। বাটা’র জুতো, পায়ে না বগলে শোভা পায় ভালো ?

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: শুক্র, ১৮/০৯/২০০৯ - ৪:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[প্রথমেই বলে রাখি, এটা কোন জুতো প্রদর্শনের পোস্ট নয়। চলমান কিছু বাস্তবতা নিয়ে নাড়াচাড়া কেবল। তাই দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেন না।]

বগলে জুতো মাথায় ছাতা, বাঙাল জনপদে এটা মোটেও কোন অপরিচিত দৃশ্য নয়। সেই ছোটবেলা থেকে তা এতো দেখে আসছি যে, মনে হয় জুতো পায়ে নয়, বরং বগলতলাতেই মানানসই বেশি। পায়ে পরার জুতো কেন পা ছেড়ে বগলতলায় উঠে যায় তা নিয়ে গবেষণার খুব একটা প্রযোজন হয়তো নেই। পা থেকে জুতো মহার্ঘ হয়ে গেলে বা পায়ের চেয়ে জুতোর নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পেলে এমনটা ঘটতে পারে। তবে পা থেকে কেন জুতো মহার্ঘ হবে বা অধিক নিরাপত্তা দাবী করবে সেটা হয়তো গবেষণার বিষয়। এ নিয়ে গবেষণা কেউ যে করছে না, তাই বা বলি কী করে। বিশেষ করে জুতো নিয়ে যাদের কায়কারবার তেমন বড় বড় কোম্পানি বা বহুজাতিক কোম্পানিগুলো যে দেশে তাদের পুঁজির বিস্তার ঘটাবে সেখানকার বৃহত্তর জনগোষ্ঠির পা ও জুতোর সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহ দেখাবে এটাই তো স্বাভাবিক। নইলে তাদের ব্যবসার শনৈ শনৈ উন্নতির চাবির খোঁজ পাবে কী করে !

জুতোর ব্যবহার কেবল পায়েই নয়, বাঙালি সমাজে এর ব্যবহারে প্রচুর বৈচিত্র্য রয়েছে। বাংলায় জুতো-মারা, জুতো-পেটা, জুতো-দান, জুতো-নিক্ষেপ, জুতোর-মালা জাতীয় এরকম শব্দ-বন্ধই এর নিদর্শন। বাঙালি ছাড়া অন্য কোন জাতি বা গোষ্ঠিতে জুতোর এমন বিচিত্র ব্যবহার কতোটা প্রচল তা জানা নেই। তবে আজকাল এর পসারের কিছুটা ইঙ্গিত পাই ইরাকি সাংবাদিক জায়েদি কর্তৃক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডব্লিউ বুশকে লক্ষ্য করে জুতো ছুঁড়ে মারার মধ্য দিয়ে। বাঙাল মুল্লুকের এই বহুমাত্রিক সংস্কৃতি দেশ-কালের সীমানা ডিঙিয়ে চারদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য শ্লাঘার বিষয় বৈ কি। এই জুতো দেখেই ব্যবহারকারীর পদ-পদবী-শ্রেণী-অবস্থান সম্পর্কেও নাকি কিছু কিছু আঁচ করা যায়। তাই পোশাকে-আশাকে যতোটা না, জুতো কেনার ক্ষেত্রে অনেকেরই খুঁতখুতিটা একটু বেশিই দেখা যায়। আর নির্দিষ্ট ও সীমিত আয়ের চাকুরেদের ক্ষেত্রে আরো বড় সমস্যা হলো মাথা থেকে নামতে নামতে প্রতিটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চাহিদা মিটিয়ে শেষপর্যন্ত পায়ের জন্য আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। যে পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আমাদের এতো ফুটানি, সেই পা’কে বঞ্চিত করা হয়তো কারো উদ্দেশ্য নয়, আর্থিক অনটন বা অক্ষমতাই মূল কারণ। এক জোড়া জুতোই তো কেবল গোটা সংসার বা পরিবার নয়, অপূর্ণ হাজারো চাহিদার বেদনাময় চলমানতা নিয়েই খুঁড়িয়ে চলা অভাবী জীবন-যাপন। তাই একান্ত জুতো-বিলাসী না হলে নিম্ন-মধ্য আয়ের চাকুরের একাধিক পোশাক সেট থাকা বাধ্যগত হলেও ভদ্র-অবস্থান নিরূপণকারী এক জোড়ার বেশি জুতো রাখা অধিকাংশেরই ক্ষমতায় কুলোয় না। আর ক্ষমতাই যেহেতু এক জোড়া, তাই সাশ্রয়ী সীমার মধ্যে যতোটা সম্ভব রুচিসম্মত ও টেকসই জুতো-জোড়াটাই খুঁজে নিতে হয় তাঁদের। এবং সমস্যাটা সেখানেই।

জুতো নিয়ে এইসব মামুলি চাকুরেদের বড় সমস্যাটা হয বর্ষায়। জুতোও পরতে হবে, আবার নর্দমার ড্রেন হয়ে ওঠা রাস্তায়ও চলতে হবে। এক্ষেত্রে ঢাকা নগরীর বর্ষার কথা বলতে যাওয়ার চেয়ে কিছুক্ষণ হাউমাউ করে কেঁদে নেয়াই অনেক বেশি স্বস্তিকর। চাকুরিগত অবস্থান অনুযায়ী বর্ষায় ভেসে বেড়ানোর মতো জলচর জুতোর খোঁজে সেদিন ঢুঁ মারতে লাগলাম দোকান থেকে দোকানে, পছন্দসই একজোড়া স্যান্ডেল আর খুঁজে পাচ্ছি না। প্লাস্টিকের তৈরি যা পাচ্ছি, তার দাম কড়া হলেও, চেহারা ও মান দেখে এতোই কুৎসিৎ ও নিম্নস্তরের লাগছে যে, অফিস করা দূরের কথা, পোশাক ছেড়ে নেংটা হয়ে হাঁটাই বোধকরি ওগুলোর সাথে মানানসই বেশি হবে। (বলে রাখা ভালো, রুচিবোধ হচ্ছে আপেক্ষিক, কাউকে ছোট করার জন্য তা বলা হচ্ছে না, বরং তাৎক্ষণিক অনুভূতি ব্যক্ত করাটাই এখানে মূখ্য।) বড় কোম্পনী বাটা সু’তে বর্ষা উপযোগী প্লাস্টিকের স্যান্ডেল ও সু হিসেবে যেগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে তার দাম ফুটপাথের দোকানগুলোর চেয়ে কয়েকগুণ হলেও তার চেহারা দেখে নিজের গালেই নিজের চড় খেতে ইচ্ছে করে। সেই ঠাকুরদাদার আমলে তাদের জন্য যে মডেলগুলো তৈরি করা হয়েছিলো, তা থেকে এই বাঙালদের রুচি ও প্রযুক্তি যে আর এক কদমও এগিয়েছে, বাটা কোম্পানি তা বিশ্বাস করে কিনা জানি না, তাদের এসব পণ্য অন্তত সেই প্রমাণ দেয় না। হৈতকাইল্যা আমলের ভেলামার্কা মডেলগুলো শোপিস হিসেবে ঝুলিয়ে রাখতে তাদের একটুও বাঁধে না। তাদের বাঁধবে কেন ! হায়া-শরম থাকলে আমিই বা সব ঘুরে ব্যর্থ হয়ে ওখানে ফের যাবো কেন ? আমার অভিরুচি জানতে পেরে দায়িত্বরত সেলসম্যান একজোড়া জুতো হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো- এগুলো নেন। দাম ? নয়শ’ টাকা। লাফ দিয়ে উঠলাম দাম শুনে ! বলে কী ! পাঁচ-ছ’শ টাকার চামড়ার স্যান্ডেল পরে রীতিমতো স্থলে বিচরণ করছি, আর জলে চরার জন্য নয়শ’ টাকা ! আমাকে আশ্বস্ত করে জানালো- এগুলো মটর স্যান্ডেল, শুকনায় বর্ষায় রোদে বৃষ্টিতে সব জায়গাতেই সমানতালে চলবে। অর্থাৎ উভচর ! আরো জানালো- অন্ধকারে পেছন থেকে হঠাৎ আলো পড়লে জুতোর বিশেষ বিশেষ জায়গা থেকে আলো ঠিকরাবে। এতো গুণ ! একটু বিলাসিতা হয়ে গেলেও গাইগুঁই করে নিয়েই নিলাম। শুকনা ও বর্ষা, উভয় মৌসুমে ব্যবহার করা গেলে দামটা না হয় একটু কড়াই হলো, রয়েসয়ে চালিয়ে দেয়া যাবে। লঙ্কাজয় করার ভাব নিয়ে জুতোর বাক্স বগলদাবা করে চলে এলাম। দিনটা ছিলো আটাশ জুলাই দুহাজার নয় তারিখ।

