আফগানিস্তানে অল্প কিছুদিন থাকলেও মনের ভিতরে একটা অপ্রাপ্তি ছিলো বামিয়ানে বিশ্বের সবথেকে বড় বুদ্ধমুর্তি না দেখা। তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পরে বুদ্ধমুর্তিটার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছিলো। আসল কথা আমার বামিয়ানে যাওয়ার সূযোগ হয়নি, তাই দেখাও হয়নি।
সম্রাট অশোকের নাম তো শুনে আসছি ছোটবেলা থেকে, সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে তক্ষশীলার নামও। বৌদ্ধ সভ্যতার এক মহানায়কের না ...আফগানিস্তানে অল্প কিছুদিন থাকলেও মনের ভিতরে একটা অপ্রাপ্তি ছিলো বামিয়ানে বিশ্বের সবথেকে বড় বুদ্ধমুর্তি না দেখা। তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পরে বুদ্ধমুর্তিটার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছিলো। আসল কথা আমার বামিয়ানে যাওয়ার সূযোগ হয়নি, তাই দেখাও হয়নি।
সম্রাট অশোকের নাম তো শুনে আসছি ছোটবেলা থেকে, সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে তক্ষশীলার নামও। বৌদ্ধ সভ্যতার এক মহানায়কের নাম সম্রাট অশোক আর তার মহাকীর্তি তক্ষশীলা। আমি যদিও এক ঐতিহাসিক ঘটনাপঞ্জী ব্যাক্ত করতে পারবোনা অজ্ঞ্যানতার জন্যে তবে উইকিতে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। উইকি থেকে অনুবাদ করে নিজের জ্ঞ্যান হিসেবে চালিয়ে দিতে আমার একটু এ্যালার্জি আছে। আমি ইতিহাসের ছাত্রও না। তবে ওখানে যেয়ে এটুকু জানলাম যে তক্ষশীলার সভ্যতা এবং নগরায়ণ হয়েছে খৃষ্টপূর্ব ২০০ থেকে ২০০ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত।
তক্ষশীলাকে পাকিস্তানীরা বলে ‘তাক্সিলা’ আর ইংরেজিতে Taxila. ইসলামাবাদ থেকে যেতে লাগলো সর্বসাকুল্যে ৪০ মিনিট। ইসলামাবাদ থেকে রওনা হয়ে রাওয়ালপিন্ডি শহরের পাশ ঘেষে রাস্তা হলে গেছে তক্ষশীলায়। পাঞ্জাবের একটা শহর। খুব বেশি বড় না আবার একবারে ছোট্টও না। পুরো শহরটা জুড়ে প্রাচীন পুরাকীর্তির নিদর্শণ। আমাদের সময় হয়েছিলো মাত্র দুটো জায়গায় যাওয়ার। একটা হচ্ছে প্রাচীন সিরকাপ নগরী দেখতে যেখানে সম্রাট অশোক নগরায়ণ করেছিলেন। আর তক্ষশীলা যাদুঘর। ব্যাস, আর সময়ে পারিনি।
শহরের ঠিক মাঝখানে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অফিস এবং রেস্টুরেন্ট। আর তার ঠিক সামনেই যাদুঘর। এগুলোর সামনে থেকেই একটা রাস্তা নেমে গেছে মেইন রাস্তা থেকে সিরকাপের দিকে। পাকিস্তানী বন্ধু জাকারিয়ার নিজের ছোট্ট সুজুসি কার নিজেই চালায়। মানুষ আমরা চারজন। দুইজন বাংলাদেশী, একজন নেপালিজ আর জাকারিয়া স্বয়ং। রাস্তার দুই পাশে সারি সারি মানুষ বসে পাথর খোদাই করে বিভিন্ন জিনিস তৈরী করছেন। অধিকাংশই অবশ্য কবর তৈরী করছেন। সাথে আছে ফুলদানি, বাঘ-সিংহ, প্লেট, আরো কতো কি! ছেনি দিয়ে পাথরের বুকে ঠুকে ঠুকে কি মমতায় তারা কবর তৈরী করছেন। ঠিক যেনো নিজের শেষ দিনের কথা ভেবে। ফুল-লতা-পাতা, পবিত্র কোরানের আয়াত, সব যেনো জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠছে কবরগুলোর গায়ে। এযাত্রায় কবরের ছবি তোলা হয়নি। ভবিষ্যতে তুললে লেখায় এ্যাড করে দেবো। দুই কিলোমিটারের মত গাড়ি চালিয়ে আমরা পৌঁছলাম সিরকাপের প্রবেশদ্বারে।
