দেশ ছাড়ার আগে জমানো সব চিঠি পড়েছিলাম একবার দুবার বারবার। নাহিদের বাবা একটা চিঠি লিখেছিলেন। কী অসাধারণ একটা চিঠি। শুরুটাই ভীষন মজার।
"উড়ো চিঠি উড়ো লিখছে এক বুড়ো
চেনাজানা কম হলেও দেশাচারে খুড়ো"
একটা ছোট্ট নোটবুক।লিমি কিংবা রোজীর লেখা
"ছাদ তারা সূর্য নও তুমি
তুমি এক গাধা রানা"
তখন মোবাইলে একমিনিট কথা বলতে সাতটাকা লাগতো। তারও আগে যখন আমাদের মোবাইল ছিলনা। যখন জানতাম প্রান্তিকে কিংবা পঙ্খীভাইয়ের দোকানে গেলে বন্ধুদের পাওয়া যাবে অথবা তাদের কাছে খবর পৌছে যাবে ঠিক তখন আমরা দশটাকা রিকশা ভাড়ার দুরত্বে চিঠি লিখতাম। কদিন মাত্র অপুর সাথে যোগাযোগ হয়নি। অপু বর্ষায় ঝুপ করে নামা সন্ধ্যার মতো একটা চিঠি লিখলো
"এভাবেই সৃষ্টি হয় দুরত্ব
এরপর স্মৃতি। স্মৃতির মৃত্যু"
রিপন দার সাথে হঠাত রাস্তায় দেখা হয়ে যাওয়া।হাতে দুটো হলুদ খাম ধরিয়ে দিয়ে বলা তোকে কিছু দিতে ইচ্ছে করছে। টাকা পয়সা নেই। এটা দিলাম।
আর আছে ছবি। প্রতি ঈদে দশ বিশ টাকা চাদা দিয়ে ফিল্ম কেনা হতো। সেই নেগেটিভ পড়ে থাকতো স্টুডিওতে ওয়াশ করার টাকা নেই বলে। তারপর আবার টিফিনের টাকা জমতো সবার। ছবি ছাড়িয়ে নিয়ে আসতাম।অনেক অনেক ছবি তোলা হয়েছে এই করে।
স্কুলের শেষদিনের রংমাখা ইউনিফর্ম। ক্লাস সেভেনের প্রোগ্রেস রিপোর্ট। ছোটবেলার পাড়াতো প্রেমার্থীর রক্ত দিয়ে লেখা চিঠি।
আর ডায়েরী। যার একপাতায় লেখা চেরী দুনিয়ার সবচেয়ে ভালো মেয়ে। আর পরের পাতায় চেরী কীকরে এই কাজ করতে পারলো? এরকম বন্ধু কেন থাকে মানুষের?
সবকিছু পড়ার টেবিলের সেইফে তালাবন্ধ করে রেখে আসলাম আলাদা আলাদা খামে ভরে ।
২০০৭ এ দেশে গেলাম যখন আড়াই জীবন পর, বাথরুমে ঢুকে মজা পেলাম অনেক। আড়াই বছর আগের টুথপেইস্ট ফেইসওয়াশ ক্রিম তুলার বল সব সাজিয়ে রাখা। শুধু টুথব্রাশ নতুন। আম্মা জানে আমি কোথাও গেলে টুথব্রাশ নেবার কথা ভুলে যাই। পুরনো সেইসব জিনিস দেখে হেসেছিলাম খুব। ততদিনে আমার ছাত্র থাকার ভয়ঙ্কর সময়গুলো শেষ হয়েছে। সস্তা এইসব প্রসাধনী ব্যাবহার করা ছেড়েছি কবে। তবু আম্মা রেখে দিয়েছিল। যদি আমি চাই আবার।
