এনটিএসবি'র স্থানীয় কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান ধর্মঘট করেছে নিহতদের স্বজনেরা। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ক্যামেরার সামনে স্বজনদের দাবি তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রকৃত সত্য তাদের কাছ থেকে আড়াল করছে কৌশলে, দেশের প্রশাসন এই ব্যার্থতাকে আড়াল করতেই তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করছে না। তাদের বক্তব্য সন্দেহজনক।
সন্দেহ আরও বাড়লো যখন ফক্স নিউজ এই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে ৪৫ মিনিটের একটা প্রতিবেদন প্রচার করলো প্রাইম টাইমে। ইজ ইট এ ইল্যুশন অর ইজ ইট ইগনোরেন্স।
প্রাক্তন বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞ এবং ইউনিভার্সিটি ওফ ক্যালিফোর্নিয়ার প্রফেসরদের সংশয় ছড়িয়ে পড়লো স্বজনদের ভেতরে। অন এয়ার বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে ইঞ্জিনের ভেতরে ফুয়েলের সাথে বাতাসের মিশ্রণ ঘটে যাওয়াকেই প্রধান কারণ বলে জানিয়েছে এনটিএসবি। তবে বিস্ফোরিত বিমানের ভেতরে পাওয়া নাইট্রেটের উৎস সম্পর্কে কিছু বলছে না কেউই।
নাইট্রেট প্রায় বেশীর ভাগ বিস্ফোরকের প্রধান উপাদান, এই উপাদানের উপস্থিতি আসলে নিশ্চিত করছে এটা কোনো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নয় বরং এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। নিহতদের স্বজনদের অবশ্যই জানবার অধিকার আছে তাদের স্বজনেরা কেনো মৃত্যু বরণ করেছে, কারা ছিলো এই বর্বরোচিত হামলার নেপথ্যে।
প্রতিবেদনের পরের অংশে বিভিন্ন বোমা হামলার পরে ধ্বংসস্তুপে পাওয়া নাইট্রেটের উৎস সম্পর্কে জানানো হয়েছে। মিহির বসে বসে দেখছে আর অবাক হচ্ছে। অবশ্য অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশে যতটা সহজে গোপনীয় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বলে যেকোনো তথ্যকে আড়াল করা সম্ভব, যুক্তরাষ্ট্রে সেটা সম্ভব হয় না। সব সময় সম্ভব হয় না এই যা।
এনটিএসবি ' প্রধান কর্মকর্তা এবং তদন্ত কমিটির প্রধানের কাছে মন্তব্যের জন্য গিয়েছে সাংবাদিকেরা। তাদের এই উপর্যুপূরি প্রশ্ন দেখে মাঝে মাঝে মিহিরের মনে হয় সব সময়ই একটা গ্রহনযোগ্যতার সীমা থাকা উচিত। কখনও কখনও মানুষের জানবার আগ্রহ অনেকটা ল্যাবরেটরিতে শোয়ানো ব্যাংয়ের ব্যবচ্ছেদের মতো মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারে।অবশেষে ডেভিড ল্যাটারম্যান শো'তে উপস্থিত হলেন তদন্ত কমিটির প্রধান রবার্ট হোয়াইট।
সেদিনের ল্যাটারম্যান শোয়ের উপস্থিত অতিথিদের অধিকাংশই নিহতদের স্বজন। এবং প্রাক্তন কিছু বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ যারা ২০০৫ সালের আগেও বিভিন্ন বড় বড় বিস্ফোরণের তদন্তের সহযোগী ছিলো।
মূলত আলোচনা আর প্রশ্ন সীমাবদ্ধ থাকলো ফক্সের প্রচারিত প্রতিবেদনের উপরেই।
রবার্ট হোয়াইট একজনের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, ফক্সের প্রতিবেদন দেখে আমি বিব্রত হয়েছি। তারা প্রমাণ করবার চেষ্টা করেছে এই বিমান হমলা অন্তর্ঘাতমূলক আক্রমন। আমাদের বিমানের উপরে কৌশলে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা প্লেনে যত লাগেজ ছিলো তাদের সবগুলো পরীক্ষা করেছি, যারা পাঠিয়েছে তাদের অতীত রেকর্ড দেখেছি- আমাদের কাছে মনে হয়েছে যারা প্লেনের যাত্রী ছিলেন তাদের কেউই এমন হামলা চালানোর মতো মানসিক রোগী নন।
বিশেষজ্ঞ একজন বললেন প্লেনের উদ্ধার করা অংশে নাইট্রোসেলুলোজ পাওয়া গেছে- এটার উৎস সম্পর্কে তার মতামত কি?
