আবঝাব

রাসেল এর ছবি
লিখেছেন রাসেল (তারিখ: শনি, ৩১/০৫/২০০৮ - ২:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঝে মাঝে সংবাদপত্রের চিকিৎসাপাতা পড়ি। চিকিৎসা পাতা পড়ে নিজের রোগ নির্ণয়জাতীয় কোনো কিছু করবার দুর্মতি যেনো না হয় সেটা নিশ্চিত করবার জন্য সব সময় স্মরণে রাখি জেরাম কে জেরামের বিখ্যাত বর্ণনা।

আমি যখন পড়া শুরু করলাম তখন আমি চাঙ্গা সুস্থ একজন মানুষ ছিলাম ,যখন শেষ করে বের হলাম তখন আমি নানাবিধ রোগগ্রস্থ এক মানুষ। সঠিক মনে নেই বর্ণনাটা কেমন ছিলো। তবে সেখানে রসিয়ে বর্ণনা করা আছে রোগ নির্ণয় পড়লে সাথে সাথেই সেই রোগের একটা না একটা উপসর্গ নিজের ভেতরে লক্ষ্য করা যায়। এবং সকল রোগের সাধারণ উপসর্গুলোতে চমৎকার মিলমিশ। সুতরাং নিজেকে রোগী কল্পনা করতে হলেও নিতান্ত সঙ্গমবিহীন জীবন যাপন করে কাউকে রক্ত না দিয়েও নিজেকে এইডসের রুগী ভাবা সম্ভব।

পরামর্শ এবং পরামর্শ দেওয়া ভঙ্গি বুঝতে আমি নিয়মিত মানসিক সমস্যার সমাধান পড়ি, দাঁতের সমস্যার সমাধান পড়ি, পড়ি চর্ম রোগের সমস্যার কথা। এবং একটা কথাই মাথায় ঘুরে চর্ম যৌন ও সেক্স রোগ বিশেষজ্ঞ শব্দটা কেনো ব্যবহার করা হয়। একটা যুক্তি আমার নিজের আছে- যৌন রোগ সম্ভবত যৌন অক্ষমতা, অতিরিক্ত রেতঃপাত জাতীয় সমস্যা- অতিরিক্ত ব্যবহারে নিস্তেজ ন্যুজ্ব মেরুদন্ড, বিয়ে করতে ভয় পাচ্ছেন, জীবনে হতাশা- স্ত্রী সঙ্গ করতে বিব্রত বোধ করেন- আরও অনেক কিছুই আছে এই তালিকায়- এটা যৌন রোগ সম্পর্কিত বিষয়।

আর সেক্স রোগ বিশেষজ্ঞ হয়তো যৌসম্পর্ক বাহিত রোগ সমুহ, সিফিলিস, গনেরিয়া, এসটিডির সম্পূর্ণটাই এর আওতায় পড়বে। অনুমাণ মিথ্যাও হতে পারে। ক্ষতি নেই।

মানবজমিনে নিয়মিত এইসব দুর্বলতা কাটিয়ে ঘোড়ার মতো বলিষ্ঠ দাম্পত্য জীবনের আশ্বাস দেওয়া থাকে। ঘোড়াদের কি দাম্পত্য সম্পর্ক হয়? ঘোড়া যে বলিষ্ঠ এটাই বা বিজ্ঞাপন দাতা নিশ্চিত হলো কিভাবে?

যাই হোক এইসব রোগের বিবরণ এবং পরামর্শ মনে রাখাতেই সুখ। সৈন্দর্য বিষয়ক স্বাস্থ্য উপদেশ কসমেটিক সার্জারি এবং রুপসচেতন মানুষের যা যা করা প্রয়োজন, আমার উচ্চতা ৫ ফুট ইঞ্চি, বয়েস বছর, মেয়েদের সামনে দাঁড়াতে পারি না, লজ্জা লাগে, আত্মবিশ্বাস নেই- কিভাবে লম্বা হবো? কি রকম পোশাক পড়বো? আমি অতিরিক্ত মোটা, কি করলে শুকাবো?

