বায়তুন নাহার বলতে আমরা বুঝতাম
সেই বাগান ঘেরা ছোট্টো দোতালা বাসা
যার দেয়ালের ঘামে ইতিহাস লেখা আছে,
সে বাসার ছোটো মেয়ে নাহার, স্কুল থেকে রিকশা চেপে ফিরতো যখন
আমরা রাস্তার মোড়ে দাড়িয়ে সিটি বাজিয়েছি আমোদে,
নাহার সেই বাগান বাড়ীর বাস্তু সাপের মতোই শীতল দৃষ্টি হেনে চলে যেতো
সে বাগানে দলছুট ঘুড়ি বাধা পড়লে বেল গাছের ডালে
বেল পাকলে কাকের কি এ মহান প্রবাদ ভুলে
একবার হলেও সেই দলছুট ঘুড়ির খোঁজে যেতাম
লাব্বায়েক হুম্মা লাব্বায়েক নিশব্দ উচ্চারনে
বায়তুন নাহার তাওয়াফ করতাম উদাস বিকেলে
আল কিতাবিনের মলাটের নীচে,
আমাদের গোপন প্রেম খাবি খায়
আল কালামুন বৃথা নাভিশ্বাসে লিখে
ইন্না ইলাহে রাজেউন
অতঃপর ইন্তেকাল ফরমায় সব প্রেম
আমরা ক্রমশ যুবক হয়ে উঠি।
এ পাড়ার সদ্য কিশোরী সব মেয়ে,
বুকের গোপন খাঁজ,
মোহনীয় বাঁক ভাঁজ ঢেকে ক্লাশে যায়
লা হিজাবীন মাহজাবিন সব হৃদয়ে তুফানতুলে
আকাশ ভেঙ্গে চুড়ে যায় জলের আয়নায়
\নোনাধরা কলঘরে শ্যাওলা দেয়ালে
মাহজাবীন লা হিজাবীন সব ন্যাংটা হয়ে ঝুলে।
অর্থ্যাৎ নিষিদ্ধ গন্ধমভক্ষন
এবং যৌনতার জন্ম
এবং অনিবার্য স্বর্গপতন।
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন