লাহোরে এক চক্কর

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৩/২০১১ - ৩:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(অনেক চেষ্টা করেও অনেকগুলো ছবিতেই আমার ফালুসুলভ হাসিমাখা বদনখানি প্রদর্শণ ঠেকাতে পারলাম না। এজন্যে সবার ক্ষমাপ্রার্থনা করছি)

গত শুক্রবারটা ছিলো বেশ উদ্বেগের। গোটা ইসলামাবাদ জুড়ে বিক্ষোভের ঝড় রেমন্ড ডেভিসকে মুক্তি দেওয়া নিয়ে। বৃহষ্পতিবারেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম যে শুক্রবার আমরা অফিসে আসবো না। যে যার বাসায় বসে কাজ করবো। যাইহোক কোনওরকম সহিংসতা ছাড়াই শুক্রবার দিনটা কাটলো।

উঠলো বাই
(তো) কটক যাই।

জানিনা কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক হলো। বিকেল নামতেই মাথায় চাপলো লাহোর যাওয়ার ভূত। সিকিউরিটি এ্যাডভাইরকে জিজ্ঞেস করলাম যে বাইরে যাবো কি না। সে বললো আরও একটু অপেক্ষা করতে। ফোন দিলাম বন্ধু জাকারিয়াকে। সে তার ছোট্ট গাড়িটা নিয়ে চলে আসলো। রাসস্যাক আর ক্যামেরা কাঁধে ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। কিছুদুর গিয়ে আবার সিদ্ধান্ত বদল। বাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ লাহোরে যাদের সাথে ঘুরবো তাদের গাড়ি আছে। ফিরে এসে গাড়ি রেখে ট্যাক্সি নিয়ে সোজা বাসস্ট্যান্ড। তারপর টিকেট কেটে অপেক্ষা। পাকিস্তানের সবথেকে ভালো বাস সার্ভিস হচ্ছে ডেইয়ু কিন্তু সেটা রাওয়ালপিন্ডি থেকে ছাড়ে। তাছাড়া টিকেট পাওয়াও সহজ না। তাই আমরা ইসলামাবাদ থেকে আবদুল্লাহ এক্সপ্রেসে চড়লাম। এসি বাস, সিটগুলোও মন্দ না। রাত ১টারও পর লাহোরে পৌঁছলাম। আমার বন্ধু আবিদ খান আমাদের তুলে নিতে আসলো। সাথে আবিদের বন্ধু নাওয়াজ। আবিদ সম্প্রতি থাইল্যান্ড থেকে ফিরেছে। ওখানে সে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচীতে (ইউএনইপি) কাজ করতো। নাওয়াজ লাহোরের একটা চ্যালেঞ্জড শিশুদের স্কুলে শিক্ষকতা করে। যদিও আবিদকে বলেছিলাম হোটেলে কামরা বুক করতে কিন্তু নাওয়াজ তার বাসায়ই থাকার ব্যবস্থা করলো। যেতে যেতে থামলাম গাদ্দাফি ষ্টেডিয়ামের সামনে একটা খোলা রেষ্টুরেন্টে রাতের খাওয়ার জন্যে। মাটন বিরিয়ানির অর্ডার দিলাম আমার জন্যে। রেষ্টুরেন্টটার পুরোটাই খোলা জায়গায় উপরে সামিয়ানা টানানো। লাইভ বাঁশী আর তবলার যুগলবন্দী চলছে। ওখানে আবার এক মহিলা ঘোল মাখন তৈরী করেন খরিদ্দারদের সামনেই। যদিও আমরা তার দেখা পাইনি, অনেক রাত হয়ে গিয়েছিলো বলে। সেখানে আবার একটা মডেল আছে আগের কালে পানি উত্তোলন ব্যবস্থার। ছবি দেখি একটু-

