আমাদের আবুল সাহেব

রেনেট এর ছবি
লিখেছেন রেনেট (তারিখ: শনি, ১২/০৭/২০০৮ - ১:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক
আবুল সাহেবের মনে ভারী দুঃখ তার নাম নিয়ে। আবুল নাম যে কারো হয় না, তা না। কিন্তু তিনি সত্যি সত্যি একজন আবুল এবং তার ধারণা, তার নাম আবুল হওয়ায় তার আশে পাশের মানুষজন খুব সহজেই তা বুঝে ফেলে, কোন স্মার্ট নাম হলে হয়তো মানুষ আরেকটু দেরিতে বুঝত। কিংবা হয়তো তার নাম আবুল বলেই তিনি আবুল হয়েছেন। নামকরণের সার্থকতা প্রমাণ করেছেন।

দুই-একটা উদাহরন দিলেই বোঝা যাবে যে তিনি একজন আবুল। ক্লাস সিক্সে থাকতে তাকে প্রথমবারের মত বাজারে পাঠানো হল বেগুন কিনে আনার জন্য। তার মা সব কিছু বিস্তারিত বুঝিয়ে দিলেন ভালো বেগুন কিভাবে চিনতে হবে, দামাদামি কিভাবে করতে হবে, এসব। আবুল যখন শুনেছে তখন সব কিছু ঠিক ঠাক মতই বুঝেছে। কিন্তু সমস্যা বাঁধলো বাজারে ঢোকার মুখে। বাজারের বাইরে আরো অনেকে কাঁচা বাজার নিয়ে বসে থাকে, মা পই পই করে বলে দিয়েছেন বাজারের বাইরে বিক্রি হওয়া বেগুন না কিনতে, সেও কিনবে না বলেই সোজা বাজারের ভিতর ঢুকে যাচ্ছিল, কিন্তু বাজারের বাইরের লোকেরা কিভাবে যেন বুঝে গেল আবুল বেগুন কিনতে এসেছে। তারা জোরে জোরে ডাকতে লাগল, এই যে ভাই আসেন, ভাল বেগুন আছে, নিয়া যান (ওদের কাছে কিন্তু আরো অনেক সবজি ছিল, কিন্তু ওরা শুধু বেগুনের কথাই বলতে লাগল)।

এত দোকানীর ডাক আবুল অগ্রাহ্য করতে পারল না, সে এগিয়ে গেল এবং কোন রকম দরদাম ছাড়াই বেগুন কিনে ফেলল। ফেরার পথে ভাবল, মা তো আর জানবে না, সে বেগুন বাইরে থেকে কিনে এনেছে। কিন্তু বাসায় ফিরে মার হাতে বেগুন পৌছে দেয়ার পর মা বেগুনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন, তারপর ধমকের সাথে জিজ্ঞেস করলেন, বেগুন বাজারের বাইরে থেকে কিনে এনেছিস? আবুল মুখ স্বাভাবিক রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করল, মুখ দিয়ে না বলল, কিন্তু মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে ফেলল! তারপর মা আরো দুই-একটা প্রশ্ন করার পর সে বলে ফেলল সে বেগুন বাইরে থেকেই কিনেছে। সত্য কথা বলে ফেলে তার মনের মধ্যে ভারী শান্তি হতে লাগল। কিন্তু মা ক্ষেপে গেলেন, আর শাস্তি হিসাবে তাকে শুধু বেগুন ভর্তা দিয়ে ২ দিন ভাত খেতে হল।

আবুল খেয়াল করে দেখেছে, সত্য কথা বললে কেউ কথা বাড়ায় না, কিন্তু যেদিন সে কোন কারণে মিথ্যা কথা বলে, সেদিন সবাই কথা প্যাঁচাতে থাকে।

উদাহরণ দেয়া যাক। একদিন স্কুলে যাওয়ার পর আবুলের পেট ব্যাথা শুরু হল, সে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে এল। মা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কিরে, আজ তাড়াতাড়ি বাসাই ফিরে এলি? আবুল বলল, তার পেট ব্যাথা করছিল, তাই সে ছুটি নিয়ে চলে এসেছে। মা ও আর কিছু বললেন না। আবুল সারাবিকাল ঘুমালো।