রবার্ট হোয়াইট ক্ষোভের সাথেই উত্তর দিলেন, আপনাকে হতাশ করবার জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত। আপনি নাইট্রোসেলুলোজের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আপনার হয়তো জানা নেই এটা অনেক উৎস থেকেই আসতে পারে- বিমানের বাইরের রংয়ের প্রলেপেও নাইট্রোসেলুলোজ থাকে-
এছাড়া নাইট্রোসেলুলোজ তেমন চড়া বিস্ফোরক নয়- বরং হঠাৎ আগুন ধরতে পারে- এর বেশী ক্ষতি সাধনের ক্ষমতা নেই এটার- বিস্ফোরক হিসেবে তেমন প্রচলিত না এটা বরং ম্যাজিশিয়ানদের হিংটিংছটের কাজে লাগে-
কেউ যদি আশংকা করে এই নাইট্রোসেলুলোজ কিংবা গানকটন এই বিস্ফোরণের কারণ তাদের অবগতির জন্য বলা হচ্ছে যে মাপের বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটা ঘটাতে হলে যে পরিমাণের গানকটন প্রয়োজন তা একটা কেবিন লাগেজে আটবে না- তাছাড়াও এটা করবার জন্য প্রচণ্ড আঘাতের প্রয়োজন- এটা দেওয়ার সময়ও প্লেনের উপস্থিত যাত্রীরা এটা দেখতে পেতেন।
আমরা আপনাদের আন্তরিকতায় বিশ্বাস করে এটাকে পরিকল্পিত হামলা হিসেবে চিহ্নিত করতে পারছি না তবে আমরা এর সম্ভাবনাও এড়িয়ে যাচ্ছি না।
তদন্তে এ পর্যন্ত যতটুকু পাওয়া গেছে তাতে আমার সিদ্ধান্ত এটা কোনো অন্তর্ঘাতমূলক হামলা নয়।
আমরা এটা নির্ধারণের চেষ্টা করবো আসলেই এটা বোমা হামলা ছিলো কি না।
মানুষের জল্পনার অবসান হলো না। বিভিন্ন রকম অনুমাণ আর রহস্যের আশা আশংকা নিয়ে আরও ৩ মাস গেলো। এখনও চুড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় নি। আরও বেশী নিবির পর্যবেক্ষণ আর অনুসন্ধান চলছে। তবে কেউই এফডিআর আর সিভিআর রেকর্ডেড ডাটার ভিত্তিতে নিশ্চিত করে বলতে পারছে না আসলে বিস্ফোরণের সূচনা কোথায়? ধোঁয়া উঠেছিলো যে স্থানে সেখানের খানিকটা জায়গা পুড়ে গেছে- তবে এটা বিস্ফোরণের আগে কিংবা পরে যেকোনো সময়েই হতে পারে। নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাবে না । ইনসাইড আউট কিংবা আউট সাইড ইন, যেকোনো ভাবেই এটা ঘটতে পারে- তবে নিছক দুর্ঘটনাও বলা যাচ্ছে না এটাকে-
রওনা হওয়ার আগেও রেগুলার চেক আপের সময় কোনো দুর্বলতা চোখে পড়ে নি। আর ইঞ্জিনের মেয়াদ ছিলো আরও ৪২ হাজার ঘন্টা। এর ভেতরে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে যান্ত্রের বিশ্বাস নেই।
নেপিয়ার্সের শেরিফের কাছে এসেছে টিম হিগিন্স। তার বাসায় হঠাৎ করেই একটা বিস্ফোরণ ঘটেছে- তার বাসার অর্ধেক আক্ষরিক অর্থেই উবে গেছে। ঘটনাক্রমে যে তখন লনে ছিলো। হলফ করে বলেছে সে এমন ঘটনা ঘটবার কোনো কারণ নেই।
গতকাল বিকেলে আনা লাগেজটা ছিলো লিভিং রুমে। লিভিং রুম বলে চেনা যাচ্ছে না ওটাকে।
লাগেজটা কেমন ছিলো? কৌতুহলী জ্যাক ড্যানিয়েল। সাধারণ, ইবে থেকে কিনেছিলাম গত সপ্তাহে- এই গতকাল বিকেলে পৌঁছেছে।
হুমম, আচ্ছা আমি তোমার সাথে যাচ্ছি।
তুমি কি করছিলে? ব্লিংক ১৮২ শুনছিলাম, আর লাগেজটা ছিলো সাউন্ড বক্সের পাশেই- হঠাৎ করেই বিস্ফোরিত হলো ঘরটা।
লেক সিয়াটল বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে জ্যাকের ছোটো ছেলে। তবে ছেলে হারানোর শোকের চেয়ে বড় হয়ে বেজেছে তার বুকে এই দুর্ঘটনার নেপথ্যের কারণ জানতে না পারবার বেদনা।
উচ্চমাত্রার শব্দের সাথে বিস্ফোরণের কোনো একটা সম্পর্ক কি আছে তবে? বিমানের বিস্ফোরণের সূচনাও ছিলো ইঞ্জিনের ঠিক পাশেই- সেখানেও শব্দের মাত্রা বেশী।
তোমার কাছে বিক্রেতার ঠিকানা আছে?
হুমম সবই আছে। আমার ইবে একাউন্টে গেলেই পাওয়া যাবে।
ইবে কতৃপক্ষ অবশ্য এই দুর্ঘটনার দায় নিটে অস্বীকার করেছে। জ্যাক ড্যানিয়েল যোগাযোগ করেছিলো তাদের সাথে। তাদের বক্তব্য- তারা শুধুমাত্র বিক্রেতার সাথে ক্রেতার যোগাযোগ করিয়ে দেয়। যদি কোনো বিক্রেতা প্রতারণা করে তবে সে বিক্রেতাকে বহিস্কার করতে পারে কতৃপক্ষ- তবে এর বাইরে কোনো আইনি পদক্ষেপ ই-বে নিতে পারবে না। তাদের কাছে বিক্রেতার যে ব্যাংক একাউন্ট ছিলো সেটা থেকে জানা গেলো বিক্রেতার বসবাস ফিলাডেলফিয়ায়। ফিলাডেলফিয়া পুলিশ স্টেশনে ফোন বাজলো যখন তখন বিকাল ৪টা বেজে ২০।
বাড়তি কোনো কথায় না গিয়ে জ্যাক ডয়ানিয়েল জানালেন-
আপনাকে ফিলিপ স্ট্রকে খুঁজে বের করতে হবে। নেপিয়ার্সে গটে যাওয়া একটা বিস্ফোরণের তথ্য জানবার জন্য তাকে প্রয়োজন আমার। তার ঠিকানা, এপার্টমেন্ট ৩বি, ৫৬ মেইন স্ট্রীট ফিলাডেলফিয়া।
ফিলিপ স্ট্রয়ের কাছ থেকে বেশী কিছু জানা যায় নি। সে থ্রিফট স্টোর থেকে বাছাই করে পণ্য কিনে ই-বে-তে বিক্রী করে- এভাবেই সে এবার সেখান থেকে কিনেছিলো ২টা কেবিন লাগেজ। সুন্দর- সস্তা। যে থ্রিপট স্টোরে থেকে কিনেছে সে সেটা চার্চ অফ বিলিভারস'এর দাতব্য শাখা। এখান চার্চের অনুদান পাওয়া বস্তুগুলো বিক্রি করে সে অর্থ সেবামূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
শহরের বিভিন্ন এলাকাতে তাদের দানবাক্স আছে- সেখানে দাতারা রেখে আসে জিনিষপত্র- এই লাগেজ দুটো পাওয়া গেছে চার্চের সাথে রাখা দানবাক্সে।
ফিলিপ জানিয়েছে গত পরশু সে অন্য লাগেজটাও বিক্রি করে দিয়েছে। সেটা পাঠানো হয়েছে লস এঞ্জেলস। পোস্ট অফিসকে জানানো হয়েছে সম্পূর্ন বিষয়টা। এবং মাঝপথে ফেরত আনা হয়ছে লাগেজটাকে।
জ্যাক ড্যানিয়েল পরবর্তী সোমবার বসে আছে লাগেজের সামনে। উজ্জল লাল আর কালোর মিশ্রনে চমৎকার একটা লাজেগ। একটু বেশী ভারি- তবে ব্যালেন্স চমৎকার। তেমন মারাত্বক মারণাস্ত্র মনে হচ্ছে না এটাকে।
এববিআই বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞ লসন লংফিল্ড স্ক্যানিং ম্যাশিনে পরীক্ষা করছে লাজেগটা। তেমন সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া গেলো না। কোনো গোপন প্রকোষ্ট নেই এটাতে- একেবারে সাধারণ নিরিহ কেবিন ল্যাগেজ।
উঠে যাওয়ার আগে পেছনের হ্যান্ডেলে একটু কালির দাগ দেখে উৎসাহী হয়ে ভালোভাবে খুঁটিয়ে দেখলো ও। হ্যান্ড ম্যাশিনে সেলাই করা। এসব লাগেজতো হ্যান্ড ম্যাশিনে সেলাই করবার কথা না। কৌতুহল আরও বাড়লো যখন হ্যান্ডেলে একপাশ কেটে দেখলো সেখানে গ্রাফাইটের পাতলা পাত বসানো।
দোকান থেকে একই মাপের অন্য একটা লাগেজ এনে দেখলো সেখানেও গ্রাফাইটের পাত নেই।
দুপুরের খাওয়া ভুলে মেতে থাকলো পরবর্তী ২ ঘন্টা।
হ্যান্ডেলটা পাল্টানো হয়েছে- ছাঁচে বসিয়ে তৈরি করা হ্যান্ডেল। ফিনিশিং তেমন ভালো না। হ্যান্ডেলের ভেতরে গ্রাফাইটের পাতলা রড, খুব বেশী হলে পেন্সিলের লেডের সমান হবে এর বেড়। হ্যান্ডেলের ভেতরে আলাদা ক্রিস্টাল। ক্রিস্টাল খুলে বের করলো ও। ল্যাবরেটরিতে ছুটলো সেটা নিয়ে। পিজিঐলেকট্রিক ক্রিস্টাল, হাতলের ভেতরে কি করছে?
হালকা চাপে এটা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, তবে বিদ্যুতের পরিমান তেমন বেশী না,তবে চাপ বাড়ালে বিদ্যুতের পরিমাণ বাড়ে।
গ্রাফাইটের পাতের শেষাংশ নীচের ব্যালেন্সে ঢুকানো।
সেটার রাসায়নিক বিশ্লেষন করে দেখা গেলো ওটা নাইট্রোগ্লিসারিন আর পলিভিনাইল প্লাস্টিকের মিশ্রন। তবে নাইট্রোগ্লিসারিন আর পলিভিনাইল তেমন ভাবে মিশ খায় না।
এটা নতুন কোনো বিস্ফোরক?
নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে এটাকে বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। সন্ধ্যার সময় মুগ্ধ হয়ে গেলো লসন। এমন চমৎকার বিস্ফোরক যে তৈরি করেছে তাকে সম্মান করতে ইচ্ছা করছে। ব্যাটা একটা রিয়েল জিনিয়াস। সামান্য বিদ্যুত নাইট্রোগ্লিসারিন আলাদা হয়ে যায়। এবং একটা সময়ে গ্রাফাইটের তাপমাত্রা বাড়ে। মাত্র কয়েক ডিগ্রী তাপ বাড়লেই এটা মারাত্বক বিস্ফোরক। সেটা ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হলেই সামান্য ঝাঁকুনিতেই বিস্ফোরিত হয়।
পরের দিন সকালেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দিলো লসন।
পসেক সিয়াটলের বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে একটা সংশয় রয়েই গেলো, হয়তো এটা এরকম আলাদা কোনো একটা লাগেজের কারণে ঘটেছে- কারণ লাজেগের ভেতরে নাইট্রোসেলুলোজের প্রলেপ পাওয়া গেছে। সামান্য উত্তাপে এটা হঠাৎ জ্বলে উঠতে পারে। আর সেই উত্তাপেই হয়তো নাইট্রোগ্লিসারিন বিস্ফোরিত হয়েছে।
হয়তো বলেই নয়, বরং সাম্ভাব্য মারাত্বক অপরাধি হিসেবে চিহ্নিত করা হলো এই জন ডোকে। তবে তার অবস্থান সম্পর্কে কেউ অবগত না। এমন কি তার উদ্দেশ্যও পরিস্কার না। হয়তো আমাদের আশে পাশেই বসবাস করে সে, হয়তো আমাদের মাঝে কেউ সস্তার কোনো লাগেজ হাতে বিমানে উঠছে- হয়তো সেই লাগেজেই জন ডোর হাতের কারুকাজ।
মিহির শুধু এইটুকুই জানলো- সেই বিমানের একজন যাত্রী নিউইয়র্কের একটা সস্তা দোকান থেকে সুন্দর একটা কেবিন লাগেজ কিনেছিলো। সেটা নিয়েই সে যাচ্ছিলো চট্রগ্রাম ২ বছর পরে দেশে ফিরেছিলো ও।
মন্তব্য
চমৎকার লাগলো পুরো সিরিজটাই। এটাকে না থামিয়ে আরো কিছুদুর টানতে পারেন।
সিরিজটিতে Frederick Forsyth এর স্টাইল ভালো পরিমানে বিদ্যমান (আমার ব্যক্তিগত মতামত)
কি মাঝি? ডরাইলা?
একদম ঠিক ধরেছেন, ফোরসিথের ধরণেই এগোচ্ছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দারুণ লাগলো সিরিজটা। (বিপ্লব)
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
- বন্ধ কইরেন না।
রহস্য বের করার চাইতে গবেষনার ধরণটাই বেশি উপভোগ্য হয়েছে। আমার কাছে অনেকটা জেএফকে স্টাইলের মনে হয়েছে। এখানে অবশ্য লেখকের সার্থকতা, পাঠক তার নিজের মতো করে কম্যুনিকেট করবে লেখার সাথে।
সিরিজের একজন লেটার টু লেটার পাঠক হিসাবে আপনাকে
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এই জিনিস বন্ধ করা যাবে না। জনদাবী।
৫ পর্বের জন্য জাঝা
নতুন মন্তব্য করুন