নতুন গান শুনলে আঁতকে উঠি- বুঝতে পারি না আদতে চারপাশে কি ঘটছে বর্তমানে- ইন্ডিয়ান আইডলেরা বাংলাদেশে আসছে- একজন একটা কনসার্টে এসে খুব অপমানজনক একটা মন্তব্য করেছিলো- তার কাছে মনে হয়েছে বাংলাদেশের মানুষেরা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের তুলনায় বেশী হিন্দি গান শুনে এবং গাইতে চায়। এতে হয়তো কেউ কেউ গর্বিত হতে পারে- তবে আমি এতে গর্বিত হওয়ার কিছু পাই না-
আমরা হিন্দিতে প্রেম করছি, হিন্দি ছবি দেখে ভাবতে শিখছি সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে- আমাদের বর্তমান মানস নির্ধারণ করছে জিতেন্দ্র পরিবার- একতা কাপুরের সিরিয়াল আমাদের সম্পর্কের জটিলতার শিক্ষা দিচ্ছে এবং আমাদের মেরুদন্ডহীন অথর্ব নির্মাতারা এখন সেসব সিরিয়ালের অনুকরণে মেগা সিরিয়াল তৈরি করছে-
বিষয়টার ব্যপকত্ব কতটা? দেশীয় স্বাদের নাটক বলে কিছু কি ছিলো? তবে একটা সময়ে বিটিভির নাটক ছিলো- সে নাটকের গল্পে আমরা আমাদের খুঁজে পেতাম- আমরা নাটক প্রচারের পরের দিনগুলোতে এ নিয়েই আলোচনা করতাম- একজন হুমায়ুন ফরিদী- একজন আফজাল হোসেন- একজন সুবর্না মোস্তফাকে নিয়ে আমাদের উঠতি যুবকেরা স্বপ্ন দেখতো- এখন সে অবস্থান বদলেছে- বাংলাদেশের তরুন তরুনীরা এখনও স্বপ্ন দেখে- কেউ হার্ষিত- কেউ অনুপম- কে কে আছে বলা যায় না- ভোক্তা হিসেবে আমি খুবই বাজে মাপের ভোক্তা- অমিত পল আর অভিজিত সাওয়ান্তের জীবনের গল্প আমাদের জানায় দৈনিকের পাতা- এবং এখানেই প্রমানিত হয় আমরা পার্শ্ববর্তী দেশের বাণিজ্যিক প্রচারণার সাথে ভীষণ ভাবে সংযুক্ত-
আমাদের গানের ভেতরেও এই প্রভাবটা চলে এসেছে- মান্না দে - মানবেন্দ্রকে অনুকরণ করে গাইতে শেখা মানুষেরা এখন পাফ ড্যাডি- শ্যাগি- ডক্ট্র ড্রে আর সনু নিগামের সুরে নিজেদের পরিচিত করতে চায়- আমাদের সংগীত পরিচালকেরাও মেনে নিয়েছে নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা- তারাও হিন্দী ছবির গান নকল করে বাংলায়নে লজ্জিত নয়- আনু মালিক নিন্দিত হলেও আমাদের ইমন, শওকত নন্দিত- তারাও একই কাজ করে- আমাদের নন্দিত ফুয়াদ আর আমাদের নন্দিত হাবিবের গানে হিন্দি প্রভাব থাকলেও সেটা যেহেতু বাজারে চলছে ভালো তাই এটাতে কোনো আপত্তি নেই-
এক ঝাঁক নতুন শিল্পী এসেছে- এদের পরিচিত করেছে ফুয়াদ- শওকত- - হাবিব- বাংলা বাউল গানের রিমিক্স করে হাবিব কায়াকে পরিচিত করেছে- কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে ফুলে পাইলা ভ্রমরা- ফুয়াদের ভ্রমর কইয়ো গিয়া নতুন সুরে প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধারণ করবার চেষ্টা- ঐতিহ্যের হোগা মেরে সাফা করে দেওয়ার এই নতুন যুগের গান আমাকে আতংকিত করে তুলতে পারে নি- তবে আরও আশ্চর্য করেছে তিশমার গান- তিশমা একজন গায়িকা- তার পোশাক নিয়ে আপত্তি থাকতে পারতো আমার- পোশাকের বিষয়ে কিছুই বলছি না-
তার গায়কী- তার শব্দ উচ্চারনের ধরণ নিয়ে আমার বিস্তর আপত্তি আছে- এই ধাঁচের বাংলা শুনলে আমার পোঁদ বরাবর লাত্থি দিতে ইচ্ছা করে- এক তিশমাতে যখন হাফাচ্ছি- তখন বাজারে আসলো কণা- আসলো মিলা- গান নিয়ে যতটা কম বলা যায় ততটাই ভালো- এদের গান তেমন ভালো না হলেও এদের শরীর ভালো- শরীরের ভাঁজ ভালো- ভাঁজ না খুলেই যেভাবে দুলিয়ে আনন্দ দিতে পারে- এই আনন্দ দেওয়ার ক্ষমতাও ভালো- আমরা যৌনভাবেই আকৃষ্ট হই- এদের কনসার্টে ছুটি- কানিজ সুবর্ণা নামক গায়িকা- কিংবা সুবর্ণার অনুগত দাসীর বুক আর পাছার কাঁপন মাঝে মাঝে মৃগী রোগির কথা স্বরণ করিয়ে দেয়-
