শাহী মসলিন কাশ্মীরি লুঙ্গি এবং অন্যান্য অভিজ্ঞতা- আমার সপ্তাহান্ত যাপন

রাসেল এর ছবি
লিখেছেন রাসেল (তারিখ: রবি, ০১/০৬/২০০৮ - ৬:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভাবছি চর্ম যৌন ও সেক্স রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাবো। মোবাইল ভীষণ সমস্যা করছে, একটু গরম হলেই চার্জ নাই হয়ে যায়।

আমি প্রযুক্তির মানুষ না, বরং প্রযুক্তি এড়িয়েই চলতে চাই সব সময়। নেহায়েত সম্ভব হয় না বলেই মাঝে মাঝে প্রাযুক্তিক দুর্বিপাকে পড়ে যাই। প্রথম প্রথম যখন মানুষ ১২ হাজার ১৪ হাজার খরচ করে মোবাইল কিনলো তখনও আমি মোবাইল না রাখার পক্ষে ছিলাম। অবশ্য তখন ট্যাকের জোরও ছিলো না তেমন।

মোবাইলবিহীন জীবনে তেমন সমস্যা হয় নি, যার সাথে প্রেম ছিলো তারও মোবাইল ছিলো না, সুতরাং নিশি রাইতে আলাপনের কোনো পরিবেশ নেই, হঠাৎ হঠাৎ মনটা কেমন করে উঠলো তোমার কথা ভেবে- এইসব ভাববিলাসিতারও সুযোগ নেই।

তবে গত বছর হঠাৎ করেই একটা মোবাইল উপহার পেলাম। বিশাল হৃদয় পিয়াল ভাই আমাকে একটা মোবাইল সেট সিম সহ উপহার দেওয়ার পরে সেটাই আমার সংযোগ ঠিকানা হয়ে গেলো। মোবাইলের উপকারিতা বুঝলাম আরও পরে। সেটাও হঠাৎ করে হারিয়ে গেলো একদিন, এরপরে অন্য একবন্ধু একটা সেট উপহার দিলো। সেটা নিয়েই চলছিলাম। ভালোই চলছিলো, কথা বলা ছাড়া অন্য কোনো কাজে লাগতো না।

এভাবেই বছর গেলো। আমার সেটও বৃদ্ধ হলো। এখন তার ভীষণ সমস্যা। এই সমস্যা আক্রান্ত সেট নিয়ে বিব্রত নই। তবে হঠাৎ হঠাৎ গরম হয়ে গেলেই সেট নিজেই বেঁকে বসে। বয়েসের ভার সামলাতে পারছে না এখন।

সমস্যাটা উদ্ভট। হয়তো প্রথমে ডিসপ্লেটা উল্টে পাল্টে যায়। তার পর সেটা কালো হয়, এবং এক সময় ভ্যানিশিং ক্রীম মেখে সম্পূর্ন ডিসপ্লেই অদৃশ্য হয়ে যায়। কিছুক্ষণ সময় দিলে যদি উত্তেজনা প্রশমিত হয় তবে মোবাইল আবার ফাংশনাল হয়ে উঠে।

যাই হোক বন্ধু এবং সুহৃদদের পরামর্শ, ভাই আপনার মোবাইলের ব্যাটারিতে সমস্যা- ব্যাটারি ডাউন হলে মোবাইল এমন করে। এইসব শুনে একদিন মোবাইলটা খুললাম। মানে মোবাইলের পেছন দিক খুললাম, খুলে দেখি মোবাইলের ব্যাটারি গর্ভবতী হয়েছে। পেট ফুলে আছে বেচারার। কিভাবে হলো জানি না। মেকানিক পরামর্শ দিলো ব্যাটারি বদল করার, মেনে নিলাম।
ব্যাটারি বদল হলো, তবে সমস্যা বদলালো না। এখনও ৫ মিনিট কথা বললে মোবাইলকে কিছুক্ষণ ঠান্ডা হওয়ার সময় দিতে হয়। আপাতত চর্মযৌন ও সেক্স রোগ বিশেষজ্ঞরাই ভরসা।

