। আমি কি প্রতারিত ! গ্রামীণ ফোন কী বলে ?

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: সোম, ১৪/০৯/২০০৯ - ১১:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

.
এ পোস্ট যে কোন প্রশস্তিমূলক নয়, তা শিরোনামেই স্পষ্ট। কিন্তু এটা নিন্দাসূচক পোস্টও নয়। দেশের বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোনের অদ্ভুত আচরণ বা সম্ভাব্য অভিসন্ধিমূলক কৌশলে ইন্টারনেট গ্রাহক বা ব্যবহারকারী হিসেবে নিজেকে যে প্রতারিত বোধ করছি, তা কতোটা যৌক্তিক, এই ভাবনাটা শেয়ার করাই এই পোস্টের উদ্দেশ্য। আমি ঠিক জানি না, অন্যদের এ অভিজ্ঞতা হয়েছে কি না।

গ্রামীণ ফোনের পেন-ড্রাইভ স্টাইলের এজ মডেম সমৃদ্ধ ’আলো আসবেই’ নামের প্লাগ এন্ড প্লে সুবিধার প্যাকেজটা বাজারে আসার আগে আমি অন্য একটা অপারেটরের ডায়াল-আপ স্যাটেলাইট কানেকশান ব্যবহার করতাম। গ্রামীণ ফোনের এই চাহিদাসম্পন্ন ও জনপ্রিয় হয়ে ওঠা প্যাকেজটা মনে ধরায় আমি কয়েকবার ধরনা দিয়ে অবশেষে সেসময় চারহাজার চারশ’ টাকার বিনিময়ে প্রিপেইড ইন্টারনেট সীমসহ এই মডেম দিয়ে প্রিপেইডে তাদের পি-টু (P2) প্যাকেজ অর্থাৎ আনলিমিটেড একসেস ব্যবহার করে আসছি। ব্যক্তি ব্যবহারকারী হিসেবে ইন্টারনেটে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি আর ব্লগিং-এর জন্য ভ্যাটসহ মাসে নির্ধারিত ৯৭৭.৫০ টাকার অগ্রীম রিচার্জ দিয়ে আনলিমিটেড একসেস ব্যবহারের আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কি না, সেটা ভিন্ন বিষয়। চাকুরিগত কারণে অফিস ডে’তে দিনে তা ব্যবহারের খুব একটা সুযোগ হয় না। অফিস-এন্ডে রাতে বাসায় কয়েক ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে এই ব্যয়বহুল প্যাকেজের খুব একটা প্রয়োজন না থাকলেও ব্যক্তিগত পছন্দ এবং কখনো যদি বেশি ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে বিবেচনায় আমি পি-টু (P2) কানেকশানেই আগ্রহী ছিলাম এবং আছিও।

গত আগস্ট ২০০৯ মাস থেকে গ্রামীণ ফোন প্রিপেইড সিস্টেমে নতুন করে কোন পি-টু (P2) সংযোগ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তবে পুরনো কানেকশানগুলো এই শর্তে বহাল থাকে যে, তিরিশ দিনের প্যাকেজ-পূর্ণের ডেট-ওভার হবার আগেই রিচার্জের মাধ্যমে নির্ধারিত অগ্রিম বিল পরিশোধ না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পি-টু (P2) কানেকশান কেটে যাবে এবং পুনঃ রিচার্জ করে পছন্দানুযায়ী হয়তো ‘নো ইউজ নো পে’ সিস্টেমের আওতায় ০.০২ টাকা প্রতি কিলোবাইট ব্যবহার মূল্যের পি-ওয়ান (P1) প্যাকেজ, কিংবা প্রতি ৩ গিগাবাইট ৮৫০ টাকার মান্থ-লিমিট প্যাকেজ পি-ফাইভ (P5) বা প্রতি ১ গিগাবাইট ৩৪৫ টাকার মান্থ-লিমিট প্যাকেজ পি-সিক্স (P6) বা অন্য যে কোন সুবিধা গ্রহণ করা গেলেও পি-টু (P2) সুবিধা আর ফিরে পাওয়া যাবে না।

প্রিপেইডে আমার আনলিমিটেড একসেস পি-টু (P2) কানেকশান টিকিয়ে রাখার সুবিধার্থে নির্ধারিত নির্ধারিত ৩০ দিনের টাইম ফ্রেমের মধ্যে আগেভাগেই আমি এযাবৎ ১০০০ টাকা করে ফ্লেক্সিলোডের মাধ্যমে রিচার্জ করে নির্ধারিত সময়ের আগেই আমার কানেকশানটি চালু রাখার প্রয়োজনীয় কাজটি করে আসছি। এতে এই অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত কিছু ব্যালেন্সও প্রতিমাসেই যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু সর্বশেষ এই ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ অর্থাৎ গতকাল পর্যন্ত আমার প্রচেষ্টা, উদ্যোগ, আন্তরিকতা ও আগ্রহে কোন ঘাটতি না থাকলেও যে পদ্ধতিতে আমার পি-টু (P2) কানেকশানটি আন-একসেস করা হয়েছে, এর কোন যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা ও প্রতিকার না পেয়ে এটাকে আমি গ্রামীণ ফোনের অযৌক্তিক ও গ্রাহক-প্রতারণামূলক কাজ হিসেবেই বিবেচনা করছি।

গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সকাল সাড়ে দশটার কাছাকাছি কোন এক সময়ে একটা ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকে নিয়মিত প্রতিমাসের মতোই যথানিয়মে ১০০০ টাকার ফ্লেক্সি করাই আমার ইন্টারনেট সীম নম্বরের অ্যাকাউন্টে। রাতে বাসায় ফিরে কম্পিউটারে প্লাগ-এন্ড-প্লে মডেম সংযুক্ত করলাম, কিন্তু অন্যান্যবারের মতো এবার আর কোন ক্রিং করে ইনকামিং ম্যাসেজ এলার্ট টোন পেলাম না। যথারীতি ওটার ইনবক্স ম্যাসেজে ঢুকলাম, কোন আপ-ডেট ম্যাসেজ নেই। তবে কি যথাস্থানে ফ্লেক্সি হয় নি ! আমি কোন টেকি মানুষ নই। কম্পিউটার প্রযুক্তি বা গণক-যন্ত্রের কলকব্জা ও এর জটিল সব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমার ধারণা শূন্যের কোঠায়। তবে অভিজ্ঞতা দিয়ে যেটুকু জেনেছি, কোথাও থেকে মোবাইল সীম নম্বরে ফ্লেক্সিলোড করা হলে সংশ্লিষ্ট সীমের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হওয়ার একটা মেসেজ চলে যায়, মোবাইল ফোনগুলোতে যা আমরা সচরাচর দেখে থাকি। [Name:
Number: FlexiLoad
Content:
Your account has been refilled successfully by TK1000.0.Your Transaction ID is BD2081217280172.Please pay to Retailer.
Time: 12/08/2009 17:28:14]

