর কোবরেজের মুখে হাসি ফিরে আসে।
অচিনপুর গ্রামের নিস্তরঙ্গ জীবনে এসব ঘটনার ঢেউ মাঝে মাঝে একঘেয়েমীর পাথরটাকে একটু আধটু নাড়া দিয়ে যায় বলেই জীবনটা এখনো বহমান তাদের কাছে। একেকটি ঘটনার লবণ তাদের পানসে জিহ্বায় অনেকদিন ধরে যে নোনা স্বাদটুকু ধরে রাখে তার একমাত্র উৎস ওই কোবরেজ বাড়িটাতে আবার একদিন গ্রামের লোক ভেঙে পড়লো। বহু রহস্যের জন্মদাতা ভৃঙ্গু কোবরেজই এবার আজব এক অচেনা রোগের শিকার !
সেই যে পিতৃপরিচয়হীন পালিত কন্যাটি, যে কিনা ফি বছর মৃত সন্তান বিয়ানোতে কখনোই ক্ষান্ত দেয়নি, কখন যে কোবরেজের সমস্ত গুণীনবিদ্যা আয়ত্ত করে নিয়েছে কেউ খেয়ালও করে নি ! খুঁটির সঙ্গে শক্ত করে বাঁধা ভাঙাচোরা চেহারার ভৃঙ্গু কোবরেজকে অচেনা অপশক্তিটি যে সত্যি সত্যি কাবু করে ফেলেছে, তা তাঁর ঝুলে পড়া চেহারা দেখেই স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। পাশেই চেলাকাঠ হাতে দাঁড়ানো কোবরেজের অপ্রকৃতিস্থ ছোট ছেলেটি কার চিকিৎসায় হঠাৎ সুস্থ হয়ে ওঠেছে তা নিশ্চিৎ হওয়া না গেলেও ভৃঙ্গু কোবরেজকে সারিয়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টায় মেয়েটির কোন খামতি দেখা গেলো না।
তাঁর মুখের কাছে পানি ভর্তি গেলাসটি ঠেলে দিয়ে চিৎকার করে বলছে সে- বল্, এই তাবিজের পানি খাবার সময় কার চেহারা মনে আনা যাবে না, বল ?
বজ্রপাতের তীব্রতায় ঝলসে যাওয়া বৃক্ষের ভেঙে পড়া শব্দের মতো কোবরেজের কণ্ঠ ভেঙে মড়মড় আওয়াজ বেরিয়ে এলো- ‘...মেয়েমানুষের চেহারা !’
Image: 'apilogue' from internet.
মন্তব্য
রনদা, আপাতত পাঁচতারা দিলাম। কোনদিন দশতারা দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে তাই দিয়ে যাবো, কথা দিলাম। এখনো আমার গায়ের লোম গুলো খাড়া খাড়া হয়ে আছে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপনার তারাগুলো আমার ঝুলিতে তো জমা হয়েই গেছে !
অসংখ্য ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনি কে ভাই বলেনতো? আপনার তো অসাধারণ লেখনী। এটা কি কোন উপন্যাসের সারাংশ নাকি নেহায়েত একটা গল্পমাত্র? তানবীরার মতো বলতে ইচ্ছে করছে, ১০তারা থাকলে সেটাই দিতাম, শুধু আপনার লেখনীর জন্য।
পিপি দা', আমি যে কে, সেইটাই তো জীবনভর খুঁজে যাচ্ছি ! হয়তো খুঁজতেই থাকবো....
ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাদা, যে এই গল্প লিখতে পারে সে কেন দুনিয়ার আর দশটা বিষয়ে লিখে সময় নষ্ট করে? আরো ভালোভাবে ইয়োগা করে মনকে বিশুদ্ধ সাহিত্যচর্চায় নিবিষ্ট করুন।
এমন অসাধারণ একটা ছবিই বা যোগাড় করলেন কোথা থেকে!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডব দা', দুনিয়ার আর দশটা বিষয় তো বাহুল্য বা অপ্রয়োজনীয় নয় ! মাথার বকযন্ত্র দিয়ে ওগুলো ছেকেই তো পাবার সাধনা করতে হয়।
মূলত সাহিত্য নিয়েই আমার কাজকারবার। এর বাইরে যা করি, এসব বিনোদন। অধিকাংশেই বিনোদনটাই পছন্দ করে বলেই সবাইকে নিয়ে এই একটু মজা করি আর কি !
