পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখলাম- ভালোই লাগলো দেখে- সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার ফিল্ড অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রার্থীদের যোগ্যতার সনদ জমা দিতে হবে- সামাজিক উন্নয়ন কাজে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে- এসবের বাইরে আরও একটা আবদার আছে তাদের- প্রার্থীকে ১৫০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে সাহি দিতে হবে এবং জামিন হিসেবে একজন গন্যমান্য লোককে রেফারি হিসেবে নিতে হবে-
চমৎকার আব্দার সন্দেহ নেই- পেশায় ফিল্ড অফিসার হলেও কাজটা খাতকের কাছ থেকে কিস্তি আদায়- এস এম ই বলে কিংবা ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে স্বচ্ছলতার রাস্তা দেখানোর একটা চেষ্টা করেছিলো নোবেলে শান্তি পুরস্কার জয়ী ইউনুস- তার মডেল অনুকরণ করে অনেকেই দারিদ্র বিমোচনের চেষ্টা করছে- দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করছে-
ঋণ মানবাধিকারের পর্যায়ে পড়ে এই মহান সত্যটা ইউনুস সাহেব না বললে আমরা জানতেও পারতাম না- তাই তাকে অভিনন্দন- তবে কোমল মনের মানুষেরা দীর্ঘ সময় কাবুলিওয়ালার হয়ে কাজ করতে পারে না- কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে দেশান্তরী হয়- কেউ অন্য কোনো সুযোগ পাওয়া মাত্রই চাকুরি বদল করে- আর যারা হাই ফ্যাশনের মানবতাবাদী তারা লোকলজ্জার মাথা খেয়েও এনজিওদের গায়ে গায়ে লেপ্টে থাকে- তাদের কাছে এই কাজটাই মানবতার উন্নয়নের কাজ-
কত রকমের কাজ আছে- বস্তির ছেলে মেয়েদের শিক্ষা- তবে কেলাশ ফাইভ পাশ করা এইসব সাক্ষর মানুষদের উচ্চ শিক্ষা কি এমন কি এস এস সি কিংবা এইচ এস সি দিয়ে কোনো টেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দিবে না তারা- পরিণতিহীন এই গননা শেখানোর কাজ- বস্তিতে আর মফঃস্বলে গিয়ে স্যানিটারি ল্যাট্রিন লাগানোর কাজে নিয়োজিত আছে কয়েকটি এন জিও- স্বাস্থ্য উন্নয়ন খাতে বরাদ্দও আছে- বাংলাদেশ নামক তৃতীয় বিশ্বের দেশটিতে পানিতে কলেরার জীবানু কিলবিল করে আর ডায়েরিয়ার প্রকোপ- এখানে স্যানিটারি ল্যাট্রিন প্রয়োজনীয়- বিশুদ্ধ খাবার পানির সংস্থান গুরুত্বপূর্ণ-
তবে মজা হলো এক এনজিও আনে স্যানিটারি ল্যাট্রিনের জন্য বরাদ্দ আর সেই সুশীল ব্যাক্তিই ভিন্ন একটা এনজিও খুলে নিয়ে আসে বিশুদ্ধ পানির জন্য অনুদান- লোকজন বদনা হাতে টিনের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে- আর ৩ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ দিয়ে পানর ফোয়ারা ছুটছে-
নানান ভঙ্গিমায় ছবি তুলে ব্রোশিও বের হয়- আমাদের দারিদ্রের মডেলেরা লোটা হাতে স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ঢুকে- তবে আমি বুঝি না তারা সেখানে গিয়ে আদতে কি করে?
পুষ্টিহীনতায় ভোগা মানুষ, খেতে না পারা মানুষ কি স্যানিটারি ল্যাট্রিনে বসে পুটকি দিয়ে কলিজা বাহির করবে?
