অফিস থেকে বললো কোপেনহেগেন যেতে হবে। প্রায় এক সপ্তাহের এক প্রোগ্রাম। কেনিয়ায় ডেনিশ এমব্যাসিতে গেলে আমাকে বললো যে আপনার ভিসা পাওয়া একটুখানি সময়সাপেক্ষ। যেহেতু আপনি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করেননি এবং আপনার পাসপোর্ট ডিটেইল আমরা অন্য শেনজেন কান্ট্রিগুলোর সাথে একটু ভ্যারিফাই করবো। অফিসার আরও বললেন যে আমার ক্ষেত্রে বিশেষ সময় লাগার কথা না যেহেতু আগে কোনওদিন ইউরোপ ভ্রমণ করিনি, তাই। আর সবথেকে বড় কথা হলো আমার এই ভ্রমণের অর্থায়ন করছে ডানিডা, ডেনমার্ক সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ণ দপ্তর। আমাকে শুধু বলা হলো আমি যেনো ফ্লাই করার সপ্তাহখানেক আগে সোমালিয়া থেকে কেনিয়া চলে আসি। যদি আমার বিষয়ে কোনও প্রতিকূল কোনও তথ্য কোনও সূত্র থেকে তারা পায় তবে আমাকে ওদের ভাষায় কনসালটেশন, আমার ভাষায় আত্মপক্ষ সমর্থন বা ব্যাখ্যা করার সূযোগ দেওয়া হবে। যথা সময়ে এমব্যাসিতে গেলাম, আমাকে বসিয়ে রেখেই ১০ মিনিটের মধ্যে ভিসা দিয়ে দেওয়া হলো।
আমার ফ্লাইট পেলাম কেএলএম-এয়ার ফ্রান্সে নাইরোবি-আমস্টার্ডাম-কোপেনহেগেন। পথে আমস্টার্ডামে দেড় দিনের যাত্রাবিরতি। নাইরোবি থেকে আমস্টার্ডাম কেএলএম এর ফ্লাইট অপারেটিং পার্টনার হচ্ছে কেনিয়ান এয়ারওয়েজ। ৯ ঘন্টার ফ্লাইট। তার উপর অন্য দুই সহকর্মী ইমানুয়েল আর ইউনিসের সিট পড়েছে আলাদা আলাদা জায়গায়। ইউনিস অবশ্য আমস্টার্ডামে থেকে তখনই অন্য ফ্লাইটে সোজা কোপেনহেগেন চলে যাবে। আমি আর ইমানুয়েল আমস্টার্ডামে বিরতি নেবো। প্লেন ল্যান্ড করার আগেই ঘোষনা দেয়া হলো সবাইকে পাসপোর্ট আর ট্রাভেল ডকুমেন্ট বের করে হাতে রাখতে। বিমানের দরজার গোড়ায়ই ওগুলো চেক করা হবে। আমার কাছে তো পাসপোর্ট ছাড়া আর কিছুই নেই।
আমার পাসপোর্ট দেখা মাত্রই একজন আমার মতোই ফরাসী দাড়িওয়ালা অফিসার বিনীতভাবে আমাকে তার সাথে আসতে বললো। তারপর পাশের একটা রুমে বসতে দিলো। আমার পিছন পিছন দেখি ইমানুয়েল মিয়াকেও নিয়ে আসা হলো। এরপর আরও একজন কেনিয়ানকে। অফিসারটাকে বললাম যে আমরা দুজন একসাথে, কাজেই কথাবার্তা একসাথে বললেই সুবিধা হয়। ইমানুয়েল লাইবেরিয়ান পাসপোর্ট হোল্ডার, প্রয়োজনের থেকেও বেশি বিনয়ী। আমাকে প্রথম প্রশ্ন করা হলো যে আমি আফগানিস্তানে কি করতে গিয়েছিলাম। আমি তার সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলাম। তারপর প্রশ্ন আসলো যে আমি আফগানিস্তানে যে কাজে গিয়েছিলাম তার কোনও প্রমান আমার কাছে আছে কিনা। আমি বললাম যে আমি আফগানিস্তানের ওয়ার্ক সার্টিফিকেট সাথে নিয়ে ঘুরিনা। এরপর অফিসার আমাদের কাছে আমাদের ডেনমার্ক ভ্রমণের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে আমি তা বললাম। এবার সে কাগজপত্র দেখতে চাইলো। আমি তাকে বললাম যে আমরা কাগজপত্র সাথে রাখার প্রয়োজনীয়তা বোধ করিনি কারণ সমস্ত কাগজপত্র ড্যানিশ এমব্যাসিতে দেওয়া হয়েছে যার ভিত্তিতে আমরা ভিসা পেয়েছি। আমাদের ধারণা ছিলো যে ভিসা থাকলে আর ওইসব কাগজপত্র আর সাথে না রাখলেও চলে। তবে আরও বললাম যে যদি নিতান্তই কাগজপত্র দেখাতে হয় তবে যেনো আমাদের ইন্টারনেট কানেকশনওয়ালা একটা কম্পিউটারে বসানো হয়, মেইল থেকে নামিয়ে দেখাতে পারবো। এবার আমাদের তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হলো একটা রুমের ভিতরে। রুমের ভিতরে আবার লোহার গ্রিল-ফেন্স দেওয়া আরেকটা রুম যার ভিতরে আরো কয়েকজন অফিসার বসে আছে। আমাদের ওখানে নেওয়ার আগে অবশ্য অফিসারটা বললো যে আমরা যদি কিছু মনে না করি, আমাদেরকে তার বসের কাছে একটু যেতে হবে। আমাদেরকে ওই রুমের সবাই হাই জানালো আর বললো যে আমাদের দেরি করানোর জন্যে তারা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আরও বললো যে আর মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে আমাদের বিষয় সমাধান করে ফেলা হবে। এরপর এক চোখে লেন্স লাগিয়ে পর্যায়ক্রমে তিনজন অফিসার আমাদের পাসপোর্টগুলোর প্রতিটা পৃষ্ঠা দেখতে লাগলো। বিশেষ করে যে পৃষ্ঠাগুলোয় ভিসা লাগানো আছে সেই ভিসাগুলোর বর্ডারে ঘেষে ওরা লেন্স লাগিয়ে দেখতে লাগলো। তিন দফা দেখা শেষ হলে আমাকে আর ইমানুয়েলকে পাসপোর্ট দিয়ে চলে যেতে বললো। ওরা আমাদের পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার দেখিয়ে দিলো। আরও বললো যে যদি সেখানের অফিসার কিছু জানতে চায় তবে যেনো আমরা এই অফিসারকে দেখিয়ে দেই। সেখানে আর কিছুই জানতে চাইলো না। শুধু জিজ্ঞেস করলো যে সাথে কতো টাকা আছে। আমি তাকে জানালাম যে দুই হাজার ক্যাশ ডলার আর ক্রেডিট কার্ড আছে। সে বললো এনজয় ইওর ষ্টে। দড়াম করে এক সিল পড়ে গেলো পাসপোর্টে। ইমানুয়েলেরও তাই।
সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম মহা বিপদে, কেউ ডলার নেয়না। সাথে কোনও ইউরো নেই। তাই বাধ্য হয়ে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হলো। তা’ও আবার সিগনেচার চলেনা, পিন দিতে হয়। এই প্রথম ক্রেডিট কার্ডে এটিএম এর বাইরে পিন সিস্টেম দেখলাম। শিপল এয়ারপোর্ট থেকে সোজা ট্রেনে চড়ে আসলাম আমস্টার্ডাম মেইন রেলস্টেশনে। আমি আগেই আসকেন সিনাগাকে খবর দিয়ে রেখেছিলাম কিন্তু বেচারা আমস্টার্ডাম পর্যন্ত এসেও বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি ক্লাস আছে বলে। আমি ইন্দোনেশিয়ায় থাকতে আসকেনকে চাকরি দিয়েছিলাম, তারপর হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছিলাম। তারপর সে নিজের যোগ্যতায় ওয়ার্ল্ড ভিশন আর সেভ দ্য চিলড্রেনে ম্যানেজারি করেছে। এখন সে একটা স্কলারশিপ পেয়ে ইন্টারন্যাশনাল এনজিও ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স করছে লেইডান ইউনিভার্সিটিতে। ও এসএমএস করে জানালো যে আগামীকাল পুরো দিন ও আমার জন্যে ফ্রি। বলে রাখি, আমি সবসময় আমার ইন্টারন্যাশনাল রোমিং সার্ভিসওয়ালা গ্রামীনের ফোনটাকে সাথে রাখি। সময়-অসময়ে, এমার্জেন্সিতে খুব কাজে দেয়।
এয়ারপোর্টের সামনেই অনেকগুলো ট্যুরিজম ব্যুথ। ৬০ ইউরো দিয়ে একরাতের জন্যে একটা ডাবল রুম নিলাম। এটাচড বাথরুম না নিলে অবশ্য ৪০-৫০ ইউরোতেই রুম মিলতো। বুকিং ক্লার্ক কথা শুরু করার আগেই বলে নিলো যে তাদের মাধ্যমে রুম নিলে ওই হোটেলের নরমাল ভাড়া থেকে ১১ ইউরো বেশি দিতে হবে সার্ভিস চার্জ হিসেবে। আমরা তাতেই রাজি। সে আমাদের ম্যাপ দিলো আর ইশারা করে হাঁটা রাস্তা নির্দেশ করে দিলো। সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটার হবে বলে দিলো।
আমরা দুজন উল্টোদিকের পথে হাঁটা ধরলাম। যেখানেই মন চায় সেখানেই একটু দাঁড়াই। মানুষ যেখানে সেখানে বিড়ির বাটস্ ফেলছে। ইমানুয়েল অবশ্য বিড়ি টানেনা তবে কঠিন পানিখোর। সাথে দেহলোভী। ওর স্ত্রী-বাচ্চারা আমেরিকান সিটিজেন, সেখানেই থাকে। ও যেনো কি ঝামেলায় আমেরিকা যাওয়ার ভিসা পাচ্ছেনা। নাইরোবিতে ওর একজন প্রেমিকা আছে। ওরা মাঝরাত পর্যন্ত একসাথে থাকে। তারপর ইমানুয়েল আমাদের বাসায় যখন ফেরে মাঝরাতে, সাথে বগলদাবা করে একজন যৌনকর্মিকে নিয়ে আসে। এটাই ওর রোজরাতের শিডিউল।
যাহোক, হাঁটছি তো হাঁটছিই। বিকেল হয়ে আসলো। এখনও পর্যন্ত কাউকে হোটেলের ডিরেকশন জিজ্ঞেস করিনি। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ খুব সুন্দর একটা লেকওয়ালা জায়গায় এসে পড়লাম। মাঝখানে চিকন লেক, রাজহাঁস সাতরে বেড়াচ্ছে। দুইপাশ দিয়ে চিকন ইটের রাস্তা। সারি সারি দোকান। পাব, ডিভিডির দোকান, আরও কতো কি। একটু পরে যেই সন্ধা নেমে আসলো আর লাল আলোয় পুরো এলাকা আলোকিত হয়ে উঠলো, তখন বুঝতে পারলাম যে আমরা কোথায়। এই সেই রেড লাই ডিষ্ট্রিক্ট। বিশ্বজুড়ে যৌনপিয়াসীদের তীর্থ। শুধু যৌনপিয়াসি না, সাথে সাথে গাজা-আফিম-ভাং পিয়াসীদেরও স্বর্গ এই জায়গা। সারি সারি কাঁচের দরজা। স্বল্পবসনা সুন্দরী ললনারা লাল বাতি জ্বলা দরজার সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে। আর এলাকাটা যেনো আস্তে আস্তে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠছে। সেখানে আছে পশ্চিমা মেয়েরা, আছে কয়েকজন চায়নিজ, আফ্রিকান। অন্য কয়েকজন এশিয়ান মেয়েও দেখলাম। মনে হলো ফিলিপাইন-থাইল্যান্ড, এদিককার হবে। নিচের চারটে ছবির শেষ দুটো আমার বান্ধবী ইরা’র এ্যালবাম থেকে নেওয়া। ওকে ফেসবুকে মেসেজ দিয়ে বলেছি।
