(গত দুইদিনে দেখলাম নটরডেম নিয়ে ২ বছর আগে লেখা স্মৃতিচারণে অনেক নটরডেমিয়ানই ঢু মারছে। তাই নটরডেম নিয়ে আরো কিছু প্যাচাল পারার ইচ্ছা দমিয়ে রাখতে পারলাম না। ডিপার্টমেন্ট ওয়াইজ শুরু করি, কি বলেন?
তাহলে প্রথম পিরিয়ড হোক বাংলার)
আমি বাংলা পুড়াই, পুড়িয়ে খাই
জ্বি হ্যাঁ, খুব বেশি আগের ছাত্র না হয়ে থাকলে আপনি নিশ্চয়ই ধরতে পেরেছেন, উক্তিটি কার। জ্বি, ঠিকই ধরেছেন। উক্তিটি হল বাংলা ডিপার্টমেন্টের তৎকালীন নতুন সংযোজন 'সুহেল স্যারের'। একধরনের ইংরেজির শিক্ষক আছেন, যারা ইংরেজি উচ্চারনে বিশেষ প্রতিভার অধিকারী। তারা শেক্সপীয়ারকে সেক্সপিয়ার বলেন প্রতিনিয়ত। আবার অনেক বাংলা শিক্ষকও বাংলা উচ্চারনে সেরম পন্ডিত। আমাদের সুহেল স্যার ছিলেন ঠিক সেরকম।
তিনি যখন ক্লাসে ঢুকে নিজের পরিচয় দিলেন, "আমি সুহেল।আমি বাংলা পুড়াই, পুড়িয়ে খাই" (আমি বাংলা পড়াই, পড়িয়ে খাই)...তখনই বুঝে গেসিলাম এই ক্লাসে হাসি চাপিয়ে রাখা কষ্টকর হবে।
কিন্তু বিধি বাম। পার্ফেক্ট এটেন্ডেন্সের অভিশাপে ততদিনে আমি ফার্স্ট বেঞ্চে (মাঝখানের রো)। ফার্স্ট বেঞ্চের মাঝখানের সিটটা আমার।
আর তাই সুহেল স্যারের কুনজরে পড়তেও বেশি সময় লাগলো না।
এম্নিতেই স্যার আমার উপর ক্ষ্যাপা, তার উপর ফার্স্ট বেঞ্চের সিট। তাই কোন প্রকার দুষ্টুমি না করে হাসি হাসি মুখ করে স্যারের কথা শোনার ভান করছি। স্যার হঠাৎ পড়া থামিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "এই ছেলে, হাসছিস কেন? আমাকে দেখলে তোর হাসি পায়?"
তুই তোকারি ছোটবেলা থেকেই আমি ভীষন অপছন্দ করি (সৈয়দ বংশের ছেলে বলে কথা!) তার উপর বিনা অপরাধে ঝাড়ি। মেজাজটাই খেল খিচড়ে। সেই থেকে শুরু হল সুহেলের সাথে আমার খিটিমিটি। প্রায়ই দেখা যায় বিনা কারনে তিনি আমাকে ধমকা ধমকি করছেন।
একদিন কুইজের খাতা বিতরণ হচ্ছে। রোল অনুযায়ী লাইন ধরলাম। আমার রোল ১০৪। ১০৫ রোল যে ছেলেটার (আমরা সবাই ওকে চাচা ডাকতাম), সে আবার সুহেলের দারুণ প্রিয় ছাত্র। তো, আমি ডায়াসের দিকে গেলাম। স্যার আমাকে দেখলেন, তারপর খাতার দিকে তাকালেন। তারপর ভুরু কুচকে বললেন, "এই যে ভালো ছাত্র! চোখ মুখ দেখে তো মনে হয় পড়ে উলটে ফেলিস...পরীক্ষার খাতায় এই অবস্থা কেন?" আমি তো ভাবলাম নির্ঘাত ফেইল করেছি। খাতা নিয়ে দেখি ১০০ তে ৬০। বাংলার তুলনায় রাজকীয় নাম্বারই বলতে হবে। আর আমাকে কিনা এইভাবে ঝাড়ি! যাহোক, আমি রাগে গজ গজ করতে খাতা নিয়ে রওয়ানা দিলাম। তখন শুনি সে চাচকে বলছে..."এই ছেলেটি চমৎকার লিখে...তোরা দেখে দেখে শিখ কিছু...ব্লা ব্লা।আমি সিটে এসে বসে রইলাম। চাচা ফেরত আসার পর জিজ্ঞেস করলাম, কিরে চাচা কত পেলি? চাচা বলে, "৬৫"। ওর নাম্বার শুনে আমার মেজাজ পুরা বিলা হয়া গেল। শালার ৫ নাম্বারের জন্য আমাকে এইরকম ঝাড়ি!
তবে কিনা, চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন। একদিন টিফিন টাইমে কার্ড ফোনের বুথের বাইরে লাইন ধরে আছি (নতুন বিল্ডিং এর ভিতরেই ছিল বুথটা)...৩/৪ জনের পিছনে। লাইন আগাতে আগাতে আমার আগের জনে গিয়ে ঠেকল। সে প্যাচাল পাড়তেসে তো পাড়তেসে...পাড়তেসে তো পাড়তেসে...এদিকে টিফিনের সময় প্রায় শেষের দিকে। হঠাৎ দেখি, আমার পিছনে সুহেল দাঁড়িয়ে আছে। সেও ফোন করবে। আমিও ঘড়ি দেখি, সুহেল ও ঘড়ি দেখে। শেষ পর্যন্ত সুহেল আর থাকতে না পেরে আমাকে বলল...দেখতো ঐ বাদরটা কি প্যাচাল পাড়ে এতক্ষন... প্রেমালাপ করে নাকি? আমি না শোনার ভান করে দাঁড়িয়ে আছি। ২-১ মিনিট পর সেই বালক বের হলো। তখন সুহেল আমার পিছন থেকে বলে "তুই না কত ভালো! আমার না একটা জরুরী কল করতে হবে...আমি আগে ফোন করি, তারপর তুই বকবক করিস মন ভরে"
হেহে...বটে? আমি মুখ শুকনো শুকনো করে বললাম, স্যার, আমার ছোট বোনটার আজকে অপরেশন। ওর খবরটা জানতে হবে...(আমার কোন ছোট বোন নাই )
স্যার দেখি বিড় বিড় করতে করতে উলটো দিকে রওয়ানা দিলেন
স্যারের ঝাড়িগুলো শুনতে খুব মজা লাগতো (যদি আমাকে দেয়া না হতো)।
একদিন এক ছেলে কলারের নিচের এক বোতাম খোলা অবস্থায় অনেকটা শিস বাজাতে বাজাতে ক্লাসে ঢুকলো। সুহেল পাকড়াও করলো। "এই জংলী! এরকম অর্ধ নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াস কেন? এইখানে কি কোন মেয়ে আছে, যে তোর উদোম বুক দেখে তোর প্রেমে পড়ে যাবে? বোতাম লাগা বলছি"
আরেকদিন পড়াতে পড়াতে সুহেল বলে (কিছুটা ক্ষেপে গিয়ে)..."মেয়েরা নিজেদের কি ভাবে? পুরুষরা শুধু তাদের উপর নির্যাতনই করে? আরে মহিলা, পুরুষরা যদি শুধু তোদের নির্যাতনই করে, তবে বছর বছর এত বাচ্চা হয় কি করে?"
তবে সুহেলের যে ঘটনায় সবচেয়ে মজা পেয়েছিলাম...৫১ তম বর্ষ পূর্তিতে জেমসের কনসার্ট হবে নটরডেমে। পুরো কলেজ টগ বগ করে ফুটছে উত্তেজনায়। তো কনসার্টের আগের দিন সুহেল ক্লাসে জেমস কে বিশাল ঝাড়ি। "আমি বুঝি না তোরা এই ব্যাটার গান কেন শুনিস...ইত্যাদি ইত্যাদি"
কনসার্টের দিন দেখা গেল মঞ্চে জেমসের সাথে ছবি তোলার জন্য সুহেলের কি লম্ফ-ঝম্ফ! ক্যামেরাম্যানকে (ছাত্র) ঝাড়ি "এই ব্যাটা ক্যামেরাম্যান...এদিকে আয়...আমার আর জেমস ভাইয়ের একটা ছবি তুলে দে...তারপর সে কি পোজ
প্রমীলা ম্যাডাম
ফার্স্ট ইয়ারে ক্লাস নিতেন প্রমীলা ম্যাডাম। তখনো আমাদের সিটিং চার্ট তৈরি হয়নি। কাজেই সবার নাম ধরে ধরে রোল কল করতে হত। সে এক বিরাট কমেডি। ক্লাস ছিল ৪০ মিনিটের, ম্যাডামের রোলকল শেষ হতে হতে ৩০ মিনিট পেরিয়ে যেত (একটুও বাড়িয়ে বলছি না)...তারপর হৈমন্তি শুরু করতে না করতেই ক্লাশ শেষের ঘন্টা। ম্যাডাম রবীন্দ্র সংগীত ভালো গাইতেন সন্দেহ নেই, কিন্তু এরকম মিহি স্বরে গ্রুপ ২ এর ১৮০ টা বাঁদরকে কন্ট্রোল করা উনার আয়ত্তের বাইরে ছিল। একে তে ১৮০ জনের রোলকল, তার উপর বেশির ভাগ রোলই ২/৩ বার করে ডাকতে হত। চিৎকার চেচামিচিতে ম্যাডামের কথা কেউ শুনতে পেলে তো!
ভালো মানুষের আসলেই ভাত নেই দুনিয়াতে
নাহ...লিখতে লিখতে অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে...বাকী বাংলা ডিপার্টমেন্ট মন্তব্যের ঘরে ।
সুবিধার্থে লিস্ট দিই--
মুখতার স্যার (কেউ একজন আলাদা পোস্ট দেন)
আবু বকর সিদ্দিকী (বকর আলী)
বকুল আপা (ফাদার বকুল)
মারলিন ম্যাডাম
জনগনের উৎসাহ লক্ষ করা গেলে অন্য ডিপার্টমেন্ট ও আসবে ক্রমান্বয়ে)
মন্তব্য
রেনেট মিয়া, নারী পুরুষ নির্যাতনের দিন হয় আমি ক্লাশে ছিলাম না নইলে চাপা মাইরা দিলা একটা।
প্রমীলা ম্যাডামকে আমরা ডাকতাম পামেলা ম্যাডাম বলে। তুমি ভাল ছেলে বলে মনে হয় এইটা জানতেনা। ম্যাডামের আরেকটা মজার জিনিস ছিলো, আমাদের (দুষ্টু ছেলেদের) একটা লিস্ট বানিয়েছিলো উনি। সেই লিস্ট ব্যাগ থেকে বের করে নিয়মিত আপডেট করতেন - আর বলতেন এই লিস্ট ডিরেক্টর অব গাইডেন্স এর কাছে পাঠাবেন। হঠাৎ একদিন ঘোষনা দিলেন সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করা হয়েছে অর্থাৎ পুরাতন লিস্টি বাতিল- আজকে থেকে নতুন লিস্ট।
আমাদের ক্লাশে প্রথম যেদিন সুহেল স্যার এসেছিলেন, ঐদিন উনি কারও প্রক্সি দিতে এসেছিলেন, তাই বার বার বলছিলেন উনি যে কতটা বিপদজ্বনক শিক্ষক সেটা যেন বড় ভাইদের থেকে জেনে নেই।
সুহেল আহমেদ এর আরেকটা ঘটনা ছিল, জলুচ্ছ্বাস বিষয়ক বিতর্ক। স্যার ক্লাসে পড়িয়ে একদিন সন্ধির উদাহরণ দিচ্ছিলেন। অ+উ=ও যেমন জল+উচ্ছ্বাস=জলোচ্ছ্বাস। কিন্তু উচ্চারণের বেলায় বললেন জলুচ্ছ্বাস। আর যায় কোথায় তাঁকে ধরা হলো। স্যার এটাতো জলোচ্ছ্বাস হবে, উনিও বলেন হ্যা জলুচ্ছ্বাস ইতো। সেদিন বড়ই মজা হয়েছিল।
সুহেল স্যার মনে হয় একদিন বলেওছিলেন যে ওনার ঘরণী এন এস ইউ এ পড়েন বা এই জাতীয় কিছু। আমার এখন ঠিক মনে পড়ছেনা। তবে সেটা নিয়ে আমরা বিস্তর আলোচনা করেছিলাম- এটা মনে আছে
হায় হায়! লিস্টের কথা কেম্নে ভুলে গেলুম!
ই-বুকে কিন্তু তোমার সেরম লেখা চাই মিয়া!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমরা এক ম্যাডামকে ডাকতাম পামোলা
---------------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
চালিয়ে যান ভাই ।
পুরানো কথা মনে পরে যাচ্ছে।
ডেমিয়ান নাকি? তাহলে আপ্নিও বলুন দুয়েক কথা
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
দুই বছর আগের লিঙ্কটা দেন না!