ক্লান্ত ছিলাম।ছিলাম বিরক্ত । লন্ডন থেকে ঢাকা এসেছিলাম ১৪ ঘন্টায়। আর জিএমজির মহানুভবতায় ঢাকা থেকে সিলেট আসতে সময় লেগেছিল ২৪ ঘন্টা।
রুমের পরিবর্তন চোখে পড়লো যখন, অবাক হয়ে দেখলাম আমার টেবিলটা নেই।
ক্লাস এইটে কিংবা নাইনে যখন প্রথম একটা প্রায় কালোর কাছাকাছি টেবিল এলো আমার কাছে বিশ্বাস হয়নি এই মসৃন কাঠের টেবিল তার ওপরে জোড়া দেয়া তিনটা শেলফ নীচে একটা ড্রয়ার আর তালাচাবি দেয়া একটা সেইফ শুধুমাত্র আমার। বোনেরা কোনদিন আর গোপন চিঠি পড়তে পারবেনা।আমার বই শোভাবর্ধন করবেনা ড্রইংরুমের। একটা তালা একটা চাবি দিয়ে আমার একটা পৃথিবী হয়ে গেল। সেই থেকে এই টেবিল এই চেয়ার আমার কাছে জায়নামাজের মতো। আনন্দে কষ্টে অনুরোধে যন্ত্রনায় এই টেবিল অক্লান্ত পাশে থেকে গেছে।
বাবু বললো আম্মাকে জিগ্গেস কর। আম্মা খুব স্বাভাবিক ভাবে জানালো টেবিলে পোকা ধরেছিল। ফেলে দিয়েছি। আমার বিশ্বাস হলোনা। এটা সম্ভব না। কিছুক্ষন চুপ থাকলাম। এই টেবিলে বসে একটা লেখা লেখার কথা। সেটা কোনদিন লেখা হবেনা। তারপর জানতে চাইলাম আমার জিনিসগুলো কোথায়? নেই। কিছু নেই। আম্মা ড্রয়ার খুলে দেখেনি। ভেতর থেকে পোকা কাটার শব্দ আসছিল। শুধুমাত্র বাইরে থাকা বইগুলো রেখে ভেতরের সমস্ত জিনিস সহ টেবিল ফেলে দেয়া হয়েছে।
আমার সেইসময়ের অস্থিরতা - আম্মার প্রতি ভয়াবহ ক্ষোভ কাউকে বোঝাতে পারিনি।বোনেরা ভতসনা করেছে। কেন এরকম অস্থির করে দিচ্ছি আম্মাকে।কত খুশী ছিল এতদিন পর আসছি বলে। সবকিছু একপাশে সরিয়ে রেখে যে বন্ধু পাশে দাঁড়ায় সে পর্যন্ত বলে উঠলো তুই আমার সাথে এরকম করছিস কেন? তোর টেবিল ফেলে দেয়ার জন্য আমি দায়ী নই।
বুঝতে পেরেছিলাম। কেউ পাশে না থাকা আসলে নিঃসঙ্গতা নয়। সবচেয়ে বড় নিঃসঙ্গতা আসলে স্মৃতি না থাকা। সেই থেকে আমি স্মৃতিহীন। সঙ্গহীন। যার নিজের করে রাখার মতো কিছু নেই।
আমি এমনিতেই খুব ক্ষমাশীল মানুষ নই। আম্মাকে ক্ষমা করার প্রশ্নই আসেনা। একথা চেপেও রাখিনি কখনো। তর্কে ঝগড়ায় যখনই আম্মা দোষ দিয়েছে কিছু আমি দাঁতে দাঁত চেপে কখনো চেচিয়ে কখনো ফিসফিস করে বলেছি সবইতো নিয়েছো আম্মা। আর কত নেবে?
আম্মা ঢাকায় গেছে পুরোটা রাস্তা গাড়ীতে শুয়ে। পাখিআপু বলেছে রাতের পর রাত আম্মা ঘুমাতে পারতোনা ব্যাথায়। সমস্ত শরীর পানিশুন্য। দুমিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনা। পড়ে যায় মাথা ঘুরে। এতদিন যায়নি ডাক্তারের কাছে। ঢাকায় দেখাবে। ঢাকায় কেন আসেনি? আম্মা কিছু বলেনা। ফুলআপু বলে নিশ্চয়ই তোমার অপেক্ষা করছিল। তুমি গেলে তোমার সাথে যাবে।
আমার দেশে যাবার কথা ৩১ তারিখ। আম্মাকে বলি দাঁড়াও দেখি টিকেট এগিয়ে আনা যায় কিনা। আম্মা হা হা করে ওঠে। ছুটি টুটি নষ্ট করবে। টাকা খরচ হবে। পাখিআপুর সাথে কথা বলছি। পাশ থেকে বিরক্ত হয়ে যায়। আমার টাকা লাগবেনা।দেশে আসছে। কত খরচ ওর।
তারপর ঢাকায় দুদিন থেকে নাকি আম্মা ভালো হয়ে গেল অর্ধেক। এমনকি খেয়েও নিল ডায়াবেটিকদের জন্য নিষিদ্ধ কিছু খাবার। অপারেশনে যাবার আগে খুব খুশী। তার সব ভাইয়েরা দুবার তিনবার করে ফোন করছে। তার মামা শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা আসছে দেখতে।নার্স বকা দিয়েছে এত ফোন আসছে বলে।আমি বলি ভয় পেওনা। আম্মা তখন ইতস্তত করে বলে একটুতো ভয় লাগবেই।তারপর বলে, সবার অনেক কষ্ট হয়ে গেল আমার জন্য।
আ্যনেসথেশিয়া কাটলো যখন আজ। কী কর আম্মা? ব্যাথা করছে বেশী? আ্ম্মা ওসবের ধারে কাছ দিয়েও যায়না।দুর্বল গলায় বলে, নাস্তা করেছো সকালে? আজও কাজে যেতে হবে? রাতে খাবার আছে কিছু?
চোখের সামনে আমার পড়ার টেবিল চার পা ছুঁড়ে মুখ ভেঙচে আসে। আমি দৌড়ে পালাতে চাই। টেবিল পিছু ছাড়েনা।তার চকচকে কাঠের দেহ বেঁকেচুরে ভয় দেখায়। মারতে চায়।সেই টেবিল সেই চিঠি ছবি স্কুলের পোষাক কেউ আমার খাবার কথা জানতে চায়না। আম্মা জানতে চায়। আমার অসূস্থ্য আম্মা জানতে চায়।
মন্তব্য
অসাধারণ।
বেশি লেখেন না ক্যান একটু কইবেন?
ভালো লাগলো লেখাটি।
*************************************************************************
কথার প্রজাপতি হাওয়া হয়ে যাচ্ছে, দীর্ঘশ্বাসে বেজে উঠছে মাউথঅর্গান। জানালা খোলা সকাল; রোদের ডানায় মিথ্যে প্রতিশ্রুতি! অসংখ্য মেঘ তবু বেঁচে আছে সম্ভাবনার নাভিতে...
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
সুপ্রিয় রানা মেহের,
আপনি এতোদিন পর লিখলেন জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
সত্যি বলবো? মন ছুঁয়ে যাওয়া এতো অসাধারণ একটা লেখা সচলায়তনের পাতায় অনেকদিন পড়িনি
লেখাটা কতোটুকু স্পর্শ করেছে, লিখে বোঝাতে পারবো না।
সময়-সুযোগ করে লিখুন
দেরিতে হোক, কিন্তু এমন লেখা পেলে আগের সব অভিযোগ তুলে নিতে ইচ্ছা করে
ভালো থাকবেন।
শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস। মাঝে মাঝে তীব্র অনুশোচনায় ভুগি - মাঝে মাঝে কেন আম্মার সাথে এত এত খারাপ ব্যবহার করে ফেলি, কটু কথা বলে ফেলি। তার পরপরই বলতে চাই - মা, তোমাকে যত ভালবাসি, ততটা তো আর কাউকেই বাসিনা। বলা হয়না, হয়তো বলা হবেও না। আম্মা কী কখনো জানতে পারবে তার মেয়ে তাকে কত ভালবাসে ! হয়তো পারবেনা। আফসোস !
