(২৬১)
মানুষ তথাকথিত ঈশ্বর সম্পর্কে যা বলে
তা হচ্ছে মানুষের সৃষ্ট কল্পনা-গাঁথা; কারণ
অর্থহীন ঈশ্বর-জ্ঞান মানুষ হওয়ার জন্য অনিবার্য নয়।
.
(২৬২)
ঈশ্বর হচ্ছেন সেই অপ্রমাণিত সত্তা
যার ক্ষমতার উৎস মানুষের অরাজক অজ্ঞতা।
.
(২৬৩)
এবং ঈশ্বর হলো সেই অদৃশ্য পণ্য,
যে লেনদেনে পুরোটাই বিক্রেতার লাভ;
ক্রেতার ভাগে শূন্য।
.
(২৬৪)
ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থের মধ্যে পার্থক্যটা হলো-
ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে মুখোশ, ধর্ম হচ্ছে বাস্তবতা।
.
(২৬৫)
নিত্য প্রবহমান স্থির সত্যকে অনুসন্ধানই হলো দর্শনের লক্ষ্য;
বিজ্ঞানের কাজ হচ্ছে এই সত্যকে নির্ণয় এবং
তার কার্য-কারণ সত্তাকে ইন্দ্রীয়গ্রাহ্য বস্তুময় করে তোলা।
.
(২৬৬)
ধর্মগ্রন্থ দিয়ে বিজ্ঞানের সত্যাসত্য নির্ধারণ করা যায় না.
এটা ধূর্ত মতলববাজ আর পাগলের কাজ;
বরং বিজ্ঞানই পারে ধর্মগ্রন্থের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করতে।
.
(২৬৭)
প্রত্যেক মানুষই নিজের মধ্যে একধরনের মৌলবাদ লালন করে যায়।
নিজের মধ্যের এই মৌলবাদিতাকে যিনি আবিষ্কার করতে জানেন
তিনি আর মৌলবাদী থাকেন না। কারণ
সত্য হচ্ছে নিত্য-প্রবহমান স্থিরতা।
.
(২৬৮)
দর্শনের বিমূর্ত ঘরের দরজাটাকে খুলতে হয় যুক্তির চাবি দিয়ে;
মৌলবাদে যুক্তি থাকে না বলে
সে দরজাটা ভেঙে ফেলতে চায় তার যুক্তিহীন পাশবিকতা দিয়ে।
.
(২৬৯)
ন্যায়বোধ হচ্ছে সেই আপেক্ষিক চলক, যা
স্থান কাল পাত্র ও অবস্থা ভেদে পরিবর্তিত হয়।
.
(২৭০)
ক্ষুধা হচ্ছে মানুষের আদি ও অকৃত্রিম অভিজ্ঞতা, যা মানুষ গোপন করতে চায় না।
আর ক্ষুধার্ততা হচ্ছে সেই আদিম প্রবৃত্তি
যা মানুষ চাইলেও গোপন করতে পারে না।
.
…
[২৫১-২৬০][*][২৭১-২৮০]
…
মন্তব্য
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ত্রিমাত্রিক দৃষ্টিতে দেখলে এই সত্যতা আরেকটু বেশি করেই দৃষ্টিগোচর হয়, তাই না !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
..................................................................
#Banshibir.
সত্যের সাক্ষাৎ পীরই তো হাজির এখন ! হা হা হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হেহে সেটা তো বুঝতে পারছি না দাদা, সাধারণ চোখে কট্টুক সত্য ধরা পরে সেটা মেপে না বললে কমবেশি কী করে মাপি? এখন পীরসাহেব যদি কিচু বলেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
["প্রত্যেক ... ... থাকেন না।" "এটুকু থাকলেই ... ... আমার বাহুল্য মনে হচ্ছে।"]
সহমত
আর, প্রিয় ছাইপাঁশ, অনেকদিন আপনার কোন লেখা পড়ি না। অপেক্ষায় আছি।
- একলহমা
তথাস্তু !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
'নিত্য প্রবহমান স্থির সত্যকে অনুসন্ধানই হল দর্শনের লক্ষ্য ।
বিজ্ঞানের কাজ হচ্ছে এই সত্যকে নির্ণয় । '
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
আপনাকেও
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পড়ছি, জানছি, অনুধাবন করছি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদীপমদা,২৬৭ নম্বরটা ভালো বুঝিনি।বিশেষ করে ‘সত্য হচ্ছে নিত্য-প্রবহমান স্থিরতা’-এটুকু।বুঝতে একটু সাহায্য করবেন কী?
