…
(১১)
বালিকার নদীটাকে ছুঁবো বলে আমি
ডুব দিতে বারবার ভুল জলে নামি !
কোথায় বালিকা তুমি যাও কোন্ নায়ে-
দেখোনা নদীর দাগ মেখেছি এ গায়ে !
.
(১২)
জলের সঙ্গমে জল-
যেখানে আকাশ নেই, সবই অতল;
সেই জলের অতলে ডুবে করি জলচাষ,
ওখানেও তুমি ! না কি জলের আকাশ !
.
(১৩)
চুম্বনের ওই গন্ধ খুঁজে নদীর কাছে যাই;
নদী, না কি তুমিই ছিলে !
নদী বলে-
তোমার মতো হদ্দ বোকা জলের দেশে নাই !
.
(১৪)
সব পথেরাই অচিন তোমার সব পথই বিস্ময়,
কোন্ সে পথে নেই গো কন্যা সব হারানোর ভয় ?
যেখান দিয়ে হেঁটে গেছো, দৌঁড়ে খুঁজি পথ-
থমকে দাঁড়াই ! ভাঙছে নদী জলেরই শপথ !
.
(১৫)
অমর্ত্য পেয়ালা নিয়ে তোমার কাছে যাই-
কী দিলে পেয়ালা ভরে তৃষ্ণা মেটে নাই !
মৃত্যু ছিলো তোমার বুকে, নদী দিলো ঠাঁই,
বললে তুমি- এবার পেলাম তোমার পুরোটাই !
…
(চলবে…)
…
[০৬-১০] [*] [১৬-২০]
…
মন্তব্য
১৪ ছুঁয়ে যায়।
খুব ভালো লাগছে চতুষ্পদী কষ্টগুলো।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ। ভালো লাগাটাই আসল !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আগের চেয়েও ভালো লাগলো...
ভালো হলেই ভালো ! ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভালো লেগেছে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক ভালো লাগলো!
বারবার ভুল করি, অথচ আপনার ভালো লাগলো !! হা হা হা !!
অনেক ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
যত এগোচ্ছি আরও আরও ভাল লাগছে ।
অসাধারন ।
চলুক, চলুক ।
এই ভালো লাগা কি ধরে রাখা যাবে ! জানি না !! দেখা যাক।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদীপমদা,
আপনার কবিতার শিরোনামটি অসাধারণ হয়েছে। টুকরো টুকরো কষ্ট দিয়ে চতুষ্পদের যে মালা গেঁথেছেন, তা পাঠককেও ছুঁয়ে যাচ্ছে!
নদীগুলো ভাঙছে; ভালবাসার নদী; ভালবাসার খরায় পুড়ছে মানব-মানবী-সমাজ-সভ্যতা!
ভালবাসার নদী এভাবেই পরিণত হয় মৃত্যু-নদীতে! কষ্টগুলো এভাবেই এক সময় লীন হয় নদীর গর্ভে; শুধু নীল ঢেউগুলো বেঁচে থাকে বহমান পথে!
প্রকাশের পরই সৃষ্ট কাব্য কবি থেকে পৃথক হয়ে যায়। তাই কাব্যের ব্যাখ্যায় পাঠকের স্বাধীনতাই চুড়ান্ত ! পাঠক-ভাবনাই তার ঠিকানা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কবিতাটা আবার পড়লাম। আবিষ্কার করার চেষ্টা করলাম কোন আলাদা অর্থ, যা প্রথম পাঠে হয়ত এড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু শব্দটি অবশ্য অনেক সময় আনন্দ-উচ্ছ্বাস-পরম প্রাপ্তির সঙ্গে ব্যবহৃত হয়। তবে আপনি তো কষ্টের গাঁথা রচনা করেছেন; তাই মৃত্যু শব্দটি তেমন ইতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়নি বলেই মনে হচ্ছে।
''পাঠকের স্বাধীনতা'' কথাটা খুব ভাল লেগেছে। তবু পাঠকের দাবী নিয়েই জানতে মন চাইছে, কবির ভাবনা কি ভিন্নতর কিছু ছিল? জানতে ও বুঝতেই সচলের মত ব্লগে আসা!
ভাল থাকবেন, রণদীপমদা।
ধন্যবাদ মামুন ভাই।
তবে জীবনানন্দ বলতেন, কবিকে কখনো নিজের কাব্যের ব্যাখ্যা দিতে নেই। তাতে পাঠক তাঁর ভাবনার স্বাধীনতা হারিয়ে একটা ফ্রেমে আটকে পড়ে। পাঠক তাতে নিজের কল্পনা মিশিয়ে নিজের মতো করে একটা উপলব্ধিতে পৌঁছতে চান। এই পাঠক ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করার অধিকার তো আমার নেই ! কার ভাবনাকে কিভাবে নাড়া দেবে তা কে বলতে পারে !! প্রত্যেক পাঠকই যার যার মতো স্বাধীন। কাব্যের জন্য এই স্বাধীনতাটা জরুরি। বোঝাতে পারলাম কি ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভালো লাগল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কোন কোন কষ্টেই বুঝি লুকিয়ে থাকে অনির্বচনীয় সুখ!
ভালো লাগলো খুব ......
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
হুমম্ ! সেই সুখের আশায়ই তো মানুষ কষ্টের আগুনে ভাজা ভাজা হয় ! হা হা হা !
অনেক ধন্যবাদ। আপনার কবিতা কিন্তু আমি উপভোগ করি! সবক্ষেত্রে মন্তব্য দেয়া হয় না লগিন করার আলসেমিতে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নতুন মন্তব্য করুন