একটু-আধটু ভ্রমণ পিয়াসি যারা তারা হয়তো নামেই মারীকে চিনবেন। মারী গ্রীষ্মনিবাস হিসেবে বিশ্বখ্যাত। ৭,৫০০ ফিট আলটিচ্যুডে মারীর অবস্থান। মারী পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি জেলার একটা মহকুমা। সরকারীভাবে মহকুমাটার নাম মারী তহশিল। কিন্তু মানুষের মুখ থেকে তহশীল ঝরে পড়ে গেছে অনেক আগেই। তাই মারী হচ্ছে কেবলই মারী। অদ্ভুত সৌন্দর্যের এক তীর্থভূমি। গত উইকএন্ডে ঘুরে আসলাম মারী থেকে।
মারী নামটা আদি উৎস খুঁজতে গেলে দুটো উৎস পাওয়া যায়। প্রথমতঃ জানা যায় এই নাম এসেছে ‘মারিহ’ থেকে যার মানে উচ্চস্থান। আর দ্বিতীয়টা এসেছে যীশুমাতা ‘মেরি’ থেকে। দুটোই যৌক্তিক। মারীর উচ্চতা নিয়ে তো প্রশ্নই নেই। তেমনই মারীতে বসবাস করেন খৃষ্টান সম্প্রদায়ের বিশাল জনগোষ্টী সেই শতবছর ধরে। এখানে অনেক গির্জা, একটার পর একটা। শতবর্ষের প্রাচীন গির্জা থেকে শুরু করে নবনির্মিত গির্জা। তাই যদি যীশুমাতা মেরির নামে এই মারীর নামকরণ হয়ে থাকে তাতেও অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই।
পোংটাকালে একটা লেখা পড়েছিলাম। একসময় করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, কোয়েটা, পেশাওয়ার থেকে পাকিস্তানের সব বুড়ো জেনারেলগুলো তাদের বিবি নিয়ে মারীতে যেতেন গ্রীষ্মঅবকাশে। এসময়ে তাদের সার্বক্ষণিক খেদমতে নিয়োজিত থাকতেন ইয়াং ক্যাপ্টেনরা। কাজের চাপের কারণে জেনারেল দাদুরা ২-৩ দিনের বেশি থাকতে পারতেন না। ষ্টেশনে ফিরে আসতে হতো। অবকাশকাল শেষ হওয়ার ২-৩ দিন আগে আবার জেনারেল দাদুরা গিয়ে দাদীকে নিয়ে ফিরে আসতেন। এই মধ্যবর্তকালীন সময়ে দাদীদের সার্বক্ষণিক সর্বরকম খেদমতে নিযুক্ত থাকতেন ওই ইয়াং ক্যাপ্টেনগুলো। দাদীজানেরা ফেরার আগে নাকি ক্যাপ্টেনগুলোকে শেষ বিন্দু রস চিপে নেওয়া আখের ছোবড়ার মতো করে রেখে যেতেন। লেখকের ভাষ্যমতে এটা নাকি পাকিস্তান আর্মির ওপেন সিক্রেট ছিলো।
আমরা পাকিস্তানী বন্ধু জাকারিয়ার ছোট্ট কারে রওয়ানা করলাম। আমরা দুই বাংলাদেশী, একজন নেপালি এবং জাকারিয়া। আমরা প্রায় দুই ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে মারীর কাছাকাছি একটা জায়গায় থামলাম; নাম পাত্রিয়াতা মারী। গাড়ি পাকিংএ রেখে এগোলাম চেয়ার লিফটের দিকে। ৩০ মিনিটের রোপওয়ে ভ্রমণ। দলে দলে দেখি মানুষ দুই সিটের চেয়ারগুলোতে বসে রোপ বেয়ে এগিয়ে চলেছে। ছবিটা ওয়েব থেকে নিয়েছি। উইকএন্ড, তাই লোকে লোকারণ্য।
চেয়ার লিফট কাউন্টারের কাছে যেতেই নেপালি ভাই বেঁকে বসলেন। তিনি ওটাতে চড়বেন না। তিনি আমাদেরকে চড়ার উৎসাহ দিলেও আমাদের মুড অফ্ হয়ে গেলো। আমার দেশী বন্ধু বললেন যে তিনি ওটাতে বেশ কয়েকবার চড়েছেন, তাই তার বিশেষ আগ্রহ নেই। জাকারিয়া বললেন যে তার পিসু লেগেছে, তাই তিনি পিসু করতে চলে গেলেন। আমি বিরক্তি চেপে রেখে বললাম যে আমারও ইচ্ছে করছে না। বলতে চেয়েছিলাম যে আমার হাগু লেগেছে। কিন্তু মানুষটা বড়ই ভালো, সরল-সোজা, স্নেহপ্রবণ। তাই বলতে পারলাম না। একটা বাচ্চার কাছ থেকে চুয়িংগাম কিনলেন আমার বন্ধু। চাবানোর অভ্যেস না থাকলেও বাচ্চাটার করুন আকুতিতে সেলসম্যানশীপের কারণে আমরা কিনলাম।
তারপর নেমে চলে আসলাম ওখান থেকে। এবার গন্তব্য মারী। ১৯ কিলোমিটার যেতে হবে। জাকারিয়া গাড়ি আনতে আনতে নিজেদের ছবি তুললাম।
এগিয়ে চলেছি মারীর পথে। পাহাড়ের মাঝ দিয়ে এঁকেবেকে রাস্তা। রাস্তার পাশে শত শত শাল ঝুলিয়ে বিক্রি হচ্ছে। মারী খুব যে বড় একটা শহর তা কিন্তু না। কিন্তু লোকে গিজগিজ করছে। মনে হয় রাস্তায় প্রতিটা পা ফেলতে হয় দেখে দেখে, এতো ভিড়। আর গোটা শহরটাই রিসর্টে ভরা। আমরা শহরে ঢোকার মুখেই কয়েকজন যুবক এগিয়ে আসলো পার্কিংএর জায়গা ভাড়া দিতে। মারীতে পার্কিংএর জায়গার বড়ই স্বল্পতা যে কারনে দামীও বটে। আমার এক যুবকের সাথে কথা বললে সে মোবাইলে জেনে নিলো কোথায় জায়গা খালি আছে। তারপর আমরা তার পিছনে পিছনে আস্তে আস্তে চললাম। প্রায় আধা কিলোমিটার যাওয়ার পরে একটা গলির ভিতরে গাড়ি ঢুকিয়ে পার্কিং মিললো। ১০০ রূপি পার্কিং ভাড়া। যুবকটা দালালী বাবদ কিছু পেলো।
এদিকে পাত্রিয়াতায় কিছুটা উঁচুনিচু হাঁটাহাটির ফলে পেটের ভিতরে খিদের বোধ হচ্ছে। বুঝলাম সবারই একই অবস্থা। একটু হেঁটে গিয়েই সামনে পেলাম রেষ্টুরেন্ট। বিলাসবহুল একটা। ভিতরে এবং বাইরে বসার ব্যবস্থা। আমরা বাইরে বসতে পছন্দ করলাম। তারপর ভরপেট খেলাম।
এমন সময় লিউটন থেকে এক বন্ধু ফেসবুকে জানালেন যে মারীতে কয়েকটা রাস্তার নামকরণ হয়েছে বাংলাদেশের কয়েকজন সৈনিকের নামে যারা ১৯৭১ সালের আগে পাকিস্তান আর্মিতে কাজ করেছেন।
আমার সাথের স্বদেশী বন্ধু এটা নিশ্চিত করলেন। তিনি জানালেন এই সৈনিকেরা ১৯৬৫’র পাক-ভারত যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। তবে সময়ের অভাবে রাস্তার খোঁজে যেতে পারলাম না। ইচ্ছে আছে একটু গরম পড়লে আবার যাবো। তখন রাস্তাগুলো দেখে আসবো।
খাওয়া শেষে একটু দাড়ালাম বাজারে। ওরে বাবা, কি পরিমান দোকান! গিজগিজ করছে। কি নেই সেখানে! সব কিছু আছে। তবে বেশিরভাগই শীতবস্ত্র।
এরপর হাটা শুরু করলাম মারী ক্যান্টনমেন্ট এলাকার দিকে, যেখানে সবাই যায়। একটু ঢালু, আবার একটু উঁচু, আবার একটু ঢালু। এই হচ্ছে রাস্তার অবস্থা। তবে পিচঢালা মসৃণ রাস্তা। রাস্তার একদিকে টিলা, তার উপরে সেনানিবাসের বাড়িগুলো। আর অন্যপাশে রেলিং দেওয়া। পড়ে গেলে শেষ। বড় বড় গাছগুলো পাতায় ভরা কিন্তু শুকনো মরা পাতা। আমরা একটু দাঁড়িয়ে স্থানীয় ঘরানার দুধ ছাড়া চা খেলাম। অসাধারণ স্বাদ। এখানে মজার বিষয় হলো যে হয়তো এখন দেখছেন ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। ১০০ মিটার পরে আবার দেখবেন ১০ ডিগ্রি। আবার ৫০ মিটার যান তো দেখবেন ৭ ডিগ্রি।
আবার হাটা শুরু করলাম। সোজা সেনানিবাসের ভিতরের রাস্তা দিয়ে। ছবি তোলায় কোনও বারণ নেই। তবে বারণ আছে সৈনিকদের বা চলমান সামরিক যানগুলোর ছবি তোলায়। কিছুদুর পরপর সৈনিকরা অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে নয়তো কোনও গেটের সামনে পায়চারি করছে। পাথর-কঠিন দৃষ্টি। যেন পলক ফেলতে ভুলে গেছে। দেখার মতো আছে শুধু প্রকৃতি কিন্তু সে কি যেমন তেমন প্রকৃতি। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে দাড়িয়ে দেখলেও মনে হয়ে দেখার শেষ হয় না। পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে দেখা যাচ্ছে দুরের আরেক পাহাড়ের মাথায় বাড়িঘরগুলো।
হাঁটতে হাঁটতে এসে থামলাম একটা প্রাচীন গির্জার সামনে। অসাধারণ তার সৌষ্ঠব। মনে হয় যেনো আকাশের বুক চিরে ঠেলে ওঠা এক শৃঙ্গ। শান্ত, সৌম্য, পবিত্র কিন্তু এক গাম্ভীর্যের আচ্ছাদনে মোড়া।
এবার ফিরতে হয়। সময় কম। আবার হাঁটা শুরু। পথের পাশে এক কিশোরের মেশিনে পয়সা দিয়ে ওজন মাপলাম। দাড়িয়ে কিছু ছবিও নিলাম।
তারপর দেখতে দেখতে মূল শহরে এসে পৌঁছলাম। এককাপ চা খেলাম। তারপর গাড়ির কাছে গিয়ে একটু দাঁড়ালাম। সংকীর্ণ জায়গার মধ্যে থেকে জাকারিয়া গাড়ি বের করে আনলে আমরা মারীকে পিছনে ফেলে ইসলামাবাদের পথে ফেরত যাত্রা শুরু করলাম।
মন্তব্য
সুন্দর লেখা এই ছোট্ট ভ্রমণ কাহিনীটি। ছবিগুলি এটিকে আরও প্রাণবন্ত করেছে।
আমার ৪২ বছরের আগের দেখা মারীকে খুঁজে বের করতে অবশ্য কিছুটা কষ্ট হচ্ছে।
আরও লেখা পড়ার প্রত্যাশায় রইলাম।
সাইফ শহীদ
সাইফ শহীদ
ধন্যবাদ সাইফ ভাই। আপনি এতোদিন কোথায় ছিলেন ভাই?
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃস্মরনীয়দা, পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি...
দিনকাল কি এতোই খারাপ পড়েছে যে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশে বসে একজন বাংলাদেশীর কাছ থেকে এখন আমাদের পাকিস্তানে ভ্রমনের গল্প শুনতে হচ্ছে! আর কোন দেশ কি ছিল না?
আমার খুব প্রিয় বিষয়- তক্ষশীলা থেকে শুরু করে হরপ্পা-মহেঞ্জোদারো আর আরো অনেক আর্কিওলজিকাল সাইট আছে আজকের পাকিস্তান নামক স্থানে... কিন্তু আমি তার সবই স্যাক্রিফাইস করেছি। দেখবো না কিছুই(যদিও আমার ধ্যান-জ্ঞান সবই স্থাপত্য ও প্রত্নস্থান এবং তাদের কনজার্ভেশান) । একমাত্র কারন ওগুলো পাকিস্তানে। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে পাকিস্তানের ভুমিকা জানার পর আমার পক্ষে ঐ দেশটাতে ভ্রমন করা সম্ভবপর হবে না। আমাকে সবাই প্রচীনপন্থী আর গোঁড়া বলতে পারে, কিন্তু পাকিস্তান নামটা শুনলেই ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বাংলার ইতিহাসটা চোখের সামনে দিয়ে চলে যায়... পাকিস্তান এখনো তার জন্য ক্ষমা চায় নি, রাজাকারদের বিচার এখনো হয় নি। আমি পারি না।
আপনি হয়তো কর্মসূত্রে বা যে কোন কারনে পাকিস্তান নামক দেশটিতে আছেন, ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছেন, পাকিস্তানী বন্ধু তৈরী হয়েছে। কিন্তু আমার মানতে খুবই কষ্ট হচ্ছে যে একজন বাংলাদেশী বাঙ্গালীর কোন পাকিস্তানী বন্ধু আছে, বা কোন বাংলাদেশী বাঙ্গালী পাকিস্তানের কোন জায়গাকে সৌন্দর্যের তীর্থ বলছেন! হতে পারে তার মানুষগুলো আসলেই খুব ভাল বা জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর, কিন্তু ইতিহাস আমি ভুলতে পারি না!
