তাদের দীর্ঘ জীবন কামনা করি- আমিন

রাসেল এর ছবি
লিখেছেন রাসেল (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৩/২০০৮ - ১১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মনে পড়লো আবারও ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে- আমাদের বাংলা ভাষার গদ্য যার হাতে নিয়মতান্ত্রিকতা পেয়েছে- আমাদের গদ্য আন্দোলনে তার ভুমিকা অস্বীকার করা যায় না। তারাই ভাষার নানাবিধ ব্যবহার শিখালেন আর আমাদের শিখালেন একটা প্রমিত ভাষার প্রয়োজনীয়তার কথা। তাই তাদের গাজোয়ারীতে আমরা পেলাম প্রতিটা শব্দের একটা নির্দিষ্ট বানান- আমাদের বাংলা একাডেমীর মহাত্বনেরা এই বানান রীতি সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে চাইলেও তাদের নিজেদের প্রকাশিত গ্রন্থগুলোতে এ নীতির বাস্তবায়ন নেই- আর আমাদের অগ্রজ লোক কবিরা- যাদের এই বানান বিষয়ক শুচিবাই ছিলো না তাদের অনেক ভুল বানানকে সঠিক মেনে নিতে আপত্তি উঠছে এখন।

বাংলা বানানের এই রীতি নিয়ে যা কিছু বলা হবে তার সবটুকুই আসলে আমাদের নিজস্ব প্রয়োজনীয়তার তাগিদে করে নেওয়া- একটা লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ডের প্রয়োজনে- দেয়ালের ভুল বানান দেখলে এখন গা শিউড়ে উঠে তার কারণও হয়তো আমাদের অভ্যস্ততা- তাই এ লেখা রুমির জন্ন দেখলে আনপড় গোয়ার মনে হয়- তবে এটা দোষনীয় কিছু না- উচ্চারণ রীতি মেনে লিখলে এই জন্ন আর জন্যের ভেতরে প্রভেদ নেই তেমন-
রিকশার পেছনে অনেক সময় অনেক নীতিকথা লেখা থাকে- সেই সব নীতিকথার সারমর্ম বের করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়- সিএনজির পেছনে লেখা দেখলাম-
আপনার সন্তানকে স্কুলে পাঠান- তবে লেখার ধাঁচ একটু ভিন্ন- আপনার সন্তান কে স্কুলে পাঠান- অনুহ্য প্রশ্নবোধকটা সামনে আসতেই একটু হাসলাম- আসলেই এই জামানায় কে রাখে কার খোঁজ-

জিনিষপত্রের দাম বাড়তি- ভারত বলছে দাম এখনও নির্ধারিত হয় নি- তবে প্রথম আলো এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো বেশ অনেক দিন আগে- সে সময় মনে হয়েছিলো সবই চুড়ান্ত- তবে দেখা গেলো ভারত এই সময়ের ভেতরে চালের দাম প্রতি হাজার কেজিতে ৪০০ ডলার থেকে ৬৫০ ডলার করেছে- মাঝে ছিলো ৫১৫ ডলার- আসলে চালের দাম বিষয়ে আলোচনা নয়- এই চালের দাম বৃদ্ধির আলোচনাই আভ্যন্তরীণ দাম বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট-

বৈশ্যরা সব বেশ্যার জাত- কিংবা ব্যবসায়ীরা বেশ্যার জাত- এ কথা বলতে আর দ্বিধা নেই এখন- বরং লজ্জাজনক হলো এই মানুষদের মুনাফার লোভ সীমাহীন- সেটা যেকোনো দুরাবস্থায় হোক না কেনো-

আমরা আরও একটা দুর্বিক্ষের মুখোমুখি কি না এই বিষয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় অর্থনীতির প্রফেসব বায়েসের মন্তব্য ঋণাত্বক- তিনি তথাকথিত হতদরিদ্র রিকশাওয়ালার কথা বলেছেন- বলেছেন এক রিকশা চালক মামুর কথা যে দিনে ৯ ঘন্টা রিকশা টেনে আয় করে ১১০ টাকা- জাহাঙ্গীরনগরের আল বেরুনি হল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে আসতে ভাড়া লাগে ৫ টাকা- এটা অনেক আগের হিসাব- সময় লাগে ৭ মিনিট- এখন কত লাগে জানি না- তবে এই হিসেবে সে প্রতি ঘন্টায় যদি ৫টা খ্যাপ মারে তাহলেও ঘন্টা প্রতি আর আয় ২৫ টাকা- ৯ ঘন্টায় সেটা দাড়ায় তার প্রস্তাবিত আয়ের দ্বিগুন- মাসিক হিসেবে সেটা ৭ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে যায়-
তবে এর সাথে তার মানসিক অবস্থানটা স্পষ্ট হয়- তিনি ধরেই নিয়েছেন রিকশাওয়ালা মানেই তার সম্পদের পরিমাণ নিয়মিত চাকুরি করা মানুষদের কম-
নিয়মিত কর্মচারীদের বেতন কত? মাসে ৫০০০ টাকা- অবশ্য চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারিদের বেতন নিয়ে কথা বলছি- প্রফেসরের বেতনের অংক হয়তো কয়েক অযুতে মাপতে হবে-

আসলে আমাদের দুর্ভিক্ষের বারতা শোনানোর প্রয়োজন নেই- খাদ্যদ্রব্যের দাম গত কয়েক মাসে ৭০ শতাংশ বেড়েছে- মাসের বাজার খরচ বেড়েছে ৫০ শতাংশ কারণ ট্যাঁকের হিসেব করেই সবাই নিজেদের ভোগের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে- ভোগের পরিমাণ কমেছে- বাজারে সরবরাহ অপ্রতুল নয় বরং দাম এমন এক জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে ভোগের পরিমাণ কমে গেলেও সেখানে কোনো প্রভাব পড়ছে না-

চাহিদা কমিয়ে দিয়েও দাম কমানো যাচ্ছে না কারণ এই মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়ার ভোক্তার কোনো অংশগ্রহন নেই- আমাদের বলদ অর্থমন্ত্রী সাইফুর যখন বেগুনী না খেয়ে পেপেনী খেতে বলেছিলেন তখনও কিন্তু ভোক্তার ক্ষমতার কথা বিবেচনা করেই বলেছিলেন- তবে আদতে বেগুনের দাম কমাতে পারে নি এই ঘোষণা।

তেলের ভোগ কমিয়ে দিয়েছে- সিদ্ধ এবং সাস্থ্যকর খাবারে মনোযোগী হয়েও তেলের দাম কমে নি- বরং রমনা পার্কের স্বাস্থ্যার্থীদের সুবিধা হয়েছে অনেক- তারা এখন হৃদবান্ধব খাওয়ার খেতে পারছে তেলের উচ্চমূল্যের কারণে কোলেস্টরেল গ্রহনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে- আরও বাড়ুক জ্বালানী তেলের দাম বিশ্ব বাজারে- গ্যাসের দাম বেড়ে যাক- মানুষ সাইকেল ব্যবহার করতে উদ্যোগী হবে- মানুষ হাঁটতে শুরু করবে- এবং চাহিদা যোগানের হিসাবে একটা সময় আসলে সাইকেলের দাম বেড়ে যাবে- বেড়ে যাবে সাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশের দাম- সাইকেলের ফ্যাশন নিয়ে আমাদের বুটিক কোম্পানিরা নতুন লাইন ওফ ড্রেস আনবে- সাইকেলে বসা মডেলেরা এসব পড়ে ছবি তুলবে- যেকোনো সময়েই আসলে ব্যবসা করা যায়- এখন যা করতে পারছে তেলকল মালিকেরা- তারা বাজারের বর্তমান দামের ৪০ শতাংশ কমে তেল রপ্তানী করছে- মিল গেটে তেল বিক্রীর পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে-

এই সুযোগে আরও বাড়তি সুবিধা চাইছে ব্যবসায়ীরা- শুল্কমুক্ত আমদানি করতে চাইছে তারা- সরকার বাধ্য হয়েই সেটা করতে যাচ্ছে- আমার নিজস্ব ধারণা এ ভাবে বাজারে দ্রব্যের দাম কমবে না- শুল্কের পরিমাণ কমানো বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দামের উপরে কোনো প্রভাব ফেলবে না-
চালের দাম বাড়বেই বাড়বে- আর মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সাথে সংযুক্ত দুর্ভিক্ষের ধারণাটাকে যোগানের হিসাবে মাপলে চলবে না-

