অর্থহীন হলেও একটা সতর্কতা থাকলো না-হয়:
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
…
(১৬১)
মুখে যে বেশি হাসে, তার মনেই বেশি ব্যথা;
যে হাসতে জানে না, সে কাঁদতেও পারে না।
(১৬২)
জ্যোৎস্নার অনুভবে কোনো উল্লাস থাকে না, থাকে মগ্নতা;
কষ্টগুলো জেগে ওঠে বলেই জ্যোৎস্না এতো মোহময়।
(১৬৩)
চাকুরিজীবী দুই ধরনের-
এক দলে থাকে চাকুরিকে জীবিকা করে যে খায়;
আর অন্য দলে চাকুরিকে খাওয়াই যার জীবিকা।
(১৬৪)
কী, কেন, কিভাবে ?
এই তিনটি প্রশ্নের যথাযথ উত্তর যিনি দিতে জানেন তিনিই বিজ্ঞ।
(১৬৫)
ধর্মচর্চা মানুষকে বন্দী করে, চিন্তাচর্চা দেয় বন্দীত্বের মুক্তি।
প্রচলিত ধর্মগুলো আপাদমস্তক মুক্তচিন্তা বিরোধী বলে
সৃজনশীল মানুষের কোন সুযোগ নেই ধর্মের খোয়াড়ে ফিরে যাওয়ার।
(১৬৬)
মানুষ হচ্ছে এক চলমান কথামালা;
যতক্ষণ তা সংরক্ষণ ও চর্চায় থাকে ততক্ষণই মানুষ অমর।
(১৬৭)
যা কিছু নিজের বিকল্প হয়ে ওঠে, মানুষ তা ঘৃণা করে;
কিন্তু তার প্রয়োজন মানুষের কাছে কখনোই ফুরায় না।
(১৬৮)
বস্তুগত বিনিময় প্রক্রিয়ায় কোন সৌন্দর্য নেই।
মুদ্রার সৌন্দর্য হচ্ছে তার ধ্বংস প্রক্রিয়ায়;
এই প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ সৌন্দর্যের নাম সেবা।
(১৬৯)
বন্দীত্ব মানুষকে মুক্তিপ্রয়াসী করে তোলে।
তাই মুক্তির আস্বাদন পেতে প্রতিটা মানুষকে কিছুকাল
বন্দীত্বের বেড়াজালে আটকে রাখা উচিত।
(১৭০)
ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা ভাবুকদের জন্য আশির্বাদ;
এমন পিছুটানহীন ভাবনার সুযোগ আর কিছুতেই হয় না।
ঢাকা নগরী ভাবুকদের স্বর্গভূমি !
…
[১৫১-১৬০][*][১৭১-১৮০]
…
মন্তব্য
সহজ সত্যি কথা সহজভাবে বললেন। ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
১৬৩, ১৬৪, ১৬৫ আর ১৭০ কথা সত্য।
অনেক ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
শেষেরটা সেইরাম
এইটা যে মানবে না, তাঁর ঢাকা ত্যাগের বিকল্প নাই ! নইলে মরবে নিশ্চিত !! হা হা হা !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নিশ্চিন্ত থাকুন, সে পর্যন্ত অরুচি আসবে না ! হা হা হা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বাহ! হে খাবারের ঘ্রানে অপেক্ষমান, আ-আ-আ-সিতেছি! দেখা হইবে, তারপর হইবে খাওয়া। ততদিন ভালো থাকুন, খাওয়ার রুচি রাখুন ধরে।
দুঃখিত, ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম ভাবুকদের জন্য আশির্বাদ এটা পুরোপুরি মানতে পারলাম না!
আমি বরং বলবঃ
ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে থাকে ভাবুকদের জন্য আশির্বাদ - যদি থাকে এ.সি. গাড়ি;
এমন ইন্সুলেটেড ভাবনার সুযোগ আর কিছুতেই হয় না।
নচেৎ , ঢাকা নগরী ফুটন্ত তেলে ছাড়া ভাবনাপদার্থ কান দিয়ে গলে বেরিয়ে যাওয়া কৈ-মানুষের আর্তচিৎকার!
শাপ-শাপান্ত, বাপ-বাপান্ত - কে জানে কার !
বোঝা গেলো মন_মাঝি ঢাকায় অচল ! হা হা হা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মারাত্মক
আপনাকে আবার নিয়মিত দেখে খুব ভাল্লাগছে রণ'দা
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এখন আর মাশরুমের খোঁজ কেউ দেয় না রতন !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মাশ্রমাড্ডা ঝিমিয়ে পড়েছে নাকি! নাহ! এদের উপর কিছু ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হবার উপায় নেই!
কদু অবশ্য দেশের বাইরে। বাকিগুলা চাকরি/প্রেম করতে গিয়ে মনে হয় সময় পায় না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বহুদিন পর উৎবচন মিল্লো ঘড়া ভরে।
১৬১ ১৬২ ১৬৫ - চমৎকার
আর
১৭০ সুপার
ঘড়ায় ভরা-ই আছে, ঢেলে দেবার সময় পাই না শুধু !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই দা, যত গড়াগড়িই দেন, এইটাই মারাত্মক বাস্তবতা কিন্তু !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এইটার পাণ্ডুলিপি টুটুল ভাই নিয়া গেছে ! কী করে কে জানে !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপ্নে আসলেই 'বস-মানু'!! এই সিরিজটা ইবুক হিসেবে প্রকাশ করার জোর দাবী জানালাম।
১৬২, ১৬৫ আর ১৬৯ ফাটাফাটি
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
১৬৮ বুঝি নাই। ১৭০টা চরম
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নতুন মন্তব্য করুন