যদি তেমন ক্ষমতা থাকতো তবে বলতাম- কষ্ট করে শব্দ উচ্চারণের কোনো প্রয়োজন নেই বখে যাওয়া যুবতীরা- শুধু আহ- উহু করে এমনিই শরীর নাচাও পাব্লিক খাবে- গিলে খাবে- বরং পাব্লিকের মনোনিবেশে সমস্যা হয় যখন তোমরা গান গাওয়ার চেষ্টা করো- তাদের কষ্ট করে শব্দ যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্তে আসতে হয় আসলে তোমরা কি গাইছিলে- তাদের ক্ষমা করো- যৌন উত্তেজনা পাওয়ার বিনিময়ে তোমাদের স্বচ্চোরিত বাংলা বুঝবার এই দুরহ পরীক্ষা তাদের যেনো আর দিতে না হয় সে ব্যবস্থা করো-
শেষ পর্যন্ত দেখলাম শিরিনকে- শিরিন পাঞ্জাবিওয়ালা গেয়ে হিট- হাবিবের নাচন দেখে মনে হলো না সে কিছুটা কষ্ট পেয়েছে- এই গায়িকা যখন গান করে তখন এটাকে গান না বলে গানের অবিরাম ধর্ষণ বলা ভালো- শ্রোতাদের উদ্বুদ্ধ করবার প্রক্রিয়া আর গানের মাঝে তার কাঁপুনি দেখে ভয় লাগলো- আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া কেন্নো দেখবার- হঠাত কোনো কেন্নো কিংবা শতপদী- কিংবা মেরুদন্ডহীন প্রানীকে দেখে যেমন লাগে তেমন অনুভুতি পেলাম- সবাই হয়তো শুয়োপোকা দেখেছে যখন অবলম্বনহীন সে ঝুলতে থাকে- তার ভুমি সংলগ্ন অংশটা স্থির থাকে আর উপরের অংশটা এলোমেলো কাঁপতে থাকে- নড়তে থাকে অবিরাম- এমন ভাবেই গানের ভেতরে ডুবে গিয়ে তার কাঁপন- এবং এর পরের অনুভুতি হলো মাদকাসক্ত দেখবার অনুভুতি- যখন কেউ অভার ডোজ নেশায় আক্রান্ত থাকে এবং হঠাৎ করেই নেশা ছেড়ে দেয় তখন তার শরীর নেশার চাহিদায় অস্বাভাবিক কাঁপতে থাকে-
ভালোবাসা দিবসে ওয়ারিদ এমন একটা প্রাক্তন নেশাসক্ত মানুষকে সঠিক পথে আনতে পেরেছে এটা দেখেই ভালো লাগলো- জয় হাবিবের- জয় শিরিনের- তারা নেশার সর্পিল পথ ছেড়ে ফিরে আসতে পেরেছে- বাংলা গানকে ধর্ষণ করে হলেও তারা সুপথে ফিরেছে এটাই আমাদের প্রাপ্তি-
মন্তব্য
আচ্ছা আশরাফ উদাসের কথা মনে আছে?
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
রূপকথা জাতীয় গল্পে যে একটা প্রশ্ন থাকে না "রাজামশায়, ভয়ে বলি, না নির্ভয়ে বলি?", সেই প্রশ্নটা দিয়েই শুরু করলাম - এবং নিজে নিজেই নিঃ উত্তর সিদ্ধান্ত নিলাম - নির্ভয়সভয়ে বলিব। অতএব অতঃপর আরোপিত নিম্নোক্ত -
আপনার সমালোচনা সংক্রান্ত পোস্ট এবং এই গান নিয়ে পোস্ট দুটো মিলিয়েই এই মন্তব্য। আমি যেহেতু দেশের বাইরে থাকি কাজেই হাল আমলের জনপ্রিয় কি "স্বপ্ন দেখানি" কি অপসংস্কৃতির ধারক বাহক কি যাই হোক এদের সম্বন্ধে ঠিক যাকে বলে আপ টু ডেইট থাকতে পারি না, কিন্তু ভাগ্যিস অন্তর্জাল ছিলো তাই একেবারে ছিটকে পড়ি নি কায়ক্লেশে টিকে আছি। আমি তাই তিশমাকে, কণাকে, দাসীকে চিনি না বা দেখি নি, মিলা ,হাবিব এবং শিরীন এর গান শুনেছি, ভারতীয় সিরিয়াল কি বাংলা মেগা কোনটাই দেখি নি, তরূন বয়সীদের সদ্য পরিবর্তনশীল 'হার্ট্টহ্রব' এর ব্যাপারেও মোটামুটি ধারনাহীন। আপনার পর্যবেক্ষণ তাই ১০০ ভাগ ঠিক ধরে নিচ্ছি।
আমার নিজের হাবিব এবং শিরীন এর (দুজনের আলাদা আলাদা ভাবে) গান, গায়কী এবং গলা খুবই পছন্দ, এমনকি ওদের দুজনের চেহারাও পছন্দ। মিলাকে একেবারেই পছন্দ হয় নি আর তিশমা বা অন্যদের কে তো দেখিই নি। আপনার এদের কাউকেই পছন্দ না - তা সে তো হতেই পারে। 'শাহবাগী' ঘরানা আর 'মগবাজারী' ঘরানা কি অন্য কোন ঘরানার ভোক্তা দের রুচির পার্থক্য অবশ্যই থাকবে এবং থাকাটাই তো কাম্য! আমার বক্তব্য সেটা নয়।
আমার প্রশ্ন হলো - তাদের গান কে প্রহসন মনে হতে পারে, নাচ কে অশ্লীল লাগতে পারে, তাদের পুরো পরিবেশণাটাকে হাস্যকর কি অহেতুক এমনকি অবমাননাকর লাগতে পারে কিন্তু তাই বলে শেষবধি আলোচনা কি মনোযোগটা গিয়ে পড়বে তাদের 'শারীরিক বিভঙ্গের" ওপর??!!