বলা মুশকিল মুশকিল আসান হিসেবে আসছে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা- আশা, সচেতন কুড়িগ্রাম- স্বচ্ছল বরগুনা- ঝিনাইদহ উন্নয়ন সংস্থা- নাম যাই হোক না কেনো তাদের কাজ আদতে গ্রামের মহিলা ধরে ধরে তাদের ঘাড়ে ৫০০০ টাকা ঋণের বোঝা চাপানো-
আমি এই প্রথার বিরোধী সব সময়-
গ্রামের যে পানা পুকুরের পাশে জমে থাকা কচুর লতি আর ডাঁটা খেয়ে- কলমি শাক আর ঢ্যাঁপ খেয়ে ৪৩, ৪৯, ৬১, ৭৪ এর খরা আর দুর্ভিক্ষের মোকাবেলা করেছিলো নিম্নবিত্ত মানুষ- তারা অবাক হয়ে দেখছে- সেই সব পুকুরের চারপাশ পরিস্কার হয়ে গেছে আর সেখানে একটা সাইনবোর্ড ঝুলছে- সমবায় মাছের খামার- ------- উন্নয়ন সংস্থার অর্থায়নে- চার পাশের গাছ পালা পরিস্কার করা হয়েছে- কারণ সেখানে আবর্জনা জমলে মশা হবে- আর মশা হলে ম্যালেরিয়া- আর আবর্জনা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের নির্দেশক-
ঠিক তার পাশের পড়ে থাকা জমিতে আরও একটা সাইনবোর্ড টাঙানো- যৌথ খামার- সবজি উৎপাদন প্রকল্প- প্রোঃ জমির মিয়া, অর্থায়নে -------- উন্নয়ন সংস্থা- কিংবা কারিতাস কিংবা ড্যাব- কিংবা এমন কোনো নাম-
আমার গ্রামের মাটি সোনার চেয়ে খাঁটি- তোমার সোনার ধুলো অঙ্গে মাখিব- এইসব বক্তব্য দেরিতে হলেও ফলেছে- আদতেই এখন মাটির মূল্য বেড়ে গিয়েছে- আর সেই মাটি কিংবা বসতবাটির দিকে নজর পড়েছে এনজিওগুলোর- তারা বিভিন্ন মাপের ঋণ দিচ্ছে-
একদিন বিকেলে ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষতিকর দিক নিয়ে বিশাল বক্তৃতা শেষে আড্ডা দিতে যাবো পুরানো ঢাকায়- শাহবাগ থেক রিকশা নিয়ে রওনা দিলাম- বেশ বলিষ্ট রিকশাওয়ালা- মোহাম্মদ শাহার-দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দা- ঢাকায় এসেছে কারণ এ সময় মাঠে কাজ নেই- চাষী মূলত তবে এই সময়ে নিড়ানী নেই- মাটি কুপানো নেই- ঢাকা শহরে রিকশা চালালেও মাসে ৩ হাজার টাকা উপার্জন হয়-
কি করেন ভাই- ক্ষেতিবাড়ি- এইতো কয়েক কানি জমি আছে- আর বর্গা নিছিলাম আরও ২ কানি- ধান লাগাইছি- এখন আর কাজ নাই ক্ষেতে ঢাকায় আসছি-
কথায় কথায় জানতে পারলাম তাকে এই সপ্তাহেই গ্রামে টাকা পাঠাতে হবে- কিভাবে পাঠাবেন?
এইতো সায়েদাবাদ থেকে আমাদের গ্রামের সামনে দিয়েই বাস যায়- ঐ বাসের হেলপারকে দিয়ে-
সমস্যা হবে না? আমার মাথায় ঘুরছে প্রতারণার কথা- তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো অর্থনৈতিক লেনদেনে তথাকথিত নিম্ন আয়ের মানুষেরা বেশী সৎ- এবং তাদের ভেতরে এই বোধটাই নেই- পরস্বহরণের যে তাগিদ আমাদের সুশীল এবং রাজনৈতিক নেতাদের ভেতরে থাকে- এই ব্যাধি থেকে তারা মুক্ত।
সুপারভাইজারকে আপনি চিনেন?
নাহ আমাদের বাজারে বাস থামে আর বাস স্ট্যান্ডেই আমাদের হেডমাস্টারের মুদির দোকান- গ্রামের স্কুলের শিক্ষকদের স্বচ্ছলতা নিয়ে অনেক প্রতিবেদন এসেছে দৈনিক পত্রিকায় - তাদের নিয়মিত বেতন হয় না- প্রাইভেট পড়িয়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগও নেই তাদের- তাদের বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে কৃষিকাজ আর মুদির দোকান দিয়ে বসে থাকা ছাড়া কোনো গত্যান্তর নেই-
হেড মাস্টার আবার আমার মামাতো ভাই- তাকে মোবাইলে বলে দিবো-
অর্থ সরবরাহ ব্যবস্থা দেখে ভালো লাগে- ব্যাংক আর পোস্ট অফিসের বাইরে নিজস্ব অর্থ সঞ্চালন ব্যবস্থা গড়ে নিয়েছে তারা নিজেদের উদ্যোগেই- প্রয়োজনই ব্যাংক বীমা পদ্ধতি চালু করেছিলো- বাংলাদেশে প্রয়োজনেই এসব তৈরি হবে- আর দরিদ্র মানুষের ব্যাংক একাউন্ট ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ নেই- তাদের লেনদেন চলবে কিভাবে- এই বাসের সুপারভাইজার- কুরিয়ার আর পরিচিত জনের হাতে হাতেই-
আমাদেরও জমি ছিলো ভাই- হঠাৎ করেই আলোচনা অন্য দিকে মোড় নেয়- বাবার অসুখের সময় জমি বেচছি- আমাদের ৪ ভাই- সব জমি বিক্রি করেও বাবাকে বাঁচাতে পারি নি-
পিতৃভক্তি থেকে নয়- বরং এই পারিবারিক জীবনের গন্ডীতে আটকে থাকা আমাদের গ্রামীণ সমাজ- বাবার অসুখ, ছেলেমেয়ের অসুখ- সর্বসান্ত করে দেয় অনেক পরিবারকেই- তবুও মানবীয় আবেগ প্রকাশে পিছ পা নয় এরা- বসত ভিটা বেঁচে শহরে এসেছে বৌ সাথে কিশোর ছেলে- অহেতুক কার্ফ্যুর দিনে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বারান্দায় কলম নামের সেই ছেলেটার সাথে পরিচয় হয়েছিলো- কলমের মায়ের বয়েস হবে খুব বেশী হলে ৩৫, বৃদ্ধের দ্বিতীয় পক্ষ- বৃদ্ধের চিকিৎসার জন্য এসেছে গ্রাম থেকে- তার বিলাপ শুনে বিরক্ত হচ্ছিলাম প্রথমে- তবে পরে আর সে বিরক্তি থাকে নি- সেই গল্প পরে অন্য একদিন হবে-
আজ মোহাম্মদ শাহারের কথাই বলি-
তাদের পিতৃভক্তি মাতৃভক্তি দেখে ভালো লাগে- কোথায় উন্নত বিশ্ব- সেখানে মানুষে মানুষে যোগাযোগ নেই- বাবার খরব ছেলে মেয়েরা রাখে না- ছেলে মেয়ের খবর রাখে না বাবা মা- তোমরা বড় হয়েছো, লায়েক হয়েছো এবার উড়াল দাও- পারিবারিক বন্ধনের এই ছবিটার মর্মান্তিক দিক হলো- এই চার ভাইয়ের পরিবারের হাতে কোনো আবাদি জমি নেই-
শাহারের ২ ছেলে- ছোটোটা মেধাবী- ফাইভে ট্যালেন্ট পুলে বৃত্তি পেয়েছে- আর বড়টা এইবার এসএসসি দিবে- অনেক বলে কয়ে হেড মাস্টারকে রাজী করাইছি- ছেলেটাকে ইংরেজি পড়াবে-
গ্রামের স্কুলের শিক্ষকেরা সবাই ইংরেজিতে অভিজ্ঞ এমন জনরব মিথ্যা নয়
বাসায় টাকা পাঠাতে হবে কালকেই-
এতটা জরুরি কেনো টাকা পাঠানো? উত্তরে শাহার জানালো কিস্তির টাকা দিতে হবে- তার বৌয়ের নামে ক্ষুদ্র ঋণ নেওয়া আছে- সে কিস্তির টাকা পাঠাতে হবে-
সভা সেমিনারে ক্ষুদ্র ঋণের কথা শোনা আর বাস্তবে একজনের সাথে কথা বলার ভেতরে বিস্তর তফাত- পরবর্তি সম্পূর্ণ সময় আমি এই কিস্তি আর ঋণের রকমফের বুঝার চেষ্টা করি- তার মুখেই শুনি- আচ্ছা আপনাকে সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে হবে কত-
হুমম এই ধরেন ৫০০০ টাকা হইলে প্রতি সপ্তাহে প্রতি হাজারের ৫ টাকা করে দিতে হয়- তো সপ্তাহে ১৫৫ টাকা দেই- এই রকম করে ৪৪ সপ্তাহ-
আমি থামাই- তাহলে আপনি ৫০০০ টাকা ধার করে ৭০০০ তাকার মতো দিচ্ছেন-
আরে না না- হিসাবটা আরও জটিল- আমি সেক্রেটারিয়েটের সামনে রিকশা থামাই- ক্যাফে তোপখানার সামনে থেকে সিগারেট কিনে আবার রিকশায় উঠি- ঠিক আছে ভাই আপনি বলেন-
এ ধরেন প্রতি সপ্তাহে দিতে হয় ১২৫ টাকা আর ২০ টাকা জমা দিতে হয় ওদের কাছে- আর ১০ টাকা আমার জমা- তো সপ্তাহে কিস্তির টাকা দিতে হয় ১২৫-
হুমম মাথায় গুণ করি- ৪৪ সপ্তাহে ১২৫ মানে ৫৫০০ টাকা- মানে প্রায় ১০% সুদ- এটাতো আমার জানা ৩৩% সুদের কাছে খুবই কম- বছরে হিসাব করলে হয়তো ১২ % হবে কিন্তু কিছুতেই ৩৩% যাবে না- হতাশ হয়ে শুনি বাকি ৩০ টাকা সাপ্তাহিক কিস্তির গল্প-
২০ টাকা জমা দিতে হয় কারণ এটা বিশেষ জমা- যদি কোনো কারণে কিস্তি জমা দিতে ব্যার্থ হয় তবে এখানের জমানো টাকা থেকে কিস্তি দিয়ে দিবে ওরা- ভালো প্রস্তাব-
আর বাকি ১০ টাকা নগদে জমা- এটা কিস্তি শোধের পরে তাদের কাছেই ফেরত দেওয়া হয়- ইচ্ছা করলেই এই টাকা তারা সেখানে জমা রাখতে পারে- তাদের একাউন্ট আছে-
তো ৫০০০ টাকায় সাপ্তাহিক কিস্তি ১২৫ , ৪৪ সপ্তাহ- ৫৫০০ টাকা- ৫০০০ টাকার উপরে ৫০০ টাকা বাড়তি জমা- তেমন খারাপ না প্রকল্প- বৃথাই তাহলে এত বাদবিসম্বাদ করলাম এত দিন-
একটু খারাপ লাগে-
তো গ্রামীন ব্যাংক আছে আপনাদের এলাকায়- হুমম- ওদের দিতে হয় হাজারে ৩টাকা সপ্তাহে- আমার নাটবল্টু প্যাঁচ খেয়ে যায়- তাই কথা না বাড়িয়ে তার কথাই শুনি-
তার বাসার চাল ঠিক করতে হবে- সে জন্য তার বৌ আবার ৫০০০ টাকা লোন করছে- এর আগে তার লোন ছিলো ৫০০০ টাকার-
স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখতে পারবে না তারা- এই তো কেমন লোকটা উঠে দাঁড়িয়েছে- ৩ কানি জমি কিনেছে-- বৌয়ের নিজের মুর্গির খামার- ছেলেরা সব স্কুলে যাচ্ছে- একজন এইটে বৃত্তি পরীক্ষা দিবে আর অন্য জন এসএসসি দিচ্ছে- উন্নত বাংলাদেশের উদ্যমী মানুষের সাথে কথা বলে ভালোই লাগে-
গন্তব্য এসে গেছে প্রায়-
তো ঋণ নেওয়ার সময় কিছু জমা দিতে হয়?
না ওরা ৫০০ টাকা কাইট্যা রাখে- এইটাই জামানত-
তো কিস্তি শেষে এইটা ফেরত দেয় না? গরীব মানুষের কি আর সঙ্গতি থাকে- মাঝে মাঝে কিস্তি জমা দিতে পারি না তখন ওখান থেকে কাটে-
রিকশা ভাড়া দিয়ে আড্ডায় যেতে যেতে হিসাবটা পুণরায় মেলানোর চেষ্টা করি-
আদতে ৫০০০ টাকার বদলে ঋণ হলো ৪৫০০ আর যদি সব কিস্তি ঠিক মতো পরিশোধও করা হতো তাহলে দিতে হতো ৫৫০০, আর আগের ৫০০
সুতরাং ৪৫০০ টাকার বদলে আদতে লোকটা শুধছে ৬০০০ টাকা- হুমম হিসাব মিলছে ৩৩% সুদের হিসাব মিলছে- মিলছে এনজিওগুলোর ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার জন্য ব্যাগ্রতার কার্যকারণের পেছনের ইতিহাস
তবে সে কথা বুঝিয়ে বলবার জন্য আমি শাহারকে খুঁজে পাই না- সে নতুন একটা খ্যাপ নিয়ে চলে গেছে অন্য কোথাও-
মন্তব্য
আমার এক বন্ধু বলেছিল ( বন্ধুটি একটি বড়ো এনজিওতে কাজ করে ) ব্যবসা করলে দুই ধরনের ব্যবসা করবি ।
হয় ড্রাগ বেচঁবি নয়তো ক্ষুদ্রঋণ দিবি ।
শুধু প্রথমবার তোর যা কষ্ট , তারপর সারাজীবনের জন্য তারা বাঁধা পড়ে যায় ।
এর প্রেক্ষিতে নতুন গালি নেমে যেতে পারে বাজারে, তোর মায়রে সুদি, অর্থাৎ তোর মা-কে ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে তারপর সুদ আদায় করি রয়েসয়ে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হুম!
শ্রদ্ধেয় রাসেল, দাঁড়ি বলে একটা ব্যাপার আছে। এইটা দিলে পরে অন্যলোকের নানা খাটনি কমে। ভবিষ্যতে দিলে কেতাত্থ হই।
হাঁটুপানির জলদস্যু
লেখা যথারীতি কোপানী তবে দাঁড়ি আসলেই দরকারী ।
কি মাঝি? ডরাইলা?
দাড়ি কমার সমস্যা খেয়ালেই আসেনি। নিবিষ্ট মনে পড়ে গিয়েছি। অসাধারণ।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
চমত্কার লেখা, এই ক্ষুদ্রঋণ ব্যাপারটা আমার মাথায় কখনই ঢুকতো না আজকে তাও খানিকটা বোঝা গেলো।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......
লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ
নতুন মন্তব্য করুন