। এক জোড়া ঠোঁট ।
ক্যাটেগরি:
...
তখনো কি জানতাম-
একজোড়া ঠোঁট মানে একরাশ নিঃসঙ্গতা শুধু !
ঢিল ছুঁড়ে যতোই ঢেউ ভেঙে যাই, রূপশ্রীর স্থির জলে ঘোর লাগা মানে
বুকের ভিতরে গুম হয়ে থাকা কিছু অচেনা দীর্ঘশ্বাস !
দুপুরের ধু-ধু মাঠ দূরে আঁকা আবছা নীল পাহাড়ের রেখা মানে
চোখের কোণে জুড়ে বসা একাকী নির্জন ব্যথা !
তখনো কি জানতাম- অন্ধকার মানে শুধু অন্ধকার নয়
একেবারে অন্যকিছু, অন্য কোনকিছু !
ইরেজারবিহীন সেই পেন্সিলটা যদি ফিরে পেতাম আবার
চেপে থাকা দুর্বহ নামটা তাঁর একটানে কেটে দিয়ে
ঘষে ঘষে ঢেকে দিতাম সব, নীলুদি’র মতো
কতকিছুই তো হারিয়ে যায়, ওটাও হারিয়ে গেছে শৈশবের সাথে।
বাঁ-গালের মধ্যিখানে লেপ্টে থাকা কালো তিলটা দেখে
এখন আর চমকায় না কেউ। ইচ্ছে হয় জানতে খুব, কেউ কি চমকেছে কখনো?
আচমকা সেখানে আমার জোড়া-ঠোঁট এঁকে দিয়ে
বুঝি কৌতুক করে নীলুদি বলেছিলো- আমাকে তুই সত্যি ভালোবাসিস?
বলতে না বলতেই চোখ দুটো হঠাৎ কেমন যেন হয়ে গেলো তাঁর-
একপাশে লাল আর একপাশে নীল প্রিয় রঙপেন্সিলটা
আমার দিকে ছুঁড়ে দিয়েই বাতাসে ফ্রক উড়িয়ে এক দৌঁড়ে হারিয়ে গেলো।
সেদিনও কি জানতাম, ভালোবাসা শব্দটা গোলমেলে খুব !
নড়বড়ে সাঁকোটা পেরিয়ে পরের দিন ওবাড়ি গিয়ে দেখি- কেউ নেই,
ভাঙা তুলসিতলার পাশে বিবর্ণ ফাঁকা বাড়িটা কিরকম যেন, একেবারে অন্যরকম !
নীলুদি’রা চলে গেছে ! কোথায়, কেন !
‘আমাকে তুই সত্যি ভালোবাসিস?’- চমকে উঠে কতোবার, ওই বুঝি নীলুদি এলো !
টের পাই ছুঁয়ে থাকা একজোড়া ঠোঁট, আমার বাঁ-গাল জুড়ে !
(১২-০৮-২০১৪)
মন্তব্য
মুগ্ধপাঠ!
।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”
অলীক জানালা _________
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মাসুদ সজীব
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
হুমম ! অন্যকিছুই !! ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
শুধু শব্দটাই নাকি বিষয়টাও!
ধন্যবাদ। বিষয় তো শব্দার্থের মধ্যেই হুটোপুটি খায় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নীলুদি’রা শুধু চলে যায়! কারা যে তাদের নিয়ে চলে যায়!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এখনো প্রতিদিনই কতো কতো নীলুদি'রা চলে যাচ্ছে, অজানা গন্তব্যে নতুন ঠিকানায় উন্মূল হয়ে !
শেকড় না ছিঁড়লে শেকড় হারানোর ব্যথা মানুষ বোঝে না।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভালো লেগেছে রণদীপম দা। এখন থেকে নিয়মিত কবিতা লিখবেন আশা করছি।
গোঁসাইবাবু
সেই কোন এককালে তো কবিতার মানুষই ছিলাম। এটা শিকড়ে টান ! কিন্তু নষ্ট-স্বভাবে পড়ে বারোয়ারি বৈঠকখানায় ঢুঁ মারার অভ্যস্ততায় এখন বুঝি শিকড়টাকেই অবজ্ঞা করছি। এই আর কি !
কবিতা-চর্চক হয়েছি, লিখতে পারি না এখনো। মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
***
বেপার দেখি সত্যিই গোলমেলে! 'নীলুদি' বলা হচ্ছে, আবার পেমও হয়েছে(ছিল?)
এতসব গোলমেলে তথ্য বৌদির জানা আছে তো? ফুন নাম্বার দেন তাঁরে জানান দেই
বড় হয়ে গেলে তখন শৈশবের হারানো কোন স্মৃতি-বৈভব কিংবা শৈশবের বিশেষ ভালোলাগাটা বোধ করি গোলমেলেই হয়ে যায় আসলে। বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে, এই অনুভূতিটা উর্ধ্বমুখী থাকে বলে।
আর আমার প্রথম পাঠক হিসেবে আপনার বৌদির চোখে অব্যাখ্যাত ঈর্ষার রঙটুকু অবশ্য চিনতে ভুল হয়নি। যাকে নির্ভর করি সে যদি কষ্টের কিছুটা ভার নিতেই না পারে তো সমসঙ্গি হয় কী করে ! হা হা হা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
facebook
ধন্যবাদ অণু।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এক জোড়া ঠোঁট মানে তো নিঃসঙ্গতাই। নিঃসঙ্গতা কাটাতে গেলে এক জোড়া নয়, দুই জোড়া ঠোঁট লাগে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তাইতো সেই হারানো জোড়ার জন্য এতো আকুতি ! যে দিয়ে গেছে, কিন্তু দিতে তো পারি নি ! হা হা হা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দুই জোড়া ঠোঁট নিঃসঙ্গতা রেখে যায়নি কি কোনদিন?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
খুব ভাল লাগল রণদা। নীলুদিরা শুধু চলে যায়, রেখে যায় একজোড়া নিঃসঙ্গ ঠোঁট।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভালোবাসা শব্দটা গোলমেলে খুব !
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
সন্দেহ আছে রেজওয়ান ভাই ?
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ভাল লাগল ৷
ধন্যবাদ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সে এক মোহন গরল—ভালোবাসা—নীল অঙ্গুরীয়
আমাকে সে নিঃস্ব করে গেছে, হয়েছে নিজেও!
কবিতা খুব ভালো লাগলো!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নিঃস্ব করা এবং হওয়ার জন্য ধন্যবাদ। হা হা হা !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনবদ্য আবেগের মূর্ছনা।
(ক্লান্ত কালবৈশাখি)
নয় বছর পরে আবার পড়লাম। এবং আবারও সেই হাহাকার টের পেলাম।
পুনশ্চঃ ট্যাগ থেকে 'অকবিতা' বাদ দেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
রণদার এত সুন্দর একটা কবিতা মিস করে গিয়েছিলাম।
পাণ্ডবদাকে অনেক ধন্যবাদ পুরোনো হাহাকার তুলে আনার জন্য।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নতুন মন্তব্য করুন