তার পায়ে আলতার রং মুছে যেতে থাকলে
জানতে পারি আজ তার রঙিন দিন ছিলো।
চারপাশ নিকষ শুস্ক। তার আলতা এলোমেলো কী করে?
সে কাঁদছে তাই?পা ভিজিয়ে দেয় চোখের জল?
সে হাত দিলে সাদা কাগজ পদ্ম হয়ে যায়।
সে কালি ছুলে লেখা গুলো পদ্য হয়ে যায়।
তার অশ্রুতে সারা শহর আল্পনা।
তার বদলে তার পা রংহীন হয়।
আমি ভয় পেয়ে যাই।
ভীষন ভয় পেয়ে যাই।
তার আলতা মুছে গেলে লাল ঠোঁট টিয়া কোথায় যাবে?
ভয় পেলে আমার কথা বলা রোগ হয়।
ভীষন ভয় পেলে গল্প বলা অসুখ।
আমি কিলবিল করে গল্প বলা শুরু করি।
জানো,
একবার একটা ছেলে আর মেয়ে উঠলো নিলয় পাহাড়ে।
বিভীষন রোদে পায়ে হেটে রাস্তা ছেলেখেলা তখন।
তখন বেলা পাঁচটায় ঘরে ফেরা বিষম বাহাদুরি।
পাহাড় থেকে নামতে পা গুলো কেমন এলেবেলে ছোটে
নীচ থেকে সবাইকে লাগে কেমন শোলার পুতুল
সেই গবেষনায় ব্যস্ত মেয়ে হঠাত দাড়িয়ে পড়ে গাছ দেখে।
গাছতো না। ফুলের ব্যান্ডেজ প্যাচানো দেহ একটা।
মেয়ে শপথ করে
ঐ গাছকে তার থেকে ঐশ্বরযশালী সে হতে দেবে না কোনমতেই। অনেকগুলো ফুল তার চাই ই চাই।
ছেলে টা বিরক্ত হয়। মেয়েটার নেই ভাবান্তর।
সেতো জানেই ছেলেটা তার ইচ্ছেপুরণের ভাষান্তর।
গাছমালিকের মেজাজচোখ অগ্রাহ্য করে গাছে চড়ে ছেলে।
মেয়েটা তার চেষ্টা কে পাত্তা দেয়া ভাবে অতিরিক্ত।
বরং নীচ থেকে হাসতে হাসতে বলে
"তোকে একদম বানরের মতো দেখাচ্ছে"।
গল্প টা বলে ভাবি খুব বুদ্ধি হলো
এবার সে হাসবে।
সেই ফুলবতী মেয়েটার মতো খিলখিল হাসি।
সে হাসে না। বরং নাচ শুরু করে।
তার পায়ের আওয়াজ
হার মানায় ঘুঙুরত্ব
সে নাচতেই থাকে।
নাচতে নাচতে তার পা ফেটে নামে রক্ত।
তার এলোমেলো পা হয় আলতাময়।
আমি আশ্বস্ত হই।
আলতা এবং শহর আবার নিরাপদ হলো
[শুভ জন্মদিন গৌরী।
যে আমারে দেখিবারে পায়
অসীম ক্ষমায়]
মন্তব্য
শুভ কামনা গৌরিশ
---------------------------------------
সঙ্গ প্রিয় করি,সংঘে অবিশ্বাস
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সে আসে ধীরে ,
যায় লাজে ফিরে ।
রিনিকি রিনিকি রিনিঝিনি মঞ্জু মঞ্জু মঞ্জীরে
রিনিঝিনি - ঝিন্নীরে
শুভেচ্ছা গৌরী !!
শুভ জন্মদিন গৌরি, কেমন আছিস বন্ধু আমার?
রানারে স্বাগতম। শেষ পর্যন্ত লিখলি। এবার গাড়লটারে ধর। একটু নেট মুখি হতে বল। তার দু-একটা লেখা আমরা মনে হয় পড়তে পারি। পাঠক আমরা খারাপ নই।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
''আমি আশ্বস্ত হই।
আলতা এবং শহর আবার নিরাপদ হলো''
.......................................
ধন্যবাদ রানা
শুভজন্মদিন গৌরিশ
...................প্রীয়ক
উত্তীয় - অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে
গৌরীর এইসব লেখা খুব পছন্দ।
নজমুল - গাড়লের একটু টাকা পয়সা হোক
(মানে ইন্টারনেটের খরচ তোলার মতো)।
প্রীয়ক - অসংখ্য ধন্যবাদ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা
অসাধারন , এক নিমিষে ৯৬-৯৭, খুব সুখকর অনুভূতির পর কেন জানি কষ্ঠের অনুভূতি জন্মে। তবু সাঁকোটা দুলছে , এই আমি তোর কাছে , তোর কাছে ।
মোরশেদ ভাই, তোমার সাথে যোগাযোগ হয় না কিন্তু তোমার লিখার সাথে প্রতিনিয়ত।
আলবাব স্যার , আপনের লগে কাইলকা না খেজুইরা আলাপ হইল , আবার এইহানে জিগান কেমুন আছি ? মিয়া মাসকারা করেন ?
প্রীয়ক - অসংখ্য ধন্যবাদ
এেত্তা ভাল েকউ িলখেেল তােক িকছু বলা উিচত না, ধণ্যবাদ আর শুভ কামনা ছাড়া। আেরা িলখূন, ভাল ভাল িলখূন।
অগ্রভাগে গল্প শিরনাম আর বিষয় মনে হলো অতি ব্যক্তিগত। যাই হোক লেখাটি ভাল
রানা,আপনার লেখা আগের মতই অসাধারন!
গৌরী,বন্ধু আমার,ক্ষমা করিস,ভুলে যাই তোর জন্মদিন বারবার!আমি আছি ভালো,কেটে যাচ্ছে দিন,সচলায়াতনে আজি প্রথম।শুভ কামনা দিস, র আমার লেখায় মন্তব্য চাই।ভাল থাক তোরা।
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
এই কবিতাটা (নাকি গল্প? ট্যাগে তো তাই দেয়া ) আমার অসম্ভব পছন্দ হয়েছিল প্রথমবার পড়ার পর পরই। আমার ধারণা ছিল কমেন্টে সেই ভাল লাগাটা আমি জানিয়েও গিয়েছিলাম। কিন্তু এতদিন পর এসে দেখি একি!
যাইহোক, আজ তার প্রায়শ্চিত্ত করে গেলাম।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ওরেবাবা।
তারেক জিয়া (যুবরাজ) আর স্বপ্নাহত এই লেখায় কবে ঢুকলো?
দুজনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আবারও একই প্রশ্ন করে যায় রানা আপু, আপনি কেন লেখেন না?
অলস সময়
নতুন মন্তব্য করুন