সবার বক্তব্য এখন বোরো উৎপাদিত হলে বাজারে চালের দাম কমবে- একটা বিশাল অলৌকিকত্বের প্রত্যাশায় আমি আনন্দিত হতে পারছি না- বোরোর উৎপাদন খরচ বাড়ছে- তেলের দাম বাড়ছে- সারের দাম বাড়ছে- সারের যোগান নেই- যদিও সরকার অনেক বড় বড় বুলি কপচেছিলো এরপরেও সেই কথায় আর কাজে সঙ্গতি পাওয়া যায় নি- সারের চাহিদা বাড়ছে- দাম বাড়ছে- আর সারের সরবরাহের পরিমাণ অনির্দিষ্ট রেখে পরোক্ষভাবে দাম বাড়াচ্ছে সরকার নিজেই- সরকার নিজেই বোরোর উৎপাদন খরচ বাড়াচ্ছে-
তবে আশা করা যাক আসলেই এমন ঘটনা ঘটবে , আমাদের বোরোর বাম্পার ফলন হবে- সরকার নানারকম বাজার ব্যবস্থা তৈরি করছে সেটার সাফল্য আসুক এই কামনাই করতে পারি।

তবে বোরোর বাম্পার ফলনই কি দাম কমার নিশ্চয়তা দেয়? কিংবা বোরোর বাম্পার ফলন কি আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে পাড়বে?

আমাদের ক্রয়ক্ষমতা না বাড়লে সরবরাহ যতই থাকুক না কেনো দুর্ভিক্ষ আসবেই- চালের সরকারি মজুত থাকলেও সেটা আসবে- সামগ্রীক জিডিপির হার কখনই মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে নির্দেশ করে না- মানুষের সামগ্রীক দারিদ্র বাড়ছেই- সেটা জিডিপির কল্পিত হিসেবেকে অগ্রাহ্য করেই বাড়ছে-

আমাদের মূল্যস্ফ্রীতির হার জিডিপির দ্বিগুন- আর এই মূল্যবৃদ্ধির হারকে মাথায় রেখেই বলতে হচ্ছে আমাদের মানুষের সঞ্চয় কমে গেছে- আমাদের মানুষেরা আসলে এখন আপদকালীন সঞ্চয়ের টানাটানিতে পড়েছে- তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের চাহিদাপুরণে সঞ্চিতির অবনতিতে ভবিষ্যতের অভাবের শিকার মানুষের সংখ্যাটাই বাড়বে মাত্র- এটাতে আদতে সরকারের করনীয় কিছু কি আছে?
একটা উপদেশ আছে- সরকারের উচিত ভর্তুকির ব্যবস্থা করে দিয়ে চালের যোগান পৌছানো- তবে সরকার জনগনের দাবি কিংবা জনগনের দারিদ্রে কর্ণপাত করবে কেনো? সরকার কমদামে চাল সরবরাহ করবে কেনো? সরকারের রাজস্ব আয়- নিজের কর্মচারীদের বেতনভাতা আর সরকারী অফিসের বিদ্যুত আর পানির বিল দিতেই শেষ- এর উপরে আবার তেলের দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে- আর মাননীয় উপদেষ্টাদের আশেপাশে পুলিশ প্রোটেকশন ভেহিকলের আধিক্য এইখাতে সরকারের তৈলব্যায় বাড়িয়েছে-
সরকারের নিজের খরচ করবার মতো অর্থ নেই- সরকার বাড়তি আপদ ঘাড়ে টানবে কেনো? আমাদের জন্য দাদন ব্যবসায়ীরা উদগ্রীব হয়ে বসে আছে- বন্দক রাখো- টাকা নাও- আর টাকা লাগে দেবে গৈরি সেনের যুগ শেষ হওয়ার পরে এখন টাকা লাগে দেবে গ্রামীণ ব্যাংক শ্লোগানও এসেছে বাজারে-