ঘুরতে ঘুরতে ঢুকে গেলাম লাইভ পর্নো দেখতে। ১৫ মিনিটের শো ১৫ ইউরো করে। দেখলাম। ছোট্ট ছোট্ট কামরা। বড়জোর দুইজন দাঁড়ানো যায় যার ভিতরে। সেখানে দাঁড়িয়ে দেখতে হয়। কামরাগুলো গোল আকৃতিতে সাজানো। মাঝখানে একটা বৃত্তাকারের ঘুর্ণয়মান প্লাটফর্ম। তার উপরেই বিভিন্ন ভঙ্গিমায় একজোড়া যুবক-যুবতী রতিক্রিয়ায় লিপ্ত। যুবকটা অত্যন্ত সুদর্শন এবং মেয়েটা অপরূপ রূপবতী। ১৫ মিনিট শেষ হতেই ওরা বিচ্ছিন্ন হয়ে উঠে গেলো। ছেলেটা কোমরে একটা তোয়ালে জড়িয়ে নিলেও মেয়েটা দিগম্বরী অবস্থাতেই গ্রীনরুমের দিকে চলে গেলো। বলে রাখি, আমার রুমের উল্টোদিকের একটা রুমে ৪-৫টা এশিয়ান মেয়ে (সম্ভবতঃ চায়নিজ হবে) গাদাগাদি করে শো দেখছিলো। ওদের একজন মোবাইল বের করে ভিডিও করার চেষ্টা করতেই নায়ক ইশারা করে মানা করলো। পরে দেখি ওখানকার একজন বাউন্সার ওই মেয়েদের মোবাইল নিয়ে কনটেন্ট চেক করছে। মেয়েগুলো সমস্বরে কাউকাউ করতে থাকলেও বাউন্সারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই তাতে। আমরা এবার একটু ক্লান্তি বোধ করতে লাগলাম। চললাম হোটেলের উদ্দেশ্যে। একজন ঠেলাগাড়ির ফার্ষ্টফুড বিক্রেতা আমাদের সহজে যাওয়ার পথ বলে দিতেই আমরা সেইমতো হাটা ধরলাম এবং অল্প সময়ের মধ্যেই হোটেলে পৌঁছে গেলাম। প্যাক্স হোটেল। রাডেষ্ট্র্যাট ষ্ট্রীট। হোটেলে মালিক, বেলবয়, ক্লিনার, রুম সার্ভিস, যাই বলি না কেনো, লোক মাত্র্ একজন। নিচ থেকে বেল চাপতেই কড়াৎ করে দরজা আনলক হয়ে গেলো। ঢুকলাম। একটা কন্ঠ উপর থেকে ভেসে আসলো, সোজা তিনতলায় চলে আসেন। সে আমাদের রুমে নিয়ে গেলো। তারপর রুমের দরজার আর বাইরের মেইন দরজার দুটো চাবি দিয়ে দিলো। যাওয়ার সময় বলে গেলো যে বিড়ি টানার সময় আমরা যেনো জানালা একটু খুলে তারপর টানি। আমরা একটু বিশ্রাম নিয়ে, কিছু ফোনালাপ সেরে আবার বেরিয়ে পড়লাম। পথে দেখা পেলাম একজন বৃদ্ধ টার্কিশকে। বেচারা নাকি চেয়েচিন্তে চলে এবং তার থাকার জায়গা নেই। তুরষ্কেও ফিরে যাওয়ার জায়গা নেই। আমি তাকে একটা সিগারেট আর কিছু পয়সা দিলাম।
সন্ধার সাথে সাথে সারা শহর নিশ্চুপ আর রেড লাইট ডিষ্ট্রিক্ট ক্রমশঃ সরব। সারি সারি দোকান। হয় গাঁজার দোকান, নয় ডিভিডির দোকান, আর নয়তো যৌন উপকরণের দোকান। গাঁজার দোকানগুলোকে এরা বলে সীডস্ ষ্টোর। বিশাল এলসিডিতে গাঁজার উপর প্রামাণ্যচিত্র দেখাচ্ছে। এগুলো খেলে কি কি উপকার হয় তা বর্ণনা করছে। প্রাচীনকালে এগুলো চিকিৎসার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হতো, তা বলছে। আরও বলছে যে গাঁজায় অস্বাভাবিকভাবে যৌনমিলনের স্থায়িত্ব বেড়ে যায়, ইত্যাদি। আগে থেকেই প্লান ছিলো যে আমস্টার্ডাম গেলে একটু গাঁজা টানবো। কিন্তু অধুমপায়ী ইমানুয়েলের অনাগ্রহ আমার মধ্যেও সংক্রামিত হলো। গাঁজা টানার প্লান বাদ। দোকানগুলোতে ঘুরতে থাকলাম। কত রকম যে ডিলডো হতে পারে তা না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। বিভিন্ন আকারের, বিভিন্ন প্রকারের। ডিলডোর সাথে আবার লেখা আছে কোন ধরণের নারীর জন্যে কোনটা সঠিক পছন্দ। কোনও কোনও ডিলডোর প্যাকেটের সাথে ফি ল্যুবস-এরও একটা টিউব দিচ্ছে। ডুয়েল পেনিট্রেশনে অভ্যস্ত নারীদের জন্যেও আছে বিশেষ ধরনের ডিলডো। আর মাঝখানে একজোড়া বলসের দুইদিকে দুটো শ্যাফটযুক্ত ডিলডোও দেখলাম। যৌনশক্তিবর্ধক তামাম জিনিস সেখানে পাওয়া যায় আর কেওয়াই জেলি তো সব দোকানেই কমন।
এবার আবার একটু ললনাকূলের দিকে দৃষ্টি ফেরাই। ১৮ বছরের তরুনী যেমন সেখানে আছে, তেমনই আছে ৬০ বছরের বৃদ্ধা। লেকের পাড় ঘেষে যে দরজাগুলো সেগুলোর বাসিন্দাদের দাম চড়া। ৫০ থেকে ১০০ ইউরো প্রতিবার। গলিগুলোর মুখও শুরু হয়েছে লেকের পাড় থেকে। সেখান থেকে গলির শেষ প্রান্তে যেত যেতে আবার দাম কমতে কমতে ৫০, ৪০ করে শেষে ৩০ ইউরোতে যেয়ে ঠেকছে। অধিকাংশ মেয়েই ষ্ট্রেইট এবং লেসবিয়ান, উভয় ধরনেরই সার্ভিস দিয়ে থাকে। আমরা একটা পাবে একটু বসে জিরোলাম। অসাধারণ ডাইনামিক একটা যুবতী একাই চালাচ্ছে। মেশিন থেকেও মনে হলো দ্রুত। খদ্দেরকে ড্রিংকস সার্ভ করছে, বিল নিচ্ছে, গ্লাসগুলো