প্রফেসর ইউনূসকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ‘সত্তরতম জন্মদিনে প্রফেসর ইউনূস’, এই অভিন্ন শিরোনামে একটি লেখা গতকাল (২৭-০৬-২০০৬) অন্তর্জালের জনপ্রিয় দুটো ব্লগে (সচলায়তন ও সামহোয়ারইন) পর পর পোস্ট করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই কৌতুহলী ব্লগারদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয় এতে। নিজ নিজ মতামত তুলে ধরে অনেকেই বিচিত্র সব মন্তব্যও করেন যার যার রুচি, বিশ্বাস ও ব্যক্তিত্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে। আমার পারিপার্শ্বিক ও ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণেই সারাক্ষণ এবং ইচ্ছেমতো অন্তর্জালে সংযুক্ত থাকা আমার দ্বারা সম্ভব হয় না। ফলে বেশ দেরিতেই মন্তব্যগুলো দেখা ও পড়ার সুযোগ হয়েছে আমার। কিন্তু মন্তব্যের ক্যাটেগরি অনুযায়ী উত্তর দিতে গিয়েই বেশ বিপাকে পড়ে গেলাম। বিতর্ক যাকে পিছু ছাড়ে না, সেই প্রফেসর ইউনূসকে নিয়ে দেয়া পোস্টে অন্য কোনো পোস্টের মন্তব্যের মতো ইয়েস নট ভেরীগুড ধন্যবাদ জাতীয় মন্তব্য জবার দিয়ে শেষ রক্ষা হবে না এটা আন্দাজ করলেও আমি নিজেও যে ব্যক্তি-আক্রমণের লক্ষ্য হতে পারি সেটা কখনোই ভাবিনি। আর এর জবাব দিতে গিয়ে মন্তব্যের যে আকার দাঁড়াবে তাতে বাঁশের চেয়ে কঞ্চি যদি দশগুণ বড় হয়ে যায় তাহলে তা সমন্বিতভাবে আলাদা পোস্ট আকারে দেয়াটাই সমীচিন মনে হযেছে।
শুধু যে এই একটাই কারণ তাও নয়। আসলে ওই সব মন্তব্যের উত্তর দেয়ার আগে প্রফেসর ইউনূস প্রসঙ্গে উত্থিত কিছু প্রশ্নের উত্তর জানাটাও আবশ্যক আমার। যেভাবে এটাও জানা দরকার যে, আমরা কি সব সময় কেবল মুখ দিয়েই উত্তর দেই, না কি মাথাও ব্যবহার করি সাথে ? তবে সবার কাছে আগে এই অনুরোধ রাখি, আমার কোন বক্তব্যে কেউ যেন নিজেকে আক্রান্ত না ভাবেন। আসলে মন্তব্য-সূত্র ব্যবহার করে আমার একান্তই নিজস্ব চিন্তা-চেতনা নির্ভর কিছু যুক্তি উত্থাপনের প্রয়াস নিয়েছি কেবল। আমরা বাঙালিরা বোধ করি অস্থি-মজ্জায় বিতর্কপ্রিয়। তবু আশা করি আমাদের পারস্পরিক সৌহার্দ্যময় সম্পর্কে কোন নেতিবাচক আঁচড় আমরা কেউ পড়তে দেবো না।
‘সত্তরতম জন্মদিনে প্রফেসর ইউনূস’ পোস্টটিতে জনৈক ব্লগার (ইচ্ছে করেই এখানে নাম নিলাম না যদিও, তিনি যেন কোনভাবেই ভুল না বুঝেন আমাকে) আমার দীর্ঘ উদ্ধৃতি ব্যবহার করেই অত্যন্ত শালিন ও নম্রভাবেই মন্তব্য করেছেন এভাবে-
“ অসাধারণ মেধা আর অনন্য সৃজনক্ষমতার চৌকস উপস্থাপন, অর্থনীতির ক্ল্যাসিক তত্ত্বকে উল্টে দিয়ে সৃষ্ট তত্ত্বের সাথে প্রয়োগযোগ্যতার বিস্ময়কর সাফল্য প্রদর্শন এবং সাদাসিধে ব্যক্তি-জীবনের গ্লামারাস কারিশমা ও ঈর্ষণীয় যোগ্যতা তাঁকে হতভাগ্য গরীব একটি দেশের সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি থেকে এক প্রভাবশালী বিশ্ব-ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। তাঁকে নিয়ে আমরা যত বিতর্কই করি না কেন, বিশ্ব-মানচিত্রের এক কোণে পড়ে থাকা অসংখ্য সমস্যা-জর্জরিত বাংলাদেশ নামের ছোট্ট এই দেশটির বিশ্বপরিচিতি তুলে ধরতে তাঁর অবদান কোন অংশে কম নেই। এবং তাঁর মতো দ্বিতীয় আরেকটা বিশ্ব-ব্যক্তিত্ব তৈরি হতে এই হতভাগ্য জাতিকে আরো কতোকাল যে অপেক্ষা করতে হবে কে জানে। করে খাওয়ার বদলে কেড়ে খাওয়ার সংস্কৃতিতে পর্যুদস্ত এই দেশে তাঁকে নিয়ে অহঙ্কার আমরা করতেই পারি।...
ছিঃ বসু ছি!
এই সুবিধাবাদি-ধান্দাবাজ-সুদখোর-নীতিহীন জঘণ্য একটা লোককে এইরকম তেল চুপচুপে লেখা দিয়ে নিজের রেপুটেশন নষ্ট না করলেও পারতেন।”
প্রথমেই তাঁকে ধন্যবাদ এবং মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখি। কেননা তাঁর ধারালো ও ভারী মন্তব্যের তীব্রতা যখন ঘুরে আমার দিকেই ধেয়ে এলো, তখন আর জবাব না দিয়ে আমার কোন উপায় থাকে নি। এই মন্তব্যের জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করেছি কয়েকটি কারণে-
ড. ইউনূস এই রণদীপম বসু নামের নগন্য একজন ব্লগারকে চিনেন কি না তা জানা নেই। চেনার মতো নগন্যতম কোন সম্ভাবনাও চোখে পড়ে না। কিংবা ওই লেখাটাও আদৌ তাঁর চোখে পড়ার কোন কারণ আছে কিনা সে ব্যাপারেও একশতভাগ সন্দিহান আমি। আমাদের প্রচলিত সিস্টেমে যেখানে কোন না কোন স্বার্থ জড়িত থেকে যায়, বৈধ বা অবৈধ কোন সুযোগ-সুবিধা পাওয়া-নেয়ার বিষয় জড়িত থাকে সেখানেই তেল দেয়ার বিষয়টা প্রযোজ্য হয়ে থাকে জানি। সেক্ষেত্রে চুপচুপে দূরে থাক, সামান্যতম তেলও খরচ করা এই সংগতিহীন আমার জন্য মহার্ঘ অপচয় হয়ে যায় না কি ?
এই লেখকের ‘হরপ্পা’ নামের ব্লগে ঢুকতেই ব্লগ ব্যানারে প্রাচীন গ্রীক কবি ইউরিপিডিসের একটা বাণী নিশ্চয়ই চোখে পড়েছে- ‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই। তা প্রকাশ করতে যদি লজ্জাবোধ হয়, তবে সে ধরনের চিন্তা না করাই বোধ হয় ভালো।’ ভুল বা শুদ্ধ হোক, আমার চিন্তা আমারই। এর সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। তা স্বীকার করেই আমার বক্তব্য হচ্ছে, নিজস্ব চিন্তা বা ভাবনাকে প্রকাশের সৎসাহসই যদি না থাকলো তাহলে অর্থহীন রেপুটেশন দিয়ে কী হবে ! আর রেপুটেশন মানেই কি কান-কথা নির্ভর যুক্তিবোধহীন হুজুগে জনস্রোতে ভেসে চলা ?
আপনার অপছন্দের কিছুকে ‘ছিঃ’ বলতে পারার মৌলিক অধিকারকে সংরক্ষণ করেই আমারও কি জানতে ইচ্ছে হয় না, ড. ইউনূসকে আখ্যায়িত করে যে ‘সুবিধাবাদি-ধান্দাবাজ-সুদখোর-নীতিহীন-জঘণ্য’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করলেন তা কি ভালোভাবে জেনেবুঝে নিশ্চিত হয়ে করলেন ? কিংবা আমার চিন্তাপ্রসূত বক্তব্যের যে উদ্ধৃতিটাকে ‘ছিঃ’ শব্দ ব্যবহার করে এক কথায় প্রত্যাখ্যান করে দিলেন তার পেছনে আপনার কোন্ তথ্য-উপাত্ত-যুক্তিবোধ কাজ করেছে তা জানার অধিকার নিশ্চয় আমিও সংরক্ষণ করি !
আমি আশা করবো, পারস্পরিক সৌহার্দ্যময় সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রেখেই আমরা আমাদের আলোচনা-পর্যালোচনাটাকে আরেকটু এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আর আলোচনায় যাবার আগে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর খোঁজা সম্ভবত জরুরি এখন।
০১) ১৯৯২ সালে সোনালী ব্যাংকে ৫০০ টাকা মাসিক জমাদান শর্তে একটা ডিপোজিট পেনশন স্কীম বা ডিপিএস হিসাব খুলেছিলাম ১০ বছর মেয়াদে। কিন্তু ১৯৯৯ সালে পারিবারিক সমস্যার কারণে ওটার বিপরীতে তৎকালীন ১৮% ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধি সুদ হারে জমাকৃত আমানতের ৬০% সমপরিমাণ টাকা ঋণ নেই। সুদের হিসাব তো অনেকেই খুব ভালো জানেন দেখছি, একটু হিসাব করে বলবেন কি, এই সুদের হার বাৎসরিক হিসাবে কত পার্সেণ্টে গিয়ে দাঁড়ায় ? যেহেতু ঋণের বড় অংকের কিস্তির কারণে জাতীয় স্কেলের উল্লেখযোগ্যহীন বেতন নির্ভর ছাপোষা চাকুরে আমার দ্বারা খুব সঙ্গত কারণেই নিয়মিত ঋণের কিস্তি দেয়া সম্ভব ছিলো না, তাই অচিরেই তা সুদসহ বাড়তে বাড়তে আমার আমানতের মূল টাকাটাই গিলে খাবার জোগাড়। শেষপর্যন্ত ডিপিএস হিসাবটাকেই ক্লোজ করতে হলো। তাও ডিপিএস-এর প্রাপ্য ইন্টারেস্ট রেটে নয়, নরমাল সেভিংস এ্যাকাউন্ট হিসেবে।
এখন প্রশ্ন, একটা রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের সে সময়কার এমডি যিনি ছিলেন, তাঁকে কি সুদখোর মহাজন বলে অকথ্য ভাষায় গালি দেবো আমরা ? আর যদি সেই নিয়ম এখনও চালু থাকে, তবে কি বর্তমান এমডিও সুদখোর কাবুলিওয়ালা ?
০২) গ্রামীণ ব্যাংক হচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অক্টোবর ১৯৮৩ সালের রাষ্ট্রীয় অধ্যাদেশ বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাধীন একটি বিশেষায়িত ব্যাংক। যে কোন একটি নতুন শাখা খুলতে গেলেই আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয়। তাহলে আমাদের বিদ্যার জাহাজ বড় বড় সরকারি কর্মকর্তারা এটাকে এনজিও বলেন কেন এবং কোন্ যুক্তিতে ?
০৩) ড. ইউনূস হচ্ছেন গ্রামীণ ব্যাংকের বেতনভোগী এমডি। যেহেতু তিনি এর স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা, এবং সময়ে সময়ে পূর্ব-দৃষ্টান্তহীন এই আনকোরা নতুন দর্শনে চালিত প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম নীতি কৌশলের সংস্কার ও সম্প্রসারণে তাঁর মেধা ও দক্ষতার প্রয়োজন ছিলো, তাই তাঁকে সম্মানিত করে দীর্ঘকালীন এমডি হিসেবে রাখার বিধান যতটুকু জানি উক্ত অধ্যাদেশেই করা হয়েছিলো। প্রতিষ্ঠানটির আয়-ব্যয় বা লাভ-লোকসানের যাবতীয় দায়ভার প্রতিষ্ঠানই বহন করে। ড. ইউনুসের ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতি বা কোন ধরনের মুনাফার বিষয় এখানে কোনভাবেই জড়িত নয়। এছাড়া ব্যাংকটির পরিচালক মণ্ডলির নয়জন তিন বছর অন্তর ঋণগ্রহীতা সদস্যদের থেকে সদস্যদের দ্বারাই নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যানসহ বাকী তিনজন পরিচালক নিয়োগ দেন সরকার। নীতি-নির্ধারণী থেকে আয় ব্যয় এবং পরিচালন কৌশল সবকিছুই এই পরিচালক মণ্ডলিই অনুমোদন করে থাকে। তাহলে ড. ইউনূসকে কেন সুদখোর এবং আনুষঙ্গিক গালাগালগুলো শুনতে হয় ?