বুঝলাম নারী/পুরুষের প্রাবৃত্তিক ব্যাপার স্যাপার ভোক্তা হিসেবে আমাদের প্রভাবিত করে, নিশ্চয়ই করে। কিন্তু সেটাই যদি এত প্রবল হবে তো তাহলে তো প্রবৃত্তির ওপর ইংরেজীপ্রীতি/হিন্দীপ্রীতি টাও ছেড়ে দিলেই হয়? তাহলে আর এত মনন, সংস্কৃতি, মিডিয়ার কারসাজি, সস্তা বানিজ্যের আগ্রাসন, কি হেনা তেনা নানান খানা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার কি? সেই যদি পুরুষ হিসেবে শিফন শাড়ির প্রগলভতা, কি নারী গাইয়ের কম্পমানা শরীর চেতনা আর বুদ্ধিবৃত্তিকে আচ্ছন্ন করেই ফেলে তবে আমি বলি কি প্রকৃতি আর প্রবৃত্তিই বরং রাজত্ব করুক, যে কারণেই হোক মান্না দে'র বদলে নাহয় মিলাই হোক, খামোখা প্রতিরোধ করে আর আয়ুক্ষয় করার দরকার কি? যদি বাংলার চেয়ে হিন্দী অথবা সুললিত, সুকথার গানের চাইতে 'গানের অবিরাম ধর্ষণ' লোকে 'খায়' বেশী - তো তাই চলুক না?
আরেকটা কথা - আমি মানুষটা কাপুরুষ এবং ভীতু প্রতিমন্তব্যের ঝাপটায় খুব বেশী ভয় পেয়ে গেলে একেবারে ডুব দিয়ে দিতে পারি কিন্তু ! তবে আশা আছে আপনি অন্তত সমালোচনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না ভেবে লেখার প্রতিক্রিয়া ভাববেন - তাই এই সামান্য বাণী.........
আপনার মন্তব্য তো লেখার দূকুল ছাপিয়ে দিলো।
ঠিক এমনিভাবে যুগের চাহিদা বাংলা গানের দূকুল ছাপিয়ে বিশ্বায়নের মহাসাগরে ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে।
যদিও আপনার কথার পুরো মানে এবং সুরটা ঠিক বুঝতে পারি নি, কিন্তু মনে হচ্ছে শ্লেষাত্মক, তাই কি ?
অতিথি লেখক রাতুলের ব্যক্তিগত চিঠি (চিঠি'র জন্য ধন্যবাদ!) পড়ে বুঝতে পারলাম আমার মন্তব্যে আমি আমার বক্তব্য ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। আমার কথা ছিল যুগের দাবীতে, বা বিশ্বায়নের কারণে, কি হিন্দী/ইংরেজী'র প্রভাবে আমাদের রুচি বা সংস্কৃতির যে বদল ঘটছে সেটা ভাল না খারাপ তা নিয়ে কথা বলতে গেলে যদি 'নারী শরীর' এর যৌন আবেদনের প্রসঙ্গ অনির্বায্য হয়ে পড়ে তাহলে তা - অন্তত আমার কাছে - ঐ একইরকম গড্ডালিকা প্রবাহে গা ছেড়ে দেয়ার মতই মনে হয়। এখনকার গান আগের চাইতে ভাল না খারাপ সেটা একেবারেই আপেক্ষিক। আগেও যেমন কিছু ভাল কিছু খারাপ ছিল এখনো তাই। আর মিলা ফিলা'র পাশাপাশি সামিনা চৌধূরি, কনকচাঁপা, বিউটি, মাহাদী এধরনের নানা রকম শিল্পী যারা 'আধুনিক' বাংলা গানেরই নানা রকম ফের গান, তারাও তো জনপ্রিয় কম হচ্ছেন না। তাহলে?
স্নিগ্ধা যদি সবাই শরীরসর্বস্ব হয়ে যায় তাহলেও তেমন ক্ষতি নেই আদতে- গানের বিষয়ের চেয়ে গায়কীর চেয়ে যদি গায়িকার দেহবল্লরী অধিক আকর্ষণীয় হয় তাহলেও ক্ষতি নেই-
কেনো এই প্রতিক্রিয়া লেখা- আদতে এটাতে কোনো লাভক্ষতির বিবেচনা নেই- লিখলেই যে দামি কিছু লিখতে হবে কিংবা লেখামাত্রই দামি কিছু এই মতবাদেও আমি বিশ্বাসী না-
আমার প্রতিক্রিয়া যদি শরীরবাদিতার বাইরে না যায় সেটা আমার দেখবার দোষ- তবে ভোক্তা হিসেবে আমার সিদ্ধান্ত এই যাদের নাম আমি লিখেছি তাদের গান শোনবার বাসনা আমার নেই- এদের বাইরেও অনেকেই আছে- অনেকেই গান গাইছে- যাদের গান আমার ভালো লাগবে তাদের প্রশংসা করবো আর যাদের গান দেখে মনে হবে এরা শুধুমাত্র দেহের ভাঁজখুলে শ্রোতাদের আনন্দ দিচ্ছে তাদের জন্য প্রতিক্রিয়া লিখবো সেখানে যৌনতার চলতিবাজার দরের প্রশংসা থাকবে- খানিকটা আক্ষেপ করবার মতো বৃদ্ধ এখনও হই নি- এখনও সচল সবদিক থেকেই-
-------------------------------------------------------
বাংলায় হাগি, মুতি, বাঁচি
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
ফোকাসটা মনে হয় শারীরিক বিভঙ্গের ওপর করেননি লেখক । জনপ্রিয় হতে কিসের আশ্রয় নেয়া হচ্ছে সেটাই বিবেচ্য ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
দুর্দান্ত ভাল লাগলো লেখা।
আপনার লেখার উপসংহারে আশাবাদী হবো না হতাশ হয়ে যাব ঠাহর করতে পারছি না।
আকাশ সংস্কৃতির এ ধারার বিস্তার সর্বগ্রাসী।
বাংলা গানের এ পরিবর্তনে অনেক হতাশার দিক থাকলেও
"অন্যের দখলের চাইতে নিজের বিকৃ্তিকে মেনে নিতে আমি নিতান্তই রাজি"
বিকৃ্ত হলেও তার মূল আমার। আমার বাংলা।অন্য ভাষা নয়!!
আসোলে আমােদর গানের মূল ধারার যে অবস্থা তাতে শ্রোতা হিসেবে আমরাও যাচ্ছে তাই হয়ে গেছি। আমাদের কান নষ্ট হয়ে গেছে।এরজন্য শিল্পী না শ্রোতা দায়ী তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। তবে সস্তা, বাজারী গানের তোড়ে আমরা দিশেহারা হয়ে বিচার করতে বসি - আচ্ছা তিশমা না কানিজ সুবর্ণা ভাল গাইছে নাকি মিলা এরচেয়ে আরেকটু ভাল গাইছে।? ভালর কোন সর্বসম্মত মানদন্ড আমাদের হাতে নেই। তাই গলা দিয়ে সুর বেরুলো কিনা সেটা বোঝার আগেই শিল্পীর তালিকায় নাম লেখানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। এক শ্রেণীর গীতিকার সুরকার ও এদের সাথে তাল মেলাচ্ছে। সবই যেন এক সুরে বাধাঁ।
আসলেই কি নেই ? আপনার মতো ধারনা আমারও ছিলো একসময় । কিন্তু ক্লোজ আপ ওয়ান দেখে আমার সে ধারনা ভেঙেছে । বাংলাদেশে যারা গণলেভেলে গান চর্চা করেন তারা কিন্তু ঠিকঠাক মতো তাদের গুরু খুঁজে নিচ্ছেন । খুঁজে নিয়ে সেটার চর্চাও করছেন ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সব কিছু ই মার্কেটিং,মার্কেটিং ভালো হলে হিন্দি গানের শ্রোতারা ও বাংলা শুনবে।
পশ্চিম বঙের শিল্পী আর সঙ্গীত পরিচালক দিয়ে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি চলে, অথচ বাংলা গানের প্রসার তাদের দেশেই নেই।এই সব শিল্পী বা পরিচালকের বাংলা গান কেউ শুনছে না।শুধু ভাষা পর্থক্যের কারনে কোন গান ভাল বা খারাপ হতে পারে না,তার মানে তাদের বাংলায় করা কাজ ও দুর্দান্ত কিন্তু বাংলা গানের মার্কেটিং ভাল না ।ভেবে দেখেছ কি তারা রা ও কত আলোক বর্ষ দূরে, এই গান বাংলা গান থাকা কালীন কেউ বাংলার বাইরে শুনে নি, অথচ এটা হিন্দিতে হিট গান, এই হিট এর পর মানুষ বাংলাটা শুনেছে।
এমন কি হিন্দি অনেক ভাল ভাল গান ের জনপ্রিয়তা নেই , শুধু মার্কেটিং দুর্বলতার জন্য।বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলো এখন আমাদের শুনার কান তৈরী করার দায়িত্ব নিয়েছে।
ভাল গান কিছুটা বেকআপ পেলে ই আধিপত্য বিস্তার করে। আরও কিছুদিন অপেক্ষা করুন, আবার ভাল গানের মার্কেটিং হবে, তখন মানুস ওই গুলো বেশী শুনবে।
- মিলা'র পোঁদ বরাবর লাত্থি মারার আগে আমারে খবর দিয়েন কইলাম।
এই বেটি না আপনের বউমা লাগে?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সবই মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রভাব। টিকে থাকার জোয়ারে ওয়ানটাইম পিচ হিসেবে আসছে সস্তা গান। লোকে একবার শুনবে, দেখবে আনন্দ করবে..ব্যস! গানের মান নিয়ে কে আর ভাবে!?
..যাই হোক। সত্যিকারের সমালোচনা পড়ে ভাল্লাগলো।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
ধু.গো, মানুষ হইলো না।
ফেরেশতা।
এ বিষয়ে আমার প্রশ্নটা একেবারেই আনাড়ি পর্যায়ের
আমি প্রায়ই ভাবি গান জিনিসটা শোনার বস্তু না দেখার বস্তু?
অনেক গানই শুনে আপশাশের লোককে জিজ্ঞেস করতে হয়- এটা কোন ভাষায় গাইছে? হিন্দি না ইংলিশ
তখন উত্তর পাই- বাংলা গান। মডার্ন ফোক
ও আচ্ছা
তার কী বলছে?
- দুর মিয়া এটা কি মান্না দের গান যে কথা বুঝতে হবে? এটা হলো মিউজিক্যাল। শুনে যাও এন্ড এনজয় ইট
০৩
আমি বোধহয় একেবারেই সেকেলে
গান দেখার পরে গানের ভাষা জিজ্ঞেস করি
ভাষা জানার পরে কথার মানে খুঁজি
স্নিগ্ধা
"আমার প্রশ্ন হলো - তাদের গান কে প্রহসন মনে হতে পারে, নাচ কে অশ্লীল লাগতে পারে, তাদের পুরো পরিবেশণাটাকে হাস্যকর কি অহেতুক এমনকি অবমাননাকর লাগতে পারে কিন্তু তাই বলে শেষবধি আলোচনা কি মনোযোগটা গিয়ে পড়বে তাদের 'শারীরিক বিভঙ্গের" ওপর??!! "
--------------------------------------------------
কোনো বিষয়কে শালীন বা অশালীন কেনো বলি? উপস্থাপনের জন্যই- এমনিতে শুঁচিবাই আমার নেই- বাংলা গানের বিশুদ্ধতা কিংবা শুদ্ধস্বরের জন্য রক্তারক্তি করবার বাসনা আমার নেই- শাররীক বিভঙ্গের বাইরে অন্য কিছু কি গাইয়ে হিসেবে তাদের কাছে আমি আশা করতে পারি? শিরিনের গানের গলা ভালো!!!!- যদি এটা আলোচনার খাতিরে মেনেও নেই- তার না সিলটি- বা বাঙালী না ব্রিটিশ ঘারানার বাংলাকে আমি যদি সঠিক ভাবে স্বাগত করতে না পারি এটা আমার নিজস্ব ব্যর্থতা- তার শরীরের কাঁপন- যাকে কেউ কেউ নাচ বলে মহিমান্বিত করতে চায় সেটা দেখে আমার যদি মনে হয় একটা অমেরুদন্ডী প্রাণী কোনো অবলম্বন ছাড়াই শুন্যে ভাসমান- কিংবা সেই গায়িকার খুবই চরমরকম নেশাসক্ততা রয়েছে- এ জায়গাটাতে আমি নাচার- তবে আকাশ সংস্কৃতির যুগে ইউটিউবে সবই পাওয়া যায় ফ্রি- চ্যানেল ওয়ানে ভালোবাসা দিবসের কনসার্ট পাইলে সেটা দেখে আবার এই লেখা পড়ে মন্তব্য করলে বাধিত হবো-
---------
সেই যদি পুরুষ হিসেবে শিফন শাড়ির প্রগলভতা, কি নারী গাইয়ের কম্পমানা শরীর চেতনা আর বুদ্ধিবৃত্তিকে আচ্ছন্ন করেই ফেলে তবে আমি বলি কি প্রকৃতি আর প্রবৃত্তিই বরং রাজত্ব করুক, যে কারণেই হোক মান্না দে'র বদলে নাহয় মিলাই হোক, খামোখা প্রতিরোধ করে আর আয়ুক্ষয় করার দরকার কি?
-------
আমার কথা শুনে কি কখনও মনে হয়েছে আমি লড়াই করতে নেমেছি এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে- নতুন দিনের বাংলা গান আমাকে আতংকিত করে সত্য তবে এমন অসহায় করে না যে আমি আমি হঠাৎ কিছু একটা করে ফেলবো, কিংবা ছুড়ি কাঁচি হাতে ধাওয়া করবো- আমার বিরক্তি এবং আমার আনন্দ প্রকাশের জন্যই এই লেখা- এটা কেউ অপছন্দ করবে- কেউ হাবিবের ফ্যান হবে- কেউ মিলার ফ্যান হবে- কেউ কনার ফ্যান হবে- কেউ অর্নবের ফ্যান হবে- এই হয়ে উঠাকেও আমি রদ করতে পারবো না কিংবা সেটা করাটাও কোনো উচিত কাজ হবে না-
অবশ্য গান এখন শোনার চেয়ে দেখবার বিষয় হয়েছে বেশী- সেই দেখানোর কাজটাতে যদি গায়িকা নিজের শরীরকেই বেশি প্রাধান্য দেয় কিংবা আমার যদি মনে হয় পোশাকটা ঠিক শোভনতার মাত্রা ছাড়িয়ে কিঞ্চিৎ যৌনতাকেন্দ্রিক সুরসুরি দেওয়ার কারণেই এমন তবে তাদের আকর্ষণ করবার পন্থার যৌনকেন্দ্রিকতা বিষয়ে একটা উপসংহার আমার থাকবে-
বর্তমানের গানের চিত্রায়নে এখন পর্যন্ত আমার দেখা সেরা কাজটা শিরোনামহীনের পাখি- এই গানটার চিত্রায়ন এবং উপস্থাপনের সাথে মিলা- কনা- তিশমার গানের চিত্রায়নের পার্থক্য দেখলে হয়তো সামান্য বোধগম্য হতে পারে বিষয়টা- তবে
তবে অবশ্যই এই লেখাটা পুনরায় পড়বার আমন্ত্রন থাকলো-
তার আগে ইউটিউবে এই কথিত গায়িকাদের গান দেখে -শরীর কিংবা গলা কোনটা এদের সিডি উইথ ভিসিডির কাটতি বাড়ায় এটা বুঝে পুনরায় মন্তব্যের আমন্ত্রন
বাংলায় হাগি, মুতি, বাঁচি
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
রাসেল, প্রথমতঃ যেমন আপনার ভাল লাগা বা না লাগা - গান বা নাচ বা গলা বা যা কিছুই হোক - নিয়ে আপনি আপনার কথাগুলো বলেছে, ঠিক তেমনি আমি আপনার লেখা পড়ে 'আমার' নিজস্ব ভালো লাগা বা না লাগা অথবা বলা যায় মতের ভিন্নতা প্রকাশ করেছি। এবং সেটা করার উৎসাহ বলুন বা তাগিদ বলুন পেয়েছি আপনারই সমালোচনার ওপর পোস্টটা পড়ে
'প্রবৃত্তি' বা 'প্রকৃতি' বলতে আমি আপনার বা কারুরই ছুড়ি, কাঁচি কি ক্ষুন্তি নিয়ে কারো ওপর ঝাপিয়ে পড়ার কথা বোঝাতে চাই নি। আমার বক্তব্য ছিলো - যদি আমরা বিরক্তি'র ধাক্কায় (যথেস্ট) তীব্রভাবে গাইয়েদের এমন সমালোচনা করি যা তাদের শিল্পীসুলভ অক্ষমতার গন্ডি অতিক্রম করে ব্যক্তিগত বিশেষত শারীরিক বৈশিষ্ট্য'র প্রতি মনোযোগ আরোপিত করে - তাহলে আমরাও সেই একইভাবে 'প্রবৃত্তি'র পেছন পেছন গূটি গুটি পায়ে আসলে সেই দিকেই চলেছি যেদিক থেকে এই মিলা, কি কণা কি অন্যদের আগমন!
যেহেতু রুচি জিনিষটাই (তৈ্রী করা হলেও) আপেক্ষিক তাই শিরীন'এর গলা আসলে ভালো কি না অথবা মিলা'র নাচ আসলে মানদন্ডের দিক থেকে 'ভরতনাট্যম'এর সাথে তুলনীয় কিনা এই তর্কের মীমাংসা কোনদিন হবে না - অতএব ইউটিঊবে দেখে নিলেও এ নিয়ে আমার আর কিছু বলার থাকবে না
তাও ঠিক- এইটাই আসলে মজা- কেউ ঠিক বলতে পারে না এইটাই সঠিক আর এইটাই ভুল- আল্লা মিয়া পর্যন্ত পারলো না- মানুষ তো মানুষ-
-------------------------------------------------------
বাংলায় হাগি, মুতি, বাঁচি
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
মিলার ভিডিও সেদিন দেখলাম। উনি যা করেন সেটা গান-নাচ-উদ্বাহু নৃত্য কোনটিতেই পড়ে না। নতুন শব্দেরর প্রয়োজন শিল্পকলার এই ধারাটিকে কয়েনেজ করার জন্য। হাবিবের গান প্রথম শুনে মনে হলো আমাদের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে সিনথেসাইজারের ব্যবহার শুরু হলো। আরো কিছু শুনে দেখলাম ''অশ্লীল'' উচ্চারণভঙ্গী। এই উচ্চারণের পেছনে, আমার ধারণা বড় মাপের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নিহিত আছে। অভিজ্ঞতা আরো জঘণ্য হলো যখন লস এঞ্জেলসে ওর কনসার্ট দেখলাম। আমার জীবনে এত বাজে বিনিয়োগ আর কোন কিছুতেই হয়নি। পুরো কনসার্ট সে তার ম্যাক বুকে ক্যারাওকে দিয়ে করলো।
আমি শুধু একটা কথাই বলতে পারিনি সেটা হলো, ''...... ''।
বস... বাংলা গানে সিন্থের জোয়াল বহুবছর আগেই চাপছে। হাবিব তো সেদিনের পোলা। সিন্থও এখন পুরান মাল... বছরখানেক আগে গোটা দশেক গান শোনাইলো একজন (এখনও বাজারে আসে নাই এ্যালবাম) একেবারে ঘরে বইসা পুরা এ্যালবাম রেডি করছে... এবং পুরা মিউজিক কম্পোজিশন করছে স্রেফ কয়েকটা মিউজিক সফটওয়্যার দিয়া। হ... ঘটনা সত্য।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তিশমার গান প্রথম দেখে(এবং শুনে) আমি অনেকক্ষন পর্যন্ত বুঝতে পারিনি এটা বাংলা না ইংরেজী। মিলার বাবুরাম সাপুড়ে আর সুন্দরী কমলা দেখে মহা বিরক্ত। এরকম অনুভূতি আরো অনেক গায়ক গায়িকার গান নিয়েই। মাঝে মাঝে আমিও খুব শঙ্কিত হয়ে পরি। কি হইতেছে এইসব?
