০১.
শেষবার যখন বাড়ি থেকে আসি, বাবা আমার হাতটি ধরে বলেছিলেন- দেখ্ বাবা, তুই বাড়ির বড়, আমার বয়েস হয়ে গেছে, অসুস্থ, কখন কী হয়ে যায়, তুই সবাইকে দেখে রাখিস। ভারী চশমার পুরু আতশ কাচের মধ্যে দিয়ে পঁচাশি-উর্ধ্ব বাবার ভেসে থাকা ঘোলা চোখ দুটোর আকুতি বুকের ভেতর খুব করে বাজলেও তখনও কি বুঝেছিলাম বাবার সাথে এটাই আমার শেষ দেখা ? ডেবে যাওয়া চোঁয়াল আর ক্রমশ ক্ষীণ হতে থাকা তাঁর শরীর দেখে কে বলবে যে জীবন-বিলাসী এ মানুষটি এই সেদিনও ট্র্যাক-স্যুট আর ক্যাডস পরে টুপি মাথায় শহরময় দিব্যি প্রাতভ্রমন সেরে এসে ঘুম ভাঙাতেন বাড়ির সবার ! আজীবন দাপিয়ে বেড়ানো প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী যে মানুষটি শরীরে ঘাতক ক্যান্সার নিয়ে চুরাশি পেরিয়েও কাজকর্ম ছাড়া এক দণ্ড বসে থাকা কাকে বলে জানতেন না, সেই তিনিই কিনা এতো অসহায়ভাবে সংসারের কোনো কাজে না লাগা অথর্ব সন্তানটিকে সংসারের দায় বুঝিয়ে দেবার দুঃসহ কাজটি করে ফেললেন ! কোনো অব্যাখ্যাত কারণে তিনি কি সত্যিই বুঝে ফেলেছিলেন, এই অভাগা সন্তানটির সাথে আর কখনোই দেখা হবে না তাঁর ?
শেষবার যখন বাড়ি থেকে আসি, অনেকগুলো মাস পেরিয়ে গেছে, তখনো কি বার্ধক্যের ভারসাম্য রাখতে লাঠি ধরেছিলেন ? মনে পড়ে না। সম্ভবত কোন অবলম্বন আঁকড়ে ধরা বড়ই অপছন্দ ছিলো তাঁর। নিজস্ব পা দুটোর উপর আস্থায় এতোটাই অটল ছিলেন যে, দুর্বল শরীরটাকে কেউ ধরে ধরে কোথাও এগিয়ে দিতে চাইলেও নির্দ্বিধায় ফিরিয়ে দিতেন, রূঢ়ভাবে। এমনকি তৃতীয়বারের ভারী অপারেশনপূর্ব প্রচণ্ড স্নায়ুচাপে বাদবাকী সবাই যখন অনিশ্চিত আশঙ্কায়-অস্থিরতায় ন্যুব্জপ্রায়, এমন অদম্য মনোবল নিয়ে সবার অলক্ষ্যে কখন কীভাবে যে ক্যাথেটারটি হাতে ঝুলিয়ে গটগট হেঁটে ওটিতে ঢুকে গিয়েছিলেন, তা ভাবতে গেলে এখনো চেতনা স্থবিঢ় হয়ে আসে ! তিনিই আমার বাবা। অথচ পঁচাশির প্রকৃত বয়েসটাকে ঠিকই বাড়াতে বাড়াতে পঁচানব্বই পার করে দিতে একটুও দ্বিধা হয়নি তাঁর। তা কি বার্ধক্যের বিভ্রান্তি, না কি শতায়ু হবার কল্প-বিলাস কে জানে ! আশার নাম মৃগতৃষ্ণিকা। আমরা যে সত্যিই তা উপভোগ করতাম তিনি হয়তো তা বুঝতেন না। আর আমরাও বুঝিনি, ডাল-পাতা শুকিয়ে গেলেও প্রাচীন বৃক্ষের বাৎসল্যের ছায়া কতোটা আশ্রয় আর অভয় দিয়ে জড়িয়ে রাখে সর্বক্ষণ। আকস্মিক সময়-ঝড়ে উপড়ে যাওয়া বটবৃক্ষের শূন্যতা আজ গভীর প্রলাপ হয়ে বুকের ভেতরে শুধু খুঁড়ে খুঁড়ে যায়। আহ্ জানিনা, অযোগ্য সন্তান হিসেবে কতোকাল এই অদৃশ্য যন্ত্রণা বয়ে যেতে হবে আমাকে !
০২.
হাতঘড়ির গোল ডায়ালের ছোট্ট চৌকোণা ঘরটাতে ক্যালেণ্ডার ডেটটা ধবধবে সাদা। মে মাসের ২৪ সংখ্যাটি সরে গেছে কখন, ২৫ তখনো পৌঁছায়নি এসে। আসি আসি করছে। আচমকা মোবাইলটা বেজে ওঠলো। বাড়ি থেকে ছোট ভাইয়ের ফোন- সেজদা, বাবা কথা বলতে পারছেন না আর, আপনাকে দেখতে চাচ্ছেন ! ফোনটা কানে ধরিয়ে দিচ্ছি, কখন আসছেন বলে দেন জোরে।
দড়াম করে বুকের ভেতরে কী যেন বাড়ি খেলো এসে ! একেবারে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। গত তিনমাস ধরে পুরোপুরি শয্যাশায়ী বাবাকে দেখবো দেখবো করতে করতেও বাড়ি না গিয়ে যে অমোচ্য অপরাধে অপরাধী হয়ে আছি, তার ভার যে হঠাৎ সমস্ত অজুহাতের উর্ধ্বে উঠে এমন অবহ হয়ে ঝাপিয়ে পড়বে, এর প্রায়শ্চিত্ত কী দিয়ে করবো আমি ! সবাইকে অবাক করে দিয়ে অস্পষ্ট স্বরে বাবার কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছিলাম- তুই আয় তুই আয়। আকস্মিক আর্তনাদে কেবল বলতে পারলাম- বাবা, আমি আসছি, কালই।
দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে ২৫ মে’র যে সকালটা এলো আমার জীবনে, তখনো তো বুঝতে পারি নি যে ১১ জৈষ্ঠ্যের নজরুল জয়ন্তির এই দিনটিই আমার চিরকালের কালো পর্দায় ঢেকে যাবে এভাবে ! সকালে অফিসে পৌঁছেই পরের দিন থেকে ছুটি মঞ্জুর করিয়ে ব্যাংকে ছুটলাম বেতনের টাকা তুলতে। সব প্রস্তুতি সেরে দুপুরেই আগেভাগে বেরোতে যাবো, সেই সর্বনেশে ফোটটি এলো দুটোয়, কনিষ্ঠ ভাইটির নম্বর থেকে। হ্যালো হ্যালো করছি, কোনো জবাব নেই। পৃথিবী জুড়ে শুধু তীব্র বিলাপের স্বর ! মোবাইল ফোনের অদৃশ্য সুড়ঙ্গ বেয়ে বুকভাঙা আর্তনাদে সবকিছু এলোমেলো তখন... !
০৩.
ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘আইলা’র সাত নম্বর বিপদ সংকেত মাথায় নিয়ে চেয়ারকোচ ‘শ্যামলী’ হু হু বাতাস কেটে ছুটে চলেছে সিলেটের দিকে। বুকের চরায় হিমবাহী পাথরটা অসম্ভব জড়তায় স্থির হয়ে আছে। আর এদিকে একটার পর একটা ম্যাসেজ আর রিংটোনে অস্থির হয়ে ওঠছে মোবাইলটা আমার। আশ্চর্য ! অনিচ্ছুক ভ্রান্তিগোলে কাউকেই জানানো হয়নি কিছুই। অথচ দেখা না দেখা, সচল অসচল, বন্ধু সহকর্মী সহযোদ্ধা আর পরিচিতজনের একের পর এক শোক, সাহস আর সান্ত্বনার বাণী অদ্ভুত সহমর্মিতায় কীভাবে যেন ভাসিয়ে দিয়ে যাচ্ছে আমাকে ! নুরুজ্জামান মানিক, ইশতিয়াক আহমেদ, প্রভাস দাস, মজিবুর রহমান, নজরুল ইসলাম, ইলতুৎ আলীদ, আহমেদুর রশীদ টুটুল, খালেদুর রহমান জুয়েল, অতন্দ্র প্রহরী, জগলুল হায়দার, গৌতম... আরো কতো কতো মুখ ! ইতোমধ্যেই নাকি নুরুজ্জামান মানিক ভাই সচলায়তনে শোক জানিয়ে অন্তর্জালিক পোস্ট ছেড়ে দিয়েছেন ! ওদিকে আরেকটা পোস্ট ইশতিয়াকের, সামহোয়ারইন-এ ! পৃথিবী জুড়া অসংখ্য ঋণের ভারে আবদ্ধ আমি জানি, বন্ধুত্বের যে অকৃত্রিম উষ্ণতায় পিতৃশোকের দুর্বহ ব্যথা গলিয়ে আমাকে চিরকৃতজ্ঞতায় ভাসিয়ে দিলো এরা, এ ঋণ আর শোধ হবার ! কখনোই শোধ হবার নয় ! অসম্ভব সে চেষ্টা কখনো করবোও না আমি।
প্রবল বৃষ্টি-ঝড়ের মুহুর্মুহু তাণ্ডবে ভেঙে পড়ছে প্রকৃতি। যেন সবকিছু একাকার হয়ে যাবে আজ ! আদৌ কি পৌঁছুতে পারবো ! ছোট ভাইয়ের ফোন আবার- সেজদা, কতোক্ষণ লাগবে আসতে ? আহা ! মানুষের জীবনটা কি সত্যিই এতোটাই ট্র্যাজিক ? নইলে ভাইয়ের এই প্রশ্নটা কেনই বা পৃথিবীর সবচাইতে কঠিন আর ভয়ঙ্কর হয়ে দেখা দিলো আমার কাছে ? এর উত্তর সত্যিই জানা ছিলো না আমার। কতোক্ষণ লাগবে, কতোক্ষণ লাগবে... মাথার ভেতরে হাতুরির আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছি শুধু... ! আশৈশব কত স্মৃতি কত স্বপ্ন কত কথা কত অভিমান আর অস্তিত্বের অপরিহার্যতায় মাখানো বাবার হাতটি ধরে জীবনের পয়তাল্লিশটি বছর নিমেষেই কেটে গেলো ! অথচ ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ, উপকূল ছেড়ে এসে আছড়ে পড়া ‘আইলা’র তীব্র ছোবলে সময়-ঘড়ির মাত্র আট ঘণ্টার রাস্তা এক জীবনে আর ফুরালো না আমার... ! সবকিছু ছেড়েছুড়ে এভাবেই চলে গেলেন বাবা। আমার জন্যে একটুকু অপেক্ষাও করতে পারলেন না ! পিতা হয়ে অধম এ সন্তানের সাথে এতোটা অভিমান করতে পারলেন তিনি ! আমারো তো অভিমান থাকতে পারে ! এই দুঃসহ অভিমান আমি কাকে দেখাবো আজ !!!
০৪.
বাবা আমাকে একটিবার দেখতে চেয়েছিলেন ! চিতার আগুনে পোড়া দেহভস্মও ধোয়ে গেছে তখন। ছাব্বিশ তারিখের রঙহীন বিমর্ষ এক ভাঙাচূরা সকাল বিষাদ-মর্মর সিঁড়িটার গোড়ায় এসে থেমে গেলো শেষে। আদরের ছোট্ট বোনটি আর্তচিৎকারে এসে ঝাঁপিয়ে পড়লো বুকে- সেজদাগো...বাবা তো আপনাকে না দেখে যেতে চান নি...শুধু এদিক-ওদিন খুঁজেছেন আপনাকে... কেন এতো দেরি করে ফেললেন...কেন... !
বারান্দায় সেই চেয়ারটি আর নেই। জায়গাটা আজ বীভৎস ফাঁকা ! পট্টবস্ত্র গায়ে উস্কুখুস্কু দাঁড়িয়ে থাকা ভাইটির পাথর-চোখে এ কোন্ অবোধ্য আগুন্তুক অক্ষরগুলো ঝুলে আছে এলোমেলো, নির্মম ! বড় বেশি অচেনা এসব ! একে তো আর কখনোই অনুবাদ করা হবে না আমার ! যার কোনো অনুবাদ হয় না... কিছুতেই... কখনোই...।
মন্তব্য
আপনার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
ধন্যবাদ রিটন ভাই। শেষপর্যন্ত বাবাকে দেখতে পাইনি। এই কষ্টই কুরে কুরে খাচ্ছে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বাবা ভালো থাকুন
ভালো থাকুন তার সন্তানেরা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ আপনাকে।
গত সাত তারিখ সন্ধ্যায় আপনার ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছে সিলেট। নাজমুল আলবাব পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। চমৎকার ভাইটি আপনার।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
... ... ...