DSC_0090

DSC_0094

DSC_0096

DSC_0097

বিশাল দোতলা একটা বাড়িতে নাওয়াজরা পুরো পরিবার থাকে। আমাদের জন্যে একটা রুম দেওয়া হলে কিন্তু খাট একটা। জাকারিয়া বললো যে সে সোফাতেই ঘুমিয়ে পড়বে। আমি একটা ঝাড়ি দিলাম। তবে বললাম যে রাতে যদি আমি বিকট শব্দে নাক ডাকি বা 'ইয়ে' ত্যাগ করি, তবে জাকারিয়া যেনো কিছু মনে না করে। ক্লান্ত ছিলাম, শোয়া মাত্রই ঘুমিয়ে গেলাম। তখন রাত প্রায় সাড়ে তিনটে বাজে। সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি নাওয়াজের আব্বা অনুরোধ করে গেছেন আমরা যেনো নাস্তা করে তারপর বের হই। এলাহি কান্ডকারখানা নাস্তার টেবিলে। বিশাল সাইজের লুচি, গা বেয়ে ঘি পড়ছে। পাউরুটি, ছোলার ডাল, শব্জী, ডিম, লাস্যি, কয়েকরকম মিষ্টি, জর্দা, চা। শুধু লুচির ছবিটাই দেখেন-

DSC_0099

বেরিয়ে পড়লাম বাইরের উদ্দেশ্যে। নাওয়াজ স্কুল থেকে ছুটি পায়নি তাই শুধু গাড়ি রেখে গেছে। জাকারিয়া চালাবে আর আবিদ গাইডের কাজ করবে। প্রথম যে গন্তব্য সেখানে তিনটে জিনিস একসাথে। লাহোর ফোর্ট, কবি মুহাম্মদ ইকবালের কবর এবং বাদশাহী মসজিদ। ওখানে অবশ্য একইসাথে লাহোরের মহারাজা রনজিত সিংয়ের দরবার আছে তবে সেটা কেবলমাত্র শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্যে খোলা। অন্যদের প্রবেশাধিকার নেই।

এই জায়গাগুলোর রাস্তার ঠিক উল্টোদিকে অবশ্য আছে মনুমেন্ট অব পাকিস্তান। ইকবাল পার্কের মধ্যে অবস্থিত এই মিনারকে বলা হয় মিনার-ই পাকিস্তান। ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চে পৃথক পাকিস্তান সৃষ্টির ঘোষনাকে কেন্দ্র করে এই মিনারের নির্মান। গাড়ি থেকে তোলা ছবি দেখেন একটা-

DSC_0105

পার্কিংএ গাড়ি রেখে টিকেট কেটে ঢুকলাম শাহী কিল্লা বা লাহোর ফোর্টে। এটার নির্মাতা মোঘল সম্রাট আকবর। তবে তার পরবর্তীকালে এটা সময় সময় সংষ্কার ও মেরামত করা হয়েছে। সুউচ্চ প্রাচীরে ঘেরা কিল্লাটা বাইরে থেকে দেখতে সত্যিই রহস্যময়। বিশাল দেয়ালের মাঝে বিস্তির্ণ মাঠ-

DSC_0108

DSC_0109

DSC_0111

DSC_0117

DSC_0118

মাঠের এক পাশেই দিওয়ান-ই-আম বা জনসাধারণের সাথে দেখা করার জায়গা। অনেক বড় হলরুমের মতো একটা জায়গা।

DSC_0129

এটা থেকে বেরিয়েই পড়লো জাহাঙ্গীরের চতুষ্কোণ বা কোয়াড্রাঙ্গল অব জাহাঙ্গীর। এখানেই সম্রাট জাহাঙ্গীর থাকতেন এবং রাজকার্য চালাতেন। জাহাঙ্গীরের বেডরুম, যেটা এখন ছোট্ট একটা মিউজিয়াম, সেখানে তাজমহলের একটা ৯ ফিট উঁচু রেপ্লিকা, হাতির দাঁতের তৈরী। নিখুত তার শিল্পকলা। ছবি তোলা মানা।

DSC_0130

সেখান থেকে বেরিয়ে ঢুকলাম শাহজাহানের বেডরুমে। এটা অবস্থা নিতান্তই নাজুক। দেয়ালের একটা ছবি এখনও দৃশ্যমান যদিও নষ্ট হয়ে গেছে। দেখেন-

DSC_0144

এরপর বিখ্যাত শীশ মহল বা বাংলায় বলা যায় আয়নাঘর। যদিও শীশ মহলের অধিকাংশ শীশগুলোই খসে পড়েছে, তারপরও দু-একটা দেওয়ালে এখনও কিছু শীশ অবশিষ্ঠ আছে। দেখেন-