auto
এবারের বর্ষা শেষপর্যন্ত আর জুত করে নামেনি। তবু তৃতীয় দিন থেকে অন্ধকারে পেছনের গাড়িকে চোখ রাঙানোর ফ্লুরোসেন্ট ফিতা জুতো থেকে আলগা হতে লাগলো। তা যাক, জুতো অন্তত এক বছর তো যাবেই, কোনোভাবে দুটো বছর কাটাতে পারলে টাকাটার একটা সদগতি হয়েছে ধরে নেবো। কিন্তু আমি কি জানতাম যে এ জুতো পায়ে দিয়ে নয়, বগলদাবা করে চলতে হয় ! বাটা কোম্পানির লোকেরাও তো আমাকে সেকথা বলেনি ! বাসা থেকে অফিস, হেঁটে আসলে পনেরো মিনিটের রাস্তা। ঘুমকাতুরে হিসেবে অধিকাংশ সময়ই অফিসটাইম ধরতে রিক্সায়ই যেতে হয়। অফিস শেষে হেঁটেই বাসায় ফেরায় আগ্রহী। তবু বৃষ্টি বা রাস্তায় পানি থাকলে তাও রিক্সায়। কিন্তু মাস না পেরোতেই জুতোর তলায় ধরণী দ্বিধা হতে লাগলো। দেড়মাসের মাথায় তলা দু’ভাগ। জুতোর এই তলাকে আবার পোশাকি ভাষায় নাকি সোল বলে। এটা ইংরেজি শব্দ। ইংরেজি ভাষায় জীবনের আত্মাকেও সোল বলে। হা হা হা ! বুকের কোণায় নয়শ’ টাকার চিনচিনে ব্যথাটা অনুভব করে বুঝলাম আমার মতো বাঙালির আত্মাটা জুতোর তলায়ই থাকে।

যেখান থেকে জুতো জোড়াটা কিনেছিলাম, মিরপুর এক-এর বাটা সু’র সেই শোরুমে গেলাম আবার। ক্যাশ-কাউন্টারে দায়িত্বরত মধ্যবয়সী ভদ্রলোকের হাতে মানি-রিসিটটা ধরিয়ে জুতোটাও দেখালাম। জানতে চাইলাম- আপনাদের করণীয় কিছু কি আছে ? ভদ্রলোক হয়তো বাঁ-হাতিই হবেন, চেহারায় পৃথিবীর সমস্ত বিরক্তি জড়ো করে বাঁ হাতে রিসিটটা নিয়ে চোখ ও কপাল কুঞ্চিত করে নেড়েচেড়ে রিসিটটা পরখ করে অবদমিত তাচ্ছিল্যের সাথেই রিসিটটা ফিরিয়ে দিলেন বাঁ-হাতেই। অর্থাৎ পণ্য কেনার আগ পর্যন্ত আপনি সম্মানিত ক্রেতা, তারপরই আপনি ধুম পাবলিক। আমি চেয়ে রইলাম তাঁর দিকে। মাথাটাকে এপাশ-ওপাশ নাড়িয়ে বুঝিয়ে দিলেন, এখানে তাঁর কিছুই করার নেই।


মন্তব্য

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

জুতা পইরা এত হাটার কি হইল? জুতার দাম বেশি মনে হইলে একটা গাড়ী কিনেন। তাইলে হাটাহাটি কম কইরা জুতার পিছনে টাকা সাশ্রয় হইতে পারে। ভাত নাই বইলা বইসা থাকলে কেমনে চলে? কেক খান নাইলে পোলাও খান।
--------
তবে একটা বিষয় মাথায় আসে না; বাটার কি কোন উপযুক্ত বিকল্প নেই? বাজারে প্রতিযোগীতার পরিবেশ ঠিক না হলে আসলে এই সব সমস্যার সমাধান নেই। জুতার জন্য বাটা, ফোনের জন্য গ্রামীন আর শান্তির জন্য আওয়ামি লীগ কাম বিএম্পি......।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

রণদীপমদাকে এবার একটা প্রকৃত কনজিউমার রাইটস অর্গানাইজেশন খুলার উৎসাহ দেয়া যাইতে পারে। আমরাও থাকলাম। সকলের উপকার।
______________________________________________
to be or not to be - that was never a question (jean-luc godard)


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সবজান্তা এর ছবি

রণদার লেখায় পাঁচ তারা। ভোক্তা হিসেবে ক্রমাগত নানারকমের প্রতারণার শিকার হয়ে একই রকম অনুভূতি হয় আমারও। সবসময় লেখা হয়ে উঠে না- আপনি কষ্ট করে সেই কাজটাই করছেন। আপনার জন্য উত্তম জাঝা!

