আমার একটা গোপন লিস্ট আছে। সেইখানে আমি কিছু কিছু মানুষের নাম লিখে রাখি। যাদের আমার সুযোগ পেলে ইচ্ছামত ডলা দিতে মন চায়। এখানে হরেক রকমের মানুষ আছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ প্রায়ই আমাকে টপকে ফার্স্ট হত, কেউ হয়তোবা আমি যে মেয়েটাকে পছন্দ করতাম, তাকে বিয়ে করেছে। আবার আমার সাথে জীবনেও দেখা হয়নি, এমন মানুষের নামও সেই লিস্টে আছে। এরকম একজনের কথাই আজকে বলি।
ছেলেটার নাম মেহদী হাসান খান। এই ছোকরা সমন্ধে এত কিছু তখন জানতাম না। হঠাৎ একদিন সচলে দেখি এই পোস্ট। ছবি পোস্ট দেখে সেই প্রথম আক্ষরিক অর্থেই আমার মাথা ঘুরে গেল। প্রথমে কিছুক্ষন স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম। যাহোক, প্রাথমিক মুগ্ধতা কেটে যাওয়ার পর আমার মাথায় ব্যবসায়িক বুদ্ধি খেলে গেল। এই ছবিগুলো চুরি করে বিক্রি করে দিতে পারলে মন্দ হয়না। তাহলে আর প্রত্যেক সপ্তা কামলা খাটতে হবে না। যাহোক, ছবিতে রাইট ক্লিক, লেফট ক্লিক, মিডল ক্লিক সবরকম ক্লিকই করলাম। কিন্তু ছবিগুলো ডাউনলোডেবল না। তার উপর ছবির মধ্যে আবার ছোকড়ার নামধাম লেখা। শালা মেজাজটাই গেল খিচড়ে! আমার মাল্টি মিলিয়ন ডলার প্ল্যান ভেস্তে গেল এই মুখপোড়াটার জন্য।
কিন্তু সিনেমা তখনও আরো বাকি। আমি ভাবতাম এই পুলা খালি ছবিই তুলে আর ফ্যাং ফ্যাং করে ঘুরে বেড়ায়। হু...আমারও এরকম ক্যামেরা থাকলে, আর আমারও এরকম ফ্যাং ফ্যাং করে ঘুরে বেড়ানোর টাইম থাকলে আমিও কি কম যেতাম নাকি! এমুন আজাইরা ক্যামেরা নিয়া ঘুরতে পারলে ক্যামেরাতে এরম দুই/চাইরটা টিপ সবাইই দিতে পারে।
কিন্তু হঠাৎ একদিন সচলে কোন এক পোস্টে দেখি সেই একই ছোকড়া নাকি অভ্র বানিয়েছে! ঘোর কলিকাল আর কাকে বলে! এই ছেলে ক্যামেরা নিয়ে বনে বাদাড়েই ঘুরে কখন, আবার অভ্রই বানায় কখন! প্রথমে ভাবলাম, মানুষজন হয়তো ভুলে ওর নাম বলে ফেলেছে...কিন্তু কিছুক্ষন পর বুঝতে পারলাম ঘটনা সত্যি। ছবিব্লগ দেখার পর থেকেই ছেলেটার নাম ঐ লিস্টে তুলবো কিনা ভাবছিলাম, এই ঘটনার পর একেবারে নিশ্চিত হয়ে গেলাম। লিস্টে ২০ নাম্বারে বড় বড় করে লাল কালিতে লিখলাম 'মেহদী হাসান খান'। এরপরও আমার মন ভরলো না। ভাবলাম, এই ব্যাটাকে ফেসবুকে এডাই। ব্যাটা কই থাকে না থাকে এগুলো বাইর করা জরুরী। এডালাম।
ফেসবুকে পার্সোনাল ইনফরমেশন দেখে আমার মাথা আরো হট হয়ে গেল। ব্যাটা নাকি মেডিকেলের ছাত্র! স্কুল জীবনে যেই বাদরটা প্রায়ই ফার্স্ট হত (এবং ঐ লিস্টে আছে), সেই ব্যাটাও এখন ডাক্তার। কাজেই ডাক্তারদের প্রতি আমার কেমন যেন একটা বিদ্বেষ আছে। মেহদীর নাম আগেই লাল কালিতে লিখেছিলাম, ওর ডাক্তার পরিচয় পাওয়ার পর ওর নামের পাশে আরো গোটাকতক স্টার বসিয়ে দিলাম। ব্যাটার সাহস কত! একেতে ফটোগ্রাফার, দুইয়েতে অভ্রকার, তিনেতে ডাক্তার। এত গুনের ঠেলায় ওর ডাক্তার পরিচয়ই চাপা পড়ে যাওয়ার দশা!
ভাবছেন, এতো ভালো কথা! এতে ক্ষেপার কি আছে? ক্ষেপার কি নাই, তাই বলুন। ছোটবেলা থেকেই ওমুক ছেলেটা ফার্স্ট হচ্ছে, তমুকের ছেলেটা ডাক্তারি পড়ছে, অমুকের ছেলেটা এই করছে, সেই করছে শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা। তারমধ্যে আমার বাপ মা যদি জানতে পারে এই ছেলের কথা, তাহলে আমার জীবন যে কিরকম দুর্বিসহ হয়ে যাবে একবার ভেবে দেখেছেন?
তাই আপনারা যে যাই বলুন না কেন, আমি কাগুর এক নাম্বার সাপোর্টার। একমাত্র কাগুই পারবে এই বিটকেলে ছোকড়াটাকে আচ্ছামত টাইট দিতে। কি দরকার বাপু এত কিছু পারার? বাবা মার কাছে ঝাড়ি খাওয়াতে তোমার বুঝি খুব ভালো লাগে? কি, এবার হলো তো? কাগু যখন সাম্নের সপ্তায় তার লেখাটা জনকন্ঠে দিবে, তখন কোথায় গিয়ে মুখ লুকাবে শুনি?
এখনও সময় আছে মেহদী...শেখো, শেখো...আমি এত কিছু পারি না, তাই আমি কারোর ডলা দেয়ার লিস্টেও নাই, আমাকে কাগুর মত সম্মানিত লোকেরা ঘাটাতেও সাহস পায় না। দুদিনের এই জীবন...খেয়ে দেয়ে বিকাল বেলাটা সটান হয়ে একটু ঘুমাবে, তা না...কি না কি ছবি তোল, অভ্র বানাও...এবার হলো তো?
হেহে... কথায় আছে না, ধর্মের কল কাগু নাড়ে।
মন্তব্য
হা হা হা...রেন্টু মিয়া খেপছে। মেহদীর এইবার খবর আছে
তার উপর দেশে যাইতেছি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমার লিস্টে তুমি আছো, সাবধান হইয়া যাও এখনই
তোমার মা কি আমারে দেখায়া বলতো, ঐ ছেলেটার মত কোন জায়গায় না টিকে বুয়েটে সিএসইতে টিকলি ক্যান? ঐ ছেলেও তো তোর সাথে নটরডেমে গ্রুপ টুতে পড়ছে...পারলি না ওর মতো ইয়ার গ্যাপ দিতে?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আমি বহুবার ভাবছি মেহদীরে ঈর্ষা করুম, হিংসা করুম...
তারপর অবাক হয়া দেখছি তারে ঈর্ষা করার মিনিমাম যোগ্যতাও আমার নাই... তাই চুপ করে বসে রইছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মেহদী ভাই দেখি পুরাই অমানুষ!
আমার লিস্টে আপনের নাম লিখলাম...
রেনেট, আপনি একজন পাইরেটেড ব্লগার। মানে ব্লগার হিসেবে আমার কাছে আপনার রেটিং পাঁচতারা নয়, পাই (pi)। কারণ বলছি, আমারও আপনার মতন একটা গোপন লিস্ট আছে। সেখানেও মেহেদী হাসান খানকে আমি অন্তর্ভুক্ত করেছি। যেহেতু আপনি আমার আইডিয়া কপি করেছেন সেহেতু আপনি পাইরেটেড হয়ে গেছেন। আপনার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নিম্নরূপ। " গোপন লিস্ট নামক একটি পাইরেটেড বাংলা সফটওয়্যারকে সচলায়তনে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে রেনেটের অবদান সবচেয়ে বেশি। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন সেলের ওয়েবসাইট হ্যাক হলে তার দায় থেকেও রেনেটকে ছাড় দেয়া যায় না।"
আমার আরেকটা আইডিয়া আছে। পাঁচতারার বিকল্প হিসেবে একটা ইমোটিকোন তৈরি করা যায়, piরেটেড।
আপনার এহেন মিথ্যাচার দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম! যাহোক, আমার যা বলার আমি এখানে বলবো না। আগামী সপ্তায় একটা পোস্ট দিবো। অপেক্ষা করুন।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
যে অভ্র দিয়েই কম্পিউটারে লিখছি তাকে শুধু অভ্রর জন্য ধন্যবাদ দেয়ার কোন মানে হয় না ( আমার জন্য তা বোবার ৭ই মার্চ এর ভাষন দেবার মতই দুরহ ) ।
কিন্তু ছবিগুলোর জন্য আমার এই ছেলের প্রতিটা লোমকেও হিংসা করতে ইচ্ছে করছে। উপরওলা প্রতিভা বন্টনে এত অন্যায্য কেন ?
মেহদীর ব্যাপারে অনেক কথা গত দুই দিনে হয়েছে। তারপরও আমার ব্যাক্তিগত কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখাতে চাই।
আমার প্রথম ব্যবহৃত কম্পিউটার ছিল ম্যাকবুক ১৬০ অথবা ম্যাকবুক ১৭০ (৪০ মেগাবাইটের ‘বিশাল’ হার্ডডিস্ক সমেত ল্যাপটপ)। পরে যেখানে কাজ শুরু করলাম তাও ছিল ম্যাক-বেইজড (অ্যাপল কম্পিউটার)। সেই সুবাদে আনন্দ কম্পিউটার, ‘বিজয়’ কিংবা সেই ‘বিখ্যাত ছবি’ খুবই পরিচিত ব্যাপার আমার কাছে (মালিক সমেত)। কিন্তু কখনও বাংলা লেখা হয়নি।
‘অভ্রর’ ব্যাপারটাও জানতাম না। গত বছরের মাঝামাঝি অফিসে আইটির একজনকে বললাম আমার ল্যাপটপে ‘বিজয়’ বসাতে হবে এবং একটা কিবোর্ড কিনে আনতে হবে যেখানে বাংলা অক্ষর লেখা আছে। আবার বিরক্তিও প্রকাশ করলাম – বাংলা লেখা বলতে হয়ত দুই মাসে একটা সরকারি চিঠিতে ‘রেফারেন্সের’ চার পাঁচটা অক্ষর, ব্যাস এতটুকুই – কিন্তু তারজন্য আরেকজন বাংলা-লেখা বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে (গোপনীয়তার ব্যাপারতো আছেই)। আবার নিজে লিখতে হলে কি-বোর্ড লাগাও। বারো হাত কাঁকরের তের হাত বিচি।
আর তখনই চমৎকৃত হয়ে অভ্রর কথাটা জানলাম। কপিরাইটের ব্যাপারটা জানতে চাইলে ওয়েবসাইট দেখিয়ে কনফার্ম করল যে সফটওয়ারটা ফ্রি। তারপর কতজনকে যে বলেছি ব্যাপারটা, যারা বন্ধুবান্ধবের সাথে যোগাযোগের জন্য রোমান অক্ষরে বাংলা লেখত। নিজেও একটু আধটু বাংলা লেখি এখন – মেহদীর কল্যাণে।
এবং এই মাসের প্রথমেই নজরুল ভাইয়ের বাসায় মেহদীকে দেখিয়ে দিল পান্ডব দা – এই সেই মেহদী, মেডিক্যালের ছাত্র। 'মেডিক্যালের ছাত্র?' – 'জী', - নজরুল ভাইয়ের বাসার ‘নির্জলা’ পার্টিতে পান্ডবদা কনফার্ম করল তিনি 'উল্টোপাল্টা' বকছেন না।
‘অভ্রর’ ব্যাপারটা যতটুকু প্রচার পাওয়ার কথা, ততটা পায়নি (ব্লগের বাইরের কথা বলছি)। মোস্তফা জব্বার যেভাবে ইউনি বিজয়ের রেফারেন্স দিয়ে বলেছে, সাধারন মানুষ কিন্তু বিভ্রান্ত হতেই পারে। পত্রিকায় প্রতিবাদ না পাঠালেও মেহদীর একটা সাক্ষাৎকার ২০০০ কিংবা সাপ্তাহিকের মত ম্যাগাজিনে খুব দরকার...। জরুরী ভিত্তিতে।
আর দুটো দিন সবুর করেন, রসুন বুনেছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অপেক্ষায় আছি নজুভাই
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
অপেক্খা করুন, সাপ্তাহিক ২০০০-এ ইন্টারভিউ-এর আয়োজন হয়েছে।
তবে শেষ পর্যন্ত যদি প্রচারবিমুখ মেহদী সেখানে হাজির হয়..। দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নজরুলকে।
নজরুলের ক্যারিশমার উপরে আপাতত নির্ভর করতে হচ্ছে।
মুড অফ ছিল, পড়ে অন হল... অতিথি বলে নাকি রেটিং করার অধিকার নেই... But, me LIKEy
ফারুক হাসান ভাইয়ের মন্তব্যতেও LIKE
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রেটিং এর চেয়ে মন্তব্যে ভালো ভালো কথা শুনতেই আমার বেশি ভালো লাগে
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার--এটাই কি আপনার নিক?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এইবেলা তারা দাগায় গেলাম, বিকালে বাসায় গিয়া মন্তব্য করুম, ছেলে ছোকরাদের প্রতিভার জ্বালায় মুখ লুকানোরও জায়গা পাইনা আর
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এইজন্যই ডাক্তারদের দ্যাখতে পারি না
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ধুরো, ২ বার আইসা পড়ছে, যাউকগা এখন ফুটি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মেহদীকে আমিও ব্ল্যাক লিষ্টে নিছি। পরশুদিন ফ্লিকারে ছবি দেখে বেহুশ হয়েছিলাম কিছুক্ষণ। তারপর আমার ক্যামেরাটা আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছে হইছিল। নেহাত পয়সা দিয়া কিনছি বলে, ক্যামেরাটা ব্যাগের ভেতর তালাবন্ধ করে জব্দ করে রাখছি। ছবি তোলার কাম শেষ আমার।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মেহদীকে হিংসা করার মত অনেকগুলা ভালো কারন আছে। এই ব্যাটার কাছে আমাদের যেই ঋণ, তার কোন মাপ-জোক হবে না কোনদিন। ইউকেতে সামনের মাসে ইলেকশন - এক বাঙ্গালি প্রার্থী দাড়াইসেন এই এলাকা থেকে। তিনি তার ম্যানিফেস্টো আমাকে পাঠায় দিয়ে বললেন একটু যেন বাংলায় অনুবাদ করে দেই, তিনি সেটা লিফলেট বানায় পাড়ার সমস্ত বাঙ্গালীদের কাছে বিলি করবেন। সকাল থেকে তাই অভ্র খুলে কাজটা করতেসি।
কম্পিউটার + বাংলা = অভ্র। ব্যাস।
এদিকে দেখি সুশান্তদা মজার জিনিস বাইর করসেন। ভাইয়ার নাম পাপ্পানা!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
লিংক দেখতে পারলাম্না
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এত অভিযোগ কিন্তু ছেলেটার জন্য বিব্রতকর হতে পারে
আমার হাইট পাঁচ সাড়ে দশ, ওজন তিরাশি কেজি, আটাশ বছর ধরে মারপিটের অভিজ্ঞতা আছে, অবসর সময়ে পাঞ্চিং ব্যাগে আদর করে হাত বুলাই আর মেহদীর সাথে আমি মাঝে মাঝে লাচ্ছি খাই। তাই ওকে কিছু বলার আগে সবাই খুব খিয়াল কইরা কইলাম! নূরানী লাচ্ছির কসম!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আমি আরো ভালো কিছু খাওয়াবো নে। আমার দলে আয়া পড়েন
--------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
পুরাই পাইরেটেড।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
তাও ভালো এক্স রেটেড না
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আহা আহা, রেনেট এট হিজ বেষ্ট!!!
তুমুল লেখা বস!
আর যাকে নিয়ে এই লেখা, তাকে শুধু এই টুকু বলার আছে--মেহদী, বস তোমাকে প্রণাম... (গুরু)।
মেহদী আমাদের সামনে একটা ভীষন রকম জ্বলজ্বলে উদাহরণ তৈরী করে দিয়েছে। ছেলেটা প্রতিভাবান সন্দেহ নেই। বরং বলা যাক, ছেলেটা *অশ্লীল* রকমের প্রতিভাবান। আচ্ছা সে নাহয় হলো। কয়েক কোটি মানুষ বাছলে এমন দুয়েকজন কি আর খুঁজে পাব না?? হয়ত পাব!
কিন্তু আমার মন বলছে---- কয়েক কোটি নয়, সারা পৃথিবী ঢুঁড়লেও তার মত আরেকজন মেহদী খুঁজে পেতে আমাদের রীতিমত মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হতে পারে।
কেন?
কারণ, প্রতিভাবান অনেকেই হয়।কিন্তু মেহদীর মত বড় মন নিয়ে খুব কম মানুষ আসে। প্রতিভাবানরা বেশির ভাগ সময়ই খুব ছোট মন নিয়ে ঘোরাফেরা করেন। হয়ত প্রতিভার জন্যে জায়গা করে দিতে গিয়ে মনের জন্যে জায়গার টানাটানি পড়ে যায়---!!
কিন্তু আমাদের মেহদী এই ক্ষেত্রে এক অনন্য সাধারণ উদাহরণ। এত অল্প বয়েসে (শুনেছি, বেচারা এখনো ডাক্তারি পড়ছে) এতগুলো গর্ব করার মত গুণ সে বুক পকেটে নিয়ে ঘোরে। বছরের পর বছর দুর্নীতিতে শিরোপা জিতে আমাদের দেশের মানুষ যখন বিশ্বের দরবারে অধোবদনে দাঁড়ায়, লজ্জায় যখন আমরা নিজেরাই নিজেদের দিকে তাকাতে পারি না---সে সময় এই ছোট ছেলেটা আলোর মশাল নিয়ে এগিয়ে আসে। তাকে দেখে আমরা অবাক বিস্ময়ে খেয়াল করি এত প্রতিভা, এত গুন সাথে নিয়ে এলেও সে আমাদের আর দশজনের একজন হয়ে থাকতেই পছন্দ করে।সে নিরুত্তাপ, নীরব। সে এমন এক আগুন---যা কারোর হাত পোড়ায় না।
মেহদীর গুনের একশ ভাগের একভাগ গুনও থাকলে পরে আমরা শুধু নিজেদের ঢোল নয়, পাড়া পড়শির ঢোল-খোল-কর্তাল চুরি করে নিয়ে বাজাতে বাজাতে সদর রাস্তা ধরে হাঁটতাম। দিনের মধ্যে নিদেন পক্ষে পাঁচশ বার লোকজনের নড়া ধরে নাড়া দিয়ে বলতাম--হুঁ হুঁ বাবা, চিনিস আমি কে??
কিন্তু মেহদীকে দেখুন।
আমরা যা--তার ঠিক বিপরীতে সে দাঁড়িয়ে আছে। একটা উদাহরণ দিলেই বুঝতে পারবেন।
মোস্তফা জব্বার হলেন আমাদের মাঝের আত্মম্ভরী,অহংকারী,উন্নাসিক,প্রচার-সর্বস্ব, মেধাহীন কুটিল মনের এক সার্থক প্রতিভু। তাকে দেখে আমরা 'স্বস্তি' বোধ করি। কারণ এই ধরনের লোকরাই আমাদের বেশি চেনা।
জব্বার সাহেবের স্থবির,বিকৃত,জরদগব মূর্ত্তির ঠিক বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের মেহদী। সে নিজের ঢোল বাজায় না। কারণ সে কোন ঢোল রাখেই না কাছে। সে আপন মনে থাকে--সে আপনার তালে নেচে যায়, সে যে মুক্ত জীবনানন্দ!
মো-জ সাহেবের যে Mojo কোন কালেই ছিল না---সেই Mojo-র কারখানা সঙ্গে নিয়েই ঘুরে বেড়ায় মেহদী।
তাই তাঁকে দেখে আমাদের 'অসোয়াস্তি' হয়।
মেহদী, বয়েসে তুমি আমার অনেক অনেক ছোট। কিন্তু তারপরও আমার প্রণাম তোমার চরণে। তোমার জন্যেই আমি আজ বাংলায় কিছু লিখতে পারি, আমার হাসি-কান্না-ভালবাসার অকুন্ঠ প্রকাশ ঘটাতে পারি। তোমার কাছে আমার, আমাদের সবার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
ধন্যবাদ মেহদী, আমাদের জীবনে এক গর্বের উদাহরণ এনে দেবার জন্য।
ধন্যবাদ মেহদী, আমাদের বুঝিয়ে দেবার জন্য যে প্রতিভার সাথে মনের কোন ব্যাস্তানুপাতিক সম্পর্ক নেই।
ধন্যবাদ মেহদী, আমাদের মাথাটা একটু উঁচু করে দেবার জন্য---দূরের দিকচক্রবাল দেখিয়ে দেবার জন্যে---
তোমার জয় হোক!!!!!
অ - সা - ধা - র - ণ মন্তব্য।
"ধন্যবাদ মেহদী, আমাদের বুঝিয়ে দেবার জন্য যে প্রতিভার সাথে মনের কোন ব্যাস্তানুপাতিক সম্পর্ক নেই।"
এই কথাটা আমি একটু বদলে বলতে চাই,"ধন্যবাদ মেহদী, আমাদের মনে করিয়ে দেবার জন্য যে প্রতিভার সাথে মনের কোন ব্যাস্তানুপাতিক সম্পর্ক নেই।"
পড়ার জন্য ধন্যবাদ বস
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
রেনেটিয় লেখা। আমার মেহদীকে চেনার ক্রনোলজি প্রায় একই রকম।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
রেনেটের লেখা তো রেনেটীয়ই হবে...অন্য কিছু হলে তো পাইরেটেড হয়ে যাবে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
রেনেট ভাইয়ের জন্য কাগুর তরফ থেকে চুম্মা। পুরাই piরেটেড লেখা।
কৌস্তুভ
দূরে গিয়া মরেন মিয়া! ছেলেদের কাছ থেকে চুম্মা খাবো ক্যান
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এব্রে আপ্নারে পাইসি। সচলে এখন যা হালচাল চইলত্যাসে, আপনার এই মন্তব্যরে সমকাম-ঘৃণাসূচক, সমকামী-বিরোধী, শভিনিস্টিক ইত্যাদি বইল্যা হাউকাউ কইরা গোলমাল পাকামু। খুউপ খিয়াল কইরা মিঁয়া!
খিক খিক
কৌস্তুভ
রেনেট মিয়া, তোমারে নিয়া তো চিন্তায় পড়লাম রে ভাই! তোমারে এক পোলা ''বুকে আহেন'' করে ডাকে, আরেকজন ফ্রি ফ্রি ''চুম্মা' দেয়। এহেম, এহেম! আরামেই আসো দেখতেসি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
ইটস নট খুল
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
মেহদী একটা মেসি!(অমানুষ)
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
জব্বর জবাব মেহদী ভাই! খুবই দুঃখজনক কথা যদি দেশের পত্রিকাগুলো এই উত্তরটি না ছাপায়। আন্তর্জালের অধিবাসীরা অভ্রর কথা জানলেও যারা খবরের জন্য পত্রিকাগুলোর উপর নির্ভর করেন তাদেরকেও মোস্তফা জব্বারের এই স্বার্থান্ধ মিথ্যা সমন্ধে জানানো দরকার। অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেনা এই সত্যটা জানা দেখেই ব্লগ, ফোরাম ও ই-মেইলে এত আক্রমণের পরও মোজ়োর মিথ্যাচার পূর্ণদ্যমে চলছে। সত্যি ঘটনা জানা ও বোঝার পর কোন সুস্থমস্তিষ্কের মানুষই মোজ়ো-র প্রলাপে কান দেবেনা। আমাদেরও তাই অনেক কিছু করার বাকি আছে। সচলায়তনের এই বার্তা পৌছে দিতে হবে সবার কাছে।
অর্থহীনের গুটি-৩ গানটার কিছু কথা দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না।
"আবার ডাকছি তোমায় আমি
শুনছো কি তুমি?
মাঝরাতের দুঃস্বপ্নগুলো কেমন বল শুনি।
অসুস্থ তোমার মগজ, হাসি আসেনা আগের মত
নিজের জাল ঘিরে আসে
কাউকে না বলে তোমারই কাছে
এযে তোমারই চালা গুটি
তোমাকেই খোঁজে আজ তোমারই সৃষ্টি
পেছন ফিরে দেখ আসছে কি
চিনতে তুমি পার কি
ফোকলা দাঁতে তোমার হাসি
আজ কেন মলিন?
মাঝরাতের নীল নকশা
কি এখনও বোঝনি
তাড়া করছে আজ তোমায়
গুটি from hell!"
আপনার মন্তব্যটি সম্ভবত ভুল পোস্টে চলে এসেছে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, মডারেটরকে এই পোস্ট মুছে ফেলতে বলে মেহেদী ভাইর ব্লগটাতে আবার পোস্ট করেছিলাম কিন্তু উনি মনে হয় ওটা মুছে ফেলে এটা রেখে দিয়েছেন।
- পুরা পোস্টের মধ্যে কেবল এই কমেন্টটা পড়েই আমি খ্যাক খ্যাক করে হেসে উঠলাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখাটা দারুণ হয়েছে!
হে হে... আমিও ঐ ছবির পোস্টেই প্রথম চিনি মেহদীকে। ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। সুন্দর ছবি সংগ্রহ করার বাতিক আছে আমার তাই অনুমতি নিয়েই কয়েকটা সেভ করেছিলাম (ফ্লিকারে স্পেইসবলের যন্ত্রণায় শ্যাষ হয়া গেসিলাম!)
যাক, তারপর জানতে পারি এই ছেলে শুধু ফটোগ্রাফারই না, অভ্র বানালো! ডাক্তারী পড়লো! আমি এখনও ভাবি কি করে সে এতোকিছু করে যায়??
থাক আর দুঃখ না বাড়াই এসব ভেবে.......
আরও সাফল্য আসুক মেহদীর। দেশের মানুষকে অনেক কিছু দিবার ক্ষমতা হোক ওর।
থ্যাঙ্কু আপু
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
সুপ্রিয় রেনেট,
আপনার লেখাটা অসাধারণ। অনেক ভালো লেগেছে।
অভ্র'র সৃষ্টিকর্তার উপর লেখা দারুণ হবে, এটাই স্বাভাবিক।
তবে লেখাটিতে বানানের মধ্যে সামান্য একটা ভুল আছে। শব্দটা 'দুর্বিষহ' হবে না। হবে 'দুর্বিসহ'। এই শব্দে কোনো বিষ নেই, আছে সহনীয়তা।
ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
বানানের ব্যাপারে আর কি বলব! অনভ্যাসের কারণে অনেক বানানই ভুলে গেছি
ঠিক করে নিচ্ছি (যদিও আমার ধারনা আরো অনেক বানানই ভুল আছে লেখায়)
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
নতুন মন্তব্য করুন