আমার একটা আকাশ ছিলো
সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে
সারা দুপুর উড়ে উড়ে
আকাশটাকে আলতো ছেটে
ভাঁজ করে নিই বুকপকেটে
কেউ জানেনা পকেটে এক স্বপ্ন ছিলো।
আমার কিছু জোছনা ছিলো
সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে
জোনাক রাতে ঘুরে ঘুরে
জোছনাগুলো মেখে নিতাম
শরীরটাকে ডুবিয়ে নিতাম
কেউ জানেনা বুকের ভেতর কষ্ট ছিলো।
আমার একটা নদী ছিলো
সবাই যখন ঘুমের পাড়ে
হারিয়ে যেতো চুপিসারে
তখন আমি- আলতো করে জল নাড়াতাম
নদীটাকে ঘুম পাড়াতাম
কেউ জানেনা চোখের তারায় বৃষ্টি ছিলো।
আমার কিছু দুঃখ ছিলো
কেউ জানেনা কখন কেমন
দুঃখরা সব বৃষ্টি হয়ে
সবুজ পাতায় ছড়িয়ে গেলো।
…
(০৩/১২/২০০৬)
…
[ প্রকাশিত : কিশোর-কবিতা গ্রন্থ- 'খোকার জানালা', একুশে বইমেলা ২০০৮]
মন্তব্য
আমার কিছু দুঃখ ছিলো
কেউ জানেনা কখন কেমন
দুঃখরা সব বৃষ্টি হয়ে
সবুজ পাতায় ছড়িয়ে গেলো।
হুমম !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাদা আপনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেলাম।
আপনাকেও
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কবিতা ভাল লাগলো কিন্তু শিরোনামটা গুণ কাকার একটা প্রিয় কবিতা প্রথম লাইন বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছে
facebook
আমি যদিও মনে করতে পারছি না, তবে এটাই মনে হয় ভাবনার ঐক্য !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হুমম !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সারা দুপুর উড়ে উড়ে
আকাশটাকে আলতো ছেটে
ভাঁজ করে নিই বুকপকেটে ।।
ভাল লাগছে কবিতা ।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
ধন্যবাদ কবি !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমার একটা নদী ছিলো
সবাই যখন ঘুমের পাড়ে
হারিয়ে যেতো চুপিসারে
তখন আমি- আলতো করে জল নাড়াতাম
নদীটাকে ঘুম পাড়াতাম
কেউ জানেনা চোখের তারায় বৃষ্টি ছিলো।
আমার কিন্তু এখনো আছে নদীটা! মাঝে মাঝে আমি বসে থাকি তার পাশে। আর তাকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে কখন যেন নিজেই ঘুমিয়ে যাই।
- একলহমা
আসলে আমাদের প্রত্যেকের বুকের মধ্যেই এরকম একটা নদী আছে। ওই নদীটা যখন যা করে আমরা সেটাই প্রতিবিম্বিত করি মাত্র ! মানুষের মধ্যেই নদীর স্বভাব !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এই কবিতাটি যখন লিখছিলেন তখন নিশ্চয়ই আপনার ছেলেবেলায় মনটাতে ফিরে গিয়েছিলেন, তাই না? সেই আবেগ, সেই অনুভূতি! এখানেই কবির করিশমা।
____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।
আমরা কি আসলে নিজের মধ্যে সেই ছেলেবেলাটা ধারণ করেই বড়ো হয়ে ঊঠি না ! ভেতরে ডুব দিলেই তো আমরা সেই ছেলেবেলাতেই ফিরে যাই। সেই কৈশোর-নদীটার আন্দোলনই তো আমাদের আসল জীবন ! যিনি যতো বড়ো ডুবুরি তিনি ততো বেশি নস্টালজিক হয়তো !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমিও মনে হয় নির্মলেন্দু গুণের লেখা এই শিরোনামের কোন কবিতা পড়েছিলাম, ঠিক মনে নেই। যাহোক, কবিতাটি পড়ে মন জুড়িয়ে গেলো।
-এস এম নিয়াজ মাওলা
মানুষের কষ্টের ভাষার মধ্যে আসলেই একটা ঐক্য থেকে যায়। হতে পারে আমি যখন এ লেখাটি লিখছিলাম, তখন হয়তো পৃথিবীর অন্য কোথাও অন্য কেউ এরকমই আরেকটি লেখা তৈরিতে ডুবে গিয়েছেন হয়তো বা অন্য কোন ভাষায়, যার আপাত সন্ধান আমরা জানিই না ! গুণ দা'র কোন লেখাটায় এই শিরোনামের ঐক্য এসেছে তা খুঁজতে হবে।
অবশ্য আমার এই লেখাটাও সৃষ্টি হয়েছে প্রায় সাত বছর আগে, যা ২০০৮ এর বইমেলায় কিশোর-কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্তও হয়েছে, তা পোস্টের নিচেই বলে দিয়েছি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
চমৎকার লিখেছেন রণদা।
-নিয়াজ
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মরণরাঙ্গা জন্মের ঘটনা
-------------------------
গুড়গুড় মেঘ ফেটে আজ চাপা মৃত্যুর উত্তাপ লাফাতে
পারে, লজ্জায় লাল হতে পারে লাশ কাটা ঘরে আগন্তক
বেশ্যা প্রেম, অবুঝ শংকায় ধেয়ে আসতে পারে বালুচরে ঢাকা
শূণ্যতার দৌড়ঝাপ
দুঃখ মেখে আমরণ দক্ষিনে ছুটতে পারে
ভুমিষ্ঠ সন্তানের ঘুম, ক্ষান্ত হবো না
বেহিসাবী বজ্রপাতে কিছু কবিতার মুন্ডুপাত
হলে হতে পারে,
সাম্প্রদায়িক কাঠগড়ায় কবি হয়ে দাঁড়াবো না,
পূর্বাঞ্চলে অনাথ পাখিরা
একে একে আজ মরে যেতে পারে
নতুন কিছু নয়।
গা থেকে পুরুষের চামড়া খুলি
একই ঘটনা মধ্য রাতের অপবিত্র আব্রু খুলে অনেকবার দেখি
গুপ্ত-ঘরে বখাটে রোদের সাথে বন্ধুত্ব, হৃদ্যতার
লাইসেন্স খামারবাড়ির বাড়ির অদূরে
একে একে আত্ম-হত্যা করে
নতুন কিছু নয়।
এক হাঁড়ি সরীসৃপ জোসনা নিয়ে আজ অবিভক্ত হ্রদয়ে
ক্ষমা আর স্বীকৃতির ছোবল দেব, অভিশপ্ত জন্মের
ঘটনা মরণরাঙা জলে জ্বলছে জ্বলবে, জন্মাবধি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
লাস্ট চারটে লাইন,খুবই সুন্দর হয়েছে।।দ্বিতীয়বার পুরোটা পড়তে যেয়ে মনে হলো ঠিক এমন করে তো আমিও ভাবি,তাহলে কি কবি আমার মনটা পড়ে নিয়ে আমারই মনের কথা সুন্দর ছন্দে সাজিয়ে নিয়েছেন??যাই ঘটে থাকুক,কবিতাটি বার বার পড়ার ইচ্ছে জাগে।।
আমাদের সবার গোপন ও মোহন কষ্টগুলো তো একরকমই ! হয়তো এর উচ্চারণটা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়, এই তো !
অনেক ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মানা না শুনে বড় হওয়া সত্ত্বেও ঢুকলাম, আর মন্তব্য লেখার আগেই কৈশোরে ফিরে গেলাম - এই জন্যই কি বড়দের জন্য নয় লিখেছেন, যে বড়রা পড়তে শুরু করলেও ছোট হয়ে যাে?
--- মনে পড়িয়ে দিলেন রে ভাই।
____________________________
বড় হওয়ার কষ্টটুকু কী জানি জেঁকে বসে, তাই আগেই সাবধান করিয়ে দিতে চেয়েছিলাম ! কিন্তু কিসের কী ! দুরন্ত কৈশোর কি আর সেসব মানে ! ঢুকে তো গেলেন ঠিকই ! হাহা হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দারুণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ।
(কিন্তু আপনারে নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে আচমকা সচল বানাইলো কোন্ মডু ! রতন-মডুও কি ইদানিং স্বজন-প্রীতিতে হাবুডুবু খাচ্ছে ! হা হা হা ! নতুন ল্যাপি নাকি ?)
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমার কিছু দুঃখ ছিলো
কেউ জানেনা কখন কেমন
দুঃখরা সব বৃষ্টি হয়ে
সবুজ পাতায় ছড়িয়ে গেলো।
বাহ কবি, খুব ভালো লেগেছে।
স্বয়ম
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নতুন মন্তব্য করুন