প্রবেশমুখে সামনে পড়লো কুয়ো। দুই হাজার বছরের পুরোনো কুয়ো। পাথরে বাঁধানো তার ব্যাস। অসাধারণ।
মেইন স্ট্রীট ধরে এগিয়ে চললাম। একজন স্থানীয় এসে আমাদের গাইড হতে চাইলেন। চেহারা দেখেই বোঝা যায় হতদরিদ্র। ময়লা স্যালোয়ার-কামিজ পরা। পায়ে শতছিন্ন একজোড়া জুতো। আর একটা তালি দেওয়া সোয়েটার পরা। জাকারিয়া অত্যন্ত বিনীত ভাষায় তার সহায়তা গ্রহনের অপ্রয়োজনীতা জানালেও লোকটা আমাদের সাথে সাথেই থাকলেন।
হাতের ডানে-বায়ে পুরানো নগরের নিদর্শণ। অত্যন্ত পরিকল্পিত তা দেখেই বোঝা যায়। আমার কেমন যেনো মনে হলো ইসলামাবাদ শহরটা এই সিরকাপের নকশা দেখেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমি এশিয়া, আফ্রিকা আর ইউরোপের অল্প কিছু দেশ এবং কিছু শহর ঘুরেছি কিন্তু ইসলামাবাদের মতো এতো পরিকল্পিত শহর এখনও আমার চোখে পড়েনি। হয়তো আগামীতে কোনওদিন দেখবো। এখানে একটা আশ্চর্য জিনিস দেখলাম। ঘড়ি। একটা আয়তক্ষেত্রের মাঝে আবার আলাদা আলাদা আটটা কৌণিক ক্ষেত্র। এখানে আলো-ছায়ার হিসেব করে নাকি দিন-রাতের সময় বোঝা হতো। তখন নাকি ষোল ঘন্টার দিন ছিলো। আশ্চর্য হতে হয় সেই যুগেও মানুষ বিজ্ঞানচর্চা করতো, দিন-রাতের সময় হিসেব করে চলতো।
বেশ কিছু মন্দির আছে সেখানে। কিছু ভগ্নাবশেষ আর কিছু এখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। এই মন্দিরে সম্রাট অশোক নিজেই প্রার্থনা করতে আসতেন।
আর আছে কিছু স্তুপা। শোনা গেলো এর নিচে বিশিষ্ঠ ব্যাক্তিদের মৃতদেহ মমি করে রাখা হতো। একটা স্তুপা তো এখনও অবিকৃত, অক্ষত।
এর মধ্যেই ছিন্নবসনা একজন অতিবৃদ্ধা ছাগল চরাতে এসেছেন। ছাগলগুলো চরছে আর বৃদ্ধা বসে বসে উল বুনছেন, আর থেকে থেকে উর্দুতে ছাগলগুলোর উদ্দেশ্যে মৃদুস্বরে নির্দেশ দিচ্ছেন। হয়তো ছেলের সংসারে তিনি এক বোঝা। তাই ছাগল চরিয়ে, নাতি-নাতনিদের জন্যে উল বুনে হয়তো কিছুটা অন্নদায় শোধ করতে হচ্ছে তাকে।
দুর থেকে দেখা যাচ্ছিলো পাহাড়ের চুড়ায় সম্রাট অশোকের রাজদরবার এবং রাজপ্রাসাদ। চোখে পড়লো একজোড়া যুবক-যুবতি রাজপ্রাসাদের দেওয়ালের উপর বসে কিছু একটা করার চেষ্টা করছে। আমি অন্যদিকে কিছু একটা তোলার জন্যে ক্যামেরা উচু করতেই তারা দুটো এক লাফে দেওয়াল থেকে নেমেই দে দৌড়। এই পুরাকীর্তির মাঝেই একটু খোলা জায়গা, তাতে আবার একটা ক্রিকেটের পিচ। মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো ওটা দেখে। ওটা পার হয়ে পাহাড়ে উঠতে হবে। সমতল থেকে অনেকখানি নিচে নেমে তারপর পাহাড়ে ওঠার পথ। একটু কষ্ট হচ্ছে। তাতে কি!
