| ব্লগখিচুড়ি-০১ : রাজনীতির নৈতিকতা ও ভর্তৃহরির নীতিস্তোত্র ।

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: শুক্র, ১৯/০৭/২০১৩ - ১:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকের সংস্কৃত কবি ও রাজন্যপুরুষ ভর্তৃহরি (বিক্রমাদিত্যের বৈমাত্রেয় অগ্রজ) এখনো স্মরণীয় হয়ে আছেন তাঁর রাজদণ্ডের জন্যে নয়, বরং তাঁর অমর কবিকৃতি এবং অসাধারণ শৃঙ্গারশতক ও বৈচিত্র্যময় নীতিশতকের জন্য। হেন বিষয় নেই যা তাঁর নীতিবাক্যে স্থান পায়নি। জন্মসূত্রে রাজপরিবারের সদস্য এবং স্বভাবে কবি হওয়ার কারণেই রাজনীতি বিষয়ে তাঁর গভীর পর্যবেক্ষণ শুধু আকর্ষণীয়ই নয়, সত্যনিষ্ঠতায় বিস্ময়করও বটে ! এই রাজনীতি নিয়ে তাঁর অনুসন্ধিৎসু নীতিশ্লোকটি যাঁদের নজরে এসেছে তাঁরা আর যাই হোক রাজনীতিক চরিত্র নিয়ে হতাশাবাদী হওয়ার কথা নয় বলেই আমার ধারণা।

তাই যারা রাজনীতিকদের কাছে নৈতিকতা আশা করেন তাঁদের শুভবোধ নিয়ে আমার সন্দেহ নেই যদিও, কিন্তু প্রশ্নটা উঠে এই আশাবাদীদের কাল্পনিক আশাবাদ নিয়ে। হয় তাঁরা জেগে ঘুমান, নয়তো ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখাটাকেই জেগে থাকা বলে চালিয়ে দেন ! বিশ্বাস হচ্ছে না ? তাহলে আর কথা না-বাড়িয়ে চলুন ভর্তৃহরি রাজনীতি নিয়ে কী বলেছেন তা দেখে নিই ! যদিও এই নীতিবাক্যে রাজনীতিকে উপমায় ভূষিত করতে গিয়ে দু’হাজার বছর আগের পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিতে নারীকে কিভাবে দেখা হতো তাও অপ্রকাশ্য থাকে নি !

সত্যানৃতা চ পুরুষা প্রিয়বাদিনী চ
হিংস্রা দয়ালুরপি চার্থপরা বদান্যা।
নিত্যব্যয়া প্রচুরনিত্যধনাগমা চ
বারাঙ্গনেব নৃপনীতিরনেকরূপা।। (ভর্তৃহরির নীতিশতক- ৪৭)

অর্থাৎ : (কখনও) সত্যবাদিনী (কখনও) মিথ্যাবাদিনী, (কখনও) কঠোর ভাষিনী (কখনও) মধুরালাপিনী; (কখনও) নির্দয়া (কখনও) দয়াবতী, (কখনও) ধনলোভী (কখনও) দানবতী, (কখনও) প্রচুর ব্যয়-কারিণী এবং (কখনও) প্রচুর ধনার্জনকারিণী (এই) ‘রাজনীতি’ বারাঙ্গনার ন্যায় বহুরূপিণী।

ফুটনোট : আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে রাজনীতিক হিসেবে আওয়ামীলীগ যে বর্তমান বিএনপি-জামায়াতের ধারেকাছেও যেতে পারে নি, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে !!

