…
(২১)
বৃক্ষের বল্কলে নদীর চিহ্ন দেখে-
তুমি যে চমকালে হঠাৎ !
আমি তো খুঁজিনি এতো- কোথা কোন্ বৃক্ষদেহে
কে কখন রেখেছিলো জলমগ্ন হাত !
.
(২২)
মেঘের রেখায় লিখেছিলাম স্বপ্নমাখা নাম,
বৃষ্টিরা তা ধুয়ে দিলো;
তুমিও কিছু বললে না তো-
আকাশটা কি রয়েই যাবে ঠিকানাহীন খাম !
.
(২৩)
বাইরে এমন জ্যোৎস্না মেখে আর কতোকাল মারবি রে বল্
আমি তো সই মরেই আছি তোর অতলেই;
তার চেয়ে ডাক্ মুদ্দাফরাস- এক নিমিষে পেরিয়ে যাই সবটুকু পথ, পথ-পাঁচালি !
বিষকাটালি বুকেরে তোর বুকের ভেতর বিষকাটালি।
.
(২৪)
পাতারা মর্মর সুরে নিরবে জানিয়ে দিলো-
তোমার আসার কথা;
এসেছো ঠিকই, তবু সত্যি কি এসেছিলে ?
ওই বুকে ধরেছিলে সে-কার মন্থন ব্যথা !
.
(২৫)
ছেড়ে যাবে বলেছো বলেই বাঁধিনি তোমায়,
ফেরার পথটা যদি রয়ে যায় খোলা, পথিকের হয় কি অভাব ?
কী হবে আমাকে টেনে, আমি তো যাবো না কোথাও ;
তোমাকে ছুঁয়েছি বলেই, অতঃপর বুঝে গেছি জলের স্বভাব !
…
(চলবে…)
…
[১৬-২০] [*] [২৬-৩০]
…
মন্তব্য
কে কখন রেখেছিলো জলমগ্ন হাত !
>অনেক দারুনস! অনেক সুন্দর লিখেছেন বসুদা।।।।জলমগ্ন হাত দারুন ভাব এনেছে, আবেশ ছড়িয়েছে অন্যগুলোও-
>ভাল থাকুন সবসময়
ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
২৩নং টা সবচেয়ে বেশী ভালো লাগলো। সবগুলোই সুন্দর।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক সুন্দর---
আহা---
কড়িকাঠুরে
হুমম্ ! ধন্যবাদ তো দিতেই হয় ! হা হা হা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভীষণ ছুঁয়ে গেছে কথাটা......
ডাকঘর | ছবিঘর
ঠিকানার খোঁজেই তো আমাদের জীবনটা কেটে যায়।।।।!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
২২, ২৫ অসাধারণ!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নতুন মন্তব্য করুন