আমাদের সরকারী কর্মচারিদের বেতনভাতা বাড়ছে- আপাতত সুখের খবর এটুকুই- আমাদের দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে যেনো সরকারী কর্মচারিরা ফৌত না হয়ে যায় এটাই আমাদের প্রার্থনা-
এমনিতেই সরকারি জনবলের পরিমাণ কম- এর উপরে না খেতে পেরে তারা সংখ্যায় কমে যাবে এমন ঘটতেই দিবে না সরকার-
তবে সাধারণ মানুষের বিষয়ে সরকারের দায়বদ্ধতা কম- এরা থেকেই দেশের মাথাপিছু বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ কমিয়ে দেয়- এদের জন্যই নানা রকম স্কীম চালু করতে হয়- এদের জন্যই বস্তি উচ্ছেদ করতে গেলেও এরা ছলছল চোখে তাকয়ে মানবিকতাকে আহত করে- আমাদের সুশীল হৃদে শেলের মতো আঘাত হানে- আমাদের চোখ বাস্পরুদ্ধ করে- আমাদের নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি করে-
আমার নিত্য দিনের পথে- রাসেল স্কয়ারের সামনের ফুটপাতে চালচুলাহীন একজনকে কাঁথা গায়ে শুয়ে থাকতে দেখি- তার গায়ের পরতে পরতে ময়লা- সেখানে নানাবিধ বুদ্ধিজীবি, বড় বড় ব্যবসায়ী , মেজর জেনারেল আর সরকারী কর্মকর্তাদের শিশুসন্তান পড়তে আসে- ধানমন্ডি এখন স্কুলের বাগান- সেখানে পড়তে আসা কোমলমতি বালকদের চোখের উপরে ময়লা আবর্জনায় শুয়ে থাকা মানুষটা অশালীনতার চুড়ান্্ত নিদর্শন-
এরাই সেই খেতে না পাওয়া শ্রেনী- এরা নেশা করে অবসরে- পাতা কুড়ায়- এদের সাথেই শহরের ভ্রাম্যমান কোনো পতিতার প্রেম হয়- এরাই সেই প্রেম গোপনে করবার আড়াল পায় না- এরাই শহরের ফুটপাতে প্রেমলীলা করে- সে লীলার দর্শক হয় পুলিশ- রিকশাওয়ালা আর অন্যসব ফুটপাতবাসী- এরাই সকালে সেই মেয়েকে গায়ে জড়িয়ে শুয়ে থাকে-
এইসব অভব্য অশালীন মানুষের উদোম উর্ধাঙ্গ আর প্রায় শিথিল নীবিবন্ধন- এদের জঙ্ঘা শুধু দেখা যায় না কাঁথার আড়ালে সেই সাথে অন্য এক মেয়েরও জঙ্ঘা আর বুক উন্মুক্ত হয়ে থাকে-
আমাদের এইসব মানুষের কোনো প্রয়োজন নেই- নেশাখোররা দেশ আর দশের শত্রু- তাদের মৃত্যু কামনা করি দিন রাত-
আমার বাসের সামনের দরজার একজন নিয়মিত উঠে- তার হাতে এসএসসি- এইচএসসি- বিএ এমএ সনদ- সে সোশ্যিওলজিতে মাস্টার্স- তার দুটো কিডনীই নষ্ট- সে ভিক্ষা করে- বাস্তবিকই জীবন ভিক্ষা করে আমাদের কাছে- আমাদের সংশয় হয়- আমরা সংশয়ী, আমরা ঠকবো না- আমরা দুর্নীতিদমন কমিশনে মেজর বসিয়েছি- আমরা যখন সবাক হয়েছি আর নির্বাক হয়ে ঠকবো না-
আমরা যেনো প্রতারিত বোধ না করি- যেনো ভাবি সাম্ভাব্য এক সুশীলকেই আমরা বাঁচিয়ে তুলতে যাচ্ছি তাই এই চলমান সনদের প্রদর্শনী-
তার দরিদ্র বাবা মা র জন্য কষ্ট হয় না- তার মৃত্যু কামনা করি- তার ঔদ্ধত্ব্যের মৃত্যু কামনা করি- শালার ব্যাটা ফকিরের বাচ্চা তোর কেনো কিডনি ড্যামেজ হবে- কিডনি ড্যামেজ চিকিৎসার সামর্থ্য নাই তোর , শালা উজবুক তুই কিডনী ড্যামেজ কইরা ফেলাইলি ক্যান?
তোর হইবো খেতে না পাইরা গ্যাস্ট্রিক- ফোঁত ফোঁত পাদবি যত্রতত্র- লোকজন নাকে হাত দিয়ে কথা কইবো তোর লগে- আর সস্তায় ফেলে দেওয়া পঁচা খাওয়ার খাইয়া তোর হইবো ডায়ারিয়া- তুই ঝোপের আড়ালে লাফ দিয়া বইবি হাগতে- তা না শালা তুমি লাটের ব্যাটা কিডনী ড্যামেজ চোদাইছো- মর শালা তুই মর-
এরা সাম্ভাব্য হিট লিস্টে থাকবে যদি দুর্বিক্ষ হয়- এদের সবারই মৃত্যু কামনা করি- মোনাজাত করি- যেনো তৃতীয় বিশ্বের দেশের তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে এদের দীর্ঘায়ু না হয়- এরা যেনো পাচারচক্রের হাতে পড়ে মালোয়শিয়ার জঙ্গলে আত্মহত্যা না করে- এরা যেনো দেশের মাটিতেই গয়াস্ট্রিক ডায়ারিয়া কলেরায় মারা যায়- মোনাজাত করি যেনো আমাদের দরিদ্র জনসংখ্যা কমে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ডলার হয়- আমরা যেনো মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে পারি-
আমাদের আসলে এ লক্ষ্য পুরণে মাত্র টানা ৩ বছর ২ বার করে বন্যা আর ১টা করে সিডর প্রয়োজন। উপরওয়ালার কাছে মোনাজাত করি যেনো তিনি আমাদের এই উপকারটুকু করেন- আমাদের দেশের আল্লাওয়ালা মানুষের কমতি নেই-
নারীর সমতা নিয়ে একটা আলোচনা চলতেছে- সেখানে এখনও উত্তরাধিকার আইনের কোনো খসরা প্রস্তাব আসে নাই- এর ভেতরেই টুপি পড়া মানুষের ভীড়ে শুক্রবার বায়তুল মোকাররমের সামনে যাওয়া যায় না- তারা বারংবার বলছে আল্লাহর আইনের সমতার তুলনা নাই- আমাদের আল্লাহর আইন মানতে হবে- প্রধান উপদেষ্টা- আমাদের বলিষ্ট অশ্ববিদ- মইন উ এবং তাবত উপদেষ্টা পরিষদ বলেছে এটাতে আল্লাহর বরখেলাপ হইবে না- এরপরেও তারা থামছে না-

