গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরেকটি বিরল সম্মান বয়ে আনলেন বাঙালি ও বাংলাদেশের জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’-এ ভূষিত হলেন তিনি। ১২ আগস্ট ২০০৯ বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত প্রায় ৩.০০ টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাকজমকের সাথে মুহুর্মুহু করতালির মধ্যে দিয়ে নিজ হাতে ড. ইউনূসের গলায় এ পদক পরিয়ে দেন। এ সময় তাঁকে সহায়তা করেন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা।
বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রীড়া, সঙ্গীত ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অনন্য সাধারণ অবদান রাখার জন্য এই সম্মাননা জানাতে নির্বাচিত ১৬ জনের নাম গত জুলাই ২০০৯ মাসেই ঘোষণা করা হয়েছিলো। এদের মধ্যে ১২ জন আমেরিকান এবং ৪ জন আমেরিকার বাইরের। ড. ইউনূস ছাড়া বাকিরা হচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আর্চ বিশপ ডেসমন্ড টুটু, ব্রিটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, মার্কিন সিনেটর রবার্ট এডোয়ার্ড কেনেডি, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা সিডনি পয়টিয়ার, সাবেক প্রথম মহিলা আইরিশ প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, অভিনেত্রী চিতা রিভেরা, নাগরিক আন্দোলনের নেতা রেভারেন্ড জোসেফ-ই-লোয়ারি, আমেরিকান আদিবাসী ঐতিহাসিক ও শিক্ষাবিদ জোসেফ মেডিসিন ক্রো, সমাজকর্মী ন্যান্সি গুডমান ব্রিঙ্কার, চিকিৎসা বিজ্ঞানী ড. জানেট ডেভিসন রাউলি, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি সান্ড্রা ডে ও’কনর, টেনিস তারকা বিলি জিন কিং, মানবতাবাদী হিস্পানিক চিকিৎসক ড. পেড্রো জোসে গ্রিয়ান জুনিয়র প্রমুখ।
দু’জনকে মরণোত্তর পুরস্কার দেয়া হয়। তাঁরা হলেন রিপাবলিকান দলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো কেম্প এবং সমকামী অধিকার আন্দোলনের নেতা হার্ভে মিল্ক। অসুস্থতার জন্য সিনেটর রবার্ট এডোয়ার্ড কেনেডি অনুষ্ঠানে আসতে না পারায় তাঁর পক্ষে পদক নেন তাঁর কন্যা কার কেনেডি।
১৯৪৫ সাল থেকে চালু হওয়া এই সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক (presidential medal of freedom) প্রদানের মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরকে সম্মানিত করে থাকেন। বিগত ৬৪ বছরের ইতিহাসে এশিয়া মহাদেশ থেকে মাত্র পাঁচজন এ পদকে ভূষিত হন। তাঁদের মধ্যে ভারতের মাদার তেরেসা, মায়ানমারের ওঙ সান সুকি অন্যতম। প্রফেসর ইউনূস হচ্ছেন পঞ্চম এশিয়ান ও প্রথম বাঙালি যিনি এই সম্মান লাভ করলেন।
প্রত্যেককে পদক পরিয়ে দেয়ার ফাঁকে ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁদের সম্পর্কে পরিচিতিমূলক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বারাক ওবামা বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পদক পরিয়ে দেয়ার সময় বলেন, জনগণকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে মুহাম্মদ ইউনূস অর্থ ব্যবস্থা ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। জনগণকে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্ত করতে তিনি ক্ষুদ্রঋণ লাভের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ব্যাংকিং খাতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর জনগণকে লাভজনক ব্যবসার পথ দেখিয়েছেন। এভাবে মুহাম্মদ ইউনূস সৃষ্টিশীলতার নব দিগন্ত উন্মোচন করেছেন এবং বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষকে নিজস্ব ক্ষমতার প্রতি সচেতন করেছেন।
এর আগে এই পদক সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন- এটি আমি এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এদেশ ও অন্যসব দেশের কিছু সর্বোত্তম নাগরিককে ধন্যবাদ জানানোর একটি সুযোগ। এমন এক সময়ে যখন প্রায়ই আমাদের মাঝে নৈরাশ্যবাদ ও সংশয় দেখা দেয়, পরস্পরের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা অনেক সময়ই ভুলে যাই, আমাদের সামনে চলার পথটি অনেক দীর্ঘ ও বন্ধুর মনে হয়, তখন এ অসামান্য মানুষগুলো, এ পরিবর্তনের নায়করা আমাদের এ কথাই স্মরণ করিয়ে দেন, উৎকর্ষ অর্জন আমাদের সাধ্যের বাইরে নয়। তারা আমাদের আশার বাণী শোনান। তারা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন, স্বপ্ন পূরণ, অন্যের স্বপ্নকে এগিয়ে নেয়া এবং আমাদের সন্তানদের জন্য এ পৃথিবীকে নতুন করে গড়ে তোলার ক্ষমতা আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই রয়েছে।
বারাক ওবামার এমন আবেগময় চমৎকার বাণী সবার মধ্যেই সাহস ও আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলতে সক্ষম বৈ কি। এবং ভাবতে ভীষণ গর্ব হয় যে, আমেরিকার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত কালো মানুষ বারাক ওবামা, যাকে একজন মানবতাবাদী তরুণ নেতা ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে গোটা বিশ্ব ভাবতে পছন্দ করে, তাঁর সাহসের প্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্বদের মধ্যে একজন বাঙালিও রয়েছেন, যিনি আমাদেরই লোক, ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ পর্যন্ত এসে লেখাটা শেষ হয়ে যেতে পারতো। অন্তত বাঙালি হিসেবে সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম আমি। কিন্তু তা যে হলো না, এর কারণ নিউজ ওয়ার্ল্ড নিউইয়র্ক-এর একটি খবরে কতকগুলো বিষণ্ন প্রশ্ন এসে ভর করলো মনে। তার ব্যাখ্যা আর নাই দিলাম। তার চে’ ‘যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা পেলেও ড. ইউনূসের খোঁজ নেয় নি বাংলাদেশ দূতাবাস’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরটাই না হয় হুবহু উদ্ধৃত করি-
‘যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে কোনো সম্মান দেখায়নি বাংলাদেশ দূতাবাস। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী একজন কূটনীতিক বলেন, সরকার থেকে আমাদের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাকে সালাম জানাতেও যেতে পারিনি।
১২ আগস্ট হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ওবামা বিশ্বের ১৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেন। মূলত এটা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।
অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজ হাতে সম্মাননার মেডেলটি পরিয়ে দেন ড. ইউনূসের গলায়। বাংলাদেশী ড. ইউনূসের নাম ঘোষণার সাথে সাথে হোয়াইট হাউসের পাম রুম উল্লসিত হয়ে উঠেছিল। সেখানে প্রেসিডেন্ট ওবামা বললেন, বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের আত্মবিশ্বাসকে জাগ্রত করেছেন ড. ইউনূস।
মেডেল নেয়ার বিভিন্ন দেশ তাদের কৃতী সন্তানদের অভিবাদন জানাতে প্রেরণ করেছিল স্ব স্ব দেশের দূতদের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছিল ব্যতিক্রম। হোয়াইট হাউসের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না কোনো বাংলাদেশী কূটনীতিক।
পুরস্কৃত ব্যক্তিত্বদের সম্মানে স্ব স্ব দেশের দূতাবাস সংবর্ধনা ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালায় তাদের এই অর্জনকে তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ দূতাবাস ছিল নির্বিকার।
১১ থেকে ১৪ আগস্ট চার দিন ওয়াশিংটনে অবস্থান করেছেন ড. ইউনূস। কিন্তু বাংলাদেশী কূটনীতিকরা তাকে কুশলবিনিময়ের ন্যূনতম সৌজন্য দেখাননি।
নিউইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্টে তিনি এসে নামলে শত আমেরিকানের বিমুগ্ধ চোখ ছিল ড. ইউনূসকে ঘিরে।
গত শুক্রবার দেশে ফেরার সময়ও জেএফকে টার্মিনালে অজানা-অচেনা শত মানুষ ঘিরে ধরেছিল তাকে একনজর দেখতে। হুড়োহুড়ি লেগে গিয়েছিল ছবি তোলার জন্য। ড. ইউনূস ছিলেন একা। নিজে নিজেই বোর্ডিং কার্ড নিয়েছেন। সেখানেও বাংলাদেশী কোনো কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। বিষয়টি এয়ারপোর্টে উপস্থিত অনেক বাংলাদেশীর চোখ এড়ায়নি। এ জন্য তার প্রতিবাদ করেছেন প্রকাশ্যে। জানতে চেয়েছেন এই উপেক্ষা-অবহেলার হেতু কী।’
রাজনীতির ঘোরপ্যাঁচ হয়তো বুঝি না। তবে কৈশোরের পাঠ্যে শিখে নেয়া প্রবাদটি ঠিকই মনে পড়ে যায়- গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না। একান্তই বাঙালি প্রবাদ। এই যোগী যে ভিখ পায় না, তা কি গ্রামবাসীর স্বচ্ছ স্মৃতিতে যোগীর বেড়ে ওঠার ভাঙাচোরা ছবি-কণার অহেতুক উৎপীড়ন, না কি যোগীকে ধারণ করার ক্ষমতা গ্রামবাসীর থাকে না, কে জানে। তবে এটা ঠিক যে, তপস্যার সঙ্কুল পথ ও যাত্রা যোগীকে পরিচিতির মগ্নতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সময়ের পরিশ্রুত প্রজন্মের নির্মোহ চোখই পারে যোগীর যোগ্যতা মেপে দেখার স্থিতি ধারণ করতে।
ড. ইউনূস কে ও কী, তা জানতেও হয়তো আমাদেরকে আরো কিছুকাল অপেক্ষা করতে হবে, সময়ের সেই পরিশ্রুত প্রজন্মের জন্যে।
মন্তব্য
রণদাকে অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টের জন্য।
ড. ইউনূস কে ও কী, তা জানতেও হয়তো আমাদেরকে আরো কিছুকাল অপেক্ষা করতে হবে
জানার চেষ্টাটুকু অন্তত বলবৎ থাকুক।
ধন্যবাদ রিয়াজ ভাই।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভাই, একটু কড়া হয়ে গেল। মানতে পারলাম না।
অফটপিক: শুনেছি আপনি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকুরী করেন?
যিনি গ্রামীণ ব্যাংকে চাকুরি করেন, তিনি অন্য কেউ। রণদীপম বসু কোথাও চাকুরি করেন না বা কারো অধীন নন, এটুকু ধারণায় রাখলেই কৃতার্থ হবো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদা, ক্যাচাইলা প্রশ্ন ইগনোর করেন। কে কোথায় কাজ করে, কার অবস্থান কি, এইসব আউল-ফাউল জিনিস নিয়া উত্তর দিতে গেলে পোস্টের ফোকাসই নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি গ্রামীণে জব করলেও পোস্টের যা বক্তব্য, জব না করলেও একই বক্তব্য।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
রণদীপদাকে ধন্যবাদ,এ লেখাটির জন্য আমি আশা করে ছিলাম। অনুষ্ঠানটা দেখেছিলাম টিভিতে, গর্ব হচ্ছিল প্রফেসর ইউনুস আরো একটি সম্মান বয়ে আনলেন আমাদের দেশের জন্য তা দেখে। কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যপারটা জানা ছিল না, খুবই দুঃখজনক।
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...
ধন্যবাদ প্রজাপতি আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আসলে ইউনুসের নোবেল বিজয় কিংবা এইসব সম্মাননা প্রাপ্তিকে বাংলাদেশের মানুষ সঙ্গত কারণেই একটু সন্দেহের চোখে দেখে। তত্ত্ব সরকারের সময়ে তার গুরুত্ব এবং রাজনৈতিক দল গঠনস্পৃহাসম্পর্কিত পল্টিবাজির কারণে ডঃ ইউনুস রাজনৈতিক সরকারের কাছ থেকে বাড়তি মনোযোগ পাবেন না, এটা স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার। আর বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর কথা নোতুন করে বলার কিছু নেই। তবে ডঃ ইউনুসের জন্য স্যাড ব্যাপার হলো, এতো এতো বিশাল পুরস্কার পাওয়ার পরেও বাংলাদেশের মানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা খুব কম। এবং তার জন্য পাবলিকের একার ঘাড়েই সব দোষ চাপানো যায় না। পাবলিক বড়োই পিছলা জিনিস। যোগী যতো বড়োই হোক, পাবলিককে দাম না দিলে পাবলিক তারে পুছে না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ বলাই দা। আসলে এ বিষয়ে অনেক বড় আলোচনাই হতে পারে। বিস্তর গবেষণার খোরাকও রয়েছে এতে। যা আগামীতে কেউ না কেউ করবেনও। জাতির প্রয়োজনেই তা করতে হবে।
তবে একটা বিষয় মনে হয আমরা ভুলে যাই, আমাদের সংবিধান প্রতিটা নাগরিকের রাজনীতি করার কিংবা না করার অধিকার সংরক্ষণ করে। উদাহরণস্বরূপ এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরির রাজনীতিকে ধরে নিলাম আমি অপছন্দ করি, তাই বলে চিকিৎসক হিসেবে তাঁর যোগ্যতা বা দক্ষতা খাটো হয়ে যায় না। কিংবা ড. কামালের আইন-বিশেষজ্ঞত্ব খশে পড়ে না। আমি কবি আল-মাহমুদের রাজনৈতিক পরিভাবনার অনুসারী নই, কিন্তু পাঠক হিসেবে আমার কাছে তিনি দারুণ পাঠ্য। ড. ইউনূসের বিষয়টাকেও আমি সে দৃষ্টিভঙ্গিতেই বিবেচনা করি। অবশ্য আরো অনেক ঘটক-অনুঘটক রয়েছে যা এতো সংক্ষেপিত আলোচনায় সুরাহা হবে না ।
আর দূতাবাসের বিষয়টাকে আমি দুর্ভাগ্যজনক বলি এজন্যই যে, রাষ্ট্রের চোখ আর ব্যক্তির চোখ কখনো এক হওয়া উচিৎ নয়।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি কিন্তু সন্দেহের চোখে দেখি না। এখন যদি বলেন আমি বাংলাদেশের মানুষ নই তাহলে সেটা আপনার ব্যক্তিগত অভিমত এবং আমি তাতে সংগত কারনেই আপত্তি জানাব।
অবশ্য এভাবে বলা যায়। ইউনুসের তত্ত্ব এবং প্রয়োগের একটা অংশ বাজার অর্থনীতি সেই অর্থে পুজিবাদের ধারনা ঘেষা। সেই দিক থেকে তিনি বাম ঘরনার সমালোচনার শিকার হচ্ছেন সেটা একটা রাজনৈতিক কারন। কিন্তু তাঁর মতামত ক্লাসিকাল অর্থনীতির অনেক মৌলিক ধারনাকে চেলেঞ্জও করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি চর্চায় বামপন্থী প্রভাব অনেক স্পষ্ট। সেক্ষেত্রে তার ব্যপারে সমালোচনার রাজনৈতিক উৎসটি বোধগম্য।
এছাড়া আরেকটা বড় ব্যপার হচ্ছে আপনার ভাষায় "রাজনৈতিক পল্টিবাজি"। এখানেও আছে বাম ঘরানার পাশাপাশি পর্যায়ক্রমিক ক্ষমতার অধিশ্বর রাজনৈতিক নেতৃদের রোষানল। সেদিক থেকেও তিনি সমালোচিত রাজনৈতিক দল গঠনের সম্ভাবনার কথা বলে। আর জামার-শিবির বা অন্যান্য ধর্মভিত্তিক দলেরা সুদের উপস্থিতির কারনে তাকে গালাগাল দেবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের সাধারন মানুষের একটা বড় অংশ বোধকরি নির্দলিয় ভাবে চিন্তা করতে চায়।
আমার যতটা মনে আছে - প্রথম থেকেই তাঁর দৃষ্টিভংগী ছিল গনতান্ত্রিক। তিনি সাধারনের মতামত জানতে চাচ্ছিলেন। সেক্ষেত্রে দেশের মানুষ চাইলে তিনি রাজনীতিতে আসবেন এমনই তাঁর অবস্থান ছিল। মতামতের দিক থেকে আমি দেখেছি কেউ বলেছেন রাজনীতির ঘোর পেচে না এসে তিনি যেন তার ক্ষুদ্র ঋনের কাজেই মনযোগ দেন। বাংলাদেশের রাজনীতির রুল অব গেম সম্পর্কে সকলেরই জানা আছে। সেখানে তিনি বেমানান। আরেকটি মত ছিল এমন যে রাজনীতির জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন সেটা স্বভাবতই ইউনুসের ছিলনা। আবার কেউ বলেছেন তিনি যদি রাজনীতিতে আসেন তবে রাজনীতির রুল অব গেম আস্তে আস্তে পাল্টে যাবে হয়ত। এখানে আশাবাদের দিক ছিল। তবে এটাও ঠিক কেউ এটাকে একটা স্বার্থপর ভাবনাও ভেবেছিলেন। কিন্তু ইউনুসের অবস্থান আমার কাছে বেশ স্পষ্ট মনে হয়েছিল। তিনি বলেইছিলেন সাধারনে কি চায় সেটা দেখেই তিনি চুরান্ত মতামত দেবেন। আর তিনি তো তাই করেছেন। আমার কি ভুল হচ্ছে কোথাও? সেজন্য তিনি মতামত গ্রহনের ব্যবস্থাও করেছিলেন। এটা নিয়ে তাঁর বক্তব্যকে টুইস্ট করে "ফ্যন ক্লাব" ইত্যাদি গঠন করার কথা তিনি বলেছিলেন বলে প্রচার করা হয়। আমি এ ব্যপারে নিশ্চিত নই বলেই প্রশ্ন করছি।