ছোটবেলায় বাবা আমকে বাটা ছাড়া স্যান্ডেল কিনতেই দিতো না। বাবার কথা হচ্ছে টেক্‌সই জুতা মানেই বাটা। বাবার এই নজরদারি এড়িয়ে নিজের ইচ্ছায় প্রথম স্যান্ডেল কিনি স্কুল জীবনের শেষ দিকে, লিবার্টি থেকে। যাই হোক, বাংলাদেশের জুতা কিংবা স্যান্ডেলের ব্র্যান্ডসমূহ নিয়ে কথা বলতে গেলে একটা ইতিহাসই হয়ে যাবে, সে আলাপ না হয় বাদ দেই।

বছর দেড়েক আগের কথা। বাটায় ঢুকে একটা স্যান্ডেল খুব পছন্দ হয়ে গেলো, কিন্তু অনেক দাম, তেরো'শ টাকা। তবুও কিনে ফেললাম, শখ বলে কথা। সেই স্যান্ডেল ছয়মাসে সাতবার ছিঁড়ে যাবার পর মুচির কাছে নিতেও ক্লান্তি লাগে। বাটায় নিয়েছিলাম, তারা লজ্জিত হয়, দুঃখ প্রকাশ করে, কিন্তু পাত্তা না দেওয়ার ভঙ্গিতে জানায়, কিছুই করার নেই তাদের। এই ঘটনার পর থেকে আমার বাবাও তার একনিষ্ঠ বাটাপ্রীতি থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

আরেকটা মজার জিনিস দেখলাম গতকাল। বিখ্যাত জুতার ব্র্যান্ড "হাশপাপিস" এর জুতা এতোদিন দেখতাম শুধু বাটার দোকানে। আজকাল তারা নিজেরাও দোকান দিয়েছে। গতকাল প্রথমবারের মতো তাদের বসুন্ধরার শোরুমে গিয়েছিলাম। তিনহাজারের নিচে কোন জুতা/স্যান্ডেলের দাম দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না।

তুলনাটা খুবই অমূলক, ক্লিশে, হাস্যকর এবং অযৌক্তিকও হয়তো- তবু মাথায় আসলো। এই দেশের অনেক লোকের মাসিক উপার্জন হয়তো তিনহাজার টাকা। এই টাকাকে আমরা একদম পায়ে দিয়ে ঘুরছি !!!! জানি তুলনাটা যৌক্তিক না, ক্লিশে- তবু মাথায় আসলো !


অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

সবাই যখন রণদা বলে ডাকে আমি ও রণদা-ই বলিলাম। আমি এই আসুবিধার কারনে বাটা থেকে জুতা কেনা বাদ দিয়ে, রায়ের বাজারের দিকে যে রাস্তাটা গেছে কেয়ারীর পাশ দিয়ে ঐ জায়গায় জুতা বায়না দিয়ে বানায় নিতাম। নিজের ইচ্ছে মত ডিজাইন, ইচ্ছে মত রঙ আর জুতার কিছু হইলেই হয় টাকা ফেরত নয়তো ফ্রী রিপেয়ার। টাকা দুটো বেশি নিলেও জিনিস ভাল কিন্তু ঐ যে হ্যান্ড মেড তাই অনেকের পছন্দ হলে ও বলতে পারবেন না কোথা থেকে কিনেছেন প্রেস্টিজের জন্য। জুতা কিনুন মেড বাই রায়ের বাজার, একদম দেশি গরুর চামড়ার।;)

গরীব
সাউথ কোরিয়া

হিমু এর ছবি

ওদের মূল দুর্বলতা সোলে। সোল ভালো পায় না ব্যাটারা। বাকিটুকু দুর্দান্ত।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

রণ দা তুমি এগিয়ে চলো (জুতা পায়ে), আমরা আছি তোমার সাথে।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