ধুচ্ছে আর সমানে পরিচিত খদ্দেরদের সাথে আড্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। ওখানে আলাপের বিষয়বস্তু একটাই। তা হলো সেক্স। বারটেন্ডার মেয়েটা আর খদ্দের ২-৩টা মেয়ে আলাপ করছে মেয়েদের নিপলের সেনসিটিভিটি বিষয়ে। আবার বেরোলাম। ইমানুয়েল ৬০ ইউরো দিয়ে একটা কফিবর্ণের-কোকড়াকেশি একটু মোটাসোটা মেয়ের রুমে চলে গেলে আমি আবার বারে বসে টমেটো জুস গিলতে থাকলাম। এরপর আরও কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে শেষে ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রের চত্ত্বরটায় দাঁড়ালাম। ওখান থেকে দেখা যায় এরকম খোলা দোকানগুলোর দিকে যেয়ে একটা ইনডিয়ান রেষ্টুরেন্ট খোলা পেলাম। ওরা আসলে বন্ধ করার আয়োজন করছিলো। তাই বললো যে চিকেন বিরিয়ানি আর মদ ছাড়া অন্য কিছুই নেই। মালিক (নাকি ম্যানেজার বুঝলাম না) একজন ইনডিয়ান আর একমাত্র ওয়েট্রেস এক আফগান তরুনী। ওই তরুনীকে খুবাস্তি, জুরাস্তি বলে ভাও করে ফেলে অনুরোধ করলাম যে একটু চা পাওয়া যাবে কিনা। কাজ হলো। ইমানুয়েলও চা নিলো, মদ নিলো না। সন্ধা থেকে বেচারা তো অনেক গিলেছে। পরিপূর্ণ তৃপ্তির সাথে চিকেন বিরিয়ানি খেলাম। ইমানুয়েলের তো চোখ থেকে ঝালের চোটে পানি বেরোচ্ছে। তারপরও বলছে যে বিরিয়ানিটা ওর খুব পছন্দ হয়েছে। খেয়ে দেয়ে হোটেলে যাওয়ার পর আর চোখ খুলে রাখতে পারলাম না।
পরদিন সকালে একবারে হোটেল থেকে চেক আউট করে বেরিয় পড়লাম। আসকেন বললো যে সে হোটেলের সামনে এসে আমাকে কল দেবে। আমরা দুইজন হোটেলের পাশের এক ইরানীর গিফট শপে ঢুকে কেনাকাটা করতে লাগলাম। বাড়ির সবার জন্যেই কিছু না কিছু কিনলাম। এর মধ্যেই আসকেনের কল। আমাকে দেখেই ছুটে এসে বুকে জড়িয়ে ধরলো। আমরা হেঁটে চলে গেলাম প্রধান চত্বরের পাশে একটা ইজিপশিয়ান রেষ্টুরেন্ট নাস্তা করতে। ভাত, ইজিপশিয়ান এক ধরনের কাবাব আর সব্জী দিয়ে পেটপুরে খেলাম। তারপর গেলাম পাশের মাদাম তুসোর মোমের যাদুঘরে। অসাধারণ শিল্প। চোখ জুড়িয়ে যায় আর মন ভরে যায়। লেখা না বাড়িয়ে কিছু ছবি দেই সেখানের-
আমাদের ছোট্ট রাফিন ওর বন্ধুদের স্পাইডারম্যানের ছবিটা দেখিয়ে বলে যে আমার পাপা স্পাইডারম্যান কাকুর বন্ধু। মাইকেল জ্যাকসন কাকুরও বন্ধু।
যেহেতু সময় আমাদের হাতে অল্প, তাই সর্বশেষ গন্তব্য হবে বিশ্ববিখ্যাত সেক্স মিউজিয়াম। ওটা মেইন রেলষ্টেশনের পাশেই। জায়গাটা সম্পর্কে আগেই শুনেছিলাম বন্ধুদের কাছ থেকে। ওটাকে বলা যায় একটা মিউজিয়াম অথবা যৌনচর্চার বিবর্তনের একটা তথ্যভান্ডার। গেটের সামনে নোটিস, “পকেটমার হইতে সাবধান।” ওরা অবশ্য সন্দেহ করে কেবলমাত্র পূর্ব ইউরোপিয়ানদেরকে। যাহোক, ঢুকলে প্রথমেই এক মহাশয় আচমকা আপনার সামনে আবির্ভাব হবে তার প্যান্টের জিপার খুলে দিয়ে তার অঙ্গপ্রদর্শনের মাধ্যমে। ওটা একটা রাবারের মানুষ। দোতলায় উঠতে গেলেই প্রথমে সামনে পড়বে বিরাট একজোড়া নিতম্ব। ওখানে সেন্সরের মাধ্যমে আপনার উপস্থিতি টের পাওয়ার সাথে সাথে ওই নিতম্ব বিকট শব্দে একটা ফার্ট দিয়ে আপনাকে স্বাগত জানাবে। এবং আপনি সেই বায়ুর স্পর্শ আপনার গায়ে টের পাবেন। পুরা তিনতলা গ্যালারি। অসংখ্য ঐতিহাসিক শিল্পকলার নিদর্শণ। আগের যুগের রাজা-বাদশাহদের যৌনাচারের সচিত্র বর্ণনা পাবেন তেমনি পাবেন দাস শ্রেণীর যৌনাচারের বর্ণনা। পশ্চিমাদের যৌনাচারের পাশাপাশি আরব এবং আফ্রিকানদের বিষয়গুলোও সেখানে পাবেন। একজন মানুষের ফটোগ্রাফ দেখলাম যে কিনা একটা সাড়ে ষোল ইঞ্চি পুরুষাঙ্গের মালিক। নিচে ক্যাপশানে লেখা আছে এটাই নাকি জানামতে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পুরুষাঙ্গ। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে সেক্স মিউজিয়ামের একটা ছবিও নেই। ইমানুয়েলের ক্যামেরায় চার্জ ছিলোনা। সব শেষ হয়ে গিয়েছিলো মাদাম তুসোর মোমের যাদুঘরে।
আসকেন আমাদের টিকেট কেটে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সঙ্গ দিলো। এরপর শুরু হলো আমাদের তুষারঝড়ের মধ্যে দিয়ে সংক্ষিপ্ত বিমানযাত্রা কোপেনহেগেনের উদ্দেশ্যে।
মন্তব্য
মিয়া, সত্যি করে কন তো! আপনি কি মাসুদ রানা?
পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হেঁ হেঁ হেঁ আমি মাসুদ রানা নই তবে "মাশুক নানা" (মনে পড়ে?)।
ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ভাইয়া, ফেব্রুয়ারীতে আপনার ভ্রমণব্লগের একটা সংকলন পাচ্ছি তো?
আর বইমেলায় দেখা করার ইচ্ছা রইলো।
---আশফাক আহমেদ
ধন্যবাদ আশফাক ভাই। ইচ্ছে আছে একটা সংকলন বের করার। তবে এখনই না। আরও পরে।
ফেব্রুয়ারীর শেষে একবার দেশে আসতে পারি। ঢাকায় থাকলে তো বইমেলা মাষ্ট।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
...........................
Every Picture Tells a Story
দিন তারিখ কনফার্ম হইলে আপনেরে পিএম দিমুনে। বগি-ধানসাগর দিয়াও সুন্দরবন কিন্তু জোস্। এইদিক দিয়া মনে হয় কখনও ঘুরেন নাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
১। লাল জ্যাকেট পরা মহিলা কে?
২। টমেটো জুস খান, আপনে একটা নিরামিষ।
...........................
Every Picture Tells a Story
ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই-
১. লাল জ্যাকেট পরা মহিলাই মাদাম তুসো।
২. আমার মনে হয় পানি-চুনির কোটা শেষ হয়ে গেছে। তাই এখন তৃণভোজীর মতো টমেটো জুস খাই। ইদানিং মাঝে মাঝে পানির মজমায় বসলে রেড বুল খাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মাদাম তুসো, আমি তাই ধারনা করেছিলাম। লন্ডনের মাদাম তুসো যাদুঘরে তার একটা অন্যরকম মূর্তি দেখেছিলাম, তাই চেহারাটা মনে ছিলো
...........................
Every Picture Tells a Story
আমিও অন্যরকম দেখেছিলাম।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনারা মাদাম তুসোর যে মুর্তিটার সাথে পরিচিত আমিও কিন্তু ছোটবেলা থেকেই মাদাম তুসোর ওই চেহারাটার সাথেই পরিচিত ছিলাম। বোধহয় অধিকাংশেরই তাই। প্রথমে আমিও বেশ আশ্চর্য হয়েছিলাম তার এই মুর্তিটা দেখে। পরে স্মৃতির সাথে মিলিয়ে দেখলাম যে মানুষটা একই, শুধু পোশাকে ব্যাতিক্রম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এইসব ঘুরঘুরানির পোস্ট দেখলে হিংসা হয়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বস নজরুল ভাই, আমারও কিন্তু আপনাতের দেখলে হিংসা হয়। আপনারা বাংলাদেশটাকে যেভাবে দেখেছেন, আমি আর তা পারলাম কই! সুযোগে আছি, আপনাদের সাথে বাংলাদেশের কোনা কানাচিতে ঘুরে বেড়াবো। ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আরেকটা চমৎকার ভ্রমণ ব্লগ পড়লাম। ভ্রমণ কাহিনি লেখক হিসাবে আপনি পছন্দ তালিকার উপরের দিকে উঠে যাচ্ছেন দিন দিন।
আমি মাদাম তুসো নিউ ইয়র্ক আর হলিউডেরটায় গেছিলাম।
ধন্যবাদ দ্রোহী ভাই। অনুপ্রেরণা পেলাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
চমৎকার লাগলো ভ্রমনব্লগ। আপনার ভ্রমন ভাগ্যকে হিংসা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ নীড়। ভালো থাকেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সেইরকম একটা ভ্রমণ! ফাটফাটি লাগল। ছবি দেখে মজা পেলাম। কারণ আমস্টার্ডাম শহরের যত ছবিই নেটে থাকুক না কেন এই ছবিগুলোর মজাটা অন্য জাগায়... আপনার স্মিত হাসির পেছনে দর্শনীয় কোন জায়গার ব্যাকগ্রাউন্ড সাথে লেখা - সব মিলিয়ে বেশ মুচমুচে আর টাটকা।
লাটিমের মত ঘুরতে থাকুন বনবন...
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম ভাই। আমি স্মিত হাসি নিয়ে একটু চিন্তিত আছি। কখনও নিজেকে ডা. দীপু মনির মতো মনে হয় আর কখনওবা মোসাদ্দেক আলি ফালুর মতো মনে হয়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনারে কয়দিন পরে মানুষ টিকিট কেটে দেখতে যাবে
চমৎকার লেখেন আপনি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ অনার্য সঙ্গীত। মানুষ যেহেতু আমার হোমোজেনাসকে টিকেট কেটে দেখতে যায় সেখানে আমাকে দেখতে আসলে আর আশ্চর্য কি! শুধু ওদের সাথে আমার ব্যবধান হচ্ছে যে ওদের পিছনে একটা লেজ আছে আর আমার লেজটা সামনে, আর একটু ছোট।
আমি আসলে কেমন লিখি সে তো আপনারাই বিচার করবেন। তবে আপনদের পড়া আর মন্তব্য আমাকে আরও লিখতে উৎসাহ যোগায়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনি মাসুদ রানা বা মাশুক নানা - কোনটাই না। কারন এত সুন্দর দেখার চোখ বা মোহনীয় বলার ভাষা মাসুদ রানার চৌদ্দ পুরুষেরও নাই। এর দশ ভাগের এক ভাগও না! ও হ্যাঁ, আরেকটা সামান্য পার্থক্য। মাসুদ রানা তো আসলে অন্যের চোখে দেখে, অন্যের মুখে বলে। আপনি নিজের চোখে দেখেন, আর নিজেরটা নিজের মুখেই (বা কিবোর্ডে) বলেন। প্রচুর হিংসা আর ঈর্ষা রইলো।
মনমাঝি ভাই, আপনি যেভাবে আমার মূল্যায়ন করলেন তাতে আমি শংকিত হয়ে পড়ছি যে আপনাদের এই মূল্যায়নের মর্যাদা কতটুকু রাখতে পারি। সমালোচকের চোখেও একটু দেখবেন আমাকে। তাতে আখেরে আমারই ভালো হবে। আরো ভালো লিখতে পারবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ডাম স্কয়ারের এই তুসো ম্যাডামের যাদুঘরে যখন ঢুকি তখন পেটের ভেতরে টম আর জেরি বরফপানি খেলা শুরু করেছিলো। অবশেষে পাশের ভারতীয় রেস্তোরাঁতে ভাত আর ডাইল খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ। অন্য কিছুই খেতাম, কিন্তু দেশ থেকে বেড়াতে আসা খালাতো ভাই খালি ভাত খাইতে চায়। সেই সুদূর ডাচ মুল্লুকে গিয়েও কয়, 'ল ভাত খাই'!
যাইহোক, রেড ডিস্ট্রিক্টের রেড লাইট জ্বলে ওঠার আগেই অর্থাৎ দিনের আলো থাকতে থাকতেই সে যাত্রায় সমাপ্তি টানতে হয়েছিলো। আর সাথে বিগ ব্রাদার থাকার কারণে গঞ্জিকার দেশে গিয়েও ভোলানাথের সিদ্ধিলাভ হয়ে উঠলো না!
নেক্সট কোথায় নিয়ে যাবেন আমাদের?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি যে রেস্তোরাটার কথা বলছেন, আমিও বোধহয় সেটারই কথা বলছি। ডাম স্কয়ারের সবথেকে কাছে, মাদাম তুসোর মিউজিয়ামের উল্টোদিকে ১০০ মিটার মতো গেলে হাতের বা দিকে পড়ে ওটা। আমারও ডালভাত খাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও যখন গেছি তখন সব ক্লোজড। এরপর যদি ওখানে যাই তবে গঞ্জিকাসেবন মাস্ট।
ভাবছিলাম লিওন্ডে ন্যাশনাল পার্ক নিয়ে কিছু লিখতে। আমার জীবনে দেখা সবথেকে পাখিবৈচিত্র। সফট ছবিগুলো হারিয়ে গেছে। এখন হার্ড কপি থেকে স্ক্যান করে পাঠাতে বলেছি। এটা সময় নেবে। এর মাঝে অন্য কিছু লিখতে পারি, যেমন সোমালি জলদস্যুদের নিয়ে কিছ একটা। ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃস্মরণীয় ভাই,
আপনার লেখা যে কি দারুণ স্বচ্ছন্দের গতি পেয়েছে, তা কি বুঝতে পারছেন? আপনি তো বিখ্যাত হয়ে উঠছেন ভাই। এখুনি পদধুলি নিয়ে রাখি, পরে যদি না মেলে!
এই আমষ্টারডামেই ভিনসেন্ট ভ্যানগগ মিউজিয়াম আর আনা ফ্রাঙ্কের কুটির। সমুদ্রের জলে বালি ফেলে সমকেন্দ্রিক যে ক্যানাল সিটি তৈরী হয়েছে সেখানে বাদাম ওড়ানো নাও (ক্যানাল ট্যুর) বাইতে কতই না মজা! আরো মজা টিউলিপ শো দেখতে, চিল্ড বীয়রে চুমুক দিয়ে উত্থিত শিশ্নের ঝর্ণাধারায় দু'চোখ আটকে রেখে নিজেকে বড়বাঘ বলে মনে হয় কখনো কখনো! বাইকের শহর আমষ্টারডাম, অপেরা দেখার আনন্দ মাতিয়ে রাখে প্রাণমন। শ্লথগতির ইন্টারনেট কানেকশনের জন্য ছবিগুলি দেখতে না পারায় আফসোস হচ্ছে। তবে ক্ষতি নেই, কল্পনায় ও স্মৃতিতে তো পষ্ট দেখতে পাচ্ছি!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই, সময় হলে দেখা যাবে কে কার পদধূলি নেয়। পায়ে ভালোমতো ধুলা মাখিয়ে রেখেন ভাইজান।
আমার আমষ্টার্ডাম সফরটা আসলে আমাকে বেদনাহত করে কারণ মূল সৌন্দর্যের জায়গাগুলোতে ঘুরতে না পারা। আগের চাকরিটায় থাকলে আবার ডেনমার্ক যেতে হতো, তখন আবার চাঞ্ছ নিতাম। কিন্তু এখন বুঝতে পারছিনা যে আবার কবে যেতে পারবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হুমম।
টিউলিপ গার্ডেন আর বোটিং মিস হয়ে গেছে পিপি ভাই। সামনে দেখবো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রেড লাইট ডিস্ট্রিক্টের কথা জন আরভিং এর এই বইটায় পড়েছিলাম বেশ অন্য আলোকে। আর শেলডনের ব্লাডলাইনেও আছে।
আপনার ঘোরাফেরার বৈচিত্র দেখে বিস্মিত হওয়া ছেড়ে দিচ্ছি।
অ.ট. কিছু মনে না করলে বলি, আপনার নিজের ব্যক্তিগত ছবি আরেকটু কম দিলে মনে হয় আরো আকর্ষণীয় হয় ভ্রমণব্লগ। যেমন প্রথম দু'টো ছবি আসলে একই জায়গার, আর প্রথমটায় ব্যাকগ্রাউন্ড দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট করে তাই ওটা বেশি আগ্রহজনক। আবার আপনার স্পাইডারম্যানের সাথের ছবিটা মজার আর তার সাথে আপনার ছেলের গল্পটা সুন্দর লাগছে। এটা অবশ্য পাঠক হিসেবে একান্তই আমার নিজস্ব অনুভূতি। আশা করি কিছু মনে নেবেন না।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ যাযাবর আপু। আমার একটা গুন আছে, আমি 'কিছু মনে করা' রোগমুক্তএকজন মানুষ। কেউ তার মনের কথাটা বললে বা সত্যি কথাটা বললে আমি বরং তাতে খুশিই হই। আমি নিজে যেটা করি তা হলো আমার যদি কাউকে কিছু বলার থাকে তা সোজাসাপ্টা বলে দেই। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলিনা বা ভান-ভনিতা করি না। আর যদি মনে হয় যে আমার বক্তব্য কাউকে নিদারুন আহত করতে পারে, তবে মোটেই বলিনা।
আপনি যে বিষয়টা তুলেছেন তাতে দ্বিমত করার মতো অবকাশ নেই। সমস্যটা হচ্ছে নিম্নমধ্যবিত্তের মানসিকতা। যেখানে শৈল্পিক বোধ অতিমাত্রায় সীমিত বা অনুপস্থিত। এখানে ফটোগ্রাফির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমিত্বের প্রচার। তবে হ্যাঁ, আস্তে আস্তে একটু একটু করে বুঝতে শুরু করেছি যে আমার থেকে পৃথিবীটা আরও বিশাল, প্রকৃতি আরও উদার, সমাজটা আরও বৈচিত্রময়। জগদ্বিখ্যাত ফটোগ্রাফারদের সাথে ব্যাক্তিগত বন্ধুত্বের সুবাদে বুঝতে শুরু করেছি যে এক্সপোজার অব সারাউন্ডিংস ইজ মাচ ইমপরট্যান্ট দ্যান এক্সপোজার অব মাইসেলফ। তবে এটাও সত্যি যে নিজের মতো করে স্মৃতির ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে কিছু নিজের ছবিও তো চাই!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বাহ্, দারুণ লাগলো। আপনার খুব বেশি পোস্ট পড়া হয় নি। এটা, আর এর আগে পাকিস্তান ভ্রমণের একটা পোস্ট পড়েছিলাম। অনেক জায়গা ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা আছে আপনার, বোঝাই যাচ্ছে। এবং শুধু তাই না, দেখার চোখও আছে বটে আপনার। খুব ভালো লাগলো এই পোস্টটা।
আর, ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরেকটু ইন্টারেস্টিং ছবি বেশি দিলে পোস্ট বেশি আকর্ষণীয় হবে, আমার ব্যক্তিগত ধারণা। উপরে যাযাবর যেমনটা বললো। ভ্রমণকাহিনীতে স্থানীয় জায়গা, সংস্কৃতি, মানুষজনের ছবি দেখতে বেশি ভালো লাগে। যদিও এই ভ্রমণে ক্যামেরার সমস্যায় পড়েছিলেন, শুরুতেই বলেছেন। আরেকটা ব্যাপার, সম্ভব হলে পরের পোস্টগুলোতে ছবির সাথে একটা করে প্রাসঙ্গিক ক্যাপশন জুড়ে দিবেন।
ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী। আমার বেশ কতগুলো ভ্রমন কাহিনী সচলায়তনে পাবেন। তবে আগে লিখতাম অতিথি লেখক হিসেবে। তাই পড়লেও হয়তো আপনার মনে নেই।
এই লেখাটায় গড়পরতায় ছবি দিয়ে দিয়েছি। তবে অন্য লেখাগুলোয় চেষ্টা থাকে ছবি আর বিবরণ একসাথে দিতে। আপনি ইচ্ছে আর সময় থাকলে সচলে আমার নামে সার্চ দিয়ে অন্য লেখাগুলোও পড়তে পারেন। আমি মূলতঃ ভ্রমন কাহিনী লিখলেও অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে আমার লেখা সচলে আছে; যেমন, ইতিহাস, রাজনীতি, সমাজ, ইত্যাদি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বেশ লাগলো আপনার ভ্রমন কাহিনী। রাফিনের প্রতি ভালোবাসা রইলো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ধন্যবাদ শাহেনশাহ ভাই। রাফিন ব্যাটাকে নিয়ে মহা বিপদে আছে। দুনিয়ায় যা কিছুতে স্পাইডারম্যান আছে, তা ওর চাই। কিছুদিন আগ পর্যন্ত ওর পীরসাহেব ছিলো বেনটেন। আর এখন ওকে ধরেছে স্পাইডারম্যানের ভূতে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এই সামারে একটুর জন্য হল্যান্ডে ঢুঁ মারা হয় নি। আপনার লেখা বেশই ভালো লাগে, এটাও, আর ছবির ব্যাপারে পিপিদার অট'র সঙ্গে সহমত।
ধন্যবাদ কৌস্তভ ভাই। এরপর সুযোগ আসলে মিস করবেন না। আপনি বোধ হয় যাযাবর আপুর অ.ট.'র কথা বলছেন। আমি একটু ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেছি অবশ্য। তবে কথা সত্যি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ঠিক বলেছেন, দুজনে পরপর ছিল তাই গুলিয়ে ফেলেছি।
শুনসিলাম তাসনীম ভাই নাকি কৌদা আর আমাকে গুলিয়ে ফেলে পরপর মন্তব্য করার জন্যে আর আমাদের প্রো-পিকের মিল আছে বলে, এখন আবার দেখি পিপিদার সাথে আমাকে গুলিয়ে ফেলেছেন কৌদা নিজেই! কোথায় পিপিদা আর কোথায় নগন্য আমি! তবে এহেন গুলানিকে আমি কম্পলিমেন্ট হিসেবে নিয়ে খুশিতে দাঁত বের করে ফেললাম!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তাসনীম ভাইকে দোষ দেই কেমনে! যে তাসবীর আপনি এবং কৌদা লটকেছেন তাতে চশমাধারীরা চশমাবিহীন অবস্থায় নাম পড়তে না পারলে তাসবীর দেখে আপনাকে কৌদা এবং কৌদাকে আপনি মনে করলে আশ্চর্য হবোনা। আর ব্যাস্ততার মধ্যেও যে কেউই এই ভূল করতে পারেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এসব কী কথাবার্তা চলতেছে ভাই; আমি অতি সামান্য এবং অনুল্লেখযোগ্য একজন মানুষ।
ভালো লাগলো।
অনেক বছর আগে এক সংক্ষিপ্ত সফরে আমস্টার্ডাম গিয়েছিলাম। আপনার এই ব্লগ পড়া থাকলে সময় ভালো কাটতো
মাদাম ত্যুসো লণ্ডনে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, তবে এসব জায়গার চেয়ে প্রকৃতি অথবা ডাউনটাউনের মানুষের কোলাহল দেখতে আজকাল বেশি ভালো লাগে।
ভ্রমণ এবং ভ্রমণকাহিনি অব্যাহত থাকুক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আপনি আমস্টারডাম গেছেন আর আ্যান ফ্রাঙ্কের যাদুঘরে যাননি? সময়ের অভাবে?
মনটা কেমন অন্যরকম হয়ে যায় ওখানে গেলে।
আরেকটা জায়গা হলো ভ্যান গগের ছবিঘর।
একবারই গেছি যদিও তবু আমস্টারডাম আমার খুব পছন্দের একটা শহর।মানুষ থেকে সাইকেল বেশি।লোকজনও এতো ভালো।
আপনি এতো ঘোরাঘুরি করেন রে ভাই। রীতিমতো হিংসা হয়।
আরেকটা কথা বলি। একটু ভেবে দেখবেন। ইমানুয়েল আপনার সহকর্মী। তার ছবি দিয়ে তার যৌনাভ্যাসের বিবরন দেয়া কি অনুচিত নয়? ইমানুয়েল হয়তো জানবেনও না কোনদিন । তারপরো এরকম একটা কাজ ভালো লাগেনা।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ রানা মেহের। সময় হাতে না থাকায় খুব কাছের জায়গাগুলোতেই যেতে পেরেছি। ট্যুরিজম অফিস থেকে দর্শনীয় স্থানের যে লিষ্ট ধরিয়ে দিয়েছিলো তা দেখে তো মাথা খারাপের অবস্থা। শুনেছি মানুষের জীবন-জীবিকার সংগ্রাম দেখতে চাইলে আবার রটারড্যাম যেতে হয়।
ইমানুয়েল আমার খুব ভালো একজন বন্ধু, এখন হাইতিতে চলে গেছে। যৌনাভ্যাসে সে একজন পলিগামি এবং রুচিতে অনেকটা এক্সিবিশনিষ্ট। সেই বিবেচনায় আমি ওর কিছু বর্ণনা দিয়েছি। সে বেশ পুলকিত হয় যখন তার দুষ্টুমির বিষয়গুলো আমরা বন্ধুরা আলোচনা করি। তার কাছে তাকে নিয়ে আলোচনাগুলো তার জন্যে স্টিমুল্যান্টের কাজ করে। আমি অবশ্য অপরের ভালো মানবিক দিকগুলো আমার লেখায় তুলে ধরতে চেষ্টা করি। আপনার পরামর্শ আমি নিলাম। ভবিষ্যতে এবিষয়ে সতর্ক হবো। তবে এই লেখার সাথে অপ্রাসঙ্গিক হলেও বলছি ইমানুয়েল তার বেতনের টাকা থেকে সোমালিল্যান্ডে দুটো অনাথ শিশুর যাবতীয় খরচ যোগাতো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
লেখা ভালো লাগলো। শিরোনামের XXX কি ট্যাগ নাকি বিশেষণ?
ডাচদের উচ্চারণে শিপল হবে না। হবে স্কিফল (Schiphol)।
টিউলিপ দেখার সুসময় হল এপ্রিল।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
ধন্যবাদ রেশনুভা। ওটা বিশেষন। হয়তো খেয়াল করে দেখে থাকবেন যে হল্যান্ডের যে কয়টা জিনিস ওদের সংস্কৃতিক বৈশিষ্ঠের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে এটা আছে। আরও কয়েকটা হচ্ছে জুতো, উইন্ডমিল, গরু, ইত্যাদি।
উচ্চরনের ব্যাপারে একমত। তবে আমার স্ক্যান্ডিনেভিয়ান কলিগরা সবাই বলে শিপল, তাই আমিও বলি। আমি আসলে ডাচ ছাড়া অন্য তেমন কাউকেই স্কিপল বলতে শুনিনি।
টিউলিপ আমার আগামীদিনের সফরের প্রথমসারির এজেন্ডা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হিংসা! হিংসা!! হিংসা!!!
অপধ! অপধ!! অপধ!!!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
maximum kahini e amar kache vua mone holo !!! well, onek kichu correct !! but onek kahini banano type er. I dont know how did you understand the convirsation with bartender and her frnds? do you speak dutch ???
I know amsterdam very well, but it is too funny how you described it !!!!!!!!!
কস্ট করে পড়েছেন এজন্য ধন্যবাদ জনাব হাবিব। আপনার কাছে অনেক কিছু ভূয়া মনে হলেও কিছু করার নেই। আমি ডাচ বলতে যেমন পারিনা তেমনি রেড লাইট ডিস্ট্রিক্টে কাউকে ইংরেজি ছাড়া অন্য কিছু কাউকে বলতে শুনিনি।
আপনার কাছে একটা অনুরোধ করি, আপনি যেহেতু ওই জায়গাটা ভাল চেনেন, বাংলায় কিছু লেখা দিন, আমরা উপকার পাই। পাঠকরাও ফানি জিনিস পড়া থেকে বেচে যায়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
যাইতে মন চায়...
হিমাগ্নি
চলেন যাই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন