যে আমি দু’কদম হাঁটলেই ভীষণ ক্লান্ত হয়ে যেতাম,
অথচ প্রভাতফেরির উন্মুখ সচল ভীড়ে হাঁটতে হাঁটতে...
এক বিস্ময়কর উত্তেজনায়
একটুও কষ্ট হতো না আমার।
দু’পাশ আগলে রেখে বাবা আর মা,
মনে হতো
মাঠ-ঘাট-নদী-বন বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত পেরিয়ে
অনায়াসে যেতে পারি হেঁটে- কুয়াশা-সুদূর ওই-
আকাশের নেমে আসা প্রান্ত-সীমায়।
দু’হাতে মুঠোয় ধরা স্মিত-রঙ ফুলের স্তবক-
গুটি-গুটি-পায়ে হেঁটে যাই ছোট্ট আমি,
পাশে বাব...
যাদের সাধ নেই সাধ্য নেই, এমন বিমূর্ত তাদের ক্ষেত্রে কারো বলার মতো কিছু আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে যাদের সাধ আছে সাধ্যও আছে, এরা নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান। সাধ'কে সাধ্য দিয়ে রাঙিয়ে শুধু নিজকেই নয়, সবাইকেই তৃপ্ত করার সামর্থ রাখেন এরা এবং অনেকে করেনও তাই। অথচ যাদের সাধ্য আছে সাধ নেই, সম্ভবত এরাই দুর্ভাগা, যদিও নিজেরা তা বুঝেন বা মনে করেন কিনা জানি না, অথবা এরকম কোনো মানব-সত্তা আদৌ আছে কিনা ...
দেখতে যে যায়, চমকে ওঠে- এই চেহারা কার !
কোত্থেকে এক আয়না এলো বিদঘুটে কারবার !
করিম সাহেব আঁৎকে ওঠেন ছাগল বিম্ব দেখে,
নাকের আগায় শিং দেখে কি অবশেষে
বসলো হোসেন বেঁকে -
এই ছবিই আমার ?
থলথলে এই ঝুল-চামড়ায় আমি কি গণ্ডার !
আহারে তুই থাম্ না হোসেন, মীম’কে দেখতে দে-
দুই-মুখো এক সাপ দেখে মীম ফিচকে ওঠে কেঁদে।
যদুটাকে জানতো গাধা সবাই মোটামুটি
তাই বলে কি
শেয়ালমুখো টম’কে দেখে হেসেই কুট...
ছেষট্টি বা ষোলই বলো-
শিকার কে-না হয়!
ষোড়শিনীর বাঁকা হাসি-?
পেলেই ‘খবর’ হয়!
বয়সটা হয় ছেলের যদি
ষোলো কি আঠারো-
শর্ট সার্কিটে হাসির ওয়েভ-!
বাজলো ছেলের বারো!
আর যদি হয় এলোমেলো
বয়সটা চব্বিশ,
খুইয়ে যাবে দিশ-
হাসির ভেতর পাবেই খুঁজে
পুটলি ভরা বিষ!
কিন্তু যদি কানে কানে
বয়সটা হয় ত্রিশ-
বুক করে নিশপিশ
কড়কড়ে নোট থাকলে জেবে
হাসি তো কিসমিস!
ছত্তিরিশ আর বেয়াল্লিশে
কোনই ফারাক নাই
হাসির খোঁচা...
‘উঁহু, এটা নয়, ওইটা এখানে !’
‘হাঁ হাঁ, এটা ঐদিকে !’
ছিন্নভিন্ন দেহাংশগুলো সাজাতে সাজাতে
সন্ত্রস্ত ফিসফিসানিগুলো গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে।
পিতার বন্ধুদের সংখ্যা কমতে কমতে সামান্য ক’জনে এসে দাঁড়িয়েছে,
কী আশ্চর্য ! ‘কোলে এসো’ বলে একবারও হাত বাড়ালো না কেউ !
‘কিন্তু এই জায়গাটা খালি যে !’
এমন অদ্ভুত প্রশ্নের নিরুত্তর মর্ম খুঁজে তন্নতন্ন হয় একজোড়া শৈশব আকাশ,
‘আয় বাবা বুকে আয়’ ডাকে যে...
মাছুম শিশুদের দিকে বর্বর মারণ-অস্ত্রগুলো নির্বিচার তাক করার আগে
কী আশ্চর্য, একবারও ভাবলো না ওরা, অভিধান থেকে পশুরাও
মুছে না শৈশব ! বাড়ন্ত শৈশবে পৌঁছার আগে
উষার আলোয় রাঙা জীবনের কাছে নতজানু হয়ে পশুরও বৈধ মাতৃজরায়ু থাকে।
বারুদের গন্ধ ঠাশা অবৈধ ধূলোমেঘে ঢেকে যাওয়া গাজা’র আকাশ
কীভাবে ফিরিয়ে দেবে মানুষের অপসৃত বৈধ পরিচয় !
ভদ্রমহোদয়গণ, জান্তব ট্যাঙ্কের চাপায় থেতলে দেয়ার আগে মান...
[রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধ
এই সে বধ্যভূমি। ১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ের উষালগ্নে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার আলবদর বাহিনীর বাঙালি-বুদ্ধিজীবী নিধনের এ সেই স্থান। এখানেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বাঙালি জাতির বিবেক, চেতনা, মননশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক- এ মাটির শ্রেষ্ঠ সন্তান- বুদ্ধিজীবীদের। পরিত্যক্ত ইটের ভাটার এ বধ্...
আসন অবস্থায় মাথা হাঁটুর উপর রাখতে হয়, তাই আসনটিকে বলা হয় জানুশিরাসন (Janushirasana)| এ আসনের একাধিক পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে।
# জানুশিরাসন-(ক)
পদ্ধতি:
সামনের দিকে পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। ডান পায়ের হাঁটু ভেঙে গোড়ালি দু’পায়ের সংযোগস্থলে রাখুন। ডান পায়ের পাতার নিচের দিকটা বাঁ উরুর সঙ্গে লেগে থাকবে। বাঁ পা পূর্বাবস্থায় সামনের দিকে ছড়িয়ে থাকবে এবং হাঁটুর নিচের দিকটা মেঝের সঙ্গে লেগে থাকবে। এবা...
বাণিজ্য মেলায় গিয়ে বোকারা জগৎ সংসার ভুলে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আর আমার মতো বুদ্ধিমান যারা, তার তখন হ্যাবলার মতো চেয়ে থাকে স্টলগুলোর দুর্দান্ত বাহারি সব ডিজাইগুলোর দিকে।
বাণিজ্য মেলাতে গিয়ে কিছু কেনার চাইতেও বুদ্ধিমানদের আকর্ষণ যে ওই বাহারি স্টলগুলোর দিকে, তার কারণ হলো দু’টো। চাইলেও কেনাকাটা করার সংগতিশূন্যতার বোধ ডিস্টার্ব ক...