আপনার লেখাটা পড়ে হঠাৎ মনটা ভিজে গেল।
রানাপু, ঠিক এরকম একটা কিছুই বোধহয় আমি লিখতে চাই। ক্ষমতা নেই, তাই পারিনা। ইচ্ছা করছে যাকে বলতে চাই তাকে যদি ডেকে এনে পড়াতে পারতাম। জানি পারবোনা। আমার বড্ড জেদ। বড় বেশিই।
ভালো থাকবেন।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
লিখলেন এতদিন পরে! তাও এমন লিখলেন, মন্তব্য-টন্তব্য করার সব শক্তি চলে গেলো...
তবুও লিখুন। আপনার মায়ের জন্য শুভকামনা রইলো।
শেষ প্যারাটা সব এলোমেলো করে দিল। বড্ড বেশি এলোমেলো।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
কি বলবো! পড়তে পড়তে এতটা অসহায় খুব কম বোধ করেছি।
আম্মা ভালো থাকুন।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
লিখলেন অনেকদিন পর। পইড়া মন খারাপ হইয়া গেলো।
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
যা বলার, প্রহরী ভাই বলে দিয়েছেন...
_________________________________________
সেরিওজা
আগের চূড়ান্ত রকমের তরল মন্তব্যটা মুছে দিলাম ( না পড়েই করা কি না !)
লেখা ব্যাপারে আর কী বলি আপু ! শুধু এটুকুই বলি, যার লেখা এতো বেশি মানবিক, প্রাণবন্ত, প্রাঞ্জল- তাঁর থেকে অন্তত আরেকটু ঘন ঘন লেখা আশা করি।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
অসাধারণ
অসাধারণ লেখা আর রানার ফিরে আসা
মন ছুঁয়ে গেছে।
--------------------------------------
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শেষ পর্যন্ত চোখে পানি আনিয়েই ছাড়লেন? বিশ্বাস করেন, নিজের একটি ঘটনা মনে পড়ে গেছে... এবং তারপর...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
বুকটা নিয়ে এমন মোচড়ামোচড়ি করে কষ্ট না দিলেও পারতেন...
হুম...
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
ঐ লাইন দুটোর বয়েস ১২ বছর হয়ে গেলো! এখনও মনে আছে তোর!
চিন্তা করিস না। আমাদের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের কিচ্ছু হবে না। দেখবি আগামী সপ্তা থেকেই গমগমে গলা নিয়ে বলবে, হ্যালো... বিশ্বাস করবি, গলাটা শুনলে বয়েস এখনও ষোল হয়ে যায়। বুকের ভেতরে ভয় ছলকে উঠে। নভেম্বরে সুন্দরবন থেকে ডাঙ্গায় ফিরতেই দেখি মোবাইলে বাবুর মেসেজ। আমাকে খুঁজে পাচ্ছে না কেন? তার ভিষণ দরকার। ফোন করে দেখি সেটা বন্ধ। ভাবলাম কি না কি হলো। ল্যান্ড ফোনে রিঙ করতেই সেই কণ্ঠ... আমি ফোন রেখ দিলাম... সেইসব দিনের মতো।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
সচলের সবাই থাকে বিদেশে, দেশে মা আছে, তার জন্য কাঁদে। আর আমার উল্টো, আমি ঢাকায়, মা বিদেশে।
ইশ্, কতদিন আম্মাকে দেখি না। দিলেন মনটা খারাপ করে।
আর আপনার লেখা... দুবছর পর পর যদি এরকম একটা করে লেখা দিন, তাহলে কোনো ক্ষোভ থাকে না। দূর্দান্ত, অসাধারণ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপু তুমি কই ?!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আম্মা ভাল হয়ে উঠবেন। কর্ণেলকে একটা সালাম ঠুকলাম।
কলমে জং ধরেনি, হাতে বাত বাসা বাধেনি দেখে ভাল লাগল।
সবারই বোধহয় এরকম একটি করে গল্প থাকে।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
এইসব অনুভূতি হৃদয়গ্রাহী করে প্রকাশ করতে পারা বিরাট ব্যাপার !