(১৮-০৭-২০১৩)


মন্তব্য

দিগন্ত এর ছবি

আপনি যেই বিক্রমাদিত্যের কথা বলেছেন এখানে, তার কিন্তু কোনো ঐতিহাসিক অস্তিত্ত্ব পাওয়া যায় নি এখনও। তবে যারই হোক, বক্তব্য খুবই সঠিক। কিন্তু গণতন্ত্রে রাজনৈতিক-মাত্রেই তো এরকম হবার কথা হাসি


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

রণদীপম বসু এর ছবি

তিনি হচ্ছেন সেই বিক্রমাদিত্য- যার নামে ‘সম্বৎ’ সন বা ‘বিক্রমাব্দ’ প্রচলিত। উল্লেখ্য, বিক্রম সম্বৎ গণনা শুরু হয় ৫৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে।

খেয়াল করেছেন কিনা, পোস্টের শুরুতে 'ভর্তৃহরি' শব্দটাকে হাইপারলিংক করে দিয়েছি। ভর্তৃহরি নিয়ে সচলে পূর্বের একটি লেখা রয়েছে যেখানে বিষয়টা আলোকপাত করা হয়েছিলো। তবে ইতিহাস এখানে যে ধোয়াশাচ্ছন্ন তা অস্বীকার করছি না।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

"রাজনীতি বোধকরি দ্বিতীয় আদিমতম পেশা; তবে আমার কেন জানি মনে হয়, প্রথম আদিমতম পেশা তথা পতিতাবৃত্তির সঙ্গে এটার কোথাও যেন সাজুয্য আছে।"
প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান

রণদীপম বসু এর ছবি

রিগান যা বেশ দ্বিধা নিয়ে বলতে চাইছেন, দু'হাজার বছর আগের প্রাচীন কবি ভর্তৃহরি সেটাই অকপটে বলে দিয়েছেন ! এই পোস্টের প্রতিপাদ্যও তা-ই ! হা হা হা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতিথি লেখক এর ছবি

আচ্ছা, জীবনের যাঁতাকলে পিষে মরে যেতে যেতে কোন বারাঙ্গনার কি কখনো কখনো মনে হয়েছে যে সচরাসচর তাকে যারা ব্যবহার করে তাদের সাথে সে রাজনীতি করে না। আর প্রায় কোন সময়েই স্বেচ্ছায় সে এই পথে আসে নাই। অন্যদিকে অই রাজনীতিবিদেরা বহুসময়ই যা করে তা প্রায় স্বেচ্ছা-বারাঙ্গনাবৃত্তি! অথচ তারাই পুরস্কৃত দিকে দিকে! কে জানে! বারাঙ্গনাদের থেকে আসা কোন কবি হয়তো কোনদিন জানাবেন আমাদের!
- একলহমা

রণদীপম বসু এর ছবি

শুনতে খুব তিক্তকঠিন হলেও এটাই বোধয় ঠিক যে, আমরা প্রত্যেকেই নিজের মধ্যে একধরনের বাবাঙ্গনাবৃত্তি ধারণ করি ! পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ও ধর্মের যাঁতাকলে পিষ্ট নারীদেরকে বারাঙ্গনা অপবাদ দিয়ে পুরুষ নিজেদের ঘৃণ্য ভণ্ডামি ও অসভ্যতাকে আড়াল করতে চাইলেও একজন নারী তখনই বারাঙ্গনা হয় যখন কোন পুরুষ তার নষ্টামিটা প্রকাশ করে। সেদিন এক বন্ধুকে কথাচ্ছলে বলছিলাম, প্রত্যেক পুরুষই প্রকাশ্যে বা মনেমনে সুন্দরী রমণী বা অন্যের বউকে ফুসলাতে পছন্দ করলেও নিজের বউটাকে একেবারে সতিসাধ্বী পেতে চায় ! ধর্মগুরু হিসেবে তেঁতুল-শফির বক্তব্যটা অরুচিকর হলেও ভাবগত বিষয়টা কিন্তু উড়িয়ে দেয়ার নয় ! হা হা হা ! এটা তো গেলো শারীরিক দৃষ্টিভঙ্গি, বুদ্ধিবৃত্তিক নমুনা তো ইদানিংকালের টকশোগুলোই, যেখানে বুদ্ধিজীবীর চেয়ে নিরপেক্ষ বুদ্ধিবেশ্যারই আধিক্য আমাদের সামাজিক গন্তব্যটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মন মাঝি এর ছবি

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে রাজনীতিক হিসেবে আওয়ামীলীগ যে বর্তমান বিএনপি-জামায়াতের ধারেকাছেও যেতে পারে নি, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে !!