(এই লেখায় মন্তব্য করার কোন ক্ষমতা আমার নেই।)
ভাষারা এভাবেই মুখ থুবড়ে পড়ে কখনো কখনো...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভাষা জানা নাই.........মন্তব্যের।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
এভাবেই ভাষারা হারায় টুটুল ভাই...!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সান্ত্বনা দেবার ভাষা আমারো জানা নেই, রণ দা।
শুধু কামনা করছি, এই অপূরনীয় ক্ষতি সামলে ওঠার শক্তি যেন আপনি এবং আপনার সকল আপনজনেরা পান---
ভালো থাকার কথা নয়, তবুও কামনা করি--ভাল থাকবেন
আমরা সবাই আছি আপনার সাথে--
আপনাদের দেয়া এই সাহসই তো আমার শোককে গলিয়ে সহ্যের সীমায় নিয়ে আসতে সহায়তা করেছে। অনেক ধন্যবাদ অনিকেত ভাই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কী বলবো, কীভাবে বলবো বুঝতে পারিছ না।
ধন্যবাদ টুকু ভাই, আপনার অনুভূতি আমি অনুভব করতে পারছি ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমায় ক্ষমা করবেন রনদা। এমন সময়ে আপনার পাশে দাঁড়াতে পারিনি, হয়তো কারো জন্যই পারবো না।
কে বলেছে দাঁড়ান নি ! আপনি নিজেই হয়তো জানেন না কখন যে আমার পাশে ঠিকই দাঁড়িয়ে গেছেন !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভালো থাকার চেষ্টা করুন। আর কী বলবো.....
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ভালো তো থাকতেই হবে সুমন ভাই...!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
...
লীলেন ভাই, শূন্যতার ভাষাও অনুভব করতে পারছি....
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদা
দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থাকি, বাবা মাকে দেখতে পাইনা, শুধু শুনতে পাই। যদি কখনো কিছু হয়ে যায় হয়তবা শেষ দেখাটাও দেখতে পারবনা। এই অনিশ্চয়তা নিয়েই জীবন চলে যাচ্ছে। আপনার কষ্ট, আবেগ, ইচ্ছা অপূরনের যন্ত্রনার কিছুটা ভার আমরা নাহয় নিলাম।ভাল থাকুন সবসময়।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দেশে থেকেও যে দুর্ভাগ্যের বোঝা বইতে হলো আমাকে, সেটা যেনো আপনাকে কখনোই বইতে না হয়, মনেপ্রাণে সে কামনাই করছি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমার আব্বা আম্মা কেউ নেই, আমি জানি বাবা মা হারানোর কষ্ট কি। মাথার উপর কোনো শান্তির হাত নেই.....এক বিশাল শূন্যতা ছাড়া।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
আপনার শূন্যতাকে আজ আমিও শেয়ার করছি রুনা । ভালো থাকুন সবসময়...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদা কি বলব বুঝতে পারছি না......... ভাল থাকবেন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ধন্যবাদ নিবিড়। কিছু বলার নেই আসলে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
ভালো থাকুন, যতোটা সম্ভব।
ধন্যবাদ রাজর্ষি দা'।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
...
....ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
জীবন মৃত্যূ ব্যাপারগুলি কী অদ্ভুত ... মূহুর্তে কত কিছু পাল্টে দেয়।
জন্মতেও দায়িত্ব বাড়ে, মৃত্যুতেও দায়িত্ব বাড়ে।
রণদা .... এখানে বলার কিছু থাকতে পারে না; শুধু একটা অনুরোধ আমার বাবা গত হলে আপনার সাহসটা যেন আমাকে ধার দেন .... আমার প্রস্তুতি অনেক বছরের কিন্তু তাও অনাগত ঐ সময়টার কথা ভাবলেই দূর্বল লাগে নিজেকে। স্বার্থপরের মত নিজের জন্য প্রার্থনা করছি ... যেন আপনার মত আক্ষেপ না থাকে আমার।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আমিও কামনা করছি শামীম ভাই, কোনো আক্ষেপ যেনো আপনাকে ছুঁ'তে না পারে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করি, সময়ে আপনার কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে, এই দেয়া করি
হাঁ, ঠিকই বলেছেন, দা টাইম ইজ দ্য বেস্ট টিচার !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রনদীপম দা ভাল থাকবেন সকলে।
কী বলতে পারি আর?