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ওরেব্বাস!
চমৎকার , অসাধারণ!!!
ধন্যবাদ ভাইজান।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
খুবই ভাল হয়েছে।
আরও গল্প চাই আপনার কাছ থেকে।
ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অসাধারণ! এমন গল্প লিখলেন কী করে!
আমি তো লিখি নাই দাদা ! গল্প চলে এসেছে ! অনেকটা কবিতার মতোই....
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
একটুও ধারণা করতে পারি নাই কি ঘটতে যাচ্ছে!!!!!!
আপনি তো কঠিন লিখিয়ে রে ভাই!
আমিও কি ধারণা করেছিলাম ! গল্পকে তার নিজের গতিতে চলতে দিয়েছি কেবল ! সময় তার নিজস্ব নিয়মেই ঘটনা ঘটিয়ে গেছে ! হা হা হা !
ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনি মিয়া এসব রেখে কী সব ব্যায়ামট্যায়াম লিখেন !!!!!!!!!!
আপনার যোগ বিয়োগ ব্যায়ামের পোস্ট আর সচলায়তনে দিলে খবর আছে ।
ক্লাসিক গল্প । দূর্দান্ত লেখার স্টাইল ।
ধন্যবাদ ভাইজান।
কলমের কাছে কিছু চাইতে গেলে, কলমকে আগে সুস্থ রাখতে হবে না ! হা হা হা !
আপনি তাহলে এখনো ইয়োগা ধরেন নাই ! দুক্কু পাইলাম...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদা, আমি কিন্তু আপনার বইয়ের অপেক্ষায় আছি। ইয়োগা নিয়ে একটা বই বের করবেন আশা করি। সচলে পড়ে পড়ে প্র্যাকটিস করা একটু সমস্যা বৈকি।
একে তো নাচুনে বুড়ি, তার উপর ঢোলের বাড়ি !
শুদ্ধস্বরের টুটুল ভাই আপনার এই কথা শুনলে কি আর উপায় আছে আমার ! এমনিতেই আমার তিষ্টানোর বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছে, ইয়োগার পাণ্ডুলিপির তাগাদায় ! এখন তো নাচ জুড়ে দেবে...!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অসাধারণ এক গল্প লিখেছেন রণ'দা।
ধন্যবাদ প্রহরী।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
- ধরে, গল্পটা ধরে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
না ধরলে হবে কী করে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদা, ইয়োগা টিয়োগার বেইল নাই.. ইয়োগা থামায়া এরকম গল্প দেন আরো, জলদি!
(এমুন কটমটায়া তাকান ক্যান! )
আরে কয় কী ! কটমটাইয়া তাকামু না ! ভুঁড়িবাজদের যন্ত্রণায় পলাইবার জায়গা পাইতেছি না, তিনদিনে ভুঁড়ি কমানোর উপায় বাৎলানোর ঠেলায় ! আর এহন আপনে আইসা আমার গোঁড়া ধইরা টান দিলেন !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এইখানে বইলা রাখি। ইয়োগাতে আগ্রহ নাই, তাই আপনার ঐ সিরিজের একটা পোস্টো পড়ি নাই।
এইরকম গল্প লেখেন, তাইলে আমার মতো মহান পাঠকরা পড়বে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইয়োগা না করিলে গুণীন-শক্তি অর্জিত হয় না ! বিশ্বাস না হয় এরশাদ্দাদুরে জিগান !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমার কথাটা নজরুলসাহেব বলে দিলেন। যোগবিয়োগে আগ্রহ বা বিশ্বাস কোনোটাই নেই, তাই ঐ সিরিজটা খুলি না। তাই বলে আপনার অন্য সব লেখা পড়ি না তা ভাববেন না যেন।
আরে কন কী রাজর্ষি দা' ! আপনিও নজু ভাই'র ক্যাচকি বুদ্ধির কাছে ধরা খাইয়া গেলেন ! নজু ভাই তো ইয়োগা করতে করতে ভাবীরে পর্যন্ত অতিষ্ঠ কইরা ফালাইছে ! আর বাইরে আইয়া গুলতাই চেহারাটারে মাঞ্জা মারতে মারতে ভাব ধইরা বলতে থাকে- 'হেঃ হেঃ, হেই পিচ্চি বেলা কত্তো ইয়োগা করছি ! এহন সময়ই পাই না !'
তয় ফাঁকে আরেকটা তথ্য জানাইয়া রাখি। নজু ভাই পিচ্চি বয়সে সাঁতারও নাকি শিখছে। এখন সময় পায় না তো ! তাই না সাঁতরাইতে সাঁতরাইতে সাঁতারটাও ভুইল্যা গেছে ! হা হা হা !
আর যোগবিয়োগের বিষয়ে আপনার বিশ্বাসের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই আমি বিস্ময় প্রকাশ করছি রাজর্ষি দা' !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অফিসে দৌড়ের উপ্রে পড়ছিলাম, এখন আবারো পড়লাম! ওঁয়াও!
বলেন কী ! আপনি দৌঁড়ের উপ্রে পড়ছিলেন ! তাইলে তো দৌড় বেচারার কাম সারা ! হাড্ডি-গুড্ডি তার একটাও আস্ত আছে ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এই গল্প বুঝতে হলে পড়ার সময় রণদীপম বসুর নাম কোনোভাবেই মনে করা যাবে না....
যাক্, গুণীনের কষ্ট অন্তত একজন বুঝিল। অত্যন্ত প্রীত হইলাম !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পুরাই মাথা ঘুরায়া দিছেন। চরমের উপরে চরম হইছে।
হা হা হা ! মাথা গরম কইরা আবার শরম দিয়েন না আমারে ! তাবিজ দিতে পারুম না !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভালো লাগলো খুব।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কি চমত্কার একটা গল্প৷
আপনি খালি ব্যয়াম ট্যায়াম না লিখে প্রায়ই এমন গল্প লিখলেই তো পারেন৷
-----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আপনারা সুস্থ না থাকলে গল্প পড়বেন কেমনে ! আপনাদেরকে যে দেহে-মনে অনেক অনেক দিন সুস্থ-সুন্দর থাকতে হবে !
ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অসাধারণ গল্প
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
লেখার পর থেকেই গল্পটার একেবারে শেষ বাক্যের শেষ শব্দযুগলে একটা শব্দ খাপ খাচ্ছে না খাপ খাচ্ছে না ভেবে ক'দিন যাবৎ মনটা খুট খুট করছিল। শেষপর্যন্ত শব্দটা পাল্টে দিলাম।
'স্ত্রীলোকের চেহারা' শব্দযুগলকে 'মেয়েমানুষের চেহারা' বানিয়ে দিলাম।
এক্ষেত্রে সচল আহমেদুর রশিদ টুটুল (নামের বানান ভুল করলাম না তো!) ভাইয়ের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা। কেননা সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ না করেও ব্যক্তিগত মেইলে প্রতিক্রিয়া মন্তব্যে আরোপিত শব্দের সম্ভাব্যতার একটা ইঙ্গিত তিনি দিয়েছিলেন আমাকে। ফলে এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ আরো জোরালো হয়েছিল।
সবাইকে ধন্যবাদ, যাঁরা কষ্ট করে গল্পটি পড়েছেন এবং যাঁরা মন্তব্যের মাধ্যমে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অসাধারণ একটা গল্প পড়াইলেন রণদা। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার কলম সর্বদা সচল থাকুক এমন কর্মে।
ধন্যবাদ পান্থ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অসাধারণ...
ডাকঘর | ছবিঘর
নতুন মন্তব্য করুন