আমার ইদানীং মনে হচ্ছে - রাখে। খুব ভাল ভাবেই রাখে! তাদের সাম্প্রতিক 'সন্তুষ্টিবোধ'-টা হচ্ছে গল্পের সম্রাটের সেই মহামূল্যবান অদৃশ্য পোশাকের মত। আর বেশি কিছু বললাম না, বুঝে নিয়েন বাকিটা!

****************************************

রণদীপম বসু এর ছবি

এখানেও একটা সমস্যা আছে ! গতকালই আমার এক বিএনপি-মনা বন্ধু আওয়ামীলীগের সমালোচনা করতে গিয়ে বললেন, আওয়ামীলীগ কেন ইত্যাদি ইত্যাদি এরকম করবে ! অর্থাৎ অন্যেরা যতোই ব্লেইমগেম খেলুক, আওয়ামীলীগকে সবাই নীতির অবতার হিসেবে দেখতে চায় ! অথচ নিজের ভোটটা কিন্তু আগেও আওয়ামীলীগকে দেয়নি, আগামীতেও দেবে না। হালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনই তার প্রমাণ। কিন্তু নীতির পরাকাষ্ঠা হয়ে যে রাজনীতি চলে না এটা নিজেদের বেলায় আঠারো আনা বিশ্বাস ধারণ করেন সবাই।

সেদিন কিসে যেন পড়লাম, গোআ'র রায়ে সন্তুষ্টিপ্রকাশের পরই একইদিনে সৌদিআরব চার লক্ষ বাংলাদেশির আকামা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে, এর আগে নাকি মাত্র সতের হাজার আকামা দিয়েছিলো। বিষয়টার সত্যাসত্য জানি না এখনো। তবে তথ্যটা যদি সঠিক হয়, একটু সন্তুষ্টি প্রকাশ করে যদি চার লাখ বাঙালির বিরাট অনিশ্চয়তা কাটানো যায়, রাজনীতিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর এই সন্তুষ্টিপ্রকাশকে কে কিভাবে দেখি সেটাও আলোচনা হতে পারে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমি গোআ'র ফাঁসির রায়ই আপিলে কামনা করছি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মন মাঝি এর ছবি

বিঃদ্রঃ আমি ব্যক্তিবিশেষকে নিয়ে আলোচনা করছি না, দল/গোষ্ঠীর কথা বলছি।
-----------------------------
নীতির অবতার বা পরাকাষ্ঠা হতে না পারা আর নীতির বালাই না থাকাটা কি এক কথা? যুদ্ধাপরাধী আর সেক্যুলারিজমের প্রশ্নে একটুখানি বালাই আছে বলে মনে করেছিলাম, এখন যদি দেখা যায় সেটিও আসলে নাই - তাহলে থাকল টা কি? আপনিই বলেন? টকশোয়ের মত তুলনামূলক নেতিতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা হতে পারে অবশ্য, কিন্তু সেটা যে কত নিস্ফল-অর্থহীণ-হঠকারী-হাস্যকর সেটা আপনি নিশ্চয়ই জানেন, কারন সেখানেও পার্থক্য তো আসলে কিছুই পাওয়া যাবে না শেষ পর্যন্ত।