এ যাবৎ তাই হয়ে আসছে। ইন্টারনেট সীমের ক্ষেত্রে এই ম্যাসেজের মাধ্যমে রিচার্জ নিশ্চিত হওয়া গেলে তাদের দেয়া নম্বর ৫০০০-এ একটি মেসেজ প্রেরণের মাধ্যমে চলতি প্যাকেজ বহাল রাখা বা প্যাকেজ পরিবর্তনের পছন্দ জানিয়ে দেয়ার পরই তারা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এই প্রথম এর অন্যথা হলো। মেসেজ না পেয়ে ভাবলাম নিশ্চয়ই ওই ফ্লেক্সি দোকানদার ফ্লেক্সিটা করে নি বা ভুল নম্বরে টাকা পাঠিয়েছে। রাত তিনটা পর্যন্ত বারবার মেসেজ চেক করে গেলাম, কোন আপ-ডেট মেসেজই পেলাম না। আরো আশ্চর্যের বিষয়, প্যাকেজ টাইম ওভার হবার কমপক্ষে চব্বিশ ঘণ্টা আগেই প্রতিমাসে যে সতর্কবার্তাটা নিয়মিত এসে বসে থাকতো-

Name:
Number: 5000
Content:
Your EDGE P2 will expire on 2009/08/15. To continue EDGE P2 please keep Tk.977.50 (including 15% VAT). To unsubscribe, send OFF to 5000 before 2009/08/15.
Time: 13/08/2009 09:54:13
এ ধরনের কোন মেসেজও পেলাম না। ভাবলাম হযতো এখনো সময় হাতে আছে। যাক্ কী আর করা, ওই ফ্লেক্সিদোকানদারকে ধরতে হলে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে !

সকালে অফিস-পথে ওই ফ্লেক্সি দোকানে হামলে পড়লাম। খাতাপত্র দেখে লোকটা আমাকে নিশ্চিত করলো যে ফ্লেক্সি যথাসময়েই করা হয়েছে। কিন্তু এতে আমার অবিশ্বাস, তাহলে মেসেজ আসবে না কেনো ! অবশেষে গ্রামীণ ফোনের কাস্টমার কেয়ার ১২১-এ ডায়াল করা হলো। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর লাইন পাওয়া গেলো। ওপাশ থেকেও নিশ্চিত করা হলো যে, টাকাটা গতকাল সকালেই জমা হয়েছে। তাহলে মেসেজ পেলাম না কেন ? দুঃখ দুঃখ স্বরে জানানো হলো, ওগুলো আসলে কম্পিউটারের অটোমেশন সিস্টেমেই হয়ে থাকে, তাই কেন হলো না এটা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, তবে সাধারণত এমনটা হয় না। তবে আমার টাকাটা জমা হবার বিষয়টা আবারো নিশ্চিত করা হলো। বেশ, আমি অনুরোধ করলাম আমার প্যাকেজটা চালু রাখার ব্যবস্থা করার জন্য। একটু সময় চেয়ে ফোনটা কিছু সময়ের জন্য নীরব রইলো।

অতঃপর ওপাশ থেকে অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করে আমাকে জানানো হলো যে, আমার পি-টু (P2) কানেকশানটা ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সময় ১.৩৪ এএম থেকে অলরেডি স্থানান্তর হয়ে পি-ওয়ান (P1) কানেকশানে চলছে। শুনে আমি আকাশ থেকে পড়লাম ! আমি তো এর বহু আগে সেই সকালেই ফ্লেক্সি করেছি এবং কোন মেসেজ না পেয়ে বিভ্রান্ত আমার এটা তো এর আগে অভিজ্ঞতায় ছিলো না যে, ওই মডেম সীমের ব্যালেন্স জানার জন্য আরেকটা মোবাইল ফোন রাখতে হবে, যা দিয়ে সুনির্দিষ্ট নম্বরে ((*566*10#) ডায়াল করে আপ-ডেট ব্যালেন্স জেনে সে অনুযায়ী ইন্টারনেট সচল রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে ! তাহলে মিনিমাম চব্বিশ ঘণ্টা আগেই যে সতর্কতা মেসেজটা পাঠানো হয়, তা পেলাম না কেন ? আবারো অজ্ঞাত কারণের সপক্ষে দুঃখ প্রকাশ করে আমাকে ওপাশ থেকে অদ্ভুত সান্ত্বনা জানিয়ে এবার পি-ফাইভ (P5) প্যাকেজের সাশ্রয়ী সুবিধা ও গুণাগুণ ইত্যাদি বিস্তারিত জানাতে লাগলেন। তাঁর কথা থামিয়ে আমি বললাম যে, গ্রামীণ ফোনের এই অনৈতিক আচরণে আমি প্রতারিত হওয়ার কষ্ট পেয়েছি। তিনি আমার কষ্টে সহমর্মিতা জানিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পি-ফাইভ (P5) প্যাকেজ অন করে দেয়ার অনুমতি চাইলেন এবং বললেন, পুণরায় একাউন্ট রিচার্জ না করলে অক্টোবর ১৩ তারিখ সকাল ১০.৩৪ টা পর্যন্ত আমি নতুন এই সুবিধা খুব আনন্দের সাথে উপভোগ করতে পারবো। এবং গ্রামীণ ফোনের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে জানতে চাইলেন যে আমার জন্য তিনি আর কি সেবা দিতে পারেন ?

আমি বললাম, আমি আমার পি-টু (P2) প্যাকেজেই থাকতে চাই। ওপাশ থেকে অত্যন্ত মার্জিত ও পেশাদার জবাব এলো, স্যরি স্যার, টাইম ফ্রেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। ওখানে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই !

আমাকে বাধ্য করে এখন যে প্যাকেজে আনা হয়েছে, এর কোন মেসেজও এখন পর্যন্ত ফর্মালি সংশ্লিষ্ট নম্বরে পাঠানো হয় নি। আমি এখনো বুঝতে পারছি না, এতো বড়ো একটা প্রতিষ্ঠান কি তার গ্রাহককে কোন অভিসন্ধিমূলক কৌশলে অনৈতিক প্রতারণা করতে পারে ? এর জবাব আমি কিভাবে পাবো ?
(১৪-০৯-২০০৯)


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এধরনের প্রতারণা এই পশ্চিমেও হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফাইন প্রিন্ট গুলো না পড়ার কারণে। তবে এখানে এসব নিয়ে দৌড় ঝাঁপ করা যায়। গ্রামীণে কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না। সহমর্মিতা জানালাম।

হিমু এর ছবি

গ্রামীণের এই ইন্টারনেট সেবার বিকল্প আর কী কী আছে?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সবজান্তা এর ছবি

কিছুই আসলে হতে পারে না, যতোদিন আমাদের 'বাঙালি' মানসিকতা না বদলায়।

মানুষ মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে মূলত দুইটা কারণে-

১) ল্যান্ড লাইন দিয়ে ডায়াল করার ঝামেলা পোহাতে হয় না, এবং ব্র(ফ্র)ডব্যান্ডের তার টানার ঝামেলা করতে হয় না। একই সাথে ঘন ঘন তার কাটার ঝামেলা, হাব পুড়ে যাওয়ার ঝামেলা পোহাতে হয় না।

২) এর মোবাইল ক্যারাক্টারিস্টিক, অর্থাৎ চাইলেই যে কোন জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন।

এখন তারের ইন্টারনেট যারা ব্যবহার করেন, তারা জানেন অধিকাংশ জায়গাতেই সার্ভিসের কী করুণ অবস্থা ! স্পীডও অনেকের বেশ খারাপ ( যদিও ভালো স্পীডের আই এস পি ও অনেক)।

অনেকেই ভেবে থাকেন, ওয়াইম্যাক্স দেশে কোন জাদুর চেরাগ নিয়ে আসবে। তাঁদের জন্য খারাপই লাগে, ওয়াইম্যাক্স যে দেশে কোন বিপ্লবই আনবে না, সেইটা তাঁরা বুঝতে পারলে নিশ্চয়ই দুঃখ পাবেন ! ওয়াইম্যাক্সেও মোডেম থাকবে, এবং গ্রামীন ফোনের মতো কর্তাব্যক্তিরাই চালাবে।

আমি তাই একমাত্র সলিউশন দেখি, আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন।


অলমিতি বিস্তারেণ

স্তব্ধ এর ছবি

সতর্ক ম্যাসেজ না দেয়ার ঘটনা এবার অনেকেরই হয়েছে। মনে হচ্ছে গ্রামীণফোন জোর করে হলেও p2 প্যাকেজ বন্ধ করতে চায়।

নিবিড় এর ছবি

নিজেদের ভুলের জন্য গ্রাহক কে কেন অসুবিধা পোহাতে হবে? এরকম অবস্থায় গ্রাহকদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর কোন ব্যবস্থা থাকা দরকার।


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

এনকিদু এর ছবি

আমারো অবস্থা অনেকটা এরকম । আমিও ভীষণ বিরক্ত । আপাতত গ্রামীনের নেট ব্যবহার করছিনা । বিরক্তি কমলে বা ঠ্যাকায় পড়লে আবার ব্যবহার করতেও পারি ।

--

আমি কোন টেকি মানুষ নই।

এই লাইনটায় খারাপ লাগল, রণদা । এই ব্যপার গুলো কিন্তু প্রযুক্তির সাথে জড়িত না, ব্যবসার সাথে জড়িত । একটা যন্ত্র বিদ্যুতে চল্লেই তার বিপনন, বিক্রয় সব কিছুও যে প্রযুক্তি হয়ে যাবে তা কিন্তু না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রণদীপম বসু এর ছবি

এই যে, আপনি টেকি বলেই এসব বুঝলেন। আর আমি টেকি নই বলেই তাও বুঝতে পারি না।
মনে কষ্ট নেয়ার কিছু নেই এনকিদু, আমি আমার সীমাবদ্ধতাটা প্রকাশ করেছি !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সবজান্তা এর ছবি

একটা বিশালাকৃতির প্রতিষ্ঠানে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অনিয়ম ঘটতেই পারে, এতে আমি খুব বড় কোন সমস্যা দেখি না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গ্রামীনফোনের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে এই অনিয়মের অভিযোগ এখন প্রায় সবারই মুখে মুখে। সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার যেটা, গ্রামীনফোনের সাপোর্ট সেন্টারে ফোন করে কেউ বিশেষ কোন সাহায্য পেয়েছে বলে শুনি নি।।

গ্রামীনফোনের মতো কর্পোরেট জায়ান্ট হয়তো ভাবতেই পারে, এমন দু-চার-দশটা ক্লায়েন্ট চলে গেলে আর আমাদের এমন কি ক্ষতি হবে !

ঠিক, কোন ক্ষতিই হবে না। কিন্তু অপছন্দ, বিরক্তি আর নেগেটিভ ইম্প্রেশন অনেকটা চেইন রিঅ্যাকশনের মতো, একবার শুরু হয়ে গেলে থামানো খুব মুশকিল। চারপাশের গ্রামীন ব্যবহারকারীদের মুখে যেভাবে পাইকারি হারে সমালোচনা শুনতে পাচ্ছি, তাতে গ্রামীন কর্তাদের এই "বেইল দিলাম না" এটিচুড খুব ভালো ফল বয়ে আনবে না।


অলমিতি বিস্তারেণ

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

চারপাশের গ্রামীন ব্যবহারকারীদের মুখে যেভাবে পাইকারি হারে সমালোচনা শুনতে পাচ্ছি, তাতে গ্রামীন কর্তাদের এই "বেইল দিলাম না" এটিচুড খুব ভালো ফল বয়ে আনবে না।

গ্রামীনের বিকল্পটা কে হবে?

অতিথি লেখক এর ছবি

সবজান্তা লিখেছেন:
একটা বিশালাকৃতির প্রতিষ্ঠানে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অনিয়ম ঘটতেই পারে, এতে আমি খুব বড় কোন সমস্যা দেখি না।

কিন্তু আমি সমস্যা দেখি... কারন গ্রামীনের কাছে প্রবলেম টা লাভজনক, কিন্তু ইউজার হিসেবে আমার কাছে প্রবলেম টা অনেক বড়... হঠাৎ করে নেট চলে গেলে কত বড় বিপদে পড়তে হয় সেটা যে না পড়েছে সে কখনো জানে না... হঠাৎ করে দরকারের সময় আপনি কই পাবেন সাইবার ক্যাফে, আর কোন আইএসপি ই বা আপনাকে সাথে সাথে লাইন দিয়ে যাবে?