এ বিষয়ে আপনার সাথে আগেও আমার কথা হয়েছিল এই সচলে রণ'দার পোস্টেই। আমি আসলে এই ফ্যন ক্লাব সম্পর্কিত দাবিটির কোন রেফারেন্স চাচ্ছি। ব্যপারটি আসলে কোন পরিপ্রেক্ষিতে কিভাবে তার বক্তব্যে এসেছিল সেটা জানার কৌতুহল রয়েছে আমার। কেউ যদি একটু সাহায্য করেন ভাল হয়।
আর রাজনৈতিক মতাদর্শের কারনে যেমন বাম ঘেষা মতবাদে বিশ্বাস বা হাসিনা-খালেদার প্রতি বিশেষ সমর্থনের কারনে কেউ যদি তাঁকে ঘৃণা করতে চান সেক্ষেত্রে আসলে যুক্তি তর্ক তেমন কাজে আসবে না। সেটা ব্যক্তিগত রাজনৈতিক এজেন্ডা হিসাবে দেখাই সহজ। আপনার ব্যপারে আমি কোন অনুমান করছি না এটা আগেই বলে রাখছি। আমি আমার সাধারন ধারনাই উপস্থাপন করলাম। আপনি এই ফ্রেমের বাইরে থাকতে পারেন এবং বাইরে থেকেই ইউনুসের ব্যপারে সন্দেহ পোষন করতে পারেন।
অনেকে উচ্চসুদের হারের কারনে (উচ্চসুদের বিষয়ে ইউনুসের জন্মদিনের ফলোয়াপ নিয়ে রন'দার পোস্টে বিস্তারিত মন্তব্য করেছি), আবার অনেকে অন্যদের মতামতে প্রভাবিত হয়ে তাদের সমালোচনা করেন। কিন্তু অনেকেই তার কাজের উজ্জ্বল দিকটাও দেখতে পান। সেক্ষেত্র বাংলাদেশের মানুষ তাকে সন্দেহের চোখে দেখে এই জেনারালাইজেশানটা মানছিনা।
তবে যেই রেফারেন্সগুলো চেয়েছি সেগুলোর ব্যপারে একটু সাহায্য করবেন যদি সম্ভব হয়।
ধুর ছাই, আমি কি তাই বলেছি যে বাংলাদেশের সব মানুষ তাকে সন্দেহের চোখে দেখে? তাহলে দেশে বিদেশে ডঃ ইউনুস ফ্যানক্লাব গড়ে ওঠে কিভাবে?
পুজিবাদ নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নাই।
সুদের কারবার নিয়েও আমার এলার্জি নাই।
আমিও কোনো রাজনৈতিক দলের আদর্শ থেকে ডঃ ইউনুসকে সন্দেহের চোখে দেখি না, ব্যক্তিগত বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করেই দেশের জন্য কাজ করার ব্যাপারে তার ওপর আমার দৃঢ় বিশ্বাস সৃষ্টি হওয়ার মতো কিছু পাইনি। পলিটিক্যাল পলটিবাজির আগ পর্যন্ত একটা গ্রে অবস্থায় ছিলো, পলটিবাজির পরে ভরসা না করার দিকেই চিন্তাভাবনা ঝুঁকেছে।
আপনার বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর ডঃ ইউনুসের চিঠিতেই আছে। এগুলো নিয়ে একটা ডিটেলস মন্তব্য বা পোস্ট দেয়ার ওয়াদা করলাম। (নিতান্তই সময়াভাবে এই মুহূর্তে লিখতে পারছি না।) সেখানে পলিটিক্যাল পলটিবাজি অ্যাসপেক্টে আমার কথাগুলোর সত্যতা সম্পর্কে বলবো। আপাতত ডঃ ইউনুসের চিঠির লিংক দেই।
প্রথম চিঠি: ১১ই ফেব্রুআরি, ২০০৭ তারিখে লেখা। ডেইলি স্টার থেকে
দ্বিতীয় চিঠি: ২২শে ফেব্রুআরি, ২০০৭, লিংক
(দুই চিঠির মধ্যের গ্যাপটা খিয়াল কইরা, মাত্র ১১ দিন, আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করতে সময় নিয়েছিলেন ৬ দিন। )
পলিটিক্স থেকে পিঠটানের সংবাদ
চিঠিগুলোর মধ্যে চিন্তার খোরাক আছে।
ডঃ ইউনুসের নাশ পার্টির সমর্থক গোষ্ঠি গড়ে তোলার নির্দেশটা দ্বিতীয় চিঠিতে আছে। বিদেশেও এরকম অর্গানাইজেশন গড়ে ওঠে। যেমন, জাপানের মুহাম্মাদ ইউনুস সাপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন, জার্মানিতেও আমরা একটা মোটামুটি খসড়া করে ফেলেছিলাম।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
লিঙ্কগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ বলাইদা। আমি সবগুলো খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ফ্যান ক্লাব, নাশ পার্টি এই গুলারে প্যারোডির মত শোনাচ্ছে যদিও।
মনে হচ্ছে ঘটনা গুলারে আপনে যেই ভাবে দেখছেন (অভিমান, অনুযোগ?) আমি এখনও সেই ভাবে দেখতে পারিনাই। আপনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।
ভাই, এই লোক যদি খারাপ লোক হয়ে থাকে, মানে আমি যদি মনে করি, তার সাথে যদি আমার মারামারি থেকে থাকে, সেই মারামারি দেশেই নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।
দেশের বাইরে এই মন কষাকষি কেন টেনে আনব, যখন সেই লোকটা একটা ভালো কাজে এসেছে... বাইরের দেশের মানুষ কেন জানবে, আমরা ইউনূসকে পুঁছি না?
একটা আন্তর্জাতিক পুরস্কার নিতে এসেছে লোকটা, লক্ষ লক্ষ মানুষের দৃষ্টি এখন তার দিকে, সে যদি পয়সা দিয়েও এই পুরস্কার কিনে থাকে, তারপরও তার সঙ্গে এখন একটা দেশের নাম যুক্ত, ঐ একটা জিনিসই তো আমাদের আছে রে ভাই, একটা দেশ। যাই হোক, যেমনই হোক।
সহজ প্রশ্ন, ইউনূসকে বাংলাদেশের কেউ সম্মান দেখাতে যায় নি, এটাতে আম্রিকার লোকদের কাছে আমাদের সম্মান বেড়েছে না কমেছে?
মুখে মুখে দেশপ্রেম প্রচুর দেখি, শুধু দেশের ভাবমূর্তির থেকে যখন নিজের রাজনৈতিক দলটার ভাবমূর্তির বড় হয়ে ওঠে, তখন সেখানে আমি কোনো দেশপ্রেম খুঁজে পাই না!
দেশ নিয়ে আসলে কেউ ভাবে না, কেউ না!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মৃদুলভাই আমার মনে হয় এইখানে রণ'দা রাষ্ট্রীয় ভাবে কেউ না যাবার প্রশ্ন রেখেছেন। দেশের বাইরে বাংলাদেশীদের কাছ থেকে তিনি অনেক সম্মান পান বলেই আমি জানি। এর একটা বড় কারন সেখানে বিদেশিরা তাঁকে অনেক সম্মান করেন। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতরে আমরা আসলে রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে অনেক সময়েই আসতে পারিনা। ব্যক্তির কাজকে নৈর্বক্তিক ভাবে না দেখে নিজেদের রাজনৈতিক ছাকনিতে ছেকে বিচার করি। এই ছাকনির ব্যবহার কমানটা খুবই দরকার।
আমি রাষ্ট্রীয়ভাবে যাবার কথাই বলছি। আনুষ্ঠানিকভাবে যাবার কথাই বলছি। মানে, আম্রিকানরা দেখল, আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ থেকে কেউ আসে নি তাকে অভিনন্দন জানাতে বা আর কিছু, সেটাই আর কি!
আমার লেখায় কি ব্যাপারটা স্পষ্ট হয় নি?
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
খাঁটি কথা মৃদুলভাই।
অফটপিক মন্তব্য:
নাটক/সিনেমার একটা খুব প্রিয় রোমান্টিক সিন হইলো, নায়িকা ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসা, আয়নার সামনে। নায়ক এসে পিছন থেকে একটা নেকলেস গলায় পড়ায়া দিতেছে। আবেগে পুরা ভাইসা যাওয়া একটা দৃশ্য। পরের সিকোয়েন্সগুলা আর বললাম না।
পত্রিকায় ছবিটা দেইখা আমার এই সিনটাই মনে পইরা গেসিলো
পুনশ্চ: রণদা ফাউল মন্তব্যের জন্য ক্ষমা ঘেন্না কইরা দিয়েন। মজা কইরা লেখসি, একদমই।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমারও কিন্তু ঠিক একই জিনিস মনে হইসিল দেইখা!
ফাজিল পোলাপাইন!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
ইউটিউবে এই বছরের মেডেল অব ফ্রিডমে এওয়ার্ডের অনুষ্ঠানঃ
বলাইদার কাছে প্রশ্ন রাখার পর আমি নিজেই আমার স্মৃতিকে যাচাই করার জন্য নেটে ঘেটে দেখার চেষ্টা করলাম নিচের ডেইলি স্টার থেকে কিছু উদ্ধৃতি দিচ্ছিঃ
He said he knows joining politics could leave him controversial. Still, he is ready to take the risk if the people reckon that his coming into politics would help usher in a new political climate.
রিপোর্টটি এখানে।
------------------
ফ্যান ক্লাব সংক্রান্ত টুইস্টের উৎস বোধ হয় তার খোলা চিঠি। এখানে তিনি দেশের আপামর জনসাধারনের কাছ থেকে তাদের মত (হ্যা/না এর পাশাপাশি প্রক্রিয়া সম্পর্কে) জানতে চেয়েছেন। ব্যপারটাকে রাজনৈতিক লেন্সে ফেলে টুইস্ট করা হয়েছে বলেই মনে হল। আমার ভুল হলে কেউ শুধরে দিয়েন।
হার্ভে মিল্ক লোকটা তো বিশাল বস ছিল ...
ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন ...
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
ডঃ ইউনূসকে অভিনন্দন। সত্যিই ভালো লেগেছে খবরটা দেখে। বিরাট সম্মানের ব্যাপার।
রণ'দাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
আমাদের কাজই হলো সন্দেহ করা। কারো যদি এতই সন্দেহ তো ড. ইউনূসের মত এতগুলা পদক এনে দেখাক না। চেষ্টা তো কেউ কম করেনি, স্মৃতি এখনো এতটা পুরাতন হয়নি।
রণদার মত অকৃপণ মানুষ আছেন বলেই ভালো লাগে। পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, আর ড. ইউনূসের জন্য অভিনন্দন।
আমি আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের একটা চাইনিজ টেক এ্যাওয়ে থেকে খাওয়া কিনছিলাম। হঠাত্ সিএনএন-এ দেখি ওবামা মেরী রবিনসনকে মেডেল পরিয়ে দিচ্ছে। রবিনসন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান চ্যান্সেলরও। তাই তার পদক পাওয়ার ব্যাপারে আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে জেনেছিলাম। সেই সময়ই ড. ইউনুসের নামটাও সাথে সাথে এসেছিল। অসম্ভব রকম গর্ব হচ্ছিল। আবারও সেদিন খবরে দেখলাম। কেমন অনুভুতি ছিল বলে বোঝাতে পারবো না। আইরিশরা যখন মেরী রবিনসনের পদক প্রাপ্তি সেলিব্রেট করছে, তখন আমিও গর্ব ভরে বলতে পারছিলাম আমার দেশের একজনও পেয়েছেন এই পদক, একই সাথে। আফসোস, এই অনুভুতিটা নিজের দেশেই অনেকে বোঝে না।
রেটিং দেয়ার ক্ষমতা নেই। থাকলে চোখ বন্ধ করে ৫ দিতাম।
টুইটার
ধন্যবাদ নিয়াজ ভাই।
আমাদের অনুভূতিগুলো আসলেই ভোতা হয়ে গেছে বোধয়। এ জন্যে কাউকে দোষারোপ করেও লাভ নেই। জাতি হিসেবে আমরা দাগা খেতে খেতে হয়তো এখন খুবই সন্দেহবাতিকগ্রস্ত হয়ে গেছি।
কাছে থেকে পুরো বটবৃক্ষ দেখা যায় না। ছায়াটাকেও ভুলে গিয়ে কাণ্ডে-বাকলে ছোট-খাটো খোড়লগুলোই চোখে পড়ে বেশি। এজন্যেই স্থান বা কালের দূরত্ব একটা ফ্যাক্টর বৈ কি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বাংগালী বুদ্ধিজীবিরা নোবেল পাওয়া র, ঠাকুরকে সম্বর্ধনা দিতে গিছিলো । ঠাকুর অভিমান করে তাদের ব্যর্থ নমস্কারে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন । ঠাকুর নোবেল না পেলে খবর ছিল, চোখ বন্ধ করে আর রবিন্দ গান শোনার ভন্ডামী করতে হতো না । নোবেল হইলো ইহুদী নাছারাদের পুরস্কার আর ইউনুস হইলো মস্তবড় সুদখোর, আপাতত এরকম ভাবতে পছন্দ করে বাংলা মূলুকের মানুষরা । ভাই, আপনার লেখা পড়ার আগেই আমার প্রায় একশ ভাগ ধারনা ছিল এমন একটা ব্যপার হবে, তাই প্রতিক্রিয়াটা অনেক আগের । তবে দ্যশে ইউনুস মিয়াগো অজনপ্রিয়তার একটা কারন আমি বাইর করছি, দেখেনতো পছন্দ হয় কিনা । ধরেন বাংগাল জতিটা ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট থেকে সামনের দিকে মুখ করে ভুতের মত পিছন দিকে হাটা শুরু করছে, তাহলে আজ ২০০৯ সালের আগষ্ট পর্যন্ত জাতি কতটা পিছন হাটছে হিসাব করে বাইর করেন । যেহেতু ইউনুস মিয়ার জিকির কালাম বংগদেশ বাদে আর সক্কলে হেফ্জ করার জন্য জান পরান দিয়া ফালায়, কাজেই ধরে নিতে হবে ইউনুস থিওরী মোটামুটি হালনাগাদ, মানে ২০০৮ সাল উপযোগী । তাইলে এখন হিসাব করে বের করেন, ইউনুস ত্বত্ত বংগ দেশের লাগি কতখানি এডভান্স । যেহেতু ব্যাক টু দ্য ফিউচার ঘটানোর কোন মেশিন এখন পর্যন্ত এই মহান দেশে আল্লায় পয়দা করে নাই তাই ঐ ব্যাটা আমাগো কেউ না । ভালয় ভালয় ঠিকমত সব যদি চলে তবে কম করে ২০০ বছর সবুর করেন তখন দেখা যাবে এইসব সুদমুদ, কাবলিওয়ালা নিয়ে করা যায়। এখন চুপ থাকেন ।
সাধু
ইমেইল:
ইউনুসরে ভালা লাগে। হ্যাতে হগল মাইয়ালোগের মুক্তির লাই কাম করসে। গ্রামীনের সুদ শোধ দিতে না পাইরা হিতিরা ব্র্যাকে যায়, আশায় যায়, কর্জ বাড়তে বাড়তে চিন্তায় বুকে দরদ আসে, মইরা মুক্ত হৈয়া যায়। হ্যাতের এক সময়ের শোকেস পিস জোবরার সুফিয়া মইরা হামেশার লাই মুক্ত হৈয়া গেলে হগলে চান্দা দিয়া দাফন করল। হ্যাতে গেল মুক্তির ম্যাডেল আনতে। কিন্তু মালা পরাইল সহেলী হিলারী না, এক কালা ব্যাডা!