পাকিস্তান নামক দেশটা আর তার মানুষের প্রতি আমার কোন বিশ্বাস নেই!
--- থাবা বাবা!
সহমত জানিয়ে গেলাম আপনার সাথে। ভাবতে কষ্ট হচ্ছে ৩ জন অপছন্দ জানিয়েছেন এই বক্তব্যে!
থাবাদা, অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা আমার মতো একজন নগন্য এবং অখ্যাত পরিব্রাজকের লেখা পড়ার জন্যে। আপনারা পড়েন এবং মন্তব্য করেন বলেই ক্রমাগত লিখে যাওয়ার দুঃসাহস পাই। নয়তো কবেই লেখালিখির পাট চুকাতাম।
আপনি বলছেন দিনকাল খারাপ পড়ার কথা। আমিতো দেখছি দিনকাল ভালোর দিকেই যাচ্ছে। আজ দেশজুড়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধিদের বিচার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে। রাজাকার বিরোধি গণসচেতনতা আজ অতীতের যে কোনও সময়ের থেকে তুঙ্গে। আজ দেখেন রাগিব/নজরুলেরা, আরও অনেক সচলেরা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার জন্যে কি অক্লান্তভাবে খেঁটে যাচ্ছে! এগুলোকে কি আপনি খারাপ দিনের ইন্ডিকেটর হিসেবে বিবেচনা করবেন?
প্রথমেই বলি, আপনি হয়তো আমার সব লেখা পড়েননি। আমি লিখেছি ইন্দোনেশিয়ার গল্প, সেই সুদূর পশ্চিম আফ্রিকার মালির গল্প, লিখেছি কেনিয়ার কথা, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে অপহৃত বাংলাদেশী জেলেদের কথা। আফগানিস্তানের কথাও লিখেছি। খুব শিগগিরই লিখবো মালাউইর লিয়ন্ডে ন্যাশনাল পার্কের গল্প, সোমালিয়ায় এক বিক্ষুব্ধ ক্লানসম্যানের মেশিন গানের সামনে থেকে বেঁচে ফিরে আসার গল্প। লিখবো আমস্টার্ডামের রেড লাইট ডিষ্ট্রিক্ট আর কোপেনহেগেনের নদীর উপরে বরফ জমে তৈরি হওয়া রাস্তার গল্প। তাই আমার পক্ষে পাকিস্তানের ভ্রমণ গল্প লেখা অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং এটা দিনকাল খারাপের ইঙ্গিতবহ না। আপনি যে চেতনা থেকে কথাটা বলেছেন, সেই মেরিটে আমিও বলতে পারি যে আমাদের মতো পরিবার বাংলাদেশের যেখানে সেখানে খুব বেশি খুঁজে পাবেন না।
যে যাই ভাবুক, আমি অন্ততঃ আপনাকে প্রাচীনপন্থী বা গোঁড়া ভাবছি না। আপনার নিজস্ব কিছু চিন্তা এবং উপলব্ধি থেকে আপনি উক্তিগুলো করেছেন এবং লজিক্যাল মেরিটের ভিত্তিতে করেছেন। হতাশ হবেন না দাদা। পাকিস্তানের সরকার ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে কুটনৈতিক ছলাকলা করলেও পাকিস্তানের সচেতন এবং শিক্ষিত জনগোষ্ঠির অনেককেই কিন্তু আর প্রকাশ্যে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে কুন্ঠিত না। এই লিংকে ক্লিক করলে এমনই একজনের একটা খোলা চিঠি পাবেন। আজ পাকিস্তানের টেলিভিশনে ১৬ই ডিসেম্বর শেখ মুজিবের ভাষন প্রচার করা হয়। রাউন্ডটেবল বৈঠকগুলোতে বুদ্ধিজীবি-সমাজকর্মীরা পাকিস্তানের তৎকালীন নীতিকে ধুয়ে ছেড়ে দেয়। কাজেই এমন দিন আসছে যেদিন পাকিস্তান বাপ বাপ বলে ক্ষমা চাইবে। আর রাজাকারদের বিচারের ব্যাপারটা এখন আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে এসেছে। শুধু অপেক্ষা করতে হবে।