রণদা'র কথাই ধরেন, উনি যখন গ্রামীনফোনকে জানালেন, তখনতো এটলিস্ট ওদের উচিত ছিল অনিয়মটা ধরে উনাকে উনার লাইন বুঝিয়ে দেয়া... কই, করে তো নাই...

আর গ্রামীন যে ডায়লগ দিতে দিতে মুখে ফেনা উঠিয়ে ফেলল "আপনাকে প্রিয়জনের কাছে রাখতে... ব্লা ব্লা ব্লা..." সেটাও তো একঅর্থে মিথ্যা... বলা উচিত আমাদের ব্যাবসার প্রয়োজনে আপনাকে আপনার প্রিয়জনের কাছে রাখতে চাই চোখ টিপি

টাকা দিয়েও যদি সার্ভিস ঠিকমত না দেয় তাহলে কি করে হয়?

---------------------------------------------------------
ধূসর স্বপ্ন, rupokc147 এট gmail ডট com

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অফ টপিক প্রশ্ন: আপনার লেখার শিরোনামের শুরুতে একটা দাঁড়ি থাকে কেন? চিন্তিত

রণদীপম বসু এর ছবি

হা হা হা ! পিপি দা, আমাদের যে কোন কিছুই শুরু হয় অন্য যে কোন একটা স্থিতাবস্থা থেকে (তা সে চলমান বা স্থির যাই হোক)। যদিও আপনার প্রশ্নের আগ পর্যন্ত কোন যুক্তি মাথায় না এনেই এমনিই করতাম, কিছুটা বৈচিত্র্য আনতে। এখন একটা যুক্তি খাড়া করে ফেললাম আর কি ! হা হা হা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

রণদা,
নতুন করে বলার কিছু নেই। ওরা প্রিপেইড সার্ভিসে p2 সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে। পোস্টপেইড সার্ভিসেও দেবে বলে শুনেছি। গ্রামীনফোনের চাইতে ভাল ইন্টারনেট সেবা আর কেউ এইমূহুর্তে দিচ্ছে বলে জানা নেই। থাকলে সেই পথে আমিও যেতাম, আপনাকেও যেতে বলতাম। আপনার অভিযোগ আরো অনেকেরই। কিন্তু আমরা আসলে নিরুপায়। প্রয়োজন মেটাতে একটি পোস্টপেইড সংযোগ কিনে নিতে পারেন। আমার কাছে একটি সংযোগ আছে, আপনি চাইলে আপনাকে দিতে পারি।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

গ্রামীন ফোন, প্রথম আলো, আর ইফতারে বেগুনি - চোরাদের মনপোলি ... পারলে ঠেকাই, না পারলে কথা বলে লাভ কী .... (জানিয়ে রাখি, আপনার সমস্যায় ভুগছে এমন লোক আমি অন্তত এক ডজন দেখেছি ... দুঃখজনক)


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কেইস করে দেন। এধরণের মামলা হওয়া দরকার
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কেইস করা যাবেনা নজরুল ভাই, পাতা জুইড়া নিয়মকানুনে সই কইরা সিম কেনা লাগছে। আমি পড়ে দেখছি ওতে কি লেখা। ওইটা প্রায় আত্মা বিক্রির দলিল ! মন খারাপ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

বালক [অতিথি] এর ছবি

আসলেই কেইস করা দরকার। আমিও আপনের মতো ভুগছি একবার মন খারাপ

রণদীপম বসু এর ছবি

পোস্টটাকে কিছুতেই ফেসবুকে শেয়ার করতে পারছি না, গ্রামীণের P5 প্যাকেজের বর্তমান নেট-স্পীড দিয়ে।
অথচ P2-তে এই সমস্যাটা ছিলো না।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

বিটিআরএ-কে আপনার এই অভিযোগ জানান।
এরকম অন্য আরো যারা সমস্যায় পড়েছেন তাদের নামের একটা তালিকা করুন। বকুল তলায় একটা সভা করে আহ্বায়ক কমিটি করুন।
তারপর গ্রামীণকে ফোন করে জানান যে আপনারা শাহবাগ মোড়ে গ্রামীণের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটা ধারাবাহিক প্রতিবাদের আয়োজন করতে যাচ্ছেন।
যদি তারা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি থাকে তবেই আপনারা শুধু এ পথ থেকে ফিরে আসবেন। নতুবা আপনাদের এই প্রচারণা চলবে।

তাদের সাথে দর কষাকষি করে বোঝান যে আপনাদের এই প্রচারণার জন্য গ্রামীন ফোন যদি ১০০জন গ্রাহকও সাময়িকভাবে ৬ মাসের জন্যও হারায় তবু তা প্রায় ১০০০০০ টাকার মত। সেক্ষেত্রে আপনার ৫০ হাজারের মত ক্ষতিপূরণ নিতে রাজি। আর তা হচ্ছে আপনাদের সবাইকে একবছর বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবাদান। আপনাকে ৫ বছর।

আপনি লোকটা যে গ্রামীণের পার্মানেন্ট শত্রু না তার প্রমাণ হিসেবে ড. ইউনুসকে নিয়া আপনার লেখা ব্লগপোস্টগুলোর একটা সংযুক্তি সাথে দিয়ে দিয়েন।

-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

তানবীরা এর ছবি

বড়দাদাকে পিওর ঝাঝা। বিজনেস বুঝে বিজনেসে ম্যান দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রণদীপম বসু এর ছবি

@ শোহেইল মতাহির চৌধুরী,

ধন্যবাদ আপনাকে, ব্যবসার একটা তরিকা দেখিয়ে দেয়ার জন্য। বুড়া হইয়া যাইতেছি, এখনো ব্যবসার তরিকাটাই বুঝলাম না ! বুঝছি, আমারে দিয়া কিচ্ছু হবে না ! হা হা হা !

আপনি লোকটা যে গ্রামীণের পার্মানেন্ট শত্রু না তার প্রমাণ হিসেবে ড. ইউনুসকে নিয়া আপনার লেখা ব্লগপোস্টগুলোর একটা সংযুক্তি সাথে দিয়ে দিয়েন।

তার মানে আপনারা যারা সমালোচনা করেন, তাঁরা শত্রু ! এই সমীকরণটাও আজ পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারলাম না। আমার দ্বারা যে আসলেই কিছু হবে না, এটা তার একটা নমুনা বৈ কি !

