যৌন হয়রানি রোধে এক যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্রে এবং রাস্তাঘাটে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন রোধে সরকারের কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় সরকারকে একটি সাধারণ নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়ে গত ১৪ মে, ২০০৯ তারিখ এ রায় দেয়া হয়। রায়ে বলা হয়েছে, এ সংক্রান্ত আইন পাস না হওয়া পর্যন্ত সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টের দেয়া দিকনির্দেশনামূলক এই নীতিমালা বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে। আর সরকারি নীতিমালা না হওয়া পর্যন্ত রায়টি অনুসরণের জন্য আদালত থেকে কয়েকটি দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৪ মে, ২০০৯ তারিখ বৃহষ্পতিরার এ রায় দেন। (সূত্র: সমকাল, ১৫মে,২০০৯)
কর্মস্থলে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি বন্ধে দিক নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ রায়ে শারীরিক-মানসিক যৌন হয়রানিসহ মোবাইল ফোনে এসএমএস, দেয়াললিখন, পর্নোগ্রাফি, যৌন উস্কানিমূলক মন্তব্যসহ মোট ১১ ধরনের কাজকে যৌন নিপীড়নমূলক বলে চিহ্ণিত করা হয়েছে।
এই সংজ্ঞায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সব কর্মক্ষেত্রে সরাসরি যৌন হয়রানি; নারী ও শিশুদের ব্যাপারে কুৎসা রটানো, চরিত্র হননের চেষ্টা, শারীরিক নির্যাতনের চেষ্টা; পথেঘাটে কোন নারীকে অসৎ উদ্দেশ্যে ‘সুন্দরী’ বলা, কুদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা; ই-মেইল, এসএমএস বা টেলিফোনে উত্যক্ত করা; প্রতারণা, ব্ল্যাকমেইল, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জালিয়াতি; উদ্দেশ্যমূলকভাবে শরীরের বিশেষ অঙ্গে স্পর্শ করা বা শরীরের কোথাও আঘাত করা; রাস্তাঘাট ও পাবলিক প্লেসে উত্যক্ত করা (ইভটিজিং); নারী ও শিশুদের নগ্ন ছবি ও কার্টুন ইত্যাদি আঁকা বা প্রকাশ ও প্রদর্শন করাকে যৌন নিপীড়ন বলে চিহ্ণিত করা হয়েছে।
সরকারকে আদালতের দেয়া দিকনির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একটি অভিযোগকেন্দ্র থাকবে। এই অভিযোগকেন্দ্র পরিচালনার জন্য ন্যুনতম পাঁচ সদস্যের কমিটি থাকবে। কমিটির প্রধান হবেন একজন নারী। এ ছাড়া কমিটিতে একাধিক নারী সদস্যও থাকবেন। যারা হয়রানির শিকার হবেন তারা এ কমিটিতে অভিযোগ করবেন। কমিটি কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষে পুলিশের কাছে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাঠাবেন। এরপর দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অপরাধের ধরন ও মাত্রা অনুযায়ী বিচার বিভাগ যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। নির্যাতন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া এবং পুলিশের কাছে অভিযুক্তকে সোপর্দ করার আগে নির্যাতিত ও অভিযুক্ত ব্যক্তির কোনো পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। রায়ে যৌন নিপীড়ন এবং এর শাস্তি সম্পর্কে সর্বস্তরে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।
এসবের বাস্তবায়ন করতে আইন সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, শ্রম সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ইউসিজি, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, বার কাউন্সিল, পুলিশ ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়।
মামলাটি পরিচালনা করেন জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ও অ্যাডভোকেট সীমা জহুর। অন্যদিকে সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল রাজিব আল জলিল।
আসুন এ যুগান্তকারী দিকনির্দেশনাকে আইন হিসেবে যথাযথ শ্রদ্ধা দেখিয়ে নিজেরা মেনে চলি এবং অন্যকেও উদ্বুদ্ধ করি।
Image: Bangladesh Supreme Court, by Tanzirian (from SkyscraparPageForum)
মন্তব্য
সব্বোনাশ!
আমিতো কথা শুরুই করি "কিগো সুন্দরী?" দিয়ে।
যাক অবশেষে আইন তো হলো! জানি না আদৌ বাংলাদেশে আইনের বাস্তবায়ন হবে কি না। তবে আশা করতে কোন দোষ নেই।
কুদৃষ্টিতে তাকিয়ে না থাকলে কবিরা কবিতা লেখবে কেমনে?
আফসুস, এই দেশে থাকুম না।
-----------------------------------------
ভালবাসা তুমি - প্রেয়সীর ঠোঁটে প্রগাঢ় চুম্বন;
ভয়হীন তবু, দেখলে দেখুক না লোকজন।
-----------------------------------------
এই গল্প ভরা রাতে, কিছু স্বপ্ন মাখা নীল নীল হাতে
বেপরোয়া কিছু উচ্ছাস নিয়ে, তোমার অপেক্ষায় ...
হু, সেটাই
উদ্যোগকে স্বাগত জানাই একটা বিস্ময়সহ
অচেনা নারীকে সুন্দরী বলা যদি অপরাধ হয় তাহলে কিন্তু রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে রণদীপম বসু
সকল কবি বিপদে পড়ে যাবেন...
০২
আইনের ইন্ডিকেটরগুলোকে আমার মনে হয় আরো কিছু ফাংশনাল করা দরকার
নাহলে যেই লাই সেই কদুই থেকে যাবে
ক্রিয়েটিভ টাংকিবাজদের জন্য সুন্দরী শব্দের কয়েক লাখ প্রতিশব্দ বানিয়ে ফেলা কয়েক মিনিটের ব্যাপার
০৩
যতটুকু মনে পড়ে এই সুন্দরী শব্দটা আমার রচনাবলীতে কোথাও নেই....
তাইলে আপনি কি সুন্দরীদের নিয়ে কিছু লেখেন না? নাকি আপনি 'ক্রিয়েটিভ টাঙ্কিবাজ'।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সুন্দরী কী ভাইয়া?
(মুমুয়িত প্রশ্ন)
আপনি কি কোনো অচেনা নারীকে 'সুন্দরী' বলছেন ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কথা হলো চেনা হোক কিবা অচেনা! 'সুন্দরী' কে 'সুন্দরী' বলা তো একটি মৌলিক অধিকার!!
এ তো আর 'কানা' কে 'কানা' বলিও না টাইপের ব্যাপার না!
আর সুন্দরী বললে কোন কোন সুন্দরী মাইন্ড করে? তারা পারলে হাত তুলুক!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইয়ে এটা তো এই পোস্টের জনক রণদা ভালো বলতে পারবেন!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কপিরাইট কি উঠিয়ে দিতে হবে নাকি...!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
'সুন্দরী'দের ভাল করে চেনার আগ পর্যন্তই সুন্দরী মনে হয়। চিনে ফেললে তো আবার ... যাহোক,
আইনের বাস্তবায়ন কতটুকু কীভাবে হয় সেইটাই দেখবার বিষয়।
'সুন্দরী গো, দোহাই তোমার, মান কোরো না...' কোনো গায়ক যদি এই গান গেয়ে ফেলে কোনো অনষ্ঠানে?
আর চিত্রশিল্পীদের কি হবে?
ইয়ে মানে! ছবি আঁকা যাবে না!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হ ! ছবি-ভাইয়েরা সাবধান !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এখন বুঝছি ছবি ভাইয়েরা ক্যান সব ফরাসি দেশে পাড়ি জমায়!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লন, যাই গা ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আসলে সব আইনের সার্থকতা নির্ভর করে তার ব্যবহারের ওপর। আমাদের তো আইনের কমতি নেই; কিন্তু আইনের অপব্যবহার যে তারচেয়েও বেশি। কুদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা বা সুন্দরী বলাকে একটু কমেডি কমেডি মনে হলেও আমাদের জন্য এটাই বাস্তবতা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হায়! শুনেছি 'আপনি/তুমি খুব সুন্দর',এই বাক্যের প্রতি মেয়ে/মহিলাদের বাড়তি উচাটন আছে। তাইলে উপায়?
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
অনেক মেয়েই মাইন্ড খাইবে, কোনো সন্দেহ নাই।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হয়রানি করার উদ্দেশ্যে সুন্দরী বা যেকোনো প্রশংসাও অপরাধের আওতায় পড়বে। সীমারেখাটা আসলে পারষ্পরিক বোঝাপড়া দিয়েই চিহ্নিত হয়।
সে যাক, তবে আইনটার লৈঙ্গিক একরৈখিকতা দেখে আমি হতবাক।
মহিলা ও শিশুদের যৌন হয়রানি বলে যৌন হয়রানিকে আলাদা করার কোনো কারণ তো দেখি না।
পুরুষরাও যৌন হয়রানির শিকার হতে পারে। পুরুষরা নারীদের দ্বারা বা পুরুষদের দ্বারাও যৌন হয়রানির শিকার হতে পারে।
আইনের সংঙাগুলো নির্ধারণের ক্ষেত্রে আরেকটা জিনিস খেয়াল করা হয়নি যে নারীরাও নারীদের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হতে পারে। সে কারণে সেরকম নারীদের যৌন হয়রানির কৌশলগুলোকে অপরাধের সংঙার আওতায় আনা হয়নি।যেমন সিডাকশন বা নিজের শরীরের অংশ-বিশেষ দেখিয়ে যৌনতায় প্রলুব্ধ করা।
আমাদের দেশে আইন-কানুন বা জননীতি ইত্যাদি বানানোর সময় 'চাকা নতুন করে আবিষ্কার' করা হয়। অথবা বলা যায় - সাধারণ জ্ঞান দিয়ে তারা একটা বিশেষায়িত বিষয়কে বুঝে ফেলতে চায়। এইসব হাতুড়েদের হাত থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া দরকার।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
চিন্তার বিবেচনায় আপনার কথাটা ঠিক। কিন্তু বাস্তবতার বিবেচনায় তো আমরা হরহামেশার ঘটনাকে বা গড় ঘটনাকেই বিবেচনা করবো। সেদিক দিয়ে আপনার বলা সমস্যাগুলোর চেয়ে মহিলা ও শিশুদের যৌন হয়রানীর ঘটনাই তো বাংলাদেশের বাস্তবতার প্রধান দিক।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
সুন্দরী বলতে তো নিষেধ করা হয় নাই। বলা হইছে অসৎ উদ্দেশ্যে সুন্দরী বলা যাবে না।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
প্যাঁচটা তো সব ঐ 'অসৎ উদ্দেশ্য'-এর মধ্যেই...!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এটা পড়ে নজরুলের "তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় এ কী মোর অপরাধ" গানটা মনে পড়ে গ্যালো!
এখানে তো অসত্ উদ্দেশ্যর কথা বলা নাই।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আহারে! আমি তো এনকিদুরে নিয়া চিন্তায় আছি! বেচারার বাসে উঠাই না বন্ধ হয়্যা যায়।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভালো তো। হাটবে শুধু। গাড়িভাড়া বাচবে।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
বাসে উঠলে দুই একজন সুন্দরী দেখা যায় । রাস্তায় হাঁটলে দেখা যায় তার থেকে বেশি ।
আর আমি সাধারনত কথা বলি কম, লিখি বেশি । কাজেই নিরাপদ
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আইনটি এবং এর প্রণয়ণের সাথে জড়িত সকলকে অভিনন্দন। এটা নতুন কিছু নয়। আমেরিকায়ও এমন আইন আছে। তাকানোটা অপরাধ না, কিন্তু তাকানোতে যদি অপরপক্ষ বিব্রত হয়- তবে সেটা অপরাধ। আইন আছে বলেই এইখানে কেউ হা করে কোন মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে না, কোন কমেন্ট বা 'ইভ টিজিং' তো আরো পরের কথা। বাংলাদেশে এ আইন আরো আগেই প্রয়োজন ছিল। সিমির মত অনেক প্রাণ তাহলে বেঁচে যেত। আইনটি নিয়ে অনেকের লঘু মন্তব্যে তাই অবাক হয়েছি।
-
