হিগস বোসন খুঁজে পাওয়া গেলে আদতে কি হবে?
২৭০০ কোটি ডলার ব্যয়ে অমরত্বের সন্ধান করতে মানুষ,মূলত প্রথম শ্রেণীর গবেষকদের হলি গ্রেইল হিগস বোসন। ৪০ বছর আগে যখন এই অনুমাণটা সামনে আসলো এবং সেটার ভিত্তি ধরেই আসলে আমাদের বলের একত্রীকরণের ধারণাগুলো জন্মালো। ইলেক্ট্রোউইক ফোর্স, যেটার জন্য আমাদের কাদিয়ানী বিজ্ঞানী এবং জোচ্চোর আব্দুস সালাম নোবেল পেলো, এবং এর পরে আরও গভীর ভাবনার জগতে গিয়ে সুপারসিমেট্রি নিয়ে ভাবনা চিন্তা সব কিছুই আসলে এই রহস্যময় কণিকার উপরে ভিত্তি করেই।
যদিও মার্ক্সবাদের মতো এটাকে পরিত্যাজ্য ঘোষণা করা যায়, শালার তাবত বিজ্ঞানী বিভিন্ন রকম যন্ত্রপাতি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে খুঁজে খুঁজে একটা কণাকে ধরে আনতে পারছে না,সেটার ভর সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, এমন কি হিগসের কথা বাদ দেই, এলিট কনাবাদী তাত্ত্বিকদের অনেকেই সুপার সিমেট্রিক পার্টনারদের খুঁজছেন, সেগুলোর ভর সীমিত এবং সেগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মোটেও।
তবে একটা সময়ে এসে আত্মসম্মানবোধ অনেক তীব্র হয়ে যায়, মানুষের গাণিতিক ধারণাগুলোই মানুষর নিয়ন্ত্রক হয়ে যায়। তাই প্রায় ১০০০ বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী একটা নির্দিষ্ট ধারণাকে সত্য মেনে যে উপসংহারে পৌঁচেছেন সেটার সমাপ্তি কোথায় হবে?
এই ৭ টেরা ইলোক্ট্রন ভোল্টের সংঘর্ষে যদি হিগস পার্টিকল খুঁজে না পাওয়া যায় তবে বিজ্ঞানীরা এটাকে পরিত্যাগ করবেন না, তারা আরও ৫০০০ কোটি ডলার খরচ করে আরও বৃহৎ শক্তি সম্পন্ন একটা ত্বরক তৈরি করবেন, সেটার দক্ষতা আরও বেশী হবে।
এইটা হলো দেখবার ভঙ্গি, বিশ্লেষণের ভঙ্গি। অন্তত পদার্শবিজ্ঞানের অন্যতম মেধাবী মানুষেরা বিশ্বাস করে হিগস কণিকা বাস্তব, তাই এটা বাস্তব হতে বাধ্য??
অথচ এটার বিকল্প কোনো ধারণা আপাতত নেই, ৬০ এর দশকে শুরু হওয়া উন্মাদনা অর্ধশতাব্দীতে ডালপালা মেলে এমন একটা আকার ধারণ করেছে এটাকে ফেলে নতুন একটা ধারণা জন্ম দেওয়ার মেধা নেই এই বিজ্ঞানীদের।
আমি অবশ্য এটার বিরোধীতা করি অন্য একটা কারণে। মানুষ তার গাণিতিক বিশ্লেষণের দক্ষতায় কতটা চমৎকার হতে পারে তার নিদর্শন এই নানা নামের তত্ত্বগুলো, এই গুলো শুধুমাত্র অনুমাণ, এবং আরও কষ্টের বিষয় হলো অনুমাণগুলো এত সীমিত পরিসরে কাজ করে, আমাদের শয়ন স্বপন, জাগরণ এবং সঙ্গমে এসবের কোনো ভুমিকা নেই।
এমন কি যদি এটার সত্যতাও প্রমাণিত হয় তাতে পৃথিবীর কোনো বদল আসবে না, এটা ব্যবহার করে নতুন কোনো শক্তির উৎসও আমরা পাবো না, শুধুমাত্র কয়েকটি মানুষের গভীর বিশ্বাসকে সম্মান করেই এই অর্থের অপচায়।
ব্রায়ান গ্রীন এই প্রশ্নের উত্তরে যা বলেছেন সেটাই সত্যি- হয়তো হিগস পার্টিকল আমরা পাবো, কিংবা আশা করি সুপারসিমেট্রিক পার্টিকল খুঁজে পাবো। যদি খুঁজে পাই তাহলে সেটা আমাদের কিছু জিগীষার সমাধান দিবে তবে এরও বেশী প্রশ্নের জন্ম দিবে।
আর যদি পাওয়া না যায় তাহলে কি আর করার, আবার নতুন করে পরীক্ষা শুরু করতে হবে।
তবে তাদের যুক্তিটা আমার কাছে দক্ষ বিপণন কর্মির মতোই মনে হলো- অন্তত সবার জানা দরকার পদার্থ মূলত কি দিয়ে তৈরি, এবং উদাহরণ হিসেবে তারা বললো, ধরেন গাড়ীর কথা, সবাই কি আর গাড়ীর ডিজাইন বুঝে, একটা গাড়ীকে খুলে রেখে দিলে কি সবাই জোড়া দিয়ে এটাকে চলৎক্ষম বানাতে পারবে? হয়তো সবার জন্য উপকারী নয় কিন্তু কিছু মানুষের জন্য এটা জানা থাকা প্রয়োজন, নইলে একদিন আমাদের পায়ে হেঁটে চলতে হবে।
আমি অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না মোটেও, ৪০ এর দশকের অনুমাণের উপর ভিত্তি করেই নক্ষত্রগুলোর তাপ উৎপাদন যে উইক ফোর্স দিয়ে হয় এটা নিশ্চিত জানতো মানুষ, হয়তো একটা সমীকরণ ছিলো সেটাতে অজ্ঞাত ধ্রুবক ছিলো, নতুন তত্ত্ব কি এটার বাইরে নতুন কিছু দিয়েছে? আরও কিছু ধ্রুবক দিয়েছে, অজ্ঞাত ধ্রুবক, একজন চমৎকার একটা মন্তব্য করেছিলো, বেস্ট ফিটিং কার্ভ এবং এটার গবেষণাপত্রে ব্যবহার নিয়ে।
"
ইদানিং অনেক রকম মডেলিং চলছে, প্রতিটা মডেলের ভিত্তিই পরীক্ষাগারের উপাত্ত, তারা একটা সমীকরণ দাঁড়া করায়, এবং উপাত্তগুলোকে সেই সমীকরণ দিয়ে ব্যখ্যা করতে চায়, এবং এই সময় তারা একটা অজ্ঞাত ধ্রুবক আমদানী করে, এমন একটা অজ্ঞাত ধ্রুবক যেটা বেস্ট ফিটিং একটা কার্ভ দিবে এবং এই কার্ভের আড়ালে তুমি হাতি লুকিয়ে রাখতে পারবে।"
অনুমাণের পরে আরও অনুমাণ, কিছু অনুমাণের ভিত্তিতে উপাত্তকে গ্রাফে সাজিয়ে উপস্থাপন এবং এই শক্তিশালী বল, দুর্বল বল, এসবের কোনো কারিগরী ব্যবহার নেই,
মানে বর্তমান প্রযুক্তিতে যা ব্যবহার করছি আমরা সেই নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর আরও দক্ষ হবে যদি আমরা গ্লুওনের স্বরুপ জানতে পারি এমন না, যদি কোয়ার্কে অনুর গড়ণ জেনে যাই তাহলেও আমাদের পৃথিবীর সমস্যা কেটে যাবে না।
এরপরেও মানুষ উল্লসিত। আমিও উল্লসিত, কতিপয় মেধাবী মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা পরমাণুর শেষ দেখে ছাড়বেন তখন তাদের এই পাগলামীকে সমর্থন করে যেতে হয়।
বিজ্ঞাদের জগতে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনী প্রচারক ব্রায়ন গ্রীন তার স্ট্রিং থিওরীর প্রচারণা এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছেন যদিও সেখানে নতুন কোনো ভবিষ্যতবানী নেই তবে এর পরেও এটার মোহে মানুষ মুগ্ধ।
অক্টোবরে হয়তো সম্পূর্ণ ভাবে পরীক্ষণ শুরু হবে, তার আগ পর্যন্ত আমি ভাববো নেহায়েত অনুমাণ হলেও বর্তমানের তত্ত্বীয় পদার্শবিজ্ঞানের অনুসিদ্ধান্তগুলোকে এত রংচং মেখে পরিবেশনা আসলে বৈজ্ঞানিক মননের জন্য হানিকারক, তারা কি পূর্বেই একটা স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাচ্ছে না। পরিণতি যাই হোক না কেনো, ২৭০০ কোটি ডলার খরচ করে ২টা প্রোটনের সংঘর্ষ ঘটানোর বদলে অনেক কিছুই করা যেতো।
মানুষ আশ্চর্য জীব, নেহায়েত আত্মসম্মানবোধ রক্ষার জন্য নিজের মৃত্যুও ডেকে আনে, এটাতো কিছু টাকার বিনিময়ে আত্মশ্লাঘা পুরণ।
মন্তব্য
সালাম জোচ্চোর নাকি? কি করেছিলো?
