| অশ্লীল |

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: শুক্র, ১১/০৬/২০১০ - ৮:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


গল্পের আগের কথা বলার কারণ মনে হয় আত্মবিশ্বাস কমে যাচ্ছে, যা ঠিক নয়:
[সাহিত্যে শ্লীল আর অশ্লীলের সীমা নির্ধারণ করাটা মনে হয় খুবই বিটকেলে একটা ব্যাপার। তাছাড়া শ্লীল ও অশ্লীলের আপেক্ষিক অবস্থান নির্ণয় করার ক্ষেত্রেও রয়েছে বিস্তর মতানৈক্য। ব্যক্তি, পরিবেশ, পরিস্থিতি, অবস্থান, সময়, সংস্কৃতি, প্রথা প্রভৃতির মতো জটিল জটিল সব অনুঘটকের জারণ-বিজারণ ক্রিয়ার দুরুহ সমীকরণ টানার দায়-দায়িত্ব যারা কাঁধে তুলে নিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের চিরকেলে দায়িত্ব পালন করতে থাকুন। ইত্যবসরে আমরা নাহয় পাঠকের নিজস্ব বিবেচনাবোধকেই আপাত মাপকাঠি ধরে সাহিত্যক্রিয়ায় রত থাকি। আপনি আমি সেই সমীকরণের সর্বজনগ্রাহ্য ফলাফলের অনির্দিষ্ট আশায় হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও সাহিত্যের চিরায়ত স্রোতটা থেমে থাকবে না নিশ্চয়ই।

এই গল্পটা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কিনা জানিনা, তবে বাস্তবসঞ্জাত চরিত্রের স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত সংলাপগুলোতে তথাকথিত আপত্তিকর শব্দাবলির ব্যবহারে কোন রাখঢাকের চেষ্টা করা হয়নি। আশা করি আগ্রহী পাঠক নিজ দায়িত্বেই তা পড়বেন। তবে গল্পের যে অংশটুকু পাঠকের কাছে অশ্লীল বা আপত্তিকর মনে হবে, নির্দ্বিধায় মন্তব্যে জানিয়ে দিলে নিজেকে যাচাই করে নেয়ার সুযোগ পাবো। লেখক হিসেবে পাঠকের কাছে এই আগাম কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখছি]

অই খানকির পোলা !… ঘাঁড়ের উপর শার্টের কলারে একটা শক্ত হাতের খাবলে ধরা হেঁচকা টানে চমকে ওঠলো রণক। একমনে হাঁটার সম্মুখগতিতে এরকম পেছনটানে কলারের নিচের বোতামটা ফাঁস লাগার মতো গলায় বসে গেছে।
তরে যে ডাকতাছি, কানে দিয়া হান্দায় না মাদার চোদ !

ঘটনার আকস্মিকতায় থতমত রণক বাহ্যজ্ঞান হারিয়ে ফেললো। মতিঝিলে পঞ্চম দিনের অফিস শেষে টাউনবাসে টানা দেড় ঘণ্টার ঝুলাডলা খেয়ে মিরপুর-দশে নেমে পনের মিনিট হেঁটে মেসের দিকে যাচ্ছে। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও ঢাকায় রাত হয় না। আজই রিমিকে চিঠি লিখতে হবে অফিসের প্রথম সপ্তাহের অভিজ্ঞতা জানিয়ে। একনাগাড়ে এক সপ্তা রিমিকে না-দেখার অচিন্তনীয় বাস্তবতায় নিজেই আশ্চর্য সে ! দোকান থেকে এ-ফোর সাইজের দশ পাতা অফসেট পেপার নিয়ে এসেছে আঠারো টাকা দিয়ে। মোটা শিসের স্ট্যাডলার বল-পয়েন্ট কলম নিয়েছে একটা বিশ টাকা দিয়ে। জার্মানিরটা পায়নি, গ্রেট ব্রিটেনেরটাই নিয়েছে। অফসেটের ধবধবে সাদা দুটো খাম নিয়েছে চারটাকা দিয়ে, একটা নষ্ট হলেও যাতে আরেকটা ব্যবহার করা যায়। আর আট টাকা দিয়ে বড়সড় একটা মোম। ঢাকায় বিদ্যুতের যা হাল ! রিমিটাও যে কী না ! সেই পাগলিই রয়ে গেলো। ওর এক কথা, মোবাইলে নয় মেইলে নয়, কাগজের উপরে গুটগুট করে হাতে লেখা চিঠি চাই। কী আশ্চর্য ! বললেই হয় নাকি ! শেষ কবে যে চিঠি লিখেছে, মনেই করতে পারছে না সে ! তবে গত দুবছরে প্রায় প্রতিদিনই কাগজের বুকে কিছু না কিছু লিখেছেই সে রিমির জন্যে। কখনো ভালো লাগা কোনো কবিতার দুয়েকটা চরণ, কখনো চমৎকার কোনো বাণী, কখনো নিজেরই তৈরি কোনো বাক্য বা অন্য কিছু, যা কেবলি রিমির জন্য। দুজনের একান্ত মাধুর্যময় অসংখ্য অর্থহীনতার মাঝে রিমির হাতে ধরিয়ে দেয়া এক টুকরো কাগজের বুকে নিরিবিলি বসে থাকা কিছু কালো অক্ষর যে কী অদ্ভুত মাদকতা ছড়িয়ে দিতো !

