খোলস দেখেই ভুলে গেলে বন্ধু( উৎপল শুভ্রের প্রতি ঘৃনা)

রাসেল এর ছবি
লিখেছেন রাসেল (তারিখ: শনি, ১৭/০৫/২০০৮ - ৩:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto ১১ই মে ১৯৮১ ক্যান্সারে মৃত্যু হয়েছিলো বব মার্লের। মৃত এই শিল্পীর সম্মানে প্রথম আলোর শুক্রবারের অন্য আলোর পাতায় লিখেছেন উৎপল শুভ্র। বাংলাদেশের ক্রীড়া সাংবাদিকতায় তার অবদানের প্রসংশা শুনেছি। তবে তার ক্রীড়া বিষয়ক লেখার মুগ্ধ পাঠক হতে পারি নি। ইত্তেফাকে এক চিলতে সংক্ষিপ্ত স্কোর বোর্ডের তালিকার বাইরে এসে সম্পূর্ণ স্কোরবোর্ড তুলে দেওয়া কিংবা খেলার অনুপম বর্ণনা হয়তো উৎপল শুভ্রের কলমে আসে না। বাংলাদেশের সকল খেলার বিশেষজ্ঞ আব্দুল হামিদ কিংবা চৌধুরি জাফরুল্লাহ শারাফতের মতোই তার যোগ্যতা কিংবা অযোগ্যতা-

ক্রীড়া সাংবাদিকতার বাইরে এসে তার নতুন লেখার ক্ষেত্র ছিলো রস রচনা, সেখানে সফলকাম হতে পেরেছেন কি না আমি জানি না, তার রস আলোতে লেখা কৌতুকময় জীবনের গল্প আমার পছন্দ হয় নি তেমন। তবে আগুণ জ্বালানো লেখা হয়েছে এই বর্তমানের বব মার্লের স্মৃতিযাদুঘর ঘুরে এসে লেখা উৎপল শুভ্রের বব মার্লের মৃত্যু দিবস উপলক্ষে রচিত বব মার্লির বাড়ী।

বব মার্লের যাদুঘর ঘুরে এসে তার মুগ্ধ প্রতিক্রিয়া জাদুঘরে যারা ঘুরতে আসে তারা সবাই বব মার্লের জীবনের ঘটনাগুলো সম্পর্কে অবগত। তার কোন গান কি ঘটনার প্রেক্ষিতে লেখা, তার জীবনের কোথায় কখন কি ঘটেছে, বব মার্লে কখন কোথায় কনসার্ট করেছেন, কখন কোথায় গিয়েছেন।

আমি অবশ্য তার অবাক হওয়াকে দোষারোপ করতে পারি না। বব মার্লের স্মৃতিযাদুঘর দেখতে যাবে তার গানের মুগ্ধ শ্রোতারা, তার ভক্তেরা যেহেতু স্মৃতিযাদুঘর ভ্রমনে যায়, যায় একটু বব মার্লের সান্নিধ্য পেতে- তাদের ভেতরে বব মার্লের জন্য যে অনুভুতি- তাদের এই ভক্তিরসের প্রাবল্যেই তারা সবাই পড়েই জেনেছে বব মার্লের জীবনের ইতিহাস।

এদের অনেকের বব মার্লে শিরোনামের খাতাও আছ- সেখানে একটু খুঁজলেই পাওয়া যাবে বব মার্লেকে নিয়ে রচিত সকল সংবাদের ক্লিপিংস। গান গাওয়া কিংবা শিল্পচর্চার সাথে যুক্ত মানুষের অন্ধভক্ত- ফলোয়ার্স কিংবা গ্যাং পিপলদের এই আচরণ নতুন খলিফা খুঁজে ফেরা মানুষের জন্য দরকার।
বন জভির একটা গান আছে- দিজ ডেস এলব্যামের- দিন ডেস শিরোনামের এই গানটিতে মানুষের নায়ক খুঁজে বেড়ানো শেষ হয়ে যাওয়ার বেদনার কথা কিছুটা বর্ণিত আছে- কিংবা বন জভির সর্বশেষ শোনা গানের এলব্যামের একটা গানের কথা মনে পড়ছে- লাস্ট ম্যান স্ট্যান্ডিং-

পশ্চিমে গানের ভক্তরা এমন পাগলামি করে তার সামান্য কিছু চিত্রায়িত হয়েছে অলমোস্ট ফেমাস সিনেমায়- হিপ্পি মুভমেন্ট কিংবা এন্টি ভিয়েতমান এরা নিয়ে অনেক কিছুই বলা যায়- উডস্টক ফেস্টিভল না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন , মানুষ সঙ্গীতকে ভালোবেসে কতটা পাগলামি করতে পারে।

বব মার্লের তেমন ভক্ত আমি না। সর্বসাকুল্যে একটা এলবাম শুনে তেমন ভক্তের দাবিদার আমি হতেও পারবো না। পশ্চিমে সঙ্গীত ব্যক্তিত্বদের জীবন নিয়ে ছবি হয়, তাদের ভক্তরা সেসব ছবি দেখে আনন্দিত হয়, বিষন্ন হয়, হিরো ওরশিপের নতুন ধারণা কিংবা নতুন ধরণের ভক্তিবাদের সূচনা ঘটে যায় হয়তো। বব মার্লেকে নিয়ে এমন ঘটলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই-

তার সঙ্গীতের মূল বিষয় ছিলো মানুষ। মানুষের অধিকার নিয়ে গান রচনা করা, মানুষের আবেগ আর মানুষের একান্ত চাওয়া নিয়ে রচিত গানগুলো সবসময়ই মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
তার গানের বাক্য বিন্যাস অনুবাদ যতটুকু আমার হৃদয়ে প্রবেশ করে ঠিক ততটুকুই বব মার্লের অবদান আমার জীবনে।