উদ্বৃতি না দিয়েই বলি, আমি পাকিস্তানে এসেছি এক মাসও হয়নি কিন্তু আমার পাকিস্তানী বন্ধু আছে বহু বছর আগে থেকে। আমি পাকিস্তানী মানুষের সাথে বন্ধুতে সমস্য দেখিনা যদি কিনা বন্ধু আমার আইডেনটিটি নিয়ে কটাক্ষ করছে। তবে সামান্য পিছনে ফিরে দেখা যেতে পারে। পাকিস্তানের একটা বিরাট বড় অংশের মানুষ ঐতিহাসিকভাবে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে। বৃটিশ ভেঙে পাকিস্তান হলেও এই দলের মানুষের ভাগ্যের কোনও পরিবর্তন হয়নি বরং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল সম্পদের কারণে এই দলের উপরেই দুর্ভোগ এসেছে সবথেকে বেশি। এরা জানেনা যে কোথা থেকে কি হয়। ৪৭ থেকে ৭১ পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের উপর যে সীমাহীন শোষণ হয়েছে তার মূল নায়ক কিন্তু পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ না। এর মূল নায়কেরা হচ্ছে সেই কুখ্যাত ২২ পরিবার (পরবর্তীতে ৪৬ পরিবার) এবং এদের বশংবদ একদল মাতাল এবং মাগীখোর জেনারেল, পাকিস্তানের বিভিন্ন কোন থেকে এসে জোটা একদল মধুলোভী কুরাজনীতিক আর সর্বোপরি ২২ পরিবারের ছানা মাখন খাওয়া ব্যুরোক্র্যাসি। পাকিস্তানের খেটে খাওয়া গরীব মানুষেদের কেউই এই শোষনের বেনিফিশিয়ারি ছিলো না। একমাত্র পাঞ্জাব ছাড়া, অন্য এলাকাগুলোর মানুষ একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে তেমন কিছু জানতোই না। সিন্ধ, বালুচিস্তান, কাশ্মির এবং এনডব্লিউএফপিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে পাকিস্তানী শাসক চক্র সুকৌশলে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টা সথাসম্ভব গোপন করে রেখেছিলো পাছে ওইসব এলাকার মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীনতার দাবী বেগবান হয়ে ওঠে। তার পরেও আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ওইসব এলাকার স্বাধীনতাকামী মানুষের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিলো। আর সাধারণ মানুষের কাছে এই যুদ্ধকে বলা হতো "পুর্ব পাকিস্তানকে ঘিরে ইনডিয়া-পাকিস্তান যুদ্ধ"।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে একজন খেটে খাওয়া মানুষ এবং আমি কাজ করি গরীব এবং ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের জন্যে। আমি কাজ করি দূর্যোগ এবং সংঘাত কবলিত মানুষের জন্যে। আমার কর্মস্থলই আমার তীর্থ। সে হোকনা সোমালিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান বা পাকিস্তান। ইসলাম যেমন ব্যাক্তিজীবনে আমার ধর্মবিশ্বাস, তেমনই আমার কর্মও আমার কাছে ধর্ম। আমি কাজ করতে যাই বিপন্ন মানুষের দূর্গতি দেখে, ইতিহাস দেখে না। আর যে সৌন্দর্য দেখতে দেশ-জাতি ভেদে মানুষ ছুটে যায়, তাকে সৌন্দর্যের তীর্থ বলতে আমার অসুবিধা নেই। সে যে দেশেরই হোক না কেনো।
শেষে বলি, বন্ধুত্ব দেশ-জাতি-সীমানা মানেনা। বন্ধুত্বের সূচনা হয়ে মানসিকতার মিলন থেকে। পাকিস্তানে এসে জানলাম যে বিশিষ্ঠ সমাজতন্ত্রী এবং আধুনিক উর্দু কবিতার অন্যতম পুরোধা কবি ফাইজ আহমেদ ফাইজ (প্রয়াত) ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম প্রিয় বন্ধু। বিশিষ্ঠ বৈদেশিক নীতি গবেষক আহমার মাস্তিখান লিখেছেন It is Victory Day for Bangladesh; Joy Bangla from a Baloch heart যেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের আরও কয়েকজন পাকিস্তানী বন্ধুর উল্লেখ আছে। বাংলাদেশ সরকার এবছর ৪০ জন পাকিস্তানীকে সন্মাননা প্রদান করেছেন আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদানের জন্যে।
সবার কাছে বীনিত ক্ষমাপ্রার্থী এত লম্বা প্রতিমন্তব্যের জন্যে।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
লেখার চেয়েও এই মন্তব্যটি সহনশীলতা, যুক্তি, আবেগ এবং ভাষাশৈলীর কারণে অসাধারণ হয়ে উঠেছে।
...............................