আসলে কিছু বলার নেই দিদি। প্রকৃতির অবিচল নিয়মকে না মেনে উপায় কী ! তবে প্রকৃতিও কখনো কখনো রূঢ় হয়ে যায় আর কি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
......................
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজু ভাই। ভাষাহীনতাও মাঝে মাঝে বড় বেশি বাঙ্ময় হয়ে ওঠে...!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনাকে শান্ত্বনা দেবার ভাষা তো ভাই আমার নেই। আপনার লেখা পড়ে গলার কাছে কি যেন দলা পাকিয়ে যাচ্ছে । নিজের বাবা মায়ের কথা মনে পড়লেই মাঝে মাঝে একা একা কাঁদি, ঘুমাতে যাবার আগে কাঁদি, নামাজে দাঁড়িয়ে কাঁদি। তাও আশ্বস্ত হই ওনারা দুজনই বেঁচেই আছেন সেটা ভেবে। কিন্তু আপনার তো সেটাও নেই। কষ্ট নিয়েই কাটাতে হবে বাকী জীবন। তবুও জীবন চলে যায় জীবনের নিয়মে। বাবা মা চলে যাবে, কেউ আগে বা পরে। আমরা সবাই একে একে সেই একই পথে ধাবিত হচ্ছি। তবুও ছেলেমেয়েদের মুখের দিকে চেয়ে সংসারের কোলাহলে হারিয়ে যান। সব একসময় ঠিক হয়ে যাবে।
সত্যি পিপি দা', জীবনের এই চিরায়ত চক্রে আগে-পরে আমরা সবাই একে একে চলে যাবো। এটাই সবাই জানি, বুঝি। তবু কেন যে মানতে চাই না, মানতে পারি না !
আসলে যে মায়ার বন্ধনে নাড়ি-ছেঁড়া দাগ লুকিয়ে থাকে, তার ক্ষত একদিন ঠিকই শুকাবে, তবু কখনোই এ দাগ যাবে না হয়তো। মানুষ বলেই কিনা কে জানে !
ভালো থাকুন সবাই। আপনার বাবা-মা'কে আমার শ্রদ্ধা জানালাম। দূর থেকে হলেও আরো অনেকদিন আপনাকে ছায়া দিয়ে যাবেন তাঁরা, এই কামনা করি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
...............
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ভালো আছেন রেনেট ? ভালো থাকবেন, সবসময়।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
---------
আমারো কিছু বলার নেই আরিফ ভাই......
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
.....................
কি গো আপামণি, কেমন আছেন আপনি ? ভালো থাকবেন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মন্তব্য প্রকাশে অক্ষমতার কারণে এ পোস্ট আমার অপঠিতই রয়ে যাবে...
শিমুল, উপস্থিতিই যখন নিজে নিজে মন্তব্য হয়ে যায়, তখন আর আলাদা প্রকাশের দরকার হয় না।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনার বাবার সঙ্গে কাটানো আনন্দের সব সময়গুলো মনে করুন আর ভালো থাকুন, রণদা।
সেটাই তো সমস্যা দাদা ! আমি যে ভুলতে চাই, পারছি না কিছুতেই !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। সেখানে তো এমনিতেই শান্তিপারাবার....
প্রিয়জনেরা ভালো থাকুন।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
হাঁ, ঠিকই বলেছেন। শান্তিপারাবার......
ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাদা, বেশ ক'বার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম আপনাকে ফোন করার। হয়নি। করতে পারিনি, নিজেকে প্রস্তুত করতে পারিনি ফোন করে কি বলবো বলে।
এই শোক কখনোই কাটেনা। তাই মিছে স্বান্তনা তখনো দেইনি, এখনো দেবোনা। আরো অনেক দিন পরেও হঠাৎ একদিন দেখবেন একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক কোন মুহুর্তে মনে পড়ে গেছে, পেরেক বিঁধে যাওয়ার ব্যাথা পিছু ছাড়ছেনা...
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাঁ মোরশেদ ভাই, জীবনের জ্বলন্ত সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সত্যটাকে আজ বড় কঠিনভাবে উপলব্ধি করছি। হয়তো ভেঙে পড়ার কিছু নেই এখানে। সবাইকেই যে একদিন এই সত্যের মুখোমুখি হতেই হয়...! আপনাদের মতো বন্ধু পেয়ে আমিও নিশ্চয়ই তা কাটিয়ে উঠবো। এছাড়া উপায়ও তো নেই !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেকদিন পরে ব্লগে ঢুকেই দু:সংবাদটি পেলাম। বলার কোন ভাষা নেই। মনটা খুব খারাপ হয়ে রইল।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
এটাই প্রকৃতির শুদ্ধ নিয়ম। এ নিয়মের ব্যত্যয় হওয়ার উপায় যে নেই !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক দিন পরে না কিন্তু অনেক অবসরে- একটি পর্ব ছেদে আমি আবার লগ করলাম এই আসরে। শুধু অপরাধবোধে না জানা ব্যর্থতায়। আজ পোষ্ট দেব। পিতৃহারার দলের রণদীপম দাকে উৎস্বর্গ করে। শান্তি শান্তি শান্তি..............
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
অভি, আপনার পোস্টটি পড়েছি, মন্তব্য করিনি যদিও।
ভালো থাকবেন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কি আর বলবো, আপনার পিতার রুহের মাগফেরাত কামনা করি, আল্লাহ উনাকে যান্নাত বাসী করুন, এই প্রার্থনা করি ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কাকা'র আত্মার শান্তি কামনা করছি!
ধন্যবাদ আকতার।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
.....................................................................................................................
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মানিক ভাই, কিছু বলার নাই। আপনাকে একটা স্যলুট জানাচ্ছি আমি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
.....
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
ধন্যবাদ সুজন দা'।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
................
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
.........ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
খুব কষ্ট পেয়েছি রণদা , আপনার পিতৃবিয়োগের খবর শুনে, এমন কোন দিন যায়নি যে ভাবিনি আপনি কেমন আছেন , কী ভাবে সামলাচ্ছেন এই সব হারানোর বেদনা। ভালো থাকবেন দাদ, যতটা সম্ভব। পাশে আছি।
মামুন ভাই, সময়ের নদী কারো ধার ধারে না। পাড় ভেঙে ভেঙে সে তার স্বভাবমতোই বয়ে যায়।
ভালো থাকবেন আপনারাও।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।
ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভালো থাকবেন রণদা
বাচ্চাদের গড়ে তুলুন তাদের ভেতর আপনার বাবার ছায়া দেখতে পাবেন
...........................
Every Picture Tells a Story
খুব সুন্দর বলেছেন মুস্তাফিজ ভাই। আশির্বাদ করবেন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পড়লাম না ইচ্ছা করেই। শক্তি সঞ্চয় করে নেই আগে। দূরে থেকেও সাথেই আছি, রণদা।
আপনারা আছেন বলেই সান্ত্বনা পাচ্ছি আমিও।
ভালো থাকবেন ইশতিয়াক ভাই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
প্রিভিউতে যতটুকু দেখা যায়, ঠিক ততটুকুই পড়েছিলাম অনেক আগেই, দেখেছিলাম ছবিটা। বুকের মধ্যে নিরেট একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম। এরপর আর বাকিটুকু পড়ার সাহস করলাম না। হয়ত পরে কখনো পড়ে নেব, হয়ত আর পড়া হবে না।
তবে একটা কথা নির্দ্বিধায় জানাতে পারি, যে সন্ধ্যায় প্রথম পড়লাম আপনার বাবা মারা যাওয়ার খবর, তারপর থেকে আজ পর্যন্ত অনেকদিনই অনেকবারই মনে পড়েছে আপনার কথা, কষ্ট লেগেছে প্রতিবারই। এমনকি, বিশ্বাস করবেন কি না, কাল সন্ধ্যায়ও ভাবছিলাম যে আপনি কেমন আছেন এখন, যোগাযোগ হয় না অনেকদিন (সাহসে কুলিয়ে উঠতে পারিনি আসলে)।
আপনার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করছি। আপনি মানসিকভাবে আরো দৃঢ় থাকতে পারবেন, সেই প্রত্যাশা করি। ভাল থাকুন, রণ'দা, যতটুকু পারা যায়, শোককে জয় করুন।
প্রহরী, আমি জানতাম আপনারা আমার সাথে আছেন। এটা আমাকে বিশাল সাহস জুগিয়েছে, প্রতি মুহূর্তে ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাদা, মানিক ভাইয়ের কাছ থেকে খবরটা পেয়ে আপনাকে যখন ফোন করলাম আপনি তখন সুনামগঞ্জের পথে। ফোনে আপনার কন্ঠের স্থিরতা দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম, নিরবে আপনার মেরুদণ্ডের প্রশংসা করেছিলাম। আজ আপনার এই পোস্ট পড়ে বুঝলাম বুকের ভেতর কী অনন্তচিতা জ্বালিয়েই না আপনি মেরুদণ্ড শক্ত রেখেছেন। যে আফসোসে আপনি আজ জ্বলছেন সেই একই আফসোসে আমি জ্বলছি আজ সতের বৎসর ধরে। একটি বার আর একটি কেন দেখতে পেলাম না! সমগ্র পৃথিবীর কি সাধ্য আছে এর সান্ত্বনা দেয়?
হায় দাদা, আমি আপনাকে কী বলব? আমার নিজের বুকের ভেতরটাই যে দুমড়ে মুচড়ে আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডব দা, প্রকৃতির নিয়মকে উপেক্ষা করার আমরা কে বলেন ! এই বিষাদ, এই বিপণ্নতা আছে বলেই কি জীবনটা এতো কষ্টের, এতো মায়ার, এতো আবেগের !
উদ্ধৃত এই কথাটা আপনি কোত্থেকে পেয়েছিলেন বলেন তো ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
লাইন দুটো রবীন্দ্রনাথের 'বলাকা' থেকে নেয়া 'শা-জাহান' কবিতার।
ধন্যবাদ আপনাকে। একইসাথে বাংলাফোরাম থেকেও ঘুরে এলাম।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
... ... ...
খুব কষ্ট লাগলো পড়ে ... হয়তো একারণে আপনি তাঁকে বেশী মিস করবেন, বেশী বেশী তিনি আপনার স্মৃতিতে আসবেন
আপনার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বাদশা ভাই, খুব সত্যি কথাটাই বলে দিলেন আপনি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনার বাবাকে শ্রদ্ধা।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ধন্যবাদ বিপ্লব দা'।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রনদা, আপনাকে ফোন করতে চেয়েছিলাম, ফেসবুকে মেসেজ রাখতে চেয়েছিলাম কিন্তু কোন ভাষা পাইনি। শুকনো সান্ত্বনার কথা মনে হবে হয়তো। নিজের মধ্যেও একটা প্রচন্ড ভয়ের বসবাস । বাবা - মা থেকে এতো দূরে থাকি, সেজন্যই হয়তো আরো সাহস হয় নি আপনার দ্বারের কড়া নাড়ার। কিন্তু দাদা ভেবেছি আপনার কথা বহুবার।
কাকু ভালো থাকুক, আপনারাও শোক সামলে নেয়ার শক্তি অর্জন করুন, এই আশা রাখছি
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ধন্যবাদ তাতাপু'। আপনাদের এই সহমর্মী শুভ কামনাই আমাকে শক্তি দেবে, সাহস দেবে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
.......
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মুমু, আপনার মুমুয়িত নৈঃশব্দের ভাষা মনে হয় বুঝতে পারছি আমি। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পরম করুণাময়ের কাছে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
ধন্যবাদ রাজিব।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বাবা মায়েরা কি কখনো চিরতরে হারিয়ে যায়? না।
তাঁরা বেঁচে থাকেন সন্তানের মাঝে। একবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভালকরে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন। দেখবেন বাবা লুকিয়ে আছেন ভুরুর আড়ালে, হাসির উচ্ছলতায়, ঢেউ খেলানো চুলের মাঝে।
তাঁর আত্মা চিরশান্তির কোলে স্থায়ীত্ব পান, এই কামনা করছি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
সুন্দর বলেছেন।
স্মৃতির মাঝেই বেঁচে থাকবেন তাঁরা...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
. . .
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
....ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
.
_______
(স্বাক্ষরও প্রত্যাহার করলাম)
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ধন্যবাদ সাইফুল...।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
লেখাটি এইমাত্র পেছনে হাটতে যেয়ে দেখলাম, জানিনা কী বলতে হয়? কিছুই বললাম না, শুধু ...।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
কিছু বলতে হবে না শাহীন ভাই, মানুষের নীরবতাও অনেক বড় শক্তিশালী ভাষা....!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নতুন মন্তব্য করুন