আরে! এদেরই তো সেই electroweak unification!
সালাম ওয়েনবার্গ গ্ল্যাশো দের!!!!!
আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো সে অন্য একটা গবেষণাপত্র মেরে দিয়ে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছিলো, ওটাতে সালামের মৌলিক কোনো অবদান ছিলো না, ওয়াইনবার্গ কিংবা গ্লাশোর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নেই।
সেই গবেষণাপত্রের সূত্রেই ইউনিফিকেশনের কাজটাতে সালামের অংশীদারিত্ব জন্মায়।
বিষয়টা কাকতালীয়ও হতে পারে, সমস্যা সমাধানের উপায় এত কম যে অনেকেই একটা সমস্যা নিয়ে কাজ শুরু করে, পরে দেখা যায় অন্তত আরও ২০ জন একই কাজ করছে, একই ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছে।
মূলত সালামের বিরুদ্ধে অভিযোগটা গুরুতর কারণ সালামের গবেষণাপত্রের তথ্যগুলো পূর্বেই প্রকাশিত ছিলো।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
- হুমম
আমরা যারা অকাটপদার্থমূর্খ তারা যে আসলে কোন দিকে কাৎ হই বুঝে উঠতে পারছি না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুম..................... আমি তো পেপারে এটা দেখে ভাবছি ও আল্লা না জানি কি আবিষ্কার হচ্ছে । আপনার লেখা পড়ে এটা বুঝলাম এখানে উপকার এর থেকে টাকার অপচয় বেশি । এই জালেম মূ্র্খ আপনার বিলানো জ্ঞান দ্বারা এ বিষয়ে কিছুটা আলেম হয়েছে । তাই থ্যাঙ্কু ।
নিবিড়
শক্তির উৎস পাওয়াটাই কি এখন বিজ্ঞানের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ? যাই হোক, সে ব্যাপারে প্রশ্নটা নয়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি কি করে নিশ্চিত হচ্ছেন, এটি দিয়ে কোন কাজই হবে না, ভবিষ্যতেও এই পরীক্ষার সিদ্ধান্ত কোন কাজে আসবে না ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
শক্তির উৎস পাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ একটা সমস্যা বটেই, তবে কোয়ার্ক, গ্লুওন কিংবা ইউনিফিকেশন ওফ ফোর্সেস আসলে একটা অনুমাণকে শক্ত ভিত্তি দেওয়া।
মূলত কণাগুলোর স্থায়িত্বের সময়সীমা এত কম অগুলোকে মানুষের ব্যবহার উপযোগী কোনো কাজে লাগানো সম্ভবপর হবে না। ধরেন একটা চোখের পলক ফেলবার চিন্তা করবার আগেই কণাগুলো উবে যাবে, এইগুলোর কোনো প্রাযুক্তিক ব্যবহার নেই, তত্ত্বের অন্যতম ব্যবহারিক দিক হলো এটা,
অনেক রকম বিবেচনা কাজ করতে পারে, তবে আমি নিউট্রিনোর চরিত্র জেনে ওটাকে নিজের কোনো যন্ত্রে ব্যবহার করতে পারবো না,
আমি কোয়ার্কের চরিত্র জেনে কোনো কাজে লাগাতে পারবো না।
হিগস পার্টিকল পেলে আমার একটা জিগিষা মিটবে, আমি জানবো কেনো আমার শরীরের ভর তৈরি হলো, কিভাবে হলো, কিন্তু ঐ মৌলিক জ্ঞানটা আমি কোনো কাজে লাগাতে পারবো না। হিগস পার্টিকল ধরে আমি কোনটার ভর বাড়াবো?
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
বিজ্ঞানের যাবতীয় আবিষ্কারকে কি 'শুধু মাত্র' অর্থকরী কিংবা নগদ কাজে লাগবার স্কেলে বিচার করাটা ঠিক হবে ? এই মূহুর্তে আমাদের যেই জ্ঞান আছে, সেটা দিয়ে হয়তো হিগস পার্টিক্যাল বলার মত কোন ব্যবহারিক কাজে লাগছে না ( আমি নিশ্চিত নই সে ব্যাপারে, যে আসলেই এর কোন প্রয়োজন নেই কি না ?? ), কিন্তু তার অর্থ নিশ্চয়ই এই না যে কোনদিনই এই জ্ঞান আমাদের কোন প্রায়োগিক কাজে লাগবে না সেই ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।
আর সেইভাবে দেখলে কিন্তু মহাবিশ্ব সংক্রান্ত অনেক গবেষণাই শেষ পর্যন্ত কোন অর্থ বহন করে না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
মানুষ একটা সময়ে পরশ পাথর খুঁজেছে, হন্য হয়ে খুঁজেছে, মধ্যযুগে মানে ১৭০০ সালের আগে এই খোঁজে মগ্ন ছিলো অনেকেই, এখন মানুষ পরশ পাথরের সন্ধান পেয়েছে, তবে সেটা দিয়ে সব কিছুকে সোনাতে পরিনত করতে যে খরচ পরবে সেটা সামলাতে পারবে না বলেই এই আধুনিক পরশ পাথর মানুষ ব্যবহার করছে না।
ধরে নিলাম কোনো একদিন হিগস পার্টিকলের কোনো উপযোগিতা তৈরি হবে, তবে সেটা যে যন্ত্র দিয়ে ব্যবহার করতে হবে ফিদিন সেটা ব্যবহার করা ঠিক ইকোনোমিক্যালি ফিজিবল কিছু হবে না।
মানুষের অনুসন্ধিৎসা মানুষকে চালায়। মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে মানুষের গবেষণার একটা প্রায়োগিক দিক আছে, ধরেন কোনো একদিন জানা গেলো এটার পেছনে কোনো ইশ্বরের বাম হাতের কারসাজি নেই, মানুষ কিন্তু নিশ্চিন্তে রাতে ঘুমাবে, পরকালের আর গোর আযাবের ভয়াবহ স্বপ্নে নির্ঘুম কাটাবে না ইয়া নফসি ইয়া নফসি করে।
কিংবা অন্যটা প্রমাণিত হলো, তাহলেও সামগ্রীক ভাবে একটা উপকার হবে মানুষের।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
আমি টেকনলজির খবর পর্যন্ত উকিঝুকি মারি
কিন্তু এর পরে যদি দেখি সেটা সাইন্সের দিয়ে ঝুঁকে যাচ্ছে তখন ফিরে এসে আবার সাইন্স ফিকশনেই ভরসা রাখি
সাইন্সের থেকে সাইন্স ফিকশন আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ
যেকোনো তত্বই আসলে তত্বমাত্র। যতক্ষণ না এর prediction মেলানো হছ্ছে experimentally ততক্ষণ এর অস্তিত্ব ওঅবস্থান সবই শুধু মনে ।
সে রকম থেকে লাভ কি?
