সচলায়তনের সচেতন সমাজ অন্য সব ব্লগিং কম্যুনিটির মতো মির্জামাতোয়ারা দেখাচ্ছে না, বিশেষজ্ঞ মানুষেরা এসব নিয়ে ভাবে না আদতে। মির্জার হ্যাকিংয়ের অপরাধ এবং এরজন্য প্রস্তাবিত শাস্তি এবং র্যাবের প্রতিহিংসাপরায়নতা দেখে শঙ্কিত বোধ করছি আমি নিজে।
সাইবার অপরাধ অনেক পদের হতে পারে, তবে আইনের ইতিহাস ঘাটলে সাইবার অপারাধের বিচারক ব্যবস্থায় উদাহরণের সংখ্যা সীমিত, সাইবার অপরাধ চিহ্ণিত করবার কিছু বিধি রাখা হয়েছে তবে সাইবার অপরাধ সম্পর্কিত ধারণার সাথে প্রচলিত অপরাধের ধারনাকে মিলিয়ে ফেলাটা বোধ হয় উচিত হবে না।
আমি ২০০৬ এর একটি সাইবার অপরাধের ধরণ বলি, মাইস্পেসে একজন ছেলে সেজে প্রতিবেশী এক কিশোরীর সাথে অন্তরঙ্গ হয় এবং পরবর্তীতে তাকে প্রত্যাখ্যান করে, সম্পূর্ণ বিষয়টাই ঘটেছে অন লাইন চ্যাটিংয়ে। আদালত এই মামলায় মহিলাকে হত্যাকান্ডের সহযোগী চিহ্নিত করে রায় দিয়েছে।
আমি সম্পূর্ণ বিষয়টা নিয়ে বিশেষ ভাবে চিন্তিত ছিলাম তখন, অব্যহত সামাজিকিকরণের একটা ব্যধি নিয়েই মাইস্পেস, হাইফাইভ, ফেসবুক নানাবিধ সামাজিক সম্পর্কের ওয়েব সাইট তৈরি হয়েছিলো, আরও তৈরি হবে ভবিষ্যতে, সেখানে একটা ই মেইল আইডি দিয়ে ঢুকে যাওয়া সম্ভব, সেখানেও জোচ্চুরি সম্ভব, যেমনটা সম্ভব অস্ট্রেলিয়ায়, যেখানে একজন ধর্মযাজক নিজের পর্নোপ্রেমকে ঢাকবার জন্য নিজেকে ক্যান্সারের রোগী হিসেবে পরিচিত করে ব্যপক অর্থ জোগার করেছিলো, পরবর্তীতে এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ায় সবাই দুঃখ পেয়েছে, তার শাস্তি দাবি করেছে এমনটা দেখি নি, সবাই হতাশ হয়েছে, নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে, মাননীয় যাজকের বিরুদ্ধে পুলিশও প্রতারণার মামলা করে নি,
নিজের পরিচিত তুলে ধরবার অনেক রকম পন্থাই মানুষ বেছে নেয়, কোনো কোনো প্রবনতা সামাজিক অপরাধ চিহ্নিত হতে পারে, মির্জা যা করেছে সেটা মোটেও প্রতিভাবান কোনো মানুষের আচরণ নয়, বরং এটা নিজেকে জাহির করবার একটা প্রবনতা।
সেটার জন্য অনুগত উকিলেরা আদালতে সাইবার অপরাধের প্রথম মামলাটা করেছে, তবে বাংলাদেশের উকিলেরা অপরাধের প্রকৃত যাচাই না করে যতটা সম্ভব কঠোর হেনেস্তা করবার মানসিকতা নিয়েই ওকালতি শুরু করে, দুদকের মামলাগুলোও ঝুলে গেছে এই অত্যূৎসাহী উকিলদের কঠোর মামলা করবার প্রবনতার কারণে। একই ঘটনা ঘটেছে মির্জার সময়ে।
মুর্শেদের তথ্য ভান্ডার কিংবা রাগিবের তথ্যভান্ডার যেখানে আমারও তথ্যের উৎপত্তি সেখান থেকেই, তবে এই যে র্যাবের ডাটাবেস হ্যাক করে ধ্বংস করে ফেলানোর অভিযোগ যা আদালতে উত্থাপিত হয়েছে সেটা একটা নিছক ব্লাফ।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নামক জিনিষটা অন লাইনে শেয়ারের জন্য ছেড়ে দেওয়ার স্বচ্ছ নীতি বাংলাদেশের কোনো সরকারী ওয়েব সাইটে নেই।
হ্যাকিং অপরাধ এটা আমি মেনে নিচ্ছি, মুর্শেদে যেভাবে নৈতিক সততার পারকাষ্ঠা দেখালো এখানে তা সাম্প্রতিক উপলব্ধি । এবং শব্দ ব্যবহার দেখে মনে হলো মুর্শেদ আদর্শ উদাহরণ হতে পারে নয়া মুসলিম গরু খাওয়ার যমের।
আমি মির্জার শাস্তি হয়তো মেনে নিবো, অপরাধ করেই ফেলেছে , তবে র্যাবের ভঙ্গিকে আমি সমর্থন করতে পারছি না, বাংলাদেশের আশ্চর্য সমস্যা, এখানে মানুষ বিশেষজ্ঞ খুঁজে, এই একই প্রবনতায় বাংলাদেশের অর্ধের মানুষ ভাবমুর্তি বিশেষজ্ঞ হয়ে গিয়েছে। বড় বড় বুলি আউড়ে যাওয়া ভাবমুর্তিপরায়ন মানুষের উপস্থিতি আমাকে অসুস্থ করে, এখানে এই পোষ্টেও আমি অনেক ভাবমুর্তি পরায়ন মানুষের উপস্থিতি দেখছি।
বাংলাদেশের সরকারী ওয়েব সাইটগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিম্ন মানের, কাপড় তুলে দাঁড়িয়ে থাকা দুর্বল রমনীর মতো ওয়েব সাইটে যে কেউ গিয়েই বীর্যস্খলন করে আসতে পারতো, এটা যে এত দিন হয় নি এটাতেই প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশী নীতিপরায়ন।
ভাবমুর্তি এবং নৈতিকতাপরায়ন মানুষেরা হাহাকার করে বলে উঠতে পারে , কাপড় মানলাম খোলাই ছিলো, তাই বলে অনধিকার প্রবেশ আর লিঙ্গ গুতিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সতীত্বের তথ্য হানী করা কি মির্জার উচিত হলো?
তবে মুর্শেদের অন্য একটা আশংকা জেনে হাসতে হাসতে মরে যেতে ইচ্ছা হলো, মির্জাকে ক্ষমা করলে কিংবা অপরাধীকে তোষণ করলে দেশের তরুণেরা সবাই হ্যাকার হয়ে যাবে, এই হাস্যকত নৈতিকতাবাদী আশংকা শুনে মুর্শেদকে অতিসত্ত্বর কোনো কলাম লেখকের ভুমিকায় দেখতে পাই আমি, হয়তো আইটি বিশেষজ্ঞ কলামিস্ট হিসেবে মুর্শেদের ভবিষ্যত যাত্রা এখান থেকেই শুরু হবে।
হিরোইজম দেখানোর জন্য দেশের তরুনের হ্যাকার হয়ে যাবে এই সীমিত আশংকায় মির্জাকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রস্তাব করার জন্য মুর্শেদের লেখার নিন্দা জানাই। আর মুর্শেদকে অনুরোধ করি একটু ঠান্ডা পানি চোখে মুখে দিয়ে লিখতে, রজ্জুতে স্বর্পভ্রম না এটা একেবারে রজুতে এনাকোন্ডা দেখে মদিনায় হিজরত মালুম হচ্ছে।
মন্তব্য
আপনার চুলকুনিটা কোথায়, মাঝে মাঝে ধরতে পারি না। মির্জার প্রসঙ্গে একটা পোস্ট এসেছে, সেখানে পোস্টের বক্তব্যের পক্ষে বিপক্ষে মত পড়ছে, কিন্তু আপনি এসে ঝালটা ঝাড়লেন "সচলায়তন" এর ওপরে। কারণটা কী?