এই কাজটা কি সহযে করেছেন রানা ! খুব ভালো লাগলো।
আম্মা ভালো হয়ে উঠুন রানা। তোমার দেশভ্রমন আনন্দময় হোক। কবে ফিরছো? ভাবছি একবার বিলেত আসবো এ বছরে।
লেখা অসাধারন। ভালো থেকো।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা...............
নির্বাক করে দিলে রানা। আর কিছু লিখতে পারছিনা...
অসাধারণ লেখা!
বুকের ভেতরটা এলোমেলো করে দিয়ে গেল!
আপনার লেখা পড়ে লগইন করার জন্য আমি আমার ১১ অক্ষরের পাসওর্য়াড টাইপ করতে পারছিলাম না। আপনার আম্মা সুস্থ্য হয়ে উঠুন এই কামনা।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
- কয় অক্ষরের পাসওয়ার্ড?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দাগ রেখে গেলাম...
.........................................
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
অনে-কদিন পর লিখলে,
অ-নে-ক অ--নে--কদিন মনে রাখার মতই লিখলে.....
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখা খুব ভালো লাগলো রানা'পু।
আপনার মা ভালো থাকুক।
আপনার মা ভালো হয়ে উঠবেন আশা করি।
চারদিকে শুধু মন খারাপ করা খবর।
আমার আম্মাও অসুস্থ।
আমাদের প্রতিবেশী একসময়ের ডাকসাইটে অভিনেতা বুলবুল আহ্মেদ হাসপাতালে।
এইমাত্র শুনলাম সচল প্রিয়ক মারা গেছে।
ভালোলাগেনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
এত দিন পর এসেই চোখটা ঝাঁপসা করে দিলেন!
আপনার এই কথাটা কেন জানি আমার বেশ কিছুদিনের ভাবনাকে ওলট পালট করে দিল।
ভাল থাকুন। আম্মা নিশ্চয়ই ভাল হয়ে উঠবেন।
কিছু লেখায় মন্তব্য করার ভাষা থাকেনা।
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................
ছুঁয়ে গেল...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
লেখাটা পড়তে শুরু করে আমার টেবিলের গল্পটা বলবো ভেবেছিলাম, কিন্তু যেখানে নিয়ে শেষ করেছেন আর কিছু লেখা হলো না....।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মনোযোগ দিয়ে কিছুটা পড়ার পর, বাকীটা পড়লাম যতটা সম্ভব মনোযোগ না দিয়ে। তিন লাইন পড়ি, আবার মেয়ের সাথে গল্প করি... আবার তিন লাইন পড়ি...
দেঁজাভু-র এমন তীব্র আবেগ একবারে গ্রহন করার সাহস হলো না!
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"
-----------
চর্যাপদ
- মা যেমন খাবারের কথা জানতে চান, খামবন্দী চিঠির ওপারের মানুষগুলোও মনের কথা জানতে চায়। মায়ের ভালোবাসা যেমন অকৃত্রিম, সেই মানুষগুলোর আন্তরিকতাও তাই। নিজেকে পূর্ণতা দিতে দুইটা ভালোবাসারই দরকার রানা। দুইটার সহাবস্থান। কোনোটাকে দূরে সরিয়ে না।
আপনার মা খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রানা, আমিও বলি - এতো সুন্দর লেখা দিলে যুগ যুগ ধরে না লেখার অপরাধ একটু হলেও মাফ করা যায়! আর একটা কথা, যারা অ-ক্ষমাশীল শাস্তি তাদের নিজেদেরই সবচেয়ে বেশি হয় বোধহয় ...... এককালে ওই দলে ছিলাম তো, অভিজ্ঞতা সেরকমই বলে
আপনার আম্মা ভালো হয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি .........
চমৎকার লেখা !
চমৎকার উদ্ধৃতি-
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
২০১০- ০১ - ১৯
২০০৮. ১০ - ২৪
___________
১ বছর ২ মাস ২৫ দিন পরে পোস্ট দিলেন আপনি! সত্যি দেখছি না ভুল দেখছি সেটা বুঝতে কাল থেকে চোখ কচলাতে কচলাতে আঙুলের পিঠ আর চোখের পেট ব্যথা করছিলো। আর পড়তে পড়তে যেসব উপকরণের নিচে পড়লাম এসে, কী আর বলবো, আবার চোখ কচলাতে হচ্ছে জলধারা আটকাতে, কিন্তু তবু ঠিকই ব্যথা হয়ে গ্যালো মন পর্যন্ত!