DSC_0145

DSC_0147

DSC_0148

DSC_0149

DSC_0151

DSC_0152

DSC_0154

DSC_0155

আমরা নেমে আসলাম হাতিদের ওঠানামার জন্যে যে সিড়ি করা হয়েছিলো, সেই সিঁড়ি বেয়ে-

DSC_0160

DSC_0164

বলে রাখি কিল্লার মেইন গেট কিন্তু বন্ধ। ওটা পড়েছে কবি ইকবালের কবরের ঠিক উল্টো দিকে। দেখেন-

DSC_0167

এবার ঢুকলাম পাশের গেট দিয়ে যেখান থেকে যেতে হয় কবি মুহাম্মাদ ইকবালের কবরে আর কিল্লার মেইন গেটে। ওখানে অবশ্য আরও একটা বন্ধ গেট আছে যেটা দিয়ে হীরামন্ডিতে সরাসরি যাওয়া যায়। হীরামন্ডি হচ্ছে লাহোরের সেই ঐতিহাসিক (সু অথবা কু) খ্যাতিসম্পন্ন বাইজিবাড়িগুলো এবং মুজরার আস্তানাগুলো এবং একইসাথে যৌনসেবার কেন্দ্রবিন্দু। জেনারেল জিয়াউল হকের আমলে এসে এগুলোকে অবৈধ ঘোষনা করে তুলে দেওয়া হয়। তারপরও ওগুলো চামে চলছে। ইকবালের কবর দেখলাম। মানুষ কবরের দেওয়ালে হাত লাগিয়ে চুম্বন করছে, দোয়া-ফাতেহা পড়ছে।

DSC_0172

এর পাশেই বিখ্যাত বাদশাহী মসজিদ। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৭৭১ থেকে ১৭৭৩ সালে এটা নির্মাণ করেছিলেন। মূল মসজিদটা ছোট কিন্তু আঙিনা মিলিয়ে এটা বিশালকায়। এখানে দেখলাম মেয়েদের প্রবেশে কোনওরকম বিধিনিষেধ নেই। মূল মসজিদে মেয়েরা ঢুকছেন স্বাভাবিকভাবে। মসজিদের ছবি দেখেন-

DSC_0184

DSC_0185

মসজিদের সাথে একটা ছোট্ট মিউজিয়াম আছে। অভিভূতের মতো দেখলাম সেখানে। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কয়েকটা চুল, তার স্যান্ডেল, কাঁথা, পোষাক। মন ভরে দেখলাম প্রিয় নবীজীর আট্রিবিউটগুলো। সেখানে আরও আছে বিবি ফাতিমার (রাঃ) এর জায়নামাজ; হযরত আলী (রাঃ) এর পাগড়ি; বড়পীরসাহেবের ব্যবহৃত কিছু সামগ্রী; ইত্যাদি। ছবি তোলা কঠোরভাবে নিষেধ। একজন পুলিশের কাছে অনুরোধ রাখলে তিনি বিনীতভাবে বললেন যে এখানের প্রতিটা ইঞ্চি ক্যামেরায় ধরা হয়। আমি এক গরীব পুলিশ এবং আমি আপনাকে ছবি তুলতে দিলে আমার চাকরী চলে যাবে।

ঢুকতে না পারলেও কিল্লার উপর থেকে তোলা মহারাজা রনজিত সিংজীর মহলের দুটো ছবি তুলেছি। দেখেন-

DSC_0158

DSC_0186

এরপর গেলাম লাহোর মিউজিয়ামে। ক্যামেরা নিতে দিলো নির্দিষ্ট ফিসের বিনিময়ে কিন্তু মোবাইল নেওয়া নিষেধ। আমরা ভিতরে ঢোকার পরপরই ইলেকট্রিসিটি চলে গেলো। জেনারেটরও চালু হলো না। ভালো করে তাই দেখাও হলো না। ঘুটঘুটে অন্ধকার। ওখানে একটা গ্যালারীতে দেখলাম হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন সম্প্রদায়ের অনেক পুরাকৃতি রয়েছে। আরও দেখলাম একটা বৌদ্ধ স্তুপা। মিউজিয়ামের উঠোনে প্রকান্ড একটা শিমুল গাছ। কয়েকটা ছবি দিলাম নিচে, দেখেন-