কিন্তু এই সমালোচনাটা আমার ভালো লাগলো না।
তিশমা বা মিলা গান নাহয় নাই গাইতে পারলো কিন্তু তারা আজকে মহা তারকা। এক মিলার নামে কনসার্টের টিকিট বিক্রি হয়। তার ব্যাগে আসে লাখ টাকা। তার এখন শিডিউল নাই। একই সাথে তারকাখ্যাতি আর অর্থোপার্জন দুটোই হচ্ছে বেশ। গান না গাইতে পারলে যদি এত সাফল্য তাইলে গাইতে পারার দরকার কি?
মিলা বা তিশমা যদি বলে আমি তো বাংলা গানের কাণ্ডারী হইতে আসি নাই, আইছি ব্যবসা করতে, খ্যাতি পাইতে? তাইলে?
সে যদি বলে আমি এইরমই গামু, আপনেগো পছন্দ না হইলে শুইনেন না তাইলে? কিচ্ছু করার নাই। সে আদৌ গায়িকা হইতে আসে নাই। সে যা পাইতে চাইছে তা হইছে।
তারা গাইলো আমরা না শুনলেই হয়, কিন্তু আমরা তো শুনতেছি! কেন?
বাজারে যা এ্যালবাম বাইর হয় তার সবই খারাপ না, সন্ধানী শ্রোতা ঠিকই খুঁজে নেয় এবং সেটা প্রচারও করে। আমার মনে হয় মিলা তিশমাদের নিয়ে এজাতিয় আলোচনা তাদের প্রতি আগ্রহই বাড়াবে কেবল। তারচেয়ে ব্লগে লেখা যায় এসময়ে সত্যিই কারা খুব ভালো গাইছে। তাহলে নিরবে বেড়ে ওঠা কিছু ভালো শিল্পীর একটু প্রচার হবে। যেমন আমি গত অনেকগুলো বছর ধরে হাতের সামনে যাকে পাই তাকেই সানী জুবায়েরের গান শুনতে বলি। ব্লগেও বললাম।
যে পাতাগুলো হলুদ হয়ে গেছে সেগুলো ঝরেই যাবে। সেগুলোকে পাছায় লাত্থি দিয়েও শোধরানো যাবে না। কিন্তু যারা সত্যি ভালো গাইছে তাদের কথাই না হয় বলি, তারা অন্তত উৎসাহ পাক, তারা যেন হতাশ না হয়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেকাংশেই সহমত। অনেক কিছু আসছে এর মধ্যে।
- বাজার সংস্কৃতি, বিশ্বায়ন, আকাশ সংস্কৃতির যুগে এই সব থাকবেই। ভালো আর খারাপ বেছে নেবার গুণ যাতে থাকে, সেটাই আশা ক রতে হবে।
- কমার্শিয়াল মিউজিক আর নন কমার্শিয়াল মিউজিককে এক পাল্লায় কেন মাপা হবে? এই তুলনাটাই কি অনুচিৎ না? মানবেন্দ্র আর মিলা কখনো একই বাক্য কেন, এক প্যারাগ্রাফেই আসতে পারে না।
- এইখানে শ্রেণী সংস্কৃতিরও ব্যাপার আছে। বাঙ্গালি মধ্যবিত্ত চায় তার সংস্কৃতি একেবারে খাঁটি বিশুদ্ধ থাকুক। কিন্তু সেই আবার রিকশাওয়ালার মিউজিকের প্রতি নাক শিটকায়, মমতাজ দেখলে হাসে, সিনেমা হলকে জানে রিকশাওয়ালাদের জায়গা হিসাবে। ঐদিকে নিজের ঘরে সিডি-ডিভিডিতে চলতেছে ইংরেজী-হিন্দি-বাংলা সব।
- যুগের সাথে স্বাদ বদলায়। হাবিব ফুয়াদের কথা আসছে। শরীরের কথা আসছে। আমি নিশ্চিত এককালে আজম খান বা ফিরোজ সাঁই-ও অপসংস্কৃতির গালি খাইছে। রুনা লায়লা আর পিলু মমতাজ শরীর প্যাঁচায় নাচতো। মাকসুদ রবীন্দ্র সংগীত নিজের স্টাইলে করতে গিয়ে বিস্তর গালি খাইছিলো - কিন্তু আজকে শাহানা-অর্ণব সহ রবীন্দ্র রিমিক্সিং আরো কমন হয়ে গেছে।
- বাংলা ব্যান্ড, বাংলা পপ বা রক কিছুই উঠতো না যদি আজীবন সনাতনীদের কথা শুনতে হতো। ফিডব্যাক বা রেনেসা, অর্থহীন বা অর্ণব, কিছুই পাইতাম না আমরা। কিছু লোক সবসময়ই মধ্যবিত্ত সংস্কৃতির গেটকিপার বা স্বঘোষিত দারোয়ান সাজতে চাবে। মানুষ কি দেখবে শুনবে, কোনটা ভালো মন্দ তারাই বলতে চাবে। কিন্তু সেই মনোপলির দিন তো আর নাই। গত ৪০ বছরে মান্না দে আর মানবেন্দ্র চলছে বলে সামনের ৪০ বছরও সেটা চলবে, তেমনটা আশা করা যায় না। যুগের হাওয়া। তবে ৯০% ট্র্যাশ ঘেঁটে নতুনের মধ্যে যে ১০% সুন্দর বা ভালো কাজ হইতেছে ওদেরকেই আরো তুলে ধরা দরকার।
P.S. মিউজিকে যেটা মিলা শিরিন, আমার কাছে ক্রিকেটে সেটা 20-20 বা ওয়ান ডে ম্যাচ। বাজারের দাবীর শেষ অবস্থা। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর খেলাটারে বেশ্যা বানানো হইছে ভারতীয় টিভি চ্যানেল আর "ক্রিকেট ফ্যান"-দের যৌন-দেশপ্রেমী নেশার কাছে। যুগের হাওয়াটা বড়ই উগ্র।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
বাজার সংস্কৃতিরে অস্বীকার কইরা লাভ নাই। বাজার একেবারেই বিক্রির জায়গা, এইখানে অনেক কিছুই বিক্রিত এবং বিকৃত হবে। কেউ ঠেকাইতে পারবো না।
আবার চাহিদাটাও খেয়ালে রাখতে হইবো। মানবেন্দ্র যদি পাবলিক শুনতে না চায় তাইলে তারে জোর কইরা মানবেন্দ্র তো গিলানো যাইবো না... উল্টা পাবলিকে গালি দিবো। জোর কইরা মানবেন্দ্ররে গালি খাওয়ানোর দরকারটা কি? যার যার পছন্দ তার তার কাছে।
লাখ লাখ লোক যে মিলা শিরিন গিলতেছে তাগোরে আমি গালি দিতে নারাজ। তাগোর রুচির মাপকাঠি নির্ণয়ের আমি কে? এবং এই একই সুবাদে মিলা শিরিনরেও গালি দিতে নারাজ আমি।
আমি গালি দেওনের চাইতে তাই বাজারে যাতে মিলা শিরিনের পাশে শুদ্ধ গান কিছু থাকে সেইটার জন্য চেষ্টা চালাই। সেই চেষ্টা অনেকটা আমার স্বার্থেই। আমার গান শোনার ভাণ্ডারে যাতে নতুন কিছু যোগ হয়। আর কিছু না।
নজরুল ইসলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
@ হাসিব,ক্লোজ আপ ওয়ানের বিষয়ে আমি একমত। এ প্রতিযোগিতা যাদেরকে পাবলিকের সামনে হাজির করেছে তারা নিঃসন্দেহে ভাল। দেশের আনাচে কানাচে আরও অনেক প্রতিভাবানরা ছড়িযে আছে।তাদের সামনে আসার সুযোগ কই?আর ক্লোজ আপ ওয়ান ও যাদের আনছে তাদের শিল্পী হিসেবে শক্ত ভিত্তির উপর না দাঁড়াতেই বানিজ্যিক ভাবে উপস্থাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। ফলে আরও ভাল ভাবে শেখার আগেই সবাই স্টেজ মাতাতে ব্যস্ত। আমজনতা ও কি শুনছে সেটার চাইতে কে মঞ্চে নাচন কুর্দন করে গাওয়ার চেষ্টা করছে তাকে বাহবা দিচ্ছে -আমি সেই সামগ্রিক ট্র্র্যান্ডের কথা বলছি।
আমাদের উপযুক্ত শিল্পীকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি নিজেদের রুচিও গড়ে তুলতে হবে। না হলে ভাল সঙ্গীত সব সময মার খাবে।
নতুন মন্তব্য করুন