আমার পূর্ব-ধারণা ছিলো যে, যেটুকু পানি তাকে পানি বলতে হয়, যেটুকু আগুন তাকে আগুন বলতে হয়। আগুন ও পানি বেষ্টিত একই জায়গায় পানির আধিক্য থাকলে কি গোটাটাকে পানিই বলতে হবে ? কে জানে ! এই সমীকরণটা এখনো রপ্ত হয় নি। হয়তো আর হবেও না।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রণদা, শত্রু-মিত্রের ইকুয়েশন সামনের জন্য তোলা থাক। শোহেইল ভাইয়ের কথাটা আসলেও ট্রাই করে দেখতে পারেন। প্রত্যেক কোম্পানীই কাস্টোমার লসের ভয়ে ভীত থাকে। সার্ভিস সেন্টারের লোকজন এইটা না বুঝলেও কর্তারা বুঝবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে প্রস্তাব টা। আমিও ভুক্তভোগী। বাধ্য হয়ে আমাকে ১৭৫০ টাকা দিয়ে নতুন পোস্ট পেইড সিম কিনতে হয়েছে।

লেখক : প্রীতম সাহা

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমারও মনে হয়, এতে কাজ হবে। যারা ঠ্যাক দেয়, তাদের উলটা ঠ্যাক না দিয়ে উপায় নাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আহমেদুর রশীদ [অতিথি] এর ছবি

রণ'দা আপ্নেও? গত ৮ তারিখে আমি ধরা খাইছি। ঐদিন রাইফেলস স্কয়ারের কাস্টমার কেয়ারে লিখিত কমপ্লেইন দিছি। ২৪ ঘন্টা পার হওয়ার পরো কোনো ম্যাসেজ না পেয়ে, ১২১ তে ফোন করছি। অনেকক্ষন পর লাইন পাইছি। বললো ২৪ ঘন্টার মধ্যে মুমকিল আসান হবে। ২৫ ঘন্টা পর আবার ফোন করলাম। একটু গলা চড়িয়ে কথা বলাতে-বললো p5 নিতে। এমন ভাব করলো যেন আমি নেট ব্যবহারের অধিকার হারিয়েছি আর ওরা আমাকে দয়া করে p5 প্যাকেজটা দিচ্ছে। অবশেষে আমার কপালেও p5।

কল্পনা আক্তার এর ছবি

আমার কি হবে গো...............আমিতো একই পথের যাত্রী মন খারাপ

তবে কিছু একটা আমাদের করা উচিত, কেইস অথবা ক্যম্পেইন করা যেতে পারে।
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

কল্পনা আক্তার এর ছবি

আমার কি হবে গো...............আমিতো একই পথের যাত্রী মন খারাপ

তবে কিছু একটা আমাদের করা উচিত, কেইস অথবা ক্যম্পেইন করা যেতে পারে।
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

অতিথি লেখক এর ছবি

কল্পনা আক্তার লিখেছেন:
আমার কি হবে গো...............আমিতো একই পথের যাত্রী মন খারাপ

তবে কিছু একটা আমাদের করা উচিত, কেইস অথবা ক্যম্পেইন করা যেতে পারে।
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

সম্পূর্ণ একমত।।।।

লেখক : প্রীতম সাহা

সজীব [অতিথি] এর ছবি

গ্রাহকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন সার্ভিস বন্ধ করা বা চাপিয়ে দেয়াটা অনৈতিক। গ্রামীণফোন তাদের খেয়ালখুশিমত এসব করে যাচ্ছে, আমরা গ্রাহকরা নিরুপায়।
আমিও prepaid p2 ইউজার, সৌভাগ্যক্রমে আমারটা এখনো বন্ধ হয়নি। রণদার লেখাটা পড়ে এক সহকর্মীর সাথে আলাপ করছিলাম। সে p2 বাদ দিয়ে এখন p6 (৩০০ টাকায় ১ গিগা) ব্যবহার করছে। তার ভাষ্যমতে প্রতিদিন মেইল চেক, ফেসবুক, অন্যান্য সাইট ব্রাউজ করে মাসে অই ১ গিগাও খরচ হয় না। বড় কোন download (৫০০ মেগা বা ১ গিগা) থাকলে অফিস থেকে সেরে নেয়। আমি হিসাব করে দেখলাম, আমিও মাসে ১ গিগার কম ব্যবহার করে ৮৫০ টাকাই দিচ্ছি। গ্রামীণফোনকে বেশি টাকা দিয়ে কি লাভ? p2 যদি auto-unsubscribe হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আমি p6 ব্যবহার করব।

সুমন [অতিথি] এর ছবি

যে বেশি দেয় তার কাছেই বেশি আশা করে এটাই সাভাবিক,গ্রামীনই কাস্টমার কেয়ার কি তা দেখিয়েছে, কেননা এদেশে এখনো টি এন টি বা অন্য অপারেটর ও ব্যবসা করছে, গ্রাহক ও আছে, তাদের প্রাপতি আর প্রত্যাশর ব্যবধান দেখুন‍‌ । প্রাপতিও নেই সমালোচনাও নেই । অ।সলে বিয়ে বাড়িতে যে গলা ডুবিয়ে খায় সেই খাবারের বেশী বদনাম করে। আপনারাও একই, সবচেয়ে বেশী পেয়েও বড় সমালোচক। অনিয়ম হলে জানানো অবশ্যই দরকার,

{"সবজান্তা | সোম, ২০০৯-০৯-১৪ ২৩:৩২
গ্রামীনফোনের সাপোর্ট সেন্টারে ফোন করে কেউ বিশেষ কোন সাহায্য পেয়েছে বলে শুনি নি।
চারপাশের গ্রামীন ব্যবহারকারীদের মুখে যেভাবে পাইকারি হারে সমালোচনা শুনতে পাচ্ছি, তাতে গ্রামীন কর্তাদের এই "বেইল দিলাম না" এটিচুড খুব ভালো ফল বয়ে আনবে না।"}

কিনতু পাইকারি সমালোচনাই ঐ এটিচুড তৈরীরতে কম দায়ী না, কেননা গ্রামীন ও বোধ করি জানে যে "গলা ডুবিয়ে খায় সেই খাবারের বেশী বদনাম করে"।

অ।সলেই আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন দরকার।

রণদীপম বসু এর ছবি

ভাই সুমন, আমার বোধশক্তি এমনিতেই একটু কম বা দেরিতে বুঝি। তাই হয়তো আপনার মন্তব্যটার মাহাত্ম্যও বুঝতে পারছি না।

অ।সলে বিয়ে বাড়িতে যে গলা ডুবিয়ে খায় সেই খাবারের বেশী বদনাম করে। আপনারাও একই, সবচেয়ে বেশী পেয়েও বড় সমালোচক। অনিয়ম হলে জানানো অবশ্যই দরকার,

এই কথাগুলোর মাধ্যমে আপনি আসলে কী বুঝাতে চেয়েছেন ? আপনার কি ধারণা যে, গ্রামীণ ফোন যাকাতের দোকান খুলেছে আর আমরা হাড়-হাভাতেরা ভিক্ষার জন্য লাইন দিয়েছি ওখানে ? মানুষ নাকি নিজেকে দিয়েই জগত-সংসারের মূল্যায়ন করে। আপনি কিভাবে গলা পর্যন্ত খেয়ে এর বদান্যতায় লাত্থি-গুঁতা খেলেও প্রাপ্য বিবেচনায় হজম করবেন, তা আপনার ব্যাপার। কিন্তু আমি বা আমরা একটা বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী সুস্পষ্ট অর্থের বিনিময়ে যা প্রাপ্য তাই পেতে চাই, তার বেশি কি চেয়েছি ? আমরা ভিক্ষা করতে নামিনি। বরং আপনার ভিক্ষাবৃত্তিক মানসিকতাসম্পন্ন বক্তব্যে আহত হয়েছি। বলতে পারেন আমাদের প্রদত্ত বিনিময়মূল্য দিয়ে যেটুকু সুবিধা আমাদের ভোগ করার কথা, সেটুকুও ভোগ করতে পারছি না। সেটুকু যে পারছি না, তা আমার সীমাবদ্ধতা। এজন্য গ্রামীণ ফোন অতিরিক্ত যে মুনাফাটুকু করে নিচ্ছে তার জন্যে তো তাকে দোষারোপ করছি না ! আর এসব ব্যাপার কাকে জানানোর কথা বলছেন ? সিইও-কে ? তাহলে আপনার কথিত অভূতপূর্ব কাস্টমার কেয়ার বা এ জাতীয় অপগণ্ড উইংগুলো রাখার কী দরকার ? মশকারি করার জন্য ? আপনার পুরু চামড়ায় এ ধরনের ব্যবহারে কোন সংবেদনশীলতা তৈরি করতে পারেনি বলে আমরা একটা সুস্পষ্ট প্রতারণাকে প্রতারণা বলতে পারবো না এটা ভাবলেন কী করে ! প্রতিকার পাচ্ছি না বলে বলতেও পারবো না ! বাহ্ বাহ্, চমৎকার !

আপনাদের মতো কৃতদাস-মানসিকতাসম্পন্ন ভদ্রলোকেরা আছেন বলেই ঐ বহুজাতিক কোম্পানিগুলো এসব নৈতিকতাহীন অনাচার করার সুযোগটুকু ভালোভাবে নিচ্ছে এবং নিতেও থাকবে। অন্যকে কিছু বলার আগে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে একবার দেখে নিলে অনেক জটিলতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন বলে আশা করি।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আর শেষে হুমায়ুন আজাদের একটা প্রবচন শুনাই-
(১৯০ নম্বর প্রবচন): গাধা একশো বছর বাঁচলেও সিংহ হয় না।

তাই গাধা হয়ে একশ বছর বাঁচার চেয়ে সিংহের মতো এক বছর বাঁচা-ও কি সম্মানজনক নয় ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতিথি লেখক এর ছবি

"আপনার কি ধারণা যে, গ্রামীণ ফোন যাকাতের দোকান খুলেছে আর আমরা হাড়-হাভাতেরা ভিক্ষার জন্য লাইন দিয়েছি ওখানে ?..................আমি বা আমরা একটা বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী সুস্পষ্ট অর্থের বিনিময়ে যা প্রাপ্য তাই পেতে চাই, তার বেশি কি চেয়েছি ?"

সেইরকম হইছে... দুর্দান্ত সাধুবাদ....

---------------------------------------------------
ধূসর স্বপ্ন, rupokc147 এট gmail ডট com

হিমু এর ছবি

সুমন, আমি জানি না আপনি গ্রামীণফোনে চাকরিরত কেউ কি না। যদি হয়ে থাকেন, আমার বিনীত প্রশ্ন, আপনি এই অ্যাটিচ্যুড নিয়ে চাকরি পেলেন কীভাবে? দুর্বিনীতভাবে বলতে গেলে বলতে হয়, কোন বোকাচোদা চাকরি দিলো আপনাকে? গ্রামীণফোনের কাস্টোমাররা কি "গলা ডুবিয়ে" মাগনা খায় নাকি? আপনার স্যালারি কোত্থেকে আসে, একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন তো!

গ্রামীণফোনের কর্মী হোন আর না হোন, এমন ইতরের মতো মন্তব্য দ্বিতীয়বার সশব্দে করবেন না, এ অনুরোধ জানিয়ে যাই।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অ।সলেই আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন দরকার।
ঠিকই বলেছেন। মানসিকতার পরিবর্তন খুবই জরুরী। তবে যারা কাস্টমার সার্ভিস দেয় তাদের মানসিকতা কেমন হওয়ার দরকার সেটা নিয়ে একটু পড়াশুনা করেন এবং নিজেদের মানসিকতা কোন পর্যায়ে আছে সেটাও একটু বিবেচনা করার অনুরোধ জানালাম। যতটা জানি গ্রামীণ তার কাস্টমারকে মাগনা কিছু দেয়না। বিনিময়ে একটা মূল্য নেয়, এবং সেখান থেকেই গ্রামীণের লোকজনদের সবার পেট চলে।

সবজান্তা এর ছবি

আপনি গ্রামীনের কোন সেকশনে আছেন ? তাদের কোন রেসিডেন্ট ভাঁড়ের ডিপার্টমেন্ট আছে বইলা শুনি নাই... দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার তো ভাগ্য ভালো মনে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেখলাম মেসেজ এসেছে যে, যদি রাত বারোটার আগে রিচার্জ না করি, তাহলে পি২ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পি১ হয়ে যাবে। এমন মেসেজ নিয়মিতই পাই। একবার ভাবলাম পরদিন সকালেই রিচার্জ করব। তারপর মেসেজ পাঠিয়ে পি২ চালু করে নিব আবার। কিন্তু কী ভেবে সন্ধ্যাতেই রিচার্জ করলাম। এখন তো মনে হচ্ছে করে খুবই ভালো কাজ করেছি। নইলে তো আমার পি২ আনসাবস্ক্রাইবড হয়ে যেত। তাহলে বিরাট বিপদে পড়তাম। আমি প্রচুর ডাউনলোড করি। পি২ ছাড়া আর ভালো কোনো প্যাকেজ নাই, আমার জন্য।

যাই হোক, গ্রামীণফোনের কাছ থেকে এমনটা আশা করা যায় না। তারপরও করার তো কিছুই নেই।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বিগসির বিগ পরামর্শে ধইন্যা।

আমি একটা মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। ০৬ সালে আমি একটা প্যাকেজ নিয়েছিলাম গ্রামীনের যেখানে ১৫০০ টাকা দিয়ে ৫০০ মিনিট কথা বলা যায়, মাসে নূন্যতম বিল ১৫০০ টাকা দিতেই হবে। পরের মিনিটের জন্য বোধহয় ৩টাকা করে আলাদা চার্জ করে।
আমি কখনোই বিল দেখি না , বাসার নিচে ফ্লেক্সির দোকান আছে, সুবিধামতো টাকা জমা করে ফেলি , এতো কোন সমস্যা হয়নি কোনদিন।

গত বছর আমি যখন দুইমাসের জন্য বিদেশ যাব তখন কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে জানতে চাইলাম যে আমি যেহেতু ২ মাস ফোন ব্যবহার করবই না , তাহলে আমাকে কি এই ৩ হাজার টাকা দিতে হবে নাকি পরে এসে সংযোগ আবার চালু করলেই হবে।

ঐ লোক অবাক হয়ে আমাকে জানাল যে ঐ প্যাকেজ তো অনেক আগেই ব্নধ হয়ে গেছে। আপনি এখন অন্য প্যাকেজে আছেন।
আমি বললাম কবে বন্ধ হয়েছে ? সে জানালো প্রায় দেড় বছর আগে!

আমি বললাম আমারে বিয়া দিছেন ভালো কথা কিন্তু নতুন বউয়ের নামটা যদি একটা এসএমএসে জানাইতেন তাহলে খুশী হইতাম। এইটা জানতে আমার দেড় বছর লাগলো !

সুমন [অতিথি] এর ছবি

রনদা
সিংহের মতো এক বছর কেন অনেক বছর বাচুন, কিন্ত সব জায়গায় সিংহের মতো হোন, আমার লেখা পুরোটা পড়েন নাই মনে হ্য়, এতো থাকতে

"আমার উদ্ধৃতি
অ।সলে বিয়ে বাড়িতে যে গলা ডুবিয়ে খায় সেই খাবারের বেশী বদনাম করে। আপনারাও একই, সবচেয়ে বেশী পেয়েও বড় সমালোচক।"

এই কথা নিয়ে পরলেন সবাই? ব্যপারটা এরকম হোলোনা যে
"রসূই ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না"

আপনার লেখা দেখে মনে হ্য় জায়গা মত লেগেছ নিয়নএন হারিয়ে অনেক আবেগে বেশি লিখে ফেলেছেন, মনে রাখবেন গ্রামীণের সমালোচক যেমন থাকবে তেমনি অনুরাগী ও থাকবে, আর কারো সমালোচনা করলে নিজেকে ও সমালোচনা সইতে হ্য়, নিয়নএন হারালে চলেনা।
আপনারাই লিখলেন -
"গ্রামীণ ফোন যাকাতের দোকান খুলেছে আর আমরা হাড়-হাভাতেরা ভিক্ষার জন্য লাইন দিয়েছি ওখানে ?"
"স্যালারি কোত্থেকে আসে, একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন তো!
"
আমার প্রশ্ন আপনারা কি গ্রামীণ ফোনে চাকরিরত দের স্যালারি দেয়ার জন্য দয়া করে ফোন ব্যবহার করেন নাকি নিজের জন্য ফোন ব্যবহার করেন ?নিজের স্যালারির উৎসের কথাও ভাবুন।

হিমু এর ছবি

ভাই, ঠিক কইরা কন আপনি কলা খান কি খান না।

আর চিড়িয়াখানায় জিরাফ মরসে, শুঞ্ছেন্নাকি? একটা সিভি ফালাইয়া আইসেন ভাইটু।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সুমন সাহেব,

গ্রামীণের সেবা কেনার জন্য যেহেতু টাকা দেয়া হয়, সেহেতু সেবায় টালটিবালটি করলে গ্রাহকেরা চেপে ধরবেই। এখন গ্রাহক চেপে ধরলে বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার সাথে তুলনাটা নিতান্তই 'আনফিট'। ইন ফ্যাক্ট, দাতব্য প্রতিষ্ঠানকেও তার সেবার 'প্রমিজ' রক্ষা করতে হয়। কারণ, এই প্রমিজের ওপর নির্ভর করে সেবাগ্রহণকারীদের আরো অনেক কাজের পরিকল্পনা।

এখানে আরেকটা বিষয় আছে, একজনের অপকর্ম ঢাকতে অন্যজনের অপকর্মের রেফারেন্স আসলে মানানসই না। গ্রামীণ যে সার্ভিস দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, সে সার্ভিস তাদের দেয়া উচিত। সেটা না পারলে টিএনটি খারাপ, সিটিসেল আরো খারাপ, এসব ধুনপুন শুনাইয়া লাভ নাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুধীর এর ছবি

গোটা পৃথিবীতে সাধারণ জনগণের জন্য সবচেয়ে ভালো ইন্টারনেট সার্ভিস আছে দক্ষিন কোরিয়ায়। আমি অল্প কিছুদিন ছিলাম এক টেকনিকাল স্কুলের গেস্ট হাউসে - স্পীড পেলাম ১ মেগাবাইট/সে। পরে আমেরিকায় বিভিন্ন বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে এর কাছাকাছি দেখেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরটা ৫০কিলোবাইট/সে ।

গ্রামীনের এজ মোডেম দিয়ে সর্বোচ্চ ১০ কিলোবাইট/সে পেয়েছি। এটা রাশ আওয়ারের জন্য নয়, বেঁধে দেয়া হয়েছে।

লক্ষ্য করবেন গ্রামীনের (এবং অন্য আরো মোবাইল অপারেটরের) প্রতিটি বিজ্ঞাপনে অসততা। তারা আসল কথাটা 'শর্ত প্রযোজ্য' দিয়ে বাদ রাখে বা তারকা দিয়ে খুব ছোট অক্ষরে নিচে লেখে, যাতে বেশির ভাগ ভোক্তার নজরে না পড়ে। অন্যদিকে বিজ্ঞাপনে একটা চরম সেন্টিমেন্টাল ইস্যু নিয়ে আসে, যাতে আপনি আমি ভেতো বাঙালী কাত।

ইউনুস গ্রামীন ফোন (লাভ ছাড়াই ?) টেলিনরকে বিক্রি করে দিলেও, দর্শন একই।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

রণদা, এক্কেবারে এই ফ্যাসাদে আমিও পরসি। সাথে সাথে গ্রামীণের আগে বিটিআরসিরে মুখ খারাপ করে গালি দিসি কয়েকটা।

দুনিয়ার কোথাও ব্যান্ডউইথ ফ্রি না, যত ব্যবহার করবেন তত পয়সা গুনতে হবে। এইজন্য আনলিমিটেড প্যাকেজগুলাতে মানুষের অ্যাভারেজ ব্যবহারের পরও লাভ থাকবে এমন একটা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কি কারণে প্রামীণ P2 বন্ধ করল জানি না, আমার মনে হইসে ব্যান্ডউইথ নিয়ে তারা ধরা খাইসে (বেশিরভাগ P2 ইউজার মাসে অ্যাভারেজ ১২-১৫ গিগাবাইট ডাউনলোড করে - মাসে ৯০০+ টাকায় এই সার্ভিস এতদিন শুধু গ্রামীণ দিত, আর কোথাও পাবেন না)। বিটিআরসি ব্যান্ডউইথের দাম আরো কমাইলে বিষয়টা এত জটিল হৈত না।

যাই হোক, আমি গ্রামীণ পালটায় সিটিসেল নিসি। মাসে ৭০০ টাকা, ৫ গিগাবাইট। আপনার খুব বেশি ডাউনলোড করার দরকার না থাকলে দেখতে পারেন।

আর যদি গ্রামীণেই থাকতে চান, তাইলে ১২১ এর কপালে ঝাটা দিয়ে সরাসরি কোন কাস্টমার কেয়ারে যান, তাদের বুঝায় বলেন তাদের ভুলেই এই ঝামেলা হইসে। আপনারে একটা কমপ্লেইন ফাইল করতে বলবে, সেইটা রিভিউ করার পর P2 চালু করে দিবে আবার। কিন্তু এই সুযোগ একবারের বেশি পাবেন না, পরে আবার P2 হাতছাড়া হইলে ঐটার আশা বাদ।

রণদীপম বসু এর ছবি

মেহদী ভাই, সিলেট থেকে আমার এক পরিচিত জনের ফোন পেলাম। তিনি এ ব্যাপারটা নিয়ে গ্রামীণের কাস্টমার কেয়ার ১২১ এ আলাপ করেছেন এবং তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গজনিত গ্রাহকক্ষোভের কথাগুলোও বলেছেন। ওদের বক্তব্য নাকি, তাদেরও নজরে এসেছে এই বিষয়টা। সম্পূর্ণ প্রযুক্তিক কারণে ঘটেছে এটা। তাই ভুক্তভোগী যারা এই জটিলতায় ইতোমধ্যে P2 থেকে P5-এ চলে গেছে, তারা আগ্রহী হলে এবং অ্যাকাউণ্টে প্রয়োজনীয় রিচার্জ থাকলে ১২১-এ যোগাযোগ করলে পুণরায় P2 ব্যাক করিয়ে নেবার ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন। আমি এর সত্যাসত্য যাচাই করতে যাইনি।
আগ্রহী কেউ এ বিষয়টা পরখ করে দেখতে পারেন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মেহদী হাসান খান এর ছবি

আরেকটা কথা, সিটিসেলও কিন্তু ভন্ডের বাপ। ওদের সাইটে দেখবেন আনলিমিটেড একটা প্যাকেজ আছে, একদন নীচে কুট্টি কুট্টি করে লেখা "ফেয়ার ইউজেস পলিসি"র কথা। গেসিলাম জিজ্ঞেস করতে, এইটার মানে কি? কি করলে আমি "আনফেয়ার"? বলে - আপনি সাধারণভাবে ব্যবহার করলে আপনার মাসে ৫ গিগাবাইটের বেশি লাগবে না। এইটার নামই "ফেয়ার ইউজেস পলিসি"। অর্থাৎ "আনলিমিটেড" প্যাকেজের "লিমিট" ৫ গিগা।

কইষ্যা একটা থাপ্পর মারতে পারতাম এইগুলারে!

সবজান্তা এর ছবি

ফেয়ার ইউজেস পলিসি মানে সিটিসেলওয়ালারা ছোট ছোট পর্ন ক্লিপ নামায় নেট থেকে। পুরা পর্ন মুভি নামানো ওদের কাছে ফেয়ার না।

শালা জোচ্চোরের দল।


অলমিতি বিস্তারেণ

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

থাপ্পর দিলেও কম হয়ে যায়।
ফেয়ার ইউজেস পলিসি আমাদের এইখানেও আছে কিন্তু সেটার মানে এমন না। নিজেদের সুবিধামতন মানে বাইর করে নেয় এরা। পুরানা বদ-অভ্যাস।
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

নৈষাদ এর ছবি

আমার জানা মতে সিটিসেলের ফেয়ার ইউজেস পলিসির লিমিট ৭ জিবি। এর মানে এই যে ৭ জিবির পরেও ব্যবহার করা যাবে, তবে স্পীড অপেক্ষাকৃতভাবে কমে যাবে।

নৈষাদ এর ছবি

আপনার অভিজ্ঞতাটা খুবই দুঃখজনক। আমি অবশ্য গ্রামীণের প্যাকেজ গুলো সম্বন্ধে খুব একটা জানিনা। আমার ধারনা ছিল এ ধরনের মাইগ্রেশনে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, অথবা গ্রাহকের সাথে একটা কন্সাল্টেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। (সিলেক্টিভ মাইগ্রেশন কিনা কে জানে?) কাস্টমার কেয়ারের ফ্রন্ট লাইনের লোকজন সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু বলতে পারবে বলে মনে হয় না। আমি বলব আপনি কাস্টমার কেয়ারের উচ্চপদের কারো সাথে কথা বলুন, ব্যাখ্যা এবং সমাধান দিতে পারবে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি জিপি ব্যবহার করি। কিন্তু প্যাকেজের নাম টাম কী আমার মনে থাকে না। বিল মাসে কতো আসে তাও নির্দিষ্ট জানি না, হাজার টাকার কাছাকাছি থাকে। আমারটা মোটামুটি দৈনিক ২২/২৩ ঘন্টা অনলাইন থাকে। ডাউনলোডও কম হয় না। সার্ভিস একেবারে খুব বেশি খারাপ না। তবে স্পিড আরেকটু বাড়লে ভালো লাগতো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।