DSC_0193

DSC_0196

DSC_0197

DSC_0198

DSC_0199

DSC_0202

DSC_0208

DSC_0209

DSC_0211

এখান থেকে বেরিয়ে হীরামন্ডি এলাকার একটা রেষ্টুরেন্টে কিছু খেতে ঢুকলাম। খেয়ে দেয়ে বেরিয়ে পাকিংএ যেতে যেতে রাস্তার কয়েকটা ছবি নিলাম।

DSC_0213

DSC_0214

এবারের গন্তব্য ওয়াগা বর্ডার। এদিকে আবার পাকিস্তানের খেলা। বন্ধুরা অনুরোধ করলো যে কিছুটা খেলা দেখে আমরা তারপর ওয়াগা বর্ডারে যাই। আমরা যখন ওয়াগা বর্ডারের সিভিলিয়ান পার্কিংএ গাড়ি রেখে হেটে এগোচ্ছি, তখন দূর থেকে দেখতে পেলাম দুটো পতাকা একসাথে নামছে। জাষ্ট ৫ মিনিট। আমরা মূল গেটের কাছে যেখানে থেকে দর্শনার্থীদের ঢোকানো হয়, সেখানে গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। নিরুপায় আমরা রাস্তার উপরের গেটের সামনে দাড়িয়ে দেখতে থাকলাম মানুষের বেরিয়ে আসা। ইনডিয়া-পাকিস্তানের মধ্যে যাতায়তকারী একটা বাস সীমান্ত পার হয়ে আসলো। বাসটাকে এসকর্ট করছে একদল কমান্ডো। কালো পোষাক পরা এবং মুছে মুখোশ পরা, শুধু চোখ দুটো বাইরে তা’ও আবার কালো চশমায় ঢাকা। কয়েকটা হোন্ডা এবং একটা মেশিনগান লাগানো সামরিক ভ্যান ওই বাসটাকে এসকর্ট করে লাহোর শহরের দিকে নিয়ে চললো। একজন কর্তব্যরত বললো যে ভিতরের মানুষ বেরিয়ে আসার পর আমাদের কিছু সময়ের জন্যে ঢুকতে দেওয়া হবে। অপেক্ষা করতে লাগলাম। প্রায় ১৫ মিনিট পর আমরা বাইরে অপেক্ষমান জনতা ঢুকতে পারলাম। দুপাশেই একইরকম আয়োজন। একই মাপের এবং অবিকল একই রকম গ্যালারী। দুই দেশের গেট দুটোও হুবহু একই।

DSC_0221

ওখানে ছবি তোলায় কোনওরকম নিষেধ নেই। বিশাল মোচওয়ালা এবং দানবাকৃতির সৈন্যেরা পাবলিকের সাথে পোজ দিচ্ছে। এরপর আমরা ঢুকলাম স্যুভেনির শপে। তেমন কিছুই নেই সেখানে। তবে কিছু আঞ্চলিক পোষাক-আশাকের ডিসপ্লে আছে সেখানে। দেখেন-

DSC_0227

DSC_0230

DSC_0231

DSC_0232

DSC_0233

DSC_0234

DSC_0236

DSC_0237

আসলেই তেমন কিছুই নেই শুধু এক ক্ষুদ্রলোচনা দীর্ঘাঙ্গিনী সৈনিক আতিকা ছাড়া। জিনিসপত্র দেখতে দেখতে আতিকার সাথে একটু খাজুরে আলাপ করলাম। দু’একটা কথা বলেই বুঝে গেলাম যে এ মেয়ের নার্ভ খুব শক্ত। তারপর বেরিয়ে আসলাম। সামনেই দেখি এক পাহাড় দাড়িয়ে। অবাক হয়ে দেখলাম লোকটার উচ্চতা। একটা ছবিও তুললাম তার সাথে।

DSC_0240

DSC_0247

নাওয়াজের বাসায় ফিরে এসে ওদের সাথে বসে খেলার বাকী অংশটুকু দেখলাম। তারপর ডিনার করে ওদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। নাওয়াজের বাবা বাসায় নেই তাই নওয়াজ আমাদের সাথে আসতে পারলো না। ওর কাজিনকে দিলো আমাদের সাথে ওর গাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্যে। জাকারিয়া গাড়ি চালাচ্ছে। হঠাৎ জাকারিয়া আমাকে বললো সামনের গাড়িটার দিকে নজর দিতে। সেমি টিনটেড গ্লাস ভেদ করে দেখলাম একটা যুবক গাড়ি চালাচ্ছে এবং সেকেন্ডসীটার যুবতি তার কানে, গলায় চুম্বনে ভরিয়ে দিচ্ছে। মেয়েটা মুখ ক্রমশ নিচের দিকে যাচ্ছে। একটু পরে দেখি মেয়েটাকে আর দেখা যাচ্ছেনা। জাকারিয়া ওভারটেক করার সময়ে ওই গাড়ির পাশে আমাদের গাড়িটাকে একটু স্লো করলে আমার চোখ চড়কগাছ। 'ইয়ে'জব চলছে। আর ছেলেটা ঘেমে একাকার, মেয়েটার কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই। ভালো ............ চলুক অ্যাঁ

ডেইউর রাত একটার গাড়িতে ভাগ্যক্রমে দুটো সীট পেলাম। বাকী রাত গাড়ীতে ঘুমাতে ঘুমাতে সকালে ইসলামাবাদ পৌঁছলাম।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন !!!

লাহোরে নাকি একটা প্রাচীণ, ঐতিহ্যবাহী বিখ্যাত বাজার আছে যেখানে নাকি দুর্দান্ত সব জিভ-টসটসানো কাবাব আর মাংসের রকমারি খাবার পাওয়া যায় ? ওগুলো কিছু চেখে দেখেননি ? আমি পুরান দিল্লী (জামা মসজিদের একদিকে) আর মিশরের লুক্সোরে প্রাচীণ কাবাব-পাড়ায় খেয়েছি, কিন্তু লাহোরেরটার কথা পত্রিকায় পড়লেও, এবং পড়ে লোভ হলেও, সুযোগ হয়নি। আশা করি আপনি মিস করেননি।

মনমাঝি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ মাঝি ভাই। আপনি যে প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী বাজারের কথা বলছেন ওটা হীরামন্ডি। লাহোর হচ্ছে খাদ্যবৈচিত্রে বিখ্যাত। রকমারী খাবারের সমারোহ। দারুন সুস্বাদু। আমি কোলেস্টেরল হাইক করায় আজকাল আর তেমন কাবাব খাচ্ছি না। খেলেও সামান্য দু-এক টুকরো। লাহোরের কাবাব সামান্য একটুখানি খেয়েছি, দারুন মজা। দিল্লির কাবাবও অনেক খেয়েছি। দুটোর স্বাদ তুলনা করা যায় না। দুই রকমের। ইজিপশিয়ান কাবাব খেয়েছিলাম আমস্টার্ডামে। ওটাও মজার। রক্তের লিপিড প্রোফাইল একটু নিয়ন্ত্রনে আসলে আবার ধুমধাম কাবাব খাবো, শিওর।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

অসাধারণ ও স্মৃতিজাগানিয়া। পাঁচ তারা দাগালাম ও পসন্দের পোষ্টে নিলাম।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বস। আপনি যখন লাহোরে এসেছিলেন এখনও মনে হয় লাহোর তেমনি আছে। আমার অবশ্য মন খারাপ। লাহোর গিয়ে যদি বাঈজীনাচ বা মুজরা না দেখে ফিরতে হয়। মন খারাপ

ভগ্ন হৃদয় নিয়ে শুধু ক'হে যাই,
মুজরা-বাঈজীনাচ এ কপালে নাই।

বক্ষ-নিতম্বের মোহময়ী দোলা
বক্র দৃষ্টি হানে, দিল করে ভোলা।
ঝড় তোলে সারেঙ্গী, ছোটে ওস্তাদ
খায় পান, টানে ছড়, করে বরবাদ
এই দিল, তার ছড় টানা ইতি করে।
নিশ্চুপ চেয়ে রয় যতো লোভাতুরে।
ইরাবতি খেলে ঢেউ চিকন কোমরে,
পয়োধরা উঁকি দেয় সলাজ গোমরে।
ধা-ধিন-ধিন-ধা ত্রিতালের বোলে,
নুপুরের মুর্ছনা, নিতম্ব দোলে।
শেষ হয় জলসা, নিভে যায় বাতি,
সুকোমল শয্যায় শুরু মাতামাতি।
বিবসনা বাঈজীতে উপগত আমি,
তূরীয় সুখের তোড়ে চলি আর থামি।
আচানক ঝড় আসে, স্বপ্নের সারা।
ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠি আমি দিশেহারা।