অন্য দুই দলকে ধর্তব্যের মধ্যে ধরিনি কারন ওগুলি বলিউডের খুল্লম-খুল্লা নৃত্যপটিয়সীদের মতই বারাঙ্গনেব নৃপনীতিরনেকরূপা। উনারা যা উনারা তা-ই, তাদের সমর্থকরাও মনে হয় তাই চায়। লাভ ইট অর লিভ ইট। আর যাই হোক, ভণ্ডামি বা বহুরূপীতার দোষ বোধহয় তাদের দেয়া যায় না। প্রিন্সেস জরিনা বা মধ্যরাতের বেলি ড্যান্সারদের পক্ষে আর কিছু হওয়া সম্ভব না। তাদের শরীরে যেটুকু দৃশ্যমান নীতির সুতোর অবশিষ্ট ঝুলে থাকে - ওটাকে রাখতে হয়, ওটা ধরতে নেই, ওটাই বরং তাদের আকর্ষন আরও বাড়িয়ে তুলে। সমঝদার দর্শকরা সেটা জানে, তাই মাইন্ড করে না। সমস্যা হল সতী-সাবিত্রীদের নিয়ে, হঠাৎ যদি দেখা যায় এই দুই দলের মধ্যে আসলে কোন পার্থক্যই নেই - ভিত্রে ভিত্রে সবই এক, তখন কি হবে?! অন্যভাবে বললে আমার মতে এইটা অনেকটা ঐ সম্রাটের অদৃশ্য পোশাকের মতই - যেখানে একজন সম্রাট তার পোশাকের অদৃশ্যমানতাকে কার্যত স্বীকার করেই নিচ্ছেন নিঃসঙ্কোচ কার্যকলাপের মাধ্যমে, সেখানে আরেকজন সেটা অস্বীকার করার জন্য নানা-রকম নখরা করেই যাচ্ছেন। কিন্তু শেষমেশ উভয়ক্ষেত্রেই ফলাফল একই।

অনেকেই অনেকভাবে 'সন্তুষ্টি' প্রকাশ করেছেন। তারা এতই সন্তুষ্ট যে সেই সন্তুষ্টির তীব্রতায় মাত্র কয়দিন আগে যে গণজাগরণকে সোনার টুকরা চাঁদের কনার মত বাছারে আমার বলে কোলে তুলে নিয়েছিলেন, আজ এই কয়মাসের ব্যবধানেই নাকি চোখ উল্টিয়ে নিয়েছেন - রাস্তার পোলাপাইনের মত তাদের ধুর ধুর করে খেদিয়ে দিচ্ছেন। শুনেছি পোষ্যদের দিয়ে (যারা আগে ওদের সাথে ভিড়েছিল) নাকি ঠেঙিয়েও দিয়েছেন। সঠিক জানি না অবশ্য, মিথ্যা প্রচারও হতে পারে। তবে হোমো সাহেব এই নিয়ে খুব বাগবাগ হয়েছেন দেখলাম।

তবে মোদ্দা কথা হল, কারও সন্তুষ্টিবোধে আমার কোনই আপত্তি নাই। 'সন্তুষ্টিবোধ' খুবই ভাল জিনিষ - খুবই স্বাস্থ্যকর ও মহৎ ব্যাপার। এতে প্রচুর ভাইটামিন আছে। এটা মনে প্রশান্তি আনে, স্বাস্থ্যের উপকার করে, দীর্ঘজীবন দান করে। আমি তো সবারই শুভ কামনা করি। আর রাজনীতিকদের মধ্যে এই জিনিষটা নাজেল হলে তো সোনায়-সোহাগা - দেশটা স্বর্গ হয়ে যাবে! সুতরাং আমার কোনই আপত্তি নেই কারও সন্তুষ্টিবোধে। সমশ্যাসংকুল প্রশ্ন শুধু একটাই - সন্তুষ্টি-টা অর্জিত হল কিভাবে? এই প্রশ্নের কারন, এই সন্তুষ্টি প্রকাশের নির্দ্বিধতা, নিরঙ্কুশতা, তাৎক্ষণিকতা, নিশ্চিন্ততা এবং অনায়াস সাবলীল মধুর মসৃন ভঙ্গি দেখে এবং এর সাথে পূর্ববর্তী একই ধরণের ঘটনায় প্রকাশিত সম্পূর্ণ বিপরীত প্রতিক্রিয়ার সাথে এর অনিবার্য তুলনা করে এই নতুন সন্তুষ্টিবোধ অর্জিত হওয়ার পিছনে একটা প্রস্তুতিমূলক অন্তঃশীল প্রক্রিয়ার অস্তিত্ত্বের অনুমান কিছুতেই এড়ানো যাচ্ছে না। এর এমন কোন অর্জন-প্রক্রিয়া যদি থাকেই, তাহলে আমি কিছুতেই সেই প্রক্রিয়াকে সমর্থন করতে পারি না - প্রকাশের ফলাফল আপাতদৃষ্টিতে ভিন্ন কোন ক্ষেত্রে যতই ভাল লাগুক না কেন। এটা অনেকটা নাক দিয়ে নরুন পাওয়ার মত হয়ে যায়, যে নরুন আম্লকি না থাকলে এম্নিতেই পাওয়া যেত আপনার যুক্তি অনুসরণ করলে। এর জন্যে আম্লকির কোন দরকার নেই। পেলামটা কি তাহলে?

সুতরাং সন্তুষ্টিবোধের প্রকাশ ও অর্জন - এই দুইয়ের মধ্যে সম্পর্কের চরিত্রটাই অবধারিতভাবে নির্ধারণ করে দিবে এই 'সন্তুষ্টি' আমাদের জন্য - পুরো দেশের জন্য - কতটা স্বাস্থ্যকর হবে কিম্বা হবে না, আম্লকির জন্য সেটা যেমনই হোক। আর হ্যাঁ, এই সম্পর্কই নির্ধারণ করে দিবে আপিল হবে কি হবে না, কিম্বা হলে সেই প্রক্রিয়ায় আপিলকারীর কতটা কমিটমেন্ট থাকবে এবং ফলস্রুতিতে ফলাফল কি হতে পারে। সোজা কথায় এই সম্ভাব্য সম্পর্ক বা তার চরিত্রই নির্ধারন করে দিবে আপিল সংক্রান্ত আমাদের আশা ধন্য আশা কুহকিণী হবে কিনা !

****************************************

রণদীপম বসু এর ছবি

আপনার সাথে তো আমার দ্বিমত নেই ! আমার পোস্টই তো বলছে রাজনীতি মানে কী ! আমি বলতে চাচ্ছি, আমাদের কাঙ্ক্ষিত নৈতিকতাটা প্রচলিত কোন রাজনীতি থেকে পাচ্ছি না। কিন্তু মন্দের ভালো একটা তো আমাদেরকে বেছে নিতে হবে ! এবং আমাদের বেছে নিতেই হবে। সেই মন্দের ভালোটা কে ? অন্তর্গত উপলব্ধি আপনারও যা, আমারও তাই। কিন্তু এখন যে দুর্বহ কাল ! গরম তাওয়া না কি জ্বলন্ত উনুন, আর তো আপাত কোন অপশন নাই !
তবে তুলনামূলক বিচারে আওয়ামীলীগের সাথে কোন তুলনাতেই বিএনপিকে আনতে চাচ্ছি না আমি। আওয়ামীলীগের কাছে আমাদের চাওয়াটা যথেষ্ট বেশি বলেই হতাশাটাও তীব্র এই যা ! কিন্তু নাগরিক আমাদের নিরপেক্ষ অবস্থান আর রাজনীতিকদের টানাপোড়েনের অবস্থানকে এক করে দেখার কি উপায় আছে কোনো ? নিশ্চয়ই তাদেরকে অনেকগুলো নিয়ামককে সামলে নিয়েই আগামীর পথটা ঠিক রাখতে হয় ! হা হা হা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

আব্দুল্লাহ এ এম

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রণদীপম বসু এর ছবি

দূর ! সিরিজের নামটাই এখনো স্থির করে উঠতে পারছি না ! আমি খুব দুঃখিত যে, অতৃপ্তিবোধ নিয়ে বারেবারে সিরিজ-নামটা পাল্টাতে হচ্ছে !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

বারাঙ্গনার ন‌্যায় বহুরূপিনী

- সত্যিই তাই, আর রাজনীতিবিদরাও তাই।

রণদীপম বসু এর ছবি

হুমম ! সেকালেও যা, একালেও তা-ই !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।