দেখুন এখানে ওএখানে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মনে আছে, হলিক্রস কলেজ নিয়ে দুষ্ট বালিকা'র লেখাটা? ওখানে লিঙ্ক দিয়েছিলেন, সেটার পর থেকে অনেকেই প্রায় আজকাল যাচ্ছেন আর কিছু স্মৃতি সাজিয়ে আসছেন। ভাল লাগে নিজের প্রিয় স্কুল-কলেজের স্মৃতিচারণ - আমাদের পরিবারের সব ছেলে নটরডেমিয়ান, এমন কী বাবা-খালু-ফুপারা পর্যন্ত!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
জহরলাল স্যার বলতেন, আমরা "ড্যাম" কলেজের ছাত্র
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমার এক ভাই ন'ডেমিয়ান :)। ভাইকে লিন্কটা পাঠিয়ে দিব।
থ্যাঙ্কু
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মিলন স্যাররে পাইসিলেন? তার "সাপের লগে সোহাগ" জাতীয় ডায়ালগ মনে আছে। কিন্তু স্যারটা মনে হয় অত খারাপ ছিল না।
মোখতার স্যারকে আপনার কেমন লাগত? নটরডেমে বোধ হয় এই লোকটাকে সবচেয়ে অসহ্য লাগত, যদিও ক্লাসে নানানরকম নোংরা ইঙ্গিতপূর্ণ কথার জন্যে ইনি অনেক ছাত্রেরই প্রিয় দেখেছি। বাংলা বইয়ের যতগুলো গল্প পড়িয়েছেন, বিশেষত "পদ্মানদীর মাঝি", সবকটির ভিতরে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে অশ্লীল জিনিসপত্র, বানিয়ে হলেও, বের করতেন, মনে হত চটি পড়তে বসেছি। সবচেয়ে খারাপ লাগত ছেলেদের বাপ-মা তুলে গালিগালাজ দেওয়া।
আবু বকর সিদ্দিকী আরেক চিজ। একমাত্র প্রমথ চৌধুরীর "বই পড়া" পড়ানোর সময় লেখক/লেখিকার সাথে নিজের কোন সম্পর্ক বের করে প্রচার করতে পারেননি। তার লেখা "জলরাক্ষস" বইটা "বিশেষ বিশেষ" বাক্য দাগানো অবস্থায় লাইব্রেরিতে পাওয়া যেত।
প্রমীলা ম্যাডামকে পাইনি। তবে গ্রুপ ২ তে পড়াতেন। মিহি গলা নিয়ে এত বড় ক্লাস সামলাতে নাজেহার হবার গল্প শুনেছি বন্ধুদের কাছে।
========
আশাহত
নাহ...মিলন স্যার পাইনি। প্রমীলা-মুখতার-সুহেল।
মুখতার স্যারের ক্লাস আমার ভালই লাগতো। বাংলা ক্লাসে কি আর পড়াশোনা করার জন্য কেউ থাকতো নাকি?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
পড়াশোনা করার জন্য কোন ক্লাসেই থাকতাম না কিন্তু ভালো ভালো গল্পগুলাকে চটি বানাইতে দেখতে খারাপ লাগত। আর টিচার মানুষ হয়ে ছাত্ররে বাপ-মা তুইলা গালি দেওয়াটা খুবই খারাপ লাগত।
=========
আশাহত
ভাই সকল, আপনারা রেনেটের কথায় কান দিয়েন না। আমার কথা শোনেন লেখাগুলো জমা করে রাখেন, অথবা পুরাটা এখনই দিয়েননা, এগুলো অমূল্য সম্পদ। একটা ই-বই বের করার খায়েশ হয়েছে। শীঘ্রই ঘোষণা আসিবে। স্টে টিউন্ড।
তাইলে তো এই সিরিজ বন্ধ
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ঐ মিয়া তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দাও।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
নাহ! ই-বুকে তাইলে কি দিমু?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আচ্ছা মুখতার স্যারের সাথে তারানা হালিমের না কার জানি কিসব কিসব ইয়ে ছিল...
সাথে আলমারি ......
সহমত।
আলমারীর অনেক কেচ্ছা শুনছি।
তারানা হালিম না। তবে জনসম্মুখে তার নাম বলাটা কি ঠিক হবে? হিন্ট দিইঃ
নজু ভাইয়ের খুব কাছের মানুষ। বাকীটা নজু ভাইরে জিগান
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
নটরডেমে ভর্তি পরীক্ষায় টিকছিলাম। পড়ি নাই।
আমি চুটিয়ে ট্যুইশনি করাতাম। বেশিরভাগই ছিল নটরডেমের পুলাপাইন। মুখতার স্যারের সুনাম শুনে শুনে ... আর না কই। আলমারি চাপা পড়ার একটা ঘটনা শুনছিলাম।
আর লেখা পড়ে আপনাকে জানাচ্ছি
স্যারের বাসায় ও পুলাপানের ভীড় নাকি লেগে থাকতো। সাজেশন-ফাজেশন না। স্যারের গল্প শোনার জন্য
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
পদ্মা নদীর মাঝি পড়ানোর সময় এক ছেলে প্রশ্ন করেছিল যে নায়কের নাম 'কুবের' কেনো ? সুহেল ভাবল তার সাথে ফাজলামো করছে, শার্টের কলার চেপে ধরেছিল। ক্লাস শেষে আবার সেই ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো, "অনেক বড় হবি !"
সুহেল স্যারের লাস্ট নেম ভুলে গেসি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
Shoe-Hell "আহাম্মেদ"
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
এক্কেরে খাঁটি "শুহেল" উচ্চারণ দিসেন!
===========
আশাহত
গ্রুপ ২তে সোহেল আমাদের ২ দিন ক্লাস নিতে আসছিল।আম্রা থাকতে থাক্তেই সে কি কারণে জানি চাকরী ছাড়সিলো।(যদিও আমরা শুনছি তহবিল তছরুপ জাতীয় কোন ঘটনাতে সে জড়িত ছিল)।
কেউ_না
২০০৭ ব্যাচ
কও কি!!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
কথা সত্য
মন খারাপ ক্যান? আমি তো বেজায় খুশি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ইবুকের জন্য সচলদের কাছ থেকে চমৎকার কিছু স্মৃতি আসতে পারে
টেরেন্স স্যার
জহরলাল স্যার
নিমাই স্যার
বিদ্যাসাগর স্যার
মুখতার স্যার
গাজী আজমল স্যার
এদের ক্লাসের কথা নিয়ে।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হেই মিয়া... আসল লোকরেই ভুলে গেলেন। দ্যা গ্রেট মানিক গোমেজ স্যার; যার সাথে প্রায়শই এরশাদ সাহেব মতিঝিলের মোড়ে গাড়ি থেকে নেমে কোলাকুলি করতেন; যার সব ছেলে-মেয়ে বিদেশে থাকে কিন্তু তিনি ষাট টাকার পাঞ্জাবি (এটা বলার সময় সামনের বেঞ্চ থেকে একজন ফতুয়া বলে চিল্লানি দিয়ে শুধরে দিয়েছিল) পরে হেঁটে হেঁটে কলেজে আসতেন। যিনি ২০০১ এর নির্বাচনে হারার পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে স্যারের পরামর্শ না নেয়ার ব্জন্য ব্যাপক ঝাড়ি দিয়েছিলেন। যার মেয়ে হিলারি ক্লিনটনের সাথে নিয়মিত ডিনার করে; যিনি ’৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ের রাতে উপদ্রুত এলাকায় এক খেজুড় গাছে রাত কাটিয়েছিলেন।।
সোহেল স্যারের লাস্ট নেম আহমেদ।।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
'ওয়েলকাম ব্যাক' ভ্রাতা!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইবুক বের হওয়ার আগ পর্যন্ত স্মৃতিচারণ চলতে থাকুক...