উপরে কমেন্টগুলো পড়ে আসলে নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে, আপনার না-বোঝা অংশটুকু অপ্রয়োজনীয় ! অতএব, ধরে নিতে হবে ওটা এডিটেড, অর্থাৎ বাতিল ! হা হা হা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অত্যন্ত খাটনি পড়ে গেল। আমি চাইছিলাম ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ে প্রথম ঘড়াটায় পৌঁছতে (সবরকম ভাবেই পিছিয়ে পড়াটা এখন আমার প্রকৃতি দাঁড়িয়ে গেছে)। দেখলাম ২৪১-২৫০ পর্যন্ত যাওয়ার পরে আর পিছনো যাচ্ছে না। লিঙ্ক কেটে রয়েছে। তখন আপনার এক্কেবারে প্রথম লেখায় গিয়ে সেখান থেকে একটানা পূর্বদিকে চলতে চলতে এক সময় প্রথম ঘড়ার কিনারে পৌঁছান গেল। কিন্তু এই লম্বা যাত্রায় তেল ফুরিয়ে গেছে। একটু জিরিয়ে তেল ভরে আবার ফিরে আসব।
- একলহমা
অনেক কষ্ট করে ফেললেন ! সহমর্মিতা জানাচ্ছি।
এতো কষ্ট না করেও আমাকে বললেই হতো, প্রথম লিংকটা ধরিয়ে দিতাম ! তবে হাঁ, পরিশ্রমে অর্জিত বস্তুর মাহাত্ম্যই অন্যরকম ! হা হা হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কয়েকটা বেশ লাগল, আপনার সাথে আড্ডা হবে এবার, নাস্তিক পণ্ডিতের ভিটাতে
facebook
মুক্তচিন্তায় নিকানো বাংলার এই স্নেহার্দ্র ভিটা তো আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে সবাইকেই স্বাগত জানায় ! এটাই এ মাটির হাজার বছরের ঐতিহ্য, নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। মেরুর ঔজ্জ্বল্য না থাকলেও তাতে আছে নরোম মাটির সোঁদা গন্ধ ! চলে আসুন, বেশ হবে !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সবকটা ঘড়ার বচন পড়ে এসে দেখছি এই পর্বের বচন সংকলনেই আমার পছন্দের সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যার পছন্দের বচন আছে!