তানবীরা এর ছবি

রণদা, গুলশানে একটা ইটালিয়ান ফুডের দোকান আছে, পিজা বেলারিয়া অথবা এই টাইপের কিছু। ঐটার পাশে আছে এ্যাপেক্স। খেতে গিয়ে জুতা কিনে পরেছি, এক ঘন্টায় কর্ম সাবাড়। আবার গেছি বদলাতে, এক সপ্তাহ পরে দিছে বদলে, ষ্টক নাই, ক্যাটক্যাটে গোলাপী রঙের জুতা। টাকা ফেরত দিবে না। ঐটা একদিনে শেষ। বিকেলে আবার গেছি, বদলে দিছে, ভয়ে আর দেশে পড়ি নাই। এখানে এসে পরেছি, এক ঘন্টা পর সেফটিফিন লাগাতে হইলো। ৭০০ টাকার জুতা ৭ ঘন্টাও যায় না। কি অবস্থা
**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মুস্তাফিজ এর ছবি

সেইরকমসেইরকম

এইটা কিনেন, কামে দিবো

...........................
Every Picture Tells a Story

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ছোটবেলার পর থেকে এখনো পর্যন্ত বাটাবিহীন কাটাইছেছি... কাটাবোই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

চশমাওয়ালি এর ছবি

আগে অন্য দোকানের চেয়ে একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও বাটার জুতো কিনতাম অনেক টেকসই হয় বলে। বছরখানেক হল দেখে টেখে ফিরে আসি; দাম অ-নেক বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন তো দেখছি কোয়ালিটিও নেমে গেছে।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

---------------------------------------------
ল্যাসিক করাতে ভয় পাই আর লেন্স ভাল লাগে না।

হিমু এর ছবি

সত্য কইরা কৈঞ্ছেন্দেহি রণদা, জুতাজোড়ারে কোনো ইয়োগার আসনে বসাইছিলেন নাকি?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

একসময় তো শুনতাম বাটার জুতো মানেই 'অক্ষয়'! আমার স্যান্ডেল শু'টা অ্যাপেক্স থেকে কেনা। বছর খানেকের বেশি হয়েছে। এখনও সমস্যা হয়নি কোনো। এমনকি বাটা থেকেই কেনা জুতো পরছি বেশ কয়েক মাস হলো। সেটাও তেমন কোনো সমস্যা করেনি এখন পর্যন্ত। আগের জোড়াটাও বাটা থেকেই কেনা। এবং এক দেড় বছরেরও বেশি সময় পরার পরও নষ্ট হয়নি এখনও। ভাগ্য হয়ত নিতান্তই ভালো জন্য ভালো জিনিস পেয়েছিলাম।

স্নিগ্ধা এর ছবি

ইয়ে - আমি বাটা থেকে ৩৩০ টাকা দিয়ে কিনে একটা জুতা পড়ে এতোই আরাম পাইসি যে, মানে ... যাক গিয়ে, যাক্‌ ... মন খারাপ

নজমুল আলবাব এর ছবি

আমিও কিনছি এইরাম একটা। সেলসম্যান বলছে, এইটা নাকি মোটর সাইকেল চালানির লাইগা ইস্পেশাল। আমি মাশাল্লাহ ৪/৫ দিন পরছি। পায়ের তলায় জ্বলুনির চোটে... লাস্ট যেদিন পরলাম, সেদিনতো মরি মরি অবস্থা। সেদিন আবার নাটকের শো। গ্রুপের এক ছোট ভাইরে বল্লাম, নাটকে যদি চাও আমি পারফর্ম করি, তাইলে আমারে জুতা কিনে দাও। সে ১০০ টাকা দিয়ে একটা স্যান্ডেল নিয়ে আসলে ফুটপাত থেকে। ২ মাস হয়ে যাবে ২ তারিখে, এখনও ১০০ টাকা দিয়েই চলছে। আর ৯০০ টাকা এখন বারান্দায়, জুতার সেলফে ঘুমায়।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

পোস্টে চলুক

এমন কনজুমারিজম নিয়ে আরো পোস্ট চাই

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

বর্ষার জন্য বাটার (মাইরেন না দেঁতো হাসি) শোরুমে উইনব্রেনার ব্র্যন্ডের কিছু স্যান্ডেলশু পাবেন ... প্লাস্টিক বা রাবার জাতীয়, চামড়ার ছিটাফোঁটাও নাই, কিন্তু টিকে ভালো ... বিশেষ করে পানিতে ... আমি দেশে থাকতে ঢাকার রাস্তায় শুধু ঐগুলি পরতাম ...

কিনে দেখতে পারেন ... দাম দুই বছর আগে আট-নয়শো ছিল ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অমিত এর ছবি

অনেক আগে আমার বাটার একটা হাইকিং বুট টাইপের জিনিস ছিল। বিরক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত ফেলে দিয়েছিলাম ৩-৪ বছর পর।
বাটার সেই মান তাহলে অতীত !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।