কামাতুর রাতঃস্মরণীয় ক'হে যাই,
মুজরা-বাঈজীনাচ এ কপালে নাই।

বস, মনে হয় হালকা ভাল্গার হয়ে গেলো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ইরাবতি খেলে ঢেউ চিকন কোমরে,
পয়োধরা উঁকি দেয় সলাজ গোমরে।

বাহ, চমৎকার তো! এ যুগের কালিদাস।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

লইজ্জা লাগে

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ইরাবতি খেলে ঢেউ চিকন কোমরে,
পয়োধরা উঁকি দেয় সলাজ গোমরে।

চাল্লু

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

দেঁতো হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কী কমু এর ছবি

আপনার লেখা ও ছবি দুটোই উপভোগ করলাম। তবে একটি জিনিশ বাদ পড়ে গেছে। আপনি হীরামণ্ডির এত কাছ দিয়ে ঘুরে এলেন, রাস্তাঘাটের ছবিও তুললেন, আর শর্মিলা বোসের খানকীশরীফের ছবিটা তুললেন না। খুব আফসোস হচ্ছে।

নিতান্তই গেরস্ত মানুষ, চারপাশে কেবল
শস্যের ঘ্রাণ পাই।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

জটিল কথা বললেন ভাই, ধন্যবাদ। কিছু কিছু জিনিস মিস না হলে তো পরেরবার যাওয়ার ইচ্ছে থাকবেনা। হো হো হো

আর শর্মিলা বোসের খানকীশরীফের ছবিটা তুললেন না

এর হাবি কি লাহোরের লোক নাকি? ব্যাটা পাকিস্তানী তা জানি কিন্তু লাহোরের কি না তা জানি না।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

জাগarরুক এর ছবি

আপনার লেখায়তো কমেন্টের বন্যা বয়ে যায় আর আজকে একটা কমেন্টও পড়েনি দেখে অবাক হচ্ছি।লেখা বরাবরের মতই মুচমুচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কি আর করি ভাই। লেখাটা হয়তোবা তেমন ভালো হয়নি বা পাঠক-দর্শকদের টানতে পারেনি। চিন্তিত

তবে আপনি যে পড়লেন, এতেই আমি অনুপ্রানিত। অনেক ধন্যবাদ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

জায়গা থুইয়া অজাগায়-বেজাগায় পড়ে খালি। তাই ঘ্যাচাং

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ফালু ছবি ভালু পাই। কিন্তু ছবির তোড়ে পোস্ট ভেসে গেল যে। সাথে কিছু টেক্সট যোগ করলে আরো চমৎকার হত।

ছবিতে উত্তম জাঝা!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ফাহিম ভাই, যোগ করার মতো টেক্সট আর পাই কই। আসলে বর্ণনা দেওয়ার মতো তেমন কিছুই নেই। এগুলোর ইতিহাস আমি খুব কমই জানি। আর আমি যেটুকু জানি, পাঠক তার থেকে অনেক বেশি জানেন। তাই বিবরনগুলো ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেছি।

আপনাকে ধন্যবাদ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কৌস্তুভ এর ছবি

ওইরকম অশান্ত দেশে নিজে গিয়ে মুণ্ডু খোয়াতে চাই না, আপনার ছবি দেখেই বেড়ানো সারলাম। হাসি

কেল্লাগুলো সব দেখি জীর্ণ অবস্থা, ভাঙাচোরা না হলেও রঙচটা। এরা কী তেমন মেরামত করে না?

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ কৌস্তভ ভাই। আপনাকে ইদানিং তেমন একটা এ্যাকটিভ দেখছি না। মনে হয় ইদানিং কর্মব্যাস্ততা একটু বেশি যাচ্ছে আপনার।

আপনার সাথে একমত, খুবই কাহিল অবস্থা। তবে দেখলাম যে কিছু মিস্ত্রি বাইরের দেয়ালের কাজগুলোতে সিমেন্টের জোড়াতালি লাগাচ্ছে। কিল্লার ভিতরে অবশ্য একটা কনক্রিট মিক্সার মেশিন দেখলাম। কিন্তু মেশিনটা দেখে মনে হলো ওটা অনেকদিন ধরে বেকার পড়ে আছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কৌস্তুভ এর ছবি

হ গো দাদা, দিনকাল বড়ই চাপে কাটছে... মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

রাতঃদা, লেখাটা পড়লাম, ছবিগুলোও ভালভাবে দেখলাম। আপনার ফালু জ্যায়সা ছবি খুবই ভালু পাইলাম।
পাকিস্তানের মত দেশে বৌদ্ধমূর্তিগুলো এখনো বোম খেয়ে উড়ে যায়নি ব্যাপারটা দেখে আশ্চর্য লাগলো।

শেষটায় এসে বিমর্ষ হয়ে পড়লাম। ব্যাপারটার একটা ছবি দেখার বড়ই সাধ। ওদের ইয়েজবে কোন স্পেশাল কায়দাকানুন আছে কিনা ভেঙেচুরে দেখতে যেন মন চাইল। দেঁতো হাসি

তবে যে কথাটা আমি বলতে চাই,

আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কয়েকটা চুল, তার স্যান্ডেল, কাঁথা, পোষাক।

আপনি কী ওখান থেকে জেনে এসেছেন চুলগুলো কিভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে? যদি কোনভাবে জানতে পারেন তাহলে ভাল হয়। ষষ্ঠ শতাব্দীর একজন মানুষের চুল কিভাবে আরব-আফগান পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে এল সেটার যুক্তিসংগত কারণ জানতে মন চায়। আর যদি এমন স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়েও প্রকাশ্যে প্রতারণা করা হয়ে থাকে, তাহলে বুঝতেই তো পারছেন....

ধৈবত

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ ধৈবতদা। বন্ধুরা বলে যে আমি নাকি হাসলে আমাকে বান্দরের মতো লাগে আর না হাসলে ভাল্লুকের মতো লাগে। তাছাড়া তারা আমার মৃদু হাসিতে নাকি কেমন একটা লুচ্চামির ভাবও দেখতে পায়। খুবই চিন্তায় আছে হাসা আর না হাসা নিয়ে। আপনি বলেন কি করা যায়। চোখ টিপি

পাকিস্তানের মত দেশে বৌদ্ধমূর্তিগুলো এখনো বোম খেয়ে উড়ে যায়নি ব্যাপারটা দেখে আশ্চর্য লাগলো।

আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু নেই এখানে। এই মুর্তি কোনওদিন বোমা খেয়ে উড়বে না। বরঞ্চ এগুলো যত্নেই থাকবে। আমার এ্যানালিসিস শোনেন তবে। ইসলাম ধর্মীয় ঐতিহ্য নিয়ে পাকিস্তানের বড়াই করার মতো তেমন বিশেষ কিছুই নেই। মোঘল সম্রাজ্যের কিছু নিদর্শণ পাকিস্তানে আছে কিন্তু ইসলামের ঐতিহাসিক নিদর্শণ নগন্য। বাংলাদেশের মতো আয়তনে ছোট্ট একটা দেশে বিভিন্ন সময়ে অনেক আউলিয়া-কামেল এসেছেন। অগণিত তাদের নিদর্শণ। দেখেন, ষাটগুম্বজের মতো একটা মসজিদ বাংলাদেশেই আছে। সেই তুলনায় পাকিস্তানে ইসলামের তেমন কি ঐতিহ্য আছে? আমি তো দেখি পাকিস্তানে বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস অনেক বেশি সমৃদ্ধ। তক্ষশীলার মতো একটা ঐতিহাসিক বৌদ্ধধর্মীয় তীর্থ সেখানে আছে। সিন্ধে আছে অনেক প্রাচীন হিন্দু মন্দির। আরও পাঞ্জাবে আছে শতাব্দীর প্রাচীন চার্চ। তাই ওরা ওগুলো ধ্বংস করবে না। ওগুলো ধ্বংস করলে ওদের ইতিহাসকেই ধ্বংস করতে হবে। ওগুলো ছাড়া ওদের তেমন কিছুই নেই যা ওদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।

ওদের ইয়েজবে কোন স্পেশাল কায়দাকানুন আছে কিনা ভেঙেচুরে দেখতে যেন মন চাইল।

হো হো হো না রে দাদা। সব ইয়েজবই এক কায়দায় করা হয়। এটায় বৈচিত্রের সুযোগ নেই। তবে এটা দেখে আমি তেমন অবাক হইনি। বছরদশেক আগে ঢাকায় যা দেখেছি তা এর থেকেও ভয়ংকর। বিবরণ দিতে ভয় পাচ্ছি, অশালীনতার দায়ে ওয়ানিং খাওয়ার চাঞ্ছ আছে।

আর যদি এমন স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়েও প্রকাশ্যে প্রতারণা করা হয়ে থাকে, তাহলে বুঝতেই তো পারছেন....

আমি ব্যাক্তিগতভাবে প্রাকটিসিং না হলেও ধর্মভীরু। তাই ধর্মীয় বিষয়গুলো আমি সহজেই বিশ্বাস করতে চেষ্টা করি। এটা আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি। তাবে ধর্ম ব্যবহার করে কেই ব্যবসা করলে তা আমি সমর্থন করিনা। যাইহোক, মিউজিয়ামে সব জায়গায় লেখা নেই যে এগুলো কিভাবে সংগৃহীত হয়েছে। কিছু কিছু জিনিসে আছে। ছোটবেলায় বইতে পড়েছিলাম যে অনেক সাহাবায় কেরাম নবীজী (সা:) এর চুল সংগ্রহে রাখতেন। তাদের বংশধরদের থেকে এগুলো এখানে আসতে পারে। এছাড়া পাকিস্তানে এককালে অনেক আরব মাইগ্রেট করেছিলো। তাদের মাধ্যমেও এগুলো আসতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সরকারীভাবে এগুলো আনা হয় ইউনেস্কোর তত্ত্বাবধানে। প্রতারণা মনে হয় না। পাকিস্তানীরা একদল অপর দলকে ডাউন দেওয়ার চাঞ্চ পেলে ছাড়েনা। তেমন কোনও ঘাপলা থাকলে তা নিয়ে মনে হয় হইচই হতো। তবে ভালো কথা বলেছেন। আমি চেষ্টা করবো এই বিষয়ে যদি কোনও তথ্য সংগ্রহ করতে পারি, মানে এগুলো সংগ্রহের উৎস সম্পর্কে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

বর্ণনা ও ছবি ভালু পাইলাম। মনে হলো আপনার সাথে আমিও ঘুরাঘুরি করছি কিন্তু খালি খাবারের স্বাদ আর ইয়েজবের সিনটা মিস করলাম আর কি চোখ টিপি

আপনি তো মাশাল্লাহ দিলে ভালোই নাদুস-নুদুস ... মু হা হা হা ...

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কাল রাতে একটা রিপ্লাই দিছিলাম, মনে হচ্ছে মডারেশন পার হয়নাই। চলে আসেন, একসাথে বেরিয়ে পড়ি। মজাই হবে।

আমি তা বাটকু মানুষ তাই হালকা ভুঁড়ি হলেই নাদুসনুদুস লাগে। হো হো হো

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

লেখা ও ছবি দুটোতেই চলুক

অট: ভাই, আপনার অনুবাদ তো আর দেখছি না। অনুবাদ ছাড়ের তাড়াতাড়ি।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ সবুজ ভাই/পাহাড় ভাই/রাজা ভাই (কি কমু? চিন্তিত )

অনুবাদ কিছুটা করে থেমে আছি। পড়ার মতো পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছিনা। কর্মক্ষেত্রে বেশ চাপ যাচ্ছে ইদানিং। তার উপরে চাকরিটা ছেড়ে দেবো মে মাসের শুরুতে, তাই বেকায়দায় আছি। আশাকরছি একটু স্থির হয়ে তারপর ছাড়বো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

যেটা ডাকলে আপনার সুবিধে হয় সেটাই ডাকেন।
আপনার কর্মক্ষেত্রের চাপ কমুক।
অনুবাদের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনি দেশে ফিরলে দেখা হবে, সেই অপেক্ষায়ও রইলাম।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।