ভেবে দেখুন এত যে proton neutron electron meson quark সব বলে যাছ্ছি, সব তো আবিষ্কার হলো
খরচসাপেক্ষ experiment এই!
যদি আবিস্কারের কথা বলা হয় তবে আবিস্কার হয়েছে নিউট্রন, প্রোটোন ইলেকট্রন কিংবা নিউট্রন শেষ পর্যন্ত আদতে কোনো প্রেডিকশনের আওতায় ছিলো না, খুঁজে পাওয়া গেছে বলেই তাদের অস্তিত্বে নিঃসংশয়ী।
খুঁজে পাওয়া গেছে কিংবা পূর্বানুমাণ থেকে পাওয়া গেছে মেসন, কোয়ার্ক এখনও একটা অনুমাণ, ধরে নেওয়া যাকে বলে, ৩টা না ৫টা না ৭টা এই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক আছে।
আবিস্কার হচ্ছে তো বটেই।
একটা চমৎকার উক্তি মনে পড়লো,প্রথম যখন পজিট্রনের অস্তিত্ব প্রমাণিত হলো তখন মানুষ উল্লসিত হয়েছিলো কিন্তু এরপরে এমন সমস্যা তৈরি হলো, তখন হঠাৎ কোনো দিন রাতে কোন এক গবেষক ছুটে এসে নতুন কোনো কণিকার কথা বললে উল্লসিত হওয়ার বদলে প্রফেসর বিরক্ত হতো।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
স্বয়ং স্টিফেন হকিংও এই পরীক্ষায় হিগ্স বোসন পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি বিবিসি'র সাথে সাক্ষাৎকারে বাজি ধরেছেন যে, হিগ্স বোসন পাওয়া যাবে না। তাই বলে উনি কিন্তু এই পরীক্ষাকে অমূলক বলে উড়িয়ে দেননি। তার কথা:
এখানেই কিন্তু আসল কথা বেরিয়ে আসছে। আপনি বলছেন, কেবল হিগ্স বোসন আবিষ্কারের জন্য এতো অর্থ খরচ করা উচিত না। হকিং বলছেন, হিগ্স বোসন পাওয়া না গেলেও এ ধরণের পরীক্ষার প্রয়োজন আছে। কারণ,
- পদার্থবিজ্ঞানের কিছু সমাধানহীন প্রশ্নের জবাব পাওয়া যেতে পারে
- মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও বিবর্তন সম্বন্ধে জানা যেতে পারে
আপনি পদার্থবিজ্ঞানের সমাধানহীন প্রশ্নগুলো নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেছেন। হ্যা, সেগুলো নিয়েও সংশয় আছে। কিন্তু সেগুলো নতুন কোন তত্ত্ব দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়নি। আপনি বলেছেন সেরকম নতুন তত্ত্ব আবিষ্কারের মত মেধা এ যুগের বিজ্ঞানীদের নেই। আমি সেটা মানতে পারছি না। আমার মনে হয়, সাধারণ মানুষের চেয়ে কম হুজুগে চলেন। বিজ্ঞানীদের কাজই বর্তমান তত্ত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা। সন্দিহান হতে হতেই হালের "প্রমিত মডেল" (standard model) এর জন্ম হয়েছে।
এখন যদি কণা পদার্থবিজ্ঞানকে এগুতে হয় তাহলে প্রমিত মডেলের সবকিছু চেখে দেখতে হবে। কোন খুঁত আছে কি-না বের করতে হবে। সের্ন সেটাই করছে। আমি এই প্রচেষ্টার পক্ষে। প্রমিত মডেল সম্বন্ধে সবকিছু জেনে গেলে কি হবে তা তো সময়ই বলে দেবে। বিশুদ্ধ বিজ্ঞানের চর্চা কোনদিন মানুষকে কেবল সামনেই নিয়ে যায়।
তার মানে প্রমিত মডেলকে পরিত্যাজ্য ঘোষণা করা যায়! আমার মনে হয় নতুন কোন তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত পরিত্যাজ্য ঘোষণা করা যায় না।
এখানে সেই চিরাচরিত কথাটাই আসছে। পৃথিবীর সব সমস্যা কোনভাবেই শেষ হয়ে যাবে না। কারণ, সমস্যাগুলোও অসীম। তাই সবকিছু করতে হয় প্রায়োরিটি দেখে। আমার মনে হয়, মহাবিশ্বের সবচেয়ে মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধানের এ প্রচেষ্টা প্রায়োরিটিতে অনেক আগে থাকবে।
মানুষের উপযোগিতা বিজ্ঞানের কেবল একটি দিক। প্রকৃতির নিয়ম যেমন স্বতঃস্ফূর্ত, কারও স্বার্থের জন্য না, তেমনি প্রকৃতির নিয়ম অনুসন্ধানও স্বার্থ বা উপযোগিতাকে মুখ্য করে তোলে না। প্রকৃতির নিয়ম জানার জন্য এর থেকে ভাল কোন উপায় নেই বলেই ৮,০০০ বিজ্ঞানী এতে কাজ করছেন। আমি অর্থ এবং শ্রমের পরিমাণ দিয়ে অপচয় নয়, বরং কাজের গুরুত্ব বুঝেছি।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
বড় বড় মানুষের চোখে বিশ্ববীক্ষণ একটা ভালো সান্তনার পথ হতে পারে।
হকিংয়ের বক্তব্য আমিও পড়েছি, তার অনুসন্ধিৎসাকে আমি অন্যায় বলি না,সাফল্য মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়,
বিজ্ঞানের ইতিহাস তেমনই বলে, এখন থেকে ১১৫ বছর আগে একদল বিজ্ঞানী ঘোষণা দিয়েছিলো নতুন কোনো কিছুই জন্মানোর সুযোগ নেই, নিউটনের গতিবিদ্যাবিধি, ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎচুম্বকীয় বিধি, এইসব দিয়ে অনেক কিছুই করা সম্ভব। সব কিছুই এটা ব্যখ্যা করতে পারছে, কিছু বিষয় ব্যখ্যা করতে পারছে না সত্য-
সমস্যা সেখানে থেকেই শুরু করতে হবে, ভাবনাটা সেখান থেকে শুরু করে দেখতে বলবো, এরপরে এই ব্যখ্যাঅযোগ্য ঘটনাগুলো অনেক কিছুর জন্ম দিলো, কোয়ান্টাম মেকানিক্স আসলো, আসলো আইন্সাইন, বেচারা বিজ্ঞানীরা নিউটনের সাফল্যে এতটাই মশগুল ছিলো যে তাবত গণিতবিদ নিউটনকে অবিকৃত রেখেই সংশোধনের চেষ্টা করছিলো।
বর্তমানে আইনস্টাইন এমন এক চরিত্র, সেই সাথে আরও মহারথীরা বিদ্যমান, এমন কি কোনো ভবিষ্যতবানী না থাকলেও ব্রায়ন গ্রীনও এক মহারথী। অনুমাণগুলোর সমস্যা কাটানোর কোনো সুফল কি আছে?
শেষ পর্যন্ত আরও কিছু অনুমাণের বাইরে স্টান্ডার্ড মডেলে আর কি আছে? অনেকগুলো কণিকা আবিস্কৃত হয়েছে, সেগুলোর অস্তিত্ব নিয়ে আমার সংশয় আছে, আমার নিজস্ব কিছু ধারণা আছে, হতে পারে এটা সত্য , হতে পারে এটা মিথ্যা কিন্তু ধারণা ধারণাই শেষ পর্যন্ত।
খুব বেশী গাণিতিক হওয়ার চেষ্টা না করে বলি, স্ট্রিং থিওরী আর স্ট্যান্ডার্ড মডেলের ভেতরে তফাত কোথায়? একই ঘটনা ব্যখ্যা করবার চেষ্টায় তারা উচয়েই সমান সফল, একটা কণিকা এক্স কিভাবে বিভাজিত হবে, কিভাবে শক্তিগুলো ব্যয় হবে, এবং এই প্রক্রিয়ায় আসলে কোন কোন কণা অবশিষ্ট থাকবে এই শৃঙ্খলটাই মূলত সাফল্য। এইসব কণার বিভাজন এবং শক্তিস্তরবিন্যাস কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সাথে মিলে যায়, আমাদের ভাবনার কাঠামোই এমন,
তবে এটার প্রায়োগিক দিক কোনটা?
প্রশ্নটা সেখানেই, দুইটা প্রোটন ঢুঁশ দিবে, সেইখানে কিছু নতুন কণিকাবৃষ্টি হবে, সেইগুলো থেকে কিছু অনুমাণের যথার্থতা কিংবা অযথার্থতা নির্ধারিত হবে।
সেটা যদি মহাবিশ্বের সাম্ভাব্য উদ্ভবের ঘটনাক্রম ব্যাখ্যা করে তাহলেই বা কি?
আমি ঘরে ব্ল্যাক হোল বানাবো? আর অন্য সমস্যা হলো এরপরেও মহাবিশ্বের সমস্যা মিটবে না, ওটা কিভাবে এতটা পরিশীলিত পন্থায় বিকশিত হলো এটা নিয়ে অন্তত ৪ টা মডেল আছে, যেগুলোর কোনোটাই পরীক্ষাগারে প্রমান করা সম্ভব হবে না। তবে প্রোটনের ঢুঁশ দেখবার মজমায় অনেকেই যুক্ত।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
০১
সাফল্য মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে দেবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ধাঁধানো চোখ নিয়ে তার পরবর্তী কাজ কি হচ্ছে সেটাই মুখ্য। বিজ্ঞানীরা কোন একটা কাজে সফল হওয়ার পর যা করেন তাকে আপনি নিছক অন্ধ এবং উগ্র উচ্চাভিলাস বলে উড়িয়ে দিতে চাইছেন। স্টিফেন হকিংয়ের বিশ্বদর্শনকেও আপনি সেই ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনতে চাইছেন! আপনি বলতে চাচ্ছেন, বিজ্ঞানীরা ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখছেন। আপনার এই দৃষ্টিভঙ্গি যুক্তিযুক্ত বলে মনে হচ্ছে না।
কারণ, বিজ্ঞানীরা ছেঁড়া কাথায় শুয়ে নেই। তারা হাজার বছরের সাধনার মাধ্যমে যে গবেষণার প্লাটফর্ম সৃষ্টি হয়েছে, সেই প্লাটফর্মে বসে নিবিষ্ট মনে গবেষণা করছেন।
০২
আপনি বলছেন, প্রমিত মডেলে সেই পুরনো অনুমিতির বাইরে আর কিছু নেই। এই অনুমিতিগুলো তার ঠিক পূর্বের বৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলো থেকে গাণিতিকভাবে জন্মলাভ করেছে। কেউ নিছক কল্পনার বশে তা ধরে নেননি। বিশ্বতত্ত্বে স্ট্রিং তত্ত্ব যতটা গ্রহণযোগ্য, তার চেয়ে কণা পদার্থবিজ্ঞানে প্রমিত মডেলের গ্রহণযোগ্যতা বেশী। কণা পদার্থবিজ্ঞানে প্রমিত মডেলকেই মেনে নেয়া হয়েছে। এখন বিজ্ঞান কি করবে? সে এই কাজগুলো করতে পারে:
- প্রমিত মডেলকে সন্দেহ করা
- সন্দেহ যেহেতু করেছে তার প্রমাণ লাগবে
- এই প্রমাণ জোগাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা
- পরীক্ষায় সঠিক প্রমাণিত হলে তত্ত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া
- ভুল প্রমাণিত হলে বিকল্প অনুমিতির সন্ধান করা
বিজ্ঞানীরা প্রমিত মডেলকে সন্দেহ করেছেন, এখন প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টায় আছেন। যদি সত্য প্রমাণিত হয় তো ভাল। মিথ্যা প্রমাণিত হলে যে বিকল্প অনুমিতি আসবে তার জন্যও কিন্তু শক্তিশালী কণা ত্বরক লাগবে। সুতরাং এই এলএইচসি-র প্রয়োজনীয়তা কখনও ফুরিয়ে যাচ্ছে না।
০৩
কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানসহ সকল আধুনিক বিজ্ঞানের জন্ম এমনি এমনি হয়নি। এখন এগুলোকে খুব ঘোলাটে মনে হচ্ছে। ১৯১৫ সালে আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বকেও খুব ঘোলাটে মনে হতো। আর্থার এডিংটনদের পরীক্ষার পর সব পরিষ্কার হয়ে গেছে। আপনার আধুনিক বিজ্ঞানের সবকিছুকেই ঘোলাটে মনে হচ্ছে। এখন যদি পরীক্ষাকেও সমর্থন না করেন তবে তা পরিষ্কার হবে কিভাবে? আপনার নিজের স্বার্থেই তো এলএইচসি-কে সমর্থন করা উচিত।
০৪
আপনি বারবার প্রায়োগিক দিকের কথা বলেছেন। সবজান্তা প্রায়োগিক দিকের বিষয়ে লিখেছেন, ভবিষ্যতে প্রায়োগিক অনেক দিকই উঠে আসবে। কারণ বিজ্ঞানের প্রায় সবকিছুই শেষ পর্যন্ত প্রায়োগিক হয়ে উঠে। কারণ প্রয়োগ মানে প্রকৃতির পরিবর্তন সাধন করা। আপনি প্রকৃতির নিয়ম না জানলে তাকে পরিবর্তনও করতে পারবেন না। আপাতত নিয়মগুলো জেনে নিন, একদিন দেখবেন তা প্রয়োগও করতে পারছেন।
এ কারণেই বিজ্ঞান প্রয়োগের উপর বেশী গুরুত্ব দেয় না। বিজ্ঞানীদের প্রথম টার্গেট থাকে প্রকৃতির অনুসন্ধান। আসলে শুধু প্রয়োগের কথা চিন্তা করলে জ্যোতির্বিজ্ঞানের কোন উন্নতিই হতো না। আকাশ দেখে নিছক কৌতুহলের বশেই মানুষ গবেষণা করেছে। গ্যালিলিওর দূরবীন তৈরী ও তা দিয়ে কোথাকার বৃহস্পতির উপগ্রহ দর্শনকে আপনি কোনভাবেই প্রয়োগবাদ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারবেন না। ব্রুনোর আত্মত্যাগকে কোনদিনই প্রয়োগের সাথে মেলাতে পারবেন না।
০৫
আধুনিক বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে আপনি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছেন। এটা বাদ দিয়ে আপনি সম্পূর্ণ আর্থ-সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কথা বলতে পারতেন। কারণ, এতো ব্য্যয়বহুল বৈজ্ঞানিক (প্রাযুক্তিক নয়) প্রকল্পের সমালোচনা হতেই পারে। আর্থ-সামাজিক বিষয়াদির কথা আসলে ভিন্নভাবে এই আলোচনা এগুতে পারতো। কিন্তু এই বৈজ্ঞানিক গবেষণা বাদ দিয়ে অন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা উচিত, এটা মেনে নেয়া যায় না।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
পূজারী বদলায়, মানুষের পূজার প্রবণতা বদলায় না, মানুষ ন্যাংটা অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গাছের ডাল আর পাহাড়ের গুহা থেকে বের হয়ে এসি বাসায় থাকা শুরু করেছে, তবে হোমো ইরেকটাসের পুজারি প্রবণতার বাইরে যেতে পারে নি।
পূজিস্পদ খুঁঝে নেওয়ার জন্য শিক্ষানবীস বর্তমানে অনেকের ভাবনা মাথায় ঝুলিয়ে ঘুরছে, সেটা দেখে ভালো লাগলো, পূজ্যস্পদের অবমাননায় দুঃখ পাওয়া ভালো, হকিং হকিং, বেচারার প্রতি বিজ্ঞাপনের মোহ ছাড়া তাকিয়ে দেখলে আলাদা কি আছে তার ভেতরে? আইন্সটাইনের পরে সম্ভবত বিশ্বের সচভেয়ে প্রতিভাবান বিজ্ঞানী তকমাতে মুগ্ধ শিক্ষানবিস??
জানি না জবান শিক্ষানবীস কোন কেলাশে পড়ছেন, সেটা না জেনে মন্তব্য করতে হচ্ছে-
প্রতিটা সাফল্য মানুষকে পরিচালিত করে, ব্যর্থতা মানুষকে পিছিয়ে রাখে, তবে সাফল্যের ধারাবাহিকতা থাকলে আপনার মতো স্তাবকও মুখে ফেনা তুলে গবেষণা আর বিজ্ঞানী নিয়ে কান্না কাটি শুরু করে।
বিজ্ঞানীরা ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখছে ধাঁচের কোনো বক্তব্য আমার আছে মনে করতে পারছি না, বিজ্ঞানীরা হাজার বছরের কোন প্লাটফর্মের উপরে দাঁড়িয়ে নিবিষ্ট মনে গবেষণা করছে? রাজনৈতিক টাইপ বক্তব্য কি রক্তের ভেতরে ঢুকে বসে আছে?
২এর জবাবটা দেই আগে-
বিশ্বে প্রমিত মডেলে কি হলো না হলো এতে কত জনের কি যায় আসে? সারা বিশ্বে তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা করে জীবিকা নির্বাহ করে কতজন মানুষ? ১০ হাজার। ২০ হাজার, ৩০ হাজার এর বেশীতো না-
হিগসের অস্তিত্ব থাকলো কি থাকলো না, ঐটা আদৌ কোনো বিশ্বব্যাখ্যার পন্থা কি বিকল্প কোনো পন্থা আছে এই নিয়ে ভাবিত অর্ধলক্ষ মানুষের জন্য অবশ্যই এলএইচসির গুরুত্ব অপরিসীম। আমি এটা অস্বীকার করছি না।
৩এর জবাব আর কি বলবো, বিষয়টা স্পষ্ট হলে তো ভালোই, সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বে জটিলতার চেয়ে অনভস্ত্যতা ছিলো বেশী,সেটা মেনে নেওয়ার জন্য একটা মানসিক গঠন লাগে সেই সময়ের মানুষের ভেতরে সেই গঠনটা গড়ে উঠে নি, সমস্যা এখানেই।
আপনার কাছে আধুনিক বিজ্ঞানের কি কি বিষয় পরিস্কার সেটা জানালে ভালো লাগতো, কিছু আলোচনা করে নিজের জ্ঞান বাড়িয়ে নিতাম অবসরে।
০৪-
প্রকৃতির নিয়ম অনুসন্ধানের জায়গা থেকেই বলি, প্রকৃতির নিয়ম জানলেই সেটাকে বিকৃত করা সম্ভব, গ্যালিলিও ব্রুনো কিংবা টাইকোব্রাহে কিংবা কেপলার কিংবা নিউটন কিংবা ল্যাপ্লাস- অনুসন্ধিৎসার জন্যই হন্যে হয়ে প্রকৃতির নিয়ম অনুসন্ধান করেছেন, সেই অনুসন্ধিৎসার সীমাটা কোথায়?
শিক্ষানবিস নামটা যথেষ্ট ভালো হয়েছে, তাই এইসব কথা বললেও কিছু পাল্টা বলবার উপায় থাকছে না, শিক্ষানবিস উদ্ভট কথা বলবেই, এই ভাবেই নিজের চিন্তা গড়ে উঠবে তার।
আপনার আলোচনার সমস্যা হলো আলোচনাকে একটা চিরচারিত জার্গনে ফেলে ব্যখ্যা করবার অপচেষ্টা। ভাববাদী মানসিকতা বলা যেতো এটাকে তবে আমি বলবো চিন্তার দুর্বলতা- হিগস পার্টিকল পাওয়া গেলো, জানা গেলো বস্তুর ভর আসছে কি প্রক্রিয়ায়, কেনো কোথায় সিমেট্রি ভাঙছে জানা গেলো, সেটার প্রয়োগিক উপযোগিতা নিয়ে যদি সংশয় না থাকে তাহলে কিছু বলার নেই আমার,
আধুনিক বিজ্ঞানীদের বিষয়ে আমি নেতিবাচক,আমার এই অবস্থান বদলানোর সময় আসলে বদলে ফেলবো, তবে আপাতত গবেষণার চেয়ে বিজ্ঞানী আর গবেষকদের নিজের বিজ্ঞাপনকুশলতা নির্ধারণ করে যেকোনো অগামগাবগার বিশাল গবেষক হয়ে উঠবে কি না। যে যতটা সফল ভাবে বিপনন করতে পারে তার তত্ত্ব বাজারে ভালো চলে, সেটার সারবস্তু নিয়ে কথা বলবে এমন মানুষতো নেই, এমন কি অনেক সময় এটা একটা মডেল মাত্র-
এটা যে শেষ পর্যন্ত একটা মডেল, বাস্তব পৃথিবীর বাইরে, আদর্শ পরিবেশে ঘটা সম্ভব, অনেক কিছুকে আমলে এনে পরিশেষে অনেক কিছুকে ধ্রুব ধরে নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়। এই গাণিতিক রুপটা কিছুটা সময় হয়তো প্রকৃতিকে কিছু অংশে ব্যখ্যা করতে পারে, অধিকাংশ সময়েই অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তরে নিরুত্তর থাকে এই মডেল, তবে ভক্তিবাদী মানুষেরা এই মডেল নিয়ে চমৎকৃত।
আধুনিক বিজ্ঞানীর প্রতি আপনার ভক্তি নিয়ে আপত্তি নেই জনাব, তবে কেউ যখন আমাকে এসে বলে যায় আমার কি করতে হবে তখন আমি যেই জবাবটা দেই সেটাই দিচ্ছি
আমি কি করবো, কি ভাববো, কি লিখবো, এইসব কোনো মাঙ্গের পোলা আমারে কইতে আসলে আমার বিরক্ত লাগে, এইটা আলোচনার বাইরের কথা, আলোচনা করতে বসছি আলোচনাই করতে চাই, উপদেশ শুনতে কিংবা দিতে না, আমার কি করা উচিত ছিলো টাইপ পরামর্শ প্রয়োজন হইলে চাইবো।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
আমার উদ্দেশ্যটা আসলে সেরকম ছিল না। লিখতে লিখতে কিছু কথা হয়ত পরামর্শ বা উপদেশের মত হয়ে গেছে। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
প্রিয় রাসেল,
সচলায়তনের সদস্যদের মধ্যে এ ভাষায় মত বিনিময়কে জোরালোভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়। এ ব্যাপারে আপনার সহযোগিতা কাম্য। ধন্যবাদ।
_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ
_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ
তোমাগো বাহাস পদার্থবিজ্ঞান থিকা দর্শনের দিকে যাইতেছে দেইখা বাও হাত দিলাম। তুমি যে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয়ের প্রসঙ্গটারে হাইলাইট করছো পোস্টে সেইটারে বিশ্বব্যপী দারিদ্রের বিপরীতে ঝুলাইলে অপব্যয় মনে হবেই। গত শখানেক বছরে বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণার উপর পুঁজির পুঁজ জমতে জমতে তার যাতায়াতের রাস্তাটারে গন্ডিবদ্ধ কইরা দিছে। একদিকে গবেষণা কায়দা কইরা নিরুৎসাহিত করা হইছে আরেকদিকে কিছু ছাঁকা গবেষক পোষা হইছে নির্দেশিত গবেষণা করানোর জন্য। এগুলি ঠিকই আছে।
মৌলিক গবেষণার দরকার আছে কী না এই প্রশ্নটারে আমি ব্যক্তিগতভাবে দারিদ্র্যের বিপরীতে দাঁড় করামু না। কারণটা রাজনৈতিক। অধিবিদ্যায় প্রত্যাবর্তনপন্থীরা গত সাড়ে তিন দশক ধইরা নতুন কইরা চিল্লানো শুরু করছে যে পদার্থ বিজ্ঞানে আর নতুন কইরা আবিস্কারের কিছু নাই। বিজ্ঞান এইখানে সীমাবদ্ধ এর পর আমাগো গায়েবের দিকে তাকাইতে হইবো ইত্যাদি নানান বালছাল। পঞ্চাশের শেষ থিকা সত্তরের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিযোগীতামূলক মহাকাশ গবেষণার বিষয়টা কিন্তু বিজ্ঞানের মৌলিক প্রশ্নগুলিরে নতুন কইরা মানুষের সামনে নিয়া আসছিল। সেই সময়টা শুধু কয়েকটা রামছাগল বুকাইলির জন্ম দেয় নাই। স্পুটনিক থিকা মুনল্যান্ডিঙের বিষয়টা বহু মানুষের চৈতন্যে বিশাল একা ঝাঁকিও দিছে। ঐ ঝাঁকিটা যাতে রাজনীতির দিকে না যায় সেই জন্যে ঐসময় ক্যাথলিক চার্চের পান্ডারা বুকাইলি নামাইছে।
দুইটা কণিকার ঢুঁশ থিকা আরো কয়টা ফাইটা বাইর হইলে তেমন ক্ষতি তো আসলে নাই। তাতে অন্তত তত্ত্বীয় পদার্থবিদ্যা স্থবির হইয়া পইড়া নাই এই ভাইবা ইজি থাকা যায়।
এই আর কি। আমার পদার্থ বিজ্ঞানের জ্ঞান ইসহাক-নুরুন্নবীর উচ্চমাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞানে সীমাবদ্ধ। তোমাগো বাকি আলাপ প্রসঙ্গে আমার তাই তেমন কিছু বলার নাই।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
- দারিদ্রের যুক্তিতে যদি এলএইচসি না কি জানি সেইটা যদি না চালানো যায় তাইলে আমার প্রশ্ন হইলো এই পৃথিবীতেই আফ্রিকার মতো একটা মহাদেশ রাইখা নাসা নামক প্রতিষ্ঠান ক্যামনে টিক্কা থাকে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রাসেল,
আর ঐ লোকটা? যার গবেষণা মেরে দিলো সালাম? সে কিছু বললো না? কোনো step নিলো না ? সেই লোক কে?
খুব খারাপ লাগছে সেই লোকের জন্য।:-((
পৃথিবীতে এটা চরম দুঃখজনক ঘটনা না, সালামের নোবেলজয়ী গবেষণাপত্রটা খুঁজে দেখলে বেচারার নাম পাওয়া যেতে পারে, তবে সেটা ওয়াইনবার্গ কিংবা গ্ল্যাশো হওয়ার সম্ভবনাই বেশী।
তবে দুঃখজনক ঘটনা হলো মহাবিশ্বের ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়শন আবিস্কারের ঘটনা। এটার জন্য ৬৫ কিংবা ৬৬তে নোবেল দেওয়া হয়েছিলো, তবে যে পরীক্ষাটা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলো সে নোবেল পায় নি, পেয়েছে এমন একজন যার এই সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিলো না।
ঘটনার সারসংক্ষেপ এমন-
এমআইটি কিংবা হাভার্ডের এক প্রফেসর ভেবে চিন্তে ধারণা করলো হাবল যেভাবে বলছে তাতে একটা পর্যায়ে দেখা যাবে মহাবিশ্ব খুবই সংকুচিত অবস্থা থেকে প্রসারিত হয়েছে, এটার জন্য প্রচুর তাপমাত্রা থাকতে হবে, হকিংয়ের হট বিগব্যাং যাকে বলে, যদি তাই হয় তাহলে প্রচন্ড বিকিরণের কিছুটা এখনও অবশিষ্ট থাকবে,
এটা মূলত পরীক্ষা করা যাবে রেডিও ওয়েভ ঘাটাঘাটি করলে,
বেচারা ফান্ডিংয়ের অনুমতি নিয়ে বসে ছিলো, ফান্ডিংও এসেছিলো, তবে সে সময়ই অন্য এক ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তার নিজের ট্রান্সমিটার বসানোর কাজে ব্যস্ত ছিলো, সেই বেচারা দেখলো এক ঝঞ্জাট আছে, যে দিকেই ঘুরাক না কেনো রিসিভার, একটা নয়েস সব সময়ই থাকছে,
এইটা নিয়া সে লিখলো, নোবেলও পাইলো, সেইসাথে এইটার ব্যখ্যা লিখলো যে সেও চমৎকার করে বললো এই ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজের কারণ, যদিও পরীক্ষার আইডিয়া তার ছিলো তবে কোনো একটা ইলেকট্রিক মিস্তী ভুল কইরা নোবেল পাইয়া গেলো।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
এটা তো কপাল ভাল আর খারাপের গল্প, এ গল্প তো দিনেরাতে চারদিকে বারবার শোনা যায়। নোবেলই বা তার ব্যতিক্রম হয় কি করে?
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
মাথার উপর দিয়া গেলো। তবে চান্সে আছি মাছি ধরা ছাঁকনি নিয়া।
সালাম সাহেবের চরিত্রে কালিমা লেপনের পক্ষে কোন রেফারেন্স দিতে পারো? আমি এই বিষয়ে নিকষ অন্ধকারে।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
চরিত্রে কালিমা লেপন না, বিষয়টা প্লেগারিজমের।প্রকাশিত হইয়া যাওয়ার পরে আবিস্কৃত হইছে এমনটাই জানি,
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
নেটে কোন রেফারেন্স থাকলে জানাবেন। আমি নেট ঘাটছি। এখনও কিছু পেলাম না।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
আমিও না
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
মহাবিশ্ব যে ছড়িয়ে পড়ছে তা জেনেই বা আমার কি কাঁচকলা লাভ হলো? ডার্ক ম্যাটার আছে তা জেনেই বা আমার কি কাঁচকলা লাভ হলো?
সূর্যের চারপাশে যে ঘুরি,তা জেনেই বা আমার কি কাঁচকলা লাভ হলো?
।।।।।।।।এরকম আরো অনেক।
সে হিসাবে এরকম তো সবই বলা যায়।
তা বলা যায়ই, কিন্তু যদি এই টাকায় আরও অনেকগুলো গবেষণাগার তৈরি হতো যেখানে অন্য কোনো প্রায়োগিক বিষয়ে গবেষণা হতো তবে সেটা আরও বেশী মানুষের উপকারে আসতো।
মানুষ স্টেম সেল গবেষণা বন্ধ করে দেয় এথিকসের কারণে, কিন্তু পৃথিবীতে এত এত মানুষ দৈনিক ১ ডলারের কম উপার্জনে জীবন যাপন করে সেখানে ২৭০০ কোটি ডলার অপব্যায়ের পেছনে কোনো এথিকাল বাধা থাকে না।
যদি চিকিৎসা গবেষণায় এত ফান্ডিং থাকতো তাহলেও হয়তো অনেকগুলো মানুষের উপকারে আসতো এটা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
- ২৭০০ কোটি ডলারে বাংলায় কয় টেকা হয়?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সিটা জেনে আপনার কি হবে? জারমানে কি বানংলা টেকা চ্লবি? ইউরো কতো ভাবেন।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমি রাসেলের প্রায় সব মন্তব্যই জোর সমর্থন করি , এমন কি আগেও অনিকেতের চমৎকার লেখনীর ব্লগে এল,এইচ,সি সম্পর্কে মন্তব্য করে বিদ্রূপ শুনেছি। কিন্তু সালাম জোচ্চোর ছিলেন এমন কথা আমাকে কষ্ট দিল। আমি বহুদিন কাছে থেকে তাঁকে দেখেছি এবং লোকটার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং দরিদ্র দেশের বিজ্ঞানের উন্নতি সম্বন্ধে সৎ চিন্তা ভাবনা আমাকে তাঁর অনুরাগী করেছে। তাঁর প্রচেষ্টায় স্থাপিত আই, সি, টি, পি একটা অনন্য প্রতিষ্ঠান।
সালামকে এই তত্বের জন্য নোবেল দেয়া নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থাকতে পারে। গ্ল্যাশো ১৯৬১ সালে যে তত্বের সুত্রপাৎ (গ্রুপ থিওরী দিয়ে) করেন, ১৯৬৭ সালে ওয়াইনবার্গ তার প্রায় সম্পূর্ণতা দেন (ফিজ, রেভ, লেটারে প্রকাশিত )ভেক্টর মেসন , মিক্সিং এসব ঢুকিয়ে, এবং ১৯৬৮ সালে নোবেল সিম্পসিয়ামে (পুরস্কারের সাথে যোগাযোগ নেই) সালাম তাকে কিছুটা অন্যভাবে এগিয়ে দেন । অবশ্য তাঁর ছাত্রেরা কেঊ কেঊ বলে তিনি ১৯৬৪ সালেই ইম্পিরিয়াল কলেজে তাঁর ক্লাসে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন , যদিও তা প্রকাশ কনে নি। ইলেক্ট্রউইক থিওরীতে যে হিগস-কিবল মেকানিজম কাজ করে, সেই হিগস আর কিবল ইম্পিরিয়াল কলেজেই ছিলেন। এই মেকানিজমের পেছনে যে স্বতস্ফুর্ত প্রতিসাম্যভঙ্গকারী গোল্ডস্টোন বোসন আছে , তার আবিষ্কর্তাও সেখানকার, এবং ওয়াইনবার্গ, সালাম ও গোল্ডস্টোনের যুগ্ম গবেষণাতে সে তত্ত্ব পুর্ণতা পায়।
এর আগেও কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রডায়নামিক্স-এর রিনর্মালাইজেশন তত্ত্ব কেম্ব্রিজে ছাত্রাবস্থায় সালাম-ই প্রথম সম্পূর্ণ করেছিলেন (১৯৫০ এর দিকে)। এটাও অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ কাজ ছিল। ১৯৫৭ এর দিকে লী এবং ইয়াং-এর সাথে সালামও প্যারিটি ভায়োলেশন সম্পর্কে মৌলিক অবদান রেখেছিলেন , যে কারণে তখনো তাঁর নাম সম্ভাব্য নোবেল বিজেতাদের মধ্যে বিবেচিত হচ্ছিল, কিন্তু শুধু লী আর ইয়াং পুরস্কার পান।
এম, বি , গ্রীনের নামও ওপরে দেখলাম। আমি মন্তব্য করব না এ কারণে যে সে আমার বন্ধু ছিল এককালে, এবং ইহুদীদের নিয়ে আমি কিছু বললেই সন্ন্যসী তেড়ে আসেন।
সুপ্রিয় বজলুর রহমান,
আমি চেষ্টা করছিলাম আপনাকে একটা ব্যক্তিগত মেইল করতে। কিন্তু ই-মেইল আই ডি খুঁজে পেলাম না।
ব্যাক্তিগত ইমেইল করার পেছনে কারন হচ্ছে গোপনে আপনার কাছে ক্ষমা চাওয়া। এখন সেটা করতে পারছিনা দেখে এক দিক থেকে ভালোই লাগছে এই ভেবে, আপনার সাথে আমি যে অভব্যতা করেছি, সেটা সকলের সামনে। কাজেই ক্ষমা চাইতে হলে সকলের সামনেই চাওয়া উচিত।
আমার সে লেখায় আপনার মন্তব্যের উত্তরে আমি যে শ্লেষাত্মক মন্তব্য করেছিলাম---তার জন্যে আপনার কাছে কর জোড়ে ক্ষমা প্রার্থি। আমি সাধারনত এত্ত বাজে আচরন করি না বলেই বিশ্বাস করতাম। জানিনা সেদিন কি যে হল। যাই হোক, আমি কোন অজুহাত দিচ্ছি না। আপনার লেখা পড়ে বুঝলাম আপনি আমার গুরুজন হবেন। আমার সেই বেয়াদপিটা এক অর্বাচীনের উদ্ধত আস্ফালন ধরে নেবেন।আমার এই বিচ্যুতির জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থি।
এইটা আরেক জনের ব্লগ। অন্য এক বিষয় নিয়ে আলাপ হচ্ছেএখানে।এরইমাঝে এইভাবে আমার দুর্বৃত্তপরায়নতার জন্য ক্ষমা চাইবার নাটক করার কোন মানে হয় না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমার মনটা খুব খারাপ হয়েছে। এটা ছাড়া আমি আর কিছু ভাবতেই পারছি না।
আমি আশা করছি, যে আমার এই লেখাটা আপনার চোখে পড়বে---এবং আপনি আমাকে ক্ষমা করবেন।
আপনার কাছ থেকে প্রত্যুত্তর না পেলে, আলাদা করে একটা পোষ্ট দিয়ে আমি ক্ষমা চাইব।
বিনীত,
অনিকেত
ছি, ছি, কি যে বলেন। আমি ওপরে এবিং আপনার ব্লগেওএকটু হাল্কা ঠাট্টা করছিলাম। আমার বাচ্চারাও আমার এই জটিল পরিহাস প্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ করে। সেজন্য আমারই বোধ হয় এখন ক্ষমা চাওয়া উচিত। আপনার লেখার আমি মুগ্ধ পাঠক, মতের বা বয়সের অমিল থাকলেও। রাসেলের কাছেও ক্ষমা চাইছি, তাঁর এই আকর্ষনীয় ব্লগটিতে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় আনার জন্য। এইখানে ইতি।
@ বজলুর রহমান
সুপ্রিয় বজলুর রহমান,
হায়, হায়! শেষাবধি এই মন্তব্য শুনতে হলো আমার
পড়ে মনে হচ্ছে, যে-কোনও অপবাদ থেকে যে-কোনও ইহুদিকে রক্ষা করার জন্যে আমি মুখিয়ে থাকি। আমাদের আগের এক সময়ের বিতর্ক থেকে আপনি এই সিদ্ধান্তে এলেন? আমার মনোকষ্টের কারণ হয়ে রইলো এটা।
আমি সেবার প্রতিবাদ করেছিলাম ঢালাওভাবে ইহুদিদের দোষারোপ ("বিদ্বেষ" শব্দটি না হয় এড়িয়েই চলি) করার ব্যাপারে। আপনি তখন লিখেছিলেন, ব্যক্তিগতভাবে একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন ইহুদিদের কারণে, এবং সে-কারণেই আপনি অমন একটি মনোভাব পোষণ করে থাকেন।
জবাবে আমি বলেছিলাম, আমি ব্যক্তিগতভাবে অজস্রবার বাঙালিদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি বলে আমার তো ঘোর বাঙালি-বিদ্বেষী হবার কথা! কিন্তু আমি তো তা নই।
যাকগে, পুরনো প্রসঙ্গ তুলে আনতে হলো আপনার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে। আমি ভীষণ দুঃখিত।
আর এই ব্লগে অপ্রাসঙ্গিক আলোচনার অবতারণা করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি রাসেলের কাছেও।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
বজলুর সাহেব,
আমার খুব অবাক লাগে এরা এত নোবেল পায় কেমবায়? যখনি দেখি নোবেল তখনি এরা !!! প্রতিভা কি প্রকৃতি randomly distribute করে না? নাকি সত্যি সত্যি exclusive class বলে কিছু আছে?
আপনার নাম তো তাইলে ইহুদীরক্ষক সন্ন্যাসী!!!
)) ))) ))
রাসেলের বক্তব্য কিছুটা গ্রহণযোগ্য হলেও কিছু ফাঁক থেকে গেছে। আমি এরকম কিছু ফাঁকের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করি।
আপনি ৬৪০০ কোটি ডলার খরচা করে একটি মৌলিক গবেষণার বিরোধিতা করছেন এই জন্য যে এর ফলাফল মানবজাতির উপকারে আসবে কি না সে বিষয়ে আপনি (বা আমরা কেউই) নিশ্চিত নন। কিন্তু বক্তব্য হল অন্য বিষয়গুলোতে যে খরচা করে গবেষণা করা হচ্ছে না তেমন প্রমাণ তো নেই কোনো আপনার লেখায়। মানে ধরা যাক ক্যান্সার গবেষণায় গত পনের বছরে যত টাকা খরচা হয়েছে তার সাথে একটা তুলনামূলক হিসাব দিলে তা থেকে আমি বিচার করতে পারতাম যে ঠিক কতটা টাকা মৌলিক গবেষণায় ঢালা হচ্ছে আর কতটা টাকা সরাসরি প্রয়োগে।
দ্বিতীয়ত, আজকে যা মৌলিক গবেষণা তার মূল ভিত্তি হল পর্যবেক্ষণ। এখন আমাদের সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে প্রকৃতির সত্য উদ্ঘাটনের দিন শেষ। পর্যবেক্ষণ খালি চোখে সাধারণ অবস্থায় যা করা যেত সে নিয়ে তথ্য সম্পূর্ণতা অনেককাল আগেই অর্জন করা হয়ে গেছে। তাই নতুন পর্যবেক্ষণ পেতে গেলে টাকা ঢেলে পর্যবেক্ষণের উপযোগী পরিবেশ তৈরী করা ছাড়া কোনো গতি আছে কি?
তৃতীয়ত, ফলাফলের অনিশ্চয়তা বিজ্ঞানে সর্বত্র। ক্যান্সার রিসার্চে বছরের পর বছর কোটি কোটি ডলার ঢালার পরেও কেন সর্বজনীন কোনো ক্যান্সার প্রতিষেধক বা ক্যান্সারের 'কিওর' নেই? এই একই কথা আরো অনেক অসুখের ক্ষেত্রেই খাটে।
সবশেষে, এই টাকা তো উন্নয়নশীল দেশের টাকা থেকে যাচ্ছেনা, যাচ্ছে উন্নত দেশগুলোর ভাঁড়ার থেকে। তা এই উন্নত দেশগুলোর ভাঁড়ার আর কি কি কাজে ব্যবহার হয় তার সাপেক্ষে একবার তুলনা করে দেখা যেতে পারে এই খরচাটা। ইরাকে প্রতি মাসে যুদ্ধ চালাতে খরচা হয় ১২ বিলিয়ন ডলার। শতাব্দী-প্রাচীন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে খরচা হয়েছিল ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী। সারা পৃথিবীর প্রতি বছরের সামরিক খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা, যার বেশীটাই হয় এই উন্নত দেশগুলোতে। সেই তুলনায় সাধের এই পুতুল খেলার মেশিনটার পেছনে তো কয়েক বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা ... তুলনা না করলে কি ভাবে বোঝা যাবে সত্যটা?
হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
শেষ লাইনটা গুরুত্বপূর্ণ আসলে, বছরে মানুষ খুন করবার বিভিন্ন উপায়, অন্বেষনে যে পরিমাণ টাকা যাচ্ছে সেটার বাইরে এই সামান্য অর্থ খরচ করা যেতেই পারে এই মৌলিক গবেষণায়,
মৌলিক গবেষণা সম্পূর্ণ অর্থেই মৌলিক,অন্তত এই একটা বিষয়ে পরিপার্শ্বের প্রভাব অন্য অনেক বিজ্ঞানের চেয়ে কম।
তবে ঠিক এই লাইনের কথাই শেষ পর্যন্ত আলোচিত হয়েছিলো- ফার্স্ট থ্রি মিনিটসে বোধ হয় আছে বিষয়টা। টেক্সাস অস্টিনের পাশে এই রকম এখটা সুপার কোলাইডারের প্রজেক্ট অর্ধেক হয়ে বন্ধ হয়ে আছে কারণ ওয়াইনবার্গ এটার যথার্থতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছিলো যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা ফান্ডিং নিয়ন্ত্রন করে যারা তাদের কাছে।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
------------------------------------
আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।
ধুর, কত কত লোক না খাইয়া মরে হেইডার খবর নাই, পাবলিক মাতে প্রটোনের মারামারি নিয়া।
ভকিজকি সব।
ঠিক বলছেন, রাসেল ভাই, দুনিয়া মাতে বিঙ্গাপনে
এইটাই মনে হয় বাকি ছিল
অথচ এই আমরাই কয়েকদিন আগেও রাসেল ভাইয়ের এর থেকে অনেক কঠিন মন্তব্য কোট করতাম।
হিমুর কথাই মনে হয় ঠিক। কাদার মানুষ কাদায় ফিরে যাওয়াই ভাল। এত উপরে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে।
_________________________________
দুনিয়াজুড়া পচুর গিয়ানজাম
এ সমস্ত ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিতর্কে আমার ঢুকতে ইচ্ছে করে না। তারপরও কিছু কথা না বলে থাকতে পারলাম না। রাসেল ভিন্নধর্মী লেখা লিখেন, কিন্তু তার অতি-উগ্র মনোভাব তার পতন ঘটালো। আমি রাসেলের এই 'গা-ঘিনঘিনে' স্বভাবটা দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলাম। দেবত্তম দাসকে তিনি অবলীলায় বলতে পারেন - 'আপনে উচ্চবর্ণের দাস, না নিম্ন বর্ণের?'
সালামের জোচ্চুরীর কোন প্রমাণ তিনি দিতে পারলেন না এখন অব্দি, -- কতজন কতভাবে তার কাছে চাইলো - অথচ বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগালি করেই যাচ্ছেন। আর তাছাড়া জোচ্চোর বলার পাশাপাশি বিশেষন হিসেবে 'কাদিয়ানী'ও লাগিয়ে দিয়েছেন। কাদিয়ানী হওয়া কি অপরাধ, নাকি লজ্জার ব্যাপার? এইটা কেন লেখায় নিয়ে আসা হল, শুনি? শিক্ষানবিসকে বললেন 'মাঙ্গের পোলা'। আমার মার্ক্সিজমের উপরে লেখাটা না পড়েই বা নাবুঝেই 'ছাগলের লাদি ছড়ানোর' সাথে তুলনা করে দিলেন। মার্ক্সিস্ট হলেই কি রাস্তার ভাষায় খিস্তি-খেউর করতে হবে ? অবশ্য এই সমস্ত খিস্তি খেউরে কেউ কেউ আবার খুবই তৃপ্ত বোধ করেন- সেইটাও দেখতাসি, 'এক হাত দেখে নেয়ার জন্য' থ্রি চিয়ার্স ধ্বনি দিয়া উৎসব করে, তাও দেখি ।
আসলেই কাদার মানুষ কাদায় ফিরে যাওয়াই ভাল।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
It’s an excellent step to protect the environment of SACHALATAYAN. As a reader I really do appreciate this step.
আমি ঠিক সমর্থন করতে পারতেসি না রাসেল ভাইয়ের ব্লকের ব্যাপারটা। কোথায় একটা ভুল হইসে মনে হচ্ছে।