যদিও কোন অর্থ নেই তবু ইচ্ছে করছে এই দুর্ধর্ষ উৎবচন গুলির মধ্য থেকে আমার পছন্দের সেরাগুলিকে এক জায়গায় নিয়ে আসার। এই তালিকা আরো বাড়তে থাকবে ভাবতে খুব-ই আনন্দ লাগছে।
(এখনো পর্যন্ত আমার পছন্দের সেরা ১৯:)
(৬৮)
আশ্চর্য হওয়ার ক্ষমতা মানুষকে স্বপ্নবান করে।
স্বপ্নবান মূর্খ স্বপ্নহীন জ্ঞানীর চেয়ে উত্তম।
(৭৮)
ঝুলন্ত ব্রা’কে পুরুষ দেখে স্তন, নারী ভাবে আব্রু।
(৮০)
সবাই নিজে নিজে একেকজন সাংঘাতিক নীতিবান মানুষ;
নিজের সাথে বনে না এমন সব নীতিই হয় অনীতি বা দুর্নীতি।
(৮১)
ভুল হচ্ছে সেই শুদ্ধতম সম্ভাবনা
যা মানুষের পছন্দের তালিকায় আসে না কখনোই।
(৮৩)
ভুলে যাওয়া কঠিনতম কাজ;
চেষ্টা করে হয়তো কোনকিছু মনে করা যায়,
কিন্তু চেষ্টা করে ভুলে যাওয়া যায় না।
(৯২)
মানুষের সার্বভৌমত্ব হচ্ছে- মানুষ হতে কোন ঈশ্বরের প্রয়োজন হয় না;
আর ঈশ্বরের অসহায়ত্ব হলো- মানুষ না থাকলে যার কোন অস্তিত্বই থাকে না।
(৯৩)
ধর্মের অক্ষমতা হলো- নিজেকেই ধারণ করতে অক্ষম সে;
স্রষ্টার অক্ষমতা- সৃষ্টের দাক্ষিণ্য ছাড়া তিনি অচল।
(১০৭)
প্রতিষ্ঠানের আকার যত বৃদ্ধি পায়,
কর্মীর মূল্য ততই কমতে থাকে।
(১২০)
প্রতিটা প্রাণীই নির্দিষ্ট স্বভাবে বৈশিষ্ট্যমান;
সতত পরিবর্তনশীল মানুষেরই কোন চরিত্র নেই,
কখনো সে সাপ, কখনো ছাগল, গাধা, কখনো পরাক্রমী বাঘ,
গণ্ডার বা অস্পৃশ্য শুকর।
(১৭৪)
ধর্মে নারীদেরকে কী কী দারুণ দারুণ অধিকার দেয়া হয়েছে
তা নিয়ে বিস্তৃত ব্যাখ্যা শোনা যায় তথাকথিত ধর্মগুরুদের রসতৃপ্ত বয়ানে।
কিন্তু পুরুষকে অনুকম্পা দেখিয়ে কী কী অধিকার দেয়া হয়েছে তা নিয়ে বলতে শুনি না।
গৃহের মালিক আর গৃহের উপকরণের মধ্যে এখানেই পার্থক্য।
(২০৪)
বিজ্ঞান-প্রদত্ত সমস্ত সুবিধা গ্রহণ করেও যখন ধর্মের ধ্বজাধারীরা
বিজ্ঞানের বিরুদ্ধেই যুদ্ধরত হন,
তখন বুঝতে হবে এদের নৈতিকতা ভণ্ডামোতে ভরা।
ভণ্ডামো দিয়ে মানবতার কোন উপকার হয় না।
(২১৩)
নারী পছন্দ করে সৃজনশীল ব্যক্তিকে,
কিন্তু জীবনসঙ্গী হিসেবে চায় গৃহী পুরুষ।
সৃজনশীল পুরুষ ভালো গৃহস্থ হয় না।
(২৫১)
নারী কোন স্ত্রৈণ পুরুষ পছন্দ করে না
কেবল নিজের স্বামীটিকে ছাড়া।
(২৫৮)
মানবিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার মধ্যে প্রধান তফাৎ হচ্ছে-
প্রদর্শিত মানবিকতায় ভণ্ডামোর মিশেল থাকতে পারে; কিন্তু
সাম্প্রদায়িকতা নিজ গুণেই খাঁটি।
তাই সাম্প্রদায়িক হলে মানুষ বিশুদ্ধ পশুতে পরিণত হয়।
(২৬২)
ঈশ্বর হচ্ছেন সেই অপ্রমাণিত সত্তা
যার ক্ষমতার উৎস মানুষের অরাজক অজ্ঞতা।
(২৬৫)
নিত্য প্রবহমান স্থির সত্যকে অনুসন্ধানই হলো দর্শনের লক্ষ্য;
বিজ্ঞানের কাজ হচ্ছে এই সত্যকে নির্ণয় এবং
তার কার্য-কারণ সত্তাকে ইন্দ্রীয়গ্রাহ্য বস্তুময় করে তোলা।
(২৬৭)
প্রত্যেক মানুষই নিজের মধ্যে একধরনের মৌলবাদ লালন করে যায়।
নিজের মধ্যের এই মৌলবাদিতাকে যিনি আবিষ্কার করতে জানেন
তিনি আর মৌলবাদী থাকেন না।
(২৬৮)
দর্শনের বিমূর্ত ঘরের দরজাটাকে খুলতে হয় যুক্তির চাবি দিয়ে;
মৌলবাদে যুক্তি থাকে না বলে
সে দরজাটা ভেঙে ফেলতে চায় তার যুক্তিহীন পাশবিকতা দিয়ে।
.