বাঁ হাতে নেটের ব্যাগটা ঝুলিয়ে গলির মুখে এসেই ঘেমে নেয়ে একসার মুখটা তেতো হয়ে গেলো, বিদ্যুৎ নেই। ছিক্ ! যাওয়ার গ্যারান্টি আছে, আসার নেই। কুপির আলোয় অন্ধকার হয়ে থাকা ভ্যানটাতে অবশিষ্ট সবজিগুলো বিক্রির আশায় হয়তো লোকটি বসে ঝিমুচ্ছে। ওটা পেরিয়ে সামনে ডানদিকের সেলুনটাতে লোকাল জেনারেটরের সংযোগ নেয়া টিউবের আলোয় আধ-কামানো অর্ধউদোম লোকটি মৃত ফ্যানের নিচে হাপুশ-হুপুশ করছে। পুরুষের উদোম শরীর কি অশ্লীল হয় ? তবু এরকম মেদবোঝাই নাদুস-নুদুস ঝুলে পড়া উদোম শরীরটাকে রণকের কাছে অশ্লীল মনে হচ্ছে কেন ! বিপরীত দিকের ফার্মেসিটাতে প্রৌঢ়মতো লোকটি হাতে ধরা ট্যাবলেট নাকি ক্যাপসুলের স্ট্রিপটার দিকে সম্ভবত পুরু লেন্সের চশমার পেছনে রাখা শকুন চোখ দিয়ে কী যেন খোঁজার চেষ্টা করছে। সাদা দাঁড়ি আর পাজামা-পাঞ্জাবি পরা লোকটি নিশ্চয়ই কোন ইস্কুল মাস্টার হবে। ইস্কুল মাস্টাররা কি এরকম কাঠখোট্টা হয় ? ‘হাউয়ার পুলারে কইছিলাম তুই আমারটা নে, আর তরটা আমারে দে; মাদার চুদ হালায় … অই হালায়, অই …’ চা-দোকানের পাশের ‘ডিস-সংযোগ দেয়া হয়’ জাতীয় দোকানঘরটার মধ্য থেকে বিক্ষিপ্ত উড়ো-সংলাপ পেরিয়ে মুদিদোকানটার কাছাকাছি যেতে না যেতেই পেছন থেকে কলারে হেঁচকা টান- ‘অই খানকির পোলা, তরে যে ডাকতাছি কানে দিয়া হান্দায় না মাদারচোদ ?’

হেঁচকা টানের তীব্র ঝাঁকুনির মধ্যে হতভম্ভ রণকের স্বাভাবিক বোধ-বুদ্ধি লুপ্তপ্রায়। হাত থেকে নেটের ব্যাগটা খসে গেছে। প্রাণিজগতের স্বয়ংক্রিয় প্রতিরোধ প্রবণতায় তার ডান হাতটা ঝুলানো অবস্থা থেকে ততক্ষণে উপরে উঠে সেই খাবলে ধরা হাতটাকে অজান্তেই ঠেসে ধরেছে। ঝাপসা চোখে তিন-তিনটি ছায়ামূর্তি ধরা পড়েছে কেবল। ‘এইটা তো হে না বস্ !’ ‘অই, তুই চুপ করবি !’- পাশ থেকে অন্য ছায়ামূর্তির কথা থামিয়ে দিলো নেতাগোছের লোকটি, যে মুহূর্তকাল আগে রণকের কলার চেপে ধরেছিলো। ‘কী বে, পাড়ায় নতুন আইছোস ?’ উত্তর দিলো আরেক ছায়ামূর্তি- ‘সাঈদ মিয়ার বিল্ডিয়ের চাইরতলায় থাকে।’
‘অই হাউয়ার পুতেরা কয় নাই এইখানে সালাম-আসগার দিয়া চলতে হয় ? তাগো হোগায় কি বেশি তেল জইম্যা গেছে ? আবে এই মাগীর পুত, এমুন ভেটকি মাইরা চাইয়া রইছোস ক্যান ? গুয়ামারা খাইবার চাস্ ? চলতে ফিরতে এহন থাইকা জানান দিয়া হাঁটবি, বুঝলি… ? যা ভাগ্ !’
রণকের পা দুটো নিচের দিকে লম্বা হতে হতে পাতালে গিয়ে ঠেকেছে। খাম্বার মতো নিশ্চল, নিথর।