আমি অতিরিক্ত শুকনো, তবে কোনো বদভ্যাস নেই, সহজ বাংলায় আমি শুকনো ঠিকই তবে অতিব্যবহারে আমার যন্ত্র জীর্ণ হয়ে যায় নি। কিভাবে মোটা হবো? নিজের একটা বাস্তব ঘটনা বলে নেই এই অবসরে।

আমি তালপাতার সেপাই। নেশা করারও উৎসাহ ছিলো একটা সময়। ঘটনাটা এইচএসসি পড়বার সময়ের। তখন উঠতি বয়েসে অনেক কিছুই ভালো লাগতো। নেশা করাটাও একটা ফ্যাশনের পর্যায়ে পড়তো তখন। ট্যাবলেট ফেন্সিডিল গাঁজা সহজলভ্য- এ সবের নিয়মিত হাতছানিও ছিলো। তবে নেশাসক্ত ছিলাম না, হোগার প্যান্ট বেঁচে নেশা করতে হবে কিংবা হোগা বেঁচে নেশা করতে হবে এই পর্যায়ে যাওয়ার আগেই ফিরে আসেছি।

তখন মাঝে মাঝেই দাদা বাসায় গিয়ে দাদার সাথে থাকতাম। এমনই এক দিনের কথা। সন্ধ্যা বেলার আড্ডা শেষে দাদা বাসায় গেলাম। রাতে দাদার সাথে কথা হচ্ছে। দাদা গুটুর গুটুর করে গল্প করে, আমার শখ দাদার হেমিওপ্যাথির শিশি থেকে চিনির গোল্লা আর রেকটিফাইড স্পিরিট খাওয়া। দাদার হাতে বানানো আঁচার খাওয়া। এইসব নিত্যকর্ম করবার ফাঁকেই দাদা বললো ,

বুঝলে দাদা এইসব একবার করলে একটা চড়ুই পাখীর রক্তের সমান রক্ত পানি হয়ে যায়।
আমি তখন কেবল আঁচারের সাথে বীট লবন মাখিয়ে মুখে দিয়েছি। তাকালাম দাদার দিকে, আঁচার খাওয়া নিয়ে একটা আবেগঘন বক্তব্য দেওয়ার আশায়- পরবর্তী বক্তব্য আরও বিভ্রান্ত করলো
এইসব ছেড়ে দাও, শরীর দুর্বল হবে।

কিছুক্ষণ তাকিয়ে উললব্ধি করলাম আসলে আঁচার কিংবা নেশা বিষয়ে বক্তব্য না এটা। দাদার সন্দেহ অন্য দিকে। নিশ্চিত হওয়ার পরে মনে হলো আমাদের অগ্রজেরা নিতান্তই অশ্লীল মানুষ। তারা কার সাথে কি কথা বলতে হবে বুঝে না, অশালীন রসিকতা করে।
আমিও একটা রসিকতা করে বললাম, দাদা আসলে দুশ্চিন্তার শুকায়া যাচ্ছি।

কিসের চিন্তা তোর?

না একজনকে পছন্দ করি ।
ওকে বিয়ে করবি?

হুমম]
দাদাও দেখছি বলে চুপ।

কয়েক দিন পরে আড্ডা দিতে বের হবো, আম্মা হঠাৎ করেই থামালো-
তোর বিয়ে করবার ইচ্ছা এইটা আমাদের বললেই হতো। উকিল ধরলি কেনো?
আমি আকাশ পাতাল ভেঙে পড়লাম। সামনে পরীক্ষা, মারা খাওয়ার ভয়ে কুত্তা পাগল অবস্থা, এর ভেতরে বিয়ে নিয়ে উৎসাহ ঘটনা কি?

বললাম, কে বললো তোমাকে?

তোর দাদা আসছিলো, বলে গেলো।
ও আচ্ছা ঠিক আছে আসে কথা বলবো।
ঘটনার ইতি এখানে হয়ে গেলেই ভালো হতো। রাতে বাসায় ফিরেছি ঘড়ি ধরে ১১টা ৫০এ। দেখি আব্বা বসে আছে ঘরে।
কি খবর আব্বু?
খবর ভালো। কোনো দরকার ?
নাহ তুমি নাকি বিয়ে করবে, তোমার দাদা বলে গেলো।

আমি কি বলবো? বললাম আসলে দাদার সাথে একটু রসিকতা করলাম, বেচারা বুঝে নি, ভাবছে সিরিয়াস। যাই হোক আমি দাদাকে বলে দিবো।
আব্বাও হেসে ও আচ্ছা বলে চলে গেলো।

যাই হোক এই শাররীক সৈন্দর্য্য বিষয়ক সচেতনতা বর্তমানে অনেক বদলেছে। বাংলাদেশের ছেলেরা এখন নিয়মিত ফেসিয়াল করছে, নখ কাটাচ্ছে , নখ পলিশ করছে।নানাবিধ সৈন্দর্য্য সচেতন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করছে এইসব পুরুষ যাদের আমি খুব সহজেই মাইগ্যা পুরুষ বলি।
বাংলাদেশে ফ্যাশন ম্যাগাজিন বের হয়, সেটার সার্কুলেশন ২০০০ কপির উপরে/ বাংলাদেশে অন্তত ২০০০ মানুষ আছে যারা এইসব বালছাল করে। পূঁজিবাদ , সবই পূঁজিবাদ।

যাই হোক এই সময়ের দাবিতেই পত্রিকা আর সংবাদপত্রে রুপসচেতনতা কলাম এবং উপদেশ নিয়মিত ছাপা হয়। কোন ড্রেস পড়বেন, গরম কালে কি পড়বেন, শীতের সময়ের ফ্যাশন, কিভাবে চুল ছাটাবেন , কোথায় ছাটাবেন, কন্টাক লেন্স ব্যবহারের সুবিধা অসুবিধা।

এমনই সব উপদেশময় পরামর্শ পাতায় কসমেটিক সার্জারি বিশেষজ্ঞের কাছে একজন উপদেশ চেয়েছেন ব্রেস্ট রিডাকশন অপারেশন সম্পর্কে জানতে চেয়ে। বাংলাদেশের কিছু মেয়ে বিশাল বক্ষা বললে ভুল হবে, তাদের কোনো শিরোণামে আনা যায় না। বরং বলতে হয় তাদের বক্ষের আকৃতি এমন চোখের উপরে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে সেটা।
পরামর্শ পড়ে আরও অবাক হলাম, এটা নেহায়েত একজনের সমস্যা নয়, অনেকেই এই প্রক্রিয়ায় বিশাল বক্ষা নারী থেকে সুন্দর আকর্ষনীয়া কাঠামোতে ফিরে গেছেন ব্রেস্ট রিডাকশন অপারেশন করে। অপারেশন করতে সময় লাগে কম, মাত্র এক দিনের মামলা, খুব বেশী পরিশ্রম নেই- কাঁটাছেড়া কম।
সমস্যা নানাবিধ, বক্ষপ্রদেশ বড় এবং বৃহৎ হলে সেটা পিঠের মাংশপেশীর উপরে চাপ বাড়ায়, ফলে পিঠ ব্যাথা করে। শুধু আমাদের চোখের উপরেই হামলা নয়, আপন মাংস হরিণ বৈরী কথাটার স্বার্থকতা আছে। বিশাল বক্ষ শুধু পুরুষের ক্ষতি করে না অনেক সময় সেটা যে বহন করছে তারও ক্ষতির কারণ হয়।

মনে পড়লো কোনো এক স্ট্রিপ টিজ বারে স্তনের ধাক্কায় একজনের নাক ভেঙে গিয়েছিলো, আর অন্য একজন দুর্ভাগার কথাও মনে পড়লো, বেচারার শখ ছিলো স্ত্রীর স্তনকে বালিশ বানিয়ে ঘুমানোর। ঘুমের ভেতরেই স্তনের চাপে বেচার দমবদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করে। তার স্ত্রীর আক্ষেপ দেখে খুব কষ্ট পেয়েছিলাম উঠতি বয়েসে। উঠতি বয়েসে অনেক কিছু নিয়েই কষ্ট পেয়েছি, ভেবে দেখলাম।