স্যালুট মা-কে, ভালো থাকুন তিনি।
স্যালুট এই ভীষণ ধারালো ভারালো মেয়েটাকেও।
_________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হুমম...
(আধা ঘণ্টা পর)
তো এখন কী ঢাকায়, না চলেই গেলেন? যদি থেকে থাকেন, যোগাযোগ করেন শিগগির। আমি অনেকগুলো ব্যর্থ জোকস জানি, যেগুলো বলে আপনাকে হাসাবার চেষ্টা করছি দেখেই আপনার হাসি পেয়ে যাবে!
আপনার এত মন খারাপ দেখে তো ভারী কাতর বোধ করছি!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
হাতের উলটো পিঠে চোখ মুছতে মুছতে লিখছি এই মন্তব্য।
কিছুদিন আগে প্রহরীর ফেসবুকের স্ট্যাটাসে দেখেছিলামঃ
তখন জানতাম না যে এই লাইন ক'টির মালিক রানা। আজ অনেকদিন বাদে জমিয়ে বসেছিলাম এতদিনে বাদ পড়ে যাওয়া লেখাগুলো পড়ব বলে। এই লেখাটা পড়ার পর বাকি অনেক কিছুর মত সেটাও অনিশ্চিত হয়ে গেল এই রাতে।
বাঙ্গালী এমনিতেই বড় মা-অন্তপ্রাণ। মা'র জন্যে আমাদের হৃদয়ে সব সময়েই একটা আলাদা চৌখুপি তুলে রাখা আছে। মা'কে নিয়ে আমাদের রাগ,অভিমান,ভালবাসা এমনকি ঘৃণা---সবকিছুই বড় প্রিয়, বড় কাছের।
রানা'র লেখাটায় নতুন করে আমাদের পুরোনো মা -গুলোকে ফিরে পেলাম।
যে কোন লেখা ভাল লাগলেই আমি উদার হস্তে তারা বিলোই। লক্ষ-কোটি তারা অনায়াসে আমার হাত গলে চলে আসে। কেবল আজ কোন তারাই যেন আসতে চাইছিল না।
এমন একটা লেখার জন্য এক আকাশের তারা যথেষ্ট নয়!!
মায়ের জন্য শুভকামনা রইল,রানা।
শিগগির সেরে উঠুন তিনি।
আম্মু হসপিটালে আর বাসায় ফিরে ফেইসবুক আর সচলে কিছুক্ষণের জন্য উঁকি দিতে এসে এ লেখা সব এলোমেলো করে দিল রানাপু।
আপনার মা সুস্থ হয়ে উঠুন।
দেশে ফিরছেন? কতদিনের জন্য?
দূর্দান্ত এ লেখা নিয়ে আর কী বলি.... ভালো থাকুন
---------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
কেন যে এই লেখাটা পড়তে শুরু করলাম.. - ধুত্তোরি।
পরশু একটা চব্বিশঘন্টা করছিলাম- মা কমপক্ষে কুড়ি বার ফোন করে জিজ্ঞেস করলেন খেয়েছি নাকি। হতে পারে আমি একটু পেটুকস্বভাবের- তাই বলে কি সারাক্ষন খাই খাই করি নাকি? কাজের সময় এত বিরক্ত করে নাকি কেউ। শেষমেশ দিলাম একটা ঝাড়ি। ভাবলাম কি কুক্ষনেই না মাতৃসমাজ সেলফোনের ব্যবহার করা শুরু করেছিলেন।
আজকে পুরোদিন বাসায়, মা'র সাথে সারাক্ষন খিটিমিটি করে কাটালাম। আর এখন বুঝতে পারলাম আসলেই মা ছাড়া কেউ এখন আর জিজ্ঞেস করে না খেয়েছি নাকি, স্পেয়ার চশমাটা সাথে আছে কি না, সাথে কিছু টাকা আছে তো? মা ছাড়া এখন আর কেউ বারংবার ফোন বিরক্ত করে না।
আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো। আশাকরি খুব দ্রুত সেরে উঠবেন তিনি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আপনি ভয়ানক লোক, নইলে এই সব লেখেন?