তাই জ্যামাইকার কুখ্যাত শহরতলীর বস্তি থেকে উঠে আসা বব মার্লের অবদান বুঝতে চাইলে উৎপল শুভ্রকে বুঝতে হতো জ্যামাইকার রাজনীতিতে সংঘাত নিসরনে বব মার্লের প্রচেষ্টার কথা। জ্যামাইকার মানুষের আবেগ উচ্ছাস এবং বিদ্বেষ নিয়েই বব মার্লের বেড়ে উঠা। শেতাঙ্গ বাবা এবং কৃষ্ণাঙ্গ মাতার সন্তান বব মার্লের জীবনে বর্ণবাদের প্রভাবটাও অস্বীকার করা যায় না। না ঘর কা না ঘাট কা অবস্থানে ছিটকে পড়া বব মার্লে শেতাঙ্গের বর্ণবাদের শিকার এবং কৃষ্ণাঙ্গের বর্ণবাদের শিকার- তাই তাকে ইশ্বরের শরণ নিতে হয়। সেই ইশ্বরই তার অনুপ্রেরণা হয়ে যায়- সেই ইশ্বরের অনুপ্রেরণায় তার মানবিকতার বোধ আরও শাণিত হয়।
উৎপল শুভ্র বব মার্লের গান শুনেন না, তার ভক্ত না এটাতে দোষের কিছু নেই, তবে তার বর্ণনার নিরাসক্ত অবহেলায় শিউরে উঠি। মানুষের প্রতি সম্মানবোধের ঘাটতি এমন ভাবে প্রকাশ করতে হবে?

বব মার্লের যাদুঘরে তেমন কিছু নেই- তার বাসস্থানকে জাদুঘরে রুপান্তরিত করা হয়েছে- সেখানে বব মার্লে বসবাস করতেন- তার ব্যবহৃত বিভিন্ন স্মারক সেখানে রাখা- এর বেশী আসলে কি আশা করা যায়? সেখানে স্ট্রিপ টিজারেরা নাচবে? বব মার্লের উদ্দেশ্যে অন্তর্বাস ছুঁড়ে দেওয়া মেয়েদের অন্তর্বাসবিহীন ছবি থাকবে? ডাইনোসরের কঙ্কাল থাকবে? আসলে বব মার্লের বাসায় তার ব্যবহৃত জিনিষপত্র ছাড়া উৎপল শুভ্র আর কি আশা করেছিলেন। আমি জানি না। আমার জানা হয়ে উঠবে না আসলে।
তিনি কথার ছলে বলে ফেললেন তিনি ৩ বার জ্যামাইকা গিয়েছেন। ২০০৭ এর বিশ্বকাপ কভার করতে উৎপল শুভ্র জ্যামাইকায় গিয়েছিলেন, সেখানে গিয়ে তিনি আউট সাইড স্পোর্টস কিছু রচনাও করেছিলেন, সেসব অখাদ্য দীর্ঘ সময় পড়ি নি, ভ্রমনকাহিনী ভ্রমনপিপাসুর কাছে উপভোগ্য এবং উৎপল শুভ্রের লেখার মান এতটা ভালো নয় যে নিখাদ সাহিত্যের খোঁজে সেখানে ঢু মারবো।
নিউজিলয়ান্ডে গিয়ে তার লিখিত রিপোর্ট পড়ে মনে হলো আসলে তেমন কিছুই হারাই নি আমি।
জ্যামাইকায় গিয়ে ঘটনাচক্রে তার বব মার্লের জাদুঘরে যাওয়ার দুর্ভাগ্য অবশ্য দীর্ঘায়িত হয় নি, উৎপল শুভ্র নেপথ্যে পেয়ে গেলেন বব মার্লের বাসার সামনের রেস্টুরেন্ট, সেখানের সামুদ্রিক মাছের ফ্রাই চমৎকার স্বাদু। তাই বব মার্লের যাদুঘরের সামনের ফিস ফ্রাইয়ের বর্ননা এবং গুনাগুন বর্ণনা করলেন তিনি।

বব মার্লের অবদান উৎপল শুভ্রের জীবনে তেমন নয়, তবে জ্যামাইকার মানুষ তাদের এই হিরো ওরশিপের ধারা বজায় রেখেছিলো , রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তার শেষকৃত্য করা হয়।

নিহত বন্ধু এবং তাদের পরিচিত জনের বেদনা নিয়ে লিখিত নো ওমেন নো ক্রাই গানটির বিষয়ে তার সর্বশেষ অনুমাণ- নারী নেই ক্রন্দন নেই-
এটাই নাকি বাংলাদেশের সবাই জানেন। তবে আমার সাথে তার সরাসরি যোগাযোগ নেই- যাদের সাথে উৎপল শুভ্রের জানাশোনা তাদের প্রতি অনুরোধ তারা যেনো উৎপল শুভ্রকে প্রশ্ন করে আমাকে জানান- উৎপল শুভ্র এই জরপিটা কবে করেছেন, কতজনের উপরে করেছেন।

খোলস দেখেই ভুলে গেলে চলবে বন্ধু, খোলসের ভেতরে অনেকের চামড়ায় অতীতের দাসখত চাবুকের দাগ আঁকা আছে।

উৎপল শুভ্র বোধ হয় এই গানের খোলস দেখেই অনুমাণ করেছেন, নো ওমেন নো ক্রাই, মাইয়া মানুষ ঝামেলার জিনিষ, না থাকলে জীবন সুখের, কিংবা মাইয়া মানুষ মানেই প্যানপ্যানানি- থাকলেই শালীরা খালি কান্দন চোদায়-
ঠিক কোন অর্থে নারী নেই ক্রন্দন নেই শব্দের উৎপত্তি এটা তার জবানিতে জানলে অশেষ উপকৃত হতাম।


মন্তব্য

রাসেল এর ছবি

অরূপ ভাইজান, একটু কষ্ট করে একটা বব মার্লের ছবি যদি সাটায়া দিতে পারতা ভালো হইতো। আমি আবার এই কাম পারি না,
------------------------------------
হুমম , হচ্ছে তো ঠিকই হচ্ছে, এইবার তুমি হাম্বা করে ডাকো।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

হিমু এর ছবি

রাসু অন ফায়ার!


হাঁটুপানির জলদস্যু

অমিত এর ছবি

হ্যায় কি আসলেই no woman no cry গানের মানে ঐটা বানাইছে না কি ? ঐটা কি রম্য রচনা ছিল ?

দ্রোহী (মন্তব্য লিমিট অতিক্রান্ত) এর ছবি

লেখা তো নয় যেন উৎপল শুভ্রকে চিৎ করে ইয়ে মারা !!!!!!!!!!

আরণ্যক সৌরভ এর ছবি

পুরা শোয়াইয়া ফালাইসে!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

উৎপল শুভ্ররে নিয়া আমার কোনও প্রশ্ন নাই... আমার প্রশ্ন আপনের কাছে... আপনে যেমন বলছেন যে যাদুঘরে গিয়া উৎপল শুভ্র কি আশা করছে? স্ট্রিপ টিজারদের নাচ কি না?
তেমনি আপনের কাছেও আমার প্রশ্ন- আপনে উৎপল শুভ্রর কান্ধেই বা এত প্রত্যাশা রাখলেন কি উপায়ে? তার লেখাতেই বা আপনে আসলে কি আশা করছিলেন? আশা করছিলেন যে তিনি বব মার্লের উপরে বিরাট একটা জ্ঞানগর্ভ কিছু লেইখালাইবো?

এখনকার আগে একবার যখন ঢাকায় এফএম কালচার শুরু হইছিলো ৭/৮ বছর আগে... তখন রেডিও মেট্রোর এক প্রডিউসাররে বলছিলাম সামনে তো বব মার্লের জন্মদিন... ঐদিন তার উপরে বিশেষ কিছু করেন, তার গান বেশি কইরা বাজান। তখন তিনি জানাইছিলেন তাদের ভাণ্ডারে বব মার্লের কোনও গান নাই... আমার কাছে থাকলে য্যান তারে দেই।
তো এই দেশে উৎপল শুভ্র, যিনি বস্তুতই শুধু একজন খেলা সাংবাদিক, তার কাছে আপনে কেন এত আশা করেন? আমি তো লেখাটা পড়িই নাই...

নো ওমেন নো ক্রাই নিয়া তিনি কোনও জরীপ চালান নাই বোধকরি। এই কর্ম যত্দুর মনে পরে সারয়ার ফারুকীর... তার ব্যাচেলর সিনেমায় হাসান মাসুদের ডায়লগে নো ওমেন নো ক্রাই নিয়া সম্ভবত এইরকম কোনও ডায়লগ ছিলো। তিনি ঐটারেই বোধহয় জাতির বিবেক ভাবছেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হাসান মাসুদ নাকি মারজুক রাসেল মনে করতে পারতেছি না... যে কারো একজনের ডায়লগেই হইবো... যাউগ্গা... আপনের লেখাটাতে মজা পাইছি বইলা ৫ দিলাম... কিন্তু এরপর থিকা প্রত্যাশা জিনিসটা বুইজ্যা শুইনা কইরেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

রাসেলকে (বিপ্লব)

নজরুল ইসলামরে জাঝা



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

তানভীর এর ছবি

হ নজরুল ইসলামরে জাঝা ব্যাচেলর নইলে ৬৯-এ হাসান মাসুদরে ডায়লগখানা কইতে দেখছিলাম মনে হয়।

উৎপল শুভ্রের লেখা আগেই দেখছি। পড়ি নাই তখন। এই পোস্ট দেখে পড়ে আসলাম। ঘৃণা উদগীরণের মত কিছু পাই নাই!

= = = = = = = = = = =
তখন কি শুধু পৃথিবীতে ছিল রং,
নাকি ছিল তারা আমাদেরও চেতনায়;
সে হৃদয় আজ রিক্ত হয়েছে যেই,
পৃথিবীতে দেখ কোনখানে রং নেই।

রাসেল এর ছবি

তাও ঠিক হেইট শব্দটার আলাদা কোনো বঙ্গানুবাদ পাওয়া গেলো না যা ঘৃণার প্রচণ্ডতা কমাতে পারে-
------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

দ্রোহী (মডুরামেরা বেশী মন্তব্য করতে দেয় না) এর ছবি

ব্যাচেলর সিনেমার একটা দৃশ্যে সামান্য কয়টা নির্বিষ ও নির্দোষ বিয়ার খেয়ে মনে হয় মারজুক রাসেল ডায়লগটা দিছিল।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এইটা আমি আগামীকাল অবশ্যই প্রথম আলো'তে ফ্যাক্স করে পাঠাব । এই জিনিষ উৎপল শুভ্র না দেখলে আসল "টেস" পামু না ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

পুরা দেশটাই শালার রম্য । শুভ্র,অশুভ্র সকলে মিলে
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রণদীপম বসু এর ছবি

আমিও পড়ি নাই। এখন মনে হয় পড়ে দেখতে হবে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

বিপ্রতীপ এর ছবি

লেখা ভাল্লাগছে...
একজন স্পোর্টস রিপোর্টারের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করাটাও ভূল। লেখা সম্পর্কে সমালোচনা করলেই হতো। ঘৃণা প্রকাশ করার প্রয়োজন ছিল বলে মনে হয় না।