পানি আপনিও একটু ঢালতে পারেন মাথায়। দমবন্ধ লাগলে মাঝে মাঝে এখান থেকে বেরিয়ে ডানেবামে কাদায় গড়াগড়ি দিয়ে আসবেন। বায়ু নেমে গেলে দেখবেন আবার সব ভালো লাগছে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সচলায়তনের উপরে রাগ ঝাড়লাম কই হিমু, ফারুক ওয়াসিফকে যে মন্তব্য করেছো সেটা নিজের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করো তাহলে বুঝবে সচলায়তনের উপরে ঝাল ঝাড়বার জন্য এই লেখা না। সার্বক্ষণিক সচলের পাহারাদার হয়ে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছি ম্যানিয়াতে ভুগছো তুমি। একটু কম স্পর্শ্বকাতরতা দেখালে আমি আনন্দিত হবো।
আর যেই ভাষায় প্রতিমন্তব্য করছো সেই একই টোনে আমি যদি তোমাকে মন্তব্য করি তাহলে আবার দক্ষযজ্ঞ বাধিয়ে দিবে, একটু সামলে , নিজের আচরণ সংশোধনের চেষ্টা করো, এটাতে বোধ হয় একটু ভালো পরিবেশ আশা করতে পারবো।
মাহবুব মোর্শেদের পোষ্টের সূচনার লাইন এমনটাই ছিলো।
"সম্প্রতি শাহী মির্জা নামের একটি ছেলে ড়্যাবের ওয়েবসাইট হ্যাক করে বিপুল পরিমান আলোচিত হয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং বেশ কিছু বাংলা ব্লগে তাকে নিয়ে প্রচুর পোস্ট পড়ছে। সম্প্রতি কিছু লেখা দেখে মনে হল এটা নিয়ে কথা বলা দরকার।"
এই উপলব্ধিটা একটু বেশী মাত্রায় সুশীল মনে হয়েছে আমার কাছে। গণবিচ্ছিন্নতা কিংবা সবাই মাতছে তাই একটু উদাসীনতা মনে হয়েছে।
তবে হিমু আমি জানি না কেনো সচলায়তনে কোনো বিশেষ ব্যক্তির মন্তব্য আটকে দেওয়ার সুযোগ নেই, এমনি তে আমি সবার মতামত জানতে আগ্রহী, তবে যদি কারো মন্তব্য ব্লক করবার সুযোগ থাকতো তবে আমি সর্বপ্রথম তোমাকে ব্লক করতাম। তোমার সাম্প্রতিক মন্তব্যিক আচরণ আমার কাছে জঘন্য লাগে, তোমার মন্তব্য কিংবা প্রতিক্রিয়া পড়লেই একটা ঘিনঘিনে বোধ হয়।
স্পষ্টবাদিতা তোমার পছন্দ না হলেও বলি, এরপরে আমার লেখায় তোমার মন্তব্য কাম্য না। আমি নিজের আনন্দের কারণেই এমনটা অনুরোধ রাখছি, বিষয়টা বিবেচনা করলে খুশী হবো।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
বেশ, আমার মন্তব্য আপনার ভালো না লাগলে মন্তব্য করতে আসবো না। আপনার সার্বক্ষণিক গা ঘিনঘিনবোধ যদি তাতে একটুও কমে, মন্দ কী?
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমাকে বিচার দেবার ভার দিলে, আমি এই ছেলেকে Computer Security র উপর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাঠাবো, এটাই ওর শাস্তি।
চোর ধরে ফেলেছে বলে এখন লম্ফ-ঝম্ফ চলছে, বিদেশী কেউও তো এটা করতে পারতো যাকে হয়তো ধরাও সম্ভব হতো না,
নিজেদের বাড়ি ঘর ঠিক করো না হলে অনেক টম ডিক হ্যারিরা বসে আছে, যারা সত্যি সত্যি এনাকোন্ডা দেখিয়ে দিতে পারে।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
পোস্টের বক্তব্যের সাথে অনেকাংশেই সহমত।
হিমু, এখানে সচলায়তনের উপর ঝাল কোথায় দেখলি ?
এখানে এই পোষ্টেও আমি অনেক ভাবমুর্তি পরায়ন মানুষের উপস্থিতি দেখছি।
এখানে তো মনে হয় সুমনের পোস্টের কথা বলে হয়েছে এবং সুশীল সমাবেশ বলতে তো মনে হয় ঐ পোস্টের দিকেই ইঙ্গিত করা হলো।
"সুশীল সমাবেশ" কথাটার অর্থ একটু বুঝায় বল আমারে। রাসেল ভাই মনে হয় ব্যস্ত। তুই-ই ক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সুমনের পোস্টে যারা মির্জা সাহেবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে আসছে ?
রাসেল ভাই ইনজাংশন দিসে, তার পোস্টে আমার কমেন্ট করা নিষেধ। তোর কথার জবাব দিয়ে কাটি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি শুনলেই তো মনে হয় পাটক্ষেতে নিয়ে ক্রসফায়ার নয়তো যাবজ্জীবন কারাদন্ড। এরকম দাবি কি কেউ করেছে কোন পোস্টে? পত্রিকায় বলা হয়েছে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা ... এরকম শাস্তির সপক্ষে কি কেউ বায়না ধরেছেন? উদ্ধৃতি দিতে পারিস। আরো ভালো হয় যদি সুমনের পোস্টেই আলোচনা শিফট করিস। ব্লগে রাসেল ভাইয়ের পোস্টে এটা আমার শেষ কমেন্ট, জবাব দিতে পারবো না তুই এইখানে আগাইলে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
মির্জার বোকাচোদামি অনুসরণ করে অনেক বাঙালী তরুন হ্যাকিং করবে এই আশংকা থেকে অনেকেই মির্জার শাস্তির দাবিদার।
অনেকেই হ্যাকিংয়ের উপযুক্ত শাস্তি মির্জাকে দিতে রাজি, তবে হ্যাকিং এবং বাংলাদেশের হ্যাকিং বিরোধী আইনের ধারাগুলোর কোনটা মির্জার বিপক্ষে প্রযোজ্য এটা না জেনেই সংবাদ পড়ে ফালাফালি করছে।
অপরাধ হয়েছে, কিংবা আদৌ অপরাধ হয়েছে কি না এটা নিয়েও একটা বিতর্ক আছে, নতুন তৈরি হওয়া বাসার চত্ত্বরে গিয়ে মুতে আসা বাঙালী যখন অন্যের সম্পদে অনধিকার প্রবেশ নিয়ে বড় বড় বাতচিত করে তখন আনন্দ লাগে দেখে।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
- রাসেল ভাই, একটা কথা আছে না? কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাশ ঠাশ।
আমাদের দেশে আইন আছে অন্যসব সুশৃঙ্খল দেশের মতোই। কিন্তু যা নেই তা হলো সেই আইনের যথাযথ প্রয়োগ। আমাকে আপনে একটু বলেনতো যদি আইনের প্রয়োগটা সংবিধানের একেবারে প্রথম দিন থেকেই চীনের মতো ঠান্ডা সহযোগে হয়ে আসতো তাহলে কি আমরা আজকে হাপিত্যেশ করতাম! আমাদের দেশে কি আইনগুলো সব হাতের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতো! এই যে এতো এতো চুরি-ডাকাতি-সন্ত্রাস হয় এখন হরহামেশা, এই যে অপহরণ হয়, শ্লীলতাহানি হয়, এই যে ঘুষের মহোৎসব চলে, এগুলোর রূপ কি এমনই থাকতো যদি একেবারে প্রথম দিনটি থেকেই আইনের প্রয়োগটা কঠোরভাবে মানা হতো!
মির্জা সাইবার অপরাধ বলে যে অপরাধ করেছে সেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম অপরাধ। এই প্রথম অপরাধের কি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজনীয়তা আপনি অনুভব করেন না অতীত ইতিহাসের গ্লানি থেকে? হ্যাঁ, তাই বলে তাকে দশ বছর জেলের ঘানি টানতে হবে বা কোটি টাকার জরিমানা গুনতে হবে এমন দিব্যিতো কেউ দিচ্ছে না। কিন্তু একটা ব্যাপার মাথায় রাখা জরুরী যে এই মির্জাকে যদি এমনি এমনি ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে একসময় আমরাও হইচই করবো আর বিশাল বিশাল বিবৃতি দিয়ে ব্লগ কিংবা পত্রিকার পাতা ভরিয়ে ফেলবো সাইবার দুর্নীতি নিয়ে। এটা মুর্শেদের আশংকা না, এটা ইতিহাসের পাঠ।
আমাদের দেশে এইটাই হয়, এইটাই হবে। আর তখন হয়তো আপনাকেই কষ্ট করে এগিয়ে আসতে হবে সাইবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় নিজের ভাবনা তুলে ধরতে।
সেই দিনে যাওয়ার কী দরকার বলেনতো, বাঁশটাকে কাঁচা থাকতেই বরং নুইয়ে ফেলুন না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
- আরেকটা কথা, হিমু আর আপনার কমেন্ট চালাচালিটা পছন্দ হলো না।
আশা করি, আমার মন্তব্য করার অধিকারটুকু আপনি হরণ করবেন না, আপনার কাছে এইটুকু অধিকারবোধ আমার আছে নিশ্চই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুসর কারো মন্তব্য করার অধিকার হরণ করবার ইচ্ছা কিংবা আগ্রহ আমার ছিলো না, তবে হিমুর মন্তব্য আমার পছন্দ না, তার রসবোধ কিংবা তার লেখা নিয়ে আপত্তি নেই,
সুতরাং কমেন্ট ব্লক করার ব্যবস্থা থাকলে আমি কেনো এই কাজটা করবো না, আমি অনুতপ্ত কিংবা দুঃখিত নই, অন্তত এখানে লিখতে হলে নির্বিঘ্নে লিখতে চাই, কোনো সন্দেহবাতিকগ্রস্ত মন্তব্যে জবাবদিহিতা করবার আগ্রহ আমার নেই।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
পোষ্টের সাথে একমত
মুর্শেদ ভাই এর পোস্টেই সব কথা বলে ফেলেছি প্রায়, তবু এইখানে কিছু কথা আবার বলি।
আমি নিজে মির্জার কোন কঠোর শাস্তির বিপক্ষে। সে যেটা করেছে সেটা নিছকই বয়সের দোষ, তারুণ্যের উত্তেজনায়। এর জন্য সে কোন গুরু শাস্তি পেতে পারে না। তাকে বিদেশে কিশোর হ্যাকারদের শাস্তির অনুরূপ বাধ্যতামূলক কাউন্সেলিং এবং কমিউনিটি সার্ভিং এর আওতায় রাখা যেতে পারে।
কিন্তু আমি নিজে মুর্শেদ ভাই এর একটা বক্তব্যের সাথে জোরালো ভাবে একমত। মির্জা না বুঝে করুক আর বুঝে করুক, সেটা একটা অপরাধ। র্যাবের সাইটে সিকিউরিটি কম এটা দেখানোর জন্য হ্যাক করাটা জরুরী ছিলো না, আর করলেও ডাটাবেজে হাত দেওয়াটাও জরুরী ছিলো না। শাহী মির্জা মোটেই রবিনহুড ধরণের হ্যাকার নন, তিনি বছরখানেক আগে আমার এক বন্ধুর ফোরাম হ্যাক করে দশ দিনের ডাটাবেজ মুছে দিয়েছিলেন, কাজেই তাকে আমি সৎ হ্যাকার উপাধি দিতে নারাজ।
আর এক শ্রেনীর লোক এর প্রতিভার মুগ্ধতায় মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন, তাদেরকে আমারও এটা বলতে বলতে মুখে ফেনা উঠে যাচ্ছে, এতে মেধার কিছু নেই। আমি আপনাকে কিছু সাইটের নাম দেই, কিছু বেসিক Terminology এর সাথে পরিচিত করিয়ে দেই, বছরখানেকের মধ্যে এই কাজ আপনিও পারবেন। প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে এর আগে কেউ র্যাবের সাইট হ্যাক করেনি কেন ( আসলে করেছিল এর আগে একবার, যেটা তারা চেপে গিয়েছেন) ? এর উত্তর একটাই, কেউ এতখানি নির্বুদ্ধিতা দেখায়নি, কিংবা কারো বাবা পুলিশে চাকরি করেনা দেখে হয়তো এই দুঃসাহস আমাদের মধ্যে আসে নি। কাজেই যারা, মির্জার প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে বিদেশেও পাঠাতে চান, তাদেরকে বলি, দয়া করে এই টাকায় দেশের স্বীকৃত মেধাবী কাউকে পড়তে পাঠান। অন্যের স্ক্রিপ্ট কম্পাইল করে সাইট ডিফেইস করা কাউকে না। যদি একটু খোঁজ নেন, তাহলে কমপক্ষে আরো ১০০ জন এমন হ্যাকার পাবেন।
র্যাবের সত্বর নিজেদের সাইটের নিরাপত্তা বাড়ানো উচিত। তবে আমি মির্জাকেও এজন্য কোন প্রশংসা দেওয়ার পক্ষপাতী না। তার প্রশংসা তার বয়েসী আরো দশটা ছেলে মেয়েকে উৎসাহিত করবে এই ধরণের কাজে। ভাববেন না, শুধু র্যাবের উপর দিয়েই তাহলে চোটপাট যাবে। আপনি নিজে যেই ল্যানের আওতায় ব্রডব্যান্ড লাইন ইউজ করছেন, সেই ল্যানের কেউই আপনাকে উলঙ্গ করে দিতে পারে। এরাই হয়ত পরবর্তীতে কার্ড ফ্রডিং কমিউনিটির মত বিপদজনক কোন কিছুতে টার্ন নিতে পারে।
তবে যাই হোক, শেষ কথা এটাই, ছেলেটা যে অপরাধ করেছে, তার পেছনে তার বয়সই মূলত দায়ী। রাষ্ট্র যদি একটা ছেলেকে প্রাণে বাঁচাতে চায়, সত্যিকারের অপরাধী হওয়ার থেকে বাঁচাতে চায়, উচিত হবে, তাকে স্বল্প কোন শাস্তিতেই মুক্তি দেওয়া।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নাঃ বোধহয় আমার না জেনে মন্তব্য করা উচিত হয় নি,
ছেলেটিকে কি এমন শাস্তি দেওয়া যেতে পারে যে তারপর থেকে দরজা জানালা খোলা রেখে দিলেও চোর আর আসবে না।
মার মনে হয় ছেলেটাকে এমন কোনো শাস্তি দেওয়া উচিৎ নয় যে পরে সে আরো খারাপ হয়ে যায়।
এগুলো দিয়ে তালা ভাঙ্গা দরজা খোলা যায, তালা দেওয়া নয়।
তাই আমাদের নিরাপত্তা আরো বাড়ানো উচিৎ
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
মুর্শেদের একটা মন্তব্য দেখলাম- সেটা উধাও হয়ে গেছে-
তার প্রতিক্রিয়া লিখলাম আশা করি মুর্শেদের জবাব হলো
তোমার এই অনুমাণের উৎস কি? খবরের কাগজ? না কি র্যাবের অফিসে তোমার সোর্স বসে আছে?
র্যাব যে মামলা করেছে সেটার এজহারে বলা হয়েছে এই ছেলে র্যাবের ওয়েব সাইটে ঢুকে গুরুত্বপূর্ন তথ্যের ক্ষতিসাধন করেছে। তুমি অবশ্য দেশ প্রেমিক হয়ে র্যাবের ওয়েবসাইটে ঘোরাঘুরি করতে পারো, আমি আগে যাই নি কখনও। সেখানে ঠিক কি কি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিলো সেটার একটা তালিকাও টাঙিয়ে দিয়ো।
তবে আমি নিজের প্রয়োজনে বেশ কিছু সরকারী ওয়েব সাইটে গিয়েছি তথ্য জানবার জন্য, এবং সেখানে ওয়েবে আপলোড হওয়া সমস্ত তথ্যই মোটামুটি ২ থেকে ৪ মাস পুরোনো। এগুলো ব্যক্তিগত যোগাযোগে সংগ্রহ করলে অনেক বেশী আপডেটেড থাকা যায়।
আমার গালিবাজী একটা নিজেকে চিহ্নিত করবার প্রক্রিয়া হতে পারে। না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
দেখালে খুশী হইতাম না ব্যজার হইতাম এইটা কইবার পারি না, তবে সবাই যখন কিছু একটা নিয়ে মাতে তখন সেটার সামাজিক প্রতিক্রিয়ায় অনেকের ভেতরেই অনেক অনুভব তৈরি হয়, সচলায়তনে সেই সামাজিক প্রতিক্রিয়ার অনুপস্থিতি দেখে মনে হলো এরা অতিমাত্রায় জন বিচ্ছিন্ন কিংবা এই নিজস্ব অনুভব লিখবার জায়গা সচলায়তন না।
সততার পারকাষ্ঠা একটা আপেক্ষিকতাকে প্রকাশ করে, কার তুলনায় সৎ এবং কার তুলনায় অসৎ- সততা বিষয়নিরপেক্ষ কিংবা সমাজনিরপেক্ষ শব্দ না। বাংলাদেশের সমাজে বসবাস করে এখানের পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করে সততা দেখনো এবং নিজেকে সমাজবিচ্ছিন্ন কোনো এক আদর্শ অবস্থানে স্থাপিত করে সততা দেখানো ভিন্ন বিষয়।
প্রাংক করবার অনেক পন্থা আছে, অনেক ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে,বাংলাদেশের উঠতি তরুনেরা অনেক ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে ব্যক্তিগত রেষে, সেই সময়ে সাইবার ক্রাইম হয় নি কিংবা এগুলো আমলে আনা হয় নি, এমন কি র্যাবের ওয়েব সাইট এর আগে হ্যাক হলেও সেটাকেও অপরাধ হিসেবে আমলে আনা হয় নি, এবার হলো, এবং এর সাথে তোমার সততা এবং নৈতিকতা লাফিয়ে উঠলো কলমের ডগায়। পূর্বের হ্যাকিং হয়ে যাওয়া কোনো সাইটের জন্য কোনো সমবেদনা কিংবা যখন গতবছর এই সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত আইন পাশ হলো এর পরেও কিছু মাত্রার সাইবার ক্রাইম নিয়ে ঘটনার অংশীদার তুমিও ছিলে , সে সময় তুমি বিচার দাবি করে তুলকালাম করো নি,
ত্রিভূজের কান্ড উদঘাটন করেছিলে তুমি তবে সেটা নিয়ে আইনী পর্যায়ে সোচ্চার হওয়ার যৌক্তিকতা খুঁজে পাও নি, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং তথ্য নিরাপত্তার অধিকার ক্ষুন্ন হওয়া সাইবার অপরাধের একটি ধারা, ত্রিভূজের কাজটি কিন্তু এই অপরাধের একটা । তুমি সেই সময়ে এমন শক্ত নৈতিক একটা অবস্থান নিলে ভালো লাগতো আমার। অন্তত তোমার নৈতিকতাকে সমর্থনযোগ্য মনে হতো। এক মুখে দুই কথা বলতে হতো না তোমাকেও।
কোনো স্মার্ট মানুষ যদি হোগা মারে তাহলে আক্রান্ত বোধ করবো না, নানাবিধ স্মার্ট মানুষের কিংবা মানুষদের হোগামারা ব্যক্তিগত এবং জাতিগত ভাবে খেয়েই যাচ্ছি। তবে যাকে প্রতিরোধ করা যায় সে হোগা মারতে আসলে শক্ত প্রতিরোধ করবো, ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ থাকলে সবাই ক্ষমতা দেখায়, বয়েস ৮০ কি ৮ এটা বিচার করে না শালীনতার শিশ্ন ঢুকিয়ে বলৎকার করবার চেষ্টা করে।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
বাংলাদেশের সরকারী ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করতে হয় না, অটো হ্যাক হয়েই থাকে।
বিশ্বাস না হলে নিচের লিংকগুলোতে দেখে আসতে পারেন!!
http://www.bangladesharmy.org
http://www.bangladeshgov.org
http://www.bangladesh-parliament.org
আরও অনেক লিংক পাবেন এইখানে
http://www.mosict.gov.bd/links.htm
এই অবস্থায় শাহী মির্জাকে ১০ বছর জেলের শাস্তি দেওয়া নুপুংশকদের উল্লাস ছাড়া আর কিছুই না।
ওগুলো দশ বছর আগের পুরোনো ডোমেইন। ডট বিডির পর এখন আর ব্যবহৃত হয় না।
আচ্ছা আপনারা মির্জাকে ১০বছর জেল দেওয়ার প্রস্তাব কোথায় পেলেন? কেউ কি করেছে সেটা? দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি মানেই কি ক্রসফায়ার বা ১০ বছরের জেল? ঠিক বুঝলামনা মুর্শেদের পোস্টের সমস্যাটা কি? এই পোস্টটা কেমন যেন ব্যক্তি-আক্রমনাত্নক হয়ে গেল মনে হচ্ছে। কলামিস্ট, সুশীল এগুলো কি এখন গালি?
এটা একটা নিছক ব্লাফ।
আপনি জানেন না। এখন আপনি আসলে ক্ষতি কিছু হয়েছে কি না তা যাচাই করতে চাচ্ছেন।
মুর্শেদের সাথে কী আপনার ব্যক্তিগত হিসাব নিকাশ আছে? থাকলে তা এখানে ঝাড়ার কোন মানে আছে!
এ ধরনের কথায় নিন্দা জানালাম।
এর পর থেকে কেউ যদি নারী নিপীড়ণ বা ধর্ষণের বিচার চায় আমি তাদের গালি দিব, আর উদাহরণ দিবো জাবিতে মানিক ১০০ ধর্ষণ করেও বিচারের সন্মুখীন হয় নাই।
হ, আমরা যারা মনে করি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দরকার তাগোরেতো সুশীল ট্যাগ লাগাইয়া আবার একজনকে মাথায় পানি ঢেলে কলম ধরার উপদেশ ভালোই দিলেন
এখন আপনে পরিস্কার কইরা বলেনতো দেখি মির্জার কি শাস্তি হওয়া দরকার? কয় বছরের বা কত টাকা বা অন্য কিভাবে?
সাইবার অপরাধ সম্পর্কে যাদের ধারনা আছে তাদের কেউই মুর্শেদের ঐ পোস্টের কোন বক্তব্যের সাথে দ্বিমত করবেনা ....
সমস্যা হইলো প্রকৃত সুশীলেরা দেশের রাজনীতি/সমাজনীতি নিয়া যা ইচ্ছা কইয়া গোলটেবিল ফাটাইয়া ফালান অসুবিধা নাই, ঐটা টেবিল থিকা লাফ দিয়া নিচেও পড়তে পারবনা কোনদিন; তবে সবপাতিলে সুশীল নাক ডুবাইয়া গন্ধ শুঁকার চেষ্টা করাটা কিন্তু নিজের জন্য আর চারপাশের জন্যও ক্ষতিকর
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আচ্ছা বাংলাদেশে হ্যাকিং এর কি শাস্তি সেটা কেউ কইতারবেন ?
রাসেলভায়ের হিন্দুপ্রীতি দেখেও ঠিক করেছিলাম পাগলে কি না বলে আর ছাগলে কি না খায় বলে এড়িয়ে যাবো, কিন্ত তারপর মনে হলো এটুকু অন্তঃত বলা উচিত,
"রাস্কেলদের মুখে যা মানায় রাসেলভায়ের মুখে তা মানায় না"
হাতের বাণ আর মুখের বাণী একবার ছেড়ে দিলে তা আর ফিরিয়ে নেওয়া যায় না জেনেও বললাম, আশাকরি কিছু মনে নেবেন না।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
১৯৫৭ সালের পরে যুক্তরাষ্ট্রে মার্ক টোয়েনের হাকলবেরী ফিন বইটি নিষিদ্ধ করবার দাবি উঠেছিলো, চমৎকার যুক্তিতে, সেখানে নিগ্রো লেখা আছে,
দেবোত্তম দাশের মন্তব্য পড়ে আবারও মনে হলো কথাটা-
নয়া মুসলিম গরু খাওয়ার যম- এই শব্দ কিংবা প্রবাদ আসলে বাংলাভাষা থেকে উঠায়া দেওয়া পরয়োজন হিন্দু থেকে যখন মানুষ মুসলমান হতো তখন তার মুসলমানত্ব প্রকাশের জন্য গরুর প্রতি অনেক বেশী সহিংস আচরণের কারণে প্রচলিত প্রবাদটি বাংলা ভাষা থেকে উঠিয়ে দেওয়ার দাবি জানাই আমিও, এই সব সাম্প্রদায়িক মন্তব্য ৪৬ এ মানাতো, পাকিস্তানের ভুত অনেকেই কাঁন্ধে তুলে ঘুরে বাংলাদেশে।
আরও কিছু আপত্তিকর প্রবাদ জানাই-
কালা বামুন, খাটো মুসলমানের জাতের ঠিক নাই।
আরও আপত্তিকর প্রশ্ন, আপনি কি উচ্চ বর্নেের দাশ নাকি নিম্ন বর্ণের দাশ?
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
রাসেল সাহেবের শব্দচয়ন সচলায়তনের নিয়মিত পাঠকের জন্য বেশ অভিনব । এর আগে কার্লমাক্স বিষয়ক পোষ্টে ও তার ছাগল প্রীতি চোখে পড়ল । গরু-ছাগল বিষয়ে তার ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে ।
আপনিও হামাগুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন, আপনার বিষয়েও আগ্রহ দেখাবো।
কিংবা ল্যাঞ্জা নাড়ান সামনে এসে, সেটাও আমার জন্য আগ্রহউদ্দীপক মনে হবে। তবে শিং উঁচিয়ে আসলে ভালো লাগবে না।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
মাফ করবেন ভাই আপনার টোন খুবই বিশ্রী । আপনার মত আরো দুচারজন ব্লগারের সমাবেশ হলে এই সাইট ও গার্বেজ হতে বেশীদিন লাগবেনা ।
কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখতে পারেন ।
আমি মানুষটা খারাপ, ছোটো বেলা থেকে সঙ্গীত সাধনা করলে হয়তো টোন একটু সুন্দর হতো, তবে কাকের কাছে কোকিলের আওয়াজ প্রত্যাশা না করাই ভালো।
তবে আপনার মতো আবর্জনাভুখ থাকলে সব আবর্জনা পরিস্কার হতে সময় লাগবে না।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
ভাই আপনি যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানালেন তাতে এই আমারো দমবন্ধ হয়ে আসছে।
দয়া করে নিচের দুইটা লাইনের ব্যাখ্যা এবং মুর্শেদ ভাইয়ের পোস্টের সাথে তার সামঞ্জস্য বুঝিয়ে দিলে উপকৃত হতাম।(আমার আবার জ্ঞান বুদ্ধি কিছুটা কম; আর যদি আমার মত জ্ঞানবুদ্ধি কমওয়ালাদের আপনার পোস্টে মন্তব্য করতে বারণ থাকে তাহলে তাও জানাবেন।)
আপনাকে ধন্যবাদ।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ভালো লাগলো না এই পোস্ট। অনেকটা প্রতিহিংসাপরায়ন ব্যাপার-স্যাপার বলে মনে হলো। )
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
রাসেলের ভাষা নিয়া আমার কোনো সমস্যা নাই। সে যেভাবে অনুভব করেছে, সেভাবে লিখেছে। আপত্তি থাকলে সেটা মুর্শেদই প্রকাশ করুক।
পোস্টের ব্যাপারে আমার বক্তব্য নতুন করে লিখতে হবে না। সবজান্তাই প্রায় সবটা বলে দিয়েছে। চুরিবিদ্যা বড় বিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা। তবে ধরা পড়ার পর ফুলের মালা দিয়ে বরণ করলে সে কিছু উঠতি পোলাপানের আইডল হবে, এতে সন্দেহ নাই। সাকা, জয়নাল হাজারীরা যেমন উঠতি পাতি-নেতাদের আইডল হয়, শাহী মির্জারাও তেমনি কম্পু ধরা কিশোরদের আইডল হবে। আর বাংলাদেশ সরকারের ওয়েবসাইট নিয়ে বেশি কিছু বলার নাই। RAB এর প্রতিহিংসাপরায়ণতা নিয়েও নতুন করে কিছু বলার নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
লাইনে লাইনে একমত হলাম।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
রাসেলভায়ের হিন্দুপ্রীতি দেখেও ঠিক করেছিলাম পাগলে কি না বলে আর ছাগলে কি না খায় বলে এড়িয়ে যাবো, কিন্ত তারপর মনে হলো এটুকু অন্তঃত বলা উচিত,
"রাস্কেলদের মুখে যা মানায় রাসেলভায়ের মুখে তা মানায় না"
হাতের বাণ আর মুখের বাণী একবার ছেড়ে দিলে তা আর ফিরিয়ে নেওয়া যায় না জেনেও বললাম, আশাকরি কিছু মনে নেবেন না।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
একটা টাইপো দেখলাম, নয়া মুসলিম গরু খাওয়ার যমের বদলে নয়া হিন্দু হইছে, তবে সবাইকে আশ্বস্ত করি পৃথিবীতে বোধ হয় হিন্দু হওয়ার উপায় নাই কোনো।
আর অনেকে অনেক কিছুই উপলব্ধি করেছে, হ্যকিংয়ের সংজ্ঞা, বিভিন্ন বর্ণের হ্যাকার পরিচিতি নিয়ে আমার জ্ঞান মুর্শেদের চেয়ে কম, এটা আমি কখনই দাবি করি নি যে আমি হ্যাকিং বিশেষজ্ঞ-
আমি সুশীল বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশের অর্ধের মানুষের মতো ভাবমুর্তি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠতে পারি নি এখনও যদিও।
মির্জা বীর পুরুষ এটা আমি কোথাও দাবি করি নি, ও একটা উজবুক, উজবুক বলেই ধরা পরেছে, কিংবা এত বেশী উজবুক যে বাঘের ল্যাজ দিয়া কান খুঁচানোর সময় বাঘের হোগায় আঙ্গুল দিছে- যেভাবেই হোক মির্জা যা করছে সেটার বিপরীতে র্যাবের কাজ কারবার আমার পছন্দ হচ্ছে না।
এবং এই মির্জাকে হিরো মনে করে অনেকেই হ্যাকিং করে বাংলাদেশের অন্তর্জালে গোলোযোগ তৈরি করবে , মানুষ জয়নাল হাজারীকে অনুকরণ করে বড় সন্ত্রাসী হয়ে উঠে, মানুষ ভিডিও গেম খেলে খুনোখুনী শিখছে- মানুষ টিভি দেখে সহিংস হচ্ছে- মানুষ সিনেমা দেখা অপরাধী হয়ে যাচ্ছে এই ধরণের আশংকা প্রকাশ করা মানুষগুলোকে নিয়ে যত কম কথা বলা যায় তত ভালো।
রাফি
আপনার দম বন্ধ লাগলেও এটাই আমার লিখবার ধরণ, ওটা আপনার দম উন্মুক্ত রাখবার বাসনায় বদলানোর আগ্রহ আমার নেই, আপনাকে ব্যখ্যাপ্রদানপূর্বক সম্মানিত করবার আগ্রহ বোধ করছি না,
এর আগেও একটা মন্তব্যে বলেছি নৈতিকতা বোধ একটা আপেক্ষিক শব্দ- সমাজ সংস্কৃতি এবং পরিস্থিতি নির্ধারণ করে দেয় কখন কোনটা অপরাধ হয়ে উঠবে কখন সেটা অপরাধ থাকবে না-
বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি আইন হয়েছে ২ বছর হতে চললো, অনেক রকম বিধি আছে, একটা বিধি এমনও আছে অন্তর্জালে দেশের শান্তি শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়া- দেশের পরিস্থিতি অস্থির করবার লক্ষ্যে প্রচারণা চালানো-
অন্যের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হানি করা কিংবা তার ব্যক্তিগত তথ্য কিংবা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ, কোনো কম্পিউটারে ঢুকে তথ্য বিনাশ করা, কিংবা তথ্যের ক্ষতি সাধন এইসব সাইবার অপরাধ বিবেচিত হবে।
আরও অনেক কিছুই আছে, তবে মূলত গণমাধ্যম আইন এবং সাইবার আইনের ভেতরে ব্যপক তফাত নেই এখনও।
হ্যাকিংয়ের মাত্রা কিংবা অপরাধ বিবেচিত হইবার যোগ্যতা নিয়ে আমার সংশয় আছে। মির্জা হ্যাকিং করেছে, তবে সেটা এমন বড় কোনো ক্ষতির কারণ হয় নি যে তাকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
পাঠক সম্মানিত বোধ করবেন এ কারণে পাঠকের দাবি করা ব্যাখ্যা প্রদান করব না এ ধরণের মানসিকতার ব্লগার সচলায়তনে আছেন এটা আমার কল্পনায় ছিল না। নিজের বক্তব্যে আর দর্শনে অটল থাকতে পারেন; সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু পাঠকের প্রশ্নের জবাব না দিলে আর ব্লগিং কেন? প্রিন্ট মাধ্যমই তো অনেক ভাল।
আপনি বোধকরি আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়ই হবেন। তাই শুধু এইটুকু বলে রাখি, লেখার প্রকাশভঙ্গি পাঠকের চোখে অমার্জিত লাগলে সেটা প্রকাশ করার অধিকার পাঠকের আছে। আপনার এই পোস্ট কিন্তু অন্য একজন লেখকের পোস্ট এর প্রতিক্রিয়া নিয়েই।
আমি অগ্রজদের কাছ থেকে সুচিন্তিত বক্তব্যই আশা করি। দূর্ভাগ্যবশত প্রথমবারের মত হতাশ হলাম।
আপনার লেখার প্রকাশভঙ্গিসমেত ভাল থাকুন; এই কামনা করি।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
দাবিই যদি জানান তাহলে সেটা আপনার ব্যবহার করাও কি বর্জনীয় নয় ?
মোদ্দা কথা হছে যেটা বলা হছে সেটা যদি আপত্তিকর হয় সেটা বলার আদৌ প্রয়োজন আছে ?
আমাকে আমার এক অর্ধামিক মুসল্মান বলছিল দক্ষিন এশিয়ার কোনো মুসল্মানই প্রকৃ্ত মুসল্মান নয়
আমিই তাকে বোঝাই ১৫০০ শতক আগে পৃথিবীতে মুসল্মান বলে কিছু ছিল না। ব্যাটা আমার থেকে জ্ঞানী তাই আর কিছু বলে নি।
এই আপত্তিকর প্রশ্নে ভাবি হিন্দুদের বর্ণবৈষম্য ছিলো বলেই বোধহয় আমাদের পূর্বপুরুষের অনেকে বাধ্য হয়েছিলেন ধর্ম পরিবর্তন করতে
আসুন স্বপ্ন দেখি আরো বৃহত্তর আরো মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে, আমরা থেমে আছি বলেই কি আমরা পিছিয়ে নেই ?
আশা করবো আর কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি না করার।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
আইচ্চা তর আত অহনো ব্যাদ্না হয় নাইঙ্কা? এই যে কতক্ষণ ধইরা মাইনষ্যেরে আইড়াকাইড়া গুতিবার নুইছত, তর এট্টুও খারাপ নাগে না?
আতের বেতা হবাই ঠিক অইছে, আত বেতা না হওন তক গুতায়া লই।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
রাসেল - আপনার সাথে আগে একবার আমার একটা বিষয় নিয়ে বিতর্ক হয়েছিলো, কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণের দিকে গড়ায়নি। সেই ভরসাতেই আবার আপনার পোস্টে মন্তব্য করছি - বেশী কড়া প্রতিমন্তব্য দেখলে আমি আবার পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবো বলে রাখলাম
যে কোন ব্যাপারেই আমরা ভিন্নমত পোষণ করতে পারি, কোন যুক্তি বা লেখার ধরনে আপত্তি করতে পারি, এমনকি রেগে যেতেও পারি। কিন্তু তাই বলে সেই প্রতিক্রিয়ার কাছে এতোখানিই কি পরাজিত হতে হবে যে, সেই রাগের বহিঃপ্রকাশ আমাদের আসল বক্তব্যকে চাপা দিয়ে নিছক 'কথা'র ছুরি চালাচালিতে নামিয়ে আনতে পারে?
খুব সম্ভবত আপনি বলবেন, এটাই আপনার কথা বলার ধরন, প্রত্যেকেরই নিজের পছন্দমত করে ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে, আমি অতি 'সুশীল' ভাব দেখাচ্ছি, ইত্যাদি । হতেই পারে সেটা। কিন্তু এই একই আপনি যখন মার্ক্সবাদ নিয়ে কথা বলেন, এবং তারপর "কাপড় তুলে দাঁড়িয়ে থাকা দূর্বল রমণীর মত" বলে তুলনা টানেন তখন মনে হয়, 'পছন্দ' ব্যাপারটা তো চরম আপেক্ষিক। আজকে যাদের শাহী মির্জাকে কিছুটা হলেও (ড়্যাব প্রস্তাবিত মাত্রায় নয়, মোটেই) শাস্তি দেয়াটা পছন্দ হচ্ছে, তাদেরকে তাহলে অভিযুক্ত করা হচ্ছে কোন যুক্তিতে?
সচলায়তনের 'সচেতন, সুশীল, দমবন্ধকরা' সমাজের আমিও একটা অংশ। এই ফোরামেই আমার অনেক প্রিয় বন্ধু এবং সচল আছে যাদের সাথে কোন কোন ব্যাপারে আমি ভীষণভাবে দ্বিমত পোষণ করি। এই ফোরামে অনেক সচল আছে যাদের বেশীরভাগ দৃষ্টিভঙ্গি আমার সাথে মেলে না একেবারেই। কিন্তু সেজন্য 'আমি, স্নিগ্ধা' মনে করি না যে আমার তাকে অপমানকর কিছু লেখার অধিকার আছে - না, আর কিছু নয়, শুধুমাত্র একজন সমাজ সচেতন মানুষ হিসেবেই নেই। যে আমি সমাজের অন্যায় দেখে প্রতিবাদ করবো, ক্রোধে আক্রান্ত হবো, প্রতিকার করার চেষ্টা করবো, সেই আমি প্রথমে অন্তত 'আমিত্ব'কে একটূ সময়ের জন্য হলেও সরিয়ে রেখে চিন্তা করার চেষ্টা করবো। তারপরে নাহয় বাকি যুদ্ধগুলো শুরু করা যাবে।
হিমুর, মাহবুব মোর্শেদের, আরিফ জেবতিকের, আপনার, ফারুক ওয়াসিফের, কি আমার নিজেরও সবকথা সবসময় বিনয়ী হয় না, 'উচিত' হয় না, অন্যের কাছে যৌক্তিক হয় না। তো? তার মানে কি এই যে আমরা যার যখন ইচ্ছে হবে কর্কশতা আর রূঢ়তার অস্ত্রে শান দিতে থাকবো?
কখনও কখনও নিজের ভুল বুঝতে পারাটা এবং স্বীকার করাটা একধরনের জয় বলেই আমি মনে করি - অনর্থক আত্মম্ভরিতার বিরুদ্ধে জয়। এবং সেটা মোটেই তুচ্ছ কিছু নয়!
যুক্তি দিয়ে খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। @ স্নিগ্ধা।
'সুশীল নৈতিকতাবাদীদের সমাবেশ' কথাটি যদিও যথেষ্ট ঈঙ্গিতপূর্ণ ও শ্লেষাত্নক এবং পোস্টের অনেক বিষয়ের সঙ্গেই আমার তীব্র দ্বিমত থাকতেই পারে, এর পরেও মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে যে ব্যক্তিগত রেষারেষি, কুরুচিপূর্ণ আক্রমন-প্রতিআক্রমন চলছে, তা দেখে মনে হতে পারে:
'ঘাচাং' বা 'আপত্তি জানান' যথেষ্ট নয়, তাই' ব্লগারকে ব্লক' করার বিষয়টি সচলে চালু করার প্রস্তাব হয়তো খুব শিগগিরই জোরেশোরে উঠবে!!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
অতিমাত্রায় সুশীল প্রত্যুত্তর দেই স্নিগ্ধাকে-
অপরাধ সব সময়ই অপরাধ বিবেচিত হবে- এই অবস্থানটা আমার মতে সঠিক না।
সম্পূর্ণ পরিস্থিতিতেই অপরাধ বিষয়টা আপেক্ষিক একটা বিষয়। নৈতিকতা এবং নৈতিকতাবিবর্জিত আচরণ সব সময়ই সামাজিক একটা প্রকাশ। মেনে নিলাম তর্কের খাতিরেই অন্তর্জালের বিশ্বের কোনো সীমান্ত নেই, অন্তর্জালিক বিশ্বের সীমান্তের কাঁটা তার না থাকলেও অলিখিত সীমান্ত রয়েই যাচ্ছে, এই সীমান্ত ডিঙিয়ে অনুপ্রবেশকে আমরা হ্যাকিং বলছি।
মেটাফোর হয়ে যেতে পারে, তবে প্রতিটা মানুষের কিংবা প্রতিষ্ঠানের স্বাধীন ভুখন্ড তার অন্তর্জালিক চাষাবাদের জমিন, সেখানের নীতি- আইন কানুন এবং প্রথা ও কৃষ্টি সেই ভুখন্ডের মানুষ কিংবা মানুষেরা নির্ধারণ করছে।
এরপরেও আগ্রাসন চলে, আগ্রাসী মানুষ সীমান্ত ডিঙিয়ে ঢুকে পর অন্য সীমানায়। প্রতিটা দেশ নিজস্ব আইন কাঠামো অনুযায়ী এই সীমান্ত ডিঙানোর আইন ভঙ্গের প্রতিকার করার জন্য একটা আইনি কাঠামো তৈরি করেছে, কিন্তু এখনও তেমন ভাবে নির্দিষ্ট একটা ধাঁচ গড়ে উঠে নি এই অপরাধের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে হ্যাকিং এবং যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্যের প্রেক্ষিতে হ্যাকিং কিভাবে নির্ধারিত হয়, ব্যক্তিগত ওয়েব সাইটের তথ্য মুছে দেওয়ার কাজটাতে আইনী প্রতিকার চেয়ে কতজন মামলা করছে? মামলাযোগ্য অপরাধ বিবেচনা করে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াচ্ছে না বলেই হ্যাকিং ন্যুন অপরাধ এটাও আমি বলছি না।
হ্যাকিংয়ের ধরণ এবং হ্যাকিংয়ের পরিণতিতে হয়ে যাওয়া ক্ষতি নিরুপণ করেই এর শাস্তি নির্ধারিত হওয়া প্রয়োজন। অনেক মানুষের উপকারে আসে এমন ব্যাংকের তথ্য ভান্ডার লুট করে সেখানে রাহাজানি ভীষণ রকম অপরাধ অন্তত আমি নিজস্ব বিবচনায় বলছি এই তথ্য লুণ্ঠন পার্থিব জীবনেও প্রভাব ফেলে।
একেবারে গুরুত্বহীন কোনো ওয়েব সাইট দখল করে বিজয় কেতন উড়ানো মানসিকতা অপরাধ, তবে এই অপরাধের তুলনা আমি দিবো রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রসাব করার সাথে। সবাই করেছেন এমন না, তবে অধিকাংশের জীবনেই অবৈধ অনুপ্রবেশ করবার একটা ইতিহাস রয়েই যাচ্ছে। কিংবা আরও অবৈধ অনুপ্রবেশ হতে পারে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেয়েদের স্তন দেখা, কাজটা অনৈতিক, যদি নৈতিকতার আদর্শ মেনে বলতে হয়, এর পরেও এই অপরাধে অভিযুক্ত সবাই। উন্মুক্ত হলেও পর্ণ সাইটে ঘোরাঘুরিও অপরাধ, যদি পার্থিব নৈতিকতা বোধকে আমি সামনে নিয়ে আসি। তারা খুলে বসে আছে বলেই গিয়ে দেখে আসতে হবে তাদের দেহবল্লরী?
কথা হলো, আমি কোন পর্যায়ে গিয়ে নৈতিকতাকে নির্ধারণ করে দিচ্ছি? অধিকাংশ সার্ফার এসবকে অপরাধের মাত্রায় বিবেচনা করতে চাইবেন না। এমন কি মুর্শেদ তার আশঙ্কা সমেত মেনে নিতে রাজী হবেন না অতিরিক্ত পর্ণো সাইটে ঘোরাঘুরি মানুষের ভেতরে ধর্ষণ প্রবনতা জাগিয়ে তুলতে পারে। এটাও মুর্শেদীয় ধাঁচের একটা উপসংহারে পৌঁছানো। অধিকাংশ সুশীল মানুষেরা মির্জার শাস্তির পক্ষে, অনেকের যুক্তি হলো এতে হ্যাকিংয়ের বাতিক চাগিয়ে উঠবে। তারা কি পর্ণো সাইট উচ্ছেদের পক্ষে? তারা কি এটাকে অস্বীকার করে শুরু করবে আলোচনা, নগ্ন নারী দেহ দেখে কেউ কামার্ত হয় না, কারো ধর্ষণ প্রবৃত্তি জাগ্রত হয় না?
সাইবার অপরাধে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ, তথ্য ও প্রযুক্তি আইন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দক্ষ মানুষ এবং দক্ষ কারিগরি দক্ষতা এখানে অনুপস্থিত। এমন কি র্যাবের সাইটেও তেমন নিরাপত্তা বলয় নেই, সচলায়তনের নিরাপত্তা বলয়ের চেয়েও বাজে নিরাপত্তা বলয় নিয়ে তারা উন্মুক্ত অন্তর্জালে বসে আছে।
মির্জার শাস্তি হবে কি হবে না এটা নিয়ে প্রশ্নটা ছিলো না আমার। মির্জাকে যখন অপরাধী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে তখন মুর্শেদ বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে কিংবা সমাজনিরপেক্ষ অবস্থান থেকে নৈতিকতার বুলি দিচ্ছে। নৈতিকতা সমাজনির্ভর একটা কাঠামো আমার এই মত থেকে সরে আসছি না, কিংবা সরে আসবার যথেষ্ট কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।
র্যাবের ওয়েস সাইট হ্যাক করেছে মির্জা, অপরাধের মাত্রায় এটা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ? অপরাধ সংঘটনের পরিস্থিতি এবং উদ্দেশ্য সব সময়ই আইনের বিবেচ্য বিষয়। তাই আমাদের সমাজেও বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির ব্যবস্থা আছে। যাদের অপরাধকে আমরা ন্যুন জ্ঞান করি তাদের আমরা স্বল্প সময়ের জন্য সংশোধনাগারে পাঠাই, তাকে সমাজ থেকে নির্বাসিত করে সংশোধিত হওয়ার জন্য অন্তরীণ করে রাখি যেনো তারা আত্মগ্লানিতে ভুগে সংশোধিত হতে পারে।
যাদের অপরাধের মাত্রা আমরা সামাজিক বিধিতে চুড়ান্ত বিবেচনা করি তাদের যাবজ্জীবন অন্তরীন রাখি, কিন্তু যাদের আমরা সমাজের জন্য বিপজ্জনক মনে করি তাদের মৃত্যুদন্ডাদেশ দেই। তাদের আমরা সমাজ থেকে মুছে ফেলি কোনো এক আইনী ব্যবস্থায়। কিন্তু সকল খুনীকেই আমরা সমাজের জন্য বিপজ্জনক চিহ্নিত করি না। একই মাত্রার অপরাধ সবগুলোই, সব সময়ই একজন মানুষের প্রানহানী ঘটছে তবে, অভিযুক্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় কখনও ৫ বছর, কখনও ৭ বছর, কখনও ১৪ বছর কখনও ফাঁসিতে ঝুলছে।
মির্জার অপরাধ বিষয়ে নিঃসন্দেহ হয়ে যাওয়া উইকি নৈতিক মানুষদের নিয়ে সমস্যাক্রান্ত আমি। আমার এই ধাঁচটা বদলানোর কারণও দেখছি না, মূলত নৈতিকতা বিবেচনার গভীরে না গিয়েই তারা উপরে উপরে অপরাধের সংজ্ঞা পড়ে অপরাধের শাস্তি বরাদ্দ করতে আগ্রহী, আমি এই জায়গাটাকে প্রশ্ন করতে চাই।
মির্জার অপরাধ অনেক বড় হতে পারে, যদিও র্যাবের ওয়েব সাইট ঘুরে এমন কোনো তথ্য সম্ভার দেখলাম না যা মুছে দিয়ে বিশাল বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এরপরেও র্যাবেরজন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাপিশ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মির্জার বিরুদ্ধে সেটার সর্বোচ্ছ শাস্তির মেয়াদ ১ কোটি টাকা জরিমানা এবং ১০ বছরের জেল।
র্যাবের প্রতিক্রিয়া এবং আমাদের বিচার ব্যবস্থার আদক্ষতা এবং মুর্শেদের চরমপন্থী অবস্থান যে ২১ বছরের এক প্রাঙ্ককে প্রথম আলো যথেষ্ট কোমল হিসেবে পরিচিতি দিয়ে তার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের পথটা সুগম করছে এবং একই সাথে মুর্শেদ আমার মতো সবাইকে অভিযুক্ত করছে যে আমরা মির্জাকে নায়ক করে তুলছি এবং এটা সামাজিক স্থিরতা নষ্ট করবে।
আমার প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়েছে, তবে আমি শুধুমাত্র তথাকথিত উপরে উপরে ভেসে চলা সুশীলদের এই অবিবেচনাপ্রসুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবনতাকে অগ্রহনযোগ্য বিবেচনা করছি।
বিপ্লব রহমান জ্ঞানী মানুষ তিনি অনেক কিছুর গন্ধ পেয়েছেন, তার সংবেদী নাসিকার প্রতি অগাধ সম্মান, তাকে বিপ্লব।
রাফি- ব্লগিংয়ে মানুষ অলিখিত দাসখত দিয়ে আসে মন্তব্যের প্রত্যুত্তর দেওয়ার এই নিয়মটা সাইবার নীতিমালার কততম ধারা?
দেবোত্তম দাশ, মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে যা বলেছি সেটা ব্যক্তিগত কিংবা ধর্মীয় আগ্রাসনের লক্ষে করি নি, সাম্প্রদায়িক আচরণ ছিলো না এটা, একটা উদাহরণ দেই, বাংলাদেশের বাগবিধি এবং এখানের সংবাদ প্রকাশের ধাঁচের সাথে আমাদের প্রতিবেশী পশ্চিম বাংলার বাংলা পত্রিকায় সংবাদ ভাষ্য প্রকাশের ধাঁচ এক নয়, তারা যেভাবে পৌরাণিক উপখ্যান নিয়ে আসে সংবাদে এখনেও তেমন পানির অভাবে কারবালার উপমা আসে, উপমা আসবেই, নব্যনৈতিকতাবাদী যখন নিজের বিবেচনাবোধ হারিয়ে একটা বিষয়কে সত্য প্রমাণের চেষ্টা করতে থাকে তখন সে তথাকথিত নৈতিকতাবাদীদের তুলনায় কঠোর একটা অবস্থান নিয়ে নেয়। ধার্মিক মানুষও মাঝে মাঝে উগ্র ধার্মিক হয়ে যায় এই মাত্রাগত সীমানার অভাবে। মাত্রাগত সীমাটা আমিও অতিক্রম করেছি, তবে এটা নিয়ে সবাই যেমন প্রশ্নমুখর, সেই প্রস্নমুখরতা সেখানে নেই কারণ ওটাকে আদর্শ অবস্থান ধরে নিয়েই তর্ক শুরু হয়ে যাচ্ছে। এটা দুঃখজনক ঘটনা বড়জোর।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
রাসেল - "অতিমাত্রায় সুশীল" প্রত্যুত্তরের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শ্লেষ নয়, সত্যিই। কারণ, নাহলে এই পোস্টে আর কোন মন্তব্য আমার লেখা হতো না।
কেউই কিন্তু বলছে না মির্জার ড়্যাব প্রস্তাবিত শাস্তি হওয়া উচিত। যারা তার শাস্তির পক্ষে তারাও না, যারা বিপক্ষে তারা তো নাইই। আপনি বলছেন নৈতিকতার বা আইনের আপেক্ষিক মানদন্ড অনুযায়ী তার কাজটা অপরাধ কিনা সেটাই আগে বিচার করা উচিত। খুবই ভালো কথা। আমি অবশ্যই ওরকম কঠিন শাস্তির বিপক্ষে, দৃঢ়ভাবেই, কিন্তু অল্প হলেও (যেমনঃ তার শিক্ষাজীবন একবছর সাস্পেন্ড করে রাখা, কি এরকম কিছু - যাতে তার 'শাস্তি' একটা হয় কিন্তু বড় কোন ক্ষতি না হয়) তার পক্ষেও কিনা - সত্যি বলতে নিজেই নিশ্চিত নই। আমি নিজে যেহেতু টেকনিকাল লাইনের নই, এবং হ্যাকিং সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না - তাই আমি সবার মন্তব্যগুলো পড়ে তারপর নিজ-বিবেচনা অনুযায়ী একটা সিদ্ধান্তে আসতে চাচ্ছিলাম।
এবং সেখানেই হলাম সমস্যার মুখোমুখি। যখনই এমন কোন লেখা পোস্টেড হয় যেখানে ভাষ্যের চাইতে ভাষা মূখ্য হয়ে ওঠে, তখন মনোযোগ গিয়ে পড়ে - 'কে প্রথম শুরু করেছিলো', 'আসলে কার দোষ', 'এরও আগে আবার 'আগের কিছু' ছিলো নাকি', 'এটা আসলে ব্যক্তিগত ঝাল ঝাড়া নাকি একটা আদর্শগত অবস্থান থেকে বলা' - এইসব 'আপেক্ষিক সত্য' সম্বলিত প্রশ্নমালার ওপর। যার কোন কূল থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু কিনারা হওয়া আমার সীমিত বুদ্ধিতে সম্ভব নয়।
আর পর্ণসাইটে যাওয়া আর চুরি করে কারো নগ্ন শরীর দেখা আমার কাছে এক নয়, দ্বিতীয়টি অনৈতিক। এবং সেটা যদি কোন নারীও কোন পুরুষের ক্ষেত্রে করেন বা অন্য আরেক নারীর ক্ষেত্রে করেন, আমার কাছে তা অনৈতিক। কিন্তু যে আপেক্ষিকতার কথা আপনি বলছেন, সেই অবস্থান থেকে আপনিই বিচার করুন - 'নিরপেক্ষ' মোর্শেদও নয়, আমিও নই, কেউই নয় হয়তো, কিন্তু তাই বলে এতোটাই কি দরকার ছিলো?
আপনার ভাষার ওপর দখল তো খুবই জোরালো - প্রথমেই যদি এই মন্তব্যটার মত করে প্রতিক্রিয়া পোস্টটা লিখতেন, তাহলে কি আর আমাকেই এত বড় বড় প্রতিমন্তব্য লিখতে হতো
"আর পর্ণসাইটে যাওয়া আর চুরি করে কারো নগ্ন শরীর দেখা আমার কাছে এক নয়, দ্বিতীয়টি অনৈতিক। এবং সেটা যদি কোন নারীও কোন পুরুষের ক্ষেত্রে করেন বা অন্য আরেক নারীর ক্ষেত্রে করেন, আমার কাছে তা অনৈতিক। "
বিষয় বিবেচনায় ঘটনাটা এক রকম নয়, কিন্তু পরিপার্শ্ব বিবেচনায় ঘটনা একই রকম, প্রত্যক্ষ দৃষ্টির অসস্তি হয়তো অনুপস্থিত প্রথম ক্ষেত্রে কিন্তু পরোক্ষ দৃষ্টির কামনার আঁচটা থাকছেই উপস্থিত।
যারা পয়সার বিনিময়ে নিজেদের ছবি দিচ্ছে তাদের কথা বাদ দিয়েও অনেক ছবি পাওয়া যাবে পর্ণ সাইটে যেসব ছবির পাত্র-পাত্রী এই বিষয়ে অজ্ঞ, তাদের পয়সার লোভ নেই, পয়সার কারণেই তারা এই কাজ করে নি, কিন্তু ঐ দ্বীতিয় অনৈতিকতাবোধ সম্পন্ন কোনো মানুষ এটা পর্ণ সাইটে আপলোড দিয়ে দিলো। সাধারণ ঘটনার চেয়ে জটিল ঘটনা ঘটতে পারে পৃথিবীতে, অনেক রকম দুরহ সন্নিবেশ থাকতে পারে, সবগুলো আমলে না আনলে সামান্য সমস্যা হতে পারে।
শাস্তিযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নটা আসছে প্রথম থেকেই, উজবুক একটা মানুষ নিজের উজবুক আচরণের কারণে সামাজিক নিগ্রহের সূচনা করেছে, তাকে নিগৃহীত হতে দেখা একটা আমোদ হতে পারে। এখানে অবস্থান সেভাবেই নেওয়া যেতো, মির্জার অতীত ইতিহাস টেনে একজন বলেছে, সে একেবারে নিস্পাপ মানুষ নয়, অতীতেও কোনো মানুষের ওয়েব সাইটে গিয়ে হামলা চালিয়ে দখল করেছে- তবে সেই আক্রান্ত ব্যক্তি এটাকে সাইবার অপরাধের ধারায় ফেলে বিচার করতে আগ্রহী হয় নি, সেটা সাইবার অপরাধ বিবেচিত হতে পারে এই প্রশ্নটা সামনে এসেছে র্যাবের ওয়েব সাইট দখলের পরে। যা বলতে চাইছি, ওয়েব সাইট দখল করবার প্রথা পুরোনো , এটাকে অনেকেই বীরত্ব হিসেবে দেখছে, অনেকেই এটাকে প্রতিহিংসা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখছে, প্রতিযোগিতা হিসেবেও কেউ কেউ হ্যাকিং করছে। নেপথ্যের অনুপ্রেরণা একটা বিষয় হতে পারে, মির্জাকে ছাড়া কিংবা না ছাড়া, তাকে শাস্তি দেওয়া কিংবা না দেওয়া বিষয়ে মতামত কথা চালাচালি হতে পারে, আমি যেমন ভাবছি
একটা ভাঙা বাড়ীতে গিয়ে কেউ মুতে আসলে সেটাকে কোন পর্যায়ের অপরাধ বলা যায়, মেনে নিলাম ভাঙা বাড়ীতে মানুষ থাকে, তারদরজায় গিয়ে হেগে আসাটা সামাজিক নিগ্রহ, দরজার সামনে হাগা কেউ পছন্দ না করলেও ভাঙা দেয়ালে মুতের মানচিত্র আকা কারো কাছে দোষনীয় নয়।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
রাসেল, আপনার মন্তব্য থেকে নেওয়া
আপত্তিকর প্রশ্ন আমিও আপনাকে করতে পারতাম, যেমন
আপনার কোন পূর্বপুরুষ প্রথম গরুর প্রতি অনেক বেশী সহিংস আচরণ শুরু করেছিলেন আর তারাই বা উচ্চ বর্ণের নাকি নিম্ন বর্ণের ছিলেন ?
এই প্রশ্নগুলোও কোনো ব্যক্তিগত কিংবা ধর্মীয় আগ্রাসনের লক্ষ্যে হয়তো করতাম না, হয়তো এগুলোও বড়জোর দুঃখজনক ঘটনা হতে পারতো।
কিন্ত এই প্রশ্নগুলো করে আপনাকে বিব্রত করার কোনো মানে দেখি না এবং নিজেকেও ছোটো করতে চাই না।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
এত সরল বিষয় নিয়া এরকম কুস্তাকুস্তিতে মেজাজ একটু বিলা হইলে মেজাজধারীকে খুব এক্টা দুষা যায় না। কাহিনি হইল এরম :
১. মির্জা নামের ২১ বছরের ছ্যামড়া এক্টা কাম করছে, যেইটা নানান গলিঘুপচি পার হইয়া শেষ পর্যন্ত চুরিই।
২. রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটা সাইটের নিরাপত্তাব্যবস্থা এইরকম হবে ক্যান এবং সাইবার জগতের নানাবিধ ক্রাইম ফকিন্নি বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের বা ইউজার ব্যুম করার প্রধাণ কারণ সুতরাং এই ছেলেরে কঠোর কোন শাস্তি দেওয়া অনুচিত।
এই পর্যন্ত যত লোকে যত মন্তব্য করছে সবাই এই দুইটা পয়েন্টের চাইর দিকে মেরি গো রাউন্ড খেলতাছে। এর আগে পিছে হাঁটুতে বগলে যা আইছে সেগুলা নানারকম ঝাল ঝাড়া, গোষ্ঠীগত ব্যক্তিগত দুই রকমই।
উদাহরণ দিয়া কোন পক্ষরে পীড়িত করা আমার কাম না। আমার পর্যবেক্ষণে আমি মোটে দুইটা ত্রুটি দেখি :
১. সাইবার ক্রাইম বিষয়ে মন্তব্য করার সময় মুর্শেদ-রাগীব-হিমু বাংলাদেশের বাস্তবতার বিষয়টা ঠিকমতো মাথায় রাখে নাই। যেই কারণে সার্বজনিন নৈতিকতার আশ্রয় নেওয়ার প্রচেষ্টা তাগো মন্তব্যের গায়ে ফোস্কা হিসাবে দেখা দিছে।
২. মুর্শেদের পোস্টের সূত্র ধইরা রাসেল হুদাই সচলায়তনরে গুতাইতে গেছে। মুর্শেদের পোস্টের মন্তব্যগুলা ঠিকমতো পড়লেই তার বুঝতে পারার কথা ছিল বিষয়টা আলোচনার আওতায় আছে কেউ কোন উপসংহারে পৌছায় নাই। আর ঐটা লেখক মুর্শেদের বক্তব্য আর তাতে করা মন্তব্যগুলা ঐ লেখায় নিতান্তই অন্য পাঠকদের প্রতিক্রিয়া। ঐটা সচলায়তন নামের প্লাটফর্মের কোন অবস্থান না। সচলায়তনের উপর রাগ ঝাড়তে সে অপ্রাসঙ্গীকভাবে ফারুকের সাথে হিমুর আচরনরে সেই খানে টাইনা ঝাল ঝাড়ার চেষ্টা করছে।
এই দুইটা অবস্থানই আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় এবং হাস্যকর মনে হইতেছে।
আমার বক্তব্য হইল :
১. ঐ পোলা চুরি কইরা যেহেতু ধরা খাইছে সেহেতু তারে বাঁচাইতে যাওয়ার তেমন কিছু নেই। যদিও বাংলাদেশের প্রায় পুরা তথ্য প্রযুক্তি জগত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক হ্যাকারদের কৃপায় নির্মিত। বিষয়টা যে চুরি সেইটা শুরু থিকাই কম বেশী সবাই জানে। প্রশ্নটা ধরা খাওয়া না খাওয়ার। এইখানে নৈতিকতা টানলে সেইটা পুরীষগন্ধপুরাণচর্চাই হবে।
২. পোলা যেই বিষয়টারে ওয়ার্নিং দিছে সেইটারে আমলে আনতে হবে। রাষ্ট্র তার আওতাধীন সাইটগুলার ম্যানেজমেন্ট ছাগুরামদের হাতে ছাড়ার ফলেই এমনটা ঘটা সম্ভব হইছে। নাইলে মির্জার মতো পোলাপানের এরকম করতে পারার কথা না। ( রাগীবের ভাষ্যমতে দেখা যায় ঐ পোলা এমন কোন বড় হ্যাকারের কাম করে নাই।)
এইটা এমনই একটা বিষয় যেইখানে প্রান্তিক মেরুকরণের কোন বাস্তবতা অন্তত বাংলাদেশের সাইবার জগতের সাপেক্ষে নাই।
আমার মনে হয় এখন কথিত দুই পক্ষেরই এই বিষয়টা বুইঝা আপসে পান্তামুক করা উচিত।
আমীন।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
সুমন সামান্য ভুল আছে উপসংহারে। সচলায়তনরে গুতাই নাই, এখানের মানুষের মানসিকতাকে গুতাইছিলাম কোনো এক সময়, সচল কম্যুনিটি হিসেবে যুথবদ্ধ আচরণ করে এইটা দেইখ্যাই ভালো লাগলো।
মুর্শেদের পোষ্টের ঝাল ঝাড়তে গিয়ে ফারুক ওয়াসিফের কথা আইছিলো হিমুর মন্তব্যের বরাতে, হিমু নিজস্ব কৌতুকবোধ সমেত আমার কাছে অগ্রহনযোগ্য না কিন্তু যখন সচলায়তনকে নিজের অস্তিত্বের সম্প্রসারণ ধরে নিয়ে সচলায়তনের সুশীল মানুষদের সমাজবিচ্ছিন্নতা এবং উন্নাসিকতাকে নিজের গায়ে টেনে কাদা মাখামাখি করতে উপদেশ দেয় সেটা আমার মেনে নিতে সমস্যা হয়।
মাহবুব মোর্শেদের একটা মন্তব্য হাওয়া হয়ে গিয়েছে প্রতিমন্তব্যের সময়ে সেখানেও তার এই উপরিতলের নৈতিকতাবোধ সম্বলিত গুরুবাক্য ছিলো, মন্তব্যবিহীন আমার প্রতিমন্তব্য নেহায়েত সচলায়তন বিদ্বেষ হিসেবে প্রকট হয়ে আছে।
মুর্শেদের ব্যক্তিগত মতামত যদি এখনও মুছে না দিয়ে থাকে সেখানে তার ভাববাদী সমাজ এবং বিশ্ববিচ্ছিন্ন নৈতিকতার বানী এখনও আছে লাল চক্ষু শিরোনামের লেখায়।
বন্ধুপ্রীতি কিংবা গোত্রপ্রীতিআসক্ত না হয়ে নিজের অনুভবটা প্রকাশ করছি, সেখানে লিখিত কঠোরতা থাকলেও বৈরিতা নেই।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
নতুন মন্তব্য করুন