স্থানীয় লোকটা কিন্তু আমাদের সাথেই চলছেন। পাহাড়ে উঠতে উঠতে দেখি কিছু যুবক পথে দাঁড়িয়ে। লোকটা তাদের সাথে কথা বললেন। তারপর আমাদের বললেন যে এই পাহাড়ের চুড়ায় শরাবী আর জুয়াড়িদের আস্তানা। দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা সেখানে জুয়া আর মদ চলে। অবৈধ যৌনাচারের জন্যেও জায়গাটা নিরাপদ।
আমরা চুড়ায় উঠলাম। সেখানে পাশাপাশি সম্রাট অশোকের রাজদরবার এবং রাজপ্রাসাদ। অত্যন্ত দূরদর্শী ছিলেন তিনি বোঝা যায়। অফিস আর বাসা আলাদা, যদিও পাশাপাশি।
রাজদরবারের ছাদে উঠে নিচে তাকিয়ে দেখি রাজপ্রাসাদের পাশে ২-৩ দল জুয়াড়ি বসে জুয়া খেলছে আর মদ-গাঁজা খাচ্ছে। আর কিছু শিশু ছাগল চরাচ্ছে। রাজদরবারের ছাদ থেকে নামতেই শিশুগুলো এসে ঘিরে ধরলো। এ মামা, এ চাচা, দো না শও রুপিয়া। শও নেহি তো পাচাস দো না। স্থানীয় লোকটা এবং জাকারিয়া দুজনেই টাকা দিতে মানা করলো। কারণ ওদেরকে টাকা দিলে তার প্রায় সবটাই ওই জুয়াড়িগুলো নিয়ে নেবে। এই শিশুগুলো ওদেরই বাচ্চা বা ভাইপো-ভাইঝি। রাজদরবারের ছাদ থেকে তোলা রাজপ্রাসাদের ছবি দেখেন-
ঢুকলাম রাজপ্রাসাদে। ছোট ছোট কামরা কিন্তু মোটা পাথরের দেওয়াল। একসময় নাকি মোটা কাঠের দরজা ছিলো যা আজ আর নেই। মাঝখানে খোলা, ছোট্ট জলাধার ছিলো। আর তার চারদিক ঘুরিয়ে কামরা। সামরিক দিক দিয়ে সম্রাট অশোকের এই দরবার এবং প্রাসাদ দূর্ভেদ্য ছিলো তা দেখলেই বোঝা যায়। একটু দুর পর পর নাকি চেকপোষ্ট ছিলো।
এবার নামার পালা। চুড়া থেকে নেমে হাঁটতে হাঁটতে গেটের দিকে গেলাম। জাকারিয়া লোকটাকে কিছু টাকা দিলো। সে মহাখুশি। গেটের কাছেই কয়েকজন লোক পুরোনো মুদ্রা বিক্রি করছে। আমরা কিনলাম না।
এদিকে ক্ষিদেয় পেট চোঁ চোঁ করছে। সোজা যেয়ে ঢুকলাম রেস্টুরেন্টে। বেশ সময় নিয়ে খেলাম। খাওয়া শেষে পকেটে করে নিয়ে যাওয়া একটা কিউবান মন্টিক্রিষ্টো সিগার টানলাম তিনজনে মিলে। নেপালিজ ভাই অধুমপায়ী। এদিকে যে মিউজিয়ামের সময় বিকেল ৪ টা পর্যন্ত তা জানা ছিলোনা। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে সিগার টেনে যখন মিউজিয়ামে গেলাম তখন তা বন্ধ হতে আর মাত্র ১৫ মিনিট বাকি। তাও টিকেট কেটে ঢুকলাম। ছোট্ট মিউজিয়াম কিন্তু সমৃদ্ধ। শুনলাম সব ভালো নিদর্শনগুলো লন্ডন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাও যা আছে তা’ই অনেক। সেই দুই হাজার বছরের পুরোনো বৌদ্ধমুর্তিগুলো। অসাধারণ। আরও আছে সেই সময়ের লোহালক্কড়ের যন্ত্রপাতি, অস্ত্র-শস্ত্র, তৈজসপত্র। আছে কাঠের আর পোড়ামাটির অনেক জিনিস। দুঃখ, ছবি তোলা কঠোরভাবে নিষেধ। ভগ্ন হৃদয়ে গেটের বাইরেই কয়েকটা ছবি নিয়ে গাড়িতে উঠলাম।
জাকারিয়া এফএম রেডিওর বেজায় ভক্ত। ওর গাড়িতে ক্যাসেট প্লেয়ার থাকলেও কোনও ক্যাসেট নেই। ও রেডিও চালিয়ে দিলো, পাকিস্তানী কোনও একটা এফএম ষ্টেশন। হঠাৎই পরিচিত দরাজ-ভরাট গলায় ভেসে আসলো-
নবী মোর পরশ মনি, নবী মোর সোনার খনি,
নবী নাম জপে যে জন সেই তো দু’জাহানের ধনী।
ওই নামে মধু মাখা, ওই নামে যাদু রাখা,
ওই নামে মওলা আমার মজনু হইলো কাদের গনী।।
অসাধারণ গায়কী আর সাথে দুটো হারমোনিক স্কেলে কোরাস হ্যামিং। অত্যন্ত দক্ষ সঙ্গীতজ্ঞ না হলে একসাথে তিনটা স্কেলে গান ধরে রাখা যায়না, ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে যাওয়ার সমূহ আশংকা থাকে। গানটা গাচ্ছিলেন বরিশালে জন্ম নেওয়া পাকিস্তানী বিলিওনিয়ার আলমগীর হক। তার অকালপ্রয়াত ছোটভাই নয়নকে সবাই তার সময়ের বাংলাদেশের সেরা গিটারিষ্ট মানতেন। আমার সাথের বাংলাদেশী বন্ধুর ইশ্বরে চরম অবিশ্বাস। কিন্তু বাংলায় তো তার ভালোবাসা অনন্ত। তার উপর পাকিস্তানের রেডিওতে বাংলা গান। দুই জনেই অভিভূতের মতো গানটা শুনলাম আর গুন গুন করে সুর ভাজতে থাকলাম।
ইসলামাবাদে ফিরে চললাম সম্রাট অশোকের দুই হাজার বছরের পুরোনো কীর্তির স্মৃতি মনের মাঝে ধারণ করে। অনুভব হচ্ছিলো যেন আমিই এযুগের অশোক। নাইবা হলাম সম্রাট অশোক কিন্তু আমার মনের রাজ্যে আমিও তো একজন রাজা। গাড়ির পিছনের সিটে গা এলিয়ে দিয়ে ক্রমশ ছোট হয়ে আসা ক্লান্তিতে আচ্ছন্ন ঘুমাতুর দৃষ্টি, ক্রমশ নিস্পন্দ হতে থাকা ঠোঁটের ফাক গলে বিড়বিড় করে বেরোচ্ছে-
নবী মোর পরশ মনি, নবী মোর সোনার খনি,
নবী নাম জপে যে জন সেই তো দু’জাহানের ধনী।
ওই নামে মধু মাখা, ওই নামে যাদু রাখা,
ওই নামে মওলা আমার মজনু হইলো কাদের গনী।।
মন্তব্য
বাহ! আপনি তো বেশ ভাগ্যবান- কত সুন্দর সব জায়গা ঘুরে এসেছেন!
আমার বাবা ইতিহাসের ছাত্র ছিলেন, তাই কোন না কোন প্রসঙ্গে চলে আসত অশোকের কথা। যতদূর জানি তিনিই প্রথম সম্রাট যিনি পশুদের হাসপাতাল নির্মাণ করেন।
৫ নং ছবিটা সাদাকালো করলে বোধহয় আরো ভাল লাগবে। আর কোন লং শট আছে কি?
ফাহিম হাসান
ধন্যবাদ ফাহিম ভাই। দুঃখ যে বাংলাদেশটাই এখনও ভালোমতো ঘুরতে পারলাম না।
আপনি যথার্থ বলেছেন। উইকিতে খুজেঁ সম্রাট অশোকের একটা আদেশ পেলাম-
Everywhere King Piyadasi (Asoka) erected two kinds of hospitals, hospitals for people and hospitals for animals. Where there were no healing herbs for people and animals, he ordered that they be bought and planted.
আমি ফটোগ্রাফিতে বিশেষরকম অজ্ঞ। তবে একসময় যা তুলতাম, তা'ই ফটোশপে সাদাকালো বানাতাম। এখন বাদ দিছি, বেশি সময় পাওয়া যায়না। লং শটের অবশ্য কয়েকটা ছবি তুলেছি তবে এখানে দেইনি। আর ফটোগ্রাফি নিয়ে আগ্রহের অন্ত না থাকলেও এগুলো নাড়াচাড়া করার সময় বলতে গেলে একদমই পাইনা।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনিতো বেশ ঘুরেন মশাই! মাসাই মারায়ের মতন তক্ষশীলাতেও বেশ একটা ভ্রমণ হয়ে গেল আমার
-----------
চর্যাপদ
-----------
চর্যাপদ
ধন্যবাদ সাঈদ ভাই। আমার লেখার মান জুৎসই হলে হয়তো আরও উপভোগ করতে পারতেন লেখাগুলো। তা'ও সাথে আছেন এটা আমাকে পেরণা দেয়।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ছবি গুলা দুর্ধর্ষ!!!!!
এইটা পড়তে পড়তে আমিও যেন অশোক রাজ্য ঘুরে আসলাম; একেবারে ফ্রি এবং জীবন্ত.........
ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয় গুরু আমার এমন একটি ভার্চুয়াল ট্যুরের ব্যবস্থা করায়...
আরও ট্যুর চাই
-অতীত
ধন্যবাদ অতীত, আপনারা পড়েন বলেই লিখি লেখার হাত ভালো না হওয়া সত্বেও।
আরও লিখবো গুরু, সাথে থাকেন।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বৌদ্ধ সভ্যতার এক মহানায়কের নাম সম্রাট অশোক আর তার মহাকীর্তি তক্ষশীলা। আমি যদিও এক ঐতিহাসিক ঘটনাপঞ্জী ব্যাক্ত করতে পারবোনা অজ্ঞ্যানতার জন্যে তবে উইকিতে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। উইকি থেকে অনুবাদ করে নিজের জ্ঞ্যান হিসেবে চালিয়ে দিতে আমার একটু এ্যালার্জি আছে।
আমার জ্ঞানের দৌড় ওই উইকি আর গুগল পর্যন্তই। তবু একটু মন্তব্য করার ধৃষ্টতা করি।
তক্ষশীলা সম্রাট অশোকের কোনো মহাকীর্তি কিনা নিশ্চিত নই। তবে অশোক জন্ম নেয়ার অনেক আগে থেকেই তক্ষশীলা বিখ্যাত। অশোকের গুরু চাণক্য ছিলেন তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। অশোক তাই মগধ থেকে গুরুর কাছে এখানে পড়তে এসেছিলেন। তক্ষশীলা ছিল প্রাচীন গান্ধার রাজ্যের অন্যতম শহর। একসময় এটি প্রাচীন পারস্য সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। আলেকজান্ডার ভারতবর্ষ আক্রমণের সময় আম্ভি বা Taxiles নামে এক রাজা এখানে শাসন করতেন, যিনি গ্রিকদের সাথে সন্ধিচুক্তি করেছিলেন। আপনি যে রাজদরবার দেখেছেন তা এই রাজার রাজদরবার হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি (কারণ, অশোক মোটামুটি পাটালিপুত্র (বর্তমান পাটনা) থেকেই তাঁর রাজকার্য চালিয়েছেন)। অশোকের দাদা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য গ্রিকদের প্রতিহত এবং মৌর্য সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য গান্ধার দখল করেছিলেন। এরও আগে চন্দ্রগুপ্ত তক্ষশীলার গভর্ণর ছিলেন। বস্তুতঃ চন্দ্রগুপ্ত এবং অশোক দুজনেই তক্ষশীলার গর্ভনর হিসেবে তাঁদের শাসক জীবন শুরু করেছিলেন। মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের পর ইন্দো-গ্রিকরা তক্ষশীলা দখল করে নেয়। আপনি প্রাচীন যে সিরকাপ নগরীতে গিয়েছেন, তা অশোকের সময়ে নয়, বরং আরও পরে গ্রেকো-ব্যাক্ট্রিয়ান রাজা দিমিত্রিয়াস তৈরী করেছিলেন।
তবে এ কথা ঠিক সম্রাট অশোক বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের পর তক্ষশীলাকে বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষার অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। অশোক এবং ইন্দো-গ্রিকদের পরে তক্ষশীলা তথা গান্ধারের কুশান সম্রাটরাও ছিলেন বৌদ্ধ। বামিয়ানের মূর্তি কুশান শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল, অশোকের আমলে নয়।
ছবিগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ তানভীর ভাই, এরকম ধৃষ্ঠতা মাঝে মাঝে করলে আমরা কিন্তু অনেক বিষয়েই জানতে পারি বা পরিষ্কার হতে পারি।
যদি সম্রাট অশোকের জীবষ্কাল খ্রীষ্টপূর্ব ৩০৪ থেকে ২৩২ সাল হয়ে তাকে তবে সিরকাপ অবশ্যই তার মৃত্যুর অল্প কিছুকাল পরে প্রতিষ্ঠিত শহর। এবং সেক্ষেত্রে রাজদরবার এবং প্রাসাদও তার না। আপনার দেওয়া লিংকটাই তৎকালীন ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহের বর্ণনা দেয়।
ইচ্ছে আছে আবারও যাবো, না দেখা যা যা আছে সেগুলোও দেখবো।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার ভ্রমণগুলো দেখে ব্যাপক হিংসিত।
এই জায়গা নিয়ে আমার বেশ আগ্রহ ছিল। দেখে অনেক ভালো লাগলো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনাকে হিংসিত করতে পেরে আমি পুলকিত। ধন্যবাদ আপনাকে নীড় সন্ধানী।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অনেক বিশেষজ্ঞের মতে মহাভারতের জন্ম, তথা এর প্রথম শ্লোক গুলি সর্বপ্রথম রচিত হয়েছিল এই তক্ষশীলাতেই (আমার সূত্রঃ 'মহাকাব্য ও মৌলবাদ': জয়ান্তানুজ বন্দোপাধ্যায়)।
ধন্যবাদ মনমাঝি ভাই। আপনার তথ্যটাও মূল্যবান। এটা জায়গার মাহাত্ম আরও অনেক বাড়িয়ে দেয়। সূযোগ পেলে বইটাও পড়বো।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অসাধারণ লেগেছে। আপনার ভ্রমণকাহিনির ভক্ত হয়ে গেছি বস্।
আচ্ছা, পাকিস্তানি রেডিওতে বাংলা গান- ব্যপারটা কি নিয়মিতই হয়?
ধন্যবাদ বাউলিয়ানা ভাই। বাংলা গান এখানে নিয়মিত হয়না। জাকারিয়া বলছিলো করাচির রেডিও এফএম স্টেশনগুলো মাঝে মাঝে প্রচার করে। অধিকাংশেরই আয়োজক, শিল্পী, নয়তো স্পন্সর আলমগীর হক।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভ্রমন্থন পড়লেই লেখকরে হিংসাই।
আপনার জন্যও হিংসা বরাদ্দ করলাম
---আশফাক আহমেদ
আপনার হিংসায়ই আমার শান্তি, পরিতৃপ্তি, স্বার্থকতা। অনেক ধন্যবাদ আশফাক ভাই।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমার জন্য এটি একটি অসাধারণ স্মৃতি জাগানিয়া লেখা। রাতঃস্মরণীয় ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। নীচের ছবিগুলো তক্ষশীলাতে তোলা।
স্বর্গের সাতটি স্তরঃ
বুদ্ধের প্রশান্ত মূর্তি যেন বলছেঃ
তোমরা তুলবে খুঁড়ে হয়তো মড়ার খুলি আরো
তাম্রলিপি, মাটির প্রাচীন পাত্র, হাতির দাঁতের চিরুনি,
অথবা কোন নগ্ন দেবতার ভাঙা মূর্তি;
হয়তো তুলবে খুঁড়ে অতীতের খণ্ড খণ্ড শব।
সিরকাপের অশোকের ধুসর জগতঃ
প্রাসাদের ভগ্নস্তূপ বলে উঠেঃ
'আমিও ছিলাম এই পৃথিবীতে আনুগত্যে প্রিয়
নাচের মুদ্রার মতো ফুটিয়েছিলাম জীবনকে কতদিন'
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
প্রকৃতার্থেই অগ্রজ আপনি বয়সে-দেখাতে-ঘোরাতে,
বড় সাধ জাগে কোনও একদিন
একদলে মিলে হদিস বিহীন
হয়তো ছুটবো মরুতে কিংবা বাইবো দজলা-ফোরাতে।।
কি রোমেল ভাই, হবে?
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সানন্দে, আহ্লাদের সাথে ভাই!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আপনি এক ভাগ্যবান মানুষ, এক ঐতিহাসিক স্থানের মুখোমুখি হয়ে আপনি ইতিহাসকেই যেন স্পর্শ করলেন। আপনার লেখা সুন্দর।
ধন্যবাদ গুরুদাসদা। প্রেরণা পাই।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
একটু দেরিতে পড়লাম। আপনার ভ্রমনকাহিনী ভালো লাগল।
-রু
অনেক ধন্যবাদ রু।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার ভ্রমণবিষয়ক লেখাগুলোর [এবং অসাধারণ ছবিগুলোর] মুগ্ধ পাঠক আমি।
কাকস্য পরিবেদনা
ধন্যবাদ দ্রোহী ভাই, প্রেরনা পাই।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সুন্দর লেখা, carry on. কিছু বাংলা যেমন "হিংসিত" ---- একদম নতুন মনে হয়
মাহিন
ধন্যবাদ মাহিন ভাই। কিছু কিছু ভাষার চর্চা এখানে করা হয় যা অভিধানে পাবেন না কিন্তু এ চর্চা বিমলানন্দ দেয়। বেশ ভালোই লাগে।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনি তক্ষশীলায় গেছেন তো কী হয়েছে, আমিও নালন্দায় গেছি, মুহাহাহা, নাহয় আপনার মত এত ভাল ছবি আর লেখা না-ই পারলাম...
নালন্দার রুটম্যাপ দেন, আমিও যাবো। হাহাহাহাহাহাহা আপনি যে সুন্দর লেখেন তাতে ছবি লাগে নাহ্।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ইশশ আপনাকে একপেট হিংসা দিলাম
হরপ্পা, মহেঞ্জোদড়ো আর তক্ষশীলা দেখতেই পাকিস্তান যাব একবার|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
ঠিক আছে, আপনার হিংসা বুঝে পেলাম। আমারও প্লান আছে মহেঞ্জাদারো আর হরপ্পা যাওয়ার। চলে আসেন, একসাথে যাই। আমার ছবিগুলো তুলে দিয়েন। আর আপনারগুলো আমি। ধন্যবাদ।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দুইটা ছবিতে শশাঙ্ক সাদী পাভেলকে দেখলাম বলে মনে হলো...
ছোট ছবি তাই নিশ্চিত হতে পারছি না...
আপনার ভ্রমণ ও লেখা উভয়ই জারি থাকুক...
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
আপনি ঠিকই দেখেছেন। ধন্যবাদ।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দীর্ঘ ৫ বছর পুরনো তক্ষশীলায়িত হয়ে যাওয়া পোস্টে আপনার এই কমেন্টটা দেখে আরেকটু হলেই বলতে যাচ্ছিলাম - ধন্য আশা কুহকিণী! যার লেখার অপেক্ষায় পপকর্ন নিয়া বসছেন, তিনি আমাদের তথা ব্লগলোকের মায়ার বাঁধন কাঁটিয়ে বহু আগেই সচলায়তন থেকে পার্মানেন্টলি অফলোকগত (পরলোকগত-র মত করে অফলাইন লোক / জগতে গত) - বা নিদেনপক্ষে ফেইসলোকগত (?) হয়েছেন। ইন্না লি...! তার আশায় থাকলে এখন আপনারে অনন্তকাল ধরেই গ্যালারীতে বসে বসে খামাখা পপকর্ন চাবায়া যাইতে হবে। কিন্তু কিমাশ্চর্যতম, এটা লেখার আগেই সাইডবারে 'অনলাইনে যারা' সেকশনে দেখি বান্দা হাজির! তবে উনি একটা লেখা বা কমেন্ট দেওয়ার আগে পর্যন্ত বুঝতে পারতেসি না, এটা আসলেই উনি নাকি ডিজিটাল প্ল্যানচেট করে অফলোক থেকে সাময়িকভাবে নিয়ে আসা হয়েছে! তাই হে 'রাতঃস্মরণীয়' ভাই, আরেকটা জম্পেশ ভ্রমণ কাহিনি দিয়ে দয়া করে জানান দিন, এই আপনি আসলে সেই আপনিই - সাক্ষী সত্যানন্দ প্ল্যানচেট করে আপনারে আনে নাই! অফলোকে আপনার নতুন নতুন এ্যাডভেঞ্চারের কাহিনি জানতে মঞ্চায়।
****************************************
ফাহমিদুল হান্নান রূপক
নতুন মন্তব্য করুন