ওরা চলে গেছে। কতক্ষণ গেছে কে জানে, স্বাভাবিক বোধ-জ্ঞান ফিরে এলেও অসার দেহটা দুলছে তখনো। মাথার ভেতরে একটা তীব্র জেটবিমানের ঝা ঝা শব্দ, মাথাটাকে গুঁড়ো করে দিচ্ছে। চোখ দুটো কি গলছে, নাকি আগুন বের করছে, সে দায় বুঝার অবস্থায় এখনো হয়তো পৌঁছায়নি সে। তবে গলি-রাস্তার নিরীহ পথচারিদের কৌতুহলি দৃষ্টিও যে কী মারাত্মক বিষাক্ত হতে পারে, এ অভিজ্ঞতার প্রথম পাঠের তীব্রতায় খাপ খেতে খেতে হঠাৎ খেয়াল হলো কয়েকজন লোক তাকে ঘিরে ফিসফিস সংলাপের মাধ্যমে আশ্বস্ত করছে। ‘খুব খারাপ লোক এরা..’ ‘নাসের এমপির লোক..’ ‘এলাকার মাস্তান..’ ‘মানুষরে মানুষ বইলা কেয়ারই করে না..’ ‘যানগা, এইসব মনে ধইরা লাভ নাই..’ ‘এরা যেকোনো সময় যেকোনো কিছু ঘটাইতে পারে।’…

রণক জানে না এই শরীরটাকে কিভাবে চারতলা পর্যন্ত বয়ে নিয়ে এসেছে। আড়ষ্ট জিহ্বায় নিছক অনভ্যস্ততার কারণে উচ্চারণযোগ্য নয় বলেই কি কতো জায়গায় কতোভাবে শোনা প্রাত্যহিক পরিচিত এই শব্দগুলো হঠাৎ এতো অচেনা আগন্তুকের মতো হামলে পড়ে একটা মানুষকে ছারখার করে দিতে পারে ! কী-হোলে ভুল চাবি ঢুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে খেয়াল হলো অন্ধকার প্যাসেজে একটা ভৌতিক নিস্তব্ধতা। সপ্তা শেষে দুদিনের ছুটিতে মেসের সব বোর্ডাররাই যার যার কর্মস্থল থেকে বাড়ির দিকে ছুট দেয়। রণকই আজ এর ব্যত্যয় ঘটালো। মাস শেষের বেতন হাতে না-পাওয়াতক মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান রণকের ইচ্ছে হলেও উপায় নেই আড়াইশ কিলো দূরের যাত্রায় আপাত সওয়ার হওয়ার। রুমে ঢুকে কোনরকম খিল লাগিয়ে বিছানা পর্যন্ত গিয়েই ছেড়ে দিলো শরীর। এবং বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ দমক দিয়ে ছলকে ছলকে কাঁপতে শুরু করলো এতোকালের গর্বিত পৌরুষে লালন করা দেহ। এই পৌরুষকেই ভালোবেসেছিলো রিমি। ঢাকা আসার ঠিক আগের দিনই সে রিমিকে প্রথম চুমো খেয়েছে। এর আগে কখনোই তাকে এ সুযোগ দেয়নি রিমি। জীবনের প্রথম চুমোতে সে কেন যে জেনে গেলো পৃথিবীতে কোন রণক কোনো রিমিকে কখনো চুমো খায় না, একটি তন্বীদেহকে সযত্নে জড়িয়ে ধরে চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দেয় একটি পুরুষ শরীর ! মানুষ কি তার শারীরিক অস্তিত্বেই বেঁচে থাকে ?