[সম্পাদিত মন্তব্য]
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিপ্রতীপ ব্লগ | ফেসবুক | আমাদের প্রযুক্তি

নিঝুম এর ছবি

ব্যাচেলরের অরিজিনিলাল ডায়লগ গুলা হইতেসে গিয়া এইরকম-

মারজুক রাসেলঃ দ্যাহেন ওস্তাদে কি কয়,হোনেন
হাসান মাসুদঃ হোন ,তোমাগো ওস্তাদে মুখে কয় এক,আর কামে ত কয় আরেক টা।
মারজুক রাসেলঃ হেইডা কি?
হাসান মাসুদঃ গান গাইতাসে -নো ওমেন নো ক্রাই আবার স্টেজে চাইরজন মহিলারে লইয়া ঊঠসে কোরাস গাওয়াইবার লাইগা।
---------------------------------------------------------
পৃথিবীর সব সীমান্ত আমায় বিরক্ত করে। আমার বিশ্রী লাগে যে, আমি কিছুই জানিনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

অচল এর ছবি

ঠিকাছে।

যদ্দুর জানি, এই ছবির script আনিসুল হকের লেখা। আমার ধারনা, প্রথম আলোর সবাই এই গানের এই অর্থই জানে।

শুভ্র ভাই জরিপটা ওইখানেই চালাইছে।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমিই দিতাছি তাকে।


মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সবজান্তা এর ছবি

ঠিকাছে।

তবে বস, ঘৃনা শব্দটায় আমার একটু আপত্তি আছে। হয়ত নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতায়, হয়ত নিজের সীমার বাইরে যেয়ে রিপোর্টিং করতে যেয়েই এই দুর্দশা, কিন্তু এর জন্য ঘৃনা শব্দটা বরাদ্দ করাটা কি ঠিক হবে ? একটু বেশিই তীব্র হয়ে গেল না ?


অলমিতি বিস্তারেণ

খেকশিয়াল এর ছবি

(বিপ্লব)

জয় 'jah'

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

থার্ড আই এর ছবি

কোন লেখকের লেখার কোন অংশ যে কারোর দ্বিমত থাকতেই পারে, আর কারো লেখার প্রকাশ ভঙ্গি ভালো না লাগলে সমালোচনার ভাষাও যে এমনটা ব্যক্তিগত আক্রোশের পর্যায়ে চলে যেতে হবে সেটা আমি মনে করিনা।

জনাব রাসেল, বব মার্লেকে নিয়ে যদি উৎপল শুভ্র কোন ভুল তথ্য বা ব্যখ্যা দিয়েই থাকেন বলে আপনার মনে হয়। নো ওমেন নো ক্রাই সম্পর্কিত গানটির মূল ইতিহাসের ব্যখ্যাটি দিয়েই লেখকের সমালোচনা করা যেত, সেটি না করে আপনি ব্যক্তিগত আক্রমনের পথ বেছে নিয়েছেন। উৎপল শুভ্রের লেখাটি না পড়েই আপনার লেখা পড়ে আমার মনে হয়েছে আপনার ক্ষোভের কারন এই লেখাটি নয়, অন্যকোথাও .....
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সৌরভ এর ছবি

থার্ড আই কি রাসেল ভাইর লেখা আজকে হঠাৎ পড়লেন?
লেখার এই ধারা রাসেল ভাইর নিজস্ব। আর এইজন্যেই তিনি অপূর্ব।

আমি মনে করি না এখানে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

মামুন-উর-রশীদ এর ছবি

লেখার মধ্যে বালছাল. ধন, চ্যাট থাকলে তাকে যে অপূর্ব বলে সেইটা বাংলাদেশের অনেকেরই জানা ছিলো না।
সৌরভ ভাই, থার্ড আই রাসেল ভাই এর লেখা এই প্রথম পড়লো.... কত বড় অন্যায় করেছে থার্ড আই.... থাক থার্ড আইকে বকা দিয়ে দিবো...

রাসেল এর ছবি

জনাব থার্ড আই, আপনার কি মনে হয়েছে লেখাটায় ব্যক্তিগত আক্রোশ রয়েছে? শিরোণাম বাদ দিয়ে একবার নতুন করে পড়ে বলনে, বলে বুঝান ঠিক কোন জায়গাটাতে ব্যক্তিআক্রোশ প্রকাশ পেয়েছে।
আমার যদি কারো সাহিত্য ভালো না লাগে সেটাও কি সুশীলতা মেনে বলতে হবে- না ভালোই হয়েছে, তবে ঠিক আনন্দ পেলুম না, এক কাপ চা দিন, চিনি ৩ চামচ?
ব্যক্তিআক্রমনের তুলনায় আমার বিবেচ্য ছিলো বাংলাদেশের সবাই এই গানের যে অর্থ জানে এই বিশেষণটুকু- সেখানেই আমার প্রশ্ন মূলত- বাংলাদেশের সবাই যেহেতু জানে নো ওমেন নো ক্রাই গানের অর্থ এটা- সেটাও তো কোনো না কোনো ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। আমি গানটা শুনে কিংবা গানের অনুবাদের কোথাও পেলাম না এটার এই অর্থ করা যায়।
কেউ যদি এই অর্থ নির্মাণ করে তবে তার মেধা এবং বিবেচনার প্রতি আমার সংশয়টা যাবে না।
পুনরায় জনাব থার্ড আই- এই অনুপম শব্দযুগল যা নিয়মিত কোনো কারণ এবং উদ্দেশ্য ছাড়াই ব্যবহৃত হয় সেই শব্দ যুগল ব্যক্তি আক্রমন এটার একটা সীমা পরিসীমা এবং সংজ্ঞা জানিয়ে যাবেন, এবং নির্দিষ্ট করে বলে যাবেন এখানে সমালোচনা হয় নি বরং নিখাদ ব্যক্তি আক্রমন হয়েছে।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

মামুন-উর-রশীদ এর ছবি

রাসেল ভাই,
আমি আপনাদের সচলায়তনে নয়া। ভাইজান, এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে উৎপল শুভ্রের চেয়ে ভালো খেলার সংবাদ লিখতে পারে কেউ আছে বলে আমার মনে হয় না। বাংলাদেশের আর কোন ক্রিয়া সাংবাদিক কি আছে যিনি খেলার বাইরে আপনার সমালচনা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে এমন একটি লেখা লিখতে? ভাইজান একজন নিজের এরিয়ার বাইরে একটা কিছু লিখলে তাকে ঘৃনা জানাবেন? চেষ্টা করবেন নাকি একবার- রহমতগজ্ঞ বনাম ফ কিরাপুল এর একটা ফুটবল খেলার রিপোর্ট লেখার?

রাসেল এর ছবি

তার লেখার মাণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছি এটা আমার নিজের পঠনের অভিজ্ঞতা। আর কে এর চেয়ে ভালো রিপোর্ট লেখে? তবে ফকিরাপুল আরামবাগ ম্যাচের ম্যাচ রিপোর্ট লিখলেও যে খুব একটা খারাপ করবো এমনটা আমার মনে হয় না।
উৎপল শুভ্র ছাড়া আরও একজন ক্রীড়া সাংবাদিককে আমি চিনি তাক ক্রীড়া সাংবাদিকতা ব্যতিত অন্য রচনাগুলোর আমি মুগ্ধ পাঠক।
তার নিজের কর্মক্ষেত্রের বাইরে সে রস রচনা লিখেছে সেটা নিয়ে একটা শব্দও আমি উচ্চারণ করি নি- শুধু মতামত জানিয়েছি তার এই রস রচনাগুলো তেমন সুবিধার হয় নি। তবে বব মার্লের বাড়ী শীর্ষক লেখায় একটাই বিষয় আহত করেছে তা হলো তার উপেক্ষা করবার ভঙ্গিটা- একজন মানুষ ক্রিকেটার হবেন না, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সেরা খেলোয়ার হবেন না, সেটা নিয়ে উৎপল শুভ্রের একটা পক্ষপাতিত্ব থাকতে পারে- কিন্তু লেখার ভঙ্গিতে যে অবজ্ঞা ছিলো সেটাই ঘৃণার কারণ। এই অবজ্ঞাটুকু অবহলা করবার মতো উদারতা দেখাতে পারলাম না।
ক্রীড়া জগতের মানুষ না হলেই সে বালছাল এইটা মেনে নিতে আমার আপত্তি আছে- তার বাসভবনে কিছুই দেখবার নেই- তার বাসভবনের তউলনায় তার বাসার সামনের রেস্তোরার মাছ ভাজা ভালো এই অনুভবটুকুকে সম্মান জানিয়েই বলছি আই ফিলড ফাকড আপ। এমন একটা লেখা প্রধান প্রতিবেদন হিসেবে ছাপানোর ধৃষ্টতা করেছে যে সম্পাদক তার রুচির উপরেও ঘৃণা।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

মামুন-উর-রশীদ এর ছবি

সে সম্পাদক প্রধান প্রতিবেদন হিসাবে ঐ লেখা প্রকাশ করেছে তাকেও ঘৃনা?
সম্পাদক বুঝতে পারে নাই, সহজসরল, বোকা, অবুঝ, অশিক্ষিত তো তাই মাফ করে দেন।

রাসেল এর ছবি

সম্পাদকের দায়িত্ব আছে - আলপিনের আরিফের কারণে সুমন সুপান্থ বেচারা দৌড়ের উপরে থাকলো, যদিও এইটাতে তার তেমন কোনো দায় ছিলো না।
এই দায়টা চাপিয়ে দিয়েছিলো প্রথম আলো সংস্থা নিজেই।

উৎপল শুভ্রের উৎকট ভুল কিংবা অশোভনতার দায় কেনো সম্পাদকের ঘাড়ে বর্তাবে না জনাব?

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সুমন সুপান্থ না হে, সুমন্ত আসলাম হইবে হাসি
----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মামুন-উর-রশীদ এর ছবি

সঠিক তথ্যের জন্য ধন্যবাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

মার্লে কি বুঝে গান করলেন আর আপামার জনসাধারন কি বুঝল এটা একটা প্রশ্নের ব্যাপার । তবে গানের একটা সামগ্রিকায়ন থাকে । সেটা নির্ভর করে অধিকাংশ লোক যা বলবে সেটার উপর । সেই ভিত্তিতে শুভ্রর কথাকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না ।
eru

-------------------------------------------------
pause 4 Exam

রাসেল এর ছবি

হ ভাই ঠিক কইছেন, আমার সোনার বাংলা গানটা রবীন্দ্রনাথ যখন লিখছিলেন তখন তার মনে ছিলো আমার ধনের বাংলা চ্যাটের বাংলা- কিন্তু মহামতি রবীন্দ্রনাথ এইটা সোজা ভাষায় কইতে পারেন নাই কারণ তার ভেতরে চরম সুশীল একটা বোধ কাজ করে।
এই অর্থও যদি কেউ কইরা আইন্যা আপনেরে পড়ায় তখন আপ্নে আইয়া আমারে কইয়েন এইসব সামগ্রিকায়নের গল্প।

আর গানটা একটু শুইন্যা লিরিকসটা বুইঝ্যা আমারে জানায়া যাইয়েন আপনে কি বুঝলেন- মাইয়া মানুষ না থাকলে সর্বম সুখম জীবন?

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই ক্ষ্যাপেন ক্যান । লেখক লিখলেন পাঠক বুঝল অন্যটা , গায়ক গাইলেন শ্রোতা শুনল মানে বুঝল অন্যটা ব্যাপারগুলো আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন । বব মার্লের গানটা অনেকই অন্তত আমি যাদের সাথে কথা বলেছি বোঝে মেয়েমানুষ না থাকলেই কোন ক্রাই নাই জীবনে , অনেকটা স্মূথ লাইফ। এখন গায়ক যদি গানের অর্থ ভাষ্ট মেজরিটিকে বোঝতে ব্যর্থ হন তাহলে তো দোষ আপামার জনগনকে দিয়ে লাভ নাই , অনেকটা গিয়ে পড়ে গায়কের উপরেই। নাকি বলেন।
অফলাইন টক: আপনার প্রতিউত্তরের ভাষাটা একটু অসংযত হয়ে গেল না । কষ্ট পেলাম। আরেকটু বোধহয় ভদ্রভাবে বলা যেত।

eru

-------------------------------------------------
pause 4 Exam

অমিত এর ছবি

আমি আপনার সংগে সর্বাংশে সহমত। হালার পো হালা মার্লে, গান্জুট্টি একটা। আরে ব্যাটা গান লিখলেই হইল, লুকজনরে মানে বুঝাইবি না। লুকজন যদি তোর গানের "নো ওম্যান নো ক্রাই" বাদে বাকি লাইনগুলার কিছুই না বোঝে, সেটা কি তাদের দোষ ?? তোর কি উচিত ছিল না, লোকদের বাড়ি বাড়ি যায়া তোর গানের একটা লিরিক্স ধরায় দিতে। এটলিস্ট তোর বাড়ির উল্টাদিকের মাছভাজার দোকানেও তো একটা টাঙ্গায় দিতে পারতি !!

আমি বব মার্লেকে যেন কখনোই সচলের মেম্বর না করা হয়, তার দাবী জানাচ্ছি। হে একটা ভুদাই।

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

নো ওমেন, নো ক্রাই - বলতে জাতি কী বুঝে এমন তত্ত্ব দিয়ে শুভ্র আসলে রসরচনাকে পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট করে ফেলেছে।
ইদানিং রসরচনার দুর্দিন। লেখককে পলিটিক্যাল বিষয়েও সচেতন থাকতে হয়। জাতির কান্ধে দায়টা না তুলে সে এই দায়টা হাসান মাসুদের ঘাড়ে তুলে দিলেই পারতো।
রাসেলের এই সমালোচনা শুভ্রের চোখে পড়লে হয়তো শুভ্র এই প্যাঁচটা এখন বুঝতে পারবে। সবাইকে খুশি রেখে রস করা খুবই কঠিন কর্ম!

নো ওমেন, নো ক্রাই -র ঐরকম একটা অনুবাদ-ধারণা ফাজলামি করেই তৈরি হয়েছে নিশ্চয়ই। তবে আমি কখনও কাউকে এরকম কিছু বলতে শুনিনি।
শুধু প্রথম চরণের আক্ষরিক অনুবাদ করলেও দাঁড়ায়, "না মেয়ে, না কেঁদোনা"।
ক্যাম্নে কী?
-----------------------------------------------
Those who write clearly have readers, those who write obscurely have commentators.--Albert Camus

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

উৎপল শুভ্রের লেখার ভক্ত আমি নই, এবং তার ক্রীড়া সাংবাদিকতার বাইরের লেখালেখি নিয়ে আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে! রাসেল ভাইয়ের লেখাটা দেখে তাই আগ্রহী এবং খুশি হয়েছি তাকে একটা সাইজ দেয়া হয়েছে এরকম চিন্তা করে!
সেটা যাই হোক, মামুন-উর রশীদ এবং ইরুর সাথে আপনার কথোপকথনের ভঙ্গিটা ঠিক মেনে নিতে পারলাম না বস!
একটা জিনিস কি রাসেল ভাই, স্ল্যাং শব্দ ব্যবহার না করেও কিন্তু অনেক কথার উত্তর দেয়া যায়! আর... বব মার্লেকে নিয়ে উল্টাপাল্টা লিখলে আপনার যেরকম মেজাজ খারাপ হয়, উৎপলকে নিয়ে লিখলেও কিন্তু অনেকের খারাপ লাগতে পারে... এটাই স্বাভাবিক! কারণ উৎপল শুভ্র কিন্তু গোলাম আযমের মতো কোনো স্বতঃসিদ্ধ ঘৃণিত ব্যক্তি নন, তার অনেক ভক্ত থাকতেই পারে! ইরু বা মামুন বা থার্ড আই যখন প্রতিবাদ জানিয়েছে, আমি কিন্তু আশা করেছিলাম আপনি খুব শান্তভাবে সেটা হ্যান্ডেল করবেন! কিন্তু আপনি সেটা করেন নি, বরং এমন ভাষায় তাদের সঙ্গে মতামত বিনিময় করেছেন, যেটা আমি ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করতে পারছি না!
এবং আরো একটা ব্যাপার, ইরু বা মামুন কিন্তু এখনো অতিথি... অতিথিদের সঙ্গে আমি অন্তত এরকম ভাষায় কথা বলা উচিত নয় বলেই আমার মনে হয়! অতিথিরা ভদ্র ব্যবহার পাবেন, উৎসাহিত হবেন, আরো বেশি করে লিখবেন সচলায়তনে, এটাই আশা করেন সবাই!
আর... আপনি যে অর্থেই লেখেন... রবীন্দ্রনাথ "আমার ধনের বাংলা" লেখার কথা ভেবেও পরে "আমার সোনার বাংলা" লিখেছেন, এই ধরনের কোনো কথা কিন্তু শুনতে ভালো শোনায় না! জাতীয় সঙ্গীতের ওপর অনেক পাকিস্তানি ভূতের আক্রমণ অহোরহই ঘটেছে, সেই জাতীয় সঙ্গীতটাকে একটু শান্তিতে থাকতে দিন না! স্কুলে পিটি ক্লাসে দাঁড়িয়ে অশুদ্ধ সুর আর উচ্চারণে ঐ গানটা আমরা যতই গেয়ে থাকি না কেন, সেটা আমাদের দেশ, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতারই তো প্রতীক! তাকে নিয়ে টানাটানি কেন? জাতি হিসেবে বাঙ্গালির আজকের এই অবস্থার জন্য আমরাই দায়ী! এই তো আমাদের জাতীয়তা বোধ!
রাসেল ভাই, আমার কথায় কি রাগ করলেন? আমি যা ভালো বুঝলাম বললাম, আপনি ভেবে দেখতে পারেন!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

