আমার বেশীর ভাগ লেখাই তাৎক্ষণিক আবেগ। দীর্ঘ সময় ধরে গুছিয়ে কিছু লেখা ঠিক আমার নিজের ধাতের সাথে যায় না। যে মাথায় আসলো, যে মুহুর্তে আসলো সে মুহুর্তেই লিখা না রাখলে সেটা আদৌ মনে থাকবে কি না এ বিষয়ে আমার ঘোর সংশয়।
সমস্যা হলো আমার বেশীর ভাগ ভাবনাই আসে চলতি পথে, যখন বিশ্রী জ্যামে গরমে ঘামছি, অবসর বিনোদনের জন্য চারপাশ দেখছি- সে সময়ে বিভিন্ন টুকরো মন্তব্য, দৃশ্য দেখি, তবে সমস্যা হলো সেসব দৃশ্যের অনেকগুলোই বাসা পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারি না, চলতি পথে কোথাও পরে যায় সেসব ভাবনা।
বন্ধ্যা শব্দেরা মাথায় ঘুরপাক খায়। কিছুতেই কোনো বোধগম্যতা আনে না।
ইদানিং ঢাকায় ভয়ংকর রকমের লোড শেডিংয়ের উৎপাত। গত ৩ দিন ধরে অলিখিত অনেক ভাবনাই ঠিকমতো গুছিয়ে তোলার আগেই মাঝ রাস্তায় লোড শেডিংয়ের খাঁড়া পড়েছে ।
সমস্যা হলো আবার যখন ইলেক্ট্রিক পাওয়ার আসে তখন আমি নিস্তেজ, কোনো ভাবনাই উদ্বেলিত করে না। খানিকক্ষণ রাস্তায় হেঁটে আবার এসে বসি ভাবনা লিখবো বলে।
ঠিক এমন সময় মাঝ রাস্তায় কিংবা যখন ভাবছি এখনই প্রকাশিত বাটনে চাপ দিবো- তখনই বেরসিক লোড শেডিং।
আজ সারাদিনে ৪ বার এমন ঘটনা ঘটবার পরে আসলেই ভাবছি পুরোনো পদ্ধতিতে ফিরে যেতে হবে।
বাংলাদেশের গরমে আসলে কম্পিউটারে লিখিত সবকিছু অন্তর্জালিক প্রকাশনার জন্য যেকোনো কোথাও লিখতে শুরু করলে সেটাকে পুর্বেই কাগজে লিখতে হবে।
একই কষ্ট কয়েক বার করবার বদলে একদমে সব কিছু করে ফেলা যায়, প্রতিবার লিখতে হবে না বরং একেবারে টাইপ করলেই হবে।
সেখানেও সমস্যা- হঠাৎ লোড শেডিং হলে লেখার ভাবনাই চলে যায়। সচলায়তনের যেমন অবস্থা এখানে অটো সেভের কোনো সুযোগ নেই- অবশ্য লেখাবার সময়ে- লেখা ছাপতে দিন বাটনে চাপার আগেও মনে থাকে না আদৌ লেখাটার একটা অনুলিপি গৃহীত হয়েছে কি না। কারণ কোনো কোনো সময় এমনও হয়েছে লেখা পাবলিশ করতে দিয়ে দেখি সম্পূর্ণ লেখাই উধাও। প্রায় ১ থেকে সোয়া এক ঘন্টা খেটে একটা লেখা লিখবার পরে এমন নির্মম পরিহাসে বিপর্যস্ত লাগে।
মন্তব্য
রাগিব ভাইয়ের পরামর্শই দিতে যাচ্ছিলাম।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
- সচলায়তনে লেখার সময় "খসড়া হিসেবে সংরক্ষণ" সিলেক্ট করে তারপর দুই মিনিট পরপর একেবারে নিচে "সংরক্ষণ" এ চাপতে থাকেন। লোড শেডিং হৈলেও কেবল দুই মিনিটের লেখা খানা যাইবোগা। ঐটা ব্যাপার না।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
জ্বি হ
লোড শেডিং একখান সমেস্যা বটে
দিনে আপিসে থাকলে বুঝি না- চলি জেনারেটরে
কিন্তু যখন বাসায় থাকি...
এই তো গত পয়লা বৈশাখের রাতে পরকাল থেকে সেলীম আল দীন দৌড়ে না এলে আমার লোড শেডিং জীবনেও শেষ হতো না
আর আমিও বসতে পারতাম না সচলাযতনে
রাসেল ভাইয়ার জন্য আরেকটা বুদ্ধি মাথায় আসল। নিঃসন্দেহে রাগিব ভাই এবং অন্য ভাইয়ারা উপযুক্ত বুদ্ধিই দিয়েছেন।এখন আমার কথা হল যে লোডশেডিং-এর অন্ধকারে থাকাকালীন সময়ে আপনার লেখার না বলা যে অংশটুকু ছিল তা কিভাবে বাঁচানো যায়!!! ওই সময়ে যদি কোন কাগজে তাৎক্ষণিকভাবে লিখে ফেলতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই।তাও যদি না পারেন হাতের কাছে একটা ভযেস রেকর্ডার রাখতে পারেন, কথা বলে লিপিবদ্ধ করে ফেলতে পারেন আপনার না বলা অংশটি।আজকাল MP3 Player বেশ সস্তা। আর প্রত্যেকটার মধ্যেই ভযেস রেকর্ডার থাকে। এমনকি আপনার মুঠোফোনেও রেকর্ড করে ফেলতে পারেন যদি তার ঐ অপশন থাকে।আগামীতে তাহলে আরো বেশি বেশি লেখা দেখতে পারব আপনার আশা করছি।হারানোর ভয় তো কমলো তাই।
~~~টক্স~~~
নতুন মন্তব্য করুন