সংরক্ষণ নিমিত্তে

রাসেল এর ছবি
লিখেছেন রাসেল (তারিখ: শুক্র, ১৮/০১/২০০৮ - ৭:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার এক শিক্ষক বলেছিলেন যুবতী কন্যা দেখে আপ্লুত হওয়ার কিছু নেই- যৌবনে কুকুরীকেও সুন্দরী লাগে- চোখ ধাঁধানো সুন্দরীরাও একদিন ফুলে ফেঁপে পাশ বালিশ হয়ে যাবে আর তখনও ষোড়শীর উষ্ণ ঠোঁটের মদির চুম্বনের মতো আলোগোছে দেবো সিগারেটের শেষ টান।

সন্ধ্যাবাতির লেখাটা পড়ে খারাপ লাগে নি মোটেও- হুমায়ুন আজাদের নারী বইতে কোথাও বলা নেই এটা নারী সম্পর্কিত হুমায়ুন আজাদীয় মতবাদ। বরং সেকেন্ড সেক্স বইয়ের অনুবাদের সাথে সামান্য কিছু জুড়ে দিয়ে লেখা একটা বই- তবে বইতে একটা বিষয়ই বার বার প্রকাশ পায় আমাদের পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নারীকে কিভাবে দেখা হচ্ছে-

ক্লিশে নারীর ঐতিহাসিক পরাজয়ের বক্তব্য না সুচনায় বলি নারীরা তোমাদের শষ্যক্ষেত্র সেখানে যেভাবে খুশী গমন করো-

বুখারির হাদিস থেকেও বলা যায়- কোনো এক যুদ্ধ থেকে ফিরছিলো মোহাম্মদ- তার এক সঙ্গীর কিছু দিন আগে বিয়ে হয়েছিলো- সে অধৈর্য্য হয়ে দ্রুত ঘোড়া ছুটিয়ে আসছিলো- মুহাম্মদ তাকে বললো এত অধৈর্য্য হওয়ার কিছু নেই একটু দেরী করে যাও- তাকে সাজগোজ করতে সময় দাও-

যদি এই একই ভাষ্য কোনো মুস্তাফা সারয়ার ফারুকীর নাটকে আসতো তবে বক্তব্যটা কেমন হতে পারতো-

আর্রে মিয়া কোপাইবাই তো- একটু লেটে গিয়া কোপাও- বৌতো ঘরেই থাকবো- হবায় যুদ্ধ থেকে ফিরলা ক্লান্ত শরীরে বেশী লোড নিতে পারবা না- তারচেয়ে একটু রয়ে সয়ে-

কোনো একদিন সন্ধ্যাবাতি বলেছিলো আনাস বুঝে নি তাই সে বলেছিলো মুহাম্মদের চোদার ক্ষমতা ১০ জন পুরুষের সমান-
আমার খুব মজা লেগেছিলো সে দিন- কারণ তার কিছু আগেই পড়ে শেষ করেছিলোম বুখারী আর মুসলিমের গোসল আর পবিত্রতা সংক্রান্ত হাদিস সংগ্রহ- আর সেখানে নানাবিধ উত্তেজক বর্ননা- আয়েশার সাথে একই টুকরিতে গোসল করছে মুহাম্মদ- সে একদিন কাম সেরে আলস্য মেখে শুয়ে ছিলো তখন নামাজের সময় হয়ে গিয়েছে তবে মুহাম্মদের অনুপস্থিতিতে কেউ একজন নামাজের ইমামতি শুরু করার পর মুহাম্মদ তাকে হেভী ঝারি পিটায়-
এখানে ইমাম আদতে নেতৃত্ব- নামাজের নেতৃত্ব দিবে নেতা- মুহাম্মদ চোদাচুদি করে গোসল না করে অলস শুয়ে থাকলেও যেহেতু ইশ্বর মুহাম্মদের বন্ধু তাই তাকে ডাকবার সময় হলেও সেটা একটু পরেও করা যায়- মুহাম্মদের অনেক রকম ঝামেলা সত্ত্বেও তার এই ক্ষমতার প্রতি লালসা খারাপ লাগে-

তবে সেখানে পবিত্রতা সংক্রান্ত বানীমালায় সংকলিত বিষয়গুলোতে একটা বিষয়ই ছিলো- মনে হলো মুহাম্মদ যদি না চুদতো তাহলে সারাজীবনই গোসল না করেই কাটিয়ে দিতে পারতো-
নারী সঙ্গ মুহাম্মদের প্রিয় ছিলো না কিংবা সে যে কৌশলে নিজের বৌদের যৌনচাহিদাকে দমিত করলো এটাকে কি বিবেচক বলা যায়? তার বৌদের কেউ বিবাহ করতে পারবে না- এমনটাই ঐশ্বরিক বিধান- যে বিধান রচিয়াছে মুহাম্মদ নিজেই- হতেও পারে মুহাম্মদ নিজের বিবিদের যৌন হতাশা থেকে বাঁচিয়েছে- ১০টা পুরুষের মতো বলিষ্ঠ খেলুরে মোহাম্মদ ছাড়া অন্য কেউ কি আসলেই অষ্টাদশী আয়েশাকে শীর্ষ সুখ দিতে পারতো?


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।