তখনই বাংলা ছবির নায়িকাদের কথা ভেবে খারাপ লাগলো। শালার বাংলাদেশের দর্শক, হুমায়ুন আজাদের কথা মেনে নিলে নিরন্ন বাংলাদেশী নিজেরা খেতে পায় না, বাসায় বৌয়ের শরীরে ক'খানা হাড়ই সম্বল, তাই তারা হৃষ্টপুষ্ট নায়িকা দেখে চোখের সুখ খুঁজে।

তবে কদিন আগে বাসে যে রকম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখমুখি হলাম তার সম্পূর্ন দায়ভার আমি চাপিয়ে দিবো বিশেষ মলম কোম্পানির উপরে। বাসের ভেতরের ভীড়ে কোনো মতে বসে থাকা যায়। সীটে বসে আছি, লোকও উঠেছে বিস্তর, এমনিতেই লোকেদের গায়ে ঘেষাঘেষি খুব একটা উপভোগ করি না, তাই পাশের লোকের স্পর্শ্ব বাঁচিয়ে সাবধানে বসে আছি। একটা স্টপেজে বাস থামলো, অনেকগুলো মানুষ উঠলো। সীট খালি নেই, বাসের ভেতরে লোক দাঁড়ানো, আমার পাশেও একজন দাঁড়ানো।

পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং বীভৎস দুঃস্বপ্ন বোধ হয় এটাই শুরু। আমার অবস্থাটা চিন্তা করলেও এখনও ঘামছি। বাসের ভেতরে চরম ভীড় ,আমার পাশে দাঁড়ানো মানুষের উদ্যত শিশ্ন সারাক্ষণ ঘাড়ের দরজায় টোকা দিচ্ছে। আমি নিজের ভেতরে গুটিয়ে যেতে পারলে ভালো হতো, কিংবা যদি কোনো এক মন্ত্রবলে জানালা ধরে স্পাইডার ম্যানের মতো ঝুলে থাকতে পারতাম ভালো হতো।

সেটা সম্ভব না, বাস চলছে, নড়বার উপায় নেই, তার উপরে ঢাকা শহরের রাস্তা, টলোমলো লোকটা সমানে কড়া লাড়ছে ঘাড়ের দরজায়, আমি দরজা খুলার সাহস পাচ্ছি না। সামনের স্টপেজে বাসের ভীড় কমলো, বিশেষ কোম্পানীর মলম লাগানো ভাইটিও অন্য একটা সীট খুঁজে পেলো। আমি যতদ্রুত সম্ভব বাস ছেড়ে ভাগলাম

যদিও আমার গন্তব্য দুরে ছিলো, তবে এখন বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বাস নেই ।


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

বাংলাদেশের ছেলেরা এখন নিয়মিত ফেসিয়াল করছে, নখ কাটাচ্ছে , নখ পলিশ করছে।

সব্বোনাশ! এই অবস্থা কবে থেকে?


কি মাঝি? ডরাইলা?

রাসেল এর ছবি

ভাইরে ছেলেদের জন্য আলাদা রুপচর্চাকেন্দ্র হইছে, সেইখানে লাইন দিয়া ঢুকা লাগে। পারসোনা ফারসোনা কি কি জানি ফ্যাশন ইন্সটিটিউট হইছে। আমার পরিচিত কিছু পোলা কইছে জীবনে একবার সব পোলাই নাকি ফেসিয়াল করে, তার বিয়ার দিন।
আমি শুইন্যা টাসকি। শালার বিয়াটাও নিয়ম মাইন্যা করতে পারলাম না।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

দ্রোহী এর ছবি

শালার বিয়াটাও নিয়ম মাইন্যা করতে পারলাম না।

আয় হায়! আমিও দেখি একই ভুল করছি!!


কি মাঝি? ডরাইলা?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি যতদূর জানি, আমার বাপে তার বিয়ার দিন এই কাজ করে নাই । তাইলে আমার বাপ মনে হয় 'পোলা' ছিল না বিয়ের সময় । পুরোদস্তুর পুরুষ হয়েগিয়েছিল হাসি

-এনকিদু

অমিত এর ছবি

শেষপর্যন্ত এই জিনিসের গুতা খাইতে হল আপনেরে। কপাল!

হিমু এর ছবি

আপনার দুই কান্ধে কিরামান কাতেবিনদের খোঁজ নেন। বলা যায় না, দুইজনই হয়তো আমলনামা দিয়ে পেছনে ব্যান্ডেজ বেঁধে রেখেছে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অমিত এর ছবি

ফরজ গোসল দিতারে

দ্রোহী এর ছবি

রাসেল লিখেছেন:
পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয়াবহ এবং বীভৎস দুঃস্বপ্ন বোধ হয় এটাই শুরু। আমার অবস্থাটা চিন্তা করলেও এখনও ঘামছি। বাসের ভেতরে চরম ভীড় ,আমার পাশে দাঁড়ানো মানুষের উদ্যত শিশ্ন সারাক্ষণ ঘাড়ের দরজায় টোকা দিচ্ছে। আমি নিজের ভেতরে গুটিয়ে যেতে পারলে ভালো হতো, কিংবা যদি কোনো এক মন্ত্রবলে জানালা ধরে স্পাইডার ম্যানের মতো ঝুলে থাকতে পারতাম ভালো হতো।

সেটা সম্ভব না, বাস চলছে, নড়বার উপায় নেই, তার উপরে ঢাকা শহরের রাস্তা, টলোমলো লোকটা সমানে কড়া লাড়ছে ঘাড়ের দরজায়, আমি দরজা খুলার সাহস পাচ্ছি না। সামনের স্টপেজে বাসের ভীড় কমলো, বিশেষ কোম্পানীর মলম লাগানো ভাইটিও অন্য একটা সীট খুঁজে পেলো। আমি যতদ্রুত সম্ভব বাস ছেড়ে ভাগলাম

মিরপুর ১ নাম্বার থেকে বাসে উঠেছি আমরা চারজন। গন্তব্য নিউ মার্কেট। চারজনই সৌভাগ্যক্রমে সিট পেয়েছি। বাস কলেজ গেইট পর্যন্ত এসে ভরে টইটম্বুর অবস্থা। তিল ধারণের জায়গা পর্যন্ত নেই বাসে।

হঠাৎ শুনি দুই সিট পেছনে বসা মাসুদ চিল্লাছে, "ওই মিয়া! ধোন সামলান!"

পেছনে ফিরে দেখি মধ্যবয়সী এক লোক মাসুদের ঝাড়ি খেয়ে কুঁকড়ে গেছে। বিষয়বস্তু যা সেটা রাসেল ভাইয়ের গল্পের উদ্ধৃতিটুকু পড়লেই বুঝবেন।


কি মাঝি? ডরাইলা?

পুতুল এর ছবি

হা হা হা! লে ঠেলা সামলা, এবার হাসি থামানোর দাওয়াই দেন!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বাহ্... আপনে দেখি অপরের যন্ত্র কাঁধে বহন করে বেড়াচ্ছেন আজকাল...
সাধু সাধু...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

স্পর্শ এর ছবি

হা হা হা!! হাসতেই আছি!! পার্ফেক্ট আব্‌জাব! তবে 'এইসব' নিয়ে আপনার গবেষণার মান প্রশংসণীয়। চোখ টিপি
আর বুইড়া মানুষ রা আসলেই এইসব জিজ্ঞেস করে। আপনার দাদার মত।
দম বন্ধ হয়ে মরার খবর টা আমিও পড়েছিলাম। অই মহিলা নাকি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ধারি !!! তবে বাংলাদেশের মেয়েরা যে রিডাকশন ফর্মুলা ধরছে এই খবর নতুন পাইলাম আপ্নার কাছে। আমিতো আরো সিলিকোন মিলিকোণ কি সব জানি শুছিলাম। পামেলা আন্ডারসন সম্পর্কে!! সে অবশ্য বিদেশী। খাইছে
[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍নানাবিধ সৈন্দর্য্য সচেতন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করছে এইসব পুরুষ যাদের আমি খুব সহজেই মাইগ্যা পুরুষ বলি।

হো হো হো

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।