পড়তে মজা লাগছে!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইবুকের কথা শুনে তো সবাই মনে হচ্ছে মুখে কুলুপ এটেছে। তবে এই বেলা আপনাকে একটা কথা বলে যাই। আমার কিন্তু নটরডেমের চেয়ে ভিকারুন্নেসা বা হলিক্রসে পড়ার ইচ্ছা বেশি ছিল
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমার মনের ইচ্ছা দেখি আপনারও ছিল! একটু পরে লিখতে বসবো। তখন ধীরেধীরে সব এনে জড়ো করবো।
টুইটার
মানিক মিয়ার ক্লাশ পাইনাই। সামনাসামনিও দেখিনাই কোনদিন। তাই বাদ পড়ে গেসে
ক্ষ্যামা দেন।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এছাড়াও মা.গোমেজ স্যারের বেল্ট খুলে ছেলেরে পিটানোর গল্পও ছিল একটা।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এই ভদ্রলোক কি হুদাই ভাব নিতো নাকি?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমাদের বিদায়ের বছরে মানিক স্যারেরও অবসর হয়(খুব সম্ভব)। আমি ছিলাম গ্রুপ সেভেনে, আমাদের ক্লাস নিতেন 'সুহ্যায়ল', তার কথা পরে সবিস্তারে আরো বলব। গ্রুপ সিক্সে মানিক স্যারের শেষদিনে ক্লাসের ছাত্ররা বড় ফন্টে দরজার গায়ে লিখে রেখেছিল
"পৃথিবীতে যা কিছু খারাপ, চির অকল্যানকর
অর্ধেক তার এনেছে মানিক, অর্ধেক তার বংশধর"
ধৈবত
নটরডেম আসলেই টাফ জায়গা, পড়িনি তবুও বুঝতে পারি।
মুখতার স্যারের উপর লেখা খুবই জরুরী। অপেক্ষায় আছি...লেখাটা রেটেড আর হতে পারে
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আসলে মুখতার স্যারের গল্প লিখে কতটা বোঝানো যাবে, তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। যারা তার ক্লাস পেয়েছে, তারাই জানে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
চুয়েল স্যার ডাকতাম আমরা !
রেনেট ভাই, স্যার এর ভাষা এখনো একদম পরিবর্তন হয় নাই, এখনো সেইম! ( আমি ০৫ ব্যাচ )
মুখতার স্যারকে নিয়ে সবচেয়ে রসিয়ে লেখা যাবে ।
প্রমীলা ম্যাডামকে আমরাও পামেলা ম্যাডাম ডাকতাম
উনি বড়ই ভালো ছিলেন , ক্লাসে ল্যাব শিট এর কাজ করা যেত , বাসার কত টাইম সেইভ!
জহরলাল স্যার আরেকজন!! জটিল চিজ ।
চলুক
আর বই এর কথায় তো দারুণ খুশি হয়ে গেলাম । সত্যি তো?
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা
_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!
জহরলাল স্যারকে অনেকেই পছন্দ করতো না (উনার নীতিকথার জন্য)...তবে আমার দেখা অন্যতম সেরা গণিত শিক্ষক ছিলেন তিনি।
তবে উনার পোষাক ছিলো চরম মজার। পুরাই স্কুল ড্রেস
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমি করতাম না, আমি গ্রুপ ৭ এ ছিলাম, ওই গ্রুপের বান্ধা লোক ছিলেন নিমাই স্যার, নিমাই স্যারের মতন স্মার্ট আর বোল্ড লোক চলে যাবার পর জহরলাল স্যার পড়াতে আসলে পার্থক্যটা খুব বড় করে চোখে পড়ত। জহরলাল স্যারকে এক কথায় তখন "ক্ষ্যাত্" বলতাম।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
রেনেট নটরডেমের কথা শুরু করলে সারা রাত চলে যাবে। তোমার এই পোষ্টে দুই জনের কথা আছে তার মধ্যে শ্রীমান সুহেলকে আমরা পাই নাই, তবে এই চীজের অনেক গল্প শুনেছি। কিন্তু প্রমীলা ম্যাডামের একটি ঘটনা মনে করিয়ে দিলে।
আমাদের ( ইন্টার ৯৬) শেষ ক্লাসের কথা, কোন কিছু পড়ার নাই তার পরেও ক্লাসে আসতে হয়েছে। ম্যাডামও পড়ানোর কিছু পাচ্ছেননা, তো তিনি আমাদেরকে তার স্বভাবত গম্ভীর ভাব ছেড়ে সহজ করে বললেন আজ কি করা যায় বলতো? আমরাও মাথায় চড়ে বসলাম, শুধালাম ম্যাডাম আপনি চমৎকার রবীন্দ্র সঙ্গীত করেন, আজকে একটা শুনান। আর যাই কই শুরু হলো তার হামকি ধামকি, যে বেচারা বলেছিল তাকে রীতিমত নাকানি চুবানি খেয়ে খান্ত দিতে হল।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বাংলা ক্লাসে মনযোগ রাখা এম্নিতেই কষ্টকর। তার মধ্যে প্রমীলা ম্যাডামের ঘুম পাড়ানি কন্ঠ। আমরা ঐ ক্লাসে ইনডোর গেম খেলতাম
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মনে পড়ে সব
______________________________
জীবনের সব আশা যেখানে শেষ হবে..........
সেই শেষবিন্দুতে আমি আসব।
জীবনের সব আশা য়েখানে শেষ হবে..........
সেই শেষবিন্দুতে আমি আসব।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এইবেলা খানিকটা আফসোস হতে শুরু করেছে কেনো নটরডেমে আসি নাই?!
অবশ্য এটাও ঠিক, সেসময় বাসা থেকে চলে এসে ঢাকায় পড়ার চিন্তা ঘূর্ণাক্ষরেও আসেনি মাথায়!
নটরডেমিয়ানরা লিখতে থাকেন, আমরা নয় দুধের স্বাদ জলেই মেটাই!
মর্ম
অফটপিক:
আমার দুই কাজিন নটরডেমিয়ান- মুগ্ধ, দীপ্ত। কেউ চিনতেন নাকি?
কঙ্কী! আপনি ছেলে!! আমি তো চিরকাল আপনাকে মেয়ে ভেবে আসলাম!! (সচলে মুমু নামে একজন আছে কিনা!!)
অফটপিকঃ আপনার কাজিনরা কোন ব্যাচ? কোন গ্রুপ?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
বলেন কী বলেন কী?!
কী বলবো ভেবে পাচ্ছিনা!
মুমু আছে (তার একটা সুন্দর ছড়া আজকেই পড়লাম) মানলাম, নিজে কোন একজনকে মন দিয়ে বসে আছেন মানলাম, তাই বলে একটা জ্বলজ্যান্ত ছেলেকে মেয়ে ভেবে বসলেন?! হায়াল্লা, লজ্জায় মরি!
অফটপিক:
বিপদে ফেললেন, ওসব তো জানিনা। জেনে জানিয়ে যাবো'খন।
আমারে কি আপনার এতই ভুদাই মনে হয়? কত কত মেয়ে আছে দুনিয়াতে!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
তাও তো একজনরেই মন দিয়া বইসা আছেন, তারেই খুঁজেন খালি..! 'পাত্রী দেখার গল্প' না পড়লে তো পুরা কাহিনী আমার অজানা থাকতো!
অফটপিক :
খবর পাওয়া গেছে ভাইদের। বড়জন মুগ্ধ ছিলো ৯৮ ব্যাচ, সায়েন্স গ্রুপ ১। ছোটজন ২০০০ ব্যাচ, গ্রুপ ছিলো কমার্স ২। আপনাদের মোখতার স্যারের কথা জিজ্ঞেস করতেই ছোটজনের মুখের কোনায় হাসির রেখা দেখলাম।
হেহে রেনেটদা, মজাইলাম... মুখতার স্যারের গল্প আমরাও কম শুনিনাই! আজমল স্যারের বাসায় পড়েছিলাম কয়েকমাস, আমি উনার বড় পেয়ারের ছাত্রী ছিলাম!
আরও ঘটনা আসুক...
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হেহে...মুখতার স্যারের গল্প কি ডাইরেক্ট উনার কাছ থেকেই শুনছেন?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
"ওরে হারামীর বাচ্চারা,তোদের মা'কে স্মরণ কর"-----এই জিনিষ না থাকলে নটরডেমের বাংলা বিভাগের স্মৃতিচারণ পুরো হয় নাকি ??????
এটা কার ডায়লগ ছিলো? মুখতার/সোহেল?
কেউ কেউ বলছে মুখতার স্যার নাকি ছাত্রদের বাপ মা তুলে গালি দিত...আমাদের ক্লাশে অবশ্য এরকম ঘটনা ঘটে নাই
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
অবশ্যই মুখতার।উনার ডায়লগ গুলো এখনো কানে বাজে।অনেকের মতো আমিও প্রথম প্রথম লোকটাকে পছন্দ করতাম না । কিন্তু বুয়েটে এসে জীবন সম্বন্ধে ধারণাটা অনেকখানি পাল্টে গেছে । তাই ওনাকে আর এতোটা খারাপ লাগেনা।কলেজে আমার মতো অনেকেই আছে সদ্য মফস্বল থেকে আসা পুরো ভোদাই ।তাদের জন্য মুখতার এর দরকার আছে বলেই আমার মনে হয়।
স্যারের একটা ডায়লগ ছিল এইরকম "সবচেয়ে ভদ্রলোকটাও অফিস শেষে বাড়ি এসে জুতা খুলতে খুলতে বউকে বলে "ছেনার মাগী...তাড়াতাড়ি এসে বাজারের ব্যাগটা ধর!"
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মুখতার কে নিয়ে লিখার ইচ্ছা অনেক দিনের।কালকে আপনার এই পোস্ট পড়ে অনেকটা লিখেও ফেলেছিলাম । কিন্তু ভয় করে অশ্লীলতার দায়ে না পড়তে হয়!!!!!!
সেই ২০০৭ সন থেকে ভাবছি একদিন নটরডেম নিয়ে স্মৃতি চারণ করবো। কিন্তু কারই হয় না। আপনার এই পোস্ট এবং দুই বছর আগের সেই পোস্ট ইচ্ছাটাকে উসকে দিল। এখনই বসবো লিখতে.....
মানিক স্যার, সুশীল স্যার, মার্লিন ম্যাডাম, মনোরঞ্জন স্যার, বিদ্যাসাগর স্যার, আজমল স্যার, বনিক স্যার, সোহেল স্যার এবং আরো অরো কত.... এবং অবশ্যই ট্যারেন্স স্যার। আসিতেছে!
টুইটার
লিখে ফেলুন তাড়াতাড়ি। অপেক্ষায় রইলাম
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ফণীন্দ্রচন্দ্র বনিক? আমার যতদূর মনে পড়ে, ইনি তো সেন্ট গ্রেগরী আর সেন্ট যোসেফেই শিক্ষকতা করতেন।
অমলকৃষ্ণ বণিক হবে...
"সেল............এটা এলো কোথা থেকে?........................আমরা যদি ড্রঅঅঅ করি (বলে বোর্ডে একটা সার্কেল)..."
এ ব্যাপারে দুটো "বিশেষ কথা"।এই "বিশেষ কথা" শুনতে শুনতে ক্লাস শেষ কইরা ফালাইতাম,কিন্তু তার "বিশেষ কথা" কথা শেষ হইত না।এমনকি জিপিএ-৫ এর সংবর্ধনা নিতে গেলাম,ওইদিন ও উনি স্টেজ এ উইঠা কন,"বিশেষ কথা"।যাই হোক এইটা মানি,উনি জানতেন অনেক কিছুই।
কেউ_না
নাম্বার টু...(নাম্বার ওয়ানের দেখা নাই)
আহা রেনেটের মজার লেখা অনেকদিন পর চোখে পড়ল।
আরও চাই।
ধন্যবাদ আপু
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মোখতার স্যার তো খারাপ পড়াতেন না।
অসিত রায়চেৌধুরী (ইংরেজি পড়াইছিলেন গ্রুপ-৪, ব্যাচ ৯৬-এ)। আপনার কেউ তার ক্লাস পাইছিলেন? পেয়ে থাকলে তার সম্পর্কে দুয়েক কথা বলুন।
মনোরঞ্জন স্যারের কথাও শুনতে ইচ্ছা হয়।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
অসিত স্যার ক্লাসে এসে উনার বিদেশে থাকার গল্প করতেন। লাঞ্চিয়নের এক প্যারা পড়াইতে গিয়েই ... when i was in paris বলে শুরু করতেন গপ্পো। একদিনে আধা-পাতার বেশি পড়া হত না। নিখাদ ভদ্রলোক একজন।
একদিন ক্লাসে একটা গল্প বলেছিলেন - A face on the wall।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
মাইক পেলে দেখি সবাই বক বক করে!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
বহুদিন পর রান্টু মিয়া তার লেখা পড়তে দিলো।
থাকেন কই মিয়া?
কলেজে আমাদের এক ফ্রেন্ডকে আমরা ডাকতাম চাচামিয়া বলে।
কাজেই চিমটি...
লেখা পইড়া মজাক পাওয়ার সাথে সাথে আমি আমার ভবিষ্যত নিয়া বিষম চিন্তিত।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কি বিষয় নিয়া চিন্তিত হইলেন?