এর ভেতরে নতুন উৎপাত হলো বাসায় বিয়ে উপলক্ষে মানুষের ভীড় বেড়েছে। প্রচন্ড মানুষের ভীড়। আমার খালাতো বোনের বিয়ে, সেখানে যাবে সবাই, সাব স্টেশন আমার বাসা। প্রথম দিন আসলো আমার খালু। বেচারা রাজনীতিবিদ। সম্ভবত এবার সংসদ নির্বাচনে দাঁড়ানোর দেন দরবারও করবেন তিনি। রাজনীতিবিদদের মতো তার গলাও অনেক চড়া।

অনেক রাতে ঘুমাতে গিয়ে যখন ঘুম ভাঙলো কলিংবেলের কর্কশ শব্দে তখন মোবাইলের ডিসপ্লে বলে কিছু নেই। মানে আবারও বেচারা বিগড়ে গেছে। তাই উঠে দেয়াল ঘড়িতে সময় দেখলাম, কোন উজবুক শালার এই ৬টা ২০ এ কলিং বাজায়।
ভালো আছেন, ভালো আছি, ইত্যকার সম্ভাষন শেষে আসলেই আমার মুখে কুলুপ আঁটে । এর বেশী সামাজিকতা করতে পারি না আমি। এরপরে শুরু হলো যন্ত্রনা। বেচারা কিছুক্ষণের মধ্যেই তার উপস্থিতি জানিয়ে দিলো আশেপাশের ১০টা বাসায়। আমি কানের উপরে বালিশ চাপা দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করে দেখলাম এই শব্দ আটকানোর ক্ষমতা নেই বালিশের।

কোনো এক অজানা কারণে রাজনীতিবিদেরা অন্য সবাইকে শ্রবণপ্রতিবন্ধী ভাবতে পছন্দ করে, তাই মৃদু সম্ভাষণ বলে কোনো শব্দ নেই তাদের অভিধানে। সদ্য ঘুম ভাঙা বিস্ময়ে দেখলাম আম্মাকে খালু সম্বোধন করছে কেমন আছেন আপা। এমন বাজখাই গলায় কবরের মুর্দা পর্যন্ত ভয়ে পেশাব করে কাফন ভিজিয়ে ফেলবে । ঘুমের হাল- পাল- গালুই -আশা সব ছেড়ে উঠে বসলাম , কিংবা বাধ্য হলাম। আমার ছেলেও উঠে পড়েছে। আর সকালে ঘুম ভাঙলেই অধম বাবার কথা তার মনে পড়ে।
সেও উপস্থিত সভায়। ঠোঁটের কোণে হাসি। এই হাসির জন্য হাসতে হাসতে মরে যাওয়া যায়। এসেই বুকের উপরে ঝাপিয়ে পড়লো। তার পর তার দাবি লাফাও। ঘুম কাটে নি ঠিক মতো এখনও এরপরেও দাবি দাওয়া মেনে বিছানায় লাফাতে হবে, সে কিছুক্ষণ ঘাড়ে নাক ঘষবে, কিছুক্ষণ চুল ধরে টানবে, এরপরে গালে গাল লাগিয়ে শুয়ে থাকবে।

সকাল বেলা উঠে ইদানিং প্রথমেই গোসল করতে যেতে হয়, সারা রাতের গরমে আর ঘামে চিটচিটে হয়ে থাকে সম্পূর্ণ শরীর। তবে আজ সে সৌভাগ্য কখন হবে জানি না। রাজনীতিবিদেরা ত্যাগ করতে জানেন না। ত্যাগী রাজনীতিবিদদের জন্য আমরা সবাই প্রতীক্ষা করছি ইদানিং। আমার রাজনীতিবিদ খালুও ত্যাগী নন, তার ভীষণ রকম কোষ্টকাঠিন্যের ব্যধি। আপাতত মুখ শুকনো করে বসে বসে ছেলের আদর উপভোগ করি।

অনেক অনেক অপেক্ষার পরে অবশেষে কলাঙ্গনে প্রবেশের সুযোগ হলো। যাওয়ার পরে আবার বাধা। ছেলের নতুন স্বভাব হয়েছে বাথরুমে ঢুকবার আগে তাকে অনেকক্ষণ বিদায় সম্ভাষণ জানাতে হয়। তাই বাথরুমের দরজায় দাঁড়িয়ে তাকে আদর দিতে হয়, সে গালে চুমু দেয়, তার গালে চুমি দিতে হয় আমাকে, সে গলা জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, আমিও তার গলা জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। তারপর বাই বাই, সি ইউ, আবার দেখা হবে আল্লাহ হাফেজ, আবার আসবেন- এরপরে টা টা করে হাত নাড়িয়ে সে বিদায় দিলে প্রাতকৃত্যাদি শুরু করবার অবসর পাই।