তাদের এই দাবির সাথে আমিও একমত- তবে আমারও একটা ছোটো দাবি- এই মিছিলের আগের জুম্মার নামাজে পবিত্র জুম্মা বারে যেনো তারা আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে এই মোনাজাত করে-

তবে আমি চাই না আমাদের সরকারী কর্মচারিদের কিছু হোক- তারা অনন্তকাল নরকেই জ্বলবে- তবে আমি চাই তারা যেনো আরও একটু পড়ে সেখানে পৌঁছায়- আমাদের অপরাধী পাপি দরিদ্র মানুষেরা যেনো সরকারী খবরদারি ছাড়াই নরকবাস করতে পারে নির্বিঘ্নে কিছু দিন তাই তাদের দীর্ঘ জীবন প্রত্যাশা করছি-


মন্তব্য

সৌরভ এর ছবি

সচলায়তনে অনেকদিন লগইন করি না।
শুধু এই লেখাটার জন্যে ঢুকলাম।

সবচেয়ে করুণ অবস্থা নিম্ন-মধ্যবিত্তদের, যাদের সারামাসের আয় দশ-বারোটা পাঁচশো টাকার নোট। এই দুর্ভিক্ষের হাতছানিতে এরা এখন এদের পরিচিত ঘনিষ্ঠজনের কাছে হাত পাতছে।
এরপরের ধাপে, লজ্জ্বা ছেড়ে অপরিচিতজনের কাছে হাত পাতা শুরু করলেই দুর্ভিক্ষের শুরু।

ঈশ্বর (যদি থাকেন), রক্ষা করুন।
এইটুকুই প্রার্থনা করবো।


আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বাঙালিই দুর্ভিক্ষ বলতে এখনও সত্যজিতে অশনি সংকেতের চাল নাই ডাল নাই মডেলের দুর্ভিক্ষ বোঝেন

কিন্তু বর্তমান দুর্ভিক্ষ হচেছ:

কারবালার মাঠ মানিব্যাগে; স্টমাকে হাবিয়া
দোকানে দোকানে জান্নাতুল ফেরদৌস; পায়ে ওয়ে অব টিয়ার্সের রক্ত
বাজারে আগুন লেগে কেরানির পাঞ্জাবি পোড়ালো
মজুরের মাংস খেলো পুকুরের মাছ তরিতরকারির শেকড়

বায়োডাটা/বাজারিবাটু

সবই আছে কিন্তু ধরা যাবে না কিছুই...

০২

বাংলাদেশ সত্যি সত্যি দুর্ভিক্ষের দিকে যাচ্ছে। স্লো এন্ড সাইলেন্ট দুর্ভিক্ষ
সাধারণত বাংলাদেশে কোনো জিনিসের দাম ১৫- থেকে ২০ বছরে দ্বিগুণ হয়
কিন্তু গত এক বছরে অনেক কিছুর দামই হয়ে গেছে দ্বিগুণেরও বেশি...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ভীষণ ধারালো লেখা, বরাবরের মতোই। চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।