মিয়া...নিজে লেখেন বছরে একবার, আবার আমারে মারেন ঝাড়ি!!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
সুহেল স্যার ডিবেট ক্লাবের লোক ছিলেন, আমি সায়েন্স ক্লাবের হওয়ায় আমারে দেক্তেই পার্তেন্না...
আমার রোল ১২, একদিন ক্লাসে চুপ কইরে বসে আছি আর আমার পাশে রোল ১১ সমানে বকবকায়ে যাইতেসে। সুহেল হঠাৎ আমারে বলে, "এই ... হ্যাঁ হ্যাঁ তুই...তোকেই বলছি। এখন চোখ ঠেলে বেরিয়েই আসবে। তোর তিনটি পার্সেন্টেজ কাটা..."
আরেকদিন আমি কথা বলতেসি। হঠাৎ রোল ১০ রে তুইলা বলে, "বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে থাক। তোদের মত ছেলেরাই তো পহেলা বৈশাখে পটকা ফুটায়, কাপড় খুইলা নাচানাচি করে..." ... বেচারা নির্দোষ ছেলেটা !!!
সুহেল আমার দেখা একদমে সবচেয়ে বেশি শব্দ উচ্চারণে সক্ষম পাব্লিক ছিলেন...
_________________________________________
সেরিওজা
সুহেল যাদের দুই চোখে দেখতে পারতো না, তারা যে আসলে ভালো মানুষ আমাকে বা আপনাকে দেখলেই যে কেউ বুঝবে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ভুঁইয়া স্যার একদিন বলতেসিলেন যে অন্য স্যাররা প্রাইভেট টিউশনিতেও ফাঁকি দেয়, কিন্তু উনি সেখানেও সিন্সিয়ারলি পড়ান ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি পাশের জনকে ফিস্ফিস করে বললাম, "খালি কলেজে আইসাই গপ মারে।" স্যার দেখে ফেললেন।
"খাড়ও"
খাড়ইলাম।
"কি কইতাসিলা?"
"কিছু না স্যার।"
"বেঞ্চির উপ্রে খাড়ও।"
খাড়ইলাম।
"এইটারে দেইখা রাখো। খাঁটি চোরের চেহারা। এখন মিথ্যা কথা কয়, বড় হয়া মাইনষের গলা কাটব।"
- কলেজ পাশ দেয়ার পাঁচ বছর পর গেছিলাম চপ খাইতে। অফিস রুমের বাইরে দিয়ে মেইন বিল্ডিং-এর বারান্দায় ওঠার আগ মুহূর্তে আমাকে দেখে অনেক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন। কাছে আসতেই সালাম দিলাম। বললাম, স্যার চিনতে পেরেছেন? স্যার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটিয়ে বললেন, "গ্রুপ সিক্স না?"
এই ভুঁইয়া স্যারের অফিসে গিয়েছিলাম। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন এতোদিন কই ছিলাম! বললাম, স্যার আপনাকে খুঁজে পাই না! স্যার ঠাশ করে বলে উঠলেন, "কই খোঁজ, পায়খানায়?"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বিয়েশাদি ব্যাপারে ভুঁইয়া স্যারের কমান্ডমেন্ট -
১) তিরিশ বছর হবার আগে বিয়া করবা না।
২) ক্লাসমেট বিয়া করবানা। (তাহলে দুই দিন পর বউ বুড়া হয়ে যাবে। তার উপর মেয়েরা নাকি বায়োলজিক্যালি ছেলেদের চেয়ে দুই বছর আগায় থাকে)
৩) বিয়া করার আগে ইয়ে করবা না (তাহলে আসল জায়গায় গিয়া কিছু করতে পারবা না)
আচ্ছা মুখতারের সেই বিখ্যাত ফার্সি কবিতাটা কারো পুরা মুখস্থ আছে?
- না, বাংলা সারমর্মের খানিকটা ভাসা ভাসা মনে আছে। মানে আসল জায়গাখানি আরকি!
"তোমার অঙ্গের স্পর্শ পাবার জন্য অঙ্গ আমার উদগ্রীব হয়ে আছে"।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সোহেল স্যারের ক্লাসে একবার নিলডাউন হওয়া লাগসিল। তবে উনার কথাগুলা এখনও ভুলি নাই। চশমা ভেঙে যাওয়াতে সেদিন চশমা ছাড়াই কলেজ গেসি। পাশের জনের সাথে হয়তো কিছু একটা বলে থাকব। উনি আমার দিকে আঙুল তুলে বললেন, "এই সাদা শার্ট, তুই উঠে আয়"। একে তো আমার গায়ের শার্ট না, গেঞ্জি, তার ওপর চশমা না থাকায় নিশ্চিত হতে পারছিলাম না আমিই ভিক্টিম কিনা। কাকে বললেন বোঝার জন্য এদিক সেদিক তাকাচ্ছি এমন সময় আবার, "এই যে নরাধম, তোকেই বলছি"। বুঝতে পেরে আমি তড়িঘড়ি করে উঠে গেলাম। উনি বললেন, "যুদ্ধাপরাধীর ভঙ্গিতে হাঁটু গেড়ে বসে থাক"! গতিজড়তার কারণে ডায়াসে একটা ছোট লাফ দিয়ে উঠেছিলাম বোধহয়! নিলডাউন হওয়ার পর উনি আমার দিকে কিছুক্ষণ বিষদৃষ্টি হেনে ক্লাসকে উদ্দেশ্য করে বললেন, "শাস্তি দেয়া হয়েছে, অথচ ভাব দেখলে মনে হয় পুরুস্কার নিতে এসেছে"!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
মারলিন ক্লারা পিনেরু ম্যাডাম কেবল জয়েন করেছেন আমাদের সময়ে ... ... ছিপছিপে সুন্দরী ছিলেন তখন (হাছাই ... !!)। ওনার ক্লাসে কান ধরে দাঁড়াতে হয়েছে ক্লাসশুদ্ধ সকলকে ... টেরেন্সের কাম।
১ম বর্ষের শেষ ক্লাসে সকলে যুক্তি করে জিন্স, পাঞ্জাবী আর সানগ্লাস পড়ে ক্লাসে গেলাম। বাঘা মকবুল স্যারের ক্লাসে একজন লেটে এসেছে নরমাল টি-শার্ট গায়ে .. .. ওরে দেখে স্যার বলে ... কী ব্যাপার ইউনিফর্ম পড়ে আসোনি?
আর ক্লাস চলাকালীন সময়ে তো কেউ ব্যাগে হাত দিয়ে বই/খাতা বের করছে ... খচমচ শব্দ হচ্ছে ... বাঘা মকবুল স্যারের ঝাড়ি ... এই ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করছো কেন?
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
রাহিন ভাই আর শামীম ভাইয়ের মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মারলিন ম্যাডাম? ছিপছিপে সুন্দরী???? কঙ্কি?????
আমরা কিন্তু তারপরো উনাকেই কপিলা চরিত্রের মডেল হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, এটার পেছনে মুখতার স্যারের প্ররোচণাও ছিল
বাংলা ক্লাস পেয়েছিলাম আবু বকর সিদ্দিক, মারলিন ক্লারা ম্যাডাম আর মুখতার স্যারের। মারলিন ম্যাডামের ক্লাস খুব ভালো লাগতো আমার। খুব আস্তে আস্তে কথা বলতেন। তবে আমরা ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের সাত-আট জন টিচারের দেখা পেয়েছি।
সুশীল স্যার, টেরেন্স স্যার, ফাদার বেনাস, জাহাঙ্গীর স্যার, রীটা রোজারিও, এছাড়া একজনের নিক ছিল এনশাইন্ট মেরিনার (আসল নাম ভুলে গেছি)। আরেকজন এসেছিলেন একদিন ক্লাস নিয়ে চলে গেছেন, আর তাকে নটর ডেমে দেখি নাই। চেহারা ছিল সাইদ আনোয়ারের মতো... তাঁরও নাম মনে নাই।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
বেশীরভাগ জাদরেল শিক্ষকই এখন আর নটরডেমে নেই। হয় মারা গেছেন, না হয় অন্য জায়গায় চলে গেছেন। এদের ছাড়া নটরডেম নটরডেম হয় কিভাবে?
নতুন ছাত্রদের জন্য আফসোস। তারা টেরেন্স স্যার, বিদ্যাসাগর স্যার, সুশীল স্যার এদের কাউকেই পেল না
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আর নিমাই স্যার।
নিমাই দাশ আর টেরেন্স পিনেরোর মতন জাঁদরেল শিক্ষক শত বছরে একবার পয়দা হয়।
এনশায়েন্ট ম্যারিনার বলতাম আবিদুর রহমান স্যারকে। ভদ্রলোকের ছিল মুখভরা ঘন দাড়ি। হিমুভাইয়ের কাছে শুনেছি ৯৭ ব্যাচের সময় উনার দাড়ি ছিল লম্বা, আর দাড়ি থেকে নাকি গন্ধ আসত এজন্য ছাত্ররা নাম দিয়েছিল 'গন্ধরাজ' =))
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
নিমাই স্যারের সামনে একবারই পড়সি। ইন্টারের প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষার ভাইভায়। আমার তো টেনশনে অবস্থা খারাপ। কারন আমার আগের গুলারে শক্ত শক্ত ইকুয়েশন নাকি জিগাইছে! অনেকে এগুলার নামই শুনে নাই। আমি ভয়ে ভয়ে ঢুকলাম। স্যার দেখি দিব্যি আমার সাথে রসালাপ। থিওরী পরীক্ষা কেমন হইসে, লেটার পাবো কিনা এসব...(অথচ স্যার কিন্তু পূর্ব-পরিচিত না)
আমি বের হইসি মত এক গাট্টি পুলাপান ধরলো আমারে। জিগায়...কি জিগাইলো...আমি কইলাম... দেশের বাড়ি কই? পরীক্ষা কেমন হইছে এইসব আরকি। রোল ১০৫ (আমার পরের রোল) রেও নাকি কান্দায়া ছাড়ছে।
ঘটনা কিছুই বুঝলাম না!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
- হিমু ভাই 'আবিদুর রহমান স্যার' পেলেন কোথায়? হিমু ভাইদের আমলে এই নামে কোনো স্যার ছিলেন নাকি আংরেজি বিভাগে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার লেখা আর সবার মন্তব্য পড়তে বেশ ভাল লাগছে।
মিতু
রিফাত জাহান মিতু
ধন্যবাদ। আপনার স্মৃতিচারণও ইবুকে পড়ার অপেক্ষায় রইলাম
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
৯৬ এর ব্যাচ হলে তো মৃধা ম্যাডামের কথা মনে থাকার কথা। অসম্ভব সুন্দরী এই ম্যাডাম অর্থনীতি বিভাগে জয়েন করেছিলেন আমরা থাকতে থাকতেই। আমরা সায়ন্সের ছাত্ররা উনার ক্লাস না পেলেও কলেজের করিডোরে প্রায়শই দাঁড়িয়ে থাকতাম উনাকে দেখার আশায়। দ্বিতীয় বর্ষের শেষ ক্লাসের দিন সবাই ম্যাডামের অটোগ্রাফ নিয়েছিলো। ম্যাডামও ব্যাপারটাতে মজা পেয়ে গিয়ে একবারে কলেজের মূল ফটকের সামনে আসন পেতে বসে সবাইকে অটোগ্রাফ দিয়েছিলো!
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
আমাদের সময় কোন সুন্দরী ম্যাডাম ছিল না
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মৃধা ম্যাডামের কথা মনে করিয়ে দিলেন আমার রাতের ঘুমটার সর্বনাশ করে। কলেজের শেষ দিনে তো জোর করে তাকে সাথে নিয়ে আমরা ছবি তুলেছিলাম। ২০-২৫টা ছেলের সাথে ম্যাডাম একা। আমি একেবারে ম্যাডামের গা ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম , কি যে ফিলিংস ছিল সেটা বলে বোঝানো যাবে না।
তবে চেহারার কথা বললে ইংরেজীর শারমীন রড্রিক্সের মত কিউট কেউ ছিল না। গ্রুপ থ্রীর পোলাপানদেরকে অনেক হিংসাইতাম, কারন ম্যাডাম পুরা দুই বছরই ওদের ক্লাস নিয়েছিল, আমাদের গ্রুপে একবারও ঢুঁ মারে নাই
========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
সৌভাগ্যবান আমি ৯৬ ব্যাচের গ্রুপ ৩ এর ছাত্র ছিলাম। শারমিন ম্যাডামকে পুরা ফার্স্ট ইয়ার পেয়েছিলাম। মাঝে মাঝেই উনি ডায়াস থেকে নেমে ছাত্রদের আইল দিয়ে হেটে যেতেন। উত্তেজনায় আমরা প্রায়শই হার্টবিট মিস করতাম! আমরা সবাই উনার ক্লাসে হা করে তাকিয়ে থাকতাম। ম্যাডামও সেটা বুঝতেন আর মুচকি মুচকি হাসতেন। হাসলে উনাকে আরও সুন্দর লাগতো। উনার একটা কমন উক্তি মনে পরে গেল -
"তোমরাতো পড়ালেখা কর না, শুধু সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্য হা করে দাড়িয়ে থাকো!"
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
হাহাহাহা, এই ডায়লগ শুনতেও তো শান্তি! আপনি (বা আপনারা) মহা ভাগ্যবান। আসলে ম্যাডামের সাথে আমাদের বয়সের পার্থক্যও বেশী ছিল না। আমরা তো দূর থেকে দেখেই হার্টবিট মিস করতাম!
=======================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
- মৃধা ম্যাডাম আর শারমিন ম্যাডামকে নিয়ে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে একটা কমেন্ট করেছিলাম কয়েকদিন আগে। দিনগুলি সব সামনে চলে এসেছিলো!
মৃধা কটমটিয়ে চাহনি দিতো প্রায়ই। বারান্দায় সামনে পড়ে গেলে কিংবা ক্যান্টিনে যাওয়ার পথে বা ক্লাশ ছুটির ডামাডোলে তিনি সামনে পড়ে গেলে বেচারিকে কতগুলো চোখ যে ঘিরে ধরতো, আল্লাই জানে।
আমাদের সময়ের শেষের দিকে বেচারি আম্রিকা উড়াল দিলেন, তাঁর বান্দইরা সোয়ামির কাছে। নেনের মতো এই লুকটাকেও আমি আজীবন ঘৃণা করে যাবো!
শারমিন ম্যাডাম গ্রুপ থ্রীতে ক্লাস নিতে ও ক্লাশ শেষে আমাদের সামনে দিয়ে যেতেন। কইলজায় ভোঁতা চাক্কুর পোঁচ লাগতো। সেটা খানিকটা মেটাতাম গ্রুপ থ্রী'র পোলাপানকে ইচ্ছেমতো গালাগালি করে। কিছু বন্ধু ছিলো, চান্স পাইলে লাগাতামও কয়েকটা। কারণ যাই হোক, মূল কারণ সেইটাই। শারমিন!
একদিন, কেবল একদিন শারমিন রড্রিক্স আমাদের ক্লাসে ঢুকেছিলেন। আমরা সেদিন আব্দার করেছিলাম, ম্যাডাম আজকে কোনো পড়া নাই। ম্যাডাম জিজ্ঞেস করলেন, তো কী হবে? ক্লাস বললো, ম্যাডাম আজকে কেবল আপনার গল্প (কথা) শুনবো আর আপনাকে দেখবো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মনে পড়ছে মৃধা ম্যাডামের কথা। খুবই সুন্দরী ছিলেন।
সিরিয়াসলি, কেউ জেকে'র কথা বলেনা কেন? সেরকম জিনিস ছিল একটা।
উনি সিঁড়িতে থাকতেই আমাদের চীৎকার শুরু হত, "জে-কে! জে-কে!" আর উনি একেবারে নায়কের মত হাত-টাত নেড়ে এসে ক্লাসে ঢুকতেন।
পুরা দুই বছর উনি আমাদের ভোকাবুলারি লিস্ট পড়িয়েছেন। আর কিছু না। ডেইলি ডেইলি একজনকে ডায়াসে তুলে দিয়ে "দা ফিউরি অফ দা স্টর্ম হ্যাজ আবেটেড" থেকে শুরু করে "উই ওয়েডেড এক্রস দা ফোর্ড"...জেকে'র যুক্তি ছিল, "(ভোকাবুলারি) শুনতে শুনতে শোনাওলা হয়ে যাবা"
তার রোলকল করার কায়দা হচ্ছে, যে এবসেন্ট তার পাশের জনকে "সাইডম্যান স্ট্যান্ডাপ!" বলে দাঁড় করিয়ে রোল নম্বর জেনে নেওয়া। কয়েক মাস পড়ে দেখি আমরা যারা রেগুলার সাইডম্যান, তাদের এট্যান্ডেন্সেরই খারাপ অবস্থা। কারণ জেকে সাইডম্যানদেরই এবসেন্ট লিখে রেখেছে!
আবার একদিন আমাদের ক্লাসে কে একজন শিষ দিয়েছে, জেকে এক হুজুরকে দাঁড় করায় বলে, "তুমি বেরোও, গিয়ে গাইডেন্সের সামনে দাঁড়াও।" হুজুর তো হতভম্ব। জেকে বলে, "তুমি শিষ দিয়েছ কিনা জানিনা, বাট দা সাউন্ড ওয়াজ ফ্রম দেয়ার..."
আমাদের সময় কথা কইতো এক পাশের কলাম,"জে-কে" ধরতো পুরা উলটা পাশের কলাম রে।"জে-কে" "জে-কে" চিৎকারটা এখনো মিস্করি।আহারে কলেজের দিনগুলা,কত তাড়াতাড়ি যে গেল।
কেউ_না
জাহাংগীরকে জেকে ডাকতেন নাকি আপ্নারা? আমরা তো জাইঙ্গা ডাইকাই কুল পাইতাম না
সময়ের সাথে সাথে কত কিছু ভুলে যাই! সাইড ম্যান স্ট্যান্ড-আপ বেমালুম ভুলে গেসিলাম
তবে আমার ফেভারিট ডায়ালগ হচ্ছে--- "এই তোমরা কেউ নীল বইটা এনেছো?"
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হ, জাইঙ্গা...
আরেকটা ডায়লগ মনে পড়ল। "লঅংম্যান!"
(আসলে এই লোকের কমেডি লিখে বুঝানো মুশকিল )
জে-কের এই ভোকাবুলারি লিস্ট নিয়া ব্যাপক টেনশনে থাকতাম! তবে সেকেন্ড ইয়ারে উনি বদলে আরেকজন টিচার এসেছিলেন লম্বা করে, 'শ' দিয়ে নামটা মনে পড়ছে না, ভালো পড়াতেন। চশমা-পড়াদের ডাকতেন 'স্পেক্স' বলে। কারো নাম মনে আছে?
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
শুরু করলে শেষ হবে না... তাই শুরু না করি।
তাফালিং বাদ দিয়া ইবুকের জন্য লেখা রেডি কর
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হেহেহে.... উজ্জল শ্যামবন্ন ম্যাডামের কথা মনে হলে আমার্ এখনো...
নাম মনে নেই, সম্ভবতঃ মার্লিন ম্যাডামই হবেন। আ্হাহা.. কি তার সুললিত ভঙ্গি... ডায়াসের উপর থেকে আমাদের দিকে যেন গলে গলে পড়ছেন..
কাম সারছে!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আপনার লেখাটা পড়তে কী যে মজা লাগলো! প্রমীলাদি ও মৃদুলাদি দুই বোনই কিন্তু আমাদের কলেজে পড়িয়েছেন। একই সাথে। দু'জনেই বাংলায়। আর মৃদুলাদি মনে হয় খবর পড়তেন একসময়। আর বিতর্কের জাজও হতেন। গাজী আজমল স্যারের কথা কেউ লিখলেন না। ওনার কাছে ব্যাচে পড়েছি এবং শুধু মেয়েদের ব্যাচে উনি বিশেষরকম ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা বলতেন। এটা বেশ মনে আছে।
ধন্যবাদ আপু
আমি বায়োলোজির ছাত্র ছিলাম না। তাই আজমল স্যারের ক্লাস করার ভাগ্য হয়নি। তবে খুব শিঘ্রি ইবুক আসছে। কেউ না কেউ তো নিশ্চয়ই বলবে। সো, স্টে টিউনড
আপনি লেখা দিচ্ছেন তো?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
নতুন মন্তব্য করুন