০৪) ক্ষুদ্র ঋণ তত্ত্বের বেসিক নীতিটাই হলো জামানত বিহীন ঋণ। প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যাদের জামানত দেয়ার ক্ষমতা আছে তারাই যে কোন ব্যাংক থেকে ঋণ পাবার যোগ্যতা রাখেন এবং তাঁরা ঋণের জন্য ব্যাংকে আসেন। অন্যদিকে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থায় জামানত দেয়ার মতো ন্যুনতম সম্পদও যাদের নেই, তাঁদেরকে তাঁদের পেশা বা ঋণ ব্যবহারের সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে জামানত বিহীন ঋণের সুযোগ তুলে দিতে ব্যাংকই মানুষের দরজায় যাবে।
এই নীতির উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী বহু প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছে যারা নিজ নিজ পরিচালন ব্যয় ও আনুষঙ্গিক খরচাদি বিবেচনায় রেখে আয়ের নিমিত্তে ঋণের সুদের হার নিজেরাই নির্ধারণ করে থাকে। সুদের হারের সাথে ক্ষুদ্রঋণ তত্ত্বের কোন সম্পর্কই নেই। এমন যুগান্তকারী তত্ত্বকে সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ড. ইউনূস দেখিয়েছেন জাতীয় বেতন কাঠামোর মধ্যে থেকেও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এরকম প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা সম্ভব, শুধু সদিচ্ছা থাকলে। এজন্যই এই তত্ত্বের আলোকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই অসংখ্য স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছে এবং দেশে দেশে তা পাঠ্যসূচিতেও অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো, এই সিস্টেমের যাঁরা বিরোধিতা বা সমালোচনা করছেন বা এর অসারতা প্রমাণ করতে লেগেপড়ে আছেন, তাঁরা কেন আরো উন্নত কোন সহজ সিস্টেম দাঁড় করিয়ে ড. ইউনূসকে অবসরে পাঠাচ্ছেন না ? প্রকৃত ধাপ্পাবাজ আসলে কারা ?
০৫) প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের সংজ্ঞা তো দর্শন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র মাত্রেই জানেন। এই কাল্পনিক নগর রাষ্ট্রের বাস্তবতা কতটুকু ? আদৌ কি তা বাস্তবায়নযোগ্য ? তাই বলে কেউ কি প্লেটোকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ? সময়ের ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর সমস্ত তত্ত্বই আপ-ডেট হতে হতে পুরনো তত্ত্ব বাতিল হয়ে নতুন তত্ত্ব এসে জায়গা করে নেয়। কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে গিয়ে পুরনো তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা ও ভুলগুলো চিহ্ণিত হয়ে সংশোধিত হতে থাকে। তা না করে ‘ভাত দেয়ার মুরোদ নেই কিল মারার গোসাই’ হয়ে আমরা যারা মাইক্রো-ক্রেডিট নিয়ে গালাগাল করে নিজেদেরকে রহস্যময়ভাবে জাহির করছি, তারা কি আসলে কে কত তীব্র ও আখাট্টা ভাষায় গাল দিতে পারি এই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে নিজেদের ব্যক্তি ও সামাজিক রুচিবোধের নিম্নগামীতা প্রকাশ করতেই গৌরববোধ করছি ?
০৬) গ্রামীণ ব্যাংক হচ্ছে একটা সোশ্যাল বিজনেস বা সামাজিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। এর লাভালাভের দাবীদার প্রতিষ্ঠানটির ৭০ লক্ষ ভূমিহীন ঋণগ্রহীতা শেয়ার হোল্ডার মালিক সদস্য ও অন্যতম শেয়ার হোল্ডার বাংলাদেশ সরকার (৮৫ ঃ ১৫)। ভূমিহীন ঋণগ্রহীতা সদস্য ও সরকারের মালিকানা শেয়ারের অনুপাতের সর্বশেষ তথ্যে কিছুটা পরিবর্তন থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় যাঁর ন্যুনতম কোন শেয়ারও নেই, সেই ড. ইউনূসকে যখন আমাদের বিজ্ঞ ও জ্ঞানী(!) রাজনীতিকরা বিদ্বেষ ছড়ানো ‘সুদখোর কাবুলিওয়ালা’ বলে লোকদেখানো ঘৃণ্য ভাষায় সম্বোধন করে থাকেন, এবং এই সম্বোধন শুনে আমরা যখন প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ঋণ পাবার যোগ্যতাহীন ৭০ লক্ষ বা আরো অনেক বেশি পরিবারের সম্ভাব্য অসহায়ত্বের কথা ভুলে গিয়ে কুম্ভিরাশ্রু ছাড়তে ছাড়তে উদ্বাহু নৃত্যে নাচতে থাকি, তখন সেই আপ্ত-উক্তিটা মনে পড়ে যায়- ‘মূর্খের দেশে পণ্ডিত না হয়ে আমি জ্ঞানীর দেশে মূর্খ হয়ে জন্মাতে চাই।’ কে যেন করেছিলেন উক্তিটা।
তবে হাঁ, প্রফেসর ইউনূসের ব্যক্তিগত প্রাপ্তি তো কিছু আছেই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রায় সব সেরা ও মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের সাথে যতটুকু জানি বেশ ভালো অর্থমূল্যও রয়েছে। আশিরও অধিক এরকম পুরস্কার যাঁর থলেতে এবং যতটুকু বুঝি ভালো সম্মানীর বিনিময়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার সিম্পোজিয়ামে আমন্ত্রিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বক্তৃতা দিয়ে বেড়ানো প্রফেসর ইউনূসের আর্থিক সচ্ছলতা যদি তাঁর মেধা, সৃজনশীলতা ও যোগ্যতার বিনিময়ে অর্জিত হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তার এই বৈধ আয় নিয়ে আমাদের গাত্রদাহ হবার রহস্য বা কারণ কী হতে পারে ?
০৭) ‘চিলে কান নিলো রে’ শুনেই আমরা কি হুজুগে দৌঁড়াতেই থাকবো, না কি নিজেদের সেন্স ও যুক্তিবোধ প্রয়োগ করে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রকৃত রহস্যটা খোঁজার চেষ্টা করবো ?
ব্যক্তির ব্যবহৃত ভাষাই তাঁর ব্যক্তিত্বের আয়না। নিজের সন্তানকে পাশে রেখে কুৎসীৎতম যে শব্দটা পর্যন্ত আমরা উচ্চারণ করতে পারি, সেটাই আমাদের প্রকাশিত ব্যক্তিরুচির লোয়ার লেভেল হওয়ার কথা ছিলো। তাই যাঁরা কেবল যুক্তিহীন গালাগালি করে এক ধরনের বিকৃত আনন্দ পেতে চান তাঁদের শালিনতা ও রুচিবোধ নিয়ে আমার কোন কথা নেই। তবে যাঁরা যুক্তিবোধ সম্পন্ন এবং প্রকৃত তথ্য ও রহস্য খুঁজে পেতে আগ্রহী, তাঁদের জন্য উপরোক্ত প্রশ্নগুলো আপাতত উত্থাপন করা হলো। এগুলোর জুৎসই উত্তর পাওয়া গেলেই সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ক আরো কিছু অনিবার্য প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করি।
ব্যক্তিগত কৌতুহল ও নিরন্তর প্রশ্নমুখীনতাই আমাকে এ পোস্ট তৈরি করতে সহায়তা করেছে। আমি বিশ্বাস করি, প্রশ্নের সারি যত দীর্ঘ হয়, উত্তর খোঁজার মধ্য দিয়ে রহস্য উন্মোচনের সম্ভাবনাও তত নিকটবর্তী হতে থাকে। আসুন না, অহেতুক হুজুগে মেতে না উঠে আমরা আমাদের প্রশ্নের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করতে থাকি। কেউ না কেউ এর উত্তর দিতে এগিয়ে আসবেই।
মন্তব্য
আমি সবসময়ই অপ্রাসংগিক মন্তব্য করি। আজও আরেকটা করি: ডঃ ইউনুসের হাসিটা যা সুন্দর না!!!!!!!!
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
মুহাহাহাহা...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
১.
আপনি ব্যাংক থেকে ডিপিএস এ্যাকাউন্টে পাচ্ছেন বাতসরিক (১+.১৮/৪)^৪ - ১ = ১৯.২৫%
আপনি কত দিচ্ছেন সেই বিষয়ে তথ্য অনুপস্থিত । কত সুদ আর বছরে কয়টা কিস্তি সেটা জানলে বলা যেত আপনার কাছে তারা কত নিচ্ছেন । সেটা বের করলেই জানা যাবে এমডি সাহেব মহাজন কিনা ।
৩. কি করা বলেন ? মাইক্রোসফটের যাবতীয় গালাগাল বিল গেটসের ওপরেই বর্তায় ।
৪.
- ভাই রণদীপ, কাউকে সমালোচনা করতে গেলে যা সমালোচনা করা হচ্ছে সেটার মতো কিছু করে দেখাতে হয় ? তাহলে তো কোন কিছুরই সমালোচনা করা যাবে না !
- সুদের হারের সাথে ক্ষুদ্র ঋণের সম্পর্ক নাই কথাটা ঠিক নয় । যেকোন ঋণের সাথেই সুদের হারের সম্পর্ক রয়েছে এই কারনে যে ঋণ গ্রহীতাকে সুদটা পরিশোধ করতে হয় । গ্রামীন ব্যাংক, ব্র্যাক, আশা ইত্যাদিকে সুদখোর মহাজোন ইত্যাদি বলা হয় একারনে যে তাদের বাতসরিক সুদের হার ২০-৬০% এর মধ্যে । এবং দেশে দেশে এইসব ডাকাতি প্রতিষ্ঠান জন্ম নিচ্ছে বলে ভাবার কোন কারন নেই যে এগুলো হালাল হয়ে যাচ্ছে ।
৬. প্রচলিত ব্যবস্থার বাইরে ৭০ লক্ষ লোক ঋণ পেয়ে বিশাল অংকের সুদে দিয়ে তাদের কি অবস্থার পরিবর্তন হলো কিনা সেটা একটা তর্কসাপেক্ষ বিষয় । তাদের অবস্থা সন্দেহাতিত ভাবে ভালো হয়েছে এরকম কোন গবেষণামূলক প্রবন্ধ আমার নজরে পড়েনি । বহুকাল আগে বিআইডিএস-এ কাজ করতাম । তখনকার অভিজ্ঞতা থেকে এটা বলা । আপনি এরকম কোন সর্বগ্রাহ্য গবেষণামূলক ফাইন্ডিংস পেলে জানাবেন ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ভুলটা আরো অনেকেই করে। বিল গেটসের সাথে মাইক্রোসফটের সম্পর্ক আর ইউনুসের সাথে গ্রামীন ব্যাংকের সম্পর্ক যদি এক হতো গালাগালগুলো তার পাওনা হতে পারতো। কিন্তু ব্যাপারটা সেরকম নয়। ব্যাখ্যাটা রণ'দার পোষ্টেই দেয়া আছে বলে আমি পুনরাবৃত্তি করলাম না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হাসিব ভাই, ম্যাথমেটিক্যাল টার্মে একটু খটকা লাগছে।
১.
আমার পোস্টে আমি উল্লেখ করেছিলাম, সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস লোনের জন্য আমাকে সুদ দিতে হয়েছিল ১৮% ত্রৈমাসিক চক্রবৃদ্ধি হারে। সে হিসাবে আমার ক্যালকুলেশানটা হয়েছিল এরকম, ম্যানুয়ালী-
১ম কোয়ার্টারের হিসাব-
১০০ টাকার ১২ মাসের দেয় সুদ = ১৮ টাকা
১০০ টাকার ৩ মাসের সুদ = (১৮×৩)/১২ = ৪.৫০= ৫ টাকা (প্রথম ত্রৈমাসিক)
যেহেতু চক্রবৃদ্ধি, তাই চার্জকৃত সুদের টাকা মূল টাকায় চলে আসবে। অর্থাৎ প্রথম ত্রৈমাসিক শেষে আদায়যোগ্য মূলঋণ হবে ১০৫ টাকা।
২য় কোয়ার্টারের হিসাব-
১০০ টাকার ১২ মাসের দেয় সুদ= ১৮ টাকা
১০৫ টাকার ৩ মাসের সুদ = (১৮×৩×১০৫)/(১০০×১২)= ৪.৭২= ৫ টাকা
অর্থাৎ ২য় কোয়ার্টার শেষে আদায়যোগ্য মূলঋণ হবে ১০৫+৫= ১১০ টাকা।
৩য় কোয়ার্টারের হিসাব-
১১০ টাকার ৩ মাসের সুদ = (১৮×৩×১১০)/(১০০×১২)= ৫ টাকা
৩য় কোয়ার্টার শেষে আদায়যোগ্য মূলঋণ দাঁড়ায়= ১১৫ টাকা।
তদ্রূপ ৪র্থ কোয়ার্টার শেষে ১১৫ টাকার ৩ মাসের সুদ= (১৮×৩×১১৫)/(১০০×১২)= ৫.১৮ = ৫ টাকা
এবং আদায়যোগ্য দাঁড়ায় ১২০ টাকা।
অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে এই ঋণের সুদ হচ্ছে ২০%। তার মানে দাঁড়াচ্ছে ভাতের লোকমাটা সরাসরি মুখে না তুলে একটু ঘুরিয়ে খেলাম।
অন্যদিকে ১২% প্রাপ্য সুদের হার নির্দিষ্ট মেয়াদের আগে ডিপিএস ক্লোজ করার কারণে সেভিংস রেটে অর্থাৎ ৬% সরল সুদে নেমে এসেছিল। এখন সহজেই অনুমেয় রাষ্ট্রীয় একটি ব্যাংকের তৎকালীন দেনা-পাওনার হিসাবটা।
৪
বিভিন্ন মন্তব্যের মধ্যে যেহেতু গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের বিষয়টি উঠে আসছে, তাই বছর খানেক আগে একই ধরনে একটা পোস্টে আমি নিম্নোক্তভাবে সুদের হিসাবটা দেখিয়েছিলাম, যা এখনো একইভাবে বলবৎ আছে।
গ্রামীণ ব্যাংক সুদ নেয় তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ২০% বাৎসরিক হারে। উপরোক্ত সুদের হিসাব অনুযায়ী এক্ষেত্রে ১০০০ টাকার মূলঋণের জন্য সুদাসলে হবার কথা ১২০০ টাকা বৎসরে। কিন্তু তা না হয়ে একজন ঋণীকে দিতে হচ্ছে ১১০০ টাকা বা তার থেকে পাঁচ দশটাকা কম বা বেশি। তবে কি সুদ ১০% ? তা নয়। সুদের হার ২০% ঠিকই আছে। এ ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংক ব্যাংকিং নিয়মানুযায়ীই সাপ্তাহিক বা নির্ধারিত নিয়মে পরিশোধকৃত কিস্তিকে পরিশোধ সাপেক্ষে মূলঋণ থেকে বাদ দিয়ে পরিশোধযোগ্য ও সুদচার্জযোগ্য ঋণের ব্যালেন্স বানিয়ে নেয়। ফলে ঋণ নেয়ার প্রথম সপ্তাহের চার্জযোগ্য ঋণের ব্যালেন্স থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের চার্জযোগ্য ঋণের ব্যালেন্স কমে আসে। এভাবে ঋণের কিস্তি পরিশোধ সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আদায়যোগ্য ব্যালেন্স কমতে থাকায় মোট চার্জকৃত সুদের পরিমাণ ঋণীর ঋণ ব্যবহারের সময়কালের উপরই নির্ভর করে। কেউ ছ'মাস পর পুরো ঋণ পরিশোধ করতে চাইলে ওই সময়কালের জন্য ক্রমহ্রাসমান ব্যালেন্সের সাপেক্ষে হিসাব করা হয়। ফলে তা হয়তো সম্ভাব্য ৭০ বা ৭৫ বা এর কাছাকাছি পরিমাণে দাঁড়ায়। এটাই ব্যাংকিং নিয়ম, যা আমার জানামতে গ্রামীণ ব্যাংক করে থাকে।
তবে এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয়টা হচ্ছে ঋণপরিশোধের সম্ভাব্য সময়কাল হিসাব করে গ্রামীণ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ঋণীর কাছে প্রাপ্য সম্ভাব্য সুদকে সাপ্তহিক ভিত্তিতে খণ্ডিতভাবে ঋণের কিস্তির সাথে আদায় করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একজন ঋণী বছর শেষে সুদ বাবদ যে ১০০ টাকা প্রদান করার কথা তা টুকরো টুকরো করে সারা বছর সাপ্তাহিক কিস্তিতে ঋণের কিস্তির সাথে পরিশোধ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে এই ১০০ টাকা বছর শেষে শোধ না করে শুরু থেকে সাপ্তাহিক ২ টাকা করে পরিশোধ করলে প্রকৃত সুদের হার আসলে কত পারসেন্ট বেড়ে যায় তা কি একটু হিসেব করে দেখাবেন ? বাড়ে তো অবশ্যই, তবে তা গোটা ঋণের ক্ষেত্রে সার্বিক সুদের হারে কত পারসেণ্ট বাড়ে ? ১% ? ২% ? প্রকৃত কত ?
অন্যদিকে কিছু কিছু এনজিও প্রতিষ্ঠানের সুদ চার্জের নিয়ম বড় মজার। আমি এখানে নাম উল্লেখ করছি না। এরা ঋণ দেন তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ১৫% হারে। এখানে শুভঙ্করের ফাঁকিটা হচ্ছে প্রদানকৃত মূলঋণের উপর চার্জকৃত সুদ বাবদ তারা শতে ১৫ টাকা হিসেবে ১০০০ টাকা ঋণের জন্য ১১৫০ টাকা নেন। সাপ্তাহিক পাক্ষিক যেভাবেই হোক নির্ধারিত নিয়মে কিস্তি পরিশোধ করলেও তাকে বছরের মধ্যে ওই ১১৫০ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। কিস্তিতে কিস্তিতে টাকা পরিশোধ হয়ে যে মূলঋণ হ্রাস পাচ্ছে, সুদের হিসাবের ক্ষেত্রে তা কোনই প্রভাব ফেলছে না। সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে যদিও সুদটা ধার্য হয় এক বছরের জন্য, কিন্তু ঋণ নেয়ার এক সপ্তা পরেই যদি কেউ টাকা পরিশোধ করতে চায় তাকে পুরো ১১৫০ টাকাই দিতে হবে। অতএব এ ক্ষেত্রে সুদের হিসাবটা কী হচ্ছে ? এবং তা যে পরিশোধের সময়ের ভিন্নতার কারণে সুদের হারে ব্যাপক পার্থক্য তৈরি করছে তা কি কেউ হিসাব করে দেখি আমরা ?
এজন্যই বলেছিলাম ক্ষুদ্রঋণ তত্ত্বের সাথে সুদের হারের কোন সম্পর্ক নাই। সুদের হারটা স্রেফ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ বিবেচনা দিয়েই বানিয়ে নেয় বলে মনে হচ্ছে। অর্থাৎ তত্ত্বটাকে আমরা কিভাবে প্রয়োগ করছি।
এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় কোন ভিশন আদৌ আছে কিনা জানিনা। সরকার বাহাদুরের এতো ক্ষমতা, এই হেন করেঙ্গা তেন করেঙ্গা বাকোয়াজী না করে ক্ষুদ্রঋণের জন্য স্বতন্ত্র একটা প্রতিষ্ঠান বানিয়ে অতি অল্প সুদে জনসেবা করার এতো সহজ সুযোগটা হাতছাড়া করছে কেন তাই তো বুঝতে পারছি না। হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে কেটে নিয়ে যেতে পারছে, অথচ এরকম একটা প্রতিষ্ঠান বানানো কি সরকারের পক্ষে এতো অসম্ভব ?
৬
সেদিন পত্রিকায় দেখলাম আমাদের বিশ্বরেকর্ডধারী প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সাহেব ড. ইউনূস সম্পর্কে 'সুদখোর কাবুলিওয়ালা' সম্বোধন করে কী যেন বলতে চাইলেন। হা হা হা ! খুব হাসি পেল আমার। তিনি কি আগে তা জানতেন না ? এতো দীর্ঘকালীন ক্ষমতার প্রভাবধারী থেকেও রাষ্ট্রীয় ব্যাক-আপ নিয়েও এমন একটা প্রতিষ্ঠান বানানো কি তাঁর দ্বারা খুব অসম্ভব ছিল ? আমাদের রাজনীতিকদের লজ্জাহীনতারও একটা লাগাম থাকা জরুরি মনে হয়।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকুক, তবে স্বাধীনতার বল্গাহীন ব্যবহার কাম্য নয়। রণদা, আপনার লেখায় ৫।
ক্ষুদ্রঋন প্রান্তিক পর্যায়ে পৌছে দেবার সাফল্যেই ডুগডুগি বাজানোর সময় বোধহয় আমরা পেরিয়ে এসেছি। কেবল এই ফর্মুলায় দারিদ্রকে জাদুঘরে পৌছানো যায় না। ক্ষুদ্রঋনের সরবারহের সাথে সাথে এটাও নিশ্চিত করা উচিৎ যে সেই ঋনের যথাযথ এন্টারপ্রেনরশীপ ঘটছে কিনা। এটা যে কোনো পর্যায়ের ঋনের ক্ষেত্রেই সত্যি। একজন কৃষক ঋন নিয়ে তার কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার না করে শুরুতেই যদি ঘরের চাল দিয়ে বসে থাকে তাহলে সেই ঋন শোধ করা তো দূরের কথা, সপ্তাহের সুদের যোগানো দিতে পারবে না, শেষে তাকে তার গরু বিক্রি করতে হবে, গরু গেলে ছাগল বেচবে, তারপর মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋন নিয়ে গ্রামীন ব্যাংকের সুদ শোধ করবে, তারপর আবার সেই মহাজন প্লাস গ্রামীন ব্যাংকের ঋন পরিশোধের জন্য আশা'র কাছ থেকে চড়াসুদে ঋন নেবে, তারপর একের পর এক এনজিওর টাকা নিয়ে অন্য এনজিওর টাকা শোধ করবে, এবং এই দুষ্টচক্রে পড়ে বেচারা কৃষক একসময় সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসবে। এটা কোনো অলীক ঘটনা নয়, আমার গ্রামেই এরকম অনেক পরিবার আছে যাদের ভাগ্যে এই ঘটনা ঘটেছে।
সেলুকাজ হচ্ছে যে খচ্চরটি কোটি টাকা লোন নিয়ে মেরে দেয় তার কিছু হয় না, বরং সে ব্যাটাই একদিন পাজেরো দাবড়ায়, দেশ উদ্ধার করে। কিন্তু ঐ কৃষকের মরণ পর্যন্ত ঋন টানতে হয়।
আবার, গ্রামীণ ব্যাংকের ঋন নিয়েই অনেকে স্বচ্ছল হয়েছেন এটাও সত্যি। দেখা যাবে এদের সংখ্যাই বেশি। এর কারণ, তারা ঋন নিয়ে সেটাকে ইনভেস্ট করেছে এবং সেখান থেকেই ঋন ও তার সুদ পরিশোধ করেছে। মানুষকে তাই আমার মনে হয় ঋন দেবার আগে সেই ঋনের সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে করা যায় সেটা বোঝানোটা জরুরী, সেটা চর আটরশি সোলেমানই নিক কিংবা গুলশান চোধুরীই নিক।
---------
দ্রোহীয়ো মন্তব্য করি এবার।
এই গল্পটা তো জানেন। দ্রোহী এক শনিবারে ধুগোর নিকট হাজির হৈয়া বলিল, ভাই ধুগো, দশটা টংকা দাও, গৃহে চাল বাড়ন্ত। ধুগো জাতে কিপ্টা হৈলেও তালে ঠিক, শুনিয়াছে মেম্বরের শালি নাকি সেরম! কিয়ৎক্ষণ দেরি না করিয়া লেংটির কোছা হৈতে চকচকে দশটি টাকার নোট বাহির করিয়া দ্রোহীর হাতে ধরাইয়া দিল। দ্রোহী মালকোচার ভাঁজে নোটখানি লুকাইয়া কহিল, টেনশন নিয়ো না, আগামি বুধবারেই ইহা ফেরত পাইবে।
এদিকে একটাকায় যাত্রা দেখিতে গিয়া নায়িকা কংকাবালার ঝুমুরঝুমুর নৃত্য দেখিয়া নয়টাকা বখশিস দিয়া এক্ষণে দ্রোহীর মাথায় হাত। দেখিতে দেখিতে বুধবার চলিয়া আসিল। এখন উপায়!
হিমুর কাছে গিয়া মেম্বর কথা পাড়িল, ভাই আমারে সাহায্য কর। দশটি টংকার বড় প্রয়োজন, আগামি শনিবার দিয়া দিব। হিমু মিয়ার দরাজ দিল, সেই টাকা লৈয়া দ্রোহী ধুগোর লোন পরিশোধ করিল।
কিন্তু পরের শনিবার আসিতেই তাহার মনে পড়িল, অদ্য হিমুর লোন পরিশোধ না করিলে খবর আছে, হিমু ব্যাটা নচ্ছার, সচলে নির্ঘাৎ তাহার চরিত্র লৈয়া একখান কুপোষ্ট ছাড়িবে। তাই বিলম্ব না করিয়া দ্রোহী আবার ধুগোর বাটিতে উপস্থিত হৈয়া শালির লোভ দেখাইয়া আগেকার মত আবার দশ টাকা লোন করিল। বলিল, তুমিতো জানই, আগামি বুধবার শোধাইবো।
এইভাবে দ্রোহীমিয়া প্রতি শনিবার ধুগোমিয়া হৈতে লৈয়া হিমুমিয়াকে, আবার বুধবার হিমুমিয়া হৈতে লৈয়া ধুগোমিয়াকে দশ টাকা দিতে লাগিল।
কিন্তু এক শনিবার প্রাতঃভ্রমণে তিনজনেরই একসাথে দেখা হৈয়া গেল। দ্রোহী আশুবিপদ টের পাইয়া ফন্দি আটিল। সে কপট রাগের ভান করিয়া দুইজনকে বলিল, দেখো তোমাদের কারবারে আমি আর নাই, আমার ম্যালা কাজ। প্রত্যেক শনিবারে ধুগোর দশটাকা হিমুকে দিতে দিতে, আর প্রত্যেক বুধবারে হিমুর টাকা ধুগোকে দিতে দিতে আমি ক্যালান্ত। তোমাদের টাকা তুমরাই লেনদেন কর। আমি আর এর মধ্যে নাই।
আংশিক ভাবে একমত। তবে একথাও স্বিকার করতেই হবে যে যদি এই কঠিন কাজটিকে সম্ভব করার ব্যপারটিকে আমরা সাধুবাদ না জানাই বরং যারা এই দায়িত্বটিকে মাথা পেতে নিলেন তাদের গালাগাল করতে থাকি সেটাকি একপেশে হয়ে যায় না?
আজকে প্রন্তিক পর্যায়ে ঋন পৌছাচ্ছে বলেই আমরা পরের প্রশ্ন গুলো রাখতে পারছি। ইনোভেশনের প্রথম স্তর হচ্ছে অভিজ্ঞতা এবং তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে প্রস্পরের কাছ থেকে শেখা। সোশাল কোলেটারালের ব্যপারটি কে আরো বিস্তৃত পরিসরের কাজে লাগাতে পারলে হয়ত এই ব্যপারটি আরো সহজ হয়ে যেতে পারে।
"necessity is the mother of invention"
এটাকে মেনে নিলে দেখার বিষয় এটা যে যদি ঋনের সরবরাহ আছে বলেই তার ব্যবহার কেমন ভাবে করা হলে কাজে আসতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে পারছি। এবং এটা খুবই প্রাসঙ্গিক।
হা হা বেশ মজার। কিন্তু সিস্টেম লস হয়ে গেল তো..
আমার দিল আসলেই দরাজ। কারণ বড় কোন রক্তারক্তি ঘটে যাবার আগেই এই পোস্টে এক অভিনব ভিডিও এনে হাজির করছি। এটা দেখে সবাই দিল ঠান্ডা করেন।
ইউনুস সাহেবের আয়ু নিয়ে টেনশনে পড়ে গেলাম। তিনি আরো তিরিশ বছর বাঁচলে আরো তিরিশবার সচলায়তনে বার্ষিক একখানা রেটে মৃদু কাজিয়া উৎসব লাগবে। আমার মনে হয় এর একটা আশু সমাধান প্রয়োজন ।
ইন্টারেস্টিং ভিডিও। উদ্দেশ্যটা বুঝতে পারলাম না।
কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নাই । তবে এই পোস্টের তর্ক-বিতর্ক অনেক বাষ্প তৈরি করার আগেই একটা রিলিজ ভালভ বসানোর চেষ্টা বলতে পারেন।
জ্বী না স্যার, আপনার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছি, ভিডিওর বিষয়বস্তুর উদ্দেশ্যটা বুঝতে পারিনি
ইয়ানসেন সাহেবের হাতে সময় আছে, পকেটে পয়সা আছে, মাথায় কুবুদ্ধি আছে ... আর কিছু লাগে কন ?
অলটারনেট টু হুইল। ভবিষ্যতে এই ধরনের ভ্যাহিকেল দেখতে পাবেন যারা হেঁটে বেড়াতে পারে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ভিডিওটা দেখে একেবারে টাস্কি খাইয়া গেলাম!!!!!!!!!!
শিবরামেরে আমার ঘাড়ে চাপানোয় তীব্র পোতিবাদ। আমি জীবনেও ধু.গো কিংবা হিমুর কাছ থেকে দশ টাকা ধার করি নাই। বরং ধু.গো নাকি কোন এক মাফিয়া সর্দারের চব্বিশ ইউরো হাতিয়ে নিয়েছে। আমার নামে কালিমা লেপন করে আমার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার এই প্রয়াসে দিক্কার।
ফা.হা-র আইপি সহ ব্যাঞ্চাই।
বেয়াইয়ের লগে একটু মজাক করলাম আরকি! ভাই ভালু আছেন?
হে হে হে ডরাইছেন? মারাত্মক ভালু আছি। গত দুই সপ্তাহ রাইতে ঘুমাই না। দিনে ঘুমাই।
আপনার কন্যার যত্ন-আত্ত্বিতে কোন ফাঁক রাখলে কইলাম খবরই আছে আপনার।
কন্যার যত্ন-আত্ত্বিতে দুই ফ্যামিলির পুরা তিন জেনারেশনরে মাঠে নামায়া দিছি।
আমারো একই ঘটনা, সকাল আটটা বাজে, যাই ঘুমাই।
হু ঠিকাছে। যত্ন-আত্ত্বি জারি থাকুক। আমার পোলাটারে খালি ফাইভ পর্যন্ত পাশ করতে দেন। বিয়া শাদি লাগাইয়া দিমু।
পোলা?
- পোলা কৈ দেখেন পিপিদা, ঐটা টাইপো। আসলে লিখতে নিছিলো, তেঁতুলের গোলা (মানে বিচি)।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা হা.. তাহলে ঠিক আছে।
পিপিদা, ধু.গো-র কথায় কান দিয়েন না। ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে ধু.গো আমার আর আমার বেয়াইয়ের বিরুদ্ধে নেমেছে।
- নাউযুবিল্লাহ্, আমার যতো 'বিরোধ' সব তো জগতের ললনাকুলের সাপেক্ষে! আপনারা দুই 'ট্যামারিণ্ড বেয়াই' কি ইস্ট্রোজেনের আধিক্য বাড়ায়া দিছেন নাকি শরীরে? আস্তাগফিরুল্লা, কেয়ামতের আর বেশি দেরী নাই
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার বিরোধ? তাও আবার ললনাদের বিপক্ষে?
- আমারে অর্থনৈতিক ব্যাপারের মতো অনার্থিক গল্পে ঢুকায়া দেয়া? খাড়ান দাঁতভাঙা জবাব দিতাছি, আগে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন কইরা আসি রণ'দারে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- পোস্টের শুরুতেই চশমা আর কলমটা দেখে মনে প্রশ্ন জাগছে, পোস্ট পড়া শেষ হইলে রণ'দারে জিগামু, এইটা প্রফেসর ইউনূসের নোবেলজয়কালে ব্যবহৃত চশমা ও কলম?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
উঁহু, এটা অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হলোনা। দ্রোহীর মতো প্রশ্ন করতে হবে।
- উঁহু, আমাদের মধ্যে বটি এণ্ড পাম্পকিন সম্পর্ক বজায় আছে, তাই আমরা কেউ কাউকে কপি করি না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ কথা সত্য। আমাদের মধ্যে গম চুরি বিষয়ক ঝামেলার কারণে বটি এন্ড পাম্পকিন সম্পর্ক বজায় আছে। ধু.গো গম চুরি করে। আমি করি না। সে চায় আমি ও তার সাথে গমচুরিতে সামিল হই। আমি সায় দিই না। এ কারণেই আমাদের মধ্যে প্রবল কোন্দল। তাছাড়া আমি ধু.গোর মত ঋণখেলাপী না। শোনা যায় ধু.গো নাকি কোন এক মাফিয়া সর্দারের চব্বিশ ইউরো মেরে দিয়ে দেশান্তরী হয়েছে।
- বহু মাফিয়ার টেকা মারছি জীবনে। আপনে যার কথা কৈতাছেন সেই মাফিয়া সর্দার আমার কাছে (ইউরো) মারা দেবার সময় কী রঙের আছিলো? মানে তার তৎকালীন গাত্রবর্ণ কী?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি যতদূর শুনেছি মাফিয়া সর্দার নাকি দেখতে সুদানীর পো আবু লুলুর মত কালা!
- *
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- আমি না ইদানিং 'স' উচ্চারণ করতে পারি না। সুইটি বলতে গিয়ে চুইটি বলে ফেলি, স'মিল বলতে গিয়ে চ'মিল বলে ফেলি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেইটা আমি জানি। আমার উপরের মন্তব্যটা সেই কারণেই।
- আপনার উপরের মন্তব্যে কি 'সুইটি' & 'স'মিল' শব্দগুলো আছে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নাই মানে? অবশ্যই আছে! সুইটি না থাকলেও স'মিল অবশ্যই আছে।
- কইলে তো হবে না জনাব, উদাহরণ দিয়া দেখান দেখি...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"ধূসোর গোধূলি" উচ্চারণ করেন দেখি।
- নিজের ভুল পাগোলেও বুঝে। আর নিজের নাম ঠিক কইরা না কইতে পারলে লুকে কী বলবো! তাই তো বহুত কসরৎ কইরা নিজের নামটা ঠিকঠাক কৈতে পারি, মাশাল্লাহ।
আপনার 'উপরের কমেণ্ট' থেকে কোট করেন মিয়া।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি কোট করলে তো হবে না। আপনাকে উচ্চারণ করে কইতে হবে। "ধূসোর", স'মিল, সুইটি একবারে কইতে হবে।
- কোনমতে যদি এই কমেণ্টের সোঁপান সেই জনৈক মাফিয়া সর্দার বাওয়া শুরু করে, আর দেখে আপনে 'উপরের কমেণ্টে' কী কৈছেন, তাইলে "তু তো গ্যায়ারে কালিয়া!"
[পোয়েটিক তুই-তুকারি কৈলাম]
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মাফিয়া সর্দারের আর খায়া দায়া কাম নাই।
"তু তো গ্যায়া রে কালিয়া" বাক্যটিতে "কালিয়া" শব্দটি আমার প্রতি ব্যবহার করলেন নাকি সেই মাফিয়া সর্দারের গাত্রবর্ণকে কটাক্ষ করে ব্যবহার করলেন সেইটা কিন্তু মাফিয়া সর্দার ঠিকই বুঝবো।
- হালার আসলেই কোনো কাম নাই। যখন দেখি খালি প্যান প্যান করে, "আমার চব্বিশ ইউরো দিয়ে দে শায়তান, বিনিময়ে এই ইজ্জত নিয়ে নে!"
এখন আপনেই কন মেম্বর ভাই, আমি মাফিয়া সর্দারের ইজ্জত দিয়া কি খাট্টা খামু?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেইটা আমি ক্যামনে কমু? আমি কী আর মাফিয়া সর্দারদের সাথে ইয়ে করি? সর্দারের মেয়ে কিংবা শালি হইলেও একটা সমাধান দিতে পারতাম।
কথা হইলো গিয়া রণদার এই সিরিকাস পোস্টেরে আপনে যে অবস্থা করলেন তাতে করে এই পোস্ট দেখার পর রণদা'র হুঙ্কার ছেড়ে কেঁদে উঠার কথা।
- আপনে আসলেই লুক মারাত্নক খারাপ। চিপাইতে চিপাইতে চিপাইলেন আপনে, দুষ দিলেন আমার কান্ধে।
আপনের লগে পান্তামুক বন্ধ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি লুক খ্রাপ হইতে পারি কিন্তু আমার শ্যালিকা মাইয়া ভালা। আমার লগে পান্তামুক বন্ধ করলে আপনারই ক্ষতি।
- তাইলে কি, কবুল কমু?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমারে কবুল কইয়া লাভ কী? জায়গামতে কইতে পারবেন তো?
- পারুম না মানে, আপনের শালির (ফুন) নাম্বার দেন, কাগজে কলমে প্রমাণ দেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার শালির ফুন নাম্বার হইলো ৯১১। দেখি কেমন পরমান দিতারেন।
টেস্ট: মন্তব্য লম্বা হতে হতে কী মিলিয়ে যায়?
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
বস, চিপা দিয়াতো বাইরে গেলগা, আর কয়েকটা দেন, দেখি সাদা অংশ পার হইয়া পাশের আমাগো ধুগো বস ধুসর রং পর্যন্ত যাইতে পারে কিনা??
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনার উদ্যমে উৎসাহী হয়ে দিলাম এক্টা।
দেখিতো কী হয় !!!
ধুগোদা
৯৯১ নম্বরেফোন করার পরে কি হইলজাতি জানতে চায়!!
আমি কিন্তু কান্না শুরু করে দিছি দ্রোহী ভাই ! তয় হুঙ্কারটা কারে দিমু কন !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অর্থনীতি, নোবেল পুরস্কার, ইত্যাদি নিয়ে কিছু বলতে যাচ্ছি না এই মুহূর্তে। পোস্টে সবার মন্তব্য না পড়ে সেটা করা ঠিক হবে না।
আমি রাজনৈতিক ভূমিকার জন্য ডঃ ইউনুসের উপর খুবই বিরক্ত। নোবেল পুরস্কার তাঁকে আর দশ জনের চেয়ে অনেক উপরে তুলে দিয়েছিল। অথচ তিনি যে-পরিমাণ অহমিকা আর ঔদ্ধত্বের প্রকাশ দেখিয়েছেন, তাতে আমি হতাশ।
দেশে তখন কী ধরনের পরিস্থিতি ছিল, তা আমরা সবাই জানি। এর মধ্যে তিনি একজন অথর্ব চোরকে সমর্থন দিয়ে বললেন, "মাননীয় রাষ্ট্রপতি, আপনি যা করছেন ঠিক করছেন..."।
তিনি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বললেন, বাঙালির বুকের ছাতি আজ ফুলে গেছে, একেক জন বাঙালি আর ১০ ফুট বড়, স্বাধীনতার পর এটাই বাঙালির বৃহত্তম অর্জন, ইত্যাদি।
তিনি রাজনৈতিক দল খুললেন, এবং আত্মগুণে মুগ্ধতার চূড়ান্ত পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে বললেন, "প্রত্যেক মহল্লায় ডঃ ইউনুস ফ্যান ক্লাব গড়ে তুলুন"।
এধরনের ব্যাক্তিত্বের নামের আগে-পিছে যত ডিগ্রিই থাকুক না কেন, তাঁরা আমার চোখে বেলাজ। জীবন বা জাতিকে দেবার কিছু নেই এঁদের। চাইলেও কেনো যেন এঁদের প্রতি অন্তর থেকে শ্রদ্ধা-ভক্তি আসে না।
কাউকে দুঃখ দিয়ে থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কিন্তু ডঃ ইউনুসকে নিয়ে আমার এই মত বদলানোর কোনো আশু সম্ভাবনা দেখছি না আমি।
ঐ
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দারুনভাবে কিছু উত্তর দিয়েছেন রণদা। ইন্টারনেটে আসলে গায়ের চামড়াটা একটু মোটা হওয়া লাগে আর কি। একাউন্টেবিলিটি ছাড়াই তো মানুষ মন্তব্য করে চলে যায়।
আপনার পোস্টে পাঁচ।
ফাইনান্স, অর্থনীতি, রাজনীতি এইসব তাত্ত্বিক আলোচনায় খালি ঘুম পায় আমার। আমি থিওরী অভ ইফেক্টিভিটি মেনে চলি, সহজ পাটিগণিত মানে যোগ বিয়োগ গুন ভাগ বুঝি, গ্রামীন ব্যাংকের কাজ কামে দেশের গরীব মানুষের উপকার না অপকার বেশি হচ্ছে সেটা বোঝা দরকার। আমি ঠিক করছি এইবার দেশে গিয়ে আমার গ্রামে যারা যারা গ্রামীন ব্যাং বা এই জাতীর প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন তারা কী অবস্থায় আছেন বা তাদের কী বক্তব্য তা শুনে আসব। অস্বাভাবিক উচ্চহারে সুদের ব্যাপারটা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য না, সেটা যে যেভাবেই ব্যাখ্যা করেন, তবুও পরের মুখে ঝাল খাইতে আর ভালো লাগছেনা।
সারাদিন তর্ক বিতর্ক করে কাটিয়ে দেয়া সহজ , দেশ ও জাতির স্বার্থে ইফেক্টিভ কিছু একটা করাও তেমনই সহজ, শুধু দরকার সদিচ্ছা, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা আর টিম ওয়র্ক। স্বচ্ছ চিন্তাভাবনা আর দূরদর্শিতা থাকায় একছটাক অস্থিরতা আর দেড় ছটাক উদ্যমের সমন্বয়ে কতো লোক হাতি ঘোড়া মেরে ফেলল আর আমি শুধু মাছিই তাড়িয়ে গেলাম। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার।
চমৎকার উদ্যোগ মামুন ভাই।
এক্কেবারে আমার মনের কথা কইসেন ভাই।
অনটপিক: আই লাভ ইউনুস।
দেশের বিজ্ঞাপন শিল্পের লোকজনের উচিত তারে দুইবেলা জবাফুলের মালা দিয়া প্রণাম করা। কোন জিনিষকে শুধু প্রপার প্রচারণার গুনে কিভাবে ফায়দা তোলা যায় সেটি শিখতে হলে ইউনুসের উপর কোন লোক এই ভূভারতে নেই।
অফটপিক:
নুরুল কাদের চৌধুরী নামে আমাদের এক সাবেক মুক্তিযোদ্ধা আমলা ছিলেন। উনি একবার বললেন , দেশ থেকে কাপড় তৈরী করে বিদেশে পাঠানো যাবে । ২০০ লোক নিয়ে তিনি চলে গেলেন কোরিয়া , সেখানে ওদের নিয়ে সব দেখলেন , প্রশিক্ষন দিলেন এবং ২০০ লোকের একজনও কোরিয়া থাকল না , সবাই ফিরে এসে তৈরী করল - দেশ গার্মেন্টস।
সেই থেকে আমরা কাপড় এক্সপোর্ট করা শিখলাম।
দেশে এখন কুড়িলক্ষ মেয়ে সরাসরি কর্মসংস্থান করছে এই সেক্টর থেকে।
দুর্ভাগ্য বেচারা নুরুল কাদেরের , উনি এই সেক্টরটাকে "কর্ম সংস্থান মানুষের মৌলিক অধিকার" ( সত্যি কিন্তু) কিংবা "নারীর দারিদ্র বিমোচনের জন্য কর্মসংস্থান" , " কর্ম সংস্থানের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন" এসব বুলি না কপচিয়ে সরাসরি ব্যবসা হিসেবে দেখেছেন।
নইলে হয়তো আজকে আমাদের বিজিএমইএর সভাপতিও নোবেল পুরষ্কার পেতে পারতো , আনিসুল হক কিংবা সালাম মুর্শেদী হয়তো এখন বহির্বিশ্বে জাতির আইকন হতো। আফসোস!
শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার বুজরুকি, আমি অধিকাংশ প্রাপকদের অনেক বাজে দিক তুলে ধরতে পারি, সুতরাং নোবেল পেলেই তাকে শ্রদ্ধেয় বলতে হবে সেটা নিয়ে আমার দ্বিমত আছে। এ দিক থেকে আমি বরং হিমুর সাথে একমত।
রণদা অনেক লিখেছেন দুটো লেখাতেই, সেগুলো আমি আর পুনরালোচনায় যাচ্ছি না। তবে ইউনুস সাহেব একজন সফল ব্যবসায়ী - এই ব্যাপারটা কিন্তু কেউ ওনার গুণের মধ্যে আনে না। এত বড় একটা প্রতিষ্ঠান একরকম শূন্য থেকে শুরু করে দাঁড় করানো - আর তাও মূলত গরিব লোকজনের ওপর ভর করে - এককথায় খুবই শক্ত কাজ। সুদের হার বিষয়ে আমি রাগিব ভাইয়ের সাথে একমত, ওনার ঋণ বিতরণের খরচাও বেশী - তাই সুদের হারও বেশী। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এরকম ব্যাঙ্ক গড়ে তোলা যায় নি - কারণ সব ব্যাঙ্ককেই রাজনৈতিক প্রভাবের বশে এমন কিছু ঋণ দিতে হয় যা একরকম ফেরত পাবার সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি। ইউনুস সাহেবের একটা ভাল দিক হল উনি ওনার ব্যাঙ্ক থেকে দেওয়া ঋণের এই রাজনীতিকরণ করেন নি, ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে এটা হয়ও না। কোনো রাজনীতিকের নভিস ছেলে শখ করে ৫ কোটি টাকার ব্যবসা করবে - সে পাবে ঋণ - আর যে লোকটা ওই একই ব্যবসায় কুড়ি বছর ধরে একটু একটু করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে - তাকে নিজের ক্যাপিটাল নিজেই যোগাড় করতে হবে। এই ব্যবস্থায় চললে দেশে অঁতরপ্রনরশিপ মার খাবে। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ক্ষুদ্রঋণের পরিকল্পনা এই সমস্যাকে অনেকটাই সমাধান করে ফেলেছে। ক্ষুদ্রঋণ দেশের দুর্নীতি দমনের একটা ভাল উপায়।
ইউনুসকে আমার অপছন্দের কারণ হল ড্যানিয়েল পার্লের রিপোর্ট। পার্ল রিপোর্ট দিয়েছিলেন ইউনুস ও তার সংস্থা রীতিমত তথ্য নিয়ে কারচুপি করে। এই ধরনের কাজ অত্যন্ত নিন্দনীয় কারণ সারা পৃথিবীব্যাপী বহু গবেষণাধর্মী কাজ হয় ওনার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। গবেষণায় একটা ভুল তথ্যভিত্তি থাকলে সেই গবেষণা কিছুদিনের মধ্যেই কানাগলিতে ঢুকে পড়ে। পরে ইউনুস তার জবাব দিলেও আমি পরবর্তীতে দেখেছি গ্রামীণের কাজকারবারে স্বচ্ছতার যথেষ্ট অভাব আছে। বাংলাদেশের মত দেশে গরিবি দূর করতে হলে স্বচ্ছতারও যথেষ্ট দরকার আছে - কারণ স্বচ্ছতার অভাবেই আসে দুর্নীতি - আর দুর্নীতির হাত ধরে আরো দারিদ্র্য।
বর্তমানে ইউনুসের হাত ধরে বাংলাদেশ বিদেশের মাটিতে অল্প-স্বল্প ব্যবসা শুরু করতে পারে - কিন্তু সেরকম কোনো লক্ষণ আমি দেখছি না। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কি ক্ষুদ্র-সঞ্চয় প্রকল্প শুরু করতে পারেনা? বা দেশে সহজে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা? উন্নত দেশে ব্যাঙ্কে টাকা রেখে সুদ কম পাওয়া যায়। গ্রামীণ ব্যাঙ্ক সেখানেও টাকা তুলে কিছু বাংলাদেশ ক্ষুদ্র-বিনিয়োগ প্রকল্প চালু করতে পারে। ব্রিটেনে প্রবাসী-বাংলাদেশীদের দিয়েই শুরু করা যেতে পারে। প্রকল্পগুলোর জন্য প্রচারের কাজ ইউনুস নিজে করবেন ও তার নিজের খ্যাতি ও পরিচিতি সবই কাজে আসবে। মনে রাখা ভাল ব্যাঙ্কিং ব্যবসায় ভরসা খুব বড় ব্যাপার - নোবেলজয়ীকে মানুষ সাধারণ ব্যাঙ্কারের থেকে একটু বেশী ভরসা করতেই পারে। ভাল-খারাপ না ভেবে ইউনুসকে ও তার পরিচিতিকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনাই আমার তো মনে হয় সঠিক পদক্ষেপ। এতে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, ইউনুস আর বাংলাদেশ - সবারই ভাল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ডঃ ইউনূসকে নিয়ে আমাদের এই তর্ক-বিতর্ক কোনদিনই শেষ হবেনা হয়তো, তবে রণদাকে ধন্যবাদ এ জায়গাটাতে ফোকাস করার জন্য যে, ব্যক্তি ইউনূসকে তুলোধুনো করার চেয়ে গ্রামীণ ব্যংক প্রতিষ্ঠানটির সমালোচনাই বেশী কাম্য।
আমি মনে করি ডঃ ইউনূস ইদানিংকার ভয়াবহ রোষানলটিতে পড়েছেন মূলতঃ রাজনীতিতে যোগ দেবার কথা বলে। সেসময় তিনি আমাদের প্রাণাধিক প্রিয় নেতৃ আর দলদিগকে নিয়ে এমনসব কথাবার্তা বলেছেন যে এর চেয়ে দ্রুত রোষানলে পড়ার আর কোন মেকানিজম দুনিয়ায় থাকটে পারেনা। তবে আগে থেকেই কয়েকজন বামঘেঁষা রাজনীতিবিদ আর অর্থনীতিবিদের বিরাগভাজন তিনি ছিলেন, তবে সেটা যৌক্তিক ছিলো, গ্রামীণ ব্যাংকের যে অতিমূল্যায়ণ হচ্ছে সেটা ধরিয়ে দিয়ে নিন্দুকের ভূমিকায় তারা আসলে ইউনূস সাহেবের ভালোর জন্যই কাজ করে যাচ্ছিলেন, এবং যাচ্ছেন।
তবে এখানে রাগিব, রিয়াজ, হাসিব হিমুসহ অনেকেরই গ্রামীণ ব্যাংকের রূপরেখা নিয়ে আলোচনাটা আবারও মনে করিয়ে দিলো যে ইউনূস প্রসঙ্গে ব্যক্তি ইউনুসের বিশ্লেষণের চেয়ে বরং এই বিষয়টিতে আলোচনাটা স্বাস্থ্যকর হতে পারে।
ক্ষুদ্রঋণ এখন বাস্তবতা, এত বড় স্কেলে এটি ছড়িয়ে গেছে যে একে এখন আমরা দাদন-ব্যবসা বলে ঝেড়ে ফেলে দিতে পারিনা। এদেশের গ্রামের মানুষদের উর্বর জমি, খাটার মতো লোক, বিক্রীর জন্য ক্রেতা -- সবই ছিলো, শুধু হাতে কোন পুঁজি ছিলোনা। সেটার একটা সম্ভাব্য সমাধান ক্ষুদ্রঋণ। আমি এখানে এই প্রসঙ্গে আমার প্রশ্নগুলো সামারাইজ করার চেষ্টা করি।
১। গ্রামীণ ব্যাংকের বিরোধী বা সমর্থক, দুধরনের লোকদের কাছেই প্রশ্ন, অপারেশন কস্ট, রিস্ক প্রিমিয়াম ও অন্যান্য যেসব ফ্যাক্টর আছে সব মিলিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণের সূদ কত পার্সেন্ট হওয়া উচিত বলে মনে করেন? এব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যা কি?
২। অনেকেই বলছেন গ্রামীণ ব্যাংকের হিসেব প্রকাশে অস্বচ্ছতা দেখেছেন। কি ধরনের অস্বচ্ছতা, সেটা নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা চললে চমৎকার হয়।
৩। ডিফল্টারদের টিনের চাল খুলে নেয়া, গরু কেড়ে নেয়া জাতীয় অত্যাচারের খবর আমরা মাঝে মাঝে শুনতে পাই। এ নিয়ে আসলে গ্রামীণের নীতি কি এটা গ্রামীণের সমর্থকদের কাছে জানতে চাইছি। তাছাড়া এই চাল খুলে নেয়া মাতবরদের কি শাস্তি হয় সেটাও।
৪। ডিফল্টারদের নিয়ে এবার বিরোধীদের কাছে জানতে চাই, ধরুন একজন লোক মাছ চাষের জন্য দশ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে পরিবারসহ ঢাকা শহর এসে ঘুরে, টাকা-পয়সা উড়িয়ে মূলধন শেষ করে ফেললো। এখন আর শোধ করতে পারছেনা। তার ক্ষেত্রে গ্রামীণের কি ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
অস্বচ্ছতা নিয়ে ড্যানিয়েল পার্লের রিপোর্ট পড়তে পারেন। সমালোচনা পড়তে পারেন এখানে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এর জবাব দেয়া অনেক আর্টিকেলও আছে ... একসময় নেটে ঘুরতে দেখতাম ... আপনি হয়তো একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলেই পাবেন
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বস,
১। এ ব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক যতো ইচ্ছা সুদের হার নির্ধারণ করুক। ২% হইলেও সই, ২০০% হইলেও সই, যারা ঋণ নিবে, তারা জিনিসটা জেনেশুনেই ঋণ নিক।
২। এই ব্যাপারে আপত্তির যেটা আছে, তাহলো এটা একটা ব্যবসায় এবং ব্যবসায়কে 'মহান', 'মহৎ', 'যুগান্তকারী' ইত্যাদি ট্যাগ লাগিয়ে দাতব্য ক্যাটেগরীতে ফেলার চেষ্টা করা হলে সেটাকে ধান্দাবাজি বলতে বাধ্য। অতিভক্তি চোরের লক্ষণ।
৩ ও ৪। ডিফল্টারদের টিনের চাল খুলে নেয়া দূরে থাক, দরকার হলে কিডনি বিক্রি করে টাকা আদায় করুক, কোনো সমস্যা নাই। তবে যার কিডনী যাবে, সে গালিটা দিবেই - এটা বিজনেসের রিস্ক ফ্যাক্টরের একটা। আর কিডনি দিয়ে ঋণের টাকা পরিশোধ জায়েজ কিনা, এটা আইনি বিষয়।
-----------
ডক্টর ইউনুসের রোষানলে পড়ার বিষয়ে কারণ হিসেবে আপনি রাজনীতিকে উল্লেখ করেছেন, আমার মনে হয় এটা সত্য। তবে আপনি জিনিসটার ব্যাখ্যা যেভাবে দিয়েছেন, সেটা মানানসই মনে হচ্ছে না।
দেশের মানুষ যখন লীগ বিএনপির আকামে জর্জরিত, তখন ডঃ ইউনুস সিনে আসলেন। ব্যাপক তোড়জোড় করিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ডঃ ইউনুস ফ্যান ক্লাব বানিয়ে সবাইকে নোতুন আশা দিতে লাগলেন। সবাই ভাবলো, নাহ, এ শিখ্খিত লোক। এইবার দেশের কিছু একটা হবে।
তারপর ডঃ ইউনুস কি করলেন? ফট করে পলটি মারলেন। তাকে যারা আশ্বাস দিয়েছিলো, তারা নাকি এখন আর পাশে নাই। তাই তিনি আর রাজনীতি করবেন না। এটা কি মানুষের সাথে ছিনিমিনি খেলা নয়? অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে দোষ দেই না। তিনি হয়তো কোনো 'আশ্বাস' পেয়েছিলেন, যেটা পরবর্তীতে ডিফিকাল্ট হয়ে যায়। তিনি ব্যবসায়ী লোক, লাভের আশা না দেখে রিস্কে যাবেন কেন?
তবে অন্ধ ইউনুস ভক্তরা এখনো তাকে ব্যবসায়ী নয়, বরং ত্রাতা হিসেবে দেখে যারা তার এই পল্টিতে বিরক্ত তাদেরকে আইদার হাসিনা অর খালেদার কোলে তুলে দিতে না পারলে স্বস্তি পান না, এটা খুব অস্বস্তির বিষয়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বস্,
আপনার বক্তব্যে এটা মনে হলো যে গ্রামীণ ব্যাংক ইটসেল্ফের অপারেশন নিয়া আপনার তেমন অভিযোগ নাই, এক "দাতব্য ক্যাটেগরী"করণ ছাড়া ... সামনাসামনি ডঃ ইউনূসের কিছু কথা শোনার অভিজ্ঞতা একবার আমার হয়েছে, উনিও সেখানে বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংককে যখন কেউ দাতব্য প্রতিষ্ঠান ভাবে তখন তিনি বিরক্ত বোধ করেন ... আমরা সবাই জানি কোন দাতব্য কাজের জন্য তাঁকে বা গ্রামীণ ব্যাংককে নোবেল দেয়া হয়নি .... দেয়া হয়েছে প্রচলিত পুঁজিবাদী পন্থায় দারিদ্র্য দূরীকরণকে সিরিয়াসলি এ্যাড্রেস করার জন্য
এখহন আসি ইউনূসের পল্টি দেয়ার ব্যাপারে ... ব্যক্তিগতভাবে আমি চেয়েছিলাম উনি রাজনীতিতে আসুন, এনিয়ে আপনার সাথে আমার আগেও কথা হয়েছিলো, মনে আছে না? ... এবং তাঁর পল্টি দেয়া দেখে আমি তাঁর উপর যারপরনাই বিরক্তও হয়েছি, বুঝেছি যে এই লোকটার এক্সিকিউটিভ ভিশন খুব ক্লিয়ার হলেও বাংলাদেশের পলিটিক্স নিয়ে তাঁর ধারনা বেশ অস্বচ্ছ... উনার জন্য শ্রুতিকটূ হতে পারে, তাও বলছি, উনি ভেবেছিলেন যে নোবেল পেয়েছেন বলে রাজনীতিতে আসলেও একলাফে তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন .... সেই ভুল এ্যান্টিসিপেশন নিয়ে উনি রাজনীতিতে আসার ঘোষনা দিয়েছেন, এবং দেশবাসীর কাছে সাড়া চেয়েছেন .. সাড়া পাননি, জনগণের কাছ থেকেও পাননি, রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকেও পাননি ... উনি বুঝেছেন যে উনার প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্ভব না, উনি সরে পড়েছেন ... আমি বিরক্ত হয়েছিলাম কারণ আমি ভেবেছিলাম উনি শেষ বয়েসে দেশের রাজনীতিতে একটা নতুন স্টার্টআপ শুরু করে দিয়ে যাবেন .... যেভাবে অর্থলোভী মাস্তানদের দল আমাদের রাজনীতিকে দখল করে ফেলেছে সেটার বিপরীতে নতুন একটা প্র্যাকটিস তৈরী হবে ... হয়তো কোনদিন এটা থেকে ভালো ফলও পাওয়া যাবে .... প্র্যাকটিস শুরু হবার পথ তৈরী করতে পারতেন যিনি তিনি সেটাকে সমস্যাসংকূল হিসেবে দেখিয়ে অন্যদের জন্যও একই কাজ শুরুকরার মোটিভেশনকে কমিয়ে দিয়েছেন
এইতো?
কিন্তু এজন্য একটা লোককে গালাগাল করতে হবে?
উনি তো চামচামী করেননাই, অনেকেই অনেক স্পেকুলেশন করছেন যে উনারে আর্মি ক্ষমতায় বসাইতে চাইছে, উনি ধান্দায় আছে -- কই কিছুই তো ঘটতে দেখলামনা ... আর্মি যদি তাঁকে কিছু "আশ্বাস"ই দিতো তাইলে উনি সরে আসার ঘোষনা দিলেন কেন?উনি যখন রাজনীতিতে না আসার ঘোষনা দিয়ে ফেলছিলেন তখনও দেশে এমন কোন গণজোয়ার শুরু হয়নাই যেটা দেখে আর্মি তাঁকে বসাতে ভয় পাইতো ... আমার মনে হয় তখন হাসিনা আর খালেদাপ্রেমীরা ইউনূসকে নিয়া এতটাই বিরক্ত হইছিলো (মহামান্যাদের কিঞ্চিৎ বদনাম করার কারণে) যে, তারে নিয়া গল্চ ফাঁদার চেয়ে আরামপ্রদ কাজ কিছু ছিলোনা
আমি মানি কাজটা উনি ঠিক করেননাই ... তবে এইজন্য উনি কতটা খারাপ যে উনাকে "নোবেল লরিয়েট" বলে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালে "ছিঃ" শুনতে হবে?
এই যে তেত্রিশ বছর একটা লোক একটা ব্যাংককে নিজহাতে গড়া থেকে শুরু করে এত বড় একটা জায়গায় এনে দাঁড় করালো, কোন ব্যক্তিগত দূর্ণীতির কথা তো তাঁর নামে শুনিনাই ... এই একটা জায়গাতেই তো উনি আমার সবশ্রদ্ধা জয় কইরা ফালান ...
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমি আসলে গ্রামীণের কাজকাম নিয়া খুব বেশি ঘাটাঘাটি করি নাই। তাই তাদের অপারেশন নিয়ে কনক্রিট কোনো বক্তব্যও দেই না।
যাক, এই কথাটা আপনার মুখ থেকে শুনলাম, আমাকে আর বলতে হলো না।
তখনকার আলোচনায় আমি তাকে জাস্ট এনাদার অপশন হিসেবে দেখছিলাম; কিন্তু আপনি বা আরো অনেকে আরো বেশি আশা করেছিলেন, আপনাদের হতাশার পরিমাণটাও তাই বেশি। তবে হতাশার বাইরে এই ঘটনা থেকে আমি যেটা রিড করি, তাহলো লোকটা লোভী ব্যবসায়ী, জনগণের বাঁচামরা নিয়ে তার কোনো টেনশন নাই। এর জন্যও আমি তাকে দোষ দেই না, কার ঠেকায় পড়েছে জনগণের জন্য রিস্ক নিয়ে পলিটিক্সে আসার? দোষ যেমন দেই না, তেমনি বাড়তি শ্রদ্ধাও নেই। হি ইজ জাস্ট এনাদার বিজনেসম্যান।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
রণদার পোস্টটা আমার দিন টা খাইল এইবার রাতটাও শেষের দিকে। বাদশা ভাই আপনার সামারিটা ভাল হইসে। অভিনন্দন।
প্রথমে বলি আমি কিছুটা অবজেক্টিভ দৃষ্টিতে বিষয়টা কে দেখি- অবজেক্টিভিটির সীমাবদ্ধতা মেনেই।
১। এখানে যারা লিখে থাকেন তাদের কারুরি বোধ হয় গ্রামীন থেকে ঋন নেবার প্রয়োজন পড়েনাই। তবে আমার মনে হয় যারা ঋন নেন তারা সুদের হার জেনেই নেন। তবে সঠিক হিসাবটা করতে হলে গ্রামে গিয়ে যথেষ্ট উপাত্ত সংগ্রহ করে আনতে হবে। তবে অপারেশন কস্ট বিশেষ করে বিতরন (disbursement cost) খরচের হিসাবের প্রক্রিয়াটি বিবেচনা করলে উচ্চ সুদের সমালোচনাটি যে একটা ভুল অনুমানের উপর দাঁড়িয়ে আছে তা বুঝতে অসুবিধা হবে না বলে মনে করি। দেশের বাইরে না থাকলে চেষ্টা করতাম উপাত্ত জোগার করতে। আমার ধারনা গ্রামীন ব্যঙ্কের লাইব্রেরিতে রিপোর্ট দেখে এই বিষয়ে সেকেন্ডারি তথ্য/বিশ্লেষন হয়ত পাওয়া যাবে। বুয়েটে যখন পড়তাম একবার সেই লাইব্রেরিতে গিয়েছিলাম।
২। অস্বচ্ছতার ব্যপারটি নিয়ে আমার তেমন কিছু জানা নেই। আমি ক্ষুদ্র ঋনের অর্থনৈতিক তত্ত্ব এবং এর ব্যবহারিক দিক নিয়ে কিছুটা মাথা ঘামানর চেষ্টা করেছি। তথ্যের স্বচ্ছতার ব্যপারটি খতিয়ে দেখিনি। তবে অনুমান করি কেউ যদি published material সরেজমিনে ঘেটে দেখেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে যাবেন।
৩। এই বিষয়ে তেমন কিছু জানিনা। তবে মনে করি এধরনের ঘটনা হয়ত ঘটেছে। এই বিষয়ে গ্রামীনের নীতি কি তা যদি কেউ বলতে পারেন ভাল হয়।
৪। ভাল প্রশ্ন। আমার মনে হয় সোশাল কলেটারালের বিষয়টি মাঠ পর্যায়ে কতটা কাজ করছে তা দেখার বিষয়। এর ওপরই এই সমস্যাটির ব্যবস্থাপনা অনেকাংশে নির্ভর করবে।
যদি গঠনমূলক এবং যুক্তি নির্ভর সমালোচনা করা যায় তবে আমরা হয়ত একটা শক্ত ভিত্তির উপর দাড়াতে পারব। তবে তার আগে সবার কাছে প্রশ্ন। আপ্নারা কি মনে করেন দারিদ্র বিমোচনে ঋনের প্রয়োজন আছে? এটা যদি মনে না হয় তার যৌক্তিক কারন দিন। আর যদি মনে করেন ক্ষুদ্র ঋনের দরকার আছে তবে এই সিস্টেমটির উন্নয়ন নিয়ে মতামত দিন। বিদ্যমান ভুল গুলোর তীব্র সমালোচনা করুন। ইউনুস সাহেবকে ব্যক্তিগত ভাবে দেখে তার সমালোচনা করা টা আমাদের কোন কাযে আসছেনা বোধ করি। ইউনুস সাহেবকে খারাপ মনে করলে অন্য কাউরে দিয়া কাজটা করান।
আমার মনে পড়ে নেলসন মেন্ডেলার সাথে যখন তার বউয়ের ছাড়াছাড়ি হইল আমি কষ্ট পাইসিলাম। আবার রবিঠাকুর বা নজরুলেদের নারিপ্রীতিও একসময় কষ্টের কারন ছিল। তবে কালের প্রবাহে এই সব ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মানুষের আগ্রহ থাকেনা। এই টা আমাদের ভুললে চলবেন না যে এরা কেউ নবী-রাসুল না। কাজেই এদেরকে মানুষ হিসাবে দেখাই ভাল। এরা যেইটা করেনাই তা না দেইখা এরা যেইটা করসে সেইটা দিয়া এগো দাম বিচার করলেই বোধহয় ভাল হয়।
তাত্যিক আলোচনা আমার আওতার বাইরে।
একজন মানুষের শান্তি পুরস্কার পাবার সাথে মানুষটার মানুষ হিসেবে মহৎপ্রান হওয়ার একটা অলিখিত যোগসূত্র খুঁজে বেড়ানোর স্বভাব আমাকে তাড়াচ্ছে। তাই মন্তব্য করলাম:
শান্তি পুরস্কার পাবার যোগ্যতা ভালো ব্যাঙ্কার না হয়ে ভালো মানুষ হওয়াটা আমার কাছে বেশী জরুরী। আরোও জরুরী শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার পর্যাপ্ত ভূমিকা থাকাটা।
একমত। লোকটা দেশের দূর্যোগ, দূর্বিপাকের সময় সাধারণের পাশে আসে না। একটা রিলিফ ওয়ার্কেও তারে দেখি না। সারাক্ষণ খালি 'দারিদ্র্যকে যাদুঘরে পাঠানো হবে' বলে বলে মখ ফেনায়িত করা ছাড়া নোবেল পরবর্তি সময়ে তাঁকে তেমন একটা দেশপ্রেমিক বলে মনেই হয় নাই। তার চে, সাদা মনের মানুষ শীর্ষক পুরস্কারপ্রাপ্তদের সবাইকে দেখেই শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে আসে।
ইশতিয়াকের মন্তব্যের সাথেও আমার পুরো সহমত। দেশ লোকটাকে প্রয়োজনীয় সময়ে নোবেল জয়ীর হিসেবে দেখতে চায়নাই, দায়িত্ববান হিসেবে দেখতে চেয়েছে।
লোকটারে অনেক ভালোবেসে পরে দুঃখ পেয়েই কথাগুলো লিখলাম! আমার ডেস্কটপেও তাঁর ছবি ছিলো অনেকদিন। কেউ আমার কথায় আক্রান্ত হবেন না দয়া করে। আমি কোনও টেকনিক্যাল কথা বলি নাই। আবেগের কথা বললাম।
এরপরত ভাই আর কোন তর্ক চলেনা। আপনার আবেগকে শ্রদ্ধা করি। তবে এই নিচের কথাটুকু না বলে থাকতে পারলাম না - সেটাও আপনার আবেগের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই।
এটা বোধহয় স্বিকার করবেন একটা মানুষ তার জীবনে কি কি করেন নাই তার চেয়ে কি কি করেছেন সেটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সবাই যদি একই কাজ করত - অথবা সবাই যদি সব কিছু করত তবে এই মানব সভ্যতা আজকের অবস্থায় পৌছাতে পারতনা। এখন যে সেটা ভাল পারে সে সেইটা বেশি করে করে। ইউনুস যেটা ভাল পারেন না সেটা করতে গিয়েই ত যত ঝামেলায় পড়লেন। সেটা হল রাজনীতি। এর সম্পর্কে বাদশা ভাইয়ের মন্তব্যের পর আর বেশি কিছু বোধকরি বলার প্রয়োজন নেই।
ঠিক। তবে এর মাধ্যমে তার চরিত্রের একটা দিকও প্রকাশিত হলো। বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দেশের পঁচে যাওয়া রাজনীতি, যা সকল দুর্ণীতি, অন্যায়ের কারণগুলোর মধ্যে এক নম্বরে। ডঃ ইউনুস টপ ফর্মে থাকা অবস্থায়, যখন তার নোবেল কারিশমা সুশীলেরা খাচ্ছে, খাচ্ছে অরাজনৈতিক (নির্দলীয় অর্থে) তত্ত্ব সরকার, অধিকাংশ মানুষই আশা করছে এবার মুক্তি মিলবে, তখনও তিনি কোনো রিস্কে গেলেন না। দেশের মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন জমা হলো। তবে ইউনুসের অন্ধ ভক্তরা বাদে সবাই বুঝলো, উনি মানুষের সবচেয়ে বড় বিপদের সময়েও পাশে এসে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরে পড়লেন। ভেতো বাঙালি আবার ভাত টিপে অভ্যস্ত। ভাত মাটির হাঁড়িতে রান্না হোক আর অ্যালুমিনিয়ামের পাতিলে, একটা টিপলেই নাকি পুরো হাঁড়ির খবর পাওয়া যায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
very opinionated comment.
তিনি রাজনীতিতে আসলে আমি ব্যক্তি গত ভাবে খুশি হইতাম। জানি তখন এই সচলায়তনের পাতায় হয়ত আরো বেশি গালি তারে খাইতে হইত। তারপরও তিনি ঝুকি নিতে পারতেন। কিন্তু নেন নাই। একটু হতাশাবাদি উদাহরন দেই। কে জানি বলসিলঃ নেপলিয়ান যে আল্পসের আগায় উঠসিলেন তা কেবল তার নিজের গুনে না - তার পিছনে যারা ছিল তাদের অনুগামিতা নাকি বিশাল একটা কারন ছিল তার সাফল্যের পিছনে। আমরা কি সেইটা করতে পারছি? আমরা কি নেতৃদের সমালোচনা শুনে তারে গালি দিতে লেগে যাইনাই?
তারপরেও হয়ত তিনি ঝুকি নিতে পারতেন। তবে না নেবার জন্য তার সারাজীবনের কাজ মাটি হয়নাই বলেই মনে করি।
আপনার চমৎকার উদারতাপূর্ণ পক্ষপাতহীন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
ক্যান ভাই, সচলায়তনের লেখকরা কি ডঃ ইউনুসকে গালি দেয়ার জন্য টাকা পায়?
আমরা পাড়ায় মহল্লায়, দেশে-বিদেশ, কানাগলি-অন্ধগলি-খোঁড়াগলি-তস্যগলি-ভূতপ্রেতের গলি সর্বত্রই ডঃ ইউনুস ফ্যানক্লাব গড়ে তুলেছি। আর্মি ব্যাকড অনির্বাচিত সরকারের নীতিনির্ধারক হিসেবে তাকে বসিয়েছি, তার কাছ থেকে সুশীলতার শিক্ষা নিয়েছি, ডক্টরেট ডিগ্রীকে স্যালুট মারতে শিখেছি। আমরা আনপড় বাঙালি, আমরা হয়তো তারপরেও ঠিকঠাক তার অনুগামিতা করতে পারি নাই, তাকে সরাসরি প্রাইমিনিস্টার বানাইতে পারি নাই। হ্যাঁ, আমাদেরই ব্যর্থতা!
হ্যাঁ, আমরা আইদার হাসিনা অর খালেদার কোল থেকে নামতে পারি না। আর্মি শাসনের বিপক্ষে বললেও হাসিনা-খালেদা, ডঃ ইউনুসকে নিঃশর্তে প্রাইমিনিস্টার না বানালেও আমরা হাসিনা-খালেদার দলের লোক! ডঃ ইউনুস সাহেবের মতো মানী লোককেও তাই আমাদের গালি শুনতে হয়।
কিসের ঝুঁকি? প্রাইমিনিস্টার হওয়ার?
একমত। দুধের মধ্যে মুত মিশুক বা মুতের মধ্যে দুধ, তা সবসময় দুধই থাকে, মাটি হয় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা আমারও একই প্রশ্ন।
আমার পাড়ায় কোণো কেলাব হয়নাই কিন্তু!
বাকচতুর ব্লগার কাম লেখকদের গালি, রিজনিতিকদের কাছ থেকে দুর্নিতির সার্টিফিকেট, অথবা বুশ সাহেবের মত দশ মাপের জুতা।
কি করবেন কন! নবী-রাসুলের দিন ত শেষ; অহন কিয়ের লগে কি মিশে তার ঠিক নাই রে ভাই। চলেন বেশি কইরা আল্লা-বিল্লা করি - যদি আবার নতুন কোনো নবী আসে তাইলে খারাপ অইত না। কি কন? সুদখোরেরে পিটাইলেত আর নবী রাসুল পাওন যাইবনা।
রিয়াজ ভাই, সচলের কেউ গালি দেয়ার জন্য বা এখানে (সচলে) পলিটিক্যাল পোস্ট দিয়ে টাকা পায়, এটা আমার জানা নেই। অন্তত আমি পাই না, এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। সুতরাং আমার ইউনুস সমালোচনায় অন্যের শিখিয়ে দেয়া বুলি নেই, এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন।
ডঃ ইউনুসের ঝুঁকির ব্যাপারটা আপনি এড়িয়ে গেলেন। মানুষের রাজনীতিতে এসে কোনো প্রকার ঝুঁকিই কেউ নেবে না, পৃথিবীটা কি এতোই পুষ্পসজ্জা হয়ে গেছে? আমি একটা গালি দিলে, হাসিনা-খালেদার দল তাকে কটু কথা বললেই তিনি সেটাকে ঝুঁকি মনে করে রাজনীতিবিরত থাকবেন?
হাসিনা-খালেদা খারাপ; অতএব ইউনুস ভালো - এরকম যুক্তি(?)কে ফেস করতে হয়েছে একসময়। ডঃ ইউনুস দেশের মানুষের জন্য কাজ করুন, দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটুক, তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশকে সঠিকপথে চালিত করুন - তিনি সবসময়ই শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকবেন। কিন্তু সেটা করার আগে তাকে নিয়ে আকাশ-কুসুম স্বপ্ন দেখলে আশার বেলুন যে ফুটুস হয়ে যায়, তার প্রমাণ কি আমরা এখনো পাই নি?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এটা আমারও মনে হয় না। আমি ভেবেছিলাম আপনি ফান করার জন্য এই কথা বলেছেন। তাই আমিও একটু মজা করেই পালটা প্রশ্ন করেছি। তবে জনমতের একটা ব্যপার আছে। এর বাইরে যাওয়া কঠিন। যেই ধরনের মন্তব্য ফেশনেবল হয়ে পড়ে তার বাইরে অনেক সময় আমরা যেতে পারিনা। যুক্তি আর যুক্তিবোধ যা কিনা রণদার এই পোস্টের অন্যতম স্পিরিট তাকে জাগিয়ে তুলি না হয়।
আমি অল্পকিছুদিন সচলের পোস্ট পড়ছি। আমার প্রথম পোস্ট এখানেই। তবে যখন বলেছি রাজনীতি করলে এখানে তাকে গালি খেতে হত (হচ্ছেও বটে) তখন কেবল সচল মিন করিনি। অনেক বিখ্যাত লোকেরাই তাঁর সমালোচনা করেন। তার অবদানের মূলসুররের দিকে লক্ষ্য না করেই। আমাদের চিন্তার কিছু ফ্রেম ওয়ার্ক আছে। অনেক সময় তার বাইরে যেতে চাই না। এটা কাজের কথা নয়।
এবার আমার মত শুনুন। ইউনুস সাহেব যদি রাজনীতিতে নামতেন আপনার আমার বা বাদশা ভাইয়ের মত অনেকেই খুশি হতেন। আবার অনেকেই তাকে স্বার্থপর মনে করতেন। সুবিধাবাদি ভাবতেন। সবচেয়ে বেশী আঘাত আসত যাদের প্রতি তাঁর জীবনের শ্রমের সিংহভাগ দিয়েছেন সেই দরিদ্র নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর হাত থেকে। যারা হুজুগে বিশ্বাস করে; কয়েক টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়। যাদেরকে শিক্ষা বঞ্চিত রাখার মধ্যেই হাসিনা-খালেদাদের স্বার্থ জড়িত। তাদের খুব কম লোকই ইউনুস সাহেবকে চেনেন। আমাদের রাজনীতিতে যেই রুল অব গেইম রয়েছে তাতে নেমে দু'দিনেই তিনি হাপিয়ে উঠতেন। তারপরো তার সফল হবার যদি ভাল একটা সম্ভাবনা থাকত সেটা প্রথমিক সাড়া দেখেই বোঝা যেত। এমন কোন ইন্ডিকেশন কিন্তু দেখা যায়নি।
কাজেই বাস্তব বিবেচনায় আমি তাঁকে দোষ দিচ্ছিনা। আর যুক্তির খাতিরে যদি ধরে নেই তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনা ছিল তারপরো রাজনীতির ব্যপারটি রাতারাতি রপ্ত করা যায় না। এজন্যেই বোধকরি আইন্সটাইন তার দেশের প্রধান হবার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ইউনুস সাহেব রাজনীতির অভিজ্ঞতা ছাড়া যদি এই ময়দানে আসতেন লেজে - গোবরে একটা অবস্থা দাড়াত হয়ত। আর ক্ষুদ্র ঋনের ধারনাকে ছড়িয়ে দেয়ার একটা দায়ও হয়ত তিনি বোধ করে থাকতে পারেন। এসব পয়েন্ট বিবেচনা করে আপনি হয়ত আমার মত তার প্রতি অভিমান করতে পারেন। তবে এরপরও তার অর্থনীতি আর দারিদ্র মোকাবেলায় তার ভুমিকাকে আমি খাটো করে দেখি না। সবাই সবকিছু করবে এমনটা কেন ভাবছি আমরা। দেশের লোকেরা দারিদ্র থেকে যদি মুক্তি পায় একশ টাকার নোট ধরিয়ে দিলে তারা আর মিছিলে যোগ দেবে না বা বাসে আগুন দেবে না।
গনতন্ত্রের পথে কোন শর্টকাট নেই। প্রশব বেদনা ছাড়াই যদি সত্যিকারের গনতন্ত্র এসে যাবে ভাবি তা হবে অপরিনত/আপরিপক্ক্ব চিন্তা। দারিদ্র নিরসন যেমন তার একার কাজ নয় তেমনি সত্যিকারে গনতন্ত্র নিয়ে আসার প্রক্রিয়াটিও রাজনৈতিক এবং কারো একার কাজ হবে না সেটা।
সবপর্যায়ে অলোচনার স্পিরিট টিকে ছড়িয়ে দিন। তাহলে হাসিনা - খালেদাদের বুজরুকি আর চাপা থাকবেনা। সবকিছু একজন ইউনুস কেই করতে হবে আর তিনি রাজনীতি করলেই সব সমস্যার সমাধান হত এই মতের সাথে দ্বিমত পোষন করছি।
বলাই দার এই মন্তব্যটি গঠনমূলক হয়নি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্পর্শ ভাই, মন্তব্যে সমস্যাটা কোথায় একটু বলেন প্লিজ। তাড়াহুড়া করে অন-দ্য-ফ্লাই মন্তব্য লিখি, অনেক সময় অনেক কটু শব্দ আসে, বাক্যের বিন্যাস হয়তো ঠিকমতো হয় না। আহত হওয়ার কিছু থাকলে অবশ্যই বলবেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হ্যাঁ নিঃসন্দেহে। আমি 'বড় মাপের মানুষ' আর 'নোবেল শান্তি-জয়ী' মানুষকে এক কাঁতারে ফেলে চিন্তা করছিলাম। সেটা ভুল হয়েছে।
জবাবের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দাদন ব্যবসায়ী শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পান। ওদিকে কিস্তির টাকা শুধতে চালের টিন বা কৃষক-বধূর কানের দুল ছিনিয়ে নেয়া হয়; দেশ থেকে দারিদ্র আর দূর হয় না! ...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ইউনুস সাবরে নিয়া আমার ব্যক্তিগত কোন পক্ষপাত নাই, কিন্তু তারে দাদন ব্যবসায়ী কইলে সেইটা বড়ই দৃষ্টিকটু লাগে। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে দাদন ব্যবসায়ী না কোন হালার পুত দেখান তো? সেন্ট্রাল ব্যাংক থেকে শুরু করে কমার্শিয়াল ব্যাংক আর তাদের মাথার উপ্রে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক বা আই এম এফ কারে বাদ দিবেন? পুঁজিবাদি অর্থনীতির হাড়-মাংস-কইলজা-গিলা সবইতো দাদন নির্ভর, হার্টের কথা কইলাম না কারণ এই সিস্টেমের হার্ট বইলা কিছু নাই। দেশ থেকে দারিদ্র যে একেবারেই দূর হয় নাই সেইটাও একটা ভ্রান্ত ধারণা। কিছু হইলেও হইছে আর এভাবেই হয়। সামথিম ইজ ওলওয়েজ বেটার দ্যান নাথিম। একই সাথে লোক দেখানো গণতন্ত্র আর পুঁজিবাদের বড়ি খাইবেন আর যে ব্যাটা গরু জানে না মেরেও পিটিয়ে পাটিয়ে জুতা দান করবেন তারে পাইকারী গাইল দিবেন এইটা দেখলে চিন্তা ভাবনার মধ্যে একটা হেউজ ব্লকেজ চোখে পড়ে, চাইলেও চোখ সরিয়ে রাখা যায়না।
আলগা দরদী,মুখস্ত কথা অনেকেই বলে গেলাম কিন্তু বাস্তব সম্মত একটা বিকল্প ব্যবস্থার কোন আইডিয়া পাইলাম না।
ব্যাংকের সুদের হিসাব জানি না, বুঝি না - তাই সেই রাস্তায় না হাঁটলাম।
কিন্তু রাজনৈতিক আগাছা ফেরদৌস কোরেশীর মতো লোকের সাথে সে একই গোত্রীয় হয়ে যায়, যখন আর্মি ব্যাকড সরকারের ইন্ধনে তাঁর রাজনীতির শখ জাগে।
এইটা ভাবতে আমারই লজ্জা লাগে, তাঁর ক্যান লাগে নাই, সেইটাই চিন্তা করি।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমার একটা লোন দরকার, গ্রামীণ বা শহুরে-যে কোনো ব্যাঙ্ক থেকে। অবশ্যই জামানতবিহীন।
ঋণ তো চাচ্ছেন, কিন্তু সিস্টেম বলে দিচ্ছে যে আপনাকে যাচাই করা যায়নি। অতএব....
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদার লেখাটি পড়ার পর থেকেই মন্তব্য করার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু কাজের চাপে সেটি আর করা হচ্ছিলো না। ইতোমধ্যেই আমার অনেক কথা অনেকে বলে দিয়েছেন। তারপরও এই সেক্টরের একজন কামলা হিসেবে কিছু কথা যোগ করি। দ্বিরুক্তি হলেও আশা করি কেউ বিরক্ত হবেন না। আর সঙ্গত কারণে আমার নিজ নামে কমেন্ট করলাম না, কারণ তাতে কিছু সমস্যা হতে পারে। ইতোমধ্যেই ক্ষুদ্রঋণবিরোধী দু-একটা কথা বিভিন্ন জায়গায় লিখে অফিসের কারও কারও নজরে পড়েছি। চাকরি বাঁচানো কিংবা পেট বাঁচানো যেটাই বলেন না কেন- ওই জায়গাটা ঠিক রাখতেই হচ্ছে।
১. ক্ষুদ্র ঋণের অপারেশনাল যে কস্টের কথা এখানে বলা হচ্ছে, সেই অপারেশনাল কস্ট প্রকৃত অর্থে কতোটুকু বা কী পরিমাণ, সেটা কি কখনও জানা যায়? যায় না, কারণ এসব সংস্থার অপারেশনাল কস্ট বিভিন্ন সূত্রে একাধিক প্রজেক্টের থেকে আসে। আবার এসব প্রজেক্টের হিসাবও সম্পর্কযুক্ত বিভিন্ন খাতওয়ারি ভাগ করে দেওয়া হয়; যেখানে এক কুমিরের বাচ্চাকে সাতবার শুধু দেখানোই হয় না, বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে (ধরি চারটি অ্যাঙ্গেল) একই বাচ্চাকে একই সময়ে কয়েকবার করে দেখানো হয়। ফলে এক কুমিরকে সাতবার দেখানোর বদলে প্রকৃতপক্ষে প্রতি বারে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে দেখানোর কারণে সাত গুণ চার অর্থাৎ আঠাশবার দেখানো হয়। সেখানে দৃশ্যত একাধিক ব্যক্তি কাজ করলেও প্রকৃত অর্থে একই ব্যক্তি একাধিক কাজ করছেন। ক্ষুদ্রঋণ আদায়ের বৃহৎ (!) অপারেশনাল কস্টও সেখানে অন্তর্ভুক্ত । মাইক্রোফিন্যান্সে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে বিষয়টি সহজেই বোঝা যাবে।
তারপরও ধরে নিলাম অপারেশনাল কস্ট বেশি। কিন্তু সেটা কতো? মনে করি, একটি উপজেলায় মোট পঞ্চাশটি গ্রাম রয়েছে। প্রতিটি গ্রামে পাঁচটি করে পাড়া রয়েছে। প্রতি পাড়ায় দুটি করে সমিতি আছে। প্রতিটি সমিতিতে বিশজন করে সদস্য রয়েছে। প্রত্যেকে গড়ে পাঁচ হাজার টাকা করে ঋণ নিয়েছেন। তাহলে মোট কতো টাকা ঋণ দেওয়া হলো? পাঁচ কোটি টাকা। একটা উপজেলায় পাঁচ কোটি টাকা। কতো পার্সেন্ট সুদে সেই টাকা তুলে আনা হচ্ছে সেটা সহজেই বের করে নিতে পারবেন। এখন ওই উপজেলায় ওই এনজিওর অফিসের টোটাল খরচ কতো? কর্মীদের বেতনসহ সব মিলিয়ে মাসে বড়জোর দুই থেকে তিন লাখ টাকা। ক্ষুদ্র ঋণ আদায়ের পদ্ধতিতে পাঁচ কোটি টাকার এক মাসের সুদ কতো আসে? সেই তুলনায় এক মাসের অপারেশনাল কস্ট কি অনেক বেশি? আমাদের প্রচলিত ব্যাংকগুলোর একেকটি ব্রাঞ্চ কি এর চেয়ে বেশি খরচ করে না? এখানে এটাও মনে রাখতে হবে, এখানে সবকিছু কম কম ধরে হিসাব করা হয়েছে।
২. ধরে নিলাম, গ্রামীণ ব্যাংক প্রচলিত অর্থে এনজিওর মতো কাজ করছে না, বরং তারা একপ্রকার ব্যাংকিং সিস্টেমের আওতায় কাজ করছে। কিন্তু নাম এবং কিছু প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আলাদা বৈশিষ্ট্য ছাড়া গ্রামীণের সাথে ব্র্যাক, আশা- এদের কি কোনো পার্থক্য আছে। আমার অভিজ্ঞতা বলে- নাই। এটাও বলা হয় যে, বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স, ভ্যাট ও অন্যান্য খরচ এড়ানোর জন্য গ্রামীণ ব্যাংক 'বিশেষায়িত ব্যাংক' বলে এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। সম্প্রতি অন্যান্য এনজিও একই পন্থা গ্রহণ করছে। আলাদা ব্যাংক খুলে এসএমই লোনের নামে তারা ব্যাংকিং সিস্টেমের আওতায় থেকে এনজিওদের মতো ঋণ দেওয়া-নেওয়া করছে। সুবিধা একটাই- এতে বেশ কিছু টাকা বাঁচে। সুতরাং যতো 'বিশেষায়িত ব্যাংক'-ই বলা হোক না কেন, চরিত্র এনজিওদের থেকে কোনো তফাত নেই।
৩. এনজিওরা কাদের ঋণ দেয়। সোজা বাংলায় বললে- জরিপ শেষে যাকে মনে হবে ঋণ ফেরত দিতে পারবে, তাকেই ঋণ দেয়। গ্রামের নারীরা যারা ঋণের জন্য আবেদন করেন, সবাইকে যথাযথভাবে ঋণ দেওয়া হয় না। আবেদন করার পর সরেজমিনে গিয়ে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়, আশেপাশের মানুষদের কাছ থেকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তারপর যদি মনে হয় যে ওই নারী আস্তে আস্তে ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন- তাহলেই কেবল ঋণ দেওয়া হয়। আর ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না- জরিপকারের এমন ধারণা হলে তাকে ঋণ দেওয়া হয় না। এমনকি কেউ দশ হাজার টাকা ঋণ চাইলে জরিপকারের যদি মনে হয়, সে দুই হাজার টাকা পরিশোধ করতে পারবে- তাহলে তাকে দুই হাজারের বেশি টাকা ঋণ দেওয়া হবে না। নিজ সামর্থ্যের একটু বেশি ঋণ না পেলে কেউই উন্নতি করতে পারে না, সেটা সম্ভবও নয়- আর সে কারণে ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতা অধিকাংশ মানুষের ভাগ্য আসলে যে অবস্থায় ছিলো, সেই অবস্থায়ই রয়ে গেছে। এর মধ্যে ঋণ নিয়ে দুএকটা সাবান এবং কসমেটিকস ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে উঠাকে যদি অবস্থার উন্নতি বলা যায়, তাহলে অবশ্য ভিন্ন কথা। তবে সেখানেও মনে রাখতে হবে- পুঁজিবাদী সমাজ সেইটুকু পর্যন্ত ছাড় দিতে প্রস্তুত যতটুকু না হলে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা টিকে থাকবে না। বাজার যেখানে এই ব্যবস্থার মুখ্য বিষয়, সুতরাং এইটুকু উন্নতি করাতেই হয়।
...ধুর্বাল, ইলেকট্রিসিটি বহুত ডিস্টার্ব করছে। আরও কথা আছে। বাকিটা ইলেকট্রিসিটি আসার পর যদি সময় পাই। না হলে কাল বা পরশু বা তরশু। অবশ্য ততোক্ষণে যদি এই বিষয়টার ওপর কারও আগ্রহ থাকে।
** আরেকটি কথা- দয়া করে কেউ উপরের পয়েন্টগুলো না-জানা বাখোয়াজি বলে উড়িয়ে দিবেন না। এই সিস্টেমের ভেতরে থেকে কাজ করছি। সিস্টেমটা যে কতোটা ভয়াবহ অনেকে হয়তো আন্দাজও করতে পারবেন না। সময়-সুযোগ হলে সেগুলো লেখা যাবে। যারা ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দেশের দারিদ্র্য দূর করার কথা বলেন, তাদেরকে শুধু একটু অনুরোধ করবো একটু খোঁজখবর নিয়ে কথা বলুন। নিজে না পারলে পরিচিত যারা ক্ষুদ্রঋণের সাথে জড়িত, তাদের সাথে কথা বলে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
ক্ষুদ্র ঋণ আর ক্রেডিট কার্ডের বাকী খাওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?
সচল ভাই, আপনি যেহেতু এই সিস্টেমে কাজ করেছেন, সেহেতু আপনিই যথাযথ তথ্যের মাধ্যমে লেখা দেন। আপনার মন্তব্যে বেশ কিছু পয়েন্ট এসেছে; কিন্তু গ্রহণযোগ্য তথ্যের অভাব।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনি কিন্তু cost of capital আর inflation হিসাবটি বলেননি। এছাড়া গ্রামীনের মত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কেবল মাঠপর্যায়ের খরচই ত সব নয়। স্বয়ং ইউনুস সাহেবের পাশাপাশি সবার বেতনইত এখান থেকেই দিতে হবে। আরো প্রশ্ন এরা যেই টাকা দিচ্ছেন ঋন হিসাবে তার কিন্তু একটা কস্ট থাকার কথা। সেটার হিসাব একত্র না করলেত এই হিসাবটি পূর্ণ হচ্ছেনা ভাই।
আর একটি প্রথাগত ব্যঙ্কের একটি উপজেলায় একটি অফিস আছে ধরুন। তার খরচ তৃনমূল পর্যায় পৌছান এই সব ব্যঙ্কের চেয়ে বেশি কি করে হতে পারে? ধরুন কেরানি থেকে ম্যানেজার পর্যন্ত ১০ জন কর্মচারি কাজ করে সেই ব্রাঞ্চে। গড় বেতন ১০ হাজার হলে ১ লক্ষ্য টাকা বেতন। বাড়ি ভাড়া ধরুন ২০ হাজার। তবু উপজেলা পর্যায়ে এই খরচটি বেশি ধরেই দেখান হল। তাহলে তাদের খরচ বেশি কি করে?
স্বাভাবিক। এটাত ঋন, দান নয়। ব্যপারটাকে টেকসই করার জন্যই ত এই ব্যবস্থা। এছাড়া উপরে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ঋনের ব্যবহার নিয়ে। সেটা যদি বিনিয়োগ না হয় তাহলেত সেটা টেকসই হচ্ছে না। ক্ষুদ্র ঋনকে আলাদিনের চেরাগ মনে না করে ক্ষুদ্র ঋনই ভাবা হোক।
নতুন মন্তব্য করুন