মামুন-উর-রশীদ এর ছবি

রাসেল ভাই, মৃদুল ভাই,
রাসেল ভাই দয়াকরে মৃদুল ভাইকে ঘৃনা জানাবেন না। মৃদুল ভাই আপনার কাছ থেকে অত্যন্ত আমার অনেক কিছু শেখার আছে- কোন ভাষায়/ কিভাবে লিখলে যা বলতে চাই (হয়ত যাকে বলতে চাই তিনি একমত নন) সেটা বলা হয় কিন্তু দেখতে/ শুনতে খারাপ লাগে না।

জাতীয় সঙ্গীতের উপর অনেক পাকিস্থানি ভুতের আক্রমন অহরহই ঘটছে, সেই জাতীয় সঙ্গীতটাকে একটু শান্তিতে থাকতে দিন না!
--- দারুন বলেছেন মৃদুল ভাই

রাসেল এর ছবি

জনাব মৃদুল আপনার বক্তব্য পড়লাম।
আপনার পছন্দনীয় সুশীল ভঙ্গীতেই প্রত্যুত্তর দেওয়ার ক্ষীণ প্রচেষ্টা এটা।
প্রথমতঃ আমি সুশীল গণ্ডীভুক্ত কেউ না। আমার ভাষার সুশীলতা- অশীলতা নিয়েও আমি বিন্দুমাত্র চিন্তিত থাকি না। উৎপল শুভ্রের সাথে আমার কোনো দ্বন্দ্ব বা ব্যক্তিগত বিদ্বেষের সম্পর্ক নেই। তাই থার্ড আই সাহেবের কথা মানতে আমার আপত্তি আছে।
ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গিয়েই আমি অহেতুক ব্যক্তিআক্রমন করছি এমনটা অনুক্ত অভিযোগ সেখানে ছিলো।
আমার বক্তব্য- কিংবা আমার অশীল প্রত্যুত্তরে আমি জানতে চেয়েছিলাম- আমার ব্যক্তিবিদ্বেষ কিংবা দ্বন্দ্ব কিংবা অন্য যেকোনো কিছু ঠিক লেখাটার কোথায় প্রকাশিত হয়েছে। শিরোণাম দিয়েছি কারণ আমার এই ঘৃণাটা প্রকাশের উপলক্ষ্য শুভ্র।
কেউ যদি নিজের অবস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় সেটা তার নিজের অযোগ্যতা। তার লেখা খেলার রিপোর্টিং বিষয়ে ভাবিত হওয়ার কারণ ছিলো না। খেলা বিষয়ে আমার আগ্রহ দিন দিন কমতে কমতে শূন্যের কোঠায় এখন।
মামুন উর রশিদের উক্তি ছিলো আমি উৎপল শুভ্রের মতো কোনো একটা আরামবাগ ফকিরেরপুল খেলার ভাষ্য লিখতে পারবো কি না। এটা তার নিজস্ব বিবেচনা। আমি গ্রহন করবো কিংবা এটাকে অগ্রহনযোগ্য ভাববো সেই স্বাধীনতাটুকু আমি এখনও রাখি- আমার অন্তত এমনটাই ধারণা।
ম্যাচ রিপোর্ট লেখা, ম্যাচ সামারি দেওয়া, ম্যাচের অনুভব লেখা- এইসব করতে গিয়ে আরও অনেক কিছুই যুক্ত করতে হয়। রিপোর্টিংয়ের সাথে আমি যুক্ত না, কোনো ভাবেই সাংবাদিকতার সাথেও যুক্ত না। কর্দমাক্ত আকাশ আর মেঘাচ্ছন্ন মাঠে গিয়ে বসে থাকার চেষ্টাও করি না তাই।
ইরু নামক অতিথি প্রসঙ্গে যা বলেছিলাম, নো ওমেন নো ক্রাই এই শব্দগুলোর অর্থ কি কি হতে পারে এটা বিবেচনা না করে সম্পূর্ণ গানটা শুনে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর কথা। আমার সোনার বাংলা- এই কয়েকটা শব্দকেও অনেক অর্থ দেওয়া সম্ভব, আমি একটা সাম্ভাব্য অর্থ দিয়েছি- সেটা অগ্রহনযোগ্য কিংবা গ্রহনযোগ্য এটা বিচার করবার চেয়ে খোলস দেখেই ভুলে যাওয়া মানুষটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা
স্বাধীনতা, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এইসব লেবু অনেক চিপা হলো, বেচারা স্বাধীনতার চেতনাকে একটু রেহাই দিন অনুগ্রহ করে, অবিরাম মনস্তাত্বিক এবং দলীয় ধর্ষণে বেচারা মুক্তিযুদ্দের চেতনা মূমুর্ষু প্রায়, তাই এই সব ক্লিশে হয়ে যাওয়ার হাত থেকে আমরাই রক্ষা করি- ইন্টারন্যাশনাল হেরিটেজ বলছে সংরক্ষণের কথা। আমরা একটু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং এই সংক্রান্ত নানাবিধ বাগধারাকে কিছুদিন সংরক্ষণ করেই দেখি অন্য কোনো ভাবে এসব প্রকাশযোগ্য বিবেচিত হতে পারে কি না।
------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

রাসেল, আপনি সুশীল সমাজের অর্ন্তভুক্ত হন আর না হন, সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনার নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ তো আপনার কাছে। সেটার ছাপ আপনার লেখাতেও লেখাতেও পড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। আপনার লেখা ব্লগটির ভাষা বা তার বিষয় নিয়ে তো আমি কোনো কথা বলি নি, আমি বলেছি দুজন অতিথির সঙ্গে আপনার কথা বলার ভঙ্গি নিয়ে... তারা নতুন এবং আপনার চিন্তাধারার সঙ্গে তাদের কোনো পরিচয় নেই, তাদের সাথে সুশীল হয়ে কথা বলতে না পারার মধ্যে যদি গর্বিত হওয়ার কোনো বিষয় থাকে, তাহলে আমার বলার কিছু নেই!
আর... দেশ-জাতি-সংস্কৃতি এগুলো নিয়ে বুলি কপচানো যেমন ক্লিশে, সেরকমই নিজের দেশ-জাতি-সংস্কৃতির প্রসঙ্গে এলে দুটো খিস্তি কিংবা নৈরাশ্যবাদি কমেন্ট করাও কিন্তু ক্লিশে, সেটাও জানেন বোধহয়!
ধন্যবাদ আপনাকে।
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

বজলুর রহমান এর ছবি

খুব ছোট বেলায় "কমায় প্রাণ বাঁচালো " শীর্ষনামে এক গল্প পড়েছিলাম যা অনেকটা এরকম ছিলঃ রাজার কাছে আসামীর দন্ডের চুড়ান্ত রায় অনুমোদনের জন্য আসার পরে অন্যমনস্ক রাজা "ক্ষমা নয়, ফাঁসী"র ওপরে কলম নাড়া চাড়া করে লিখে দিয়েছিলেন "ক্ষমা, নয় ফাঁসী' (তাঁর ভাষায়) । অন্তর্জালে এখন আরেকটি কৌতুক দেখলাম ঃ Let's eat, grandpa। কমাসুদ্ধ এবং কমা ছাড়া।

যেহেতু গানটি আগে বহুবার শুনে আকৃষ্ট হয়েছিলাম উইকিতে এবার গিয়ে দেখলাম শিরোনামঃ No woman, no cry. যা সত্যিই দ্ব্যার্থক, বাকিটা না শুনলে। অন্যত্র পুরো লিরিক পেলামঃ
No, woman, no cry;
No, woman, no cry;
No, woman, no cry;
No, woman, no cry.

'Cause - 'cause - 'cause I remember when a we used to sit
In a government yard in Trenchtown,
Oba - obaserving the 'ypocrites - yeah! -
Mingle with the good people we meet, yeah!
Good friends we have, oh, good friends we have lost
Along the way, yeah!
In this great future, you can't forget your past;
So dry your tears, I seh. Yeah!

No, woman, no cry;
No, woman, no cry. Eh, yeah!
A little darlin', don't shed no tears:
No, woman, no cry. Eh!

Said - said - said I remember when we used to sit
In the government yard in Trenchtown, yeah!
And then Georgie would make the fire lights,
I seh, logwood burnin' through the nights, yeah!
Then we would cook cornmeal porridge, say,
Of which I'll share with you, yeah!
My feet is my only carriage
And so I've got to push on through.
Oh, while I'm gone,
Everything's gonna be all right!
Everything's gonna be all right!
Everything's gonna be all right, yeah!
Everything's gonna be all right!
Everything's gonna be all right-a!
Everything's gonna be all right!
Everything's gonna be all right, yeah!
Everything's gonna be all right!

So no, woman, no cry;
No, woman, no cry.
I seh, O little - O little darlin', don't shed no tears;
No, woman, no cry, eh.

No, woman - no, woman - no, woman, no cry;
No, woman, no cry.
One more time I got to say:
O little - little darlin', please don't shed no tears;
No, woman, no cry.

হাসান মোরশেদ এর ছবি

দুঃখিনী দুঃখ করোনা,দুঃখিনী
চেয়ে দেখো ঐ উঠেছে নতনু সূর্য,
পথে পথে রাজপথে আলোর মিছিল ।।

আমার কাছে তো বরং এইটা বেশী সমার্থক মনে হইলো । অথবা সাবিনা ইয়াসমীন এর গাওয়া একটা দেশাত্নবোধক গানের লাইন ' চোখ থেকে মুছে ফেলো অশ্রুধারা' এইরকম কিছু একটা ।

উৎপল মিয়ারে মাফ কইরা দেন সবাই মিলে । ইংরেজী গান শুনা ফ্যাশন,শুনছে । পয়লা লাইন ধরতে পারছে খালি ' নো ওমেন ,নো ক্রাই' এইটারে মানে বানাইছে ' নারী নাই তো কান্না নাই' । ভেতরে যে আরো মাল-মশলা আছে,শুভ্র বাবু সেইটা ঠাহর করতে পারে নাই ।

----x----
...অথবা সময় ছিলো;আমারই অস্তিত্ব ছিলোনা

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।