(২৬৯)
ন্যায়বোধ হচ্ছে সেই আপেক্ষিক চলক, যা
স্থান কাল পাত্র ও অবস্থা ভেদে পরিবর্তিত হয়।
- একলহমা
অপূর্ব ! কোন্ এক বাংলা সিনেমায় সেই ছাত্রকালে হয়তো একটা ডায়লগ শুনেছিলাম- 'মামা, তুমি চলো ডালে ডালে, আমি চলি পাতায় পাতায় !' হা হা হা ! এবার যথার্থ চালুনির পাল্লায় পড়েছি মনে হচ্ছে !
দু'তিন বছর আগে হবে, কোনো এক অনুষ্ঠানে আমাদের সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের একটা বক্তব্য মনে দাগ কেটেছিলো। তিনি অবশ্য কবিতা প্রসঙ্গেই কথাটা বলছিলেন। একজন কবি দশটি মানসম্পন্ন কবিতা লিখলে যদি একটি ভালো হয়, আবার এভাবে দশটি ভালো কবিতার মধ্যে যদি একটি অধিকতর ভালো হয় এবং সেই দশটি অধিকতর ভালোর মধ্যে যদি একটি শেষ্ঠ কবিতা হয়, তাহলে তিনি সফল কবি। আর যদি তিনি গোটা জীবনে এরকম দশটি শ্রেষ্ঠ কবিতা লিখতে পারেন, তাহলে তিনি কালোত্তীর্ণ হয়ে যান ! কথাটা খুবই মনে ধরেছিলো। কিন্তু ভেবে দেখলাম, গুনিতকের হিসাবে এরকম দুঃসাধ্য কাজ আমার দ্বারা সম্ভবই নয় কখনো !
কিন্তু আপনার এই কষ্টসাধ্য ছেঁকে তোলার কাজটাতে বেশ কৌতুহলি হয়ে থাকলাম, শেষপর্যন্ত আদৌ কিছু অবশিষ্ট থাকে কিনা দেখতে ! হা হা হা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
শেষ পর্যন্ত! শেষ! পর্যন্ত!
কালের গহ্বরে মিলাবে রত্নের রাজি। / অবহেলে ডলে পিষে / কাল তারে পিন্ড করে রেখে দেবে / কোন এক সুবর্ণ সকালে / গড়ে নিতে নুতন রত্নের হার / সযতনে, আমূল ধ্বংসের বীজ / ভরে দিয়ে গহীন গোপনে তার / এই জ্ঞান, এই সেই মহাবোধি / সারাৎসার চেতনার! / শূণ্য থেকে শূণ্যময়ে পূর্ণ হোক, পূর্ণ হোক, পুর্ণ হোক!
আমি শুধু এই আনন্দেই আপ্লুত যে আমার পছন্দের কথাগুলো কেমন মজায় অনায়াসে পেয়ে যাচ্ছি ঘড়ায় ঘড়ায়!
- একলহমা
ভুল জায়গায় পোস্টাইছিলাম। এইবার ঠিক কইরা দিলাম
- একলহমা
কেবল জানলাম যে একটা ভুল হইছিলো ! কিন্তু কী ভুল হইছিলো তা-ই জানলাম না !!
হা হা হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
২৬ নম্বরের পোস্টটা ২৭ নম্বরে এসে গেছিল। সেইটা ঠিক করে দিয়েছিলাম।
- একলহমা
নতুন মন্তব্য করুন