আপনার মা সুস্থ হয়ে উঠুন, প্রার্থনা রইল।
লেখার পর থেকেই পড়ছিলাম সবার মন্তব্য ।
কেমন একটা অনুভূতি পাচ্ছিলাম।
মনে হচ্ছিলো আমি একা নই। একা নন আমার আম্মাও।
এইতো আছে সবাই আমার পাশে।
উত্তর দেয়া হয়নি।
কী উত্তর দেবো?
শুধু বলি
যে ভালোবাসা নিয়ে সবাই আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন
তার সহস্রগুণ ভালোবাসা আপনাদের কাছে ফিরে আসুক।
আপনাদের কাছে আমার কৃতগ্গতার শেষ নেই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
অনেকদিন পর রানাপু'র লেখা পড়লাম।
কেমন যেন! না পড়লেই হতো।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সচলে কয়েকদিন না আসায় কত কিছু মিস হয়ে গেছে!!!
লেখাটা পড়বার পর মাথার ভেতর ঠিক কাঠঠোকরার খটখট শুরু
হয়ে গেল, আপনি কেন এত ভাল লেখেন? কেনূ??
তোর লেখাটা কেন যেন চোখে পড়েনি। যাহোক, লেখক রানা তাইলে বেঁচে আছে।
চিন্তা করিস না দোস্ত, এইসব ছোটখাটো অসুখে টাইগারের কিছু হবে না।
আজ যেন অনেককিছৃ একসাথে পেলাম...মোরশেদ ভাইয়ের কল্যাণে সচলের একটা লিংক পড়ে প্রথমবারের মতো মন্তব্য করে ফেললাম...প্রকাশ করা হলো কিনা দেখতে এসে মন্তব্যের কাতারে তোকে পেলাম ...সেই রেশ ধরে এই লেখাটা ।
...পড়ার পর এত ভাল লেগেছে....খৃব ভাল থাকিস !
নূরৃল হুদা বাবৃ / নূর ।
বিকাল থেকেই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো লেখাটা, খুব করে পড়তে ইচ্ছা হচ্ছিলো। বাসায় ফিরে, সচলায়তনে ঢুকেই সবার আগে পড়ে নিলাম আবার। কতোটা শক্তিশালী লেখা, তা টের পেলাম আরেকবার। এখনও নাড়া খেলাম সেই প্রথমবারের মতোই...
মনে পড়ে, সেই ৭ টাকার দিনে চট্টলার কোন এক ফোন-ফ্যাক্স'র দোকান থেকে কল করেছিলাম অর্জুন মান্না'র মোবাইলে, দেশ ছাড়ার দিন...আহা, না দেখা বন্ধুর দেশ ছাড়ার ব্যথা আমিও অনুভব করেছিলাম...! রানা'দি, লেখাটি পড়ে মন ছুঁয়ে গেলো...ভালো থাকবেন।
-শায়ের আমান,
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার লেখাটি পড়তে পড়তে চোখের জল ধরে রাখা কঠিন । আপনাদের যাদের আম্মা আছেন, তাদের সব অভিমানের পরেও দূঃখ রাখার, অভিমান করার, ভালবেসে জড়িয়ে ধরার "আম্মা" আছেন । আল্লাহ দীর্ঘ জীবন দিক আম্মাদের। ভাল থাকুক আপনার আম্মা ।
লেখায় পাঁচ তারা ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
সব মায়েদের জন্যে
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আবার কবে লিখবেন?
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আপনার ব্লগে ঢুকে সব লেখা পড়ে ফেলবো, এই সিদ্ধান্তটা দেখি বিরাট একটা ভুল হলো। এইভাবে লেখে কেউ? মানুষের অফিস আদালত নাই?
স্বয়ম
কি ভাল লেখা!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন