| দুই-মেগাপিক্সেল…| কবি নজরুল সমাধি-স্তম্ভ |

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: শুক্র, ১২/০৩/২০১০ - ১২:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


‘মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিয়ো ভাই
যেন গোড়ে থেকে ঐ মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই।…’

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯ – ১৯৭৬) এই গানের মধ্য দিয়েই হয়তো তাঁর অন্তিম ইচ্ছাটা জানিয়ে রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে কবি নজরুলকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেন এবং অসুস্থ কবিকে যথাযোগ্য সম্মান ও পরিচর্যায় এদেশে স্থায়ীভাবে অবস্থানের সুব্যবস্থা করেন। কবির মৃত্যুর পর অন্তিম ইচ্ছানুযায়ী তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশেই সমাধিস্থ করা হয়।
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁর সুদৃশ্য সমাধি-স্তম্ভ ও সুসজ্জিত এলাকাটি দেখতে প্রতিদিন কত শ্রদ্ধাবনত মানুষের আগমন ঘটে। দুই-মেগাপিক্সেলের চোখেও এই স্মিত-সৌন্দর্য এক অনির্বচনীয় মুগ্ধতার রেশ ছড়িয়ে দেয়। কবি নজরুল আমাদের অহঙ্কার !
...
সবার পরিচিত স্থান, তবু দুই-মেগাপিক্সেলের চোখে কেমন দেখায় তা একটু চেখে নেয়া যাক্ ...

auto
...
auto
...
auto
...
auto
...
auto
...
auto
...
auto
...
auto
...
auto
...


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

সবচেয়ে উপরের যে ছবিটা অবিকল সেটার মত একটা তুলেছিলাম গত ঈদে। খোমাখাতায়ও আপলোড করা আছে। সেটা একটা দিন ছিল বটে- সেদিনই প্রথম আমার নজরুলের কবরের কাছে যাওয়া। প্রতিদিনই ক্লাসে যাবার সময় ফ্যালফ্যাল করে তাকাতে তাকাতে যাই, ভেতরে ঢোকার সুযোগ হয়না। সেদিন কবির কবরের কাছে দাঁড়িয়ে যে অনুভূতি হয়েছিল তা অবর্ণনীয়। পুরো চাতালটা ঝরা পাতায় ছেয়ে ছিল, আকাশে ক্রমশ ঝুঁকে আসা গোধূলিতে সে যেন হয়ে উঠেছিল এক অন্য জগত। মনে হচ্ছিল যেন আমার জন্যই এ পসরা সাজান। সে দৃশ্য ভোলার না।

অন-টপিক, ব্লগটা ভাল লাগল। উপরের অযাচিত প্যানপ্যান বিরক্তির কারণ হয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।

ফারাবী

---------------------------------

It will be long ere the marshes resume,
It will be long ere the earliest bird:
So close the windows and not hear the wind,
But see all wind-stirred.

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ ফারাবী।
কথা যদি বলতেই হয়, তাহলে দ্বিধা রাখতে নেই। আর নিজের কথাকে প্যানপ্যান বলে ছোট করছেন কেন !

একটা গোপন কথা শুনে রাখেন, কাউকে বলবেন না যেন ! ব্লগ লিখিয়েরা কথা বলিয়ে পাঠকই বেশি পছন্দ করে। অতএব বুঝতেই পারছেন....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রিখি এর ছবি

ব্লগ লিখিয়েরা কথা বলিয়ে পাঠকই বেশি পছন্দ করে।

আমি তো কথা বেশিই বলি...

আমি কখনও যাইনি নজরুলের সমাধিতে। আপনার ছবিগুলো দেখার পর যাওয়ার ইচ্ছে জাগছে।

রণদীপম বসু এর ছবি

তাহলে তো আপনি সবার প্রিয় হবেন !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

একটা ফাঁকিবাজি কমেন্ট করি -

চলুক

চোখ টিপি

রণদীপম বসু এর ছবি

হা হা হা! শিমুল, জীবনটাই তো একটা মহান ফাঁকি !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

আনোয়ার সাদাত শিমুল লিখেছেন:
একটা ফাঁকিবাজি কমেন্ট করি -

চলুক

চোখ টিপি

---------------------------------------------------
ইটের পরে ইট সাজিয়ে বানাই প্রাণের কবিতা ...

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

রণদীপম বসু এর ছবি

চলুক

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

শাফক্বাত এর ছবি

আমাদের ব্যাকইয়ার্ডের সাথে আর্ট কলেজের ক্যাম্পাস কমন দেয়াল ছিল। আর আর্ট কলেজে যাওয়ার জন্য সেসময় নজরুল সমাধির কোণার বাউন্ডারির একটা ফাটল কে আমরা শর্টকাট মারতাম।
সব মনে পড়ে গেল ছবিগুলো দেখে।

সে'দেশে যবে বাদল ঝরে
কাঁদে নাকি প্রাণ একেলা ঘরে?
বিরহব্যাথা নাহি কি সেথা?
বাজে না বাঁশি সে নদীর তীরে?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।