আসবার পর থেকেই মনে হচ্ছে তারা আমার ঘাড়ের উপরে চেপে বসে আছে। আমার দিবানিশি অনন্ত প্রার্থনা, তারা কখন যাবে? যায় না কেনো? বাবা সাবস্টেশন ছেড়ে মেইন স্টেশনে যাও। বলতেও পারি না। আমার মায়ের আবার টান বেশী। আত্মীয় স্বজনের প্রতি তার টান এবং দেশের বাড়ীর খবর জানবার আগ্রহে পানি ঢালতেও পারি না।

মরার উপরে খড়ার ঘাঁ। রাতে শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন ফোন করে জানালো তারাও আসবে। আমি আনন্দে আটখানা হয়ে গেলাম। বাসায় কথার জ্বালায় টিকতে পারি না, সিঁড়ির চিপায় গিয়ে সিগারেট জ্বালাই আর অরুপ রতনের গুষ্ঠি উদ্ধার করি। শালার ব্যাটা সিগারেটের ট্যাক্স বাড়াতে চায়। সিগারেটে ক্যান্সার হয়, এই হয় সেই হয়। অধুমপয়ীকে সিগারেটের মাহত্ম বর্ণনা করে তাদের বোধগম্যতায় এটা নিয়ে আসা আস্তিক নাস্তিক বিবাদের তুলনায় কঠিন।

যাই হোক দেশব্যাপী সিগারেট বিরোধী একটা পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তারা। কেনো চাইছে তাই বুঝি না। এখনও শুধুমাত্র পরিসংখ্যান ছাড়া নিশ্চিত বলা যায় নি ধুমপানই অন্যসব রোগের একমাত্র কারণ। হৃদরোগের জন্য ধুমপান একটা কারণ তবে সবচেয়ে বড় কারণ খাদ্যাভাস, এবং এর পরে স্ট্রেস লোড।

বাংলাদেশে বসবাস করা মানে খাদ্যে ভেজাল, খাদ্যের ভেজালের সাথে স্ট্রেসের পরিমাণটাও অপরিমীত। হৃদরোগ ঠেকাতে গিয়ে অন্যসব সামাজিক প্রভাব বদল না করে আধুনিক ভাইয়েরা কেনো সিগারেটের ট্যাক্স বাড়িয়ে আমার স্ট্রেস বাড়িয়ে দিতে চান তাই বুঝি না।

কিন্তু এইসব মহৎ ভাবনা ভাববার উপায় নেই, আমার সামনের বাসার পরের বাসায় যারা থাকে তারা শ্রবণপ্রতিবন্ধী। তারা সম্পূর্ণ এলাকাবাসীকে জানাতে চায় তার আজ কি ছবি দেখছে? কি নাটক দেখেছিলো তারা? কিংবা কোন টকশোতে তারা আগ্রহ বোধ করে। আমি ফুঁসতে ফুঁসতে ফেরত আসি ঘরে। বাসায় রাজনীতিবিদ খালু তার গল্পের ঝুলি খুলে বসেছেন। বাইরে শ্রবণপ্রতিবন্ধী প্রতিবেশী।
আমি ভেতর বাহির করি।

পরদিন সকালেও একই নিয়মে ঘুম ভাঙলো, সকালে উঠেই খালু পেপার পড়ছেন, পেপার পরেই পেপার পড়ছেন মনে হয়। তার বুকের উপরে বিছানো মাঝের পাতা। হাতের একপাশে এলিয়ে পড়ে আছে প্রথম পাতা শিরোণামসহ। আর তার হাতে বিশেষ সাময়িকি। সেটা দিয়ে টাক ঢেকে তিনি পেপার পড়ছেন। তার পেপার পড়ার দৃশ্য দেখে পেপারের জীবনের প্রতি অশেষ করুণা বোধ করলাম।

কোনো মতে রাত কাটিয়ে সকাল থেকেই শ্বশুড়ের আগমনী গান শুনতে ব্যাকুল আমার কান। তারা আসছে না, আসলেই ভালো আছেন ভালো আছি সামাজিকতা শেষ করে বাসা ছেড়ে ভাগতে পারি। সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তারাই উপস্থিত হচ্ছেন না সময়মতো। অনেক প্রতীক্ষার পরে অবশেষে তারা আসলেন।

বিয়ে করাটা যে মারাত্মক একটা ভুল ছিলো এটা যতবার আমি এই পরিস্থিতিতে পড়ি ততবারই উপলব্ধি করি। তারা মোটামুটি এক কোম্পানিকে খাওয়ানোর মতো রসদ নিয়ে হাজির হন প্রতিবার। তাদের এই জামাই আপ্যায়নের ঠেলায় আমি রীতিমতো হিমশিম খাই। আমি কোনো ভাবেই খাদ্য রসিক না, খাওয়াটা পরিমিতই বলা যায়। তাই তারা যখনই অনেক যত্নে রান্না করা খাবার খেতে বলেন, আমি সোনা মুখ করে খাই। সবটা খেতে পারি না বলে লজ্জিত হই। বলতেও পারি না- এসবের কি দরকার ছিলো। জামাই আদরে এলার্জি হওয়ার অবস্থা।

শ্বশুর বাড়ী গিয়ে রাস্তায় একটা লুঙ্গির বিজ্ঞাপন দেখে আমি মুগ্ধ। বিশাল ব্যানারে প্রেস্টিজ কিংবা এ রকম কোনো একটা লুঙ্গির বিজ্ঞাপনে মালিকের চেহারা দেখে আমি একদা বলেছিলাম জীবনে একবার না একবার এই লুঙ্গি আমি কিনবোই কিনবো। আমার বৌয়ের প্ররোচণাকেই আমি দায়ি করতে চাই। তারা অন্য সব খাবারের প্যাকেটের পাশে ছোটো একটা প্যাকেট তুলে দিলেন তারা আমার হাতে।

রাসেল এইটা তোমার লুঙ্গি। তোমার জন্য ২টা লুঙ্গি আনছি।

আমি লুঙ্গি গ্রহন করলাম। দুর্ভাগ্য আমার বাসার ক্যামেরা নষ্ট, নইলে এই দুর্লভ মুহূর্তের স্মৃতি ধরে রাখতে পারতাম। অবশ্য লুঙ্গি পাওয়ার আনন্দটা অন্য রকম, অনেক বেছে আমার জন্য যে লুঙ্গিজোড়া এসেছে তার একটা কাশ্মীরি শাহী মসলিন লুঙ্গি। মসলিনের যেমন বর্ণনা শুনেছি, সাত পরতেও নাকি সতর দেখা যায় এমন স্বচ্ছ।

ভাবছি বৌয়ের সামনেই শুধু প্রীতি উপহার পরবো। অন্য সবার সামনে মসলিন লুঙ্গি পড়ে যেতে সাহস পাচ্ছি না এখনও।


মন্তব্য

তানবীরা এর ছবি

হাহাহাহাহা। মোগলাই কান্ড কারখানা, লুঙ্গী তাও আবার মসলিন কাপড়ের।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আপনে তো দেখি শাহী সালতানাতের জামাই ।
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দ্রোহী এর ছবি

মোবাইল ভীষণ সমস্যা করছে, একটু গরম হলেই চার্জ নাই হয়ে যায়।

রাসেল ভাই, আপনার মোবাইলখানা নিয়া অতিস্বত্তর ফাইজারে যোগাযোগ করেন। হাসি


কি মাঝি? ডরাইলা?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍মন্তব্যে (বিপ্লব)

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আজায়গায় কুজায়গায় যাওয়ার কি অভ্যাস আছে ?
আপনারে না , আপনার মোবাইলরে জিগাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মজাদার হইছে। ঃ)

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আপনে খাইতে পারেন না ভালো কথা। আমাদেরকে ডাকলে-ডুকলে তো হেল্প করতে পারি।

---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

মূলত পাঠক এর ছবি

চমৎকার হয়েছে, পড়ে আনন্দ পেলাম প্রচুর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।