আঁর কাসে হ্যাতের আ,কি,হ,রে হাসি মনে হয় এই জাহানের এক নম্বর হাঁচা হাসি।
ডক্টরেট এবং পুরষ্কারের প্রতি আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর একধরনের নেশা কাজ করে যা গত টার্মে প্রকটভাবে চোখে পড়েছে। বিশেষ করে তার চেলাচামুন্ডারা শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তিচুক্তির জন্য নোবেল পাবেন, এরকম কথা জোরেশোরে প্রচার করেছেন একসময়।
সুতরাং ডক্টরেট এবং নোবেল, এই দুই জিনিষ আর যার বা যাদের কাছে আছে তাদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিটা এই প্রশাসনের ভালো হবে না, এটা স্বাভাবিক ভাবেই ধরে নেয়া যায়। আমি বলছি না যে সরকারের উপর মহল থেকে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছেই, হতে পারে নাও পারে, কিন্তু আমলাতন্ত্র জানে কোন পুজোর কোন ফুল।
এক্ষেত্রে সরকারী নির্দেশে হয়তো দুতাবাসকে চুপ থাকতে হয়েছে, তবে ওভারঅল আমাদের দেশের দূতাবাসগুলোর কথা আর কী বলা যায়। সব ুোরের বাচ্চা মনে করে ওগুলো হচ্ছে হলিডে কাটানোর জায়গা, বিদেশে পোস্টিং দেয়া হয় বোধহয় হলিডে কাটানোর জন্য।
আমি অচ্ছ্যুৎ বলাইয়ের কথার প্রসঙ্গে বলতে চাই যে, পাবলিকের কাছে ইউনূসের বেইল নাই কথা সত্যি। তবে নোবেল লরিয়েট হিসেবে উনি বোধহয় প্রটোকলের আওতায় পড়েন , সুতরাং পাবলিকের মনোভাব দিয়ে নয়, প্রফেশনাল মনোভাবে বিষয়টিকে হ্যান্ডেল করা উচিত সরকারের।
বেচারা ইউনুস! কেন যে আন্টিদ্বয়কে বকাঝকা করতে গেলো!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
রণ'দা এবং অন্যান্য ইউনুস প্রশংসকগন কি দয়া করে আমার মতো মুর্খের জন্য একটা 'সহজ ইউনূস পাঠ' এর ব্যবস্থা করতে পারেন? এতোদিনে ও আমি তাঁর অনন্যতা ও মাহাত্ন্য অনুধাবন করতে পারিনি( আমারই ব্যর্থতা নিশ্চিত)
হ্যাঁ, অনন্য তিনি তাঁর ব্যবসায়িক পরিকল্পনায়( এটাকে খারাপ বলছিনা মোটে ও, আমি নিজে ও ব্যবসা প্রশাসনের ছাত্র)। দরিদ্র মানুষকে সুদের বিনিময়ে অর্থ প্রদান পৃথিবীতে নতুন কিছু নয় বরং পতিতাবৃত্তির মতোই আদিম একটি ব্যবসা। আমাদের অঞ্চলে ও এটি বহুল প্রচলিত সবসময়( কাবুলীওয়ালার সুদের ব্যবসার গল্প তো এখনো প্রচলিত)।
ডঃ ইউনূস অনন্য এ কারনে যে তিনি এই ব্যবসায় নতুন ধারা প্রবর্তন করেছেন। কোন গ্যারান্টি ছাড়াই তিনি ঋন দিয়েছেন এবং ঋন দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি দরিদ্রতম নারীগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়েছেন( এতে ও তার ব্যবসায়িক জ্ঞানের কৌশল প্রকাশ পায়, কারন গ্রামীন নারীরা পুরুষের তুলনায় কম ভালনারেবল, টাকা মেরে দিয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে পারবেনা, ইজ্জত সম্মানের ভয় বেশী)।
নিঃসন্দেহে ইউনূস সাহেব তার ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় মারাত্নক রকম সফল। এই সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে বিজনেস ম্যান অফ দ্যা মিলেনিয়াম এইরকম কিছু একটা খেতাব দেয়া যেতো নিশ্চয়ই।
আমি অতোটুকু বুঝি তবে এর মধ্যে মানবপ্রেম, জনহিতকারী কি আছে- সেটা মালুম হয়না, এই আরকি। হ্যাঁ, এখন যদি কেউ বলেন- বিশ্বব্যংক, আইএমএফের মাধ্যমে ধনীদেশগুলো আমাদের ঋন দিচ্ছে বলেই আমাদের মতো দরিদ্র দেশের নাগরিকরা অন্ততঃ আধপেটা খেয়ে বাঁচতে পারছি। সূদের হার যতো উচ্চই হোক, অন্ততঃ বেঁচে থাকার কৃতজ্ঞতায় তাদের প্রতি আমাদের আনত থাকতেই হবে।
যে প্রান্তিক গোষ্ঠী ঋন পাচ্ছিলোনা নিশ্চয়তার শর্ত পূরনের অভাবে, ইউনূস তার গ্রামীন ব্যাংক থেকে সেই গোষ্ঠিকে অন্ততঃ ঋনতো দিচ্ছেন। ঋনের বিনিময়ে সুদ( সুদের হার উচ্চ কিংবা নিম্ন যাই হোক) শেষপর্যন্ত একটি ব্যবসাই এর মধ্যে কোন আদর্শিক, মানবিক বিষয় নেই- এরকম সিদ্ধান্তের বাইরে ইউনূস সাহেব সম্পর্কে আর কিছু সম্পূরনের সুযোগ আছে?
থাকলে একটু সরল ভাবে আমাকে বুঝালে কৃতার্থ হই।
আর রাজনীতি নিয়ে তার খায়েশের কথা নাই বলি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে উড়ে এসে জুড়া বসার দিন নাই সেটা বোধ করি বিগত দিনে প্রমানিত। যোগীকে যদি গাঁয়ের লোক না চিনে- গবেট গ্রামবাসীকে গালি দেয়া যায়, কিন্তু জোর করে কি আর যোগী চেনানো যায়?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আচ্ছা, আরেকটা সম্পূরক জিজ্ঞাসা- যে বিপুল অর্থ তিনি ঋন প্রদান করেন, তার উৎস কি? তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ হলে কোন কথা নাই, কিন্তু যদি অন্য কোন উৎস থেকে নিয়ে আসেন তাহলে কোন সে উৎস, কোন শর্তে তিনি আনেন, ঋন হিসেবে আনলে কত পার্সেন্ট সূদ দেন?
তার দেয়া সূদ এবং তার প্রাপ্য সূদের পার্থক্যটা কি কেউ জানেন?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ধন্যবাদ হাসান মোরশেদ ভাই।
আপনার কিছু প্রশ্নের জবাব হয়তো কিছুকাল আগে করা এই পোস্টের টেক্সট ও মন্তব্যগুলো থেকে পেতে পারেন।
আর আপনি ঋণ প্রদানের উৎস জানতে চেয়েছেন। আমার জানামতে গত জুন ২০০৯ মাস পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকে বিভিন্ন স্তরের আমানতকারীদের আমানত জমা রয়েছে সাত হাজার কোটি টাকারও উপর। অন্যদিকে আদায়যোগ্য ঋণের ব্যালেন্স হচ্ছে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অতিরিক্ত দুই হাজার কোটি টাকা এখনো বিনিয়োগের অপেক্ষায় আছে।
এবার প্রয়োজন মনে করলে কিছু দরকারি তথ্য দেই, যা জানা থাকলে আমাদের যুক্তিবোধ ব্যবহার করতে আরেকটু সুবিধা হবে :
# গ্রামীণ ব্যাংক কোন এন জি ও নয়। ১৯৮৩ সালের সংসদীয় অধ্যাদেশ বলে এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাধীন একটা বিশেষায়িত বা স্প্যাশালাইজড ব্যাংক।
# জানামতে গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশে ব্যাংকগুলো মধ্যে আমানতের উপর সবচেয়ে বেশি সুদ প্রদান করে থাকে। সেভিংস একাউন্টে রেট অব ইন্টারেস্ট শতকরা ৮.৫০ টাকা হারে। সাত বছরে দ্বিগুন মেয়াদী সহ বিভিন্ন ধরনের মেয়াদী আমানত রয়েছে যার রেটও অন্য ব্যাংক থেকে বেশি, আর কোন শুভঙ্করের ফাঁকিও নেই । এখানে কেবল ব্যাংকের সদস্যদের জিপিএস অর্থাৎ গ্রামীণ পেনশন স্বীম হিসাবেই জমার পরিমাণ রয়েছে জুন ০৯ পর্যন্ত ২৫০০ কোটি টাকার উপরে।
# আমার জানামতে বাংলাদেশে একমাত্র গ্রামীণ ব্যাংকই ঋণের উপর ডিক্লাইনিং রেটে সুদ চার্জ করে থাকে। বাদবাকি সবাই সুদ চার্জ করে ফ্ল্যাট রেটে। অর্থনীতির ছাত্র না হলেও আমার সামান্য অর্থনৈতিক জ্ঞান দিয়ে যা বুঝি তা হচ্ছে, গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার হচ্ছে ২০% সরল সুদ। অর্থাৎ ডিক্লাইনিং রেটে ১০০০ টাকার এক বছরে সুদ চার্জ হবে ১০০ টাকা। (খুব খিয়াল করেন) যদি তা ফ্লাট রেটে হতো তাহলে এই পরিমাণটা হতো ২০০ টাকা। যা অন্যান্য ব্যাংক ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো করে থাকে। ফ্লাট রেটের মাহাত্ম্য এখানেই শেষ নয়। মূল ঋণের উপর সুদচার্জ হয় বলে বছরের যে কোন সময় ঋণ পরিশোধ করলেও, হতে পারে তা দুমাস পরেও, ওই ২০০টাকাই পরিশোধ করতে হবে, যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো করে থাকে। অথচ ড. ইউনূসকে সবাই সুদখোর বলে। আমার প্রশ্ন, কারা বলে, কেন বলে ?
# আমার আরো কিছু নীতিগত প্রশ্ন নিয়েই মূলত উপরের লিঙ্কড পোস্টটা করেছিলাম। আপনি ইচ্ছে করলে আমার তথ্যগুলোর শুদ্ধশুদ্ধি সরেজমিন যাচাই করে চাইলে উত্তর দিতে পারেন, নাও পারেন। তবে নির্মোহ দৃষ্টিতে ভাবতে সম্ভবত কোন বাধা নেই।
# ঋণ নিয়ে সঠিক ব্যবহারের অভাবে কেউ ফতুর হয়ে যেতে পারে কিংবা এই পুঁজি থেকে আয়-উন্নতি করতে পারে, সেটা ব্যবহারিক প্রশ্ন। যেকোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির জন্য তা সমভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু নীতিগত বিষয়গুলো নিশ্চয়ই হেলাফেলা করার উপায় নেই।
এখন আপনারা বিবেচনা করুন, ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে বাস্তবতা আর রাজনৈতিক ভুরুঙ্গিবাজীর মধ্যে পার্থক্যটা কোথায় এবং কেন ? আমি আবারো আশা করবো উপরোক্ত আমার পূর্ববর্তী পোস্টের প্রশ্নগুলো একটু খেয়াল করে পড়ে অন্তত নিজের ও জাতির প্রয়োজনেই ভাবুন।
অর্থনীতির ছাত্র না বলেই হয়তো আমি এ বিষয়গুলোর জটিল পঙ্কে না ডুবে সহজ-দৃষ্টিতে দেখতে পছন্দ করি। বলতে পারেন মূর্খ-চিন্তা। বেসিক্যালি আমি কোন তাত্ত্বিক মানুষ নই বলে এই মূর্খ-চিন্তা থেকে খুব সহসা একটু ভিন্ন আঙ্গিকে আরেকটা পোস্ট দেয়ার কথা ভাবছি।
ভালো থাকবেন। সবার মধ্যে বিভিন্নমুখী প্রশ্নের জন্ম হোক, এটাই চাই আমি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদা,
আপনি কি নিশ্চিত যে গ্রামীন ডিক্লাইনিং রেটে সূদগ্রহন করে?
কারণ একবার কোথাও একটা হিসেব পড়েছিলাম এরকম যে গ্রামীণের ২০% সূদ নাকি শুরুতেই আরোপ হয়, তারপর সারাবছর সপ্তায় সপ্তায় তা কেটে নেয়া হয় ... যে হিসাবটা দেখেছিলাম সেখানে বলা হয়েছিলো কেউ ৫০০০ টাকা ধারট নিলে ২০% হিসেবে তার সূদ হয় ১২৫০ টাকা ...ঋণগ্রহীতাকে এই সূদাসলের ৬২৫০ টাকা নাকি প্রতি সপ্তায় ১২৫ টাকা করে ৫০ সপ্তায় শোধ করতে হয়, যাতে ক্রুড গড়ে ঋণগ্রহীতা আসলে ২৫০০ টাকা-বছর ঋণের উপর ১২৫০টাকা-বছর সূদ গুণছে, মানে সূদের হার হয়ে যাচ্ছে ৫০% ... এটা কলি আসলেই সত্য ... সত্য না হলে এসব রিউমারের প্রতিবাদও গ্রামীণের করা উচিত
বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাংক কি ফ্ল্যাট রেটে ঋণ দেয়? তাইলে তো ১০% সূদে দিলে সেই সূদটা টাকার পরিমাণে গ্রামীণের ডিক্লাইনিং রেটে ২০%এ দেয় সূদকে ছাড়িয়ে যাবে!!!! বেচারা গ্রামীণকে এত দোষ দেবার কারণ তো আরেকটাও গেল!!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বাদশা ভাই, আপনাকে অন্তত এটা নিশ্চিত করছি যে গ্রামীণের সুদের হার ডিক্লাইনিং রেটে ২০% ই। তবে তা আদায়ের ক্ষেত্রে সম্ভবত ঋণের কিস্তির সাথে প্রতি হাজারে ২টাকা করে সুদের কিস্তি বাবদ ৫০ কিস্তিতে আদায় করতে থাকে এবং শেষ কিস্তিতে এসে প্রকৃত ইন্টারেস্ট চার্জ করে আদায়ের চেয়ে কম বা বেশি হলে তা আদায় বা সমন্বয় করে নেয়।
এই আদায়ের আরেকটা দিক আছে। এই ঋণ অর্ধেক পরিশোধ হলে কেউ যদি পুণরায় রায় ঋণ নিতে আগ্রহী থাকে যা তাদের ঋণচুক্তিতে উল্লেখ থাকে তাহলে হাজারে ৩টাকা করে সুদের কিস্তি ২৫ সপ্তাহ দেয়ার পর ডিক্লাইনিং রেটে চার্জের পর অতিরিক্ত বা বকেয়া সুদ আদায় বা সমন্বয় করে নেয়া হয় এবং নতুন করে ঋণের যাত্রা শুরু হয়। খেয়াল করেন, ৩ টাকা করে ২৫ কিস্তিতে ৭৫ টাকা আদায় হয়, এবং ডিক্লাইনিং ২০% রেটে ছ'মাসের ইন্টারেস্ট কিন্তু ৭৫ টাকা বা এক-দুটাকা কম-বেশি হয়, যদি কোন সরকারি ছুটির কারণে কিস্তি ২৫টা গেলেও সময়কাল ২৫ সপ্তাহের বেশিই হয়। এত স্বচ্ছ একটা পদ্ধতিকে কেন যে অন্যেরা ধোয়াটে করে দুর্নাম ছড়ায়, তা আমার মাথায় আসে না। যা মাথায় আসে তা ভাবতেই লজ্জাবোধ হয়।
যারা আপনাকে এই ধারণা দিয়েছে যে ৫০০০ টাকার সুদ ১২৫০ টাক, তা হয় না জেনে কিংবা দুরভিসন্ধিমূলক জেনেশুনেই অসত্য তথ্য দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গ্রামীণের রেটে ৫০০০টাকার বছরে সুদ আসে ৫০০ টাকা বা ৫/১০ টাকা কম-বেশি হয় সময় ফ্যাক্টরের জন্য। যেকোন ঋণগ্রহীতার পাশ বই চেক করলেই এর সত্যতা স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমি সরেজমিন জেনেশুনেই আপনাকে এ তথ্য দিচ্ছি।
অর্থনীতির জটিল তত্ত্ব হয়তো বুঝি না, কিন্তু ব্যবহারিক বাস্তবতার সত্যাসত্য যাচাই করার বোধটুকু এখনো ভোতা হয়ে যায়নি বাদশা ভাই। চিলে কান নিলো রে বলে চিলের পেছনে দৌড়ার দিনগুলোকে ছেটে দেয়ার সময় বোধয় এখনি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমি অর্থনীতিবিদ না হলেও ঠেকায় পড়ে দু'একটা জিনিস শিখতে হয়েছে। তার মধ্যে একটা হলো স্কেল ইকোনমি। কোন দেশের বিপুল দরিদ্র জনগোষ্ঠি ক্ষুদে পুঁজিপতি হয়ে যা উৎপাদন করবে তাতে দেশের দারিদ্র বিমোচন হওয়া সম্ভব নয়। এর চেয়ে দরিদ্রদের শক্তি সংঘবদ্ধ করে বড় উৎপাদন ইউনিট তৈরী করলে লাভ হতো। সেদিকে ইউনুসের নজর নেই। তিনি আসলে দরিদ্র দেশে সমাজতন্ত্র রোধ করে অকার্যকর পুঁজিবাদ অক্ষুণ্ণ রাখার পয়গম্বর মাত্র।
গ্রামীন ব্যাংকের সর্বোচ্চ সুদের হার সরল ২০% , এ কথা আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম।
গ্রামীন বাংক এন,জি,ও নয়, একটা ব্যাংক, দাবি করেছেন। কিন্তু সব ব্যাংকের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম হলো ৬৫ বছর হলে এম, ডি অবসরে যাবেন। ইউনুস সাহেব মনে হচ্ছে আজীবনের এম, ডি, (বিল গেটসও নিজের কোম্পানী ছেড়ে দিয়েছেন খুবই অল্প বয়সে)। শুরু থেকেই (প্রকল্পাবস্থা) এই প্রতিষ্ঠান এন, জি, ও,রও অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে আসছে। গ্রামীন ফোনের লাইসেন্স পেয়েই ইউনুস সাহেব তা এমন এক দেশের টেলিকম কোম্পানীকে দান করেছেন যা নোবেল পুরস্কারের সাথে জড়িত। সত্যি দূরদর্শী লোক।
যে-সুদে গ্রামীন ঋণ লাভ করে আরে যে-সুদে ঋণ দেয় , সেই পার্থক্য আসলে কত এবং তা কোথায় যায় সেই প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তর এখানে নেই। 'আমার জানামতে' বলে কিছু সংখ্যা দিয়েছেন, উৎস দিন। পোস্টাপিসে কত সুদ দেয় তা-ও উল্লেখ করুন। ইউনুসের ভাই, এবং তার সাহায্যে এখন এন,জি, ও, ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম আমাকে একবার বলেছিলেন যে অতিরিক্ত সুদের অনেকখানি নাকি কি ধরনের (স্বাস্থ্য ?) বীমাতে ব্যয় হয়, তবে খোলাসা করে বলেন নি। এই বীমা বাধ্যতামূলক করা কি আইনসংগত? আমরা ভুলে যাই নি ইঊনুস সাহেব একবার গ্রামীন ঋণ গ্রহীতা কিভাবে পরস্পরকে হাত তুলে সম্ভাষণ করবে তার বয় স্কাউটসুলভ পদ্ধতিও বাতলে দিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে কি মনে করেন, তিনিই ভালো জানেন।
ক্ষুদ্র পুঁজি দিয়ে ব্যক্তি তার দারিদ্র্য দূর করার চেষ্টা করে যেতে পারে। সংঘবদ্ধ করে কিছু একটা করা তো রাষ্ট্রের দায়িত্ব। খুব সহজে যে কথাটা বলে ফেললেন, আমাদের সরকার বহু চেষ্টা করেও তা পারছে না কেন, সেটা কি একবার ভেবে দেখেছি ? আর সমাজতন্ত্রের যে আইডিয়া দিলেন, তাতে মনে হয় দুর্ভিক্ষপ্রবণ দেশগুলোতেই আগে সমাজতন্ত্র কায়েম হয়ে যাওয়ার কথা ! আসলে কি তাই ? যদি রসিকতাও করে থাকেন, তা বড় নির্দয় রসিকতা হয়ে গেলো।
এই দুর্ভাগ্য কি আপনার, না আমার, ঠিক বুঝতে পারছি না। যদি আপনি দেশে থাকেন, তাহলে আপনার আশে পাশে যেকোন একজন ঋণগ্রহিতার ঋণের পাশবইটা হাতে নিলেই সুরাহা হয়ে যেতো। আর বিদেশে থাকলেও একটু কষ্ট করে পরিচিত কাউকে দিয়ে কাজটা করিয়ে নিতে পারেন হয়তো।
আমি দাবি করবো কেন ! যা বাস্তব তা-ই তো বললাম। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তাদের স্পেশালাইজড ব্যাংকের একটা তালিকা নিলেই তো পরিষ্কার হয়ে যায় ! বেশ কিছুকাল আগে সম্ভবত বাংলাদেশ ব্যাংকের পঁচিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের দৈনিকগুলোর গোটা এক পৃষ্টা জুড়ে বিজ্ঞাপনটিতেও তফসিলি ব্যাংক, প্রাইভেট ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক এরকম একটা তালিকা ছেপেছিলো। তখন স্পেশালাইজড ব্যাংকের সংখ্যা ছিলো নয়টি। আর সরকারের অনুমোদনক্রমেই যদি বোর্ড অব ডিরেক্টররা তাঁকেই প্রতিষ্ঠাতা এমডি হিসেবে আজীবনের দায়িত্বে রেখে দেয় তাতে সমস্যা কোথায় ! ওই বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ তিনজন বোর্ড সদস্য তো সরকারেরই নিয়োগ দেয়া। আর এই প্রতিষ্ঠানের লাভালাভের সুফল তো সরকার এবং সত্তর লক্ষ গরীব সদস্যরাই ভোগ করে, ড. ইউনূস নয়।
আর এনজিও'রও অতিরিক্ত সুবিধা কী পেয়ে থাকে সেটা যদি খোলাশা করতেন আমার জানাটা আরেকটু সমৃদ্ধ হতো। তবে আপনার কথা অনুযায়ী যদি গ্রামীণ ব্যাংক সুবিধা পেয়েও থাকে তাতে ব্যক্তি ড. ইউনূসের লাভ-ক্ষতিটা কোথায় তা একটু বলবেন কি ?
ইশ্ ! সরকারের এতো দলিয় ব্যবসায়ী মন্ত্রী এমপিদের কাঁচকলা দেখিয়ে ড.ইউনূস লাইসেন্স পেয়ে গেলেন এবং তা আবার মুক্তহস্তে দান করে দিলেন এক দেশের টেলিকম কোম্পানীকে ! নোবেল পুরস্কার পাওয়ার এত্তো সহজ একটা রাস্তার খোঁজ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও পেলো না ! তাহলে তো ভাই ড. ইউনূসের চাইতে নোবেলের জন্য যোগ্য কাউকে আর দেখছি না দেশে। কী আর করা, বাঘ নাই বনে শিয়ালই তো রাজা হবে !
আপনার এই অতিকাল্পনিক সিস্টেম সম্পর্কে আমি আসলেই অজ্ঞ। এ ব্যাপারে এসব বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা যদি এই লাইসেন্স পাওয়া এবং তা ইচ্ছেখুশি দান করার প্রক্রিয়াটা ব্যাখ্যা করতেন, অত্যন্ত উপকৃত হতাম।
সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার যোগ্যতা বা ক্ষমতা কি সবার থাকে ? কিছু তথ্য দিয়েছি কেবল। যারা অংক একটু ভালো পারেন, তারা যদি হিসাবটা কষে দেখিয়ে দিতেন, খুবই ভালো হতো।
তথ্যের উৎস হিসেবে আপাতত এখানে যাচাই করে নিতে পারেন। আর পোস্টাপিস কি কোন অর্থলগ্নিকরী প্রতিষ্ঠান ? তারপরও পোস্টাপিসের তথ্য বিষয়ে অজ্ঞ আমাকে আপনিই যদি কিছু তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন কৃতজ্হ হবো।
আপনি কী শুনেছেন আমি মোটেও নিশ্চিত নই। তবে ধারণা অনুয়ায়ী আপনি যা শুনছেন বলে দাবী করছেন, তার সঠিক তথ্য দিচ্ছি আমি।
ওটার নাম ঋণবীমা সঞ্চয়। আগ্রহী ঋণগ্রহিতা তাঁর ঋণের পরিমাণের ১.৫% সঞ্চয় জমা করে নিজের নামে এই হিসাবটি খুলেন। ধরেন ঋণ ১০০০ টাকা হলে ঋণবীমা হবে ১৫ টাকা। এই সঞ্চয়ের টাকা ব্যাংক নিয়ে যায় না। কেবল শর্ত সময়ের মধ্যে এই সঞ্চয়ের টাকার উপর কোন সুদ প্রাপ্য হবেন না। এই বীমার সুবিধা হলো ঋণপরিশোধের পর এই টাকা তিনি উঠিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু ঋণ থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হলে যত টাকাই তাঁর কাছে ব্যাংক ঋণ হিসাবে প্রাপ্য থাকুক সব মাফ হয়ে যায়। মৃতের উত্তরাধিকারীকে এই টাকা পরিশোধ করতে হয় না। অর্থাৎ ব্যাংক ঋণের এই টাকা নিজে থেকে ক্রেডিট করে নেয়। এটা হচ্ছে প্রকৃত তথ্য। অতিরিক্ত সুদ বা এ ধরনের কিছুর কোন অস্তিত্ব কারো কারো কাল্পনিক জগতে থাকলেও বাস্তবে গ্রামীণ ব্যাংকে তা নেই।
আপনি সম্ভবত পারস্পরিক সালাম বিনিময়ের খুব রুচিসম্মত ও স্পষ্ট উপায়টির কথা বলছেন। আচ্ছা আপনিই বলুন তো, আপনাকে আমি সালাম দিলাম না কি হাত উঠিয়ে কপালের কিনার চুলকালাম আপনি বুঝলেন না, তা কতোটা সম্মানজনক হলো ? দুজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী জোড়হাত বুকে ঠেকিয়ে নমস্কারের ভঙ্গিমায় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, তাতে কি আপত্তিকর কিছু মনে হয় আপনার কাছে ? কিংবা দুজন মুসলিম হাত তুলে সালাম বিনিময় করলে তা কি দেখতে খুব অরুচিকর মনে হয় ? এখানে মুখেও শব্দ করে সালাম বলতে হয়। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও নিশ্চয় এমন কোন পদ্ধতি রয়েছে। আর্মিদের ক্ষেত্রে এমন বিধান করা যায় না, কেউ কপালে হাত ঠেকিয়ে সালাম দেবে, কেউ হাতজোড় করে নমস্কার দেবে, কেউ অন্যকোন ধর্মীয় উপায়ে সালাম দেবে আনুষ্ঠানিক ? আর বয়স্কাউটসুলভ ধর্মনিরপেক্ষ পদ্ধতিটা নিশ্চয়ই আপনার কাছে খুব আপত্তিকর মনে হচ্ছে ! যে যেই ধর্মাবলম্বীই হই না কেন, কপালে আঙুল ছুঁয়ে শব্দহীন সালাম বিনিময় যদি খুব বেশি আপত্তিকর পদ্ধতি হিসেবে আপনার কাছে অনুমিত হয়, সেটা ড. ইউনূসের দুর্ভাগ্য বৈ কি ! তিনি হয়তো ভালো কিছু শেখাতে গিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতার পদ্ধতি অবলম্বন করে ফেলেছিলেন, আপনার দৃষ্টিতে যা সঠিক মনে হয় নি, এটা একান্তই আপনার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি হয়তোবা। কিন্তু আর কারো কাছে তা আপত্তিকর মনে হয়েছে এরকম কোন তথ্য আমার জানা নেই।
আপনার এই শেষ হাইপোথিটিক্যাল মন্তব্যটা এখনো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধাঁ ধাঁ হয়তো যে, আমরা প্রত্যেকেই নিজকে কে যে কী মনে করি। এটা একটা দার্শনিক সূত্রও বটে ! এ ব্যাপারে দর্শনশাস্ত্রের ছাত্র বা অভিজ্ঞরাই ভালো বলতে পারবেন।
সবশেষে আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মন্তব্যের জন্য। হয়তো এ প্রেক্ষিতে চিন্তা করার মতো আরো কিছু বিষয় আপনি আমাদেরকে ধরিয়ে দিলেন।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ঋণবীমা সঞ্চয়ের তথ্যের কিঞ্চিৎ সংশোধনী দিচ্ছি। ওখানে ১.৫% না হয়ে হবে ৩%। তাতে ১০০০ টাকার জন্য ঋণবীমা সঞ্চয় করতে হয় ৩০ টাকা।
অনবধানজনিত ভুলের জন্য দুঃখিত। বাকি তথ্যগুলো নির্ভুল।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
স্কেল ইকনমির ব্যপারকে একটা বাঁধা হিসাবে ধরতে কোন আপত্তি নেই। তবে কয়েকটি বিষয় এখানে যোগ করতে চাই। আর সমাজতন্ত্র রোধের ব্যপারটাও কিন্তু কিছুটা স্ববিরোধী।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বাদশা ভাইকে ধন্যবাদ।
তবে মন্তব্য চলে আসায় কিছু সংশোধন মূল মন্তব্যে দিতে না পেরে এখানে দিচ্ছি-
ইনক্রিসিং স্কেলের= ইনক্রিসিং রিটার্নের / বা রিটার্ন টু স্কেলের
ডিক্রিসিং স্কেলের= ডিক্রিসিং রিটার্নের / বা রিটার্ন টু স্কেলের
কনস্টেন্ট রিটার্নের =কনস্টেন্ট রিটার্নের / বা রিটার্ন টু স্কেলের
সেমি অফটপিক: ডঃ ইউনুসের চিঠিগুলোর বাংলা ভার্সনের কোনো লিংক দিতে পারেন কেউ?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে প্রথম আলো , যুগান্তর , ভোরের কাগজ এদের কারোই ২০০৭ সালের আর্কাইভটি অনলাইনে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
ইত্তেফাকে খবর আছে।
তবে আপনি দ্বিতীয় চিঠির ব্যাপারে যা বলেছেন , দুর্বল স্মরণ শক্তিতে মনে পড়ছে যে প্রবাসীদের জন্য " ডঃইউনূস সমর্থক গোষ্ঠী" তৈরীর, প্রয়োজনে দেশে ফিরে আসার আহ্বান ইত্যাদি ছিল।
- ইউনুস সাহেবের হাসি দেখে মনে হচ্ছে তাঁকে কেউ খেজুর গাছের উপরে বসিয়ে দিয়ে বলছে, "এবার একটু হাসো তো বাবু!"
তবে ভদ্রলোক যখন হাসেন, তখন আয়নায় দেখি, আমার নিজের হাসি অনেক সুন্দর লাগে। যদিও যারা আমার হাসি দেখে তারা সবাই বলে, "একটা আফ্রিকান বান্দরের হাসিও তোর চাইতে অনেক সুন্দর হয়!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো দা কি এই হাসির কথা বোঝাইলেন?
নতুন মন্তব্য করুন