জানালার কাচ ভেদ করে একটা আলো এসে রুমটাকে আধা-স্বচ্ছ করে জানিয়ে দিলো বিদ্যুৎ এসে গেছে। এবং এক ঝটকায় যে উঠে বসলো, সে রণক নয়, একটা ধাতব শরীর। খুট করে লাইটটা জ্বেলে দিলো রুমের। ঘর ভরা উজ্জ্বল আলোয় ছোট্ট রুমের অপরিসর ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে গা থেকে একে একে খুলে ফেললো শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, জাঙ্গিয়া সব। ব্যায়ামপুষ্ট শরীরের এক আশ্চর্য উন্মুক্ত পৌরুষকে অবলোকন করলো দুটো খাট আর তার মধ্যবর্তী পাতলা ছোট্ট টেবিল, ঘরের কোণায় বুয়ার ঢাকা দেয়া ভাতের হাঁড়ি, তরকারির কড়াই, ডালের ডেকচি, জলের কলসি, দুটো বিচ্ছিন্ন মশারি, দড়িতে ঝুলানো কিছু কাপড়-চোপড়, এদিক ওদিক পড়ে থাকা কিছু পোটলা-পাটলা-শিশি-কৌটা-জলের গেলাস আর কিছু বই-পত্র-কাগজ-পত্রিকা এবং দরজা জানালা ও ঘরের হলুদ দেয়াল। খাটের তলায় পড়ে থাকা নীল ব্যাগটা দুম করে বের করে আনলো। খশ করে চেইন খুলে উপুড় করে ঢেলে দিলো সব বিছানায়। তারপর একে একে আবৃত করলো উন্মুক্ত শরীরটা আবার। এ পোশাক পরেই একদিন সে রিমিকে চুমু খেয়েছে। কিন্তু আজ চোখ বন্ধ করে যতই চেষ্টা করলো এই জাতিস্মর দেহে কিছুতেই রিমিকে ধরা গেলো না। কোথায় যেন একটা জন্মের তফাৎ হয়ে গেছে ! ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে রিমি। খশ করে এক টুকরো কাগজ টেনে নিলো। তারপর গুটগুট করে লিখে চললো অবাক বিস্ময় মাখানো অক্ষরের পর অক্ষর…। আর গলে গলে একে একে ঝরে পড়ছে এতকালোর সুকুমার শিক্ষা, প্রবৃত্তি, রুচি, সৌন্দর্য, বোধ, স্বপ্ন, স্মৃতি, বিস্মৃতি, সম্মান, ভ্রুকুটি, ক্রোধ, অপমান, ঘৃণা, প্রেম…ডট ডট ডট ডট। দম ধরে বসে থাকলো কিছুক্ষণ। অতঃপর আস্তে করে দরজাটা ভেজিয়ে বাইরে থেকে লক করে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে গেলো সে।

দূর থেকেই চোখে পড়লো জটলাটা। সেদিকেই এগিয়ে গেলো। রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়েই শালিসের মত করে কাকে যেন কী বলছে মাস্তান নেতাটি তার সেই নিজস্ব ভাষায়- হাউয়ার পুলার হুগায় হাত দিয়া দ্যাখ্ তো বিচি আছে নি ! জটলা ভেদ করে ঠিক তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো রণক। তীব্র বিরক্তি আর উদ্যত ক্ষোভ নিয়ে কিছু বলার আগেই চটাশ করে তীব্র শব্দ হলো নেতাটির গালে। মুহূর্তেই জটলাটা থমকে গেলো ! নেতাটির কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবিশ্বাস চোখে দানা বাঁধার আগেই দ্বিতীয় থাপ্পড়ের সুতীব্র শব্দে জটলাটা অস্থির হয়ে উঠলো। এবং কেউ কেউ অবাক হয়ে দেখলো একটি তীব্র যুবক গট গট করে হেঁটে চলে যাচ্ছে কোথায় কে জানে।

এই সাতসকালে কৌতুহলী মানুষের ভীড় সরাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হলো। বহুতল ভবন তোলার জন্য পুরানো বিল্ডিং ভেঙে যে ভিত্তি খোড়া হয়েছে পুকুরের মতো করে, তার মধ্যেই লাশটা প্রায় উপুড় হয়ে পড়ে আছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরিরত দারোগার উদ্দেশ্যে কনস্টেবলটি চিৎকার করে ওঠলো- স্যার, লাশের মুঠায় একটা কী জানি দেখা যাইতেছে, কাগজ মনে হয়। দারোগা এগিয়ে গেলো। কনস্টেবলটি লাশের মুঠো থেকে কুকড়ানো কাগজটি বের করে মেলে ধরেই চেঁচিয়ে ওঠলো- আরে, হালার পুতে কী লিখছে দেখেন !

সুরতহাল রিপোর্টেই খুনের ক্লু পেয়ে যাবার আনন্দে কনস্টেবলের হাত থেকে বাজপাখির মতো প্রায় ছোঁ দিয়ে তুলে নিলো কাগজটি। সামনে মেলে ধরতেই দারোগা সাহেবের বিশ্বস্ত চোখ দুটো অবিশ্বাসে বড় বড় হয়ে ওঠলো। গুট গুট অক্ষরে ওটাতে লেখা- খানকির পোলা, হাউয়ার পুত, হোগায় তেল জমছে, মাগীর পুত, গুয়ামারা খাইবার চাস, মাদার চোদ !


মন্তব্য

মিলন এর ছবি

রনদা, ভাল হয়েছে। আসলে অশ্লীলতার ছাচে না ফেলে আমাদের সাহিত্যগুন বিচার করা উচিৎ।

মিলন

শামীম এর ছবি

দাদা, সমাজের যে অশ্লীল ভারসাম্যটা তুলে ধরলেন সেটা মন খারাপ করিয়ে দেয়। আর এই কারণেই আপনার লেখা দেখলে পালিয়ে যেতে চাই।

সম্ভ্রমহীন করার এই সন্ত্রাস সম্পর্কে বাবা বলতেন; দুই দলই এক প্রক্রিয়াতে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। একদল পেশী/অস্ত্র দেখিয়ে সম্মান/সম্মানি দাবী করে, আরেকদল লেবাস+.. (দাড়ি/টুপি/জোব্বা) দেখিয়ে সম্মান/সম্মানি দাবী করে।

বাই দা ওয়ে: গল্পের মূল চরিত্র সম্ভবত অতি সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়ার অধিকারী। তাকে শালা বললেও নিজ বোনকে আক্রান্ত ভাববে ... ... খাইছে
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ভাল লাগল! গল্পটি লিখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছেড়া পাতা
ishumia@gmail.com

পুতুল এর ছবি

রণদা গল্পটা ঠিক সময়ে লেখা এবং পোস্ট করা হয় নি। আমার বিবেচনায় রচনাটি একটি অভিজ্ঞতার আক্ষেপ মাত্র। গল্প নয়।

যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমরা সচলের পাতা ভরে রেখেছি, আপনি তাতে আরো কিছু যোগ করলেন মাত্র।
এর চেয়ে অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আমরা সময়, মেধা এবং শ্রম ব্যায় করতে পারি। এই পথে আপনি পথিকৃত। কিন্তু সচলায়তনে আপনার সেই লেখা গুলো পাই না। আমাদের ধর্মে বর্ণপ্রথা নিয়ে মুক্তমনায় আপনার সিরিজের একটা পর্ব পড়েছি, ঘটনাক্রমে। মুগ্ধ হয়েছি এবং সাথে সাথে ক্ষুব্ধ হয়েছি এই ভেবে যে; এমন গবেষণাধর্মী লেখাগুলো কেন আমরা সচলায়তনে পাই না!
কিন্তু সেটা লেখকের একান্ত ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা। তিনি কোথায় কোন পাঠকের জন্য কি লিখবেন, সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যপার।
আমি নিতান্তই সাধারণ পাঠক। আশা করি আপনার লেখা পড়ে আমার প্রতিক্রিয়ার জন্য আপনি আমার কাছে কোন যুক্তি, কৈফিয়ৎ, কারণ এই সব ব্যাখ্যা দাবী করবেন না।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সাফি এর ছবি

চমৎকার লাগলো রণদা।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার.. চমৎকার.. এবং চমৎকার..
_________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার সার্থকতা খুজেঁ পেলাম। দূর্দান্ত লেখা।।

______________

অম্লান অভি এর ছবি

কি হবে বাঁচিয়ে রেখে সেই সম্ভ্রম যা হারিয়ে যায় ক্ষণে ক্ষণে। যা ক্ষত বিক্ষত করে মন ও মনন। কি হবে বাঁচিয়ে রেখে সেই সততা যা উর্ধ্বতনের ক্ষমতা খর্ব করে ভয়ে চাকুরীচুত্যি ঘটে সেই সততা প্রেমীর।
অসংখ্য ব্যত্যয় মাঝে কি যেন বাঁজে ঐক্যতানে তার সুর প্রায় ধরা পরে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ভিন্ন পারদর্শিতায় আপনার আঁচরে। কি হবে শ্লীলতা অন্বেষণে......মৃত্যু!

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

মাহবুব লীলেন এর ছবি

গল্পটা ভালো স্যার
ভূমিকাটাই বরং অশ্লীল ঠেকছে
ওটা বাদ দিয়ে দেন

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ লীলেন ভাই।
এই পোস্টে শ্লীল আর অশ্লীলের পার্থক্যটা এখানেই। গল্পের নিরাবরণ পবিত্রতাকে ভূমিকার পোশাকি আভরণে সাজানোটাই ছিলো অশ্লীলতা।
কাজটা করেছি সচেতনভাবেই। আইনস্টাইনের চতুর্থ মাত্রার আপতিক প্রয়োগ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অনিকেত এর ছবি

রণ'দা,
লেখাটা পড়ে থম মেরে ছিলাম কিছুখন।
এমন কিছু লিখতে হলে দু'টি জিনিসের দরকার---দেখার চোখ, আর লেখার হাত!

এই দুইটি জিনিসই প্রভূত পরিমানে আছে আপনার মাঝে---

চমৎকার লেখার জন্যে কুড়ি লক্ষ তারা--!

মুস্তাফিজ এর ছবি

গল্পের শ্লীল অশ্লীলতার বিচারে যাবোনা, তবে এটা বলতে পারি গল্পটা ভালো লেগেছে। কিন্তু গল্পের আগে দেয়া ভুমিকাটুকুই আমার কাছে অশ্লীল লেগেছে। যেনো ইচ্ছে করেই আঙ্গুল তুলে দেখানো। রণদা, আপনি স্বাভাবিক, বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ মানুষ বলেই জানি। পুরাতন ব্লগার হিসাবে উস্কানী দেয়ার মত ভূমিকাটুকু এসময়ে পরিহার করার মতন স্বাভাবিকতা আপনার ভেতর থাকা উচিত।
ভুমিকাটুকু না দিয়ে যদি গল্পের ভাবের সাথে মিলিয়ে আপনার ২মেগা পিক্সেলে তোলা সেইরকম একটা ছবি দিতেন তাহলেও আমি একই কথা বলতাম।
আপনাকে ধন্যবাদ।

পুনশ্চঃ আমি এই মন্ত্যব্যও এখানে করতামনা, কিন্তু আনিস ভায়ের প্রস্থান আমাকে আহত করেছে।

...........................
Every Picture Tells a Story

রণদীপম বসু এর ছবি

খোলামেলা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি মুস্তাফিজ ভাই। তবে আপনার মন্তব্যের দুটো বিষয়ে কিঞ্চিৎ বিভ্রান্ত হচ্ছি বলেই প্রতি-মন্তব্য করা।

পুরাতন ব্লগার হিসাবে উস্কানী দেয়ার মত ভূমিকাটুকু এসময়ে পরিহার করার মতন স্বাভাবিকতা আপনার ভেতর থাকা উচিত।

আসলেই কি তাই ! অথচ আমি তো ঠিক বিপরীত মনোভাব নিয়েই এই পোস্টটা করেছিলাম। আমার সাধ্যানুযায়ী একটা নির্দোষ পথে (আমার মতে) কেবল সাহিত্যে শ্লীল ও অশ্লীলের সীমানাটা চিহ্নিত করার একটা উপায় দেখানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। যাতে বিতর্কগুলো থেমে যায়। নির্ভর করার মতো বিবেচনাশীল পাঠক আপনারা কিন্তু ঠিকই তা চিহ্নিত করে ফেলেছেন। এবং এই পোস্ট দিয়ে একটা বিষয় আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে এবং ভালো লাগছে যে, আমাদের সচলরা সবাই আসলে শ্লীল-অশ্লীল পার্থক্যটা ঠিকই উপলব্ধি করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে বিভ্রান্তিটা আমার এখানে যে, তাহলে এতো জটিল বিতর্ক কেন ?

এ গল্পটাতে সাহিত্য বিচারে আসলে কোন অশ্লীলতা নেই। আমাদের আশেপাশে বলা যায় বেশিমাত্রায় উপস্থিত এই বাস্তব চরিত্রের স্বতস্ফূর্ত সংলাপগুলোই গল্পের শক্তি ও প্রাণ এবং মূল থীমটাও ওখানে। প্রতিদিনই এ সংলাপগুলো আমরা, আমাদের সন্তানেরা, পরিবার পরিজনেরা তৃতীয়-ব্যক্তি হিসেবে রাস্তাঘাটে নিরন্তর শুনছে। এটাই স্বাভাবিক। এগুলো আমাদের ব্যক্তিজীবনে কোন জটিলতাও সৃষ্টি করছে না। যেটুকু জটিলতা, তা কোন দ্বিতীয় ব্যক্তির ক্ষেত্রেই, যা আমরা কখনো ভাবি না। এ গল্পটাতেও বিষয়গুলোকে কোন কৃত্রিম কিছু আরোপ না করে ঠিক সেভাবেই আনা হয়েছে।

অন্যদিকে ভূমিকাটাকে যদি প্রাসঙ্গিক কোন প্রবন্ধে হুবহু বসিয়ে দেই কিংবা টেনে লম্বা করে একটা প্রবন্ধ বানিয়ে ফেলি তাতে প্রবন্ধটির সামর্থ বাড়বে বৈ কমবে বলে মনে হয় না। কেননা ওগুলো খুব চমৎকার নির্দোষ বাক্য যেখানে চাইলেই আমরা নিজের মতো করে এক ধরনের গভীরতা তৈরি করে নিতে পারি।
অথচ অপ্রাসঙ্গিক না হলেও এই দুটো নির্দোষ অংশকে একসাথে জুড়ে দিতেই কোন্ অংশটা আমাদের কাছে অশ্লীল বলে প্রতিভাত হচ্ছে, তা আমরা নিমেষেই ধরে ফেলছি। আসলে শ্লীল ও অশ্লীল যে মূলত শব্দের উপর নির্ভর করেনা, করে আরোপিত ব্যবহারের উপর, তা দেখানোর পরীক্ষামূলক একটা নমুনা-উদ্যোগ ছিলো এ পোস্টটা।
কিন্তু এটাকে উস্কানী হিসেবে কেন নেয়া হচ্ছে, তা-ই আমার কাছে বিভ্রান্তিকর ঠেকছে !

দ্বিতীয়তঃ

আমি এই মন্ত্যব্যও এখানে করতামনা, কিন্তু আনিস ভায়ের প্রস্থান আমাকে আহত করেছে।

অন্য পরিস্থিতি হলে আপনি আমার পোস্টে কোন মন্তব্য (যা আপনার মনোভাব প্রকাশ করবে কিন্তু আমাকে আঘাত দিতে পারে ধারণায়) করবেন না কথাটাই আসলে আমাকে আঘাত করেছে। একজন সচেতন পাঠক হিসেবে, প্রিয় মুস্তাফিজ ভাই হিসেবে, আপনি আমার পোস্টে মন্তব্য দিতে দ্বিধা করবেন এই ভাবনা সচলায়তনে আমার লেখালেখিকেই তো অনুৎসাহিত করবে ! আর আনিস ভাইয়ের প্রস্থানের সাথে যদি আমার এ পোস্টের এক কণা প্রভাবও যুক্ত হয়ে থাকে, আমাকে জানানো হলে, আমি বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবো না পোস্টটি এখান থেকে সরিয়ে দিতে বা মুছে দিতে। আনিস ভাইয়ের প্রস্থানের সিদ্ধান্তটা হয়ে গেছে একনায়কসুলভ সিদ্ধান্ত। বলা নেই কওয়া নেই, তিনি হঠাৎ একটা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন। কেন ? আমাদের সম্পর্কটা এতোই ঠুনকো ! আমি কোন সচলাড্ডা কল্পনাও করতে পারি না যেখানে শারীরিক বা মানসিকভাবে আনিস ভাই নেই। আমার প্রথম সচলাড্ডাতেই আনিস ভাইয়ের সাথে পরিচয়। সচলের এমন কোন ইভেন্ট নেই যেখানে আমরা আনিস ভাইয়ের উপর নির্ভর করিনি।
মন্তব্যটাকে আনিস ভাইয়ের সাথে সম্পর্কিত করে আমাকে একটা বিমূর্ত অপরাধবোধে ঠেলে দিলেন ! লেখালেখি করি দীর্ঘদিন। এটা আমার স্বভাবের অংশ হয়ে গেছে। সবসময়ই কিছু না কিছু লেখালেখিতে জড়িত থাকার চেষ্টা করি। ব্যক্তিগত ব্লগগুলোতে সেগুলো তুলে রাখি। সচলায়তনে কটা আর লিখি। লেখার টোন অনুযায়ী বিভিন্ন কমিউনিটি ব্লগে লেখা প্রকাশ করি। তারপরও বহু বহু লেখা থাকে যা নিজস্ব ব্লগে সংরক্ষণ ছাড়া কোথাও প্রকাশ করি নি। এ গল্পটাও তা-ই হতো, হয়তো আগামীতে মলাটবন্দী হয়ে কোথাও প্রকাশ পেতো। কিন্তু সচলের একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে তা সদর্থকভাবেই ব্যবহারযোগ্য মনে করেছিলাম বলেই তা পোস্ট করেছি।
আমি আসলে পাঠকের স্বাধীন মনোভাবটাকে হৃদয়ঙ্গম করার জন্যেই নিজে প্রত্যক্ষভাবে খুব একটা উপস্থিত হই না। আমাকে নিয়ে আপনি যাতে কোন ভুল ম্যাসেজ ধারণ না করেন, সে জন্যই প্রতি-মন্তব্য করলাম। আবারো ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন।

আপনার ব্যবহৃত 'উস্কানী' শব্দটা কিন্তু আমাকে আসলে সত্যিই বিভ্রান্ত করে দিচ্ছে !

[ পাঠকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ রইলো, পোস্ট নিয়ে যে কোনো মন্তব্য দ্বিধাহীন করতে পারেন। কেবল আমার আর মুস্তাফিজ ভাইয়ের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কেউ কোন প্রতি-মন্তব্য না করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।]
ধন্যবাদ সবাইকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মুস্তাফিজ এর ছবি

উস্কানী বা তাল দেয়া বলেছি একারণেই যে ইচ্ছা করলেই সময়টা এড়িয়ে যেতে পারতেন, কিংবা শুধু গল্পটাই পোস্টে দিতে পারতেন। এখানে যারা লেখেন তারা সবাই শ্লীল ও অশ্লীলের পার্থক্যটা বোঝেন, যারা বলেন বোঝেন না, তারা হয় মিথ্যে বলেন কিংবা বিতর্ক উস্কে দিয়ে মজা নেন। সবাইকে বোঝানোর জন্য কিংবা এক্সপেরিয়েমেন্ট করার মতন সময় আর পরিবেশ এখন না।

আমি এই মন্ত্যব্যও এখানে করতামনা, কিন্তু আনিস ভায়ের প্রস্থান আমাকে আহত করেছে।
আমি তা বোঝাতে চাইনি, কথাটা ঘুরিয়ে পড়েন, "আমি এই ধরণের মন্তব্য... " আসলে আপনাদের মতন বাক্য গঠণ আমার দ্বারা হয়না, তাই মাঝে মাঝে যা বোঝাতে চাই তা সঠিক ভাবে পারিনা।

দাদা, পোস্ট সরিয়ে দেয়া বা মুছে ফেলা কিংবা কাউকে ব্যান করা কিন্তু সমাধান না। সমাধান আসবে যদি সহনশীলতা, সহমর্মিতা আর দায়িত্বশীলতা সব একসাথে আমাদের ভেতর কাজ করে। বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার ধরণের মনোভাব কেবল তিক্ততাই বাড়ায়।

...........................
Every Picture Tells a Story

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। আমার কথায় অবশ্যই কোন কষ্ট নেবেন না যেন।
আপনি আপনার বক্তব্য সরাসরি প্রকাশ করেছেন, যা আমি নিজেও করে থাকি। তাতে আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ বাড়বে বৈ কমবে না। আর জীবনের যে সময়টা অতিবাহিত করছি, সেখানে কখনো তালগাছ দাবি করার মানসিকতা থাকার কথা নয়। নেবার কালে যখন কিছু নেইনি বা নিতে পারিনি, এই দেবার কালে এসে কিছু দিতে না পারলেও নিতে যাবো না, নিজেকে এ প্রবোধ দিতে শিখে গেছি মনে হয়।

ভালো থাকবেন, সব সময়।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অশ্লীল হয় নাই ।

অতিথি লেখক এর ছবি

চমতকার গল্প
_____________
ত্রিমাত্রিক কবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।