অথচ আরেকদিন, সে তার বন্ধুদের সাথে পালিয়ে সিনেমা দেখতে গেল এবং স্কুল শেষ হওয়ার আগে সিনেমা শেষ হওয়ায় সে সেদিন ও তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এল। উত্তর তার রেডি করাই ছিল। আজকেও বলবে তার পেটে ব্যাথা করছিল। সে বলল ও। মা শুনে কথা প্যাঁচাতে লাগলেন। রোজ রোজ পেটে ব্যাথা করে কেন, নিশ্চয়ই স্কুলে খাবার পানি নোংরা, বা স্কুল থেকে যে টিফিন দেয় সেটা নোংরা... পেটে ব্যাথা করলেই স্কুল থেকে ছুটি দিয়ে দেয় কেন, এত টাকা বেতন দিয়ে ছেলেকে স্কুলে পাঠান কি ছুটি নিয়ে বাসায় এসে ঘুমানোর জন্য ইত্যাদি ইত্যাদি। শুধু তাই না, তিনি পরের দিন স্কুলে গেলেন হেডমিস্ট্রেসের সাথে এই বিষয়ে একটা হেস্ত নেস্ত করতে। ফলাফল যা হবার তাই হল।

আবুল ভাবল, কলেজে উঠলে বুঝি তার একটু বুদ্ধি শুদ্ধি হবে। বরং হল তার উলটো। নতুন কলেজের ছেলেরা ও কিভাবে যেন টের পেয়ে গেল সে একজন আবুল। তার কোন বন্ধু বান্ধব তো হলই না, উপরন্তু কলেজের ছেলেপেলেরা তার আবুল নামের উ-কার বাদ দিয়ে আ-কার লাগিয়ে ডাকতে লাগল। আবুল সজ্ঞানে কাউকে কোনদিন খারাপ কথা বলেনি, আর আজ তাকেই সবাই আকার যুক্ত নামে ডাকতে লাগল।

দুই
এরপর আরো কয়েক বছর এভাবে কেটে গেল। আবুলের বাবা মা কে অনেকে উপদেশ দিতে লাগলেন ছেলেকে বিয়ে দেয়ার জন্য। বিয়ের পর নাকি অনেকের পরিবর্তন হয়। তা তার বাবা মাও দেখে-শুনে এক মেয়ের সাথে বিয়ে দিলেন।

কিন্তু আবুলের বিয়ে ভাগ্য ও ভালো হল না। বৌও কয়েকদিনের মধ্যে ধরে ফেলল তার স্বামী একজন আবুল। এরপর থেকে আবুল সাহেবের জীবনে আর শান্তি নেই। তিনি সারাদিন অফিসে গাধার মত খাটেন, আবার বাসায় এসে রান্না বান্না করেন, ধোঁয়া মোছা করেন, আর তার বৌ হয় টিভিতে হিন্দি সিরিয়াল দেখে নাহয় ফোনে গল্প করে। দুঃখের কথা আর কাকে বলবেন!

আবুল সাহেব মাঝে মাঝে বাথরুমে গিয়ে কেঁদে আসেন। এই ক্ষেত্রে তিনি কিছুটা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেন। এমনি এমনি কাঁদলে বাইরে থেকে বৌ শুনে ফেলতে পারে। তাই তিনি বুদ্ধি করে বেসিনের কল ছেড়ে পাঁচ মিনিট কাঁদেন তারপর মুখ ধুয়ে চলে আসেন। কিন্তু এর ফলাফল টের পাওয়া গেল মাস শেষে। পানির বিল আসল প্রায় দ্বিগুনের ও বেশি।

বিল দেখে বৌ চোখ মুখ কুঁচকে আবুল সাহেবের দিকে তাকালেন, আর বললেন, আমি লক্ষ্য করেছি তুমি আজকাল প্রায়ই টয়লেটে যাও, আর পানি পড়ার শব্দ আসতে থাকে...কি কর টয়লেটে?

আবুল সাহেব এর কোন গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারলেন না। ফলস্বরুপ, তার বাথরুমে যাওয়ার সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেয়া হল, আর বলে দেয়া হল বালতি থেকে পানি নিয়ে পানি খরচ করতে।দৈনিক বালতির সংখ্যাও নির্ধারণ করা হল। গোসলের জন্য এক বালতি, অন্যান্য কাজের জন্য এক বালতি।

অতএব, বাথরুমে গিয়ে কান্নাকাটি করার সুদিন ও ফুরালো।
এরপর থেকে আবুল সাহেব রোজ আফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে আধা ঘন্টা পার্কের বেঞ্চিতে বসে কাঁদেন, তারপর বাসায় ফিরে আসেন, এসে বলেন রাস্তায় জ্যাম ছিল অথবা বাস পাচ্ছিলেন না। ভাগ্য ভালো এটা নিয়ে বৌ কোন হইচই বাধায় নি। দিনে অন্তত আধা ঘন্টা আবুল সাহেব নিজের ইচ্ছেমত ব্যয় করতে পারেন। হোক না তা কান্নাকাটি, তবুও নিজের ইচ্ছামত কাঁদতে তো পারছেন! এটাই কম কি!

তিন
এরকম একদিন অফিস থেকে ফেরার পথে আবুল সাহেব রুটিন অনুযায়ী কাঁদছেন, এমন সময় এক উটকো লোক এসে হাজির।
~স্যার ২ টা টাকা হবে? চা খাব।
আবুল সাহেব ঝট করে রুমাল বের করে চোখ মুছে ফেললেন। তারপর লোকটার দিকে তাকালেন। লোকটার বয়স ৩০-৩৫ হবে। কাঁধে একটা ব্যাগ। মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি।

আবুল সাহেব কোন কথা না বাড়িয়ে ২ টাকা বের করে দিলেন। লোকটা হাত বাড়িয়ে নিল, তারপর তার পাশে বসে পড়ল।
এক চাওয়ালা কে দেখা গেল, লোকটা চাওয়ালাকে ডেকে এক কাপ চা কিনে খেতে শুরু করল।

আবুল সাহেব কি করবেন বুঝতে না পেরে চুপচাপ বসে রইলেন। লোকটার চা খাওয়া শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে লাগলেন।

লোকটা হঠাত কথা বলতে শুরু করল।

- বুঝলেন স্যার, এ দুনিয়া জুড়া পচুর গিয়ানজাম। কেঁদে-কেটে কিচ্ছু হবে না।

আবুল সাহেব লজ্জায় পড়ে গেলেন। লোকটা দেখে ফেলল নাকি?

লোকটা আবার কথা বলা শুরু করল।

~স্যারের নামটা...

~জ্বি, আমার নাম আবুল। কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে বললেন আবুল সাহেব।

~স্যার যদি কিছু মনে না করেন, ছোট মুখে একটা বড় কথা বলি।

আবুল সাহেব কিছু বললেন না। খুক খুক করে কাশলেন শুধু।

~স্যারের কি দাম্পত্য জীবনে সমস্যা?

আবুল সাহেব কি জবাব দিবেন? তার তো সারা জীবনেই সমস্যা। এবার ও তিনি কিছু বললেন না।

~ স্যার যদি চান, আমি আপনাকে একটা ছোটখাট সাহায্য করতে পারি।

~কি সাহায্য?

~আমার কাছে একটা আয়না আছে। এই আয়নাতে তাকিয়ে আপনি যা বলবেন তাই হবে। তবে স্যার একটা সমস্যা আছে...

~কি সমস্যা?

~এক সপ্তাহের বেশী এই আয়না কারো মনের ইচ্ছা পূরণ করে না।

~হুমমম...

~তবে স্যার, এক সপ্তাহের জন্য রাজা হওয়া ও মন্দ না। এই যে দেখেন না, আমি গতকাল সকালে আইফেল টাওয়ার দেখে এলাম, ফ্রান্সের সবচেয়ে দামি হোটেলে ছিলাম, আর আজকে দেখেন চা খাওয়ার টাকা নাই। আপনার কাছ থেকে দুই টাকা ধার করে খেতে হচ্ছে।

আবুল সাহেব কিছুটা অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে রইলেন।

~স্যারের কি আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না? এই যে দেখেন আয়নাটা।

বলেই লোকটি ব্যাগ থেকে একটা আয়না বের করল। আয়নাটা দেখতে সাধারণ আয়নার মতই।

আবুল সাহেবের অবিশ্বাস তখন ও কাটছে না। হতে পারে তিনি আবুল, তাই বলে এধরনের গাজাখুরি কথা বিশ্বাস করার মত এতটা আবুল তিনি নন।

আবুল সাহেবের মনের কথা বুঝতে পেরেই কিনা, লোকটা তার ব্যাগ থেকে একটা ছবি বের করল। ছবিতে লোকটিকে দেখা যাচ্ছে আইফেল টাওয়ারের সামনে। দামী কাপড় পরা অবস্থায়।

~দেখলেন তো স্যার? কত জায়গাই না ঘুরলাম এই এক সপ্তাহে...আহ!

হুমমম...লোকটা ছবি যতক্ষণ দেখাচ্ছে, তাহলে তো সত্য বলেই মনে হচ্ছে...

লোকটা হাত বাড়িয়ে আয়নাটি দিল তাকে। আবুল সাহেব ইতস্তত করে আয়নাটি নিলেন।

~ইয়ে, মানে স্যার, বুঝতেই পারছেন আমার অবস্থা, এক সপ্তাহ ছিলাম রাজার হালে, আর আজ পকেটে এক টাকা ও নেই...স্যারের কাছে যদি ২০০ টা টাকা থাকে, তবে মেহেরবানি করে এই গরীবকে যদি একটু দিতেন...

আবুল সাহেব আজকেই বেতনের টাকা পেয়েছেন, পকেটে তার পুরো পাঁচ হাজার টাকাই আছে। ও থেকে ২০০ টাকা লোকটাকে দেয়াই যায়...তার এতবড় উপকার করল যেহেতু...আর এই এক সপ্তাহে তো তিনি ইচ্ছা করলে আরো কত টাকার মালিক হতে পারবেন। তিনি পকেট থেকে ২০০ টাকা বের করে দিলেন। লোকটা টাকাটা পকেটে ভরে সালাম দিয়ে চলে গেল।

আবুল সাহেব আয়নাটা নিয়ে বাসায় ফিরলেন। তার মন আজ বেশ ভালো।

চার
বাসায় এসে তিনি হাত মুখ ধুলেন। অমনি বৌ এসে প্যাঁচাল শুরু করল।
~আজ আসতে এত দেরী?
আবুল সাহেব কিছু বললেন না।
~কি কথা জিজ্ঞেস করছি, কানে যায় না?
আবুল সাহেব এবার ও কিছু বললেন না।
~এত দেরী করে ফিরেছ, আবার কথা বলছ না, কি ব্যাপার, মদ গাজা কিছু খেয়ে এসেছ নাকি?

আবুল সাহেব আর থাকতে পারলেন না। তিনি পকেট থেকে আয়নাটি বের করলেন, এবং আয়নাটির দিকে তাকিয়ে বললেন, হে আয়না, আমার এই বৌরূপী ডাইনিকে তুমি বোবা বানিয়ে দাও, আর আমার জন্য একটা সুন্দরী বউ এনে দাও।

কিছুই হল না। আবুল সাহেব আয়নাটি সামান্য ঝাকালেন, এবং আবারো একই কথা বললেন, এবার একটু জোরে। হয়তো আয়নাটি তার কথা শুনতে পায় নি।
কোন মতে তিনি বলে শেষ করেছেন, ওমনি তার বৌ বাড়ি কাঁপিয়ে চিতকার শুরু করল।
~কি বললে তুমি? কি বললে? আমি ডাইনী? তোমার সুন্দরী বৌ চাই?
আবুল সাহেব প্রাণপণে অপেক্ষা করতে লাগলেন আয়নাটির আদেশ পালনের জন্য। ৫ সেকেন্ডের মধ্যে কিছু না হলে আজ তার সাক্ষাত মৃত্যু।

মনে মনে ৫ পর্যন্ত গোনার আগেই আবুল সাহেব দেখলেন তার বৌ একেবারে তার সামনে চলে এসেছে। মারমুখী ভঙ্গী।

আবুল সাহেব বুঝে গেলেন, আজকেও তিনি আবুল হয়েছেন, এবং খুব সম্ভবত এটাই তার জীবনের শেষবারের মত আবুল হওয়া।


মন্তব্য

অনিন্দিতা এর ছবি

বেশ মজার গল্প।

রেনেট এর ছবি

ধন্যবাদ অনিন্দিতা। যদিও গল্পের মান নিয়ে আমার নিজেরই সন্দেহ আছে...
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এটাই তার জীবনের শেষবারের মত আবুল হওয়া।

কারণ এর পরে তাকে বুদ্ধি খাটিয়ে সচলায়তনে আবুলের কাহিনী লিখতে হবে

রেনেট এর ছবি

ধন্ধে পড়ে গেলাম...আরেকটু খোলাসা করে যদি বলতেন...
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বলতে চাচ্ছিলাম অতীত থেকে ভবিষ্যত পর্যন্ত বিস্তৃত রেনেটের আত্মজীবনীটা ভালো হয়েছে

রেনেট এর ছবি

অনেক চিন্তা করে দেখলাম, আপনি যদি আগামীকাল কি ঘটেছে তা গতকাল বলে দিতে পারেন, তাহলে আমার ও চেষ্টা করে দেখা উচিত।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

আকতার আহমেদ এর ছবি

বাহ্ ! দারুণ লিখেছেন রেনেট

রেনেট এর ছবি

আকতার ভাই বুঝি ছড়া লেখার সময় ছাড়া অন্যসময় সত্যি কথা বলেন না?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অমিত আহমেদ এর ছবি

এই সব পড়লে আর বিয়া করতে মন চায় না।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

রেনেট এর ছবি

বিয়া কইরেন না গো আমিত ভাই। বড় মুসিবত।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍এই জাতীয় সরল লোকদের জন্য ভীষণ মায়া হয় আমার।

সত্য কথা বলে ফেলে তার মনের মধ্যে ভারী শান্তি হতে লাগল।

পড়ে আমারও শান্তি হতে লাগলো। তাতে আমার নাম আবুল হ'লে হোক।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রেনেট এর ছবি

আমার কেন জানি বোকা সোকা মানুষদেরই বেশী পছন্দ।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

দ্রোহী এর ছবি

গল্প ভালো লেগেছে। ×××××


কি মাঝি? ডরাইলা?

রেনেট এর ছবি

জামাই, আপনি তো ঘর জামাই না...সত্যি কথা বলতে ভয় পান কেন?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

গপ্পো ভাল হয়েছে রেনেট ভাইয়া।
পড়ে মজা পাইলাম তবে বেচারার জন্য দুঃখই লাগছে।

--------------------------------------------------------

রেনেট এর ছবি

ধন্যবাদ বাচ্চা ভূত। তা আপনার ভূতুড়ে কান্ডকারখানা নিয়ে কিছু লিখুন...পড়ে আমাদের পেটের ভাত চাউল হয়ে যাক।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

হিঃহিঃহিঃ খুবই মজার গল্প...

তবে আবুল সাহেবের জন্য খারাপ লাগছে , বেচারী!

সমপূরক প্রশ্নঃ

আবুল সাহেবের নামটা বদলে ফেললে কি অবস্থার কোন পরিবর্তন হত?


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

রেনেট এর ছবি

আপনি দারুন সময়োপযোগী প্রশ্ন করেছেন। চমতকার এই প্রশ্নটি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাম পালটিয়ে ভালো নাম রাখলেও যে খুব একটা লাভ হত তাও বলা যায় না। আবুল হায়াত, আবুল খায়ের উনারা কত বিখ্যাত হয়েছেন আবুল নামকে সঙ্গী করেই।
অতএব নাম কোন ব্যক্তির সাফল্যের অন্তরায় হতে পারে বলে আমার মনে হয় না।
কুসংস্কার থেকে মুক্ত থাকুন, ছেলের নাম আবুল রাখুন।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অমিত আহমেদ এর ছবি

প্রতি মন্তব্যে রেনেটকে জাঝা হো হো হো


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍কুসংস্কার থেকে মুক্ত থাকুন, ছেলের নাম আবুল রাখুন।

(বিপ্লব)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

গল্প ভাল্লাগছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রেনেট এর ছবি

ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই। আপনার নেক্সট গল্প কবে আসবে?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মুশফিকা মুমু এর ছবি

মাত্র খেয়াল করলাম তোমার লেখাটা, কয়েকটা জাগা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ গড়াগড়ি দিয়া হাসি ভাল লিখসো হাসি
কিন্তু মনে হয় ওনার আরো কিছু সিরিয়াস টাইপের বোকামির কাহিনী বললে ভালো লাগত হাসি চলুক
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

রেনেট এর ছবি

আমার কোন লেখা লিখার পর পছন্দ না হলে আমি সাধারনত ছাপাই না, বা ছাপালেও কিছুক্ষণ পরে মুছে দেই। এই গল্পটা লেখার পরেও আমার খুব একটা ভালো লাগেনি। কিন্তু এত কষ্ট করে টাইপ করলাম, তাই ফেলে দিতে মায়া হল।
এ পর্যন্ত লেখা আমার সবচেয়ে দূর্বল লেখা এটি।
তারপরও উতসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ হাসি
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আরেহ না মুছবা কেন, ভাল লিখসো শুধু বললাম আরো কান্ড কারখানা যোগ করলে আরো ভাল হত। হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

রেনেট এর ছবি

জ়ে আজ্ঞে।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

রায়হান আবীর এর ছবি

সত্য কথা বললে আসলেই গ্যাঞ্জাম কম। কলেজে কোন কারণে ধরা খাইলে আমরা সেই কাজটা না করলেও বলতাম করছি। তাতে ঝামেলা কম। করিনাই বললে ১০০ টা ঝামেলা। গল্প ভাল্লাগছে।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

রেনেট এর ছবি

সত্য কথার ভাত নাই আবীর ভাই।
গল্প ভালো লাগল শুনে খুশি হলাম।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ঠিকাছে... এই গল্প পঁচা হইছে... (এইটাই তো সবার কাছ থেকা শুনতে চাইতেছিলেন নাকি?)
এইবার এরচে একটা ভালো গপ লেখেন... জলদি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রেনেট এর ছবি

হেঃ হেঃ নজরুল ভাই বলছেন আসল কথা।
নেক্সট গল্প লিখব...তবে লেখার আগেই আশঙ্কা হচ্ছে ঐটা এটার চেয়েও খারাপ হবে।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

স্বপ্নাহত এর ছবি

কুসংস্কার থেকে মুক্ত থাকুন, ছেলের নাম আবুল রাখুন।

আমি হাসতে হাসতে শ্যাষ । এক্কেরে গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

রেনেট এর ছবি

সপ্নাহত ভাই, আপনার ছন্দজট কোথায়? আমি আপনার এই সিরিজের বিরাট ভক্ত।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

স্বপ্নাহত এর ছবি

মিয়া পাম মারেন , না??

সবাই দেখি আমার নাম আবুল না হইলেও অইরকমই কিছু একটা ভাবে চিন্তিত

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

রেনেট এর ছবি

পাম মারুম ক্যা অ্যাঁ
আমার পছন্দের পোস্টে যাইয়া দেখেন!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

স্বপ্নাহত এর ছবি

লজ্জা পাইসি...

বাকি কথা একটূ পরে কই... লইজ্জা লাগে

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আমার ভালো লাগে নাই (আবুলের কাজ-কারবার)।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

নিঝুম এর ছবি

আরো গল্প হোক
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

তার কোন বন্ধু বান্ধব তো হলই না, উপরন্তু কলেজের ছেলেপেলেরা তার আবুল নামের উ-কার বাদ দিয়ে আ-কার লাগিয়ে ডাকতে লাগল। আবুল সজ্ঞানে কাউকে কোনদিন খারাপ কথা বলেনি, আর আজ তাকেই সবাই আকার যুক্ত নামে ডাকতে লাগল

রেনেট, তুমি পারো রে ভাই, গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।