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শুধু তাকানোর জন্য আলাদা আইন আছে এমনটা বলি নি। অধিকার সংরক্ষণ সংক্রান্ত আইনের মধ্যেই সবকিছু অন্তর্ভুক্ত, ঐখানে অন্যান্য সবকিছুর সাথে অভব্য দৃষ্টিতে তাকানোও আছে। এখানে অনেক বাসের মধ্যেও এটা লেখা থাকে। আমেরিকান মূল্যবোধ আমাদের চাইতে ভালো এটা মানতে পারছি না। কিন্তু এরা আইনের প্রতি আমাদের চেয়ে অনেক বেশি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের সে চর্চাটাই নেই।
উদ্ধৃতি: পথেঘাটে কোন নারীকে অসৎ উদ্দেশ্যে ‘সুন্দরী’ বলা,
তাহলে কি অসৎ উদ্দেশ্যে অন্য কিছু বলা যাবে? শুধু 'সুন্দরী' শব্দটি কী দোষ করল? এখানে কী-ওয়ার্ড হওয়া উচিত 'অসৎ উদ্দেশ্য', কী বলা হল তা নয়।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
বাংলাদেশে মহামারী আকারে ইভ-টিজিং হয় এটা আমি সেখানে বড় হয়েছি বলেই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি। আমি জানি আমার মতো অভিজ্ঞতা আমাদের দেশের ১০০% মেয়ের। এবার দেশে বেড়াতে গিয়ে আমার ১৯ বছর বয়সী বোন কে কাঁদতে দেখেছি তার cell phone এ আসা কদর্য্য SMS গুলো নিয়ে। কতবার আর কার্ড পাল্টানো যায়! আমার মনে হয়, এরকম একটি আইন অনেক আগে থেকে থাকা দরকার ছিলো। তবে যারা আইন লিখলেন তাদের শব্দ চয়ন আমাকে রীতিমত আমোদিত করেছে। 'সুন্দরী" শব্দটি কী দোষ করল বোঝা গেলো না! এটি এখন অনেকের জন্য ই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
১. এরকম আইনের দরকার আছে।
২. এরকম আইন আগেও ছিল, কিন্তু প্রয়োগ ছিল না।
৩. প্রয়োগ না হলে আইনটি হাততালি পাওয়া পর্যন্তই সফল।
৪. সফল প্রয়োগের জন্য আইনের মানুষগুলোকে আরো ভয় জাগানিয়া হতে হবে।
[উল্টোকথাঃ অচেনা যদি 'সুন্দরী' ডাকে তুষ্ট হয়, এই আইন নিশ্চয়ই লজ্জিত হবে]
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আরেকটা আইন হওয়া উচিত আমাদের 'গায়ে হাত তোলার' সংস্কৃতির (!) বিরূদ্ধে। দেশে কারো সাথে বিবাদ হলে দেখা যায় তা হাতাহাতিতে গড়াতে বেশি সময় নেয় না। এমন কি বিবাদ ছাড়াও রিকশাচালক, গৃহকর্মী এদের গায়ে আমাদের সুসন্তানরা হাত তুলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না। আমাদের গুরুজনেরাও - 'হাত থাকতে মুখে কী?'- এ জাতীয় প্রবাদ লিখে আমাদের হাতাহাতিকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন! কিন্তু সিভিল রাইট বলে 'তোমার স্বাধীনতা আমার নাকের ডগা পর্যন্ত'। পৃথিবীর সব সভ্য দেশেই এই আইন আছে- কোন পক্ষের যত দোষই থাকুক, যে আগে গায়ে হাত তুলবে সেই হবে আইনের চোখে অপরাধী এবং তাকে অবশ্যই সেজন্য সাজা পেতে হবে। বাংলাদেশে এরকম কোন আইন আছে কিনা জানি না, থাকলেও নিশ্চিতভাবে কোন প্রয়োগ নেই। তাই দু'টাকা রিক্সাভাড়া বেশি চাওয়ার কারণে বা বাসায় কোন বেয়াদবীর কারণে কোন আবদুলকে চড় খেতে হয়, আমাদের মাস্তানদেরও পাড়ায়, শিক্ষাঙ্গনে ফ্রি হাতাহাতি প্র্যাকটিস করে হাত পাকাতে কোন অসুবিধা হয় না।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আসলে আমরা যারা বিদ্যমান যৌন নির্যাতন আইন সম্পর্কে পুরা জানি না তারা মন্তব্য না করি। আগে জানা উচিত কেন ইভ টিজারদের বিপক্ষে মামলাগুলো দুর্বল হয়। তাহলে বোঝা যাবে এই আইনটা তাদের সাহায্য করবে কিনা যারা নির্যাতিতদের সাহায্য করতে চায়।
আমেরিকা বা অন্য যে কোন উন্নত দেশেও ইভ টিজিং হয় এবং তাতে সবাই জেলেও যায় না। কিন্তু পুলিশকে সবাই ভয় পায়। আমাদের দেশের মত ড্যাম কেয়ার ভাব দেখাতে পারে না।
আইনটা ভাল। ভাল দিকটা হল, আমার বোনকে যে কিছু বলবে আমি তারে ফাঁসায় দিতে পারব। কিন্তু খারাপ দিক হল, আমার বোনের খারাপ লাগুক আর না লাগুক, তার যেই ক্লাসমেটরে আমার পছন্দ না তারেও ফাঁসায় দিতে পারব। আমাদের দেশে হয়রানিমুলক মামলা তো নতুন না।
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি যৌন নির্যাতনের আইন সংশোধন করা উচিত নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য। কিন্তু নারীদের জন্য আলাদা করে আইন করা ঠিক না, এতে নারী-পুরুষ বৈষম্য বাড়ে বই কমে না।
সাউথপার্কের একটা এপিসোড আছে "সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট পান্ডা" নামে। পর্বটার কথা মনে পড়ে গেল। বিষয়বস্তু ছিলো আইনের ফাঁক ফোকড়কে অপব্যবহার করে যৌন নিপীড়নের শিকার হবার ভান করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা।
আইন পশ্চিমেও আছে, আইনের প্রয়োগও আছে, অপব্যবহারও আছে। আমাদের দেশে খালি মাঝেরটাই নাই। বাকি দুইটা আছে। আমার যতদূর মনে হয়, আইনের এই প্যাঁচে পড়বে নিরীহরাই। দুষ্কৃতিকারীরা বরাবরের মতই শিষ্ বাজিয়ে কুকর্ম করে যাবে।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
কবি সাহিত্যিকদেরতো ডরানেরতো কোন কারন নেই, তাদের কাজতো হা করে অসৎ উদ্দেশ্য তাকিয়ে থাকা না। তাদের কাজ হলো বাস্তবে কোন দিকে না তাকিয়ে কল্পনার বস্তুকে ঘাড় গুজে লিখা।
বৃটিশ ল যা বাংলাদেশে আজো পড়ানো হয়, টর্ট বলে একটা পার্ট আছে। সেখানে একটা আইন আছে, কোন অপরিচিত লোক যদি রাস্তায় কাউকে দেখে এধরনের অংগ ভঙ্গী করে যাতে সে ব্যক্তি অপমানিত বোধ করেন, তাহলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।
এই আইনটি বাংলাদেশে বহুকালই ছিল। আজকে নতুন মোড়কে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রকাশ করা হচ্ছে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আহা গো আপা ! কি কইলেন এইটা !! সুন্দর মানুষ দেখলে চাইয়া থাকতে কার না ভালা লাগে কন !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
@ তাতা'পু,
অশ্লীল বা উত্তেজক অঙ্গভঙ্গি তো অপরাধ বটে! নুইসেন্স হিসেবে। কিন্তু এই পর্যায়ের নির্দিষ্ট নীতিনির্দেশনা তো ছিল না, যে- অসত্ উদ্দেশ্যে অপরিচিতাকে 'সু্ন্দরী' বললেও হ্যারাসমেন্ট হিসেবে গণ্য হবে। অবশ্যই এটার দরকার ছিল, বিষয়-নির্দিষ্ট আইন-সংস্কারেরই দাবিতে। এবং, এখন এই আলোকে রাষ্ট্রেরও এসংক্রান্ত সুস্পষ্ট আইন করতে হবে। সচেতনতার চেয়েও এই নজিরের ফলে বরং আইনি বলবতযোগ্যতাই বাড়বে বেশি।
আর, টর্ট আর ক্রিমিনাল ল'র প্রসিকিউশন-রেমিডি দু'টোই ভিন্নরকম, এবং বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এতকালের ইতিহাসে ওই অর্থে টর্ট মামলা এবং তার পূর্ণাঙ্গ ফয়সালার নজির তো হাতে গোনা কয়েকটা মাত্র, সেটাও জানেন নিশ্চয়ই।
বাই দ্য ওয়ে, আপু, কিছু মনে করবেন না, আপনার অ্যাকাডেমিক ট্র্যাকও কি ল ছিল না কি?
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
দরকার।
এমন আরো দরকার।
[তথ্য আর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ, দাদা।
কিন্তু, ভাগ্যের কী যে নির্মম পরিহাস!- 'অচেনা' নারীরাই দেখি বেশি 'সুন্দরী' হয়! :(]
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আহা সাইফুল ! কী শুনাইলেন !! পরানডা ফাইট্টা যায় !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নতুন মন্তব্য করুন