ভীষণ অসুস্থ ছিলাম গত ১ সপ্তাহ- ভরা কাটালের হাওরে হাত পা বেঁধে কেউ নৌকায় ফেলে রেখেছে আমাকে এমন একটা অনুভুতি ছিলো সার্বক্ষণিক সঙ্গী- মাথার ভেতরে অনবরত কেউ ঢেউ তুলছে এমন অসস্তি নিয়েই বিভিন্ন মানুষের সাথে দেখা- কথা- মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা- রুচিবিহীন জীবনে খাওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা- অনেক ভেবে দেখলাম আসলে আমার স্মৃতিতে যতটুকু মনে পড়ে এমন অসুস্থ আমি কোনোদিনই হই নি।
একটানা ৬ দিন জ্বর কিংবা সারাক্ষণ একটা বিছানার প্রত্যাশায় কাটাই নি কোনো সময়ই- এর ভেতরে জ্বরের মাতলামির ভেতরেও একদিন কিংবদন্তিতে বসে ছিলাম অনেকক্ষণ- আসলে বাঁটে পড়া অবস্থা যাকে বলে- সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পরে বাসার লোকজন বাইরে ঘুরতে চলে যাওয়ায় মাথা ভর্তি ঘুমের বীজানু নিয়ে ঢাকা শহরের রাস্তায় ঘুরছি- আর ঘুমের আকুতিতে একটা সময় মাথাটা ফাঁকা লাগে-( অরুপ একটু কোডিংটা রি চেক করা লাগবে- মোটামুটি২০ লাইন লিখা হলেই উল্টাপাল্টা আচরণ করতেছে এই লেখার বক্সের ভেতরের অংশ)
শরীরের পানি আর ইলোক্ট্রোলাইটসের অনুপাতে গুরুতর অসামঞ্জস্য- তাই সারাক্ষণ তেষ্টা পায়- তবে এসব কাটিয়ে উঠেছি
আজ আসবার পথে আর কোনো সমস্যা হয় নি- এর আগে একদিন রিকশায় উঠে হঠাৎমনে হলো যাহ শালা আমি কই? আশে পাশের রাস্তার সাইনবোর্ড আর স্থাপনা দেখেও চিনি না- নিশ্চিত এটা পল্টন- তবে আমার কোনো কারণ নেই পল্টনে থাকবার- রিকশা চলছে- কিছুক্ষণ পর সম্বিত ফিরে পাওয়ার পর বুঝলাম আসলে ঠিকই আছে আমি রমনার সামনেই আছি- ঠিক রাস্তায় যাচ্ছি- আজ তেমন কিছু হয় নি- রিকশায় ছিলাম- ক্রসিংএ বসে আছি- পাশে গাড়ীতে সুন্দরী- আড়চোখে তাকালাম একবার পরে দেখি রিকশাওয়ালা রিকশা পিছিয়ে নিয়ে গভীর আগ্রহে সেই মেয়েকে দেখছে- আমি আর তাকালাম না- মেয়ের ভাব বেড়ে যেতে পারে-
তবে এত কিছুর পরেও একটা সংবাদ শুনে মনটা ভালো হলো- বায়তুল মোকাররমের খতিব হারামজাদা মরেছে- তাকে করব দেওয়া হবে- প্রথমে মনে হলো করব দেওয়ার কোনো দরকার কি আছে? পরে ভাবলাম পৃথিবী সর্বংসহা- যাবতীয় বিষ নিজের ভেতরে গ্রহন করতে পারে যদি শেয়াল কুকুর খাইতো তবে হয়তো মহামারীর মতো জীবানু ছড়াতো চারপাশে- এর চেয়ে বায়োহ্যাজার্ডাস ম্যাটেরিয়াল মাটির নীচেই ডাম্প করা ভালো-
অনেক দিন ধরেই চেতনায় সামরিকায়ন চলছে- নতুন কোনো ভাবনা মাথায় আসছে না- এর উপরে নতুন বিধি আরোপের চেষ্টা কিংবা অপচেষ্টাকে ঠিক কিভাবে অভিনন্দিত করি?
(অরুপ যদি এই সমস্যাটা সমাধান করতে পারে তবে আসলে লিখে শান্তি পাবো)
মন্তব্য
খারাপ লাগলো জেনে যে অসুস্থ ছিলেন এতদিন। আপনার জন্য শুভ কামনা, অসুস্থতা ছেড়ে আবার আগের ফর্মে চলে আসুন যত দ্রুত সম্ভব।
খতিব কি আসলেই মরেছে?
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
আজকে পেপার পড়া হয়ে উঠে নাই। এই মাত্র দেখলাম।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।
খতিবানুভূতি ভীষন আহত হৈল।
অসুস্থ অবস্থায় খবর দিতেন তো আপেল আঙুর লইয়া গিয়ে দেইখা আইতাম।
বহুদ্দিন রোগী দেখার চান্স পাই না।
- বেগতিক ভাই, এদিকে রওনা দেন। লগে শাহবাগের পরোটা ভাজি নিয়া আইসেন। হালায় গত এক সপ্তাহ ধইরা কাতরাইতাছি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এতো দূর যাইয়া পোষাইব না। আমিও বহুদ্দিন শাহবাগের ডিমপারাটা খাইতে পাই না।
ঢাকা শহরে যাই মাসে দুইমাসে একবার ।তাও খালি শুক্কুরবারে।
শারীরিক ভাবে মরছে, আত্মিকভাবে নয়।
সরকার নিজেই এখন খতিব হয়ে গেছে। মানে, বিলাইয়েরা কামড়ানো শুরু করছিলো খতিবরে। কিন্তু পরে দেখি, সরকার নিজেই বড় খতিব, বিলাইয়ে তাদেরি সবচেয়ে বেশি এলার্জি।
খতিব ও "মিলিটারি পশ্চাতদেশে লাগানো সরকার" (Military Backed Government) দুইজনেই ব্যবসায়ী।
প্রথমজনের অবলম্বন ছিলো ধর্ম।
দ্বিতীয়জনের কোন বাছবিচার নাই।
আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
খাড়ান মোহাম্মদ ভাইজান আইতাছে।
কি মাঝি? ডরাইলা?
সুস্থ থাকুন, আর ধুমায় পোস্ট দেন।
এই কামনায়...
খতিব শালা বাঁচছে কিন্তু অনেকদিন! এই গুলা এতদিন বাঁচে ক্যামনে! এই যে নিজামী-গোলামের দল... মরার নামটাও নাই।
ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
খবরটা শুনে প্রথম রিয়াকশানটা ছিল, বাহ, অনেকদিন পর একটা সুখবর পাওয়া গেল! তারপরই মনে হল, কিন্তু এই খতিবতো আর ব্যক্তি খতিব না, এক ব্যাটা মরসে তো কি হইছে, পেট্রডলারের দোয়ায় এক খতিব মরলে রাবনের মাথা বা হাইড্রার মত হাজার হাজার খতিবের উদ্ভব ঘটবো।
সম্পুর্ন একমত।
========================
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
এখন ঠিকঠাক তো?
-----------------------------------
মানুষ এখনো বালক,এখনো কেবলি সম্ভাবনা
ফুরোয়নি তার আয়ু
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
নতুন মন্তব্য করুন