দুনিয়ার কত কিছু নিয়ে কত হাবিজাবি লিখি, কিন্তু মাকে নিয়ে লিখতে বসলেই বিপদে পড়ে যাই। কোথেকে শুরু করব? কোথায় শেষ করব? কেউ কি কখনও পেরেছে সমুদ্রে কতখানি জল আছে তা মাপতে? কেউ কি কখনও বলতে পেরেছে আকাশ কত বড়?পৃথিবীতে কি এরকম আর কেউ আছে, যার জন্য কখনও কিচ্ছু না করলেও যে আপনাকে ভালোবেসে যাবে?
মাকে নিয়ে চিন্তা করা শুরু করলেই প্রথমে যেই দৃশ্য মাথায় আসে, তাহলো, আমি আর মা দিদিকে টিচারের বাসায় পড়তে দিয়ে দুজনে বের হয়েছি ঘুরতে। একেকদিন একেক জায়গায়। যেদিন যেদিন দিদির টিচারের বাসায় পড়া থাকতো, প্রায় প্রতিদিনই উত্তেজনা নিয়ে বসে থাকতাম, আজকে কি মা আমাকে সাথে নিয়ে যাবে? মার সাথে ঘুরতে, ঘুরতে ঘুরতে টুক-টাক গল্প করতে ভালো তো লাগতোই, সাথে বাড়তি পাওয়া হিসাবে থাকতো আমার পছন্দের বিভিন্ন জিনিস কিনতে পারার সুযোগ।
ঢাকা শহরের কত বইয়ের দোকান যে মার সাথে ঘুরেছি, কত বই, কত ক্যাসেট, সিডি যে কিনেছি, তার কোন হিসেব নেই। ঘরে ফেরার সময় আমার হাতে থাকতো দুহাত ভর্তি জিনিস পত্র, আর দিদির ঈর্ষা মিশ্রিত চাহনি। এই পর্যন্ত শুনেই যারা এই উপসংহারে আসবে---আমাদের অঢেল টাকা ছিল, তাদের তাহলে এর বিপরীত কাহিনীও শোনাতে হয়।
ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়েছি পাড়ার এক কিন্ডারগার্টেনে। তারপর ক্লাশ ফাইভে হঠাৎ রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিই। টিকেও যাই। কিন্তু এ পর্যন্তই। রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে পড়ার সামর্থ্য আমাদের ছিলো না। আমি মুখ ভোঁতা করে ঘুরে বেড়াই, আর বড় বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলি, আর ভাবি কেন ভর্তি পরীক্ষায় টিকলাম? ফেল করলে তো আর এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হত না। রেসিডেনশিয়ালে পড়া আমাদের সামর্থ্যের এতই বাইরে ছিল, যে আমি ঐ স্কুলে যাবো কিনা, প্রথম দুই এক সপ্তাহে এই নিয়ে বাসায় কেউ কোন আলোচনা করারই সাহস পায়নি।
এরপর আমি এক কান্ড করি। জয়নুল আবেদীনের জীবনী পাঠ্য ছিলো কোন এক ক্লাসের বাংলা বইয়ে। সেইখানে ছিলো, জয়নুলের মা কি কি অসম্ভব কাজ করেছেন জয়নুলের আকাআকি চালানোর জন্য। আমি এরপর থেকে শুধু সেই বাংলা বই হাতে নিয়ে ঘুরি, আর মাকে পড়ে শুনাই। আমার ঘ্যানঘ্যানানিতে শেষ পর্যন্ত কাজ হলো। মা যেন কিভাবে কিভাবে বাবাকে রাজি করিয়ে ফেললেন।কিভাবে করলেন, আমি জানি না,তবে ওয়ান ফাইন মর্নিং আমি জানতে পারলাম, আমার ঘ্যানঘ্যানানি সার্থক হয়েছে। আমি রেসিডেনশিয়ালে পড়তে পারবো। শুনে আমি নিজের কানকে নিজেই বিশ্বাস করতে পারলাম না। এই কথা বাবার কানে পাড়লো কে, আর বাবাকে রাজিই বা কিভাবে করা হলো!
সমস্যা অবশ্য সেখানেই শেষ হলো না। স্কুলে কিভাবে যাবো, কে আনা নেয়া করবে, সেটাও একটা সমস্যা। আমরা তখন থাকি মগবাজারে, স্কুল হচ্ছে মোহম্মদপূরে। আমাদের তখনকার আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করলে প্রতিদিন মোহম্মদপূরে যাওয়া আসা করা প্রতিদিন পাঁচতারা হোটেলে খাওয়ারই মতো। একই স্কুলে একই সাথে পড়তো আমার এক মামাতো ভাই। শেষ মেষ ঠিক হলো, মা প্রতিদিন আমাদের নিয়ে যাবেন স্কুটারে করে। সেই যুগে আমরা স্কুটারে উঠতাম শুধু দাদা বাড়ি বা মামাবাড়ি যাওয়ার সময় বা এরকম বিশেষ সময়ে বা দূরপাল্লার জার্নিতে। স্কুটারে উঠাও ছিলো একটা লোমহর্ষক ব্যাপার।
কিন্তু, আমরা দুই নবাবজাদা (আমি আর মামাতো ভাই) ঠিকই মার সাথে স্কুলে গিয়েছি স্কুটারে করে প্রতিদিন। আর মা আমাদের নামিয়ে দিয়ে ধরেছেন বাস। কলেজগেট থেকে ফার্মগেট, তারপর বাস পালটিয়ে ফার্মগেট থেকে মগবাজার, তারপর বাসা পর্যন্ত হাঁটা। প্রতিদিন আমরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে গিয়েছি স্কুটারে করে, প্রতিদিন মা বাসায় ফিরেছে যুদ্ধ করে।বাসে উঠার যে যুদ্ধ আমি বড় হয়েও খুব একটা করিনি।
বাসায় কি কোন কাজ থেমে থেকেছে সেজন্য? কোন বেলার খাবার পেতে দেরি হয়েছে কখনো? কক্ষনো না। বাসায় কাজের লোক আমাদের কোনকালেই ছিলো না। আমাদের স্কুলে আনা নেয়ার এই দুরুহ কাজ প্রতিদিন করেও ঘরের কাজ মা করে গেছেন একা একা—দিনের পর দিন, বছরের পর বছর।
যে মা পয়সা বাঁচাতে বাস পালটিয়ে পালটিয়ে বাসায় ফিরতেন, সে মাই আবার আমাকে বস্তায় বস্তায় গল্পের বই কিনে দিতেন। বিনিময়ে আমি দিতাম শুধু একটা মন ভুলানো হাসি। বই কিনতে গিয়ে আমি যে কিরকম বেহুশের মত বই কিনতাম, তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। মা যদি বলতো, আজকে ২ টা বই কিনতে পারবে, তাহলে আমি ৪টা বই পছন্দ করে মার দিকে তাকিয়ে অপরাধীর মত একটা হাসি দিতাম, আর মনে মনে ভাবতাম, সামনের বার থেকে আর এত বই কিনবো না…কিন্তু সেই সামনের বার আর আসেনি।
এখন যখন এই বিদেশ বিভুইয়ে রাইস কুকারে ভাত রান্না করি, কিংবা ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধুই, কিংবা মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করি, প্রত্যেকবার মার কথা মনে পড়ে। এই কাজগুলো ম্যানুয়ালি করতে করতেই মার জীবনের বেশিরভাগ সময় আর শক্তি চলে গিয়েছে, এখনও যাচ্ছে। তারপরও ভাত একটু নরম হলে, বা তরকারীতে লবন বেশি-কম হলে যে ধমক মাকে শুনতে হয়েছে, তার হিসাব কে রাখে?
মার জন্মদিন আনুষ্ঠানিকভাবে কখনই করা হয়না। গত বছর মার জন্মদিনে আমি দেশে। আমি আবার জন্মদিনের কেক খেতে ভারী পছন্দ করি। ভাবলাম, কেক খাওয়ার এই উছিলা মিস করি কিভাবে? জন্মদিনের আগের দিন একটা কেক কিনলাম, রাত বারোটায় কাটবো বলে। ঐদিকে আমার বোনও কিনেছে আরেকটা কেক…সে ভেবেছে রেনেট দেশে এসেছে…নিশ্চয়ই ব্যস্ত থাকবে সারাদিন…আমিই কেক কিনি…
বাসায় ফিরে সিড়ি দিয়ে উঠছি, তখন দেখি দিদিও আরেক কেক নিয়ে ফিরছে বাসায়। দুইজন দুইজনের হাতের দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিলাম।
রাত বারোটায় যখন আমরা দুই ভাইবোন দুটো কেক নিয়ে মার সামনে হাজির হলাম, মাকে দেখে মনে হলো, যেন দুটো কেক নয়, আমরা দুই ভাই বোন দু-দুইটা বিশ্ব জয় করে নিয়ে এসেছি। বিস্ময়ে হতবাক, অশ্রুসজল হয়ে মা বসে রইলেন কিছুক্ষণ। কেক তিনি কিছুতেই কাটবেন না…দু-দুটো তো নয়ই। সামান্য দুটো কেক দেখে এত খুশি মানুষ হয়??
সারাজীবন তুমি আমাদের যা দিয়েছ, তার কিয়দংশও আমরা কখনও দিতে পারিনি…ভবিষ্যতেও যে পারবো, সেরকম কোন সম্ভাবনাও দেখি না।
আজ অনেক,অনেক দূরে বসে তোমার এই ব্যর্থ ছেলের আর কিই বা দেয়ার আছে…হাবিজাবি কিছু লেখা ছাড়া? শুধু এটুকু জানি, শত ব্যর্থতা একসময় সহ্য করতে না পেরে হয়তো একদিন মরেই যেতাম…প্রতিদিন বেঁচে থাকি শুধু তোমার মুখ আরেকটিবার দেখবো বলে।
শুভ জন্মদিন, মা! অনেক, অনেক ভালো থাকো।
এবার শুভেচ্ছা সহসচল স্বপ্নাহতের পক্ষ থেকে। তোমার জন্মদিন উপলক্ষ্যে কি চমৎকার ছড়াই না লিখেছে দেখো!
মা দেখো আজ তোমার ছেলে
তোমায় ফেলে
থাকছে অনেক দূরের দেশে একা
যেই দেশেতে ঘুমপাড়ানি
গান আর শাসন, চোখ রাঙানি
বুজলে দু চোখ যায় যে শুধু দেখা।
সেই সে তোমার ছোট্ট ছেলে
দুচোখ মেলে
আজ যে মিলায় এই জীবনের ধাঁধা
যাচ্ছে সময়, জমছে কাজও
বাড়ছে বয়স,মনটা আজো
রইলো তবু তোমার আঁচল বাঁধা।
মা, বলো আজ ভালোবেসে
মিষ্টি হেসে
চাইবে যেটাই ঠিক দেবো তাই কিনে
এক ফালি চাঁদ, মেঘের ভেলা
দুষ্টু কোন বিকেল বেলা
আজকে তোমার শুভ জন্মদিনে।
আমি দূরে না থাকলে এমন সুন্দর ছড়া হয়তো কোনদিনও উপহার পেতে না, মা!
মন্তব্য
শুভ জন্মদিন, মা!
অভিনন্দন স্বপ্নাহত, অসামান্য এই ছড়াটির জন্য!
ধন্যবাদ, আকতার ভাই
সচলের ছড়াকারগুলো কিন্তু মহা ফাঁকিবাজ হয়েযাচ্ছে দিন দিন!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
শুভ জন্মদিন মা---!!
পৃথিবীর সব মা'গুলো এত্ত ভাল হয় কেন?
মা, তোমার ছেলে রেনেটের সাথে আজ আরো এক ছেলের প্রণাম গ্রহন করো--
আমি তোমাকে দেখি নি মা, অথচ আমি ঠিক জানি তোমাকে,
আমি ঠিকই চিনি তোমাকে--
মা, তুমি, তোমরা আছ বলেই এখনো জীবন আমাদের পিষে ফেলতে পারেনা
মা, তুমি, তোমরা আছ বলেই আমরা এখনো প্রতিদিন ঘাড় গুঁজে লড়াই করি
তুমি আছো বলেই মা, প্রতিদিন পূর্বাচলের পানে তাকাই
তুমি আছ বলেই মা, যেকোন মূহুর্তে সব কিছু তুচ্ছ করে ফিরতে পারি,
ফিরতে পারি তোমার কোলে,
তুমি আছো বলেই মা,এখনো এই পোড়া চোখগুলোয় জল আসে
উষর প্রান্তর হয়ে ওঠা এই জীবনে হঠাত নামে অলকানন্দা--
মা, তোমায় প্রণাম--
ধন্যবাদ, অনিকেতদা
পৃথিবীর সব মা ভালো থাকুক!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
--------------------------------
ছুঁয়ে গেলো রেনেট। মা'কে শুভ জন্মদিন!
স্বপ্নাহতের ছড়াটাও দুর্দান্ত
ধন্যবাদ, তানভীর ভাই
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
শুভ জন্মদিন...
আমার অবস্থা উল্টা... আমি বাংলাদেশে, আমার মা আমেরিকায়... দিলেন তো মনটা ভ্যাজালে ফালায়া...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
বাবা- মাকে নিয়ে লেখা পোস্টগুলো পড়লেই কেন যেন চোখ ভিজে যায়...
তাড়াহুড়ো করে ক্লাসে ছুটতে গিয়েও লগ ইন করছি জানিয়ে দিতে-- "শুভ জন্মদিন মা!"
--------------------------------------------------
"সুন্দরের হাত থেকে ভিক্ষা নিতে বসেছে হৃদয়/
নদীতীরে, বৃক্ষমূলে, হেমন্তের পাতাঝরা ঘাসে..."
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
শুভ জন্মদিন মা
রেনেট, মাকে নিয়ে লেখা ও কবিতাটি খুবই ভাল লাগল ।
আরো ভাল লেখ তোমার উন্নতি হোক, তুমি সুস্থ থাকো এই কামনা করি।
পংকজ দা
আরে পংকজদা এইখানে!!!!!!!!!!!!!!!!
খুবই অবাক হলাম!!!!!!!!!!!
ধন্যবাদ, পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
শুভ জন্মদিন মা!
ধন্যবাদ ইবরাহিম!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ছড়া, লেখা দুইটাই
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
ধন্যবাদ, বর্ষাপু
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আসলেই মাকে নিয়ে কখনও কিছু লিখতে পারিনা। সব গুলিয়ে যায় কিংবা লেখা কোথায় থামবে খুঁজেই পাইনা।
মায়েরা এমনই, জীবনের কত কিছু শুধু আমাদের জন্য বিসর্জন দিয়ে দেন অবলীলায়।
জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা.....
অনেক অনেক ভালো থাকুন সবাই একসাথে
---------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ধন্যবাদ, মউ!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
শুভ জন্মদিন, মা!
রেনেট শুধু এই লেখাটির জন্যই তুই চিরকাল আমার ভাই হয়ে থাকবি।
আহ...আবার ভাই কেন! ভায়রা ভাইই তো ভালো ছিল
ধন্যবাদ, মামুন ভাই।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
শুভ জন্মদিন মা।
দিনটি বার বার আসুক ফিরে ফিরে।
রেনেট আর স্বপ্নাহতের লেখায় আবারও জানিয়ে গেলাম মুগ্ধতা।
অনেক ধন্যবাদ, অনিন্দিতা আপু
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
১.
শুভ জন্মদিন মা!
২.
মাগো। আপনার ছেলে অনেক পাশ দিয়েছে। এবার সুন্দর দেখে একটা বউ আনার ব্যবস্থা করুন।
হেহে...
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ভাই, ক্যমনে লেখেন এইগুলান!!!!!!!!
পাগল হয়ে যাবার দশা আপনার লেখা পড়ে!!
বুকের মধ্যে, চোখের কোণে কি যেন একটা আটকে আসছে!!
পৃথিবীর সব মা কে ভালোবাসা, শুভ জন্মদিন মা!!
আমিই তানভী |
শুধু শুধু লজ্জা দিচ্ছেন কেন রে ভাই?
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মন ও চোখ ভেজানো লেখা! পৃথিবীর মা'রা আসলে সবাই মিলে একটি সত্তা।
মা'কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
ধন্যবাদ, রাহিন ভাই!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
শুরুর দিকে বললেন না- পৃথিবীতে কি এরকম আর কেউ আছে, যার জন্য কখনও কিচ্ছু না করলেও যে আপনাকে ভালোবেসে যাবে?
-একজনই আছে। তিনি মা।
আপনার মত প্রতিটি সন্তানের মনেই যেন এমন ভালোবাসা বেঁচে থাকে মায়ের জন্য।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ধন্যবাদ, জুলিয়ান ভাই!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মা কে শ্রদ্ধা এবং জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
মা মানে ঈশ্বর (শেরালী)।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
ধন্যবাদ পুতুল ভাই
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
খুব ভাল লাগল লেখা আর কবিতা। শুভ জন্মদিন মাকে
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
অসাধারণ লেখা। হৃদয় উথাল পাতাল করে দেয়া শব্দগুলো....
মাকে শ্রদ্ধা - তার সাথে যোগ্য ছেলের জন্যে রইল অশেষ শুভাশীর্বাদ।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
আপনার কমেন্ট পড়ে মন ভালো হয়ে গেল, রেজওয়ান ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মা'কে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
শুভেচ্ছা যথাস্থানে পৌছে দেয়া হবে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এরকম অসাধারণ একটা লেখায় কোন মন্তব্য করা যায়না
শুধু মন খারাপ করা যায়
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মন খারাপ করা উদ্দেশ্য ছিলো না। সরি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মা' কে অনেক অনেক শ্রদ্ধা।
পৃথিমীর সকল বাবা' রা এমন কেনু কেনু শুধু মা' দের কথাই শুনে। আমাদের কথা শুনে না।
- বুদ্ধু
বাবারা মোটেও মাদের কথা শোনেনা।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মা'কেতো জন্মদিনে অভিনন্দন আগেই জানিয়েছিলাম।
ইয়ে মানে, বউ আনার কথাটা মুখ ফুটে বলতে না পারলে আমায় জানাও
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
বউ না...বান্ধবী দরকার
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
পছন্দের পোষ্টে যুক্ত করলাম।
---------------------------------------
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।
ধন্যবাদ, স্পার্টাকাস
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আহ্ রেনেট, কেন লিখেছেন এই লেখাটা ?
সব স.........ব কিছু সত্যি আমার মায়ের বেলায়...নয় নয়টি ছেলে মেয়ের লেখাপড়া, বাবার সামান্য বেতনের টাকায়...তবু কখনো বই কেনা আটকে থাকতো না...আপোস ছিল না আমাদের লেখাপড়ার খরচের সঙ্গে...এক এক করে মার গায়ের গয়না চলে গিয়েছে পরীক্ষার ফি জমা দিতে...তারপরেও কী ভীষন আত্মতৃপ্ত একজন মানুষ ছিলেন...
মায়ের জন্যই কিছু করা হয়নি, কিচ্ছু না...
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নতুন মন্তব্য করুন