নিসর্গ: বাংলার প্রকৃতি
রাতঃস্মরণীয় ভাই,
অত্যন্ত স্থিরধী ও যুক্তিযুক্ত প্রতিমন্তব্যটি আমাকে প্রীত করেছে। পৃথিবীর পথে পথ হাঁটতে গিয়ে রাষ্ট্রের ভৌগলিক সীমারেখাটি বোধকরি মুখ্য নয়, সেখানে নিরবধি বয়ে যাওয়া প্রকৃতি ও মানুষের মিলিত স্রোতধারাটিই পর্যটকের বোধের মজ্জায় ঐক্যতান তোলে।
সেই সুরে নেই পুরো পৃথিবীর অখণ্ডরূপটিই যেন সারমেয়। সেখানে সকল দেশের, সকল কালের, সকল মানুষ এসে এক মোহনায় দাঁড়িয়ে এক মিলনের বাঁশী শুনতে ব্রতী হন।
প্রাঞ্জল বর্ণনায় ও সহজিয়া বুনোটে চমৎকার লেখাটি উপহার দেবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এটিও স্মৃতিজাগানিয়া। চিনার গলফ ক্লাবের সবুজ আমাকে এখনো টানে।
চিনারের দিগন্ত ছুঁয়ে
[img_assist|nid=36980|title=মারীর আঁকাবাঁকা পথ|desc=|link=popup|align=center
[img_assist|nid=36981|title=রোপ ওয়ে|desc=|link=popup|align=center|width=200|height=136]|width=200|height=134]
[img_assist|nid=36982|title=|desc=|link=popup|align=center|width=200|height=126]
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অনেক ধন্যবাদ রোমেল ভাই। এচলা তো নিরবধি, আবহমান। আর সুন্দরের প্রতি তৃষ্ণাও তো অসীম।
পৃথিবীতে তো সেই আদিমকাল থেকে জাতিগোষ্ঠিভিত্তিক, ধর্মভিত্তিক, ভাষাগত মেরুকরণ হয়ে চলেছে। আজ বোধ হয় একটা নতুন মেরুকরণ খুবই প্রয়োজন। ধনী আর নির্ধনের। একটা মুক্ত দুনিয়া যেখানে নির্ধনের অবাধ প্রবেশাধিকার থাকবে তাতে সে যে ধর্মের, বর্ণের, জাতির হোক না কেনো।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ bro।
আরও লেখা পড়ার প্রত্যাশায় রইলাম।
আপনাকেও ধন্যবাদ অতিথি।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বাহ! আরেকখানি ভ্রমণ কাহিনী! সকালে উঠেই কালো কফির সাথে তারিয়ে তারিয়ে পড়লাম। প্রাচীন গির্জার ছবিতে চোখ আটকে গেল। আলো-ছায়ার সুন্দর খেলা।
যে রাস্তাগুলোর কথা বললেন তা নিয়ে পরেরবার আলাদা পোস্ট চাই। আরো জানতে চাই ভিন্ন ধর্মের/ সম্প্রদায়ের মানুষ ঐ দেশে কিভাবে আছে, তাদের সামাজিক অবস্থান। যেমন: সেনাবাহিনীতে, সরকারী চাকরীতে কি ভিন্ন ধর্মের কেউ আছেন? এ ক্ষেত্রে কোন বৈষম্য আছে কিনা ইত্যাদি।
আর খাওয়া-দাওয়ার কথা আরেকটু বিষদ বলেন। ছবি আরো কিছু ছাড়ুন। এগুলো কি নাইকন ডি ৩০০০ এ তোলা?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দুঃখিত। বিষদ > বিশদ
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম ভাই। ঠান্ডা একটু কমলে আবার যাওয়ার প্ল্যান আছে। তখন তাড়াহুড়ো করে যাবোনা। রাস্তাগুলোর ছবি তুলতেও ভূলবোনা। পাকিস্তানে নীতিগতভাবে অমুসলিমদের জন্যে কোথাও কোনও বৈষম্য নেই। তবে শতাংশের হিসেবে নন মুসলিমরা খুবই কম তাই তাদের সরকারী চাকরীগুলোতে তেমন চোখে পড়ে না (অবশ্য শোনা কথা)। পাঞ্জাবে অমুসলিম বলতে আছে কেবল খ্রীষ্টান সম্প্রদায় আর শিখ। সিন্ধে অমুসলিম বলতে আছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। সেনাবাহিনীর বিষয়টা অবশ্য খোঁজ নেওয়া হয়নি।
আমিতো ভাই তেমন ভোজনরসিক মানুষ না। তার পরও আগামীতে কিছু দেবো। আর হ্যাঁ, এগুলো আমার ডি ৩০০০ দিয়ে তোলা।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সময় পেলে ভ্রমণ কাহিনী পড়তে ভালই লাগে। মারী হোক কিংবা প্যারী, আর একটু বিস্তারিত থাকলে মনে ভরে।
...............................
নিসর্গ
ধন্যবাদ পিপি ভাই। যেহেতু এবারের ঘোরাটা সংক্ষিপ্ত ছিলো, তাই বিষদ কিছু আর লিখতে পারলাম না। তবে আমাকে ওখানে আবার যেতেই হবে। ওই বাঙালিদের নামের রাস্তাগুলো দেখতে আমি যাবোই আর একবার।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
অফটপিক:
রাত: ভাই,
আপনি কি সচলায়তনে মেসেজ পাননা? আপনার ফ্লিকার থেকে কিছু ছবি নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলাম, কিন্তু অদ্যাবধি কোন উত্তর পাইনি। ফ্লিকারে গিয়েও কিছু ছবি নিসর্গ গ্রুপে যোগ করার আহবান জানিয়েছিলাম। আপনি বোধহয় ফ্লিকারের নোটিফিকেশনও পান না। একটু দেখবেন সময় করে।
আমি ধারণা করি আপনার ছবি দিতে আপত্তি নেই, তাই এখানে জানালাম। অন্য কেউ হলে নীরবতাকে অসম্মতি ধরে নিতাম।
ধন্যবাদ
পিপিদা,
যদ্দূর জানি একটা বাগের কারণে সচলায়তনের হাচলেরা মেসেজ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মুর্শেদ আপগ্রেডেড ভার্সন বাজারে ছাড়লেই আশা করছি ঝামেলা দূর হবে।
ব্যাপারটা কারো জানা ছিল না। আমি এক অতিথিকে মেসেজের পর মেসেজ পাঠিয়ে উত্তর না পেয়ে বেশ মনোক্ষুন্ন হয়েছিলাম।
সুতারাং, হাচলদের আপাতত মেসেজ না দিয়ে মেইলে বা অন্য কোন মাধ্যমে যোগাযোগ করাই শ্রেয়।
কাকস্য পরিবেদনা
হায় হায়, আগে যদি জানতাম! আমি তো আরেকজনকে মেসেজ পাঠিয়ে কোন উত্তর না পেয়ে একটু মনই খারাপ করেছিলাম! ধন্যবাদ ভাই
...............................
নিসর্গ: বাংলার প্রকৃতি
কীসের ধন্যবাদ পিপিদা! মেম্বর একজন দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধি। টিআইবি'র লিস্টে বিচার বিভাগের আগে ওনার নাম আসা উচিৎ ছিলো। আপসুস, আমি টিআইবি'র আশেপাশে নাই। থাকলে এক নম্বরে মেম্বর আর দুই নম্বরে (নাম কমু না)'রে দিতাম ফাঁসায়া।
আপনে মেম্বররে জিগান দেখি, কোন অতিথি সচলরে মেম্বর মেসেজ দিছে। আমি মেম্বরনীরে ফোন করে জানাই ঘটনাটা। আইজ এর একটা হ্যাস্তন্যাস্ত হওয়া দরকার! মেম্বর ব্যাটা লুল ফ্যালে আর দোষ হয় হাসিব্বাইয়ের।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
PP Bhai, I don't receive any message from Shachalayatan may be due to technical reasons. But I received your messages at my email which is linked with my flicker. I immediately accepted yor photo add request at Nishorgo and Nature Study. While I was visiting your flicker, I again found those photos in your group but with confirmation tabs on the bottom. I have also clicked there.
It's my pleasure if my photos go to your flicker groups. Even I can give you my blanket permission. The best way can be if you send email to my at .
Best reagrds.
সুন্দর ভ্রমণ কাহিনী
নিবন্ধন-নাম :মুনতাসীম মুনিম মিশু
ধন্যবাদ মিশু ভাই।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হে হে হে...জেনারেল দাদুদের গল্প জানা ছিলনা।
খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে আরেকটু বিস্তারিত লেখেননা
ধন্যবাদ বাউলদা। আমাদের জেনারেল দাদুর সাথে ওই জেনারেল দাদুদের পার্থক্য হচ্ছে যে আমাদের এর্শাদাদু পরের মাল খেয়ে যেতেন আর ওই দাদুদের মাল পরে খেয়ে যেতো।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃস্মরণীয় ভাই,
দুটা রিকোয়েস্ট আছে। রাখতে পারলে খুব খুশি হবো।
১। আপনার যদি করাচি যাওয়া হয়, তাহলে কয়েকটা জায়গার ছবি তুলে সচলে পোস্ট করতে পারলে খুব ভালো হয়। এগুলি হলো - গান্ধী গার্ডেন জু, হক্স বে এবং ক্লিফটন বীচ, লালাজার, এবং বিশেষ করে কুইন্স রোড। সেই সাথে লালাজার ও কুইন্স রোডের একটু বিস্তারিত বিবরণ।
২। আপনার যদি কোয়েটা, চমন - এসব জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয় - বিশেষ করে ট্রেনে করে (গেলে ট্রেনেই যেয়েন সম্ভব হলে) - তাহলে পারলে যাত্রাটা ভিডিও করবেন প্লিজ - বিশেষ করে বাইরে পাহাড়-পর্বতের দৃশ্যগুলি। এবং বলাই বাহুল্য ইউটিউবে আপ করে এখানে একটা পোস্ট এবং লিঙ্ক প্লিজ ! আর যদি নেহাৎ ভিডিও সম্ভব না হয়, তবে নিদেনপক্ষে স্টিল। এবং এক্ষেত্রেও বলাই বাহুল্য - সাথে বিবরণ।
আপনার বর্তমান পোস্টটাও দারুন লাগল।
ধন্যবাদ মনমাঝি ভাই। যদিও করাচি এবং কোয়েটা, এই দুটোর কোনওটাই আমার কাজের এলাকা না; তবুও প্ল্যান আছে করাচি যাবো ওখানকার বাঙালিদের সম্পর্কে জানতে। তাদের জীবনযাত্রা, সামাজিক অবস্থা, ইত্যাদি নিজের চোখে দেখার ইচ্ছে। সময় পেলে কোয়েটাতেও এক ঢুঁ মারার ইচ্ছে আছে তবে করাচি নিশ্চিত।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
জেনারেল দাদুদের গল্প বেশি ভালু পাইলাম!
আমিও তা'ই! ধন্যবাদ পান্থ ভাই।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনার ভ্রমণ কাহিনীর ভক্ত হয়ে গেছি, ভাইয়া।
---আশফাক আহমেদ
অনেক ধন্যবাদ আশফাক ভাই। সাহিত্য মানের বিচারে ভক্ত হওয়ার মতো লেখক হয়তো এজীবনে হতে পারবো না। তবে আপনাদের পড়া এবং মন্তব্য আমাকে আরও ভালো লিখতে প্রতিনিয়ত প্রেরণা দেয়।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
দারুণ লেখা।
আমার মারী নিয়ে একটা কোবতে মাথায় আসলো- বলি?
মারী, মারী, মারী,
মারী মারী মারী,
মারী- মারী-
মারীমারীমারী।
কোবতে শ্যাষ।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হেহেহেহেহেহেহেহেহেহে (দাঁত কেলিয়ে হাসার ইমো)। কবিতা ভালু পাইলাম ধুসর ভাই। ধন্যবাদ।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হিংসা/টিংসা জাতীয় বোধ আমার জীবনেও আছিল না, আপ্নের এইসব পুস্ট দেইখা অনুভূতির পূণর্জন্ম লক্ষাইতাছি...আমি কবে যামু!
যাইতে চাইলেই তো যাওন যায় দিগন্ত ভাই। চলেন যাই একলগে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এইবারের ছবিগুলো অতটা জমল না, আপনি চারপাশের পরিবেশকে যতটা থ্রিলিং বলছেন তার ভাগ পেলাম না ছবিতে। আচ্ছা, সামনের বার হবে।
আর কমেন্টে লাইক।
পরের বারে পুষিয়ে দেবো ভাই। আপনাকেও ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সুন্দর বর্ননা। কিন্তু প্রকৃতির ছবি বেশি দিলে ভাল আরও ভাল হত।
ধন্যবাদ জলিল ভাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পরিশেষে আপনার মুখখানা দেখলাম।
লেখা জটিল হইছে।
ভালো থাকবেন ।
রাজা ভাই, মুখ তো টোটাল ৪